Вы находитесь на странице: 1из 312

আল-িহদায়া

পথম খণ

শায়খুল ইসলাম বুরহান উদীন আবুল হাসান আলী


ইবন আবূ বকর আল-ফারগানী আল-মারগীনানী(র)

মাওলানা আবূ তােহর েমছবাহ


অনূিদত
সমাদনা পিরষদ কতৃক
র সমািদত

1
ইসলািমক ফাউেনশন বাংলাদেেশ
সূচীপত

িিিিিিিি িিিিিি

িিিিিিি িিিিিিি-08

পিরেচদঃ উযূ ভংেগর কারণসমূহ--------------------------------------11

পিরেচদঃ েগাসল-------------------------------------------------১৩

পথম অনুেচদঃ পািন----------------------------------------------১৬

পিরচদঃ কুয়ার মাসআলা-------------------------------------------২০

পিরচদঃ উিচষ ইতযািদ--------------------------------------------২ 3

িদতীয় অনুেচদঃ তায়ামুম------------------------------------------26

তৃতীয় অনুেচদঃ েমাজার উপর মাসহ-----------------------------------31

চতুথর অনুেচদঃ হায়য় ও ইসিতহাযা------------------------------------34

পিরচদঃ মুসতাহাযা-----------------------------------------------37

পিরচদঃ িনফাস সমেন---------------------------------------------38

পণচম অনুেচদঃ িবিভন----------------------------------------------40

পিরচদঃ ইসিতনজা-------------------------------------------------44

িিিিিিি িিিিি-45

2
পথম অনুেচদঃ সালােতর সময়সমূহ--------------------------------------45

পিরেচদঃ সালােতর মুসতাহাব ওয়াক---------------------------------46

পিরেচদঃ সালােতর মাকরূূূ ওয়াক-----------------------------------47


িদতীয় অনুেচদঃ আযান-----------------------------------------------48

তৃতীয় অনুেচদঃ সালােতর পূবরবতরী শতরসমূহ-----------------------------------50

চতুথর অনুেচদঃ সালােতর ধারাবািহক িববরণ----------------------------------53

পিরেচদঃ িকরাত----------------------------------------------------56

পণচম অনুেচদঃ ইমামত------------------------------------------------70

ষষ অনুেচদঃ সালােতর মেধয হাদাছ হওয়া----------------------------------75

সপম অনুেচদঃ যা সালাতেক ভংগ কের এবং যা সালাতেক মাকরহ কের---------------79

পিরেচদঃ সালােতর মাকরহ---------------------------------------------82

পিরেচদঃ পায়খানায় িকবলামুখী বসা---------------------------------------85

অষম অনুেচদঃ সালাতুল িবতর------------------------------------------85

নবম অনুেচদঃ নফল সালাত--------------------------------------------87

পিরেচদঃ িকরাত সংকান----------------------------------------------88

পিরেচদঃ িকয়ােম রমাযান---------------------------------------------92

দশম অনুেচদঃ জামা’আত পাওয়া----------------------------------------93

একাদশ অনুেচদঃ কাযা সালাত------------------------------------------96

দাদশ অনুেচদঃ সাজদােয় সাহও------------------------------------------98

তেয়াদশ অনুেচদঃ অসুস বযিকর সালাত-------------------------------------103

চতুদরশ অনুেচদঃ িতলাওয়ােত সাজদা---------------------------------------106

পণচদশ অনুেচদঃ মুসািফেরর সালাত---------------------------------------109

ু -----------------------------------------115
েষাড়শ অনুেচদঃ সালাতুল জুমআ
3
সপদশ অনুেচদঃ দই ঈেদর িবধান----------------------------------------118

পিরেচদঃ তাকবীের তাশরীক--------------------------------------------119

অষাদশ অনুেচদঃ সালাতুল কুসূফ-----------------------------------------120

ঊনিবংশ অনুেচদঃ ইসিতসকার সালাত--------------------------------------121

িবংশ অনুেচদঃ ভয়কালীন সালাত-----------------------------------------122

একিবংশ অনুেচদঃ সালাতুল জানাযা----------------------------------------123

পিরেচদঃ কাফন পরান------------------------------------------------124

পিরেচদঃ মাইেয়েতর উপর সালাত আদায়------------------------------------126

পিরেচদঃ জানাযা বহন------------------------------------------------127

পিরেচদঃ দাফন-----------------------------------------------------130

দািবংশ অনুেচদঃ শহীদ------------------------------------------------131

তেয়ািবংশ অনুেচদঃ কা’বার অভযনের সালাত---------------------------------132

িিিিিিি িিিিি-131

পথম অনুেচদঃ গবািদ পশর যাকাত---------------------------------------135

পিরেচদঃ উেটর যাকাত-----------------------------------------------136

পিরেচদঃ গরর যাকাত------------------------------------------------137

পিরেচদঃ বকরীর যাকাত----------------------------------------------138

পিরেচদঃ েঘাড়ার যাকাত----------------------------------------------139

পিরেচদঃ েয সব পশর েকেত যাকাত েনই-----------------------------------143

িদতীয় অনুেচদঃ সমেদর যাকাত----------------------------------------144

পিরেচদঃ রপার যাকাত-----------------------------------------------145

পিরেচদঃ সেণরর যাকাত-----------------------------------------------146

পিরেচদঃ পণযদেবযর যাকাত--------------------------------------------150


4
তৃতীয় অনুেচদঃ উশর উসূলকারীর সমুখ িদেয় অিতক্র্ মকারী----------------------152

চতুথর অনুেচদঃ খিনজ-সমদ ও েপািথত-সমদ-------------------------------157

পণচম অনুেচদঃ ফসল ও ফেলর যাকাত------------------------------------162

ষষ অনুেচদঃ যাকাত-সাদকা কােক েদয়া জাইয বা জাইয নয়----------------------165

সপম অনুেচদঃ সাদাকাতুল িফতর-----------------------------------------169

পিরেচদঃ সাদাকাতুল িফতেরর পিরমাণ ও সময়--------------------------------২৩০

িিিিিিি িিিিি-169

পথম অনুেচদঃ েয কারেণ কাযা ও কাফফারা ওয়ািজব হয়-------------------------২৪৪

পিরেচদঃ েরাযা ভংগ-------------------------------------------------২৫১

পিরেচদঃ েস িসয়াম পসেঙ যা চানা িনেজর উপর ওয়ািজব কের--------------------২৬১

িদতীয় অনুেচদঃ ইিতকাফ---------------------------------------------২৬৪

িিিিিিি িিিি-194

পিরেচদঃ ইহরােমর সানসমূহ--------------------------------------------২৭৪

পথম অনুেচদঃ ইহরাম-----------------------------------------------২৭৬

পিরেচদঃ উকুেফর সােথ সংিশষ-----------------------------------------৩০১

িদতীয় অনুেচদঃ িকরান----------------------------------------------৩০৬

তৃতীয় অনুেচদঃ হেজ তামাতু-------------------------------------------৩১১

চতুথর অনুেচদঃ অপরাধ ও তিট-----------------------------------------৩২০

পিরেচদঃ ইহরাম অবসায় সী-সেমাগ--------------------------------------৩২৭

পিরেচদঃ তাহারাত বযতীত তাওয়াফ সংিশষ িবষয়-----------------------------৩৩০

পিরেচদঃ িশকার---------------------------------------------------৩৩৬

পণচম অনুেচদঃ ইহরাম ছাড়া মীকাত অিতকম করা----------------------------৩৫২

ষষ অনুেচদঃ ইহরােমর সমকর সমেন--------------------------------------৩৫৬


5
সপম অনুেচদঃ অবরদ হওয়া-------------------------------------------৩৬০

অষম অনুেচদঃ হজ ফউত হওয়া-----------------------------------------৩৬৪

নবম অনুেচদঃ অপেরর পেক হজ করা------------------------------------৩৬৬

দশম অনুেচদঃ হাদী সমেকর--------------------------------------------৩৭২

িিিিি িিিিিি-275

।।িিিিি িিি িিিিি িিিিিিি িিিি (িিিি)।।

যারা আলাহর উপর তাওয়াকুল কের তােদর জনয িতিনই যেথষ হন।

সমস পশংসা আলাহর িযিন ইলেমর িনদশরন ও দৃষানসমূহ ‘সমুনত’ কেরেছন এবং িযিন শরীয়েতর িবধান ও
িনেদরশনাবলী সুপকািশত কেরেছন, আর সেতযর পথ পদশরনকারী রূূু বহ েপ নবী ও রাসূল েপরণ কেরেছন,
(তােদর সকেলর পিত আলাহর পক েথেক রহমত বিষরত েহাক) আর িযিন আিলমগণেক তােদর সলবতরী কেরেছন
যারা তােদর সুনেতর পেথর আহবান কেরন। েয সকল িবষেয় তােদর পক েথেক েকান বাণী বিণরত হয়িন েস সকল
েকেত ইজিতহােদর নীিত অনুসরণ কেরন এবং েস িবষেয় আলাহর িনকট পথ-িনেদরশনা পাথরনা কেরন। আর
আলাহই সিঠক পথ পদশরেনর অিধকারী।

আর িতিনই পাথিমক যুেগর মুজতািহদগণেক িবেশষভােব তাওফীক দান কেরেছন, ফেল তারা সুসষ ও সূক সকল
পকার মাসআলা সিনেবশ কেরেছন। তেব েযেহতু ঘটনাবলী পরসরায় ঘটমান এবং ‘আেলাচয িবষয় অবযাহত
সমসযূূাবলী েবষন করেত অকম উপরন উতসসল েথেক িবিচন মাসআলাসমূহ আহরণ করা এবং সদৃশ
মাসআলাসমূেহর উপর িকয়াস কের িসদান গহণ করা অিত কািমল েলাকেদর কীিতর -রেপ সীকৃত। আর
মাসােয়েলর উতসসমূহ সমেকর অবগিতর মূেল তা দৃঢ়ভােব আঁকেড় ধরা সমর হয়, উেলখয েয, ‘িবদায়াতুল
মুবতাদী’ নামক িকতােবর ভূিমকা অংেশ আমার পক েথেক এ পিতশিত েয, আলাহ তা’আলা যিদ তাওফীক দান
কেরন তাহেল ‘িফকায়াতুল মুনতাহী’ নাম-কারণপূবরক উক িকতােবর একিট বযাখযাগন রচনা করেবা। অতএব
আিম শরাহ েলখেত আরম করলাম, যিদও কৃতপিতশিত বাধয-বাধকতা িছল না। অবেশেষ যখন রচনা কাযর েথেক
অবসর হওয়ার কাছাকািছ উপনীত হলাম তখন তােত িকছু ‘িবশদতা’ অনুভব করলাম এবং আশংকা করলাম েয,
একারেণ গনখািন পিরতযাক হেত পাের। তাই আল-িহদায়া নামকরণপূবক র আর একিট বযাখযাগন রচনায়
মেনািনেবশ করলাম, আলাহ তা’আলা তাওফীক িদেল এর পিত অধযােয় অিতিরক িবষয় পিরহার কের আিম

6
সুিনবরািচত বণরনা এবং অকাটয দলীলসমূহ সমািবষ করেবা। এ জাতীয় িবষেয় অিতিবশদ আেলাচনা উেপকা কের
চলেবা। তেব এমন সকল মূলনীিত তােত সিনেবিশত হেব যার উপর িভিত কের বহ আনুষিঙক িবষয় আহিরত
হেব। আলাহ তা’আলার িনকট পাথরনা কির েযন িতিন আমােক তা সমন করার তাওফীক দান কেরন এবং তার
সমািপর পর েযন েসৌভােগযর সােথ আমার জীবেনর অবসান ঘটান।

অতএব অিধক জান অজরেনর উচসৃহা যােদর হেব তারা সাগেহ সুদীঘর ও বৃহতর বযাখযা গনখািন অধযয়ন করেব।
আর যােদর সমেয়র তাড়াহড়া থাকেব তারা সংিকপ ও কুদ পিরিধর বযাখযা গেনর উপরই িনভরর করেব।

এরপর আমার কিতপয় ভাতা অনুেরাধ করেলন, েযন আিম তােদর জনয উক িদতীয় গনিট িলিপবদ কির। সুতরাং
আিম আলাহ তা’আলার সাহাযয কামনা কের আবার তা আরম করলাম, তঁার দরবাের সকাতর পাথরনা সহকাের,
েযন আমার পয়াস সহজ কের েদন। িতিনই সকল কিঠনেক সহজ কেরন। িতিন েতা যা ইচা কেরন, তঁার উপর
কমতাবান এবং দ’আ কবুেলর েযাগয েকউ েনই। আলাহ‌ই আমােদর জনয যেথষ এবং িতিন কমর-িবধায়ক।

7
িিিিিিি িিিিিিি

আলাহ তা’আলা ইরশাদ কেরনঃ

8
েহ ঈমানদারগণ, যখন েতামরা সালােত দঁাড়ােত মনস কর তখন িনেজেদর মুখমণল েধৌত কর......আয়ােতর েশষ
পযরন।

আেলাচয আয়াত েথেক পমাণ হেলা েয, উযুেত িতনিট অংগ েধায়া এবং মাথা মাসহ করা ফরয।

েধায়া, (পািন) পবািহত করা। আর (িভজা হাত) লাগান। আর মুখমণেলর সীমা। (কপােলর উপেরর) চুেলর
েগাড়া েথেক িচবুেকর নীচ পযরন এবং উভয় কােনর লিত পযরন। েকননা, (মুখমণল) শবিট (মুেখামুিখ হওয়া)
েথেক উদূত। আর এ পুরা অংেশর দারাই সামনা সামিন হওয়া সংগিঠত হয়।

িিিিিিিি ি িিিিিিিিিিি িিিি িিিি িিিিিিি িিিিিিিিিিি। আমােদর


িতন ইমােমর মেত। যুফার (র.) িভনমত েপাষণ কেরন। িতিন বেলন, সীমানা তার পূববর তরী অংেশর অনভূরক হয়
না, েযমন সাওম সমিকরত িবধােন রািত অনভূরক নয়। আমােদর যুিক এই েয, এ সীমানার উেদশয হেচ তার
পরবতরী অংশেক বিহভূরত করা। কারণ, যিদ সীমানার উেলখ না থাকত তেব েধায়ার হকুম পুেরা হাতেক শািমল
করেতা। পকানের সাওেমর েকেত সীমানা উেলেখর উেদশয হল েস পযরন হকুেমর িবসার ঘটােনা। েকননা শবিট
সামানয সমেয়র িবরিতর উপর বযবহার হয়।

িবশদ মেত পােয়র েগাড়ায় েবর হেয় থাকা হাড়। এ েথেক উিদন সন তরণীেক বলা হয়।

গণথকার বেলন, মাথা মাসহ-এর েকেত মাথার এক চতুথরাংশ পিরমাণ সশর করা ফরয। েকননা মুগীরা ইবন শবা
(রা.) বণরনা কেরেছন েয, রাসূলুলাহ (সা.) একবার বিসর আবজরনা েফলার সােন এেস েপশাব কের উযূ করেলন।
তখন িতিন মাথার সমুখভাগ এবং েমাজা মাসহ করেলন।

েযেহতু আল-কুরআেনর বকবয এখােন পিরমােণর িদক েথেক অসষ, েসেহতু আেলাচয হাদীছিট তার বযাখযা রেপ
যুক করা হয়। এ হাদীছিট ইমাম শািফঈ (র.) কতৃক র িতন চুেলর দারা িনধরারেণর িবপেক পমাণ। তদপ ইমাম
মািলক (র.) কতৃরক পূণরাঙ মাসহ শতর করার িবপেক পমাণ।

েকান েকান বণরনায় রেয়েছ েয, আমােদর ইমামেদর মেধয েকউ েকউ ফরয মাসহর হােতর িতন আংগল পিরমাণ
কেরেছন।েকননা তা পকৃতপেক েয অঙ দারা মাসহ করা হয়, তার িসংহভাগ।

গনকার বেলন, উযুর সুনত হেলাঃ

০১. পােত হাত পেবশ করােনার আেগ উভয় হাত েধায়া, যখন উযূকারী তার িনদা েথেক উেঠ। েকননা রাসূলুলাহ
(সা.) ইরশাদ কেরেছনঃ

েতামােদর েকউ যখন ঘুম েথেক েজেগ ওেঠ, তখন েস েযন তার হাত িতনবার না েধায়া পযরন পােত না ডুবায়।
েকননা, েস জােন না, িনিদত অবসায় তার হাত েকাথায় িছেলা (অথরাত েকান অংগ সশর কেরিছল)। তাছাড়া
হাত হেলা তাহারাত সমাদেনর উপকরণ। সুতরাং তার পিবতকরেণর মাধযেম শর করাই সুনত। এ হাত েধৌত
করার পিরমাণ কবিজ পযরন। েকননা, তাহারাত সমাদেনর জনয অতটুকুই যেথষ।

9
০২. উযূর শরেত িবসিমলাহ বলা। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছনঃ েয িবসিমলাহ বেলিন তার উযূ হয়িন।
এখােন উেদশয হেলা, উযূর ফযীলত হািসল হেব না। িবশদ মত হল, উযূেত িবসিমলাহ বলা মুসাহাব। যিদও
(মূল পােঠ)তােক সুনত বেলেছন। এবং ইিসনজার আেগ ও পের িবসিমলাহ বলের; এ-ই সিঠক মত।

০৩. িমসওয়াক করা। েকননা নবী (সা.) সব সময় তা করেতন। িমসওয়াক না থাকেল আংগল বযবহার করেব।
েকননা নবী (সা.) এরপ কেরেছন।

০৪. কুিল করা ও (০৫) নােক পািন েদয়াঃ েকননা নবী (সা.) সবসময় উভয়িট কেরেছন। এ দ’িটর পদিত এই
েয, িতনবার কুিল করেব এবং পিতবার নতুন পািন িনেব। একইভােব নােক পািন িনেব। নবী (সা.)-এর উযূেত
এরপ বণরনায় এেসেছ।

০৬. উভয় কান মাসহ করা। মাথা মাসহ এর (অবিশষ) পািন দারা তা সমাদন করা সুনত। ইমাম শািফঈ
িভনমত েপাষণ কেরন। আমােদর দলীল হেলা নবী (সা.) বেলেছনঃ কণরদয় মাথারই অংশ িবেশষ।এর উেদশয হল
শরীআেতর হকুম বণরনা করা, সৃিষগত অবসা বণরনা করা নয়।

০৭. দািড় েখলাল করা। েকননা হযরত িজবরীল নবী (সা.)-েক তা করেত িনেদরশ িদেয়েছন। েকউ েকউ
বেলেছন, এিট আবূ ইউসূেফর মেত সুনত। পকানের ইমাম আবূ হানীফা ও মুহামদ (র.)-এর মেত তা (সুনত
নয়) ৈবধ মাত। েকননা, সুনত হল এমন কাজ, যা দারা ফরযেক তার সােন পূণরতা দান করা হয়। অথচ দািড়র
িভতেরর অংশ (মুখমণল েধৌত করা) ফরেযর সান নয়।

০৮. আংগল েখলাল করা। েকননা নবী (সা.) বেলেছন, েতামরা েতামােদর আংগলসমূহ েখলাল কর, যােত
জাহানােমর আগন তােত পেবশ না কের। আর এ ভাষয েয, এ দারা ফরযেক তার সােন পূণরতা দান করা হেচ।

০৯. িতনবার পযরন পুনঃ েধৌত করা- েকননা নবী (সা.) এেককবার কের েধৌত কেরেছন এবং বেলেছন, এটা
এমন উযূ, যা না হেল আলাহ সালাত কবুলই করেবন না। আবার দ’ দবার কের েধৌত কেরেছন এবং বলেলন,
এিট ঐ বযিকর উযূ, যােক আলাহ িদগন িবিনময় দান করেবন। এরপর িতন িতন বার েধৌত কের বলেলন, এটা
আমার উযূ এবং আমার পূববর তরী নবীেদর উযূ। েয এর েবশী বা কম করেব, েস সীমালংঘন করল ও অনযায়
করল।

অবশয এই কেঠার হিশঁয়াির হেচ িতনবার কের েধায়ােক সুনত বেল িবশাস না করার জনয।

উযূকারীর জনয মুসাহাব হেলাঃ

০১. পিবততা অজরেনর িনয়যত করা। আমােদর মেত উযূেত িনয়যত হেলা সুনত। আর ইমাম শািফঈ (র.)-এর
মেত তা ফরয। েকননা, উযূ একিট ইবাদত, সুতরাং তায়ামুেমর মেতা উযূও িনয়যত ছাড়া শদ হেব না।
আমােদর দলীল এই েয, িনয়যত ছাড়া উযূ ইবাদতরেপ গণয হেব না িঠকই, তেব সালােতর পেবশ-মাধযমরেপ
অবশযই িবেবিচত হেব। েকননা, পিবততার উপকরণ(পািন)বযবহাের পিবততা অিজরত হেব। তায়ামুেমর িবষয়িট

10
এর িবপরীত। েকননা, সালাত আদােয়র িনয়যত ছাড়া অনয অবসায় মািট মূলত পিবততা সৃিষকারী নয়। তাছাড়া
শবিট ইচা ও িনয়যেতর অথরবহ।

০২. সমূণর মাথা মাসহ করা। এটাই হেচ সুনত। আর ইমাম শািফঈ বেলন, সুনত হেচ পেতযকবার নতুন
পািন িনেয় িতনবার মাসহ করা। মাসহেক িতিন েধায়ার অংগগেলার উপর িকয়াস কেরন। আমােদর দলীল এই
েয, আনাস (রা.) মুখ, হাত, পা িতন িতনবার কের ধুেয় উযূ করেলন আর মাথা একবার মাসহ করেলন। তারপর
িতিন বলেলন, এ হেলা রাসূলুলাহ (সা.)- এর উযূ। আর িতনবার মাসহ করার েয হাদীছ বিণরত আেছ, তা মূলত
একবােরর পািনর বযবহােরর উপর ধরা হয় এবং ইমাম আবূ হানীফা (র.) েথেক বিণরত মত অনুযায়ী তাও শরীআত
সমত।

তাছাড়া ফরয হেলা মাসহ করা। অথচ বারংবার মাসহ করেল তা েধায়ােতই পিরণত হেয় যােব। সুতরাং তা সুনত
হেত পাের না। অতএব মাথা মাসহ মূলতঃ েমাজার উপর মাসহ করার সদৃশ। অংগ েধৌত করার িবষয়িট এর
িবপরীত। েকননা বারংবার তা দারা েধায়ার হকুেমর কিত হেচ না।

০৩. তরতীেবর সােথ উযূ করা, অথরাত আলাহ েযভােব বণরনা শর কেরেছন, েস ধারায় শর করা এবং

০৪. ডান িদক েথেক শর করা। আমােদর মেত উযূেত তরতীব রকা করা সুনত। আর ইমাম শািফঈ (র.)-এর
মেত তা করা ফরয। তঁার দলীল এই েয, উযূর আয়াত – এ অবযয়িট রেয়েছ, যা পযরায়কেম েবাঝায়। আর
ভাষািবদেদর সবরসমত মেত এ অবযয়িট িনছক একতীকরেণর জনয বযবহত হয়। সুতরাং আয়ােতর চািহদা হেচ
সবক’িট অংেগর েধৌত কাযর পরবতরী সমন করা।

আর ডান িদক েথেক শর করা উতম। েকননা নবী (সা.) বেলেছন, আলাহ সব িবষেয় ডান িদক েথেক শর করা
পছন কেরন। এমনিক জুতা পিরধান করা চুল আঁচড়ােনার েকেতও।

পিরেচদঃ উযূ ভংেগর কারণসমূহ

উযূ ভংেগর কারণগেলা যথাকেমঃ

০১. েপশাব-পায়খানার রাসা িদেয় েয েকান িকছু েবর হওয়া। েকননা আলাহ বেলেছন েতামােদর েকউ েশৌচ সান
েথেক আেস, রাসূলুলাহ (সা.)-িজঞাসা করা হেলা িক? িতিন বলেলন, েপশাব ও পায়খানা দ’দাের যা েরর হয়।

আেলাচয হাদীেছর যা িকছু শবিট বযাপকতা জাপক। সুতরাং পকৃিতগত ও অপকৃিতগত সবিকছুই এর অনভূরক।

০২. েদেহর েকান অংশ েথেক বা পুঁজ েবর হেয় যিদ পাক করার িবধান পেযাজয হয় এমন সান অিতকম কের।

০৩. মুখ ভিতর বিম। ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, েপশাব পায়খানার রাসা ছাড়া (েদেহর অনয েকান সান েথেক)
িকছু েবর হেল উযূ ভংগ হেব না। েকননা বিণরত আেছ েয, নবী কিরম (সা.) বিম কের উযূ কের িন।

11
তাছাড়া েয সােন নাজাসাত সশর কেরিন, তা েধৌত করা যুিক-ঊধর করণীয় িবধান।

সুতরাং শরীআেতর িনেদরিশত সােন তা সীিমত থাকেব। আর তা হল পকৃিতগত পথ। আমােদর পমাণ হেলা,
রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছনঃ সকল পবািহত রেকর জনযই উযূ আবশযক। িতিন আেরা বেলেছনঃ

সালাত অবসায় কােরা বিম হেল িকংবা নােক রক ঝরেল েস েযন িফের িগেয় উযূ কের এবং পূবরবতরী সালােতর
উপর ‘িবনা’ কের যতকণ না কথা বলেব।

আর যুিক হেলা নাজাসাত িনগরত হওয়া তাহারাত ও পিবততা ভংেগর কারণ মূল আয়ােতর এতটুকু েতা
যুিকসংগত।অবশয িনিদরষ চার অংগ েধায়ার িনেদরশ যুিকর ঊেধর। িকন পথম িবষয়িট সানানিরত হেল িদতীয়
িবষয়িটও সানানিরত হওয়া অিনবাযর হেব। তেব িনগরত হওয়া তখনই সাবযস হেব, যখন তা তাহারােতর হকুমভূক
েকান অংশ গিড়েয় েপঁৌছেব। আর বিমর েকেত যখন তা মুখ ভের হেব। েকননা, ‘আবরণতক’ উেঠ েগেল রক
বা পুজ
ঁ সসােন পকাশ পায় মাত; িনগরত হয় না।

পকানের েপশাব-পায়খানার পথ দ’িট বযিতকম (অথরাত েসখােন নাজাসাত েদখা েগেল উযূ ভংগ হেয়েছ বেল ধরা
হেব) েকননা, তা নাজাসােতর পকৃত সান নয়। সুতরাং েসখােন নাজাসােতর পকাশ েথেকই তার ‘সানচুযিত ও
িনগরত হওয়া পমািণত হেব।

মুখ ভরা বিমর অথর হেলা, অনায়ােস যা আটকােনা সমব নয়। েকননা, দৃশযতঃ তা িনগরত হেত বাধয। সুতরাং
িনগরত হেয়েছ বেলই গণয হেব।

ইমাম যুফার (র.) বেলন, অল ও িবসর বিম সমপযরােয়র। তদপ (রেকর েকেতও িতিন) পবািহত হওয়ার শতর
আেরাপ কেরন না। েপশাব-পায়খানার সাভািবক িনগরত হওয়ার সােনর উপর িকয়াস কের।

তাছাড়া নবী করীম(সা.)-িনেমাক বাণীঃূঃবিমউযূ ভংেগর কারণ হেচ শতরমুক ।

আমােদর পমাণ হল নবী করীম (সা.)-এর হাদীছঃ পবািহত না হেল এক দ’েফঁাটা রক েবর হেল উযূ আবশযক
নয়।

এবং হযরত আলী (রা.) উযূ ভংেগর সবক’িট কারণ গণনা পসংেগ বেলেছন,(মুখ ভরা বিম) এখােন যখন
হাদীছগেলা পরসর িবেরাধী তখন (সমনেয়র জনয) ইমাম শািফঈ (র.) বিণরত হাদীছেক অল বিমর উপর এবং
ইমাম যুফার বিণরত হাদীছেক েবশী বিমর উপর ধরা হেব। পকানের েপশাব-পায়খানার রাসা এবং অনযানয সান
েথেক নাজাসােত িনগরত হওয়ার পাথরকয ইেতাপূেবর আমরা বেল এেসিছ।

যিদ িবিভন দফায় এত পিরমাণ বিম কের েয, একত করা হেল তা মুখ ভিতর পিরমাণ হেব, তখন ইমাম আবূ
ইউসূফ (র.) এর মেত সােনর অিভনতা িবেবচয হেব। এবং ইমাম মুহামদ (র.) এর মেত বমেনােদককারী েহতু
অথরাত উদগােরর অিভনতা িবেবচয।

12
ইমাম আবূ ইউসূফ েথেক বিণরত েয, পদাথর উযূ ভংেগর কারণ নয়, তা নাপাকও গণয নয়; ইমাম আবূ ইউসূেফর
যুিক এই েয, (উদারস) েশষা নাজাসােতর সংসশরেহতু নাজাসাত রেপ গণয।

আর যিদ েকউ রকবিম কের এবং তা জমাট হয়, তেব এেত মুখ ভরিত িবেবচনা করা হেব। েকননা মূলতঃ তা
িপত-িনঃসৃত গাঢ় কাল পদাথর। আর যিদ তরল হয়, তেব ইমাম মুহমদ (র.) এর মেত, অনযানয পকার বিমর
িনিরেখ এেকেতও অনুরপ মুখ ভিতর হওয়া িবেবচয।

অনয দই ইমােমর মেত, যিদ সতঃসূতর েবেগ পবািহত হয় তাহেল অল হেলও উযূ েভংেগ যােব। েকননা পাকসলী
রেকর সান নয়। সুতরাং তা উদরস েকান কত েথেক িনগরত হেয়েছ বেল গণয হেব।

(আর রক) মাথার িভতর েথেক গিড়েয় নােকর নরম অংশ পযরন উপনীত হেল সবরসমত মেত উযূ েভংেগ যােব।
েকননা তা তাহারােতর হকুমভূক অংেশ চেল এেসেছ। সুতরাং িনগরত হওয়া সাবযস।

(৪) ঘুমােনা-কাত হেয় িকংবা েহলান িদেয় িকংবা এমন িকছুেত েঠস িদেয় েয়, তা সিরেয় িদেল েস পেড় যােব।
েকননা, পাশর শয়ন শরীেরর গিনগেলার িশিথলতার কারণ। ফেল এ অবসা সভাবতই িকছু (বায়ু) িনগরত হওয়া
েথেক মুক নয়। আর সভাবতঃ যা িবদযমান তা ইয়ািকনী িবষয় বেল গণয।

আর তা েহলান অবসায় ঘুম আসেল ভূিমর সােথ িনতেমর সংলগতা না থাকার কারেণ জাগতাবসার িনয়নণ িবলুপ
হয়। আর িকছুেত উক পকার েঠস িদেয় ঘুমােল অংগ ৈশিথলয চরেম েপৌেছ যায়। েঠকনািট তার পেড় যাওয়া
েথেক বািচেয় রােখ পকানের (সালােত বা সালােতর বাইের) দাড়ােনা, বসা, রকু ও সাজদা অবসার ঘুম েতমন
নয়। এটাই িবশদ মত। েকননা, আংিশক িনয়নণ তখেনা বহাল থােক, তা না হেল েতা পেড়ই েযেতা। সুতরাং
পুেরাপুির অঙ িশিথল হয় না। এ িবষেয় মূল িভিত হেলা নবী (সা.) এর বাণীঃ

দািড়েয়, বেস,রকুেত বা সাজদায় েয ঘুমায়, তার উপর উযূ আবশযক নয়। উযূ আবশযক হেলা তার উপর, েয
পােশর ভর িদেয় ঘুমায়, েকননা পােশরর উপর ঘুমােল তার গিন িশিথল হেয় পেড়।

(৫) এমন সংজাহীনতা, যােত েবাধ-েলাপ পায় এবং (৬) অপকৃিতসতা। েকননা, এগেলা অংগ ৈশিথেলযর েকেত
পাশর শয়েনর চাইেতও েবশী িকয়াশীল। সংজাহীনতা সবরাবসায় উযূ ভংেগর কারণ। ঘুেমর েকতও িকয়াস ও
যুিকর দাবী এটাই িছল। িকন ঘুেমর েকেত উক পাথরকয আমরা হাদীছ েথেক েপেয়িছ। সংজাহীনতা েক আবার
িনদার উপর িকয়াস করার সুেযাগ েনই। েকননা তা িনদার চাইেত েবশী পবল।

(৭) রকু-সাজদািবিশষ সালােত অটহািস। অবশয িকয়াস ও যুিকর দাবী হল উযূ ভংগ না হওয়া। ইমাম শািফঈ
(র.) এর মতও তাই। েকননা তা িনগরত নাজাসাত নয়। এ কারেণ সালাতুল জানাযায়, িতলাওয়ােতর সাজদায়
এবং সালােতর বাইের তা উযূ ভংেগর কারণ নয়।

আমােদর দলীল হেলা রাসূলুলাহ (সা.) এর বাণী, শেনা, েতামােদর েকউ অটহািস করেল উযূ ও সালাত উভয়ই
পুনরায় আদায় করেব।বলা বাহলয েয, এ ধরেনর (মশহর হাদীছ) দারা িকয়াস করা হেয় থােক। তেব হাদীছিট
েযেহতু পূণর আকােরর সালাত সমিকরত, েসেহতু তার হকুম তােতই সীমাবদ থাকেব।

13
অটহািস হেলা যা িনেজ এবং পাশরবতরী শনেত পায়। আর হািস হেলা যা িনেজ েশানেত পায়, িকন অনযরা শনেত
পায় না। আর েকউ েকউ বেলেছন েয, হািস দারা উযূ নষ হয় না, িকন সালাত ফািসদ হেয় যায়।

(৮) িপছেনর রাসা িদেয় েকান কীট েবর হেল তা উযূ ভংগকারী হেব । তেব কতসান েথেক কীট েবর হেল বা
মাংসখণ খেস পড়েল উযূ ভংগ হেব না।

মূল পােঠ ‘দাবা’ দারা উেদশয ‘কীট’ েকননা (মূলতঃ কীট নাজাসাত নয় বরং) তার েদহ েলেগ থাকা পদাথর হেলা
নািজস বা নাপাক এবং তা অিত অল। আর অল নাজাসাত েপশাব-পায়খানার রাসায় িনগরত হওয়া উযূ ভংেগর
কারণ। িকন অনয সান েথেক অল েবর হওয়া উযূ ভংেগর কারণ নয়। তাই (অনয সান েথেক অল েবর হওয়া)
েঢকুেরর সেঙ তুলনীয় এবং (েপশাব-পায়খানার রাসা েথেক অল েবর হওয়া) িনঃশব বাতকেমরর সােথ তুলনীয়।
পকানের নারী অথবা পুরেষর েপশােবর রাসা িদেয় িনগরত বায়ু উযূ ভংগকারী নয়। েকননা তা নাজাসােতর সান
েথেক সৃষ নয়। তেব ‘উভয় পথ সংযূক এমন েকান নারীর বায়ু িনগরত হেল তার জনয উযূ কের েনয়া মুসতাহাব।
েকননা, েসটা িপছেনর রাসা িদেয় েবর হওয়ার সমাবনা িবদযমান।

েকান েফাড়া-েফাসার চামড়া তুেল েফলার কারেণ তা েথেক পািন-পুজ ইতযািদ গিড়েয় যিদ কতসােনর মুখ
অিতকম কের তাহেল উযূ ভংগ হেব, আর পািন যিদ অিতকম না কের তেব উযূ ভংগ হেব না।

ইমাম যুফার (রা.) এর মেত উভয় অবসায় উযূ ভংগ হেব। ইমাম শািফঈ (র.) এর মেত উভয় অবসােতই উযূ
ভংগ হেব না। মূলতঃ এটা েপশাব-পায়খানার রাসা ছাড়া িভন পেথ নাজাসাত িনগরত হওয়ার মাসআলার সােথ
সমৃক। এই সমস পািন পুজ ইতযািদ অবশযই নািজস। েকননা এগেলা মূলতঃ রক, পযরায়কেম পক হেয় িনগরত
েকদ এবং আেরা েবশী পক হওয়ার পর পুজ, এরপর এই পাথরকয তখনই হেব যখন আবরণ-তক সিরেয় েফলার
কারেণ তা আপনা আপিন েবর হয়। পকানের িচপ েদওয়ার কারেণ েবর হেল উযূ ভংগ হেব না। েকননা
(হাদীছ) বা িনগরত শব রেয়েছ, অথচ) এটা িনগরত নয়, বরং িনঃসরণ করা হেয়েছ। আলাহই সবরজ।

পিরেচদঃ েগাসল
েগাসেলর ফরয হল কুিল করা, নােক পািন েদওয়া এবং সমস শরীর েধায়া।

ইমাম শািফঈ (র.) এর মেত েগাসেলর মেধয কুিল করা ও নােক পািন েদওয়া সুনত।েকননা নবী কিরম (সা.)
বেলেছন দশিট িবষয় িফতরাত অথরাত সুনােতর অনভূরক। এর মেধয িতিন কুিল করা ও নােক পািন েদওয়ার কথা
উেলখ কেরেছনঃ এ কারেণই উযূেত এ দ’িটেক সুনত গণয করা হয়।

আমােদর দলীল হেলা আলাহ তা’আলার ইরশাদঃ যিদ েতামরা জুনুবী হও তাহেল পূণর রেপ তাহারাত হািসল কর।

এখােন পূণররেপ তাহারাত হািসল করার িনেদরশ েদওয়া হেয়েছ।যার মমর হল সমস শরীর পিবত করা। তেব
েযখােন পািন েপৌছােনা দষর, েসগেলা (েধায়ার আওতা েথেক) বিহভূত
র ।

14
উযূর অবসা িভন। েকননা, উযূর মেধয েচহারা েধায়া ওয়ািজব। আর আিভধািনক অেথর েচহারার দারা এতটুকু
অংশ বুঝায়, যা মুেখামিখেত পকাশ পায়। আর মুখ ও নােকর অভযনেরর মেধয মুখামুিখর অবসা অনুপিসত।

(ইমাম শািফঈ (র.) কতৃরক বিণরত হাদীছিটর উেদশয হেচ উযূ ভংেগর অবসা এর পমাণ হল নবী (সা.) এর
বাণী।

কুিল করা ও নােক পািন েদওয়া উভয়িট জানাবােতর েগাসেল ফরয এবং উযূেত সুনত।

েগাসেলর সুনত এই েয, েগাসলকারী পথেম দই হাত এবং লজাসান ধুেব। আর শরীের নাজাসাত েলেগ থাকেল
তা পিরষার করেব, অতঃপর সালােতর উযূর অনূরপ উযূ করেব, তেব পদদয় ধুেব না। এরপর মাথায় ও সারা
শরীের িতনবার পািন পবািহত করেব। এরপর েগাসেলর সান েথেক সের িগেয় দ’পা ধুেয় েনেব।

মায়মূনা (রা.) রাসূলুলাহ (সা.) এর েগাসেলর অনূরপ িববরণই িদেয়েছন। পা েধায়া সবরেশেষ করার কারণ এই
েয, পা দেটা বযবহত পািন জমা থাকার জায়গায় থােক। তাই আেগ েধায়ােত েকান লাভ েনই। এমনিক তকার
উপের (বা উচু সােন) দািড়েয় েগাসল করেল তখন পা েধায়া িবলিমত করেব না। পথেম হাকীকী নাজাসাত
(নাপাক পদাথর) দূর কের েনয়ার কারণ এই েয, পািন েলেগ তা েযন আেরা ছিড়েয় না পেড়।

সী েলােকর জনয েগাসেলর সময় েবণী খুেল েনওয়া জররী নয়, যিদ চুেলর েগাড়ায় পািন েপৌেছ যায়। েকননা
রাসূলুলাহ (সা.) উমু সালামা (রা.) েক বেলেছনঃ চুেলর েগাড়ায় পািন েপৌছেলই েতামার জনয যেথষ হেব।

েবণী িভজােনাও সীেলােকর জনয জররী নয়, এ-ই িবশদ মত। েকননা তা কষ সাধয দািড়র বযাপার অবশয িভন।
েকননা দািড়র িভতের পািন েপৌছােনা কষদায়ক নয়।

ইমাম কুদূরী বেলন, েগাসল ওয়ািজব হওয়ার কারণসমূহ হলঃ

(১) জাগত বা িনিদত অবসায় নারী বা পুরেষর সেবগ ও সকাম বীযরসলন।

ইমাম শািফঈ (র.) এর মেত, েয েকান অবসায় বীযরসলেনই েগাসল ওয়ািজব হয়।েকননা রাসূল করীম (সা.)
বেলেছনঃ পািনর কারেণ পািন আবশযক। আমােদর দলীল এই েয, পিবততা অজরেনর িনেদরশ ‘জুনুবীর’ সােথ
সমিকরত। েলাকিট জুনুবী হেয়েছ তখনই বলা হয়, যখন েলাকিট সীর সােথ কাম-ইচা চিরতাথর কের।

উক হাদীছ সকাম বীযরসলেনর অেথরই বযবহত। তেব ইমাম আবূ হানীফা ও মুহামদ (র.) এর মেত মূল সান
েথেক বীেযররসলেনর কােমােতজনা থাকাই যেথষ।

ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত বীেযরর পকাশ বা িনগরমন কােমােতজনাসহ হওয়া শতর। িতিন িনগরমন অবসােক
মূল সান েথেক সলন অবসার উপর িকয়াস কেরন। েকননা েগাসেলর সমকর উভেয়র সােথ।

উক দই ইমােমর যুিক এই েয, যখন েগাসল ওয়ািজব হওয়ার এক কারণ িবদযমান তখন সতকরতার চািহদা হল
েগাসল ওয়ািজব সাবযস করা।

15
(২) বীযরসলন বযিতেরেক দই অংেগর ‘িমলন’। েকননা নবী করীম (সা.) বেলেছনঃ

উভয় খাতনা সান যখন িমিলত হয়; বীযরসলন ঘটুক িকংবা না ঘটুক।

আর এ জনয েয, দই অংেগর িমলন হল বীযরসলেনর কারণ। আর পুরষাঙ রেয়েছ তার দৃিষর অেগাচের। পিরমাণ
অল হেল সলন তার অজাতও খাকেত পাের। কােজই কারণেক সলেনর সলবতরী ধের েনওয়া হেয়েছ। গহযদাের
পেবশ করােনারও এই হকুম। েকননা সলেনর কারণ এখােনও পূণর মাতায় িবদযমান। আর যার সােথ একাজ করা
হয়, সতকরতা-সরপ তার উপরও েগাসল ওয়ািজব।

পশ সংগম ও েযৌনাঙ ছাড়া ৈমথুন এর িবষয়িট িভন। েকননা েসখােন সলেনর কারণ দবরল।

(৩) ঋতুসাব (এর সমািপ) েকননা—আলাহ তা’আলা বেলেছনঃ

যতকণ না তারা উতমরপ পিবততা অজরন করেব।

(৪)তদপ সবরসমত মেত িনফাস ও (পসব পরবতরী রকসাব)ঃঃ

আর রাসূললু াহ (সা.) েগাসল সুনত কেরেছন, জুমআ


ু , দই ঈদ, আরাফায় অবসান ও ইহরােমর জনয েগাসল।

মূল গনকার (ইমাম কুদরূ ী) সষ সুনত বেলেছন। কােরা কােরা মেত এই চার সমেয়র েগাসল মুসতাহাব। মূল
(মাবসূত) গেন ইমাম মুহামদ (র.) জুমুআর েগাসলেক উতম বেলেছন। আর ইমাম মািলক বেলেছন ওয়ািজব।
েকননা রাসূল করীম (সা.) বেলেছনঃ জুমআ
ু য় েয শরীক হয়, েস েযন েগাসল কের েনয়।

আমােদর দলীল এই েয, নবী করীম (সা.) বেলেছনঃ

ু র িদন েয উযূ কের, তা তার জনয যেথষ ও ভাল। আর েয েগাসল কের তা উতম। (সমনয় সাধেনর
জুমআ
উেদশয) ইমাম মােলক বিণরত হাদীেছর িনেদরশেক মুসতাহাব অেথর েনওয়া হেব; িকংবা রিহত বেল গণয।

আর ইমাম আবূ ইউসূেফর মেত এই েগাসল হল সালাতুল ‘জুমআর জনয এবং এ-ই িবশদ মত। েকননা সমেয়র
তুলনায় তার ফযীলত অিধক। তাছাড়া সালােতর সােথই তাহারােতর িবেশষ সমকর। এ িবষেয় ইমাম হাসান এর
িভনমত রেয়েছ।

দই ঈদ ও জুমুআর মতই। েকননা, উভয় ঈেদই বড় সমােবশ হয়। সুতরাং দগরনজিনত কষ দূর করার জনয
তােত েগাসল মুসতাহাব।

আরাফা ও ইহরােমর েগাসল সমেকর ইনশাআলাহ হেজর িবষয় পসংেগ আেলাচনা করেবা।

কুদরূ ী (র.) বেলন, ‘মযী’, ও ‘অদী’ েবর হেল তােত েগাসল আবশযক নয়, তেব উযূ আবশযক।

েকননা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- সকল পুরেষরই মযী িনগরত হয়। আর তােত উযূ আবশযক। আর তা হল
েপশােবর পর িনগরত অেপকাকৃত গাঢ় তরল পদাথর। তাই তা েপশােবর হকুেমর মেধযই গণয হেব। হেচ সাদা

16
আঠাল পদাথর, যার সলন পুরষাংগেক িনেসজ কের েদয়। হল সাদােট তরল পদাথর, যা সীর সেঙ আদর-আহলােদর
সময় িনগরত হয়। এ বযাখযা ‘আইশা (রা.) েথেক বিণরত।

পথম অনুেচদ
পািন
েয্ পািনেত উযূ জাইয এবং েয পািনেত উযূ জাইয
ন্ ্ য় ।

আসমােনর (বৃিষর) পািন দারা, উপতযকায় জমা পািন দারা, ঝরনার পািন দারা, কূেপর পািন দারা ও সমুেদর পািন
দারা অপিবততা েথেক পিবততা অজরন করা জাইয। েকননা আলাহ পাক বেলেছনঃ আসমান েথেক আিম অিত
পিবত পািন বষরণ কেরিছ। (২৫ঃ৪৮
ঃূূ
ঃ )

রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছনঃ

পািন পিবত, েকান িকছু তােক না পাক কের না, িকন েয অপিবত বস তার বণর, সাদ বা গন পিরবতরন কের
েদয়।

অনয হাদীছ সমুদ সমেকর িতিন বেলেছনঃ সমুেদর পািন পিবত এবং তার মরা হালাল । আর সাধারণভােব িবেশষণ
ছাড়া পািন শবিট এই সকল পািনর উপর পেয়াজয।

বৃক িকংবা ফল েথেক িনংড়ােনা পািন দারা পিবততা অজরন করা জাূূ
্ ইয
ন য় । েকননা, তা সাধারণ পািন নয়।
আর সাধারণ পািন না পাওয়া েগেল (পিবততা অজরেনর ) হকুম তায়ামুেম রপানিরত। আর এ সকল অংগ েধৌত
করার হকুম িকয়াস বিহভূরত। সুতরাং তা শরীআেতর বাণীেত উেলিখত বসেক অিতকম করেব না। তেব
ূূ
আাংগর
ব ক ৃ েথেক েফাটা েফাটা েয পািন পেড় , তা দারা উযূ জাইয হেব। েকননা তা হসেকপ ছাড়া িনগরত
হেয়েছ। ইমাম আবূ ইউসূফ এ মাসআলা উেলখ কেরেছন। মূল কুদরূ ী িকতােবও এ িদেক ঈংিগত রেয়েছ।
েকননা তােত িনঃসরেণর শতর আেরাপ করা হেয়েছ।

এমন পািন দারা (পিবততা অজরন) জাইয নয়, যােত অনয েকান বস পভাব িবসার কের পািনর পকৃত গণ দূরীভূত
কের িদেয়েছ। েযমন, শরবত, িসরকা, েগালাব জল, সবিজর পািন, শরয়া পািন। েকননা এগেলােক সাধারণ
পািন বলা হয় না। সবিজর পািনর উেদশয হল যা জাল েদওয়ায় পিরবিতরত হেয়েছ। আর যিদ িবনা জােল তােত
পিরবতরন আেস তাহেল তা দারা উযূ জাইয হেব।

17
েয পািনর সােথ েকান পাক িজিনস িমিশত হয় আর তা পািনর (িতনিট গেণ) েকান একিটেক পিরবতরন কের েদয়,
েস পািন দারা পিবততা অজরন করা জাইয। েযমন বনযার েঘালা পািন এবং জাফরান, সাবান ও ‘উশনান’ িমিশত
পািন।

িহদায়া গনকার বেলন, কুদরূ ীেত েলাধ িভিজেয় রাখা পািনেক েঝােলর পযরােয়র ধরা হেয়েছ। আর ইমাম আবূ
ইউসূফ (র.) েথেক বিণরত মেত তা জাফরান িমিশত পািনর সমপযরােয়র। এ-ই িবশদ। নািতফী ও ইমাম সারখসী
এ মতই গহণ কেরেছন।

ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, জাফরান ও এর অনুরপ এমন পদাথর িমিশত পািন যা মািট জাতীয় নয়, তা দারা উযূ
জাইয নয়।তুিম লকয করছ না েয তােক (শধু পািন না বেল) জাফরােনর পািন বলা হেয় থােক। মািট জাতীয়
পদাথর িমিশত পািন এর বযিতকম। েকননা পািন সাধারণত তা েথেক মুক হয় না।

আমােদর যুিক এই েয, এেকেত ‘পািন’ নামিট এখনও সাধারণভােবই অকুণন আেছ। এজনয তার েকেত আলাদা
নতুন েকান নাম যুক হয়িন। জাফরােনর িদেক সেমাধন কের (জাফরােনর পািন বলা) মূলতঃ কুয়া ও ঝরনার িদেক
সেমাধন করার মত।

তা ছাড়া সামানয িমশণ পিরহার করা সমব নয় িবধায় তা ধতরবযও নয়, েযমন মািট জাতীয় পদােথরর েকেত।
সুতরাং পবলতাই িবেবচয িবষয় হেব। আর পবলতা সাবযস হেব অংশগত পিরমাণ দারা; রং-এর পিরবতরন দারা
নয়। এই িবশদ মত।

িমশেণর পর যিদ জাল দারা পািন পিরবিতরত হয় তেব েস পািন দারা উযূ জাইয নয়। েকননা তা আসমান েথেক
বিষরত পািনর সভােব বহাল েনই। অবশয যিদ পািনেত এমন িকছু জাল েদওয়া হয় যা দারা অিধক পিরষরণ,
উেদশয হয়। েযমন, পটাশ (বা বড়ই পাতা) তা হেল িভন কথা। েকননা মাইেয়তেক বড়ই পাতার জাল েদওয়া
পািন দারা েগাসল েদয়া হয়।হাদীেছও তা আেছ। তেব যিদ তা পািনর উপর পবল হেয় ছাতু (িমিশত পািনর) মত
হেয় যায় (তাহেল জাইয হেব না) েকননা তখন পািন নামিট তা েথেক িবলুপ হেয় যায়।

েয েকান (িনশল ও অল) পািনেত নাপািক পড়েল তা দারা উযূ জাইয নয়। নাপািক অল েহাক বা েবশী েহাক।
ইমাম মািলক (র.) বেলন, যতকণ পািনর িতনিট গেনর েকান একিটর পিরবতরন না হয় ততকণ উযূ জাইয।
উপের আমােদর বিণরত হাদীছ দারা িতিন দলীল গহণ কেরন।

ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, পািন দই মটকা পিরমাণ হেল উযূ জাইয হেব। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন,
পািনর যিদ দই মটকা পিরমাণ হয়, তাহেল তা নাপািক গহণ কের না।

আমােদর দলীল হল ঘুম েথেক েজেগ উঠা বযিক সমিকরত হাদীছ এবং িনেমাক হাদীছ- েতামােদর েকউ েযন
িনশল পািনেত েপশাব না কের এবং তােত জানাবােতর েগাসল না কের। এখােন (মটকা পিরমােণ) পাথরকয করা
হয়িন।

18
ইমাম মািলক (র.) েয হাদীছ বণরনা কেরেছন তা বুযা’আ নামক কূপ সমিকরত। তার পািন িছল পবািহত িবিভন
বাগােন। পকানের ইমাম শািফই বিণরত হাদীছেক ইমাম আবূ দাউদ ‘দবরল’ বেলেছন। অথবা এর অথর নাপািক
গহেণ দবরল (অথরাত নাপাক হেয় যােব)।

পবহমান পািনেত নাজাসাত পড়েল েস পািন দারা উযূ জাইয, যিদ তােত নাজাসােতর েকান আলামত েদখা না
যায়। েকননা, পািনর পবােহর কারেণ তা িসর থােক না। আর আলামত হল সাদ, গন বা বণর। পবহমান ঐ
পািনেক বলা হয় যা পুনঃ পুনঃ বযবহার আেস না। েকউ েকউ বেলন, যা ‘খড়কুটা’ ভািসেয় েনয়।

এক পাশর নাড়া িদেল অপর পােশরর পািন তরংগািয়ত হয় না, এমন বড় পুকুেরর এক পােশর নাজাসাত পড়েল অপর
পােশর উযূ করা জাইয। েকননা এটাই সাভািবক েয, অপর পােশর নাজাসাত েপৌছেব না। কারণ, ছিড়েয় পড়ার
েকেত তরেঙর পভাব নাজাসাত এর পভােবর েচেয় েবশী।

ইমাম আবূ হানাফী (র.) েথেক বিণরত আেছ েয, িতিন েগাসেলর দারা সৃষ তরঙ গহণ কেরন। এই ইমাম আবূ
ইউসূফ (র.) এর মত। আবূ হানাফী (র.) েথেক অনয এক বণরনায় িতিন হাত নাড়ার তরঙ কেরন। আর ইমাম
মুহামদ (র.) েথেক বিণরত মেত িতিন উযূ দারা সৃষ ‘তরঙ’ গহণ কেরন। পথম মেতর যুিক এই েয, হাউজ ও
পুকুের উযূর তুলনায় েগাসেলর পেয়াজনই েবশী।

েকান েকান ফকীহ িবষয়িটেক সাধারণ মানুেষর জনয সহজ করার উেদশয মােপর দারা পিরমাণ িনধরারণ কের
িদেয়েছন। অথরাত কাপড় মাপার হােত দশ দশ হাত (চতুিদরেক)-এর উপরই ফাতওয়া। গভীরতার েকেত িবেবচয
এই েয, তা এমন পিরমাণ হেব েয, অঞিল ভের পািন েতালার সময় তলা েজেগ উঠেব না। এটাই িবশদ মত।
মূল িকতােবর এ কথা ‘অনয পােশর উযূ জাইয হেব’ ইংিগত কের েয, নাজাসাত পড়ার সান নাপাক হেয় যােব।
তেব ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) েথেক বিণরত েয, উক সানও নাপাক হেব না, যতকণ না নাজাসাত পকাশ পায়;
েযমন পবহমান পািনর হকুম।

মশা, মািছ, েবালতা, িবচু ইতযািদ েয সকল পাণীর মেধয পবািহত রক েনই েসগেলার মৃতুযর পািন নাপাক হেব
না।

ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, এিট পািনেক নষ কের িদেব। যা হারাম করা হেয়েছ, িকন সমানােথর নয় তা নািজস
হওয়ার পিরচায়ক। তেব েমৌমািছ ও ফেলর েপাকার িবষয়িট এর বযিতকম। েকননা তােত মানবীয় পেয়াজন
িবদযমান।

আমােদর দলীল এই েয, এ ধরেনর পািন সমেকর রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- এটা খাওয়া ও পান করা এবং তা
দারা উযূ করা জাইয। এমন িক, যবাহকৃত জন হালাল করা হেয়েছ, পবািহত রক তা েথেক দূরীভূত হওয়ার
কারেণ অথচ েস সকল জনর মেধয রক েনই। (ইমাম শািফঈ (র.) এর জবাব এই েয) হারাম হওয়ার জনয
নািজস হওয়া অিনবাযর নয়। েযমন মািট হারাম িকন তা নািজস নয়।

মাছ, বযাঙ, কঁাকড়া ইতযািদ যা পািনেত থােক, পািনেত তার মৃতুয, পািন নষ (নাপাক) করেব না।

19
ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, পূেবরােলিখত যুিকর আেলােক মাছ বযতীত অনযানয জনর মৃতুয পািন নষ কের িদেব।
তার দলীল উপের উেলখ করা হেয়েছ।

আমােদর দলীল এই েয, এগেলা িনজ উতপিতসেল মারা েগেছ। সুতরাং েস েকেত নাজাসােতর হকুম পেয়াগ করা
হেব না। েযমন িডেমর কুসুম রেক পিরবিতরত হেলও (তা নাপাক হয় না)।

তাছাড়া এগেলােত রক েনই, েকননা রকবাহী পাণী পািনেত বাস কের না। আর রকই হল নািজস। পািন ছাড়া
অনয িকছুেত এগেলা মারা েগেল, েকউ বেলেছন, মাছ বযতীত অনযানয জন তা নাপাক কের িদেব, েসসব
উতপিতসল না থাকার কারেণ। আবার েকউ বেলেছন তা নষ করেব না রক না থাকার কারেণ। এ মতই িবশদ।
জলজ বযাঙ ও সল বযাঙ দ’িটর হকুম সমান। আর েকউ েকউ বেলেছন, সল জাতীয় বযাঙ পািন নষ কের িদেব,
েকননা এেত রক িবদযমান। এবং েযেহতু তা উতপিতসেল মারা যায় িন।

জলজ পাণী দারা েস সকল পাণী বুঝায়, যার জন ও বাস পািনেত। েয পাণী পািনেত অবসান কের িকন জন
পািনেত নয়, তা পািন নষ কের।

ইমাম কুদূরী বেলন, বযবহত পািন ‘হাদাছ’ েথেক পিবততা দান কের না।

ইমাম মািলক ও ইমাম শািফঈ (র.) িভনমত েপাষণ কেরন। তারা বেলন, (কুরআেন বিণরত) অথর যা অনযেক
বারবার পাক করেত পাের, েযমন বেল তােক, যা বারবার কতরন করেত সকম। ইমাম যুফার (র.) বেলন, এবং
এটা ইমাম শািফঈ (র.) এর িদতীয় মত-পািন বযবহারকারী যিদ উযূ অবসায় েথেক থােক তাহেল তার বযবহারকৃত
পািন দারা আবার তাহারাত হািসল করা যােব। আর যিদ পািন বযবহারকারী বযিক অপিবত েথেক থােক তাহেল তার
বযবহত পািন পিবত থাকেব, িকন পিবতকারী থাকেব না।

েকননা অংগ বাহযত পিবত। েস িহসােব পািন পিবত থাকা চাই। িকন িবধান অনুযায়ী েস অংগ নাপাক। েস
িহসােব পািন নাপাক হেয় যাওয়া চাই। তাই উভয় অবসা িবেবচনা কের আমরা পািনর পিবতকরণ গেণর িবলুিপ
এবং পিবত থাকার পেক মত েপাষণ কেরিছ।

ইমাম মুহামদ (র.) বেলন, আর তা ইমাম আবূ হানীফা (র.) েথেকও বিণরত-বযবহত পািন পিবত িকন পিবতকারী
নয়। েকননা দই পিবত বসর সংসেশর অপিবত হওয়ার কারণ হেত পাের না। তেব েযেহতু তা দারা একিট
ইবাদত আদায় করা হেয়েছ, েসেহতু তার গণ পিরবিতরত হেয় েগেছ। েযমন, সাদাকার মাল।

ইমাম আবূ হানীফা (র)হেত ইমাম হাসান (র.) এর সূেত বিণরত মেত হাকীকী নাজাসাত দূর করার জনয বযবহত
পািনর সমতুলয গণয কের এ পািনও নাজাসােত গালীজা ( গর নাপাক)।

আর ইমাম আবূ হানীফা (র.) েথেক ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর সূেত বিণরত মেত এ পািন নাজাসােত খাফীফা
(লঘু নাপাক)। েকননা, এ সমেকর মতেভদ রেয়েছ।

বযবহত পািন অথর, েয পািন দারা হাদাছ দূর করা হেয়েছ িকংবা সাওয়াব হািসেলর উেদেশয শরীের বযবহার করা
হেয়েছ।

20
িহদায়া গনকার বেলন, এটা ইমাম আবূ ইউসূেফর মত। েকউ েকউ বেলেছন, েয, এটা ইমাম আবূ হানীফা (র.)
এরও মত। ইমাম মুহামদ (র.) বেলন, শধু সাওয়াব হািসেলর িনয়যেতই পািন ‘বযবহত’ গণয হেব। েকননা
গনােহর সানানিরত হওয়ার কারেণই পািন ‘বযবহত’ সাবযস হেব। আর গনাহ দূর হয় সাওয়ােবর িনয়যত দারা।
আর ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) বেলন, (পািনর মেধয) ফরয আদায় করারও পভাব রেয়েছ। সুতরাং উভয় কারেনই
(পািনর) নষ হওয়া সাবযস হেব।

কখন পািন ‘বযবহত’ রেপ গণয হেব? িবশদমত এই েয, (েধৌত) অংগ েথেক িবিচন হওয়া মাত তা ‘বযবহত’
বেল গণয হেব। েকননা (পািন শরীর েথেক)িবিচন হওয়া পূেবর পেয়াজেনর তাকীেদ ‘বযবহত হওয়ার হকুম েদওয়া
হয় না। আর িবিচন হওয়ার পর পেয়াজন েনই।

জুনুবী বযিক যিদ বালিত করার জনয কূেপর মেধয ডুব েদয় তাহেল ইমাম আবূ ইউসূেফর মেত েস জুনুবী েথেক
যােব। েস তার গােয় পািন ঢােল িন। আর তার মেত ফরয েগাসল আদায় হওয়ার জনয তা শতর। আর পািনও
পূবর অবসায় পাক থাকেব; েকননা, উভয় কারণই এখােন অনুপিসত। ইমাম মুহামদ(র.) এর মেত (পািন ও
মানুষ) উভয়ই পাক।

েলাকিট পিবত হেয় েগল পািন ঢালার শতর না হওয়ার কারেণ, আর পািন পিবত থাকল সাওয়ােবর িনয়যত না থাকার
কারেণ।

ইমাম আবূ হানাফী (র.) এর মেত উভয়ই অপিবত। পািন একারেণ অপিবত েয, (পািনর সােথ) পথম সংসেশরর
সােথ সােথ শরীেরর অংশিবেশষ েথেক জানাবাত দূরীভূত করা হেয়েছ। আর েলাকিট অপিবত এজনয েয, অবিশষ
অংেগ হাদাছ িবদযমান রেয় েগেছ। আর েকউ েকউ বেলন, তার মেত েলাক অপিবত থাকার কারণ হেলা বযবহত
পািনর অপিবত হওয়া। তার েথেক বিণরত আেরকিট মত হেলা, েলাকিট পিবত হেয় যােব। েকননা (শরীর েথেক)
িবিচন হওয়ার পূেবর পািনর উপর বযবহত হওয়ার হকুম আেরাপ করা হয় না। তার পক েথেক পাপ বণরনাগেলার
মােঝ এিটই অিধক যুিকসংগত।

শূকর ও মানুেষর চামড়া বযতীত েয েকান চামড়া ‘পাকা করা হয় তা পাক হেয় যায়।তােত সালাত আদায় করা
এবং তা েথেক (ৈতরী পােতর পািন িদেয়) উযূ জাইয। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- েয েকান চামড়া পাকা
করা হয়, তা পাক হেয় যায়।

এ হাদীছিট তার অথর বযপকতার িভিতেত মৃত পশর চামড়ার বযাপাের ইমাম মািলক (র.) এর িবপেক দলীল। আর
মৃত পশেক কােজ লাগােনার বযাপাের বিণরত িনেষধবাণী- েতামরা মৃত পশর চামড়া েথেক উপকার গহণ কর না । এ
হাদীছ উপেরােলিখত হাদীেছর িবপরীেত েপশ করা যােব না। েকননা েয চামড়া পাকা করা হয়িন, তােকই বলা
হয়।

তদপ আেলাচয হাদীছ কুকুেরর চামড়ার বযাপাের ইমাম শািফঈ (র.) এর িবপেক দলীল। েকননা, কুকুর (শূকেরর
মত) সতাগত ভােব নাপাক নয়। তুিম িক েদখেত পােচা না েয, পাহারা েদওয়া ও িশকার করার েকেত তার
েথেক উপকার গহণ করা হয়? আর শূকর হেলা সতাগত ভােবই নাপাক। েকননা আলাহ তা’আলার বাণী
(িনঃসেনেহ তা নাজাসাত) এর সবরনাম িনকটবতরী এর িদেক পতযাবিতরত। মানব েদেহর েকান অংশ দারা উপকার
21
লাভ হওয়ার কারণ (নাপািক নয় বরং) তার মযরাদাও। সুতরাং এ দ’িট আমােদর বিণরত হাদীেছর আওতার
বাইের।

যা দগরন ও পচেন েরাধ কের, তােকই পাকা করা বেল; েরােদ শিকেয় েহাক বা মািট েমেখ েহাক। েকননা মূল
উেদশয এর দারা অিজরত হয়। সুতরাং অনয েকান শতর আেরাপ করার েকান যুিক েনই।

েয চামড়া পাকা করেল পাক হয়, তা যবাহ করার মাধযেমও পাক হয়। েকননা, যবাহ দারা নাপাক আদরতা দূর
করার েকেত পাকা করার িকয়া পাওয়া যায়। এইরপ যবাহ দারা েগাশতও পাক হেয় যায়। এটাই িবশদ মত।
যিদও তা খাওয়া হালাল নাও হয়।

মৃতপশর পশম ও হাড় পাক।

ইমাম শািফঈ (র.) নাপাক বেলন, েকননা এগেলা মৃত পশরই অংশ।

আমােদর দলীল এই েয, তােত পাণ েনই, এজনয এগেলা কাটেল বযথা অনুভূত হয় না। সুতরাং এ দেটােত মৃতুয
পেবশ কের না। েকননা মৃতুয অথর পােণর িবেলাপ।

মানুেষর চুল ও হাড় পাক।

ইমাম শািফঈ (র.) নাপাক বেলন। েকননা, এ দারা উপকার লাভ করা ৈবধ নয় এবং তা িবিক করাও জাইয
নয়।

আমােদর দলীল এই েয, তার বযবহার ও িবিক িনিষদ হওয়ার কারণ মানুেষর মযরাদা রকা। সুতরাং তা তার
নাজাসােতর পিরচায়ক নয়।

পিরেচদ-কুয়ার মাসআলা
কুয়ােত েকান নাজাসাত পড়েল (যিদ ১০ ন ১০ হােতর কম হয়) তার পািন েবর কের িনেত হেব। আর তােত
িবদযমান পািন িনষাশনই তার জনয তাহারাত বেল গণয। এর দলীল হল সলেফ সােলহীেনর ইজমা। আর কুয়া
সংকান মাসআলার িভিত হেচ সলেফ সােলহীনেদর ফাতওয়া, িকয়াস নয়।

কূেপ উট বা বকরীর দ’একিট লািদ পড়েল পািন নষ হেব না। এ হকুম সূক িকয়ােসর িভিতেত। আর সাধারণ
িকয়ােসর চািহদা হল পািন নষ হেয় যাওয়া। েকননা, নাজাসাত পেড়েছ অল পািনেত।

সূক িকয়ােসর কারণ এই েয, েখালা মােঠর কুয়ার উপের বাধাদানকারী েকান িকছু থােক না, আর গবািদপশ তার
আেশপােশ মল তযাগ কের, ফেল বাতােস তা কুয়ায় েফেল। তাই পেয়াজেনর তাকীেদ অল পিরমাণ কমার েযাগয
বেল িবেবিচত। আর অিধক পিরমােণর েকেত পেয়াজেনর তাকীদ েনই।

22
ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মেত ‘দশরক’ যা অিধক মেন কের, তা-ই অিধক। এ মতই িনভররেযাগয। শূল ও
তাজা িবষা এবং েগাটা ও টুকরা িবষা আর উেটর লাদা ও েঘাড়ার বা গর েগাবেরর মােঝ েকান পাথরকয েনই।
েকননা, পেয়াজন সবগেলােতই বযাপ।

েদাহন পােত বকরী দ’এক েগাটা িবষা তযাগ করেল েস সমেকর ফকীহগণ বেলেছন, িবষা েফেল িদেয় দধ পান
করা যােব। েকননা, এখােন পেয়াজন রেয়েছ। কােরা কােরা মেত সাধারণ পােত অলও মা’ফেযাগয নয়। েকননা,
এেকেত পেয়াজন েনই। আর ইমাম আবূ হানীফা (র.) েথেক বিণরত আেছ েয, দ’এক েগাটা িবষার েকেত
এটাও কুয়ার অনুরপ।

যিদ কুয়ায় কবুতর বা চড়ুইর িবষা পেড় তাহেল পািন নষ হেব না।

ইমাম শািফঈ (র.) িভনমত েপাষণ কেরন। তার দলীল এই েয, (িবষা) পচা ও দূিষত পদােথর রপানিরত
হেয়েছ। সুতরাং তা মুরগীর িবষার অনুরপ।

আমােদর দলীল এই েয মসিজেদর পিবততা রকার িনেদরশ সমিলত আয়াত সেতও মসিজেদ কবুতেরর অবাধ
িবচরেণর অনুকূেল মুসলমানেদর সাধারণ ঐকমতয রেয়েছ। আর উহার রপানর দগরনযুক পচা পদােথরর িদেক নয়।
সুতরাং তা কােলা কাদা সদৃশ।

যিদ কূেপ বকরী েপশাব কের েদয় তাহেল ইমাম আবূ হানীফা ও ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত সবটুকু পািন
েফেল িদেত হেব। আর ইমাম মুহামদ (র.) বেলন, যতকণ তা পািনর উপর পভাব িবসার না কের এবং পািনর
পিবত করার গণ নষ না কের, ততকণ পািন েফলেত হেব না।

আেলাচয মতপাথরেকযর িভিত এই েয, হালাল পশর েপশাব ইমাম মুহামদ (র.) এর মেত পাক আর ইমাম আবূ
হানীফা ও ইমাম আবূ ইউসূেফর মেত নাপাক।

ইমাম মুহামদ (র.) এর দলীল এই েয, হালাল পশ ও হারাম পশর মােঝ েকান পাথরকয িনেদরশ না কের নবী
(সা.) বেলেছন- েতামরা েপশাব েথেক েবঁেচ থােকা। েকননা, কবেরর অিধকাংশ আযাব এ কারেণই হেয়
থােক।

তাছাড়া উক েপশাব পচন ও দগরেন পিরবিতরত হেয়েছ। সুতরাং এমন পশর েপশােবর মত গণয হেব, যার েগাশত
খাওয়া িনেষধ।

ইমাম মুহামদ (র.) বিণরত হাদীেছর বযাখযা এই েয, রাসূলুলাহ (সা.) ওয়াহীর মাধযেম (উেটর েপশােব) তােদর
েরাগ আেরাগয জানেত েপেরিছেলন।

তেব ইমাম আবূ হানীফা (র.)-এর মেত িচিকতসা িহসােবও তা পান করা হালাল নয়। েকননা তােত আেরাগয লাভ
িনিশত নয়। সুতরাং হারাম হওয়ার িবষয়িট উেপকা করা যােব না।

23
ইমাম আবূ ইউসূফ (র.)-এর মেত (উরায়না েগােতর) ঘটনার পিরেপিকেত িচিকতসার েকেত তা পান করা
হালাল।

ইমাম মুহামদ(র.) এর মেত উক েপশাব পাক হওয়ার কারেণ িচিকতসা িহসােব এবং সাধারণভােব তা পান করা
হালাল।

যিদ কুয়ায় ইঁদর, চড়ুই, েকােয়ল, েদােয়ল, িটকিটিক ইতযািদ মারা যায়, তাহেল বালিতর বড়ত ও েছাটত িহসােব
িবশ েথেক িতশ বালিত পযরন পািন তুেল েফলেত হেব।

অথরাত ইঁদর েবর কের েনয়ার পর। এর পমাণ হল, আনাূ স্্ (রা.) বিণরত হাদীেছ ইঁদর সমেকর িতিন
বেলেছন েয, তা কুয়ােত মারা েগেল এবং ততকণাূূ
্ ত া েবর কের িনেল কুয়া েথেক িবশ বালিত পিরমাণ পািন
তুেল েফলেত হেব।

চড়ুই ও অনুরপ জন েযেহতু ৈদিহক পিরমােণ ইঁদেরর সমান তাই এসেবর বযাপাের একই হকুম পেযাজয। িবশ
বালিত পিরমাণ পািন তুেল েফলা ওয়ািজব আর িতশ বালিত পিরমাণ মুসাহাব।

যিদ কবুতর িকংবা তার মত পাণী েযমন, মুরগী, িবড়াল ইতযািদ কুয়ায় পেড় মারা যায়, তাহেল চিলশ েথেক িবশ
বালিত পিরমাণ পািন তুেল েফলেত হেব।

গেন চিলশ েথেক পণচাশ এর কথা আেছ। আর তাই অিধক িনভররেযাগয। েকননা আবূ সাঈদ খুদরী (রা.) েথেক
বিণরত হাদীেছ িতিন মুরগী সমেকর বেলেছন, তা কুয়ায় পেড় মারা েগেল েসখান েথেক চিলশ বালিত পািন তুেল
েফলেত হেব। এ পিরমাণ হেলা ওয়ািজেবর িববরণ। আর পণচাশ হেলা মুসাহাব।

পেতযক কুয়ার েকেত েসই বালিতই িবেবচয হেব, যা তা েথেক পািন েতালার জনয বযবহত হয়। কােরা কােরা মেত
এমন আকােরর বালিত হেত হেব, যােত এক সা’আ পিরমাণ পািন ধের। আর যিদ বৃহত বালিত দারা একবার িবশ
বালিত পািন ধের, এমন পািন তুেল েফলা হয়; তাহেল মূল উেদশয হািসল হওয়ার কারেণ তা জাইয হেব।

যিদ তােত বকরী, মানুষ বা কুকরু পেড় মারা যায়, তাহেল তােত িবদযমান সবটুকু পািন তুেল েফলেত হেব। েকননা
ইবন ‘আবাস ও ইবন যুবায়র (রা.) যমযম কূেপ জৈনক িনেগার মৃতুযর কারেণ সবটুকু পািন তুেল ফাতওয়া
িদেয়িছেলন।

যিদ মৃত পাণী কুয়ার মেধয ফুেল পেচ গেল যায়, তাহেল পাণী বড় েহাক বা েছাট েহাক, কুয়ার সবটুকু পািন তুেল
েফলেত হেব।

েকননা পািনর সবরাংেশ মৃত েদেহর িনঃসৃত রস ছিড়েয় পেড়েছ।

কূপ যিদ এমন পসবণ পকৃিতর হয় েয, তার পািন তুেল েফলা অসমব হয়, তাহেল তােত িবদযমান পািনর
সমপিরমাণ তুেল েফলেত হেব।

24
এর পিরমাপ জানার উপায় এই েয, কূয়ার পািনর সমতল পিরমাণ অনুরপ একিট গতর েখাড়া হেব এবং পািন তুেল
তা পূণর হওয়া পযরন তােত েফলেত হেব। িকংবা তােত একিট বঁাশ নািমেয় পািনর উচতা পিরমাণ সােন তােত দাগ
কাটা হেব। তারপর ধরন, দশ বালিত তুেল আবার বাশ নািমেয় েদখা হেব, িক পিরমাণ হাস েপেলা। এরপর
পেতযক এই পিরমােণর জনয দশ বালিত কের পািন উেতালন করা হেব।

এ দ’িট উপায় আবূ ইউসূফ (র.) েথেক বিণরত। আর ইমাম মুহামদ (র.) েথেক বিণরত আেছ েয, দ’শ েখেক
িতনশ’ বালিত তুেল েফলেলই হেব। সমবতঃ িতিন িনজ শহেরর (বাগদােদ েদখা কুয়াগেলার) উপরই তার
িসদােনর িভিত কেরেছন। গেন এ ধরেনর েকেত আবু হানীফা (র.) েথেক বিণরত আেছ েয, পািন অনবরত
তুলেতই থাকেব, যতকণ না পািন তােদর পরািজত কের েফেল। তেব পরািজত করার িনিদরষ সীমা িতিন িনধরারণ
কেরনিন। (এ ধরেনর েকেত) এটাই তঁার অনুসৃত নীিত। কােরা কােরা মেত পািনর (গভীরতা) সমেকর অিভজ
দ’জন েলােকর মতামত গহণ করা হেব। এ মত িফকহী দৃিষভিঙর সােথ অিধক সামঞসযপূণর।

যিদ েলােকরা ইদর বা এ ধরেনর অনয েকান পাণী কুয়ােত েদখেত পায় এবং কখন পেড়েছ তা জানা না যায়, আর
তা ফুেল িগেয় না থােক আর যিদ তারা েস কুয়ার পািন দারা উযূ কের থােক, তাহেল একিদন এক রােতর সালাত
েদাহরােব আর ঐ কুয়ার পািন েলেগেছ এমন পিতিট িজিনস ধুেয় েফলেত হেব। আর যিদ ফুেল বা পেচ গেল িগেয়
থােক তাহেল িতন িদন িতন রােতর সালাত েদাহরােব। ইহা আবূ হানীফা (র.)-এর মত। ইমাম আবূ ইউসূফ ও
মুহামদ (র.) বেলন, পিতত হওয়ার সময় সমেকর িনিশত হওয়া ছাড়া তােদর িকছুই েদাহরান জররী নয়।
েকননা িনিশত অবসা সেনহ দারা দূরীভূত হয় না। এটা হল ঐ বযিকর অবসার মত েয তার কাপেড় নাজাসাত
েদখেত েপেলা, িকন কখন েলেগেছ তা েস জােন না।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর দলীল এই েয, এখােন মৃতুযর একিট পকাশয কারণ রেয়েছ। তা হল পািনেত পিতত
হওয়া। সুতরাং এর সােথ মৃতূযেক সমৃক করা হেব। তেব েযেহতু ফুেল উঠা সমেয়র দীঘরতার পমাণ, েসেহতু
সময় সীমা িতন িদন িনধরারণ করা হেব। আর ফুেল েফিট না যাওয়া েযেহতু সমেয়র ৈনকেটযর পমাণ; েসেহতু তার
সময়সীমা আমরা একিদন একরাত িনধরারণ কেরিছ। েকননা, এর নীেচ হেচ মূহতরসমূহ,যা িনধরারণ করা সমব
নয়। অবশয (কাপেড়) নাজাসাত (েলেগ থাকার) িবষয়িট সমেকর মুআলার বকবয হল, এর মেধযও মতেভদ
রেয়েছ। অথরাত পুরাতন লাগা নাজাসােতর জনয িতন িদেনর সময় সীমা িনধরারণ করা হেব। আর তাজা
নাজাসােতর েবলায় একিদন এক রােতর। আর যিদ মতেভদ না থাকার দাবী সীকার কেরও েনওয়া হয়, তা হেল
েযেহতু কাপড় তার দৃিষর সমুেখ থােক আর কুয়া থােক দৃিষর আড়ােল। সুতরাং দ’েটার মাসআলা আলাদা।

পিরেচদঃ উিচষ ইতযািদ


পেতযক পাণীর ঘাম তার উিচেষর সােথ িবেবচয। েকননা (লালা ও ঘাম) দ’েটারই জন তার েগাশত েথেক।
সুতরাং একিটেত অপরিটর িবধান পেযাজয।

25
মানুেষর উিচষ এবং েয পাণীর েগাশত খাওয়া যায়, তার উিচষ পাক। েকননা তার সােথ লালা িমিশত হেয়েছ।
আর তা সৃষ হেয়েছ পাক েগাশত েথেক। জুনুবী, ঋতুমতী এবং কািফরও এ হকুেমর অনভূরক।

কুকুেরর উিচষ নাপাক। েস েকান পােত মুখ িদেল তা ধুেত হেব। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন-কুকুেরর মুখ
েদওয়ার কারেণ পাত িতনবার ধুেত হেব।

কুকুেরর িজহা (সাধারণত) পািন সশর কের, পাত নয়। সুতরাং পাত যখন নাপাক হেয় যায়, তখন পািন নাপাক
হওয়াত অিনবাযর।

এ হাদীেছ নাপাক হওয়া এবং েধায়ার সংখযা পমািণত হয়। সুতরাং এ হাদীছ ইমাম শািফঈ (র.) এর সাতবার
েধায়ার শতর আেরােপর িবপেক দলীল।

তা ছাড়া, েয বসেত কুকুেরর েপশাব লােগ, তা িতনবার ধুইেল পাক হেয় যায়। কােজই েয বসেত তার উিচষ
লােগ-যা েপশােবর েচেয় সাধারণ, তা পাক হওয়া েতা আেরা সাভািবক। আর সাতবার েধায়া সমেকর বিণরত
িনেদরশ ইসলােমর পথম যুেগর অবসায় পেয়াজয।

শূকেরর উিচষ নাপাক। েকননা পূেবরই উেলখ করা হেয়েছ েয, শূকর সতাগতভােবই নাপাক।

িহংস পশর উিচষ নাপাক। শূকর ও কুকরু ছাড়া অনযানয িহংস পশর উিচষ সমেকর ইমাম শািফঈ (র.) এর
িবপরীত মত রেয়েছ।

আমােদর দলীল হল, েকননা িহংস পশর েগাশত নাপাক এবং তা েথেকই লালা সৃষ। আর লালার হকুম েগাশেতর
উপরই িনভররশীল।

িবড়ােলর উিচষ পাক িকন (তা বযবহার করা) মাকরহ।

ইমাম আবূ ইউসফ (র.) েথেক বিণরত েয, তা মাকরহও নয়। েকননা, নবী (সা.) িবড়ােলর জনয পাত কাত কের
ধরেতন। িবড়াল তা েথেক পািন পান করেতা, পের তা দারা িতিন উযূ করেতন। (দারা কুতনী)

ইমাম আবূ হানীফা ও মুহামদ (র.) এর দলীল হেলা, রাসুলুলাহ (সা.) বেলেছন- িবড়াল িহংস পাণী। এ
হাদীেছর উেদশয হেচ িবধান বণরনা করা। তেব নােকস হওয়ার হকুম রিহত করা হেয়েছ (গৃেহর অভযনের) সবরদা
ঘুরােফরার কারেণ। সুতরাং মাকরহ হওয়ার হকুম বাকী েথেক যায়। আর পাত কাত কের ধরার বণরনা হারাম
হওয়ার পূবরবতরী সমেয়র উপর ধতরবয।

উেলখয েয, কােরা মেত তার উিচষ মাকরহ হওয়ার কারণ, েগাশত নাপাক হওয়া। আর কােরা মেত নাজাসাত
পিরহার না করার কারেণ। আর েশেষাক মেত তানযীেহর এবং পথম মেত হারােমর কাছাকািছ হওয়ার ইিঙত
রেয়েছ।

িবড়াল যিদ ইদর েখেয় সােথ সােথ পািন পান কের, তাহেল পািন নাপাক হেয় যােব। তেব িকছু সময় িবলম করার
পর হেল নাপাক হেব না। েকননা েস লালা দারা মূখ পিরষার কের েফেল। এ বযিতকম শধু ইমাম আবূ হানীফা

26
ও ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর মতানুযায়ী। আর অিনবাযর পেয়াজনবশতঃ পাক হওয়ার জনয পািন ঢালার শতরিট
রিহত হেয় যােব।

েছেড় েদয়া মুরগীর উিচষ মাকরহ। েকননা ছাড়া মুরগী নাজাসাত ঘেট। তেব যিদ এমন ভােব বঁাধা থােক েয,
তার পােয়র নীচ পযরন তার চণচু েপৌেছ না, তাহেল নাজাসােতর সংসশর েথেক মুক থাকার কারেণ মাকরহ হেব
না।

িহংস পাখীর উিচষও তদপ নাপাক। েকননা এরা মরা খায়, সুতরাং ছাড়া মুরগীর মতই হেব।

ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) হেত বিণরত আেছ েয, িহংস পাখী যিদ আবদ থােক এবং মািলক জােন েয, পাখীর েঠােট
ময়লা েনই, তাহেল (নাজাসােতর) সংসশর েথেক সংরিকত থাকার কারেণ (তার উিচষ) মাকরহ হেব না।
মাশােয়খগণ এ মতই উতম বেল অিভমত বযক কেরেছন।

সাপ, ইদর ইতযািদ গৃেহ অবসানকারী পাণীর উিচষ মাকরহ।েকননা (এগেলার) েগাশত হারাম হওয়ার
অবশযমাবী চািহদা হল উিচষ নাপাক হওয়া। তেব সবরদা গৃেহ িবচরেণর কারেণ নাজাসােতর হকুম রিহত হেয় যায়
এবং মাকরহ হওয়ার হকুম অবিশষ থােক। আর িবচরেণর কারণিট িবড়ােলর বযাপাের (হাদীেছ) উেলখ করা
হেয়েছ।

গাধা ও খচেরর উিচষ সেনহযুক। কােরা মেত সেনহিট পিবততা সমেকর। েকননা উিচষ পািন পিবত হেল
অবশযই পিবতকারীও হেব, যতকণ না লালা পািনর েচেয় অিধক হয়।

অনয মেত সেনহিট পািনর পিবতকরণ গণ সমেকর। েকননা েস যিদ পািন পায়, তেব তার মাথা েধায়া তার জনয
ওয়ািজব নয়। তদপ তার দধ পাক। তার ঘাম নামােযর ৈবধতােক বাধাগস কের না, যিদও পিরমােণ তা েবশী
হয়। সুতরাং তার উিচষ অনুরপ হেব। এ মতই সবরািধক িবশদ। গাধার উিচষ পাক হওয়ার সমেকর ইমাম
মুহামেদর সষ মত বিণরত রেয়েছ। সেনেহর কারণ হেচ গাধার েগাশত হালাল বা হারাম হওয়া দলীলগেলা
পরসর িবেরাধী। িকংবা তার উিচষ পাক বা নাপাক হওয়া সমেকর সাহাবােয় িকরােমর মতেভদ রেয়েছ।

আবূ হানীফা (র.) েথেক বিণরত আেছ েয, িতিন হারাম ও নাপাক হওয়ােত অগািধকার িদেয় গাধার উিচষেক
নািজস বেলেছন। খচর েযেহতু গাধার পজননভূক, সুতরাং েসও গাধার পযরােয়র হেব। যিদ গাধা ও খচেরর
উিচষ পািন ছাড়া অনয পািন না পাওয়া যায়, তাহেল তা দারা উযূ করেব এবং তায়ামুম করেব। এবং েয েকানটা
আেগ করা জাইয।

ইমাম যুফার (র.) বেলন, উযূেক অগবতরী না করেল জাইয হেব না। েকননা তা এমন পািন (শরীআেতর হকুম
মেত) যার বযবহার করা ওয়ািজব। সুতরাং তা সাধারণ পািনর সদৃশ।

আমােদর দলীল এই েয, েযেহতু পিবতকারী হল দ’িটর েয েকান একিট, ফেল উভেয়র একত হওয়াই বাণচনীয়;
এর চািহদা কমিবনযাস নয়।

27
ইমাম আবূ ইউসূফ ও মুহামদ (র.) এর মেত েঘাড়ার উিচষ পাক। েকননা তার েগাশত হালাল। িবশদ বণরনায়
ইমাম আবূ হানীফার মতও অনুরপ। েকননা েগাশত মাকরহ হওয়ার কারণ হেলা তার মযরাদা পকাশ করা।

যিদ েখারমা িভজােনা পািন ছাড়া েকান পািন পাওয়া না যায়, তাহেল ইমাম আবূ হানীফা (র.) বেলেছন, তা দারা
উযূ করেব, তায়ামুম করেব না। েকননা িজন সমদােয়র সােথ সাকােতর রািত সমকরীয় হাদীছ রেয়েছ েয, নবী
(সা.) পািন না েপেয় েখারমা িভজােনা পািন দারা উযূ কেরেছন।

ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) বেলন, তায়ামুম করেব, তা িদেয় উযূ করেব না। আবূ হানীফা (র.) েথেকও অনুরপ
বণরনা রেয়েছ। ইমাম শািফঈ (র.) ও্ এমত েপাষণ
্ ্ েরন ; তায়ামুেমর আয়ােতর উপর আমেলর পিরেপিকেত।

েকননা আয়াত অিধক শিকশালী। অথবা হাদীছ আয়ােতর দারা রিহত। েকননা তায়ামুেমর আয়াত মাদানী আর
িজেনর রািতর ঘটনা হল মাকী।

ইমাম মুহামদ (র.) বেলন, উযূ ও তায়ামুম দ’েটাই করেব। েকননা হাদীেছর বণরনায় সিবেরািধতা রেয়েছ। আর
(ঘটনািটর) তািরখ (সিঠক) জানা নয়। সুতরাং সতকরতা অবলমেন উভয়িটর উপর আমল করা ওয়ািজব।

আমােদর পক েথেক জবাব এই েয, লায়লাতুল িজেনর ঘটনা একািধকবার ঘেটিছেলা। সুতরাং রিহত হওয়ার দাবী
সিঠক নয়। আর হাদীছিট মশহর পযরােয়র, যার উপর সাহাবােয় িকরাম আমল কেরেছন। এধরেনর মশহর হাদীছ
দারা িকতাবুলাহ (এর হকুেম) বাড়ােনা যায়।

আর তা দারা েগাসল করার বযাপাের েকউ েকউ বেলেছন, ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মেত তা জাইয আেছ,
উযূর উপর িকয়াস কের। আবার েকউ েকউ বেলেছন, েগাসল জাইয নয়। েকননা েগাসল উযূর েচেয় উপেরর
সেরর।

ঐ নাবীয সমেকর িবেরাধ রেয়েছ, যা িমষ হেয় িগেয়েছ। তেব এমন তরল েয, সাধারণ পািনর মত অংেগ পবািহত
হয়। আর যা গাঢ় হেয় েগেছ, তা হারাম হেব; তা দারা উযূ জাইয হেব না। আর যিদ আগেন জাল েদয়ার
কারেণ তােত পিরবতরন আেস, তাহেল িমষ থাকা পযরন অনুরপ মতেভদ রেয়েছ। আর যিদ গাঢ় হেয় যায় তাহেলও
আবূ হানীফা (র.) এর মেত তা দারা উযূ জাইয। েকননা, তঁার মেত তা পান করা হালাল। আর ইমাম
মুহামদ(র.) এর মেত তা পান করা হারাম িবধায় তা দারা উযূ করা যােব না।

‘নাবীযুতামর’ ছাড়া অনয সকল নাবীয দারা িকয়ােসর দাবীর পিরেপিকেত উযূ জাইয হেব না।

িদতীয় অনুেচদ
তায়ামুম
মুসািফর অবসায় িকংবা বাইের থাকা অবসায় েয বযিক পািন না পায় আর তার ও শহেরর মােঝ এক মাইল বা
তেতািধক দূরত হয়, তাহেল মািট দারা তায়ামুম করেব।
28
েকননা আলাহ তা’আলা ইরশাদ কেরেছনঃ আর যিদ েতামরা পািন নাূূ
্ ূূূ প া ও তাহেলপিবতমািটদারা
তায়ামুম করেব।

তাছাড়া রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন-মািট হেলা মুসলমােনর জনয পিবতকারী, যতকণ পািন না পাওয়া যায়, এমন
িক দশ বছরও যিদ হয়।

দূরেতর পিরমােণর েকেত ‘মাইল’ই হেলা গহণেযাগয। েকননা (এতটুকু দূরত েথেক) শহের পেবশ করেত তার
কষ হেব। আর পকৃতপেক পািনেতা অনুপিসত। দূরতই হেলা িবেবচয, নামায ফউত হওয়ার আশংকা িবেবচয
নয়। েকননা তিট এর পক েথেকই এেস থােক। যিদ পািন েপেয় যায় িকন েস অসুস থােক এবং আশংকা
করেছ েয, পািন বযবহার করেল অসুসতা েবেড় যােব, তেব তায়ামুম করেব।

ঐ আয়ােতর িভিতেত যা ইেতাপূেবর আমরা উেলখ কেরিছ। তাছাড়া অসুসতা বৃিদজিনত কিত পািনর মূলযবৃিদজিনত
কিতর েচেয় েবশী। অথচ এেত তায়ামুেমর অনুমিত রেয়েছ।

সুতরাং তােত অনুমিত হওয়া অিধক যুিকযুক।

আর েযাগ বৃিদর আশংকা নড়াচড়ার কারেণ েহাক িকংবা পািনর বযবহােরর কারেণ েহাক এেত েকান পাথরকয েনই।
ইমাম শািফঈ (র.) তায়ামুম জাইয হওয়া অংগহানী বা পাণহানীর আশংকার উপর িনভরর কেরেছন। িকন
আয়ােতর পকাশয অথর দারা তা অগাহয।

জুনুবী বযিক যিদ আশংকা কের েয, েস েগাসল করেল ঠানায় মারা যােব িকংবা অসুস হেয় পড়েব, তাহেল েস মািট
দারা তায়ামুম করেত পারেব।

এ হকুম ঐ অবসায় যখন েস শহেরর বাইের। এর কারণ (ইেতাপূেবর) আমরা বণরনা কেরিছ। আর যিদ শহেরই
থােক তাহেল আবূ হানীফ (র.) এর মেত একই হকুম। ইমাম আবূ ইউসূফ ও মুহামদ (র.) এর িভনমত
রেয়েছ। তারা বেলন, শহের এ ধরেনর অবসা সৃিষ হওয়া িবরল। সুতরাং তা িবেবচয নয়।

ইমাম সােহেবর যুিক এই েয, অকমতা বাসেব িবদযমান রেয়েছ। সুতরাং তা িবেবচনা করা জররী।

তায়ামুম হল (মািটেত) দ’বার উভয় হাত লাগান। একবােরর দারা মুখ মাসহ করেব এবং িদতীয় বােরর দারা
কনুই পযরন উভয় হাত মাসহ করেব। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- তায়ামুম হেলা (মািটেত) দবার হাত
লাগান, একবার হাত লাগান হেলা মুখমনেলর জনয। আেরক বার হাত লাগান হেলা উভয় হােতর জনয।

আর উভয় হাত এমন ভােব ঝাড়া িদেব, েযন মািট ঝের যায়। যােত তার আকৃিত িবকৃত না হেয় যায়।

যািহরী িরওযায়াত মেত মাসহ পূণরাঙ হওয়া জররী। েকননা তায়ামুম উযূর সলবতরী। এ জনযই ফকীহগণ
বেলেছন েয, আংগলগেলা েখলাল করেব এবং আংিট খুেল িনেব, যােত মাসহ পূণরাঙ হয়।

29
তায়ামুেমর েকেত হাদাছ ও জানাবাত দ’েটাই সমান। তদপ হায়য ও িনফােছর তায়ামুম। েকননা বিণরত আেছ
েয, এক সমদায় রাসূলুলাহ (সা.) এর িখদমেত এেস আরয করেলা, আমরা মরভূিমেত বাস কির, ফেল এক
দ’মাস আমরা পািন পাই না। অথচ আমােদর েতামরা েতামােদর মািটর সাহাযয িনেব (অথরাত তায়ামুম করেব)।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) ও মুহামদ (র.) এর মেত মৃিতকা জাতীয় েয েকান বস দারা তায়ামুম জাইয। েযমন-
মািট, বালু, পাথর, সুরিক চুনা, সাধারণ চুনা, সুরমা, ও হিরতাল। ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) বেলন, মািট ও বালু
ছাড়া অনয িকছু দারা তায়ামুম জাইয হেব না।

ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, উতপাদনকারী মািট ছাড়া অনয িকছু দারা তায়ামুম জাইয হেব না। আবূ ইউসূফ
েথেকও এরপ বণরনা রেয়েছ। েকননা আলাহ তা’আলা বেলেছন- েতামরা পিবত (অথরাত উতপাদনকারী) মািট দারা
তায়ামুম করেব। অথরাত উতপাদনকারী মািট দারা এ কথা ইবন ‘আবাস (রা.) বেলেছন।

তেব ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) আমােদর বিণরত পূেবরািলিখত হাদীেছর কারেণ মািটর সােথ বালু বিধরত কেরেছন।
ইমাম আবূ হানীফা ও ইমাম মুহামদ (র.) এর দলীল এই েয, ভূ-পৃেষর নাম, (শেবর অথর উচু) ভূ-পৃেষর
উচুেতর কারেণই তার এ নামকরণ করা হেয়েছ। আর শবিট ‘পিবত’ অথরও বহন কের। সুতরাং েস অেথরই তােক
পেয়াগ করা হেব। েকননা, তাহারােতর েকেত এ অথরই অিধক উপেযাগী। অথবা ইজমার দারা এ অথর গৃহীত।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মেত মৃিতকার উপর ধূলা থাকা শতর নয়। েকননা, আমােদর উেলিখত আয়াতিট
িনঃশতর।

তদপ ইমাম আবূ হানীফা ও মুহামদ (র.) এর মেত মািট বযবহাের সকম হওয়া সেতও ধুলা দারা তায়ামুম
জাইয। েকননা তা িমিহ মািট।

তায়ামুেম িনয়যত ফরয।

ইমাম যুফার (র.)বেলন, ফরয নয়। েকননা, তায়ামুম উযূর সলবতরী। সুতরাং গেণর িদক েথেক তার িবপরীত
হেত পাের না।

আমােদর দলীল এই েয, (আিভধািনক ভােব) তায়ামুম শব দারা ইচা বুঝায়। সুতরাং ইচা (িনয়যত) করা ছাড়া
তা সিঠক হেব না।

িকংবা মািটেক িবেশষ অবসায় পিবতকারী সাবযস করা হেয়েছ। আর পূেবর উেলখ করা হেয়েছ েয, পািন
সকীয়ভােবই পিবতকারী। তেব যিদ তাহারােতর িকংবা সালােতর ৈবধ হওয়ার িনয়যত কের তাহেল তা যেথষ।
হাদােছর বা জানাবােতর তায়ামুেমর (আলাদা) িনয়যত করা শতর নয়। এিটই িবশদ মাযহাব।

েকান খৃষান (িবধমরী) যিদ ইসলােমর গহেণর িনয়যেত তায়ামুম কের, তারপর ইসলাম গহণ কের তাহেল আবূ
হানীফা ও মুহামদ (র.) এর মেত েস তায়ামুকারী গণয হেব না। আর আবূ ইউসূফ (র.) বেলন, েস তায়ামুকারী
গণয হেব। েকননা েস একিট উিদষ ইবাদেতর িনয়যত কেরেছ। পকানের মসিজেদ পেবেশর এবং কুরআন শরীফ
সশর করার জনয তায়ামুম করার িবষয়িট এর িবপরীত। েকননা এটা উিদষ ইবাদত নয়।

30
ইমাম আবূ হানীফা ও ইমাম মুহামদ (র.) এর দলীল এই েয, তাহারাত ছাড়া িবশদ হয় না এমন উিদষ
ইবাদেতর িনয়যত করার অবসা ছাড়া অনয েকান েকেত মািটেক পিবতকারী সাবযস করা হয়িন। আর ইসলাম হেলা
এমন উিদষ ইবাদত যা তাহারাত ছাড়া িবশদ হয়।িতলাওয়ােতর িসজদার িবষয়িট এর িবপরীত। েকননা তা এমন
উিদষ ইবাদত, যা তাহারাত ছাড়া িবশদ হয় না।

আর যিদ েস ইসলাম গহেণর িনয়যত না কেরই উযূ কের তারপর ইসলাম গহণ কের, তাহেল েস উযূকারী গণয
হেব। িনয়যত শতর হওয়ার িভিতেত ইমাম শািফঈ (র.) িভনমত েপাষণ কেরন। েকান মুসলমান যিদ তায়ামুম
কের তারপর আলাহ না করন মুরতাদ হেয় যায় তার পর পুনঃইসলাম গহণ কের, তাহেল তার পূবর তায়ামুম অকুণন
থাকেব।

ইমাম যুফার (র.) বেলন, তার তায়ামুম বািতল হেয় যােব। েকননা কুফর তায়ামুেমর িবপরীতধমরী। সুতরাং এেত
পথম অবসা ও েশষ অবসা উভয়ই সমান হেব। েযমন িববােহর েকেত হারাম হওয়ার বযাপার।

আমােদর দলীল এই েয, (তায়ামুম েতা আর স-সতায় িবদযমান থােক না যােক কুফর এেস দূর কের িদেব, বরং)
তায়ামুেমর পর বযিকর মােঝ পিবত হওয়ার গণই িবদযমান থােক।সুতরাং তার উপর কুফর আেরািপত হেল তা
পিবততার িবপরীতধমরী নয়। েযমন, উযূর উপর যিদ কুফর আেরািপত হয়।

উেলখয েয, কািফেরর িনয়যত গহণেযাগয না হওয়ার কারেণ পাথিমক অবসায় তার তায়ামুম দরস হয় না।

উযূ ভংগকারী সকল িবষয় তায়ামুমও ভংগ কের। েকননা, তায়ামুম উযূর সলবতরী। সুতরাং তা উযূর হকুম গহণ
করেব।

আর পািনর েদখা পাওয়াও তায়ামুম ভংগ কের; যিদ পািন বযবহার করেত সকম হয়। েকননা পািন পাওয়া দারা
বযবহার সকমতাই হেচ উেদশয। েয পাপযেক মািটর পিবতীকরেণর সীমা িনধরারণ করা হেয়েছ।

িহংস পাণী, শত বা িপপাসার আশংকায় শংিকত বযিক কাযরতঃ অকম। আর আবু হানীফা (র.) এর মেত ঘুমন
বযিক বসত সকম। তার মেত তায়ামুমকারী বযিক ঘুমন অবসায় পািনর িনকট িদেয় অিতকম করেল তার তায়ামুম
বািতল হেয় যােব। (পািন েদখেত পাওয়া) অথর হেলা ঐ পিরমাণ (পািন) যা উযূর জনয যেথষ হয়। েকননা পথম
অবসায়ই এর েচেয় কম পিরমাণ ধতরবয নয়। সুতরাং েশষ অবসায়ও তা ধতরবয হেব না।

পিবত মািট ছাড়া তায়ামুম করেব না। েকননা আয়ােতর শব দারা পিবত বুঝােনা হেয়েছ। তা ছাড়া মািট হেলা
পিবতীকরেণর উপাদান। সুতরাং পািনর মেতা তার পিবত হওয়া জররী।

পািন েয পােচ না, অথচ পাওয়ার আশা করেছ, তার জনয আেখির ওয়াকত পযরন সালাত িবলিমত করা
মুসতাহাব। তারপর পািন েপেয় েগেল উযূ করেব; অনযথায় তায়ামুম কের সালাত আদায় কের িনেব।

যােত দ’িট পিবততার পূণরতমিট দারা সালাত সমাদন হয়। সুতরাং িবষয়িট জামাআত পাওয়ার আশায় অেপকমান
বযিকর মেতা হেলা।

31
র বণরনা মেত ইমাম আবূ হানীফা ও আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত িবলম করা ওয়ািজব।
মূল ছয় গেনর বিহভূত
েকননা পবল ধারণা বাসবতুলয।

যােহরর িরওয়ায়ােতর দলীল এই েয, অপারগতা পকৃতই বতরমান। সুতরাং অনুরপ িনশয়তা ছাড়া অপারগতার
িবধান রিহত হেব না।

তায়ামুমকারী তার তায়ামুম দারা যত ইচা ফরয, নফল সালাত আদায় করেত পারেব।

ইমাম শািফঈ (র.) এর মেত পিতিট ফরয সালােতর জনয আলাদা করেত হেব। েকননা, তা জররী অবসার
তাহারাত।

আমােদর দলীল এই েয, পািনর অনুপিসিতেত মািট পিবতকারী। সুতরাং যতকণ তার শতর িবদযমান থাকেব,
ততকণ তা কাযরকর থাকেব।

শহর এলাকায় যিদ জানাযা উপিসত হয় এবং (জানাযার) ওয়ালী েস ছাড়া অনয েকউ হয়, আর উযূ করেত েগেল
জানাযা ফউত হেয় যাওয়ার আশংকা হয়, তাহেল সুস বযিক তায়ামুম করেত পারেব। েকননা জানাযার কাযা
েনই। সুতরাং অকমতা সাবযস হয়।

অনুরপ ভােব েয বযিক ঈেদর জামা’আেত হািযর হল এবং উযূ করেত েগেল ঈেদর সালাত ফউত হেয় যাওয়ার
আশংকা কের, তেব তায়ামুম করেত পাের। েকননা ঈেদর জামা’আত েদাহরােনা হয় না।

ইমাম কুদরূ ী (র.) এর বকবয আর ওয়ালী েস ছাড়া অনয েকউ কথািটর উেদশয হল, ওয়ালীর জনয তায়ামুম করা
জাইয নয়। এিট ইমাম আবূ হানীফা (র.) েথেক ইমাম হাসান ইবন িযয়ােদর বণরনা। এবং এটাই শদ। েকননা,
ওয়ালীর অিধকার আেছ সালাত েদাহরেনার। সুতরাং তার পেক ফউত পেযাজয নয়।

ইমাম িকংবা মুকতাদী যিদ ঈেদর সালােতর (মেধয) হাদাছগস হয়। তাহেল ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মেত েস
তায়ামুম করেব এবং িবনা করেব। ইমাম আবূ ইউসূফ ও মুহামদ (র.) বেলন, েস তায়ামুম করেত পারেব না।
েকননা বযিক ইমােমর ফােরগ হওয়ার পর অবিশষ সালাত আদায় করেত পাের। সুতরাং তার ফউত হওয়ার
আশংকা েনই।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মেত আশংকা িবদযমান আেছ। েকননা েসিদন হেলা িভেড়র িদন। ফেল এমন
েকান পিরিসিত উদূত হেত পাের, যা তার সালাত ফািসদ করার কারণ হেয় দাড়ােব।

এ মত পাথরকয ঐ েকেত , যখন উযূ দারা সালাত শর কের থােক। আর তায়ামুম দারা শর কের থাকেল সকেলর
মেতই তায়ামুম ‘িবনা’ করেব। েকননা যিদ আমরা তার উপর উযূ ওয়ািজব কির, তাহেল সালােতর মেধয েস পািন
েপেয় েগেছ বেল গণয হেব। এমতাবসায় েতা সালাত ফািসদ হেয় যােব।

জুমআ
ু র সালােতর বযাপাের যিদ আশংকা কের েয, উযূ করেল তা ফউত হেয় যােব, তাহেলও তায়ামুম করেব না।
বরং (উযূ করার পর) যিদ জুমুআর সালাত পায় তাহেল জুমুআ আদায় করেব। অনযথায় চার রাকাআত যুহর

32
আদায় করেব। েকননা তা সলবতরী েরেখ ফউত হয়। আর তা হল যুহেরর সালাত। আর ঈেদর সালাত এর
িবপরীত।

তদপ যিদ উযূ করার বযাপাের সালােতর সময় ফউত হওয়ার আশংকা কের তাহেল তায়ামুম করেত পারেব না;
বরং উযূ করেব এবং েয সালাত ফউত হেয়েছ তা কাযা করেব। েকননা এ সালাত সলবতরী েরেখ ফউত হেচ।
আর তা হেলা কাযা।

মুসািফর যিদ তার বাহেন রিকত পািনর কথা ভুেল যায় এবং তায়ামুম কের সালাত আদায় কের েনয়। এর পের
পািনর কথা সরণ হয়, তাহেল ইমাম আবূ হানীফা ও মুহামদ (র.) এর মেত উক সালাত েদাহরােব না। আর
আবূ ইউসূফ (র.) বেলন, উক সালাত েদাহরােব।

এ মত-পাথরকয হেলা ঐ অবসায়, যখন পািন েস িনেজ িকংবা তার িনেদরেশ অনয েকউ েরেখ থােক। ওয়াকেতর
িভতের এবং ওয়াকেতর পের সরণ হওয়ার একই হকুম।

ইমাম আবূ ইউসূেফর দলীল এই েয, েস পািনপাপ বযিক। সুতরাং েস হেলা ঐ বযিকর মত, েয তার বাহেন রাখা
কাপেড়র কথা ভুেল যায়। তাছাড়া মুসািফেরর বাহেন সাধারণতঃ পািনর মওজুদ রাখা হয়; সুতরাং পািনর েখঁাজ
করা ফরয।

ইমাম আবূ হানীফা ও মুহামদ (র.) এর দলীল এই েয, জানা না থাকেল সকমতা পেয়াজন হয় না। আর পািনর
পািপর দারা এটাই উেদশয। আর বাহেন (সাধারণত) খাওয়ার পািন রাখা হয়, বযবহােরর জনয নয়।

আর বেসর মাসআলািটরও অনুরপ মতপাথরকয রেয়েছ। আর যিদ এ মাসআলায় ঐকমতযও থােক, তাহেল উভয়
মাসআলার মেধয পাথরকয রেয়েছ। সতেরর ফরয ফউত হেচ সলবতরীহীন ভােব। আর পািন দারা তাহারাত এর
িবষয়িট ফউত হেচ একিট সলবতরী েরেখ, আর তা হেলা তায়ামুম।

তায়ামুমকারীর অনের যিদ পবল ধারণা হয় েয, কােছই পািন আেছ, তেব তার জনয পািনর েখঁাজ েনওয়া জররী
নয়। েকননা িবশাল পানের পািন না থাকারই সমাবনা েবশী। আর পািনর অিসেতর েকান পমাণ িবদযমান েনই।
সুতরাং েস বযিক পািনপাপ নয়।

আর যিদ তার পবল ধারণা হয় েয, েসখােন পািন আেছ, তাহেল েখঁাজ না িনেয় তায়ামুম করা তার জনয জাইয
হেব না। েকননা (পবল ধারণা-জিনত) পমােণর েপিকেত েস পািনপাপ বল সাবযস হেব। তেব পািনর
অনুসনােনর বযাপার এক তীেরর দূরত পযরন (েকউ েকউ বেলন, অথরাত িতনশ গজ) েখাজ করেব। এক মাইল
দূরত পযরন েযেত হেব না, যােত েস তার কােফলা েথেক িবিচন হেয় না পেড়।

যিদ তার সফর সংগীর কােছ পািন থােক, তাহেল তায়ামুেমর আেগ তার কােছ পািন চাইেব। েকননা, সাধারণত
পািন িদেত অসমিত থােক না। যিদ েস তােক পািন না েদয় তাহেল অপারগতা সাবযস হওয়ার েপিকেত তায়ামুম
কের িনেব।

33
যিদ চাওয়ার আেগই তায়ামুম কের েনয়, তাহেল ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মেত তায়ামুম তার জনয যেথষ
হেব। েকননা অেনযর মািলকানা েথেক চাওয়া জররী নয়।

ইমাম আবূ ইউসূফ ও মুহামদ (র.) বেলন, তায়ামুম তার জনয যেথষ হেব না। েকননা পািন সাধারণতঃ এমিনই
েদওয়া হেয় থােক।

যিদ নযাযয মূলয ছাড়া িদেত অসীকার কের আর তার কােছ পািনর মূলয েথেক থােক তাহেল তার জনয তায়ামুম
যেথষ হেব না। সকমতা সাবযস হওয়ার কারেণ। তেব অসাভািবক উচ মূলয বহন করা তার জনয জররী নয়।
েকননা কিতগসতা হকুম রিহতকারী। আলাহই অিধক জােনন।

তৃতীয় অনুেচদ
েমাজার উপর মাসহ
েমাজার উপর মাসহ করার ৈবধতা ‘সুনাহ’ দারা পমািণত। এ সংকান হাদীছসমূহ পিসদ। এমন িক বলা হয় েয,
েয বযিক মাসহ এর ৈবধতা িবশাস করেব না েস িবদআতপনী। তেব েয বযিক মাসহ এর ৈবধতা িবশাস করার পর
আযীমত-এর উপর আমেলর উেদশয মাসহ তরক কের, েস সাওয়ােবর অিধকারী হেব।

উযূ ওয়ািজবকারী েয েকান হাদােছর জনয েমাজার উপর মাসহ করা জাইয। যিদ পূণরাঙ তাহারােতর অবসায় তা
পিরধান কের থােক এবং পরবতরীেত হাদাছগস হেয থােক।

ইমাম কুদরূ ী (র.) েমাজার উপর মাসহেক উযূ ওয়ািজবকারী হাদােছর সােথ িবিশষ কেরেছন, েকননা জানাবােতর
েকেত মাসহ ৈবধ নয়, যা যথাসােন ইনশালাহ বণরনা করেবা।

েসই সােথ (মাসহেক িতিন) পরবতরী হাদাছ এর সােথ (িবিশষ কেরেছন)। েকননা, শরীআেতর দৃিষেত েমাজা
হাদাছ েবাধকারী। এখন যিদ আমরা পূববর তী হাদাছ বলায় মাসহ জাইয বিল, েযমন মুসাহাযা নারী েমাজা পরেলা
তারপর সালােতর সময় অিতকান হেয় েগেলা। তদপ তায়ামুমকারী বযিক েমাজা পরেলা, তারপর েদখেত েপেলা
তাহেল েতা মাসহ (িবদযমান হাদাছ) দূরকারী হেব।

যখন পূণরাংগ তাহারাত অবসায় েমাজা পরেব। ইমাম কুদরূ ীর এ বকবয পিরধােনর সময় (তাহারােতর) পূণরাংগতার
শতর উেদশয নয়, বরং (পরবতরী) হাদােছর সমেয়র জনয।

এটা হেলা আমােদর মাযহাব। সুতরাং েকউ যিদ আেগ দ’পা ধুেয় েমাজা পের েনয় তারপর তাহারাত পূণর কের
তারপর হাদাছগস হয় তাহেল েস মাসহ করেত পাের। এ হকুেমর কারণ এই েয, েমাজা পােয়র িভতের হাদােছর
অনুপেবশ েরাধ কের। সুতরাং েরাধ করার সময় তাহারােতর পূণরাংগতা লকণীয় হেব। েকননা, েস সময় যিদ
তাহারাত অসমূণর থােক, তেব েমাজা হাদাছ েরাধকারীর পিরবেতর দূরকারী হেব।

34
মুকীেমর জনয একিদন একরাত এবং মুসািফেরর জনয িতন িদন িতনরাত মাসহ করা জাইয। েকননা রাসূলুলাহ
(সা.) ইরশাদ বেলেছন- মুকীম একিদন একরাত এবং মুসািফর িতনিদন িতনরাত মাসহ করেব।

ইমাম কুদরূ ী (র.) বেলন- সময়সীমার শর হেব হাদাছ এর পর েথেক। েকননা, েমাজা হাদােছর অনুপেবশ
েরাধকারী, সুতরাং েরাধ করার সময় েথেক সময় ধতরবয হেব।

মাসহ করা হেব উভয় েমাজার উপরাংেশ আংগল দারা েরখা টানা রেপ (পােয়র) আংগেলর িদক েথেক শর কের
পােয়র ‘সাক’ (টখনু েথেক হাটু) এর িদেক িনেব। েকননা মুগীরাহ (রা.) বিণরত হাদীেছ রেয়েছ েয, নবী (সা.)
তঁার উভয় েমাজার উপর িনেজর দইহাত েরেখ পােয়র আংগল েথেক উপেরর িদেক একবার মাসহ করেলন । আিম
এখেনা েযন রাসূলুলাহ (সা.) এর েমাজার উপর আংগল েরেখ মাসহ এর িচহ েদখেত পািচ।

উপরাংেশ মাসহ করা ওয়ািজব। সুতরাং েমাজার তলায়, েগাড়ালীেত বা েগাড়ায় মাসহ করা জাইয হেব না।
েকননা মাসহ (এর মাসআলা) িকয়াস বিহভূরত। সুতরাং শরীআত িনেদরিশত যাবতীয় িবষেয়র অনুসরণ করেত
হেব।

আঙুল েথেক মাসহ শর করা মুসাহাব আসল হকুম েধৌত করেণর অনুসরেণ (েকেত)।

মাসহর ফরয হল হােতর আংগেলর িতন আংগল পিরমাণ। ইমাম কারখী (র.) বেলন, পােয়র আংগেলর
পিরমাণ। পথম মতিট অিধক িবশদ েযেহতু মাসহর উপকরণ িবেবচনা বাণচনীয়।

ঐ েমাজার মাসহ করা জাইয হেব না, যােত পচুর েছড়া আেছ এবং তা িদেয় পােয়র িতন আংগল পিরমাণ জায়গা
েদখা যায়। যিদ তার েচেয় কম হয় তাহেল জাইয হেব।

ইমাম যুফার ও ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, সামানয েছড়া হেলও মাসহ জাইয হেব না। েকননা পকািশত অংশিট
েধায়া যখন ওয়ািজব হেয় েগেলা তখন অবিশষ অংশও েধায়া ওয়ািজব হেব।

আমােদর দলীল এই েয, েমাজা সাধারণতঃ সামানয েছঁড়া েথেক মুক থােক না। সুতরাং খুলেত েগেল
পিরধানকািরগণ কেষর সমুখীন হয়। েবশী েছঁড়া েথেক সাধারণত মুক থােক, সুতরাং এর কারেণ কষ হেব না।

আর ‘অিধক’ এর পিরমাণ হেলা পােয়র কিনষ আংগলগেলার িতন আংগল পিরমাণ। এিটই িবশদ মত। েকননা,
পােয়র পাতার মেধয আংগলই হেলা আসল। আর িতন হেলা অিধকাংশ। তাই িতনেক সমেগর সলবতরী গণয করা
হেব। আর সতকরতা অবলমেন অগভাগ ঢুেক যাওয়াটা ধতরবয নয়। পিতিট েমাজায় আলাদাভােব এই পিরমাণ
িহসাব করা হেব। অথরাত একিট েমাজার সবকিট ফুেটা একেত (িহসাব) করা হেব। িকন উভয় েমাজার
ফুেটাগেলা একত করা হেব না। েকননা, এক েমাজার ফুেটা অনয েমাজার দারা সফর করেত বাধা সৃিষ কের না।
িকন িবিকপভােব েলেগ থাকা নাজাসাত এর িবষয়িট এর িবপরীত। েকননা, েস েতা সমগ নাজাসাত-ই
বহনকারী। ছতর খুেল যাওয়ার িবষয়িট (িবিকপভােব েলেগ থাকা) নাজাসােতর নজীর িহসােব গণয।

35
যার উপর েগাসল ওয়ািজব হেয়েছ, তার জনয মাসহ করা জাইয নয়। েকননা, সাফওয়ান ইবন আসসাল (র.)
বিণরত হাদীেছ িতিন বেলেছন, রাসূলুলাহ (সা.) সফেরর সময় আমােদরেক িনেদরশ িদেতন, যােত আমরা জানাবাত
ছাড়া েপশাব, পায়খানা ও ঘুম ইতযািদ হাদােছর েকেত িতনিদন িতনরাত আমােদর েমাজা না খুিল।

তাছাড়া জানাবাত সাধারণত বারংবার ঘেট না। সুতরাং েমাজা েখালায় েতমন েকান অসুিবধা েনই। পকানের
হাদােছর িবষয়িট এর িবপরীত। েকননা তা বারংবার ঘেট।

উযূ ভংগ কের এমন পিতিট িবষয় মাসহ ভংগ কের। েকননা মাসহ েতা উযূরই অংশ িবেশষ।

েমাজা খুেল েফলাও মাসহেক ভংগ কের। েকননা েরাধকারী না থাকার কারেণ পােয়র পাতায় হাদাছ অনুপেবশ
করেব। তদপ একিট েমাজা খুলেলও (হাদাছ ভংগ হেব)। েকননা একই িনেদরশনায় মাসহ ও েধায়ার হকুম
একত করা অসমব। তদপ সময় উতীণর হওয়া (মাসহ ভংেগর কারণ)। (এ হকুম ) পূবর বিণরত হাদীছ
অনুযায়ী।

সময়সীমা যখন পূণর হেব তখন উভয় েমাজা খুেল েফলেব এবং উভয় পা ধুেয় সালাত আদায় করেত পারেব । উযূর
অবিশষ কাযর েদাহরােনা জররী নয়। সমেয়র আেগ খুেল েফলারও একই হকুম। েকননা, েখালার সময় পূববর তরী
হাদাছ পােয়র পাতায় অনুপেবশ কের, েযন েস তা েধায়াইিন। েমাজা খুেল যাওয়ার হকুম সাবযস হেব পােয়র পাতা
েমাজার সাক পযরন (খাড়া অংেশ) এেস েগেল। েকননা মাসেহর েকেত এ অংশটা ধতরবয নয়। পােয়র পাতার
অিধকাংশ েবর হেয় েগেলও একই হকুম। এটাই িবশদ মত।

মুকীম অবসায় েয বযিক মাসহ শর কেরেছ, অতঃপর একিদন একরাত পূণর হওয়ার আেগই সফের েবর হেয় যায়,
েস িতনিদন িতন রাত মাসহ করেব।

এ হকুম হাদীেছর শতরহীন থাকার কারেণ এটাই কাযরকর। তাছাড়া মাসহর হকুম হল সমেয়র সেঙ সংিশষ।
সুতরাং তার েকেত েশষ সময় িবেবচয হেব। মুকীম অবসার সময়সীমা পূণর করার পের সফর করার িবষয় এর
িবপরীত। েকননা, (সময় সীমা পার হওয়া মাত) হাদাছ পােয়র পাতায় অনুপেবশ কের যায়। আর েমাজা হাদাছ
দূরকারী নয়।

মুকীেমর মুদত (এক িদন এক রাত) পূণর করার পর যিদ েকান মুসািফর মুকীম হয় তাহেল েমাজা খুেল েফলেব।
েকননা, সফর েশষ হওয়ার পর সফেরর সুিবধামূলক হকুম অবযাহত থাকেব না।

আর যিদ মুকীেমর মুদত পূণর না কের থােক তাহেল তা পূণর করেব। েকননা, এ হল মুকীম অবসার মুদত। আর
বতরমােন েস মুকীম। েমাজার উপর েয বযিক ‘জারমুক’ (আবরণী েমাজা) পের েস তার উপরই মাসহ করেত
পারেব।

ইমাম শািফঈ (র.) িভনমত েপাষণ কেরন। িতিন বেলন, িবকেলর আেরক িবকল হেত পাের না।

আমােদর দলীল এই েয, নবী (সা.) আবরণী েমাজা দ’িটর উপর মাসহ কেরেছন। তাছাড়া বযবহাের ও উেদেশয
এ হল েমাজারই আনুসািঙক বস। সুতরাং এটা দ’পরত েমাজার মেতাই গণয।

36
আর মূলতঃ ‘জারমুক’ পােয়র িবকল, েমাজার নয়। অবশয হাদাছগস হওয়ার পর জারমুক পরার হকুমিট এর
িবপরীত। েকননা, হাদাছ েমাজায় েপৌেছ েগেছ। সুতরাং অনয িকছুর িদেক তা সানানিরত হেব না।

আর যিদ জারমুক েমাটা কাপেড়র হয়, তাহেল তার উপর মাসহ জাইয হেব না। েকননা তা পােয়র সলবতরী
হওয়ার উপযুক নয়। তেব আদরতা েমাজা পযরন েপৌছেল জাইয হেব।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মেত ‘জওরব’ (চামড়া ছাড়া অনয িকছুর ৈতরী েমাজা) এর উপর মাসহ করা জাইয
নয়, তেব যিদ উপের-নীেচ বা শধু নীেচ চামড়া যুক হয়, তেব জাইয হেব। ইমাম আবূ ইউসূফ ও মুহামদ (র.)
বেলন, যিদ ‘জওরব’ এমন পুেরা হয় েয, অপর িদেক পকাশ না পায়, তাহেল এেত মাসহ জাইয হেব। েকননা
বিণরত আেছ েয, নবী (সা.) তঁার ‘জওরেবর’ উপর মাসহ কেরেছন।

তাছাড়া এটা যখন েমাটা হয় তখন তা পের হঁাটা যায়। পুেরা হওয়ার পিরমাণ এই েয, িকছু দারা না বঁাধা সেতও
তা পােয়র েগাছার সােথ আটেক থােক। এমতাবসায় তা েমাজার সদৃশ।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর দলীল এই েয, এিট েমাজার সম-মােনর নয়। েকননা তা পের অবযাহতভােব চলা
সমব নয়, যিদ না তা চামড়াযুক হয়। অনুরপ ‘জওরব’ই হেলা হাদীেছর পেয়াগ েকত। তঁার িনকট েথেক আর
এক বণরনায় রেয়েছ েয, িতিন ইমাম আবূ ইউসূফ ও মুহামদ (র.) এর মেতর িদেক পতযাবতরন কেরেছন। আর
এর উপরই ফাতওয়া েদয়া হয়।

পাগড়ী, টুিপ, েবারকা ও হাত েমাজার উপর মাসহ জাইয নয়। েকননা এগেলা খুেল িনেত েতমন েকান অসুিবধা
হয় না। আর অসুিবধা দূর করার উেদেশযই অবকাশ েদওয়া হেয়েছ।

জখেমর পিটর উপর মাসহ করা জাইয। যিদও তা উযূ ছাড়া অবসায় বাধা হেয় থােক। েকননা রাসূলুলাহ (সা.)
এরপ কেরেছন এবং আলী (রা.) েকও তা করার িনেদরশ িদেয়েছন।

তাছাড়া এ েকেত অসুিবধা েমাজা েখালার অসুিবধার েচেয় েবশী। সুতরাং এ েকেত মাসহ এর ৈবধতা অিধক
যুিকযুক।

আর পিটর অিধকাংশ সান মাসহ করাই যেথষ। ইমাম হাসান (ইবন িযয়াদ) তা উেলখ কেরেছন। এটা সমেয়র
সােথ সমৃক নয়। েকননা এর িনিদরষ সময় শরীআেতর মাধযেম অবিহত করা হয়িন। যিদ জখেমর পিট িনরাময়
ছাড়াই খুেল পেড় যায়, তাহেল মাসহ বািতল হেব না। েকননা, ওযর অবযাহত আেছ, আর যতকণ ওযর অবযাহত
আেছ, ততকণ তার উপর মাসহ করা তার নীেচর অংশ েধায়ারই সমতুলয।

আর যিদ িনরাময় হওয়ার পর পিট পেড় যায়, তাহেল মাসহ বািতল হেয় যােব।েকননা ওযর দূর হেয় েগেছ।
যিদও তখন েস সালাত েথেক থােক, তাহেল েস সালাত নতুনভােব আদায় করেব। েকননা িবকল দারা অজরেনর
পূেবরই েস আসল কেমরর কমতা লাভ কেরেছ।

37
চতুথর অনুেচদ
হায়য ও ইসিতহাযা
হায়েযর সবরিনম মুদত হেলা িতনিদন িতনরাত। এর েচেয় কম হেল েসটা হেব ইসিতহাযা। েকননা
রাসূলুলাহ(সা.) বেলেছন-

কুমারী ও িববািহতা নারীর হােয়েযর সবরিনম মুদত হেলা িতনিদন ও িতনরাত এবং তার সেবরাচ েময়াদ দশিদন।

এ হাদীছ একিদন একরাত েময়াদ িনধরারেণর বযাপাের ইমাম শািফঈ (র.) এর িবপেক দলীল।

ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) েথেক বিণরত আেছ েয, তার েময়াদ দইিদন এবং তৃতীয় িদেনর অিধকাংশ। এ হল
অিধকাংশেক সমেগর সলবতরী করার িভিত অনুযায়ী।

আমােদর দলীল এই েয এটা শরীআত িনধরািরত সময়সীমা হাস করার শািমল। তার সেবরাচ েময়াদ হেলা দশিদন।
এর অিতিরক হেব ইসিতহাযা।

এর দলীল হল আমােদর পূবর বিণরত হাদীছ। আর এ হাদীছ পেনর িদন েময়াদ িনধরারেণর েকেত ইমাম শািফঈ(র.)
এর িবপেক পমাণ। পূববর তরী েময়ােদর অিতিরক বা এর কম রক সাব হেচ ইসিতহাযা। েকননা শরীআেতর
িনধরািরত েময়াদ অনয িকছুেক তার সােথ যুক করেত বাধা েদয়।

সচ-শভতা েদখার পূবর পযরন ৠতুগস নারী লাল বা হলেদ বা েঘালা রংেয়র েয েকান সাব েদখেত পােব, তা
হায়য।

ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) বেলন, েঘালা বেণরর সাব হায়য বেল গণয হেব না রক পবােহর না হেল। েকননা, উক
রক জরায়ু েথেক িনগরত হেল অবশযই েঘালা সাব সচ রক পবােহর েবর হেতা। ইমাম আবূ ইউসূফ ও মুহামদ
(র.) এর দলীল হেলা ‘আইশা (রা.) সমেকর এই বণরনা েয, িতিন সচ-শভতা বযতীত সব িকছুেক হায়য বেল
গণয কেরেছন। আর এ ধরেণর িবষয় রাসূলুলাহ (সা.) েথেক শবণ ছাড়া অবগত হওয়া সমব নয়। আর (আবূ
ইউসূফ (রা.) এর দলীেলর জবাব এই েয) জরায়ুর মুখ েযেহতু িনমগামী, েসেহতু েখালা রকটাই আেগ েবর হয়,
কলেসর নীচ িদক িদেয় ফুেটা করেল েযমন(নীেচর গাদ আেগ েবর হয়)।

সবুজ রংেয়র সাব সমেকর িবশদ মত এই েয, সী েলাকিট ৠতুমতী হেল তা হায়য বেল গণয হেব আর রেঙর
পিরবতরন খােদযর েদােষর কারেণ হেয়েছ বেল ধরা হেব। আর যিদ অিধক বয়সা হয় েয, সবুজ রং ছাড়া িকছু
েদেখ না, তাহেল তা উতসর েদাষ বেল ধরা হেব। সুতরাং তা হায়য বেল গণয হেব না।

হায়য হায়যগসর িযমা েথেক সালাত রিহত কের েদয় এবং িসয়াম পালন তার উপর হারাম কের েদয়। ফেল
সাওেমর কাযা করেব এবং সালােতর কাযা করেব না। েকননা, ‘আইশা (রা.) বেলেছন, রাসূলুলাহ (সা.) এর
যামানায় আমােদর েকউ যখন হায়য েথেক পিবত হেতা তখন েস সাওেমর কাযা করেতা িকন সালােতর কাযা করত
না।
38
আর এ কারেণ েয, িদগণ হওয়ার কারেণ সালােতর কাযা করা কষসাধয হেয় পেড়। পকানের িসয়ােমর কাযা করা
েতমন কষসাধয নয়।

আর ৠতুমতী মসিজেদ পেবশ করেব না। জুনুবী বযিকরও একই হকুম। েকননা, রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন-
হায়যগস ও জুনুবী এর জনয মসিজেদ পেবশ আিম হালাল রািখ না।

শধু পার হওয়া ও অিতকম করার জনয পেবেশর ৈবধতা দােনর বযাপাের এ হাদীেছর বযাপক ভাষয ইমাম শািফঈ
(রা.) এর িবপেক দলীল। আর েস বায়তুলাহর তাওয়াফ করেব না। েকননা তাওয়াফ মসিজেদর অভযনের হেয়
থােক।

আর তার সামী তার সােথ সহবাস করেত পারেব। েকননা আলাহ তা’আলা বেলেছন- আর তারা পিরষার পিরচন
না হওয়া পযরন েতামরা সী সঙম করেব না।

হায়য, জানাবাত ও িনফাসগসেদর জনয কুরআন পাঠ করা ৈবধ নয়। েকননা, নবী (সা.) বেলেছন- হায়যগস ও
জুনুবী কুরআেনর েকান অংশ পাঠ করেব না। হায়যগসেক অনুমিত দােনর বযাপাের এ হাদীছ ইমাম মািলক (র.)
এর িবপেক দলীল।

আর এ হাদীেছর বযাপক ভাষয এক আয়ােতর কম পিরমাণেকও শািমল কের। সুতরাং উক পিরমাণ ৈবধ হওয়ার
বযাপাের এ হাদীছ তাহাবীর িবপেক দলীল।

এেদর জনয িগলাফ ছাড়া কুরআন সশর করার অনুমিত েনই। আর েয মুদায় কুরআেনর েকান সূরা িলিখত
রেয়েছ, খুিত ছাড়া তা সশর করা ৈবধ নয়। েতমিন যার উযূ েনই, তার জনয িগলাফ ছাড়া কুরআন শরীফ সশর
করা ৈবধ নয়। েকননা, রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন, পিবত বযিক ছাড়া েকউ কুরআন সশর করেব না। েযেহতু
হাদাছ ও জানাবাত দ’েটাই হােত অনুপেবশ কের থােক, তাই সেশরর িবধােনর বযাপাের দ’েটাই সমান। আর
জানাবাত মুেখ পেবশ কের, িকন হাদাছ পেবশ কের না। তাই পােঠর িবধােন দ’েটার মেধয পাথরকয রেয়েছ।

আর এ েকেত িগলাফ তা-ই, যা কুরআন েথেক আলাদা থােক। তা নয়, কুরআেনর সােথ জিড়ত থােক। েযমন,
বঁাধাই কৃত চামড়া। এ-ই িবশদ মত।

আিসন দারা কুরআন শরীফ সশর করা মাকরহ। এ-ই সহীহ। েকননা, আিসন েতা বযিকর সােথ সমৃক।
শরীআত সমিকরত (হাদীছ ও িফকাহ) গনািদর িবধান এর িবপরীত। তা সংিশষ বযিকেদর জনয আিসন দারা
সশর করার অনুমিত রেয়েছ। এর কারণ, এেত পেয়াজন রেয়েছ। আর (উযূ না থাকা সেতও নাবালেকর) হােত
কুরআন তুেল েদওয়ায় েকান েদাষ েনই। েকননা, তােদর েবলায় িনেষধাজা আেরাপ করেল িহফেয কুরআন আর
পিবততার িনেদরশ তােদর জনয কষকর। এটাই সহীহ মত।

হায়েযর রকসাব যিদ দশ িদেনর কম সমেয় বন হেয় যায়, তাহেল েগাসল করা পযরন তার সােথ সহবাস করা
জাইয নয়। েকননা, রক কখেনা নােম কখেনা থােম, সুতরাং থামার িদকিটর অগািধকােরর জনয েগাসল করা
জররী।

39
আর যিদ েস েগাসল না কের আর তার উপর সালােতর সবরিনম সময় অিতবািহত হয়, এ পিরমাণ েয, েস েগাসল
কের তাহরীমা বাধেতঁ সকম হেতা, তাহেল তার সােথ সহবাস করা ৈবধ। েকননা, উক সালােতর ৠণ তার িযমায়
আেরািপত হেয় েগেছ। িবধান অনুযায়ী েস পিবত বেল সাবযস।

যিদ িতন িদেনর উপের িকন পূবর অভযােসর কম সমেয় রকসাব বন হয়, তাহেল অভযস সময় উতীণর হওয়ার পূবর
পযরন সামী তার সােথ সঙম করেব না, যিদও েস েগাসল কের থােক। েকননা, অভযস সমেয়র িভতের পুনঃ সাব
হওয়ার সমাবনা অিধক। সুতরাং পিরহার করার মেধযই সতকরতা।

আর যিদ দশিদন পূণর হেয় রক বন হয়, তাহেল েগাসেলর পূেবরই তার সােথ সহবাস জাইয। েকননা, হায়য
দশিদেনর অিতিরক হেত পাের না। তেব েগাসেলর পূেবর সহবাস পসননীয় নয়। েকননা তাশদীদযুক িকরােতর
েপিকেত এ অবসাও িনেষেধর আওতাভূক হায়েযর েময়ােদর মধযবতরী সমেয় দই রকসােবর মােঝ যিদ পিবততা
েদখা েদয় তাহেল তা অবযাহত রকসাব বেল গণয।

িহদায়া গনকার বেলন, ইমাম আবূ হানীফা (র.) েথেক বিণরত িরওয়ায়াতসমূেহর মেধয এিট অনযতম।

এর কারণ এই েয, সবরসমত মত অনুযায়ী হায়েযর পূণর েময়াদবযাপী রকসাব অবযাহত থাকা শতর নয়। সুতরাং
েময়ােদর শর ও েশষটাই িবেবচয; েযমন, যাকােতর মাসআলায় িনসােবর হকুম।

ইমাম আবূ ইউসূফ সূেত ইমাম আবূ হানীফা (র.) হেত বিণরত অনয এক িরওয়ায়াত মেত যিদ পেনর িদেনর কম
হয়, তাহেল তা (উভয় সাবেক) িবিচনকারী হেব না। বরং পূণর েময়াদ অবযাহত সাব বেল গণয হেব। েকননা,
এটা তুহের ফািসদ। সুতরাং তা সােবর সলবতরী হেব। এ মতামত গহণ আমেলর জনয অিধকতর সহজ। েকউ
েকউ বেলেছন েয, এিট আবূ হানীফা (র.) এর সবরেশষ মত। এ মাসআলার পূণর িববরণ হায়য অধযােয় জানা
যােব।

তুহর এর সবর িনম েময়াদ পেনর িদন।

ইবরাহীম নাখঈ েথেক এরপই বিণরত। আর এ িবষেয় শাের (আ.) এর িনকট েথেক অবিহত করণ বযতীত জানা
সমব নয়।

আর তার সেবরাচ মুদেতর সীমা েনই। েকননা, তা এক বছর দ’বছর পযরন দীঘর হেত পাের। সুতরাং তা েকান
েময়ােদর দারা িনণরয় করা যােব না। তেব েয মিহলার সাব অবযাহত ভােব পবািহত হেত থােক তার জনয েময়াদ
ধাযর করা হয়। এ সমিকরত িবিধ-িবধান। িকতাবুল হায়েয জানা যােব।

ইসিতহাযার রক সােব হকুম নাক েথেক রককরেণর অনুরপ। যা িসয়াম, সালাত ও সহবাস েকানিটেকই বাধা
েদয় না। েকননা, রাসূলুলাহ (সা.) (ইসিতহাযাগসেক) বেলেছন-চাটাইেয় রেকর েফঁাটা পড়েত থাকেলও তুিম উযূ
করেব ও সালাত আদায় করেব।

সালােতর হকুম যখন জানা েগল, তখন ইজমাই ফয়সালার ফলশিতেত িসয়াম ও সহবােসর হকুমও সাবযস হেয়
যায়।

40
রকসাব যিদ দশিদেনর েবশী হয়, আর যিদ তার দশিদেনর কম পচিলত অভযাস জানা েথেক থােক তাহেল তার
হায়যেক অভযস িদনগেলােতই সীিমত রাখা হেব। আর অভযােসর অিতিরক যা তা ইসিতহাযা হেব। েকননা
রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন-

মুসতাহায নারী তার হায়েযের িনিদরষ িদিনগেলােত সালাত বজরন করেব। তা ছাড়া অভযােসর অিতিরক িদনগেলা
দেশর অিতিরক িদনগেলার সােথ সামঞসযপূণর। সুতরাং তার সােথই তা যুক হেব।

আর যিদ বােলগ হওয়ার িনদশরন সরপ েকান েমেয়র রক সাব আরম হওয়ার পর েস মুসতাহাযা হেয় যায় (অথরাত
দশিদন েথেক েবশী সাব েদখা যায়) তেব পিত মােসর দশিদন তার হায়য গণয হেব, অবিশষ িদনগেলা হেব
ইিতহাযা। েকননা, তার পারেমর রকসাবেক আমরা হায়য িহসােব েজেনিছ, সুতরাং সেনেহর কারেণ (পরবতরী
িদনগেলা) হায়য েথেক বিহভূরত হেব না। আলাহই উতম জােনন।

পিরেচদঃ মুসতাহাযা
মুসতাহাযা নারী, অবযাহত মূতকরণ নাক েথেক রককরেণর েরাগী এবং এমন কতগস বযিক, যার কতসান েথেক
িনঃসরণ থােম না। এরা সকেল পেতযক সালােতর ওয়ােকর জনয আলাদা উযূ করেব। তারপর েস ওয়ােকর
িভতের ঐ উযূ দারা যত ইচা ফরয ও নফল পড়েব।

ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, মুসতাহাযা নারী পেতযক ফরয সালােতর জনয উযূ করেব। েকননা, রাসূলুলাহ (সা.)
বেলেছন, মুসতাহাযা পেতযক সালােতর জনয উযূ করেব।

তাছাড়া তার তাহারােতর গহণ েযাগযতা হেচ ফরয আদােয়র পেয়াজেন। সুতরাং ফরয েথেক ফািরগ হওয়ার পর
তা বহাল থাকেব না।

আমােদর দলীল এই েয, নবী (সা.) বেলেছনঃ

মুসতাহাযা নারী পেতযক সালােতর ওয়ােকর জনয উযূ করেব।

শািফঈ (র.) কতৃরক বিণরত পথম হাদীেছর উেদশযও এটাই। েকননা, অবযয়েক ওয়ােকর অেথরও বযবহার করা
হয়। বলা হয় অথরাত আিম েতামােদর কােছ আসেবা যুহেরর সালােতর সময়। তাছাড়া সহজসাধয করার লেকয
ূূ
ওয়াকেক আাদায়
এ র সলবতরী করা হেয়েছ। সুতরাং তার উপরই িবধান আবিতরত হেব।

যখন ওয়াক েশষ হেব, তখন তােদর উযূ বািতল হেয় যােব। এবং অনয সালােতর জনয নতুন উযূ করেব। এ
হেলা িতন ইমােমর মাযহাব। আর ইমাম যুফার (র.) বেলন, সময় পেবশ করার পর নতুন উযূ করেব।

সুতরাং সূেযরাদেয়র সময় যিদ তারা উযূ কের তাহেল যুহেরর সময় েশষ হওয়া পযরন এ উযূ তােদর জনয যেথষ
হেব। এ ইমাম আবূ হানীফা ও মুহামদ (রা.) বেলন, সময় পেবশ করার পর নতুন উযূ করেব।

41
সুতরাং সূেযরাদেয়র সময় যিদ তারা উযূ কের তাহেল যুহেরর সময় েশয় হওয়া পযরন এ উযূ তােদর জনয যেথষ
হেব। এ ইমাম আবূ হানীফা ও মুহামদ (রা.) এর মত। আর ইমাম আবূ ইউসূফ ও যুফার (র.) বেলন, যুহেরর
সময় পেবশ করা পযরন তােদর জনয উযূ কাযরকর হেব।

আেলাচয মাসআলার েখালাসা এই েয, ইমাম আবূ হানীফা ও মুহামদ (র.) এর মেত পূববর তরী হাদাছ দারা মা’যূেরর
তাহারাত েভংেগ যায় ওয়াক েশষ হওয়ার কারেণ। আর ইমাম যুফার (র.) এর মেত ওয়াক শর হওয়ার
কারেণ। আর ইমাম আবূ ইউসূেফর মেত দ’েটার েয েকান একিটর কারেণ।

এ মতপাথরেকযর ফলাফল ঐ বযিকর েকেতই শধু পকাশ পােব, েয মধযেহর পূেবর উযূ কেরেছ, েযমন আমারা আেগ
উেলখ কেরিছ, িকংবা সূেযরাদেয়র পূেবর উযূ কেরেছ।

ইমাম যুফার (র.) এর দলীল এই েয, িবপরীত অবসা সেতও তাহারােতর গহণেযাগযতা হেচ সালাত আদােয়র
পেয়াজেন, আর ওয়ােকর আেগ েস পেয়াজন েনই। সুতরাং ওয়াকেতর আেগর তাহারাত গহণেযাগয হেব না।

ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর দলীল এই েয, পেয়াজন ওয়াকেতর সােথ সীিমত। সুতরাং ওয়াকেতর পূেবর ও পের
তা গহণেযাগয হেব না।

আবূ হানীফা ও মুহামদ (রা.) এর দলীল হেলা; ওয়াকেতর আেগ তাহারাত অজরন করা জররী, যােত সময় হওয়া
মাত সালাত আদায় করেত সকম হয়। আর ওয়াকত েশষ হেয় যাওয়া পেয়াজন েশষ হওয়ার পমাণ। সুতরাং
ওয়াকত েশষ হওূূ ্ রয়ার
প ূবরবতরী হাদােছর িকয়া পকাশ পােব।

এখােন ওয়াক দারা ফরয সালাত ওয়াক উেদশয। সুতরাং মা’যূর বযিক যিদ ঈেদর সালােতর জনয উযূ কের থােক
তাহেল ইমাম আবূ হানীফা ও ইমাম মুহামদ (র.) এর মেত উক উযূ দারা েস যুহেরর সালাত আদায় করেত
পারেব। এিটই িবশদ মত। েকননা, ঈেদর সালাত চাশেতর সালােতর নযায়।

আর েকউ যিদ একবার যুহেরর ওয়াকেত যুহেরর সালােতর জনয উযূ কর আর যুহেরর সময় থাকেত আেরকবার
আসেরর সালােতর জনয উযূ কের, তাহেল ইমামদেয়র মেত েস উযূ দারা েস আসেরর সালাত আদায় করেত পারেব
না। েকননা, ফরয সালােতর ওয়াক েশষ হওয়ার কারেণ তার উযূ েভংেগ িগেয়েছ।

মুসতাহাযা হেচ ঐ সীেলাক যার উপর িদেয় সালােতর পূণর ওয়াক হাদাছ আকান অবসা ছাড়া অিতকান হয় না।
মুসতাহাযার সমেগাতীয় অনযানয মা’যূরেদরও একই হকুম অথরাত যােদর আেলাচনা পূেবর আমরা কেরিছ। আর
িবরামহীন দাস ও বাতকেমরর েরাগীরও ঐ হকুম । েকননা, এ সকল ওযর দারা পেয়াজন সাবযস হয় আর
পেয়াজনই সকল েকেত পিরবযাপ।

পিরেচদঃ িনফাস সমেন

42
িনফাস হেচ পসব পরবতরী সমেয় িনগরত রকসাব। েকননা, শবিট হয় জরায়ু রক তযাগ কেরেছ িকংবা সনান েবর
হওয়া েথেক িনষন হেয়েছ; অথবা এর অথর রক।

গভরবতী পসব পূবর সমেয় িকংবা পসবকােল সনান ভূিমষ হওয়ার পূেবর েয রক েদখেত পায়, তা ইসিতহাযা, যিদও
তা দীঘর সময় পবািহত হয়।

ইমাম শািফঈ (র.) িনফােসর উপর িকয়ােসর কের এটােক হায়য বেলন। েকননা-উভয় রকই জরায়ু েথেক িনগরত
হয়।

আর আমােদর দলীল হল, পাকৃিতক িনয়েম গভরসণচার দারা জরায়ুর মুখ বন হেয় যায়।আর িনফাস হেয় থােক
সনান িনগরমেনর মাধযেম জরায়ু-মুখ উনুক হওয়ার পের। এজনযই ইমাম আবূ হানীফা ও মুহামদ (র.) এর বণরনা
মেত সনান আংিশক েবর হেয় আসার পর িনগরত রক িনফাস রেপ গণয। েকননা জরায়ু-মুখ উনুক হওয়ার ফেল
তা রক তযাগ কের। গভরপািতত িপণ যা আংিশক আকৃিত সষ হেয়েছ, তা সনান রেপ গণয। সুতরাং এর
মাধযেম সী েলাকিট িনফাসগস গণয হেব এবং উমু ওয়ালদ (মিনব সনােনর মাতা) সাবযস হেব। তদপ এ ভূিমষ
হওয়া দারা সমািপ হেব।

িনফােসর সবরিনম সমেয়র েকান সীমা েনই। েকননা, ভূিমষ সনােনর অগবিতরতা সাব জরায়ু েথেক িনগরত হওয়ার
পমাণ। সুতরাং সমেয়র দীঘরতােক পমাণ িহসােব িনধরারণ করার েকান পেয়াজন েনই। হায়েযর িবষয় এর
বযিতকম।

িনফােসর সেবরাচ মুদত হেলা চিলশ িদন এবং এর অিতিরক হেল ইসিতহাযা। েকননা, উমু সালামা (রা.) বিণরত
হাদীেছ রেয়েছ নবী করীম (সা.) িনফাসগস নারীেদর জনয চিলশ িদন সময়সীমা িনধরারণ কের িদেয়িছেলন।
ষাটিদন ধাযর করার বযাপাের এ হাদীছ ইমাম শািফঈ (র.) এর িবপেক দলীল।

রকসাব যিদ চিলশ িদন ছািড়েয় যায় আর সী েলাকিট ইেতাপূেবর সনান পসব কের থােক এবং িনফােসর বযাপাের
তার িনধরািরত অভযাস েথেক থােক, তাহেল িনফাসেক তার অভযস সংখযক িদনগেলােত পতযাবৃত করা হেব। এর
কারণ আমরা হায়য পসংেগ বণরনা কেরিছ।

আর যিদ তার পূবর অভযাস না েথেক খােক তাহেল তার এই পথম িনফাসেক ধরা হেব চিলশ িদন । েকননা, উক
সময়েক িনফাস সাবযস করা সমব।

আর যিদ একই গেভর দই সনান পসব কের তাহেল ইমাম আবূ হানীফা (র.) ও ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর
মেত তার িনফাস গণয হেব পথম সনান ভূিমষ হওয়ার পর েথেক। এমন িক দই সনােনর মােঝ চিলশ িদেনর
বযবধান থাকেলও। ইমাম মুহামদ(র.) বেলন, েশষ সনানিটর পর েথেক।

এিট ইমাম যুফার (র.) এরও মত। েকননা পথম পসেবর পর েতা েস গভরবতী রেয় েগেছ। সুতরাং েস
িনফাসগস বেল গণয হেব না। েযমন গভরবতী হায়যগস হয় না। এ জনযই ইজমায়ী মেত েশষ পসব দারাই তার
ইদত েশষ হেব।

43
বড় ইমামদেয়র দলীল হল, আমরা উেলখ কের এেসিছ েয, গভরবতী ৠতুগস হয় না জরায়ুর মূখ বন থাকার
কারেণ। আর েসটা েতা পথম সনান ভূিমষ হওয়ার সােথ সােথই উনুক হেয় েগেছ এবং রককরণ শর কেরেছ,
সুতরাং তা িনফাস রেপই গণয হেব। পকানের ইদেতর সমকর হেলা তার সােথ সমিকরত গেভরর সােথ। সুতরাং
গভর শবিট সমগেকই অনভূরক করেব।

পঞম অনুেচদ
িবিভন নাজাসাত ও তা েথেক পিবততা অজরন
মুসলীর শরীর, তার কাপড় এবং সালাত আদােয়র সান নাজাসাত েথেক পিবত করা ওয়ািজব। েকননা, আলাহ
তা’আলা ইরশাদ কেরেছন- েতামার বসািদ পিবত কেরা।

এবং রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন-

পথেম তা েচেছ নাও। তারপর রগিড়েয় নাও, তারপর পািন দারা তা ধুেয় নাও। তার দাগ েথেক েতামার কিত
হেব না।

কাপেড়র েকেত যখন পিবততা অজরন করা ওয়ািজব, তখন শরীর ও সােনর েকেতও তা ওয়ািজব হেব। েকননা
সালােতর অবসায় সবগেলা বযবহাের আসেছ।

নাজাসাত েথেক পিবততা অজরন জাইয হেব পািন দারা, এমন সকল তরল পদাথর দারা, যার মধয নাজাসাত দূর
করা সমব। েযমন িসরকা েগালাব জল ইতযািদ, যা িনংড়ােল িনংেড় পেড়।

এিট ইমাম আবূ হানীফা ও ইমাম আবূ ইউসূেফর মত। আর ইমাম মুহামদ, যুফার ও শািফঈ (র.) বেলন, পািন
ছাড়া জাইয হেব না। েকননা পথম সেশরই তা নাপাক হেয় যায়। আর নাপাক িজিনেস পিবততা অজরন হয় না;
তেব পািনর েকেত পেয়াজনবশতঃ এই িকয়াস পিরহার করা হেয়েছ।

বড় ইমামদেয়র দলীল এই েয, তরল পদাথর িবদূরণকারী। আর িবদূরণ ও পিরষরেণর কারেণই তাহারাত অিজরত
হয়। আর িমিশত হওয়ার কারেণ নাপাকীর হকুম আেস। সুতরাং হানীফা (র.) এর মত এবং ইমাম আবূ ইউসূফ
(র.) েথেক বিণরত দ’িট িরওয়ায়ােতর একিট। আর ইমাম আবূ ইউসূেফর িরওয়ায়াত মেত উভেয়র মােঝ িতিন
পাখরকয কেরেছন। অথরাত শরীেরর েকেত পািন ছাড়া জাইয বেলনিন।

েমাজােত যিদ সূলশরীর িবিশষ েকান নাজাসাত লােগ, েযমন েগাবর, পায়খানা, রক ও বীযর আর তা শিকেয় যায়
এরপর তা মািট দারা ঘেষ েনয়। তাহেল জাইয হেব। এটা সূক িকয়াস। ইমাম মুহামদ (র.) বেলন, জাইয হেব
না। এ-ই হেলা সাধারণ িকয়ােসর চািহদা। তেব িবেশষভােব শক েকেত বযিতকম। েকননা েমাজােত যা পেবশ
কের, তােক েতা শষতা ও ঘসা দারা দূর করেত পাের না। শক এর বযিতকম। এ সমেকর আমরা পের
আেলাচনা করেবা।

বড় ইমামদয় দলীল হেলা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন-


44
যিদ েমাজাদেয় েকান নাপািক থােক তা হেল উভয় িদেক মািট দারা মুেছ েফলেব । েকননা মািট েমাজাদেয়র জনয
পিবতকারী।

তাছাড়া চামড়া শক হওয়ার দরন তােত নাজাসােতর খুব সামানয অংশই ঢুকেত পাের। পের সূল নাজাসাত দূর
হেব। তখন তার সােথ যুক েস আদরতাও দূর হেয় যােব।

িভজা নাজাসােতর েকেত েধায়া ছাড়া জাইয হেব না। েকননা মািট িদেয় নাজাসাত পসািরত করেব, তা পাক
করেব না।

আর ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) েথেক বিণরত আেছ েয, যিদ তা মািট িদেয় এমনভােব মুেছ েয, নাজাসােতর িচহই
অবিশষ না থােক, তাহেল তা পাক হেয় যােব। কারণ, এ ধরেনর ঘটনা বযাপকভােব ঘেট থােক আর তা উিলিখত
হাদীেছ শতর আেরাপ করা হয়িন। আর এ মেতর উপর আমােদর ফকীহগেণর ফতওয়া রেয়েছ।

আর যিদ েমাজায় েপশাব লােগ এবং শিকেয় যায় তাহেল তা েধায়া ছাড়া জাইয হেব না। তদপ ঐ সমস
নাজাসাত, যার সূলতা েনই-েযমন, মদ। েকননা, নাজাসােতর অংশ েমাজােত েশািষত হেয় যায়। আর তা চুেষ
তুেল আনার মত েকান েচাষণকারী েনই। কােরা কােরা মেত তার সােথ েলেগ থাকা ধূলঅ তার সূলতা িহেসেব
গণয। কাপড় শিকেয় েগেলও েধায়া ছাড়া যেথষ হেব না। েকননা, কাপড় ফাক ফাক হওয়ার কারেণ তােত
নাজাসােতর অংশ অিধক পিরমােণ পেবশ কের। সুতরাং েধায়া ছাড়া তা েবর হেব না।

শক নাপাক; আদর অবসায় তা েধায়া ওয়ািজব। যিদ কাপেড় শিকেয় যায় তাহেল রগিড়েয় েফলেলও যেথষ হেব।
েকননা, রাসূলুলাহ (সা.) ‘আইশা (রা.) েক বেলেছন- আদর হেল তা ধুেয় েফেলা আর শষ হেল তা রগিড়েয়
েফেলা।

ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, শক পাক; আমােদর বিণরত হাদীছ তঁার িবপেক দলীল।

তাছাড়া রাসূলুলাহ (সা.) ইরশাদ কেরেছন, পাচিট িজিনস েথেক কাপড় ধুইেয় িনেত হয়। তার মেধয িতিন শক
ও উেলখ কেরেছ।।

শক যিদ শরীের লােগ তাহেল আমােদর মাশােয়খগণ বেলেছন, রগড়ােল তা পাক হেয় যােব। েকননা এ ধরেনর
ঘটনা আেরা অিধক নাপাক।

আর ইমাম আবূ হানীফা (র.) েথেক বিণরত আেছ েয, েধায়া ছাড়া তা পাক হেব না। েকননা, শরীেরর তা তা
েশাষণ কের েনয়। সুতরাং েশািষত অংশ শষ সেল িফের আসেব না। আর শরীরেক েতা রগড়ােনা সমব নয়।

আয়না, তেলায়ার ইতযািদেত যিদ নাজাসাত েলেগ থােক, তাহেল তা মুেছ েফলাই যেথষ। েকননা নাজাসাত তােত
পিবষ হয় না। আর তার উপরাংেশ যা আেছ, তা েমাছার মাধযেমই িবদূিরত হেয় যায়।

মািটেত নাজাসাত লাগাবার পর যিদ েস মািট েরােদর তােপ শিকেয় যায় এবং তার িচহ চেল যায় তাহেল উক সােন
সালাত আদায় করা জাইয হেব।

45
ইমাম যুফার ও শািফঈ (র.) বেলন, জাইয হেব না। েকননা, নাজাসাত দূরকারী িকছু পাওয়া যায়িন। এ জনযই
েতা ঐ মািট দারা তায়ামুম জাইয নয়।

আমােদর দলীল এই েয, রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন-শষতাই হেলা ভূিমর পিবততা।

তেব তায়ামুম জাইয না হওয়ার কারণ এই েয, িকতাবুলাহর বাণী দারা মািটর পিবততার শতর সাবযস হেয়েছ।
সুতরাং হাদীছ দারা েয মািটর পিবততা পমািণত হেয়েছ, তা দারা পিবততা অিজরত হেব না।

রক, েপশাব, মদ, মুরগীর পায়খানা, গাধার েপশাব ইতযািদ গলীয নাজাসাত পিরমােণ এক িদরহাম বা তার কম
হেল তা সহ সালাত জাইয হেব। িকন এর েবশী হেল জাইয হেব না।

ইমাম যুফার ও শািফঈ (র.) বেলন, অল নাজাসাত ও অিধক নাজাসাত সমান। েকননা পিবততা ওয়ািজবকারী
শরীআেতর বাণী েকান পাথরকয কেরিন।

আমােদর দলীল এই েয, অল পিরমাণ েথেক েবঁেচ থাকা সমব নয়। সুতরাং তা কমাই। আর মল িনগরমন সেলর
উপর িভিত কের িদরহােমর পিরমাণ দারা আমরা সলতার পিরমাণ িনধরারণ কেরিছ।

িবশদ মেত িদরহােমর িহসাব করা হেয়েছ আয়তেনর িদক েথেক। অথরাত হােতর তালুর মধযভাগ পিরমাণ। তেব
ওযেনর িদক েথেক িবেবচনা করার কথাও বিণরত আেছ। অথরাত বড় িদরহাম, যার ওজন এক িমছকাল (পায়
পঁিচশ গাম)। উভয় বণরনার মেধয সামঞসয িবধান পসংেগ বলা হেয়েছ েয, পথমিট হেলা তরল নাজাসােতর েকেত
আর িদতীয়িট হেলা গাঢ় নাজাসােতর েকেত। এ িজিনসগেলার গিলজ নাজাসাত হওয়ার কারণ এই েয, তা
অকাটয দলীল দারা পমািণত হেয়েছ। আর নাজাসাত যিদ লঘু হয়, েযমন হালাল পশর েপশাব, তাহেল কাপেড়র
এক-চতুথরাংশ পিরমাণ হওয়া পযরন তা িনেয় সালাত জাইয হেব।

তা ইমাম আবূ হানীফা (র.) েথেক আেরা বিণরত আেছ েয, সালাত জাইয হওয়ার সবরিনম পিরমাণ কাপেড়র এক-
চতুথরাংশ। েযমন, লুংগী।

েকান েকান মেত কাপেড়র েয আংেশ নাজাসাত েলেগেছ, তার এক-চতুথরাংশ। েযমন, আঁচল, কিল।

ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) েথেক ‘এক বগর িবঘত’ পিরমাণ হেল সালাত জাইয হেব না।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মেত ঐ কাপেড় নামায জাইয হেব না। েকননা, েগাবেরর নাপাকী সমেকর বিণরত
হাদীেছর সােথ অনয েকান হাদীেছর িবেরাধ েনই। হাদীছিট এই েয, নবী (সা.) এক খণ েগাবর ছুেড়ঁ বেলিছেলন-
এটা নাপাকী। আর ইমাম সােহেবর মেত এেতই গলীয নাজাসাত পমািণত হয়। আর বাণী িবেরাধ দারা লঘুত
পমািণত হয়।

সােহবাইন বেলন, অেনক েবশী পিরমাণ না হওয়া পযরন জাইয হেব। েকননা এ িবষেয় ইজিতহােদর অবকাশ
আেছ, আর তােদর মেত এেতই লঘুত পমািণত হয়।

46
তাছাড়া রাসাঘাট েগাবর ভরা থাকার কারেন তােত (সমৃক হওয়ার) পেয়াজন রেয়েছ। আর লঘুত সৃিষর েকেত
পেয়াজেনর পভাব সীকৃত। গাধার েপশােবর িবষয়িট এর িবপরীত। েকননা ভূিম তা শেষ েনয়। (সুতরাং তােত
পেয়াজন েনই)।

আমরা বিল, পেয়াজন (মূলতঃ) জুতার মেধয। আর হকুম লঘু হওয়ার বযাপাের একবার তা ভূিমকা েরেখেছ।
সুতরাং মুেছ িনেলই পাক হেয় যায়। এেতই পেয়াজেনর দাবী পূণর হেয় েগেছ। এ বযাপাের হালাল পশ ও হারাম
পশর মােঝ েকান পাথরকয েনই। িকন ইমাম যুফার (র.) উভেয়র মােঝ পাথরকয কেরেছন। অথরাত হারাম পশর
বযাপাের ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর সােথ একমত েপাষণ কেরেছন এবং হালাল পশর বযাপাের ইমাম আবূ
ইউসূফ ও মুহামদ (র.) এর সেঙ একমত েপাষণ কেরেছন। ইমাম মুহামদ (র.) েথেক বিণরত আেছ েয, িতিন
যখন ‘রায়’ শহের পেবশ করেলন এবং বযাপকভােব িলপতা েদখেত েপেলন, তখন িতিন ‘অেনক েবশী’ পিরমাণও
সালাত আদােয় বাধা হেব না বেল ফাতওয়া িদেয়েছন। মাশােয়খগণ এর উপর বুখারার (েগাবর িমিশত) কাদা
মািটেক িকয়াস কেরেছন। এখান েথেক েমাজার বযাপাের ইমাম মুহামদ (র.) পূবর শতর পতযাহার কেরেছন বেল
বণরনা করা হয়।

যিদ কাপেড়র েঘাড়ার েপশাব েলেগ যায় তাহেল আবূ হানীফা (র.) ও আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত েবশী পিরমাণ
না হওয়া পযরন তা কাপড় নষ কের না। আর ইমাম মুহামদ (র.) এর মেত েবশী পিরমাণ হেলও তা (সালাত
আদােয়) বাধা সৃিষ করেব না।

েকননা, তার মেত হালাল পশর েপশাব পাক। ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত তা লঘু নাজাসাত। তার
উভেয়র মেত তার েগাশত হালাল। পকানের ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মেত তােত লঘুত এেসেছ হাদীেছর
পরসর িবেরােধর কারেণ।

হারাম পাখীর পায়খানা যিদ কাপেড় িদরহাম পিরমােণর েবশী েলেগ যায় তাহেল আবূ হানীফা ও আবূ ইউসূফ (র.)
এর মেত তােত সালাত জাইয হেব। আর ইমাম মুহামদ (র.) এর মেত জাইয হেব না।

কােরা কােরা মেত এ মতপাথরকয হেলা নাজাসােতর বযাপাের আর কােরা কােরা মেত পিরমােণর বযাপাের। এটাই
িবশদতম মত।

ইমাম মুহামদ (র.) যুিক িদেয় বেলন, লঘুত আেরাপ করা হয় পেয়াজেনর িভিতেত। িকন সাধারণত এেদর মেত
েমলােমশা না থাকার কারেণ এখােন পেয়াজন েনই। সুতরাং লঘুত আেরািপত হেব না।

শায়খাইেনর যুিক এই েয, পাখীরা শূনয েথেক িবষা তযাগ কের। আর তা েথেক েবঁেচ থাকা দষর। সুতরাং এ
েপিকেত পেয়াজন সাবযস হেয়েছ। যিদ তা (হারাম পাখীর পায়খানা) পােত পেড়, তাহেল েকান েকান মেত তা
পাতেক নষ কের িদেব। আর েকান েকান মেত নষ করেব না। েকননা পাতািদ তা েথেক রকা করা দষর।

যিদ কাপেড় মােছর রক বা গাধা ও খচেরর লালা িদরহােমর েবশী পিরমাণও েলেগ যায়, তাহেল তােত সালাত
দরস হেব। মােছর রেকর েকেত কারণ এই েয, পকৃতপেক তা রকই নয়। সুতরাং তা নাপাক হেব না। ইমাম

47
আবূ ইউসূফ (র.) েথেক বিণরত আেছ েয, এেকেত িতিন অতযিধক পিরমােণর উপর িনভরর কেরেছন। এেত
পতীয়মান হয় েয, এটােক িতিন নাজাসাত গণয কেরেছন।

গাধা ও খচেরর লালা সমেকর কারণ এই েয, তা নাপাক হওয়ার বযাপােরই সেনহ রেয়েছ। সুতরাং েকান পাক
বস তা দারা নাপাক হেত পাের না।

যিদ কাপেড় সূেচর মাথার মেতা েপশােবর িছটা এেস পেড় তাহেল তা ধতরবয নয়। েকননা, তা েথেক েবঁেচ থাকা
সমব নয়।

নাজাসাত দ’পকার- দৃশয ও অদৃশয সুতরাং েয নাজাসাত দৃশয হয়, তা েথেক পিবততা অিজরত হেব নাজাসােতর
মূল পদাথর দূর হওয়া দারা। েকননা নাজাসাত সতাগতভােব সানিটেত পেবশ কেরেছ। সুতরাং তার সতা দূর হেল
নাজাসাত িবদূিরত হেব। তেব দূর করা কষকর, এমন দাগ েথেক েগেল েদাষ েনই। েকননা, (শরীআেত) কষ
েথেক েরহাই েদওয়া হেয়েছ।

এ হকুম ইংিগত কের েয, একবার েধায়ার দারাও যিদ নাপাক পদাথর দূর হেয় যায় তাহেল পুনরায় েধায়ার (িতনবার
েধায়ার) শতর েনই। অবশয এ সমেকর (মাশায়াখেদর) মেধয মতেভদ রেয়েছ।

আর েয নাজাসাত দৃশয নয় (েযমন, েপশাব ও মদ), তা েথেক তাহারােতর উপায় হেলা এমনভােব েধায়া, যােত
েধৌতকারীর পবল ধারণা হয় েয, তা পাক হেয় েগেছ। েকননা নাপািকর িনষাশেনর জনয (েধায়ার েকেত)
বারংবার অপিরহাযর। আর নাজাসাত দূরীভূত হওয়ার িনশয়তা লাভ সমব নয়। সুতরাং পবল ধারণাই হেব িবেবচয
েযমন িকবলার মাসআলায় রেয়েছ।

ফকীহগণ িতনবােরর সীমা িনধরারণ কেরেছন এ কারেণ েয, তােত (িনষাশেনর) পবল ধারণা লাভ হেয় থােক।
সুতরাং সহজীকরেণর লেকয পকাশয কারণেক পবল ধারণার সলবতরী করা হেয়েছ। িনদা েথেক জাগত হওয়া
সংকান হাদীছ দারা এ মতামেতর সমথরন পাওয়া যায়। যািহরী বণরনা মেত পিতবার েধায়ার পর িনংড়ােনা জররী।
েকননা িনংড়ােনাই (নাজাসাত) িনষাশনকারী।

পিরেচদ- ইসিতনজা
ইসিতনজা হেলা সুনত। েকননা নবী কারীম (সা.) তা সবরদা কেরেছন। আর তােত পাথর ও এর গেণর সলবতরী
িজিনস বযবহার করা জাইয আেছ। এর দারা মুেছ েফলেব যােত নাজাসােতর সানিট পিরষার হেয় যায়। েকননা
পিরষার হওয়াই হেলা মূল উেদশয। সুতরাং যা মূল উেদশয, েসটাই িবেবচয হেব।

ইমাম শািফঈ(র.) বেলন, িতন সংখযা হওয়া জররী। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- েতামােদর পেতযেক েযন
পিতিট পাথর দারা ইসিতনজা কের।

আমােদর দলীল এই েয, রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন-

48
েয বযিক ইসিতনজায় পাথর বযবহার করেব, েস েযন েবেজাড় (অথরাত িতন) সংখযা বযবহার কের। েয তা করেলা,
েস ভাল করেলা। আর েয করল না, তার েকান কিত েনই।

শািফঈ (র.) েয হাদীছ বণরনা কেরেছন, তার বািহযক অথর বজরন করা হেয়েছ। েকননা আলাহ তা’আলা ইরশাদ
কেরেছন- েসখােন এমন িকছু েলাক রেয়েছ, যারা উতমভােব তাহারাত লাভ করা পছন কের।

আেলাচয আয়াত ঐ েলাকেদর শােন নািযল হেয়িছেলা, যারা পাথর বযবহােরর পর পািন বযবহার করেতা।

েমাটকথা পািন বযবহার করা ইসিতনজা আদব। কােরা কােরা মেত আমােদর যুেগ এটা সুনত। আর পািন ততকণ
বযবহার করেতা, যতকণ তার পবল ধারণা হয় েয, তা পাক হেয় েগেছ। ‘কতবার হেব’ তা িনধরারণ করা হয়িন।
তেব েকউ খুতখুেত সভােবর হেল তার েকেত িতনবার এবং মতানের সাতবার িনধরারণ করা হেব।

নাজাসাত যিদ িনগরমন সান েথেক ছিড়েয় পেড়, তা হেল পািন ছাড়া যেথষ হেব না। কুদূরীর েকান েকান সংসরেণ
এর পিরবেতর রেয়েছ। অথরাত তরল পদাথর ছাড়া যেথেষ হেব না। উভয় নুসখার এ পাথরকয পািন ছাড়া (অনয
তরল পদাথর দারা) অংগ পাক করার েকেত িভন দ’িট মত থাকা পমাণ কের।

পািন বযবহােরর পেয়াজনীয়তা এ জনয েয, শধু েমাছা (নাজাসাত) দূরীভূত কের না। তবূও নাজাসােতর িনগরমন
সােনর েকেত (পেয়াজেনর েপিকেত) েসটােক যেথষ মেন করা হেয়েছ। সুতরাং উক হকুমেক অনযত পলিমত করা
যােব না।

আবূ হানীফা ও আবূ ইউসূফ (র.) এর নাজাসােতর মূল সান বাদ িদেয় নামােয বাধাদানকারী পিরমাণ িবেবচনা করা
হেব। েকননা (শরীআেতর িবধান মেতই) উক সান ধতরবয হওয়া রিহত হেয় েগেছ।

ইমাম মুহামদ (র.) এর মেত অনয সকল সােনর উপর িকয়াস কের এখােনও নাজাসােতর সানসহ িহসাব করা
হেব।

হাড়, ও শকেনা েগাবর দারা ইসিতনজা করেব না। েকননা, নবী করীম (সা.) তা করেত িনেষধ কেরেছন। আর
যিদ েকউ তা কের, তাহেল মূল উেদশয হািছল হওয়ার কারেণ জাইয হেয় যােব। েগাবেরর েকেত িনেষেধর কারণ
তা নাপাক হওয়া। আর হােড়র েকেত কারণ এই েয, তা িজন জািতর খাদয।

খাদযদবয দারাও ইসিতনজা করেব না। েকননা এটা খাদযদবয নষ করা এবং অপচেয়র শািমল।

ডান হােতও ইসিতনজা করেব না। েকননা নবী কারীম (সা.) ডান হােত ইসিতনজা করেত িনেষধ কেরেছন।

49
পথম অনুেচদ
সালােতর সময়সমূহ
েভােরর িদতীয় আেলা যখন উিদত হয়, আর িদতীয় আেলা হেলা যা িদগেন িবসৃত হয়, আর তার েশষ সময় হেলা
যতকণ না সূযর উিদত হয়। েকননা হযরত িজবরীল (আ.) ইমামিত সমিকরত হাদীেছ বিণতর আেছ েয, িতিন
পথম িদন ফজেরর নামােয রাসূলুলাহ (সা.) এর ইমাম হেয় সালাত আদায় কেরন যখন আেলা উদািসত হয়।
আর িদতীয় িদন (সালাত আদায় কেরন) যখন খুব ফরসা হেয় গেলা, এমন িক সূযর উিদত হওয়ার উপকম হল।
হাদীেছর েশেষ রেয়েছ-এরপর হযরত িজবরীল (আ.) বলেলন- এ দই সমেয়র মধযবতরী সময়িট হেলা আপনার ও
আপনার উমেতর জনয সময়।

ধতরবয নয়। ফজরল কািযব হেচ লমা-লিমেত উদািসত আেলা, যার পর অনকার েথেক যায়। েকননা রাসূলুলাহ
(সা.) বেলেছন-

িবলােলর আযান েযন েতামােদর িবভান না কের। তদপ লমালিম আেলা (েযন েতামােদর িবভান না কের)।
িদগেন উদািসত অথরাত িবসৃত আেলাই হেলা ফজেরর সময়।

50
যুহেরর পথম সময় হেলা যখন সূযর েহেল পেড়। েকননা িজবরীল (আ.) পথম িদন সূযর েহেল পড়ার সময় ইমামিত
কেরেছন।

আবূ হানীফা (র.) এর মেত যুহেরর েশষ সময় হেলা যখন পিতিট বসর ছায়া মধযাহ ছায়ার বাদ িদেয় িদগণ হেয়
যায়। আর িদতীয় ইমামদয় বেলন, যখন পিতিট িজিনেসর ছায়া তার সমান হয়। ইহাও ইমাম আবূ হানীফা (র.)
হেত বিণরত, আেরকিট মত।

মধযাহ ছায়া হেলা িঠক মধযাহকােল েকান বসর েয ছায়া হয়, তাই। িদতীয় ইমামদেয়র দলীল এই েয, িজবীল
(আ.) পথম িদন এ সমেয় আসেরর ইমামিত কেরেছন।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর দলীল হেলা, রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন-

যুহরেক েতামরা শীতল কের পেড়া। েকননা গরেমর পচণতা জাহানােমর তীবতা েথেকই আসেছ।

আর আরব েদেশ (পিতিট বসর ছায়া তার সমান হওয়ায়) এ সময়টােতই গরম পচণতম হয়। সুতরাং হাদীছ যখন
পরসর িবেরাধপূণর হেলা তখন সেনহবশতঃ সময় েশষ হেব না।

আসেরর পথম সময় হেলা যখন উভয় মত অনুসাের যুহেরর সময় পার হেয় যায় । আর তার েশষ সময় হেলা
যতকণ না সূযর ডুেব যায়। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- েয বযিক সূযর অেসর আেগ আসেরর এক রাকাআত
েপেয় েগল, েস আসেরর সালাত েপেয় েগেলা।

মাগিরেবর পথম সময় হেলা সূযর যখন ডুেব যায় এবং তার েশষ সময় হেলা যতকণ না অদৃশয হয়।

ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, িতন রাকাআত পড়ার পিরমাণ সময় হেলা মাগিরেবর সময়। েকননা িজবরীল (আ.)
দ’িদন একই সমেয় মাগিরেবর ইমামিত কেরেছন।

আমােদর দলীল হেলা রাসূলূূূূ


ুল্ ্ াহূূ (সা.) বেলেছন-

মাগিরেবর পথম সময় হেলা যখন সূযর ডুেব এবং তার েশষ সময় হেলা যখন অদৃশয হয়।

ইমাম শািফঈ (র.) েক হাদীছ পমাণ সরপ েপশ কেরেছন, তােত িবলম না করার কারণ হল মাকরহ েথেক েবঁেচ
থাকা। ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর অথর িদগেনর ফরসা আেলা, যার লািলমা পের েদখা েদয়। পকানের ইমাম
ইউসূফ ও মুহামদ (র.) এর মেত লািলমািটই হেলা এরপ। এরই অনুরপ একিট বণরনা ইমাম আবূ হানীফা (র.)
েথেকও পাওয়া যায়। আর এ-ই হল ইমাম শািফঈ (র.) এরও (পূবরবতরী) অিভমত। েকননা, রাসুলুলাহ (সা.)
বেলেছন- শায়ক হেলা িদগন লািলমা।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর দলীল হেলা রাসূলুলাহ (সা.) এর িনেমাক বাণী- মাগিরেবর েশষ সময় হেলা, যখন
িদগন কােলা হেয় যায়। ইমাম শািফঈ (র.) এর বিণরত হাদীছিট ইবন উমর (রা.) এর উপর মওকুফ ইমাম
মািলক মু’আতা গেন তা উেলখ কেরেছন, আর এ সমেকর সাহাবােয় িকরােমর মেধয মতপাথরকয রেয়েছ।

51
‘ঈশার পথম সময় হেলা যখন অদৃশয হেয় যায় এবং তার েশষ সময় হেলা যতকণ না ফজর (সুবিহ সািদক)
উিদত হয়। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- ‘ঈশার েশষ সময় হেলা যতকণ না ফজর উিদত হয়। রােতর
তৃতীয়াংশ অিতকান দারা ঈশার েশষ সময় িনধরারেণর বযাপাের এ হাদীছ ইমাম শািফঈ (র.) এর িবপেক দলীল।

িবতেরর পথম সময় হেলা ‘ঈশার পের এবং তার েশষ সময় হেলা যতকণ না ফজর উিদত হয়। েকননা রাসূলুলাহ
(সা.) িবতর সমেকর বেলেছন- ‘ঈশা ও ফজেরর মধযবতরী সমেয় েতামরা তা আদায় কর।

িহদায়া গনকার বেলন, এটা সােহবাইেনর মত। আর ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মেত ‘ঈশার সময়ই হেচ
িবতেরর সময়। তেব তারতীব ওয়ািজব হওয়ার কারেণ সরণ থাকা অবসায় িবতরেক ‘ঈশার আেগ আদায় করা
যােব না।

পিরেচদঃ সালােতর মুসতাহাব ওয়াক


ফজর ফরসা হওয়ার পের আদায় করা মুসতাহাব। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- েতামরা ফজর ফরসা হেয়
যাওয়ার পর আদায় কর। েকননা, এেতই রেয়েছ অিধক সাওয়াব।

ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, পেতযক সালাত অিবলেম আদায় করা মুসতাহাব।া আামােদর
াব িণরত এ হাদীছ
আগামীেত বিণরতবয হাদীছ তঁার িবপেক দলীল।

গীষকােল যুহেরর সালাত সূেযরর তাপ কেম আসেল এবং শীতকােল আউয়াল ওয়াকেত আদায় করা মুসতাহাব।
পমাণ ইেতাপূেবর আমােদর বিণরত হাদীছ। আনাস (রা.) বিণরত হাদীছ েয, রাসূলুলাহ (সা.) শীতকােল যুহর
অিবলেম আদায় করেতন এবং গীষকােল সূেযরর তাপ কেম আসেল আদায় করেতন।

শীত-গীষ উভয় েমৌসুেম সূযর িববরণ না হওয়া পযরন আসর িবলম করা মুসতাহাব। েকননা, েযেহতু আসেরর পের
নফল সালাত মাকরহ; সুতরাং িবলেম আদায় অিধক নফল আদােয়র অবকাশ পাওয়া যায়। আর ধতরবয হেলা
সূেযরর েগালক িববণর হওয়া। অথরাত এমন অবসা হওয়া, যােত েচাখ না ধঁাধঁায়। এই িবশদ মত। আর এ পযরন
িবলম করা মাকরহ।

মাগিরেবর সালাত জলিদ আদায় করা মুসাহাব। েকননা ইয়াহূদীেদর সােথ সাদৃশয হয় িবধায় তা িবলম করা
মাকরহ।

রাসুলুলাহ (সা.) বেলেছন- আমার উমত যতিদন মাগিরব অিবলেম এবং ‘ঈশা িবলেম আদায় করেব, ততিদন তারা
কলযােণর পেথ থাকেব।

‘ঈশােক রােতর তৃতীয়াংেশর পূবর পযরন িবলিমত করা মুসাহাব। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- যিদ আমার
উমেতর উপর কষ হেব না মেন না করতাম তাহেল অবশযই আিম ‘ঈশার সালাত রােতর তৃতীয়াংশ পযরন িবলিমত
করতাম।

52
তাছাড়া তা, ‘ঈশার পের হাদীেছ িনিষদ আলাপ-আেলাচনা করা েথেক িবরত থাকার উপায়। কােরা কােরা মেত
গীষকােল তাড়াতািড় করেত হেব, যােত জামাআেত মুসলীর সংখ্যা কেম না যায়। মধযরাত পযরন িবলম করা ৈবধ;
েকননা, মাকরহ হওয়ার দলীল অথরাত জামাআত েছাট হওয়া এবং মুসাহাব হওয়ার দলীল অথরাত আলাপচািরতা
েথেক িবরত থাকা পরসর িবেরাধী। সুতরাং মধযরাত পযরন ৈবধতা পমািণত হেব এবং িদতীয় অেধরক পযরন
মাকরহ হওয়া পমািণত হেব। েকননা তােত জামা’আত েছাট হয়। পকানের আলাপচািরতা এর আেগই বন হেয়
যায়।

তাহাজুেদর সালাত আদােয় অভযস বযিকর িবতেরর েকেত রােতর েশষ ভাগ পযরন িবলম করা মুসাহাব। আর েয
জাগত হওয়ার বযাপাের অিনিশত, েস ঘুেমর আেগই িবতর আদায় করেব। েকননা রাসূলূলাূূ
হ্ ্
(সা.) বেলেছন-

েয বযিক আশংকা কের েয, েশষ রােত জাগত হেত পারেব না, েস েযন (আেগ-ভােগই) িবতর আদায় কের। আর
েয েশষরােত জাগত হওয়ার আশা কের, েস েযন েশষ রােতই িবতর আদায় কের।

েমঘলা িদন হেল ফজর, যুহর ও মাগিরব িবলেম আদায় করা এবং আসর ও ‘ঈশা জলিদ আদায় করা মুসাহাব।
েকননা েমঘ-বৃিষর কারেণ ‘ঈশা িবলম করায় জামাআত েছাট হেব। আর আসর িবলম করেল মাকরহ ওয়াক
হওয়ার সমাবনা আেছ। আর ফজের েস সমাবনা েনই। েকননা েস সময় দীঘর।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) েথেক সতকরতার জনয সকল সালােত িবলেমর িনেদরশ বিণরত আেছ। েকননা সময়
অিতকান হওয়ার পের (কাযা হেলও) সালাত আদায় জাইয আেছ। িকন সমেয়র আেগ জাইয েনই।

পিরেচদঃ সালােতর মাকরহ ওয়াক


সূেযরাদেয়র সময়, মধযােহ সূেযরর মধযাকােশ অবসানকােল এবং সূযরােসর সময় সালাত জাইয েনই। েকননা, ‘উকবা
ইবন ‘আিমর (রা.) বেলেছন-

িতনিট ওয়াকত রাসূলুলাহ (সা.) আমােদরেক সালাত আদায় করেত এবং আমােদর মৃতেদর দাফন করেত িনেষধ
কেরেছনঃ সূেযরাদয় কােল, সূযর উপের উেঠ যাওয়া পযরন; মধযাহ কােল সূযর েহেল পড়া পযরন; আর যখন সূযর অস
যাওয়ার উপকম হয়, তখন েথেক অস যাওয়া পযরন।

তার বকবয এর উেদশয হেলা জানাযার সালাত। েকননা (ইজমা দারা পমািণত েয, উক সময়) দাফন করা
মাকরহ নয়। আেলাচয হাদীছ তার অথর-বযপকতার কারেণ ইমাম শািফঈ (র.) এর িবপেক পমাণ। ফরযসমূহ
এবং মকােক িবিশষ করার উেদশয এবং ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর িবপেক পমাণ জুমুআর িদন মধযাহ কােল
নফল সালাত জাইয করার উেদশয।

ইমাম কুদূরী (র.) বেলন, জানাযার সালাত জাইয হেব না।

53
আমােদর বিণরত হাদীেছর দলীল মুতািবক।

সাজদােয় িতলাওয়াতও জাইয হেব না। েকননা, তা সালােতরই অংশ িবেশষ।

তেব সূযরােসর সময় েস িদেনর আসর আদায় করা যােব। সালাত ওয়ািজব হওয়ার বা েহতু হেচ সমেয়র েসই
অংশ, যা িবদযমান আেছ। (অথরাত সালাত শরর পূবর মুহূতর)। েকননা, েহতুর সমকর যিদ সমগ সমেয়র সােথ
হয়, তাহেল সময় অিতকান হওয়ার পের সালাত আদায় করা ওয়ািজব হয়। আর সমেয়র িবগত অংেশর সােথ
যিদ সমিকরত হয়, তাহেল েশষ সমেয় সালাত আদায়কারী হয় সালাত কাযাকারী। িবষয়িট যখন এমনই হেলা,
তেব েতা েস েযমন তার উপর ওয়ািজব হেয়েছ, েতমনইা আাদায়
াক েরেছ । আর অনযানয সালাত এর বযিতকম।
েকননা েসগেলা পূণরাংগ সমেয় ওয়ািজব হেয়েছ, সুতরাং অপূণরাংগ সমেয় তা আদায় হেত পাের না।

িহদায়া গনকার বেলন, জানাযার সালাত ও িতলাওয়ােতর সাজদা সমেকর উেলিখত নাজাইেযর অথর হেলা মাকরহ
হওয়া। সুতরাং ঐ সমেয় েকউ যিদ জানাযার সালাত আদায় কের িকংবা তখন সাজদার আয়াত িতলাূূূূূ
্ ওয়াতূ
কের উক িতলাওয়ােতর সাজদা কের তাহেল জাইয হেব। েকননা, েযমন নািকস সমেয় তা ওয়ািজব হেয়েছ,
েতমিন নািকস সমেয় তা আদায় করা হেয়েছ। েকননা জানাযা উপিসত হওয়া ও িতলাওয়াত করার মাধযেমই তা
ওয়ািজব হয়।

ফজেরর পের সূেযরাদয় পযরন নফল পড়া, এবং আসেরর পের সূযর অস যাওয়া পযরন নফল আদায় করা মাকরহ।
েকননা বিণরত আেছ েয, নবী (সা.) তা িনেষধ কেরেছন। তেব এই দই সমেয় কাযা সালাত ও িতলাওয়ােতর
সাজদা আদায় করেত পাের এবং জানাযার সালাত আদায় করেত পাের। েকননা, এই মাকরহ হওয়া িছেলা
ফরেযর মযরাদার িভিতেত, েযন সমূণর সময়টা সালােত মশগল-তুলয হেয় যায়। (এই মাকরহত) সমেয়র িনজস
েকান পকৃিতর কারেণ নয়। সুতরাং ফরযসমূেহর েকেত এবং েয সকল ইবাদত সকীয়ভােব ওয়ািজব হেয়েছ,
েযমন, িতলাওয়ােতর িসজদা, েসগেলার েকেত সমেয়র মাকরহ হওয়ার হকুম পকাশ পােব না। আর সালাত (ূ
মানতকৃত নামায) এর েকেত তা পকাশ পােব। েকননা উক ইবাদেত আবশযকতা তার িনেজর পক েথেক সৃষ
কারেণর সােথ সমৃক। তাওয়ােফর রাকাআতদেয়র েকেত মাকরহ পকাশ পােব। এবং ঐ বযিকর েকেতও
মাকরহ হওয়া পকাশ পােব, েয নফল সালাত শর কের তা ভংগ হেয়েছ। েকননা উক সালােতর ওয়ািজব হওয়া
তার িনজ কারেণ নয়, অনয কারেণ। আর তা হেলা তাওয়াফ খতম করা এবং শর করা সালাতেক নষ হওয়া
েথেক রকা করা।

ফজেরর উদেয়র পর ফজেরর দ’রাকাআেতর অিধক নফল আদায় মাকরহ। েকননা সালােতর পিত আগহ সেতও
উক দই রাকাআেতর অিতিরক িকছু নবী করীম (সা.) আদায় কেরন িন।

সূযরােসর পর ফরেযর পূেবর েকান নফল আদায় করেব না। েকননা তােত মাগিরবেক িবলম করা হয়। তদপ
জুমআ ু র িদন ইমাম যখন খুতবার জনয (হজরা েথেক) েবর হেবন, তখন েথেক খুতবা েশষ হওয়া পযরন নফল
আদায় করেব না। েকননা তােত খুতবা েশানা েথেক অনয-মনসতা হয়।

54
িদতীয় অনুেচদ
আযান
পঁাচ ওয়াক সালাত ও জুমুআর জনয আযান সুনত, অনয েকান সালােতর জনয নয়। এ িবধান মুতাওয়ািতর
(অথরাত সুপচুর সংখযক ধারাবািহক ও িনিশত সূেত পাপ) হাদীেছর িভিতেত পিতিষত।

আযােনর িববরণ সুপিরিচত। অথরাত আসমান েথেক অবতরণকারী েফেরশতা েযভােব আযান িদেয়িছেলন এবং
তােত (কািলমা-ই-শাহাদােতর পুনঃ উচারণ েনই) অথর উভয় কািলমা-ই-শাহাদাতেক (পথেম দ’বার কের)
অেপকাকৃত মৃদসের উচারণ করার পর উচসের (দ’বার কের) পুনঃ উচারণ করা।

ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, আযান রেয়েছ। আমােদর যিক এই েয, মশহূর হাদীছগেলােত েনই।

ইমাম শািফঈ (র.) েয হাদীছ বণরনা কেরন, তা িছেলা (কািলমা-ই-শাহাদাত) িশকাদােনর উেদেশয। েসটােকই
িতিন ধারণা কেরেছন।

ফজেরর আযােন এর পের দ’বার েযাগ করেব। েকননা (রা.) একবার যখন রাসূলুলাহ (সা.) েক ঘুমন অবসায়
েপেয়িছেলন, তখন বেলিছেলন। তখন নবী করীম (সা.) বেলিছেলন- েহ িবলাল, কতনা সুনর কথা এটা! এেক
েতামার আযােনর অনভূরক কের নাও। এর সােথ ফজেরর আযানেক িবিশষ করার কারণ এই েয, এটা ঘুম ও
গাফলেতর সময়।

ইকামাত আযােনর মেতা। তেব তােত এর পের দ’বার েযাগ করেব। আসমান েথেক অবতীণর েফেরশতা এমনই
কেরিছেলন, এবং এ-ই মশহূর বণরনা (আবূ দাউদ)।

এ হাদীছ ইমাম শািফঈ (র.) এর িবপেক দলীল। েকননা, িতিন বেলন, ইকামাত হেচ এক এক শবিবিশষ।

আযান ধীর লেয় েথেম েথেম উচারণ করেব। আর ইকামাত না েথেম দতলেয় উচারণ করেব। েকননা
রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- যখন আযান েদেব, তখন ধীরলেয় েদেব। আর যখন ইকামাত বলেব, তখন দতলেয়
বলেব। এ হেলা মুসাহােবর বণরনা। আযান ও ইকামাত উভয়ই েকবলামুখী হেয় েদেব। েকননা, আসমান েথেক
অবতীণর েফেরশতা িকবলামুখী হেয় আযান িদেয়িছেলন। তেব েকবলামুখী না হেয় আযান িদেলও মূল উেদশয
হািছল হওয়ার কারেণ তা জাইয হেব; তেব সুনেতর িবেরািধতা করার কারেণ তা মাকরহ হেব।

এবং হাইয়া আলাহ সালাহ, হাইয়া আলাহ সালাহ বলার সময় মুখমণল যথাকেম ডােন ও বােম েফরােব। েকননা
তা েলাকেদর উেদশয সেমাধন। সুতরাং তােদর িদেক মুখ কেরই তােদর সেমাধন করেব।

আর যিদ আযানখানায় পদিকণ কের, তেব তা উতম। একথার উেদশয হেলা িমনারা পশস হওয়ার কারেণ যিদ
সুনত মুতািবক পদদয় সসােন েরেখ মুখমণল ডােন ও বােম েফরােত না পাের। িকন িবনা পেয়াজেন তা করেব না।

55
মুআযিযেনর জনয উতম হেলা তার উভয়কােনর দই আংগল সাপন করা। রাসূলুলাহ (সা.) িবলাল (রা.) েক
এমনই িনেদরশ িদেয়িছেলন। তাছাড়া েঘাষণা পচােরর েকেত এটা অিধক কাযরকর। আর যিদ তা না কের তাহেলও
ভােলা। েকননা এটা মূলত, সুনত নয়।

ফজের আযান ও ইকামােতর মধযবতরী সমেয় দ’বার হাইয়া আলাস সালাহ হাইয়া আলাস সালাহ বেল তাসবীব (বা
পুনঃ েঘাষনা দান) উতম। েকননা এটা ঘুম ও গাফলােতর সময়। অনযানয নামােয তা মাকরহ।

পুনঃ েঘাষনা দান। এবং তা েলাকেদর মেধয পচিলত পনায় করেত হেব। এই তাছবীেবর পথািট কূফার আিলমগণ
মানুেষর অবসার পিরবতরেনর কারেণ সাহাবা যুেগর পর আিবষার কেরেছন। এবং উপেরােলিখত কারেণ এটােক
ফজেরর সােথই খাস কেরেছন। তেব পরবতরী আিলমগণ দীেনর সকল িবষেয় ৈশিথলয েদখা েদওয়ায় সকল
সালােতই তাছবীব উতম মেন কেরেছন। ইমাম আবূ ইউসূফ বেলন, মুআযিযন পেতযক সালােতর সময় আমীর ও
শাসকেক উেদশয কের একথা বলায় েকান েদাষ েনই- েহ আমীর! আসসালামু আলায়কুম সালােত আসুন, আলাহ
আপনােক রহম করন।

ইমাম মুহামদ (র.) এ মত গহণেযাগয মেন কেরনিন। েকননা জামা’আেতর বযাপাের সকল মানুষ সমাণ। অবশয
ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) মুসলমানেদর িবষয়ািদেত অিধক বযসতার কারেণ তােদর এ বযাপাের িবিশষ কেরেছন, েযন
তােদর জামা’আত ফউত না হেয় যায়। এ বযাপাের কাযীেদর জনয একই হকুম।

মাগিরব ছাড়া অনয সময় আযান ও ইকামােতর মােঝ িকছু সময় অেপকা করেব। এ হল ইমাম আবূ হানীফা (র.)
এর মত। ইমামদয় বেলন, মাগিরেবর সময়ও সলকণ অেপকা করেব। েকননা আযান ও ইকামােত বযবধান করা
আবশযক আর উভয়েক িমিলেয় েদওয়া মাকরহ। আর সর-িবরিত বযবধান বেল গণয হেব না। েকননা তা েতা
আযােনর বাকযগেলার মােঝও িবদযমান। সুতরাং সলকণ বসা দারা বযবধান করেত হেব। েযমন দই খুতবার মােঝ
হেয় থােক।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর দলীল হেলা; (মাগিরেব) িবলম মাকরহ। সুতরাং তা পিরহার করার জনয নূনযতম
ূূ
বযবধানই যেথষ হেব। আর আামােদর
আ েলাচয মাসআলােত সানও িভন এবং সরও িভন। সুতরাং সল িবরিত
দারাই বযবধান গণয হেব। পকানের খুতবা েসরপ নয়।

ইমাম শািফঈ (র.) অনযানয সালােতর উপর িকয়াস কের বেলন, দই রাকাআেত নফেলর মাধযেম বযবধান করেব।
(অনয সালাত েথেক মাগিরেবর পাথরকয আামরা
ূূ
প েূ বর উেলখ কেরিছ )।

ইমাম ইয়া’কুব (আবূ ইউসূফ (র.)) বেলন, ইমাম আবূ হানীফা (র.)েক আযান ও ইকামাত িদেত েদেখিছ।
িতিন আযান ও ইকামােতর মােঝ বসেতন না। আমরা যা বেলিছ এিট তার সমথরন কের। আর এেত এ-ূ
পমািণত হয় েয, মুআযিযেনর শরীআত সংকান িবষেয় আিলম হওয়া মুসাহাব। েকননা রাসূললু াহ (সা.)
বেলেছন- েতামােদর েশষ বযিক েতামােদর জনয আযান িদেব।

কাযা সালােতর জনয আযান ও ইকামাত িদেব। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) সফর েশেষ রােত ঘুিমেয় পড়ার কারেণ
পরবতরী সকাল আযান ও ইকামাত িদেয় ফজেরর সালাত কাযা কেরেছন।

56
শধু ইকামতেক যেথষ মেন করার বযাপাের এ হাদীছ ইমাম শািফঈ (র.) এর িবপেক দলীল।

যিদ কেয়ক ওয়াক সালাত কাযা হেয় থােক, তাহেল পথম সালােতর জনয আযান িদেব ও ইকামাত বলেব।
আমােদর পূবর বিণরত হাদীছিটর কারেণ অবিশষগেলার েকেত তার ইখিতয়ার রেয়েছ। ইচা করেল আযান ও
ইকামাত িদেব, যােত কাযা সালাত আদায় সালােতর অনুরপ হয়। আর ইচা করেল শধু করেল ইকামােতর উপর
িনভরর করেব। েকননা আযান েদয়া হয় উপিসত করার জনয। আর তারা েতা উপিসত আেছই।

িহদায়া গনকার বেলন, ইমাম মুহামদ (র.) েথেক বিণরত আেছ েয, পরবতরী সালাতসমূেহর জনয শধু ইকামাতই
েদওয়া হেব। মাশােয়খগণও বেলন, হেত পাের েয এিট তােদঁর (ইমাম আবূ হানীফা, আবূ ইউসূফ ও মুহামদ র.)
এর সবরসমত মত।

পিবত অবসায় আযান ও ইকামাত েদয়া উিচত। তেব উযূ ছাড়া আযান িদেল জাইয। েকননা এটা (আলাহর)
িযিকর, নামায নয়। সুতরাং তােত উযূ মুসাহাব মাত। েযমন কুরআন িতলাওয়ােতর েকেত।

উযূ ছাড়া ইকামাত বলা মাকরহ। েকননা তােত ইকামাত ও সালােতর মােঝ বযবধান সৃিষ হয়। অবশয বিণরত
আেছ েয, ইকামাতও মাকরহ হেব না। েকননা এটা েতা দই আযােনর অনযতম। আেরক বণরনা মেত আযানও
(উযূ ছাড়া) মাকরহ হেব। েকননা েস এমন িবষেয়র পিত আহবান জানােচ, যার পিত েস িনেজই সাড়া
েদয়িন।

জুনুবী অবসায় আযান েদওয়া মাকরহ। এ সমেকর একিট মাত বণরনাই আেছ। মুহিদেছর আযান সমকরীয় দইিট
িরওয়ায়ােতর মেধয মাকরহ না হওয়ার িরওয়ায়াতিটর মাসআলার সােথ পাথরকয এই েয, সালােতর সােথ আযােনর
সাদৃশয রেয়েছ। সুতরাং উভয় সাদৃেশযর উপর আমল িহসােব দই হাদীেছর েযিট সবচাইেত কেঠার, তা েথেক
পিবততা অজরেনর শতর আেরাপ করা হেব, জুনুবীর জনয নয়।

গেন রেয়েছ, উযূ ছাড়া আযান এবং একামাত িদেল তা েদাহরােতর হেব না। আর জানাবােতর েবলায় েদাহরােনাই
আমার কােছ অিধক িপয়। তেব না েদাহরােলও চেল। পথমিটর কারন হাদােছর লঘুতা, আর িদতীয়িটর অথরাত
জানাবােতর কারেণ েদাহরােনার বযাপাের দ’িট বণরনা রেয়েছ। তেব অিধকতর যুিকপূণর এিট েয, আযান েদাহরােনা
উিচত, িকন ইকামাত েদাহরােত হেব না। েকননা পুনঃ আযান শরীআত অনুেমািদত; পুনঃ ইকামাত অনুেমািদত
নয়।

ইমাম মুহামদ(র.) এর বকেবযর অথর হল সালাত হেয় যােব। েকননা, সালাত েতা আযান-ইকামাত ছাড়াও জাইয
হয়।

গনকার বেলন- সীেলাক যিদ আযান িদেয় থােক তেব এরপ হকুম। অথরাত েদাহরােনা মুসতাহাব, যােত আযান
সুনত মুতািবক হেয় যায়।

57
সময় হওয়ার পূেবর েকান সালােতর আযান েদওয়া ৈবধ নয়। ওয়াকত হওয়ার পর আবার িদেত হয়। েকননা,
আযান েদওয়া হয় মানুেষর অবগিতর জনয। অথচ সমেয়র পূেবর হেল েসটা হেব মানুষেক অজতায় েফলার মেধয
শািমল।

ইমাম আবূ ইউসূফ(র.) বেলন, আর ইমাম শািফঈ (র.) এর অিভমতও তাই-ফজেরর েকেত রােতর েশষােধর
(আযান েদওয়া) ৈবধ। েকননা, হারামাইন শরীেফর অিধবাসীেদর যুগ পরসরায় তা চেল আসেছ।

এ সকেলর িবপেক দলীল হল িবলােলর উেদশয রাসূলুলাহ (সা.) এর িনেদরশ – ফজর এরপ ফরসা হওয়ার পূেবর
আযান িদও না। একথা বেল িতিন উভয় হাত চওড়াভােব পসািরত করেলন।

মুসািফর আযান ও ইকামত েদেব। েকননা, রাসূলুলাহ (সা.) আবূ মুলায়কার দই পুতেক বেলিছেলন- যখন
েতামরা সফর করেব তখন (েতামােদর একজন) আযান িদেব এবংইকামাত বলেব।

যিদ আযান ও ইকামাত দ’েটাই তরক কের তাহেল তা মাকরহ হেব । আর যিদ শধু ইকামােতর উপরই কান হয়,
তাহেল তা জাইয হেব। েকননা, আযান(মূলতঃ) অনুপিসতেদর উপিসত করার জনয; অথচ সফর সংগীরা েতা
উপিসতই আেছ। পকানের ইকামাত হেলা (নামােযর) আরেমর েঘাষণার জনয, আর উপিসতেদর জনয তার
পেয়াজন রেয়েছ।

যিদ নগরীেত িনেজর ঘের সালাত আদায় কের, তাহেল আযান-ইকামাত িদেয়ই সালাত আদায় করেব, যােত
জামাআত অনুযায়ী সালাত আদায় হয়। আর তা তরক করাও জাইয আেছ। েকননা ইবন মাস’উদ (রা.)
বেলেছন, মহলার আযান আমােদর জনয যেথষ হেব।

তৃতীয় অনুেচদ
সালােতর পূবরবতরী শতরসমূহ
মুসলীর জনয যাবতীয় হাদাছ ও নাজাসাত েথেক পাক-পিবততা অজরন ওয়ািজব। েস পদিতেত, যা ইেতাপূেবর
আমরা বেল এেসিছ। আলাহ তা’আলা বেলেছন- তুিম েতামার কাপড় পাক রােখা।

আলাহ তা’আলা আেরা বেলেছন- যিদ েতামরা জুনুবী হও তাহেল উতমরেপ পিবততা অজরন কেরা।

আর ছতর ঢাকেব। েকননা আলাহ তা’আলা বেলেছন- অথরাত পেতযক সালােতর সময় েতামরা এমন েপাশাক
পিরধান কেরা, যােত েতামােদর সতর ঢােক। এবং রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- পুরেষর সতর হেলা নািভ েথেক
হঁাটুর মধযবতরী অংশ। অনয বণরনায় আেছ- তার নািভর নীচ েথেক তার হঁাটু অিতকম কের যাওয়া পযরন । এ
েথেকই সষ হেয় যায় েয, নািভ সতেরর অনভূরক নয়। ইমাম শািফঈ (র.) িভনমত েপাষণ কেরন।

58
হাটু সতেরর অনভূরক। এ সমেকরও ইমাম শািফঈ (র.) িভনমত েপাষণ কেরন। হাদীেছর েক আমরা সহ এর
অেথর গহণ কেরিছ। িদতীয় হাদীেছর শেবর উপর আমল করার েপিকেত এবং রাসূলুলাহ (সা.) িনেমাক হাদীেছর
উপর আমল করার উেদেশয-হাটু সতেরর অনভূরক।

সাধীন নারীর মুখমনল ও হােতর কবিজ ছাড়া সমস শরীর সতর। েকননা রাসূলুলাহ (সা.)বেলেছন- সীেলাক
আওরত, যা েঢেক রাখা কতরবয। দ’িট অংগেক বযিতকম করার কারণ হেলা তা পকাশ করা অিনবাযর।

িহদায়া গনকার বেলন, এ বযিতকম সষ িনেদরশ কের েয, পােয়র পাতা সতর আর এক বণরনায় আেছ েয, তা
সতর নয়। এ-ই িবশদ মত।

যিদ েকান সীেলাক পােয়র েগাছার এক-চতুথরাংশ বা এক-তৃতীয়াংশ েখালা অবসায় সালাত আদায় কের তাহেল েস
তার সালাত েদাহরােব। এ হল ইমাম আবূ হানীফা ও ইমাম মুহামদ (র.) এর মত। আর যিদ তা এক-
চতুথরাংেশর কম হয়, তাহেল সালাত েদাহরােব না।

ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) বেলন, অেধরেকর কম হেল েদাহরােব না। েযেহতু েকান িকছুেক তখনই অিধক বেল
আখযািয়ত করা হয়, যখন তার িবপরীত বসিট পিরমােণ তার েচেয় কম হয়। েকননা, কম ও েবশী শব দ’িট
তুলনামূলক।

‘অেধরক’ সমেকর তার পক হেত দ’িট বণরনা রেয়েছ- এক বণরনায় ‘কম’ এর গিণ বিহভূরত হওয়ার িবষয়িট িবেবচনা
কেরেছন। অপর বণরনায় ‘েবশী’ এর গিণভূক না হওয়ার িবষয়িট িবেবচনা কেরেছন।

ইমাম আবূ হানীফা ও ইমাম মুহামদ (র.) এর যুিক এই েয, চতুথরাংেশ সমূেণরর সলবতরী হেয় থােক। েযমন
‘মাথা মাসেহর েকেত এবং ইহরােম ‘মাথা মুড়ােনার’ েকেত। এবং েয বযিক কােরা েচহারা েদেখ েস ঐ বযিকেক
েদেখেছ বেল খবর েদয়। যিদও েস উক বযিকর চারপােশর একপাশ মাত েদেখেছ।

চুল, েপট ও উরও অনুরপ অথরাত এেতও উক মতেভদ রেয়েছ। েকননা পিতটাই আলাদা অংগ।

চুল দারা এখােন মাথা েথেক ঝুেল থাকা অংশ উেদশয। এ-ই িবশদ মত। তেব জানাবােতর েগাসেল এটা েধায়া
মা’ফ হওয়ার কারণ হল কষ আেরাপ হওয়া।

লজাসান দ’িটেতও অংশ সতর, দাসীরও তাই সতর। আর তার েপট ও িপঠও সতর। এছাড়া তার শরীেরর
অনযানয অংগ সতর নয়। েকননা, উমর (রা.) (জৈনকা দাসীেক লক কের) বেলিছেলন, এই েছমিড়! মাথা
েথেক ওড়না সিরেয় েন, সাধীন সী েলাকেদর মত হেত চাস বুিঝ!

তাছাড়া তােক তার মিনেবর পেয়াজেন কােজর েপাশােক বাইের েবর হেত হয়। সুতরাং অসুিবধা লাঘেবর উেদেশয
অনযানয পুরেষর েকেত তােক মাহেরেমর নযায় গণয করা হেব।

যিদ নাজাসাত দূর করার মেতা িকছু না পায়, তাহেল তা সহই সালাত আদায় করেব। এবং সালাত েদাহরােত হেব
না। এর দ’ই সুরত। যিদ কাপেড়র এক-চতুথাংশ বা তার চাইেত েবশী অংশ পাক হয়, তাহেল ঐ কাপড় পেরই

59
সালাত আদায় করেব যিদ িববস হেয় সালাত আদায় কের, তাহেল জাইয হেব না। েকননা এক-চতুথরাংশ সমূেণরর
সলবতরী হয়। যিদ এক-চতুথরাংশ কম পাক হয় তাহেল ইমাম মুহামদ (র.) এর মেত একই হকুম। আর এটা
ইমাম শািফঈ (র.) ও দ’িট মেতর একিট। েকননা ঐ কাপেড় সালাত আদােয় একিট ফরয তরক হয়। পকানের
উলংগ হেয় সালাত আদােয় একািধক ফরয তরক হয়।

ইমাম আবূ হানীফা ও ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত েস ইচাধীন। ইচা হেল উলংগ হেয় সালাত আদায়
করক, িকংবা নাপাক কাপেড় সালাত আদায় করক। তেব িদতীয়টাই উতম। েকননা, সকম অবসায় পিতিট
সালােতর পিতবনক। এবং (মা’ফ হওয়ার) পিরমােণর েকেত দেটাই সমান। সুতরাং সালােতর হকুম ও দেটাই
সমান হেব।

তাছাড়া েকান িকছুেক তার সলবতরী েরেখ তরক করায় গণয হয় না।

(কাপেড় পের সালাত আদায়) উতম হওয়ার কারণ এই েয, সতর সালােতর সােথ খাস নয়। পকানের তাহারাত
সালােতর সােথ খাস।

েকউ যিদ সতর ঢাকার কাপড় না পায় তাহেল উলংগ অবসায় বেস ইশারায় রকু সাজদা কের সালাত আদায় কের,
তাহেলও তার জনয জাইয হেব। েকননা বসার মেধয লজাসােনর সতর হয়। আর দািড়েয় পড়েল উেলিখত
রকনগেলা আদায় হয়। সুতরাং দেটার েয েকান একিট েস গহণ করেত পাের।

তেব পথমিটই উতম। েকননা, সতর ঢাকা ফরয হেয়েছ সালােতর হক িহসােব এবং মানুেষর হক িহসােব।
তাছাড়া এর েকান সলবতরী েনই। আর ইশারা হেয়েছ রকেনর সলবতরী।

ইমাম কুদরূ ী (র.) বেলন, েয সালাত শর করেত যােচ, েস এমনভােব িনয়যত করেব েয, িনয়যত ও তাহরীমার
মােঝ েকান কম দারা বযবধােন সৃিষ করেব না।

এ শতরিটর মূল হেলা রাসূলুলাহ (সা.) এর হাদীছ (যাবতীয় আমল িনয়যেতর উপর িনভররশীল)।

তাছাড়া সালােতর শর হয় িকয়াম বা দাড়ােনা অবসা দারা। আরা তা অভযাস ও ইবাদত উভেয়র মেধয
েদাদলযমান। সুতরাং িনয়যত ছাড়া এেত পাথরকয সৃিষ হেব না।

আর েয িনয়যত তাকবীেরর পূেবর করা হয়, তা তাকবীেরর সময়ও িবদযমান আেছ বেল গণয। যিদ তােক
িবিচনকারী েকান িকছু না পাওয়া যায়। অথরাত এমন েকান কাজ, যা সালােতর উপেযাগী নয়। আর তাকবীেরর
পরবতরী িনয়যত গহণেযাগয নয়। েকননা িনয়যেতর পূেবর যা িবগত হেয়েছ, তা িনয়যতহীনতার কারেণ ইবাদত হেব
না। িসয়ােমর েকেত অবশয পেয়াজেনর কারেণ তা কােয়ম রাখা হেয়েছ।

িনয়যত অথর ইচা, তেব শতর এই েয, িনেজ অনের জাত হেত হেব েয, েকান সালাত েস আদায় করেছ। মুেখ
উচারণ করা ধতরবয নয়। তেব উচারণ করা উতম। েকননা, তা ইচােক সংহত কের।

60
উেলখয েয, সালাত যিদ নফল হয় তাহেল সাধারণ িনয়যতই যেথষ। িবশদ। িবশদ মেত সুনত সালােতরও এ
হকুম। আর যিদ ফরয সালাত হয় তেব ফরয িনধরািরত হওয়া জররী। উদাহরণ সরপ, েযমন, যুহর। েকননা
ফরয িবিভন পকার হেয় থােক।

আর যিদ অনয কােরা মুকতাদী হয়, তাহেল সালােতর এবং ইমােমর অনুগমেনর িনয়যত করেব। েকননা, ইমােমর
িদক েথেক তার সালােত ফাসাদ আেরািপত হেয় থােক। সুতরাং তার পক েথেক এই বাধযবাধকতা গহণ
আবশযক।

গনকার বেলন- আর িকবলামুখী হেব। েকননা আলাহ তা’আলা বেলেছন- েতামরা েতামােদর মুখমণল মুসিজদল
হারাম অিভমুখী কর। তেব েয বযিক মকায় অবসান করেছ, তার জনয সয়ং কা’বামুখী হওয়া ফরয। আর মকায়
অনুপিসত বযিকর জনয ফরয হেলা কা’বার িদেকর পিত মুখ করা। এ-ই িবশদমত। েকননা, দািয়ত অিপরত হয়
সাধয অনুসাের।

েয বযিক ভীিতগস হয়, েস েয িদেকই সকম হয় েসিদেকই মুখ কের সালাত আদায় করেব। েকননা, ওযর
িবদযমান থাকার কারেণ। সুতরাং িকবলা অজাত হওয়ার অনুরপ হেব। যিদ কােরা জনয িকবলা অজাত (ূ
সেনহপূণর) হেয় পেড় এবং তার কােছ এমন েকউ না থােক, যােক েকবলা সমেকর িজজাসা করেত পাের। তাহেল
সাধযানুযায়ী িচনা কের িকবলা িসর কের েনেব। েকননা সাহাবােয় িকরাম িচনা কের (িকবলা িনধরারণ পূবরক)
সালাত আদায় কেরেছন। আর রাসূলুলাহ (সা.) তােদঁর কাজ পতযাখযান কেরনিন।

তাছাড়া অিধকতর শিকশালী দলীেলর অবতরমােন পকাশয পমােণর উপর আমল করাই ওয়ািজব। আর সংবাদ
িজজাসা িচনা-ভাবনার েচেয় অগািধকার রােখ।

সালাত আদােয়র পর যিদ েস জানেত পাের েয, েস ভুল কেরিছেলা, তাহেল সালাত েদাহরােত হেব না।

ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, যিদ িকবলার িদেক িপঠ িদেয় থােক, তাহেল ভুল িনিশত হওয়ার কারেণ সালাত
েদাহরােব।

আর আমােদর দলীল হল, িচনা-ভাবনা দারা িনধরািরত িদেকর অিভমুখী হওয়া ছাড়া অনয িকছু তার সােধয িছল
না। আর দািয়ত অপরন সােধযর উপর িনভররশীল।

আর যিদ েস সালােতর মেধযই তা জানেত পাের, তাহেল িকবলার িদেক ঘুের যােব। েকননা, কুবাবাসীরা যখন
িকবলা পিরবতরেনর খবর শনেত েপেলন তখন তঁারা সালােতর অবসােতই ঘুের েগেলন এবং নবী করীম (সা.) তা
পসন কেরিছেলন। তদপ যিদ তার িসদান অনযিদেক পিরবিতরত হেয় যায় তাহেল েস েসিদেকর অিভমুখী হেব।
েকননা, পরবতরী েকেত নতুন ইজিতহােদর উপর আমল করা আবশযক; তেব তােত ইেতাপূেবর আদায়কৃত অংশ ভংগ
হেব না।

েয বযিক অনকার রােত েকান জামা’আেতর ইমামিত করল এবং িচনা-ভাবনার মাধযেম িকবলা িনধরারণ কের
পূবরমুখী হেয় সালাত আদায় করল, আর তার িপছেন যারা রেয়েছ তারাও িচনা-ভাবনার মাধযেম পেতযক এেকক

61
িদেক সালাত আদায় করল, এমন অবসায় েয, পেতযক ইমােমর পশােত আেছ এবং ইমাম কী করেছন তা তােদর
জানা েনই, তাহেল তা সবার জনয জাইয হেব। েকননা, িচনা-ভাবনার মাধযেম িনধরািরত িদেক অিভমুখী হওয়া
েতা পাওয়া েগেছ। আর ইমােমর সােথ এই িবেরাধ বাধা সৃিষ কের না। েযমন কা’বার অভযনেরর মাসআলা।

িকন তােদর মেধয েয ইমােমর িবপরীত অবসা জানেত পাের, তার সালাত ফািসদ হেয় যােব। েকননা আপন ইমাম
ভুেলর উপর আেছ বেল েস িবশাস করেছ।

আর এ হকুম েস ইমােমর সমুেখ হেলও। েকননা েস তার সানগত ফরয তরক কেরেছ।

চতুথর অনুেচদ
সালােতর ধারাবািহক িববরণ
সালােতর ফরয ছয়িট

(পথমতঃ) তাহরীমা। েকননা আলাহ তা’আলা বেলেছন- (তুিম েতামার পিতপালেকর নােম তাকবীর বেলা) আর
(মুফাসিসরেদর সবরসমিতকেম) আয়ােতর উেদশয হেচ তাকবীের তাহরীমা।

(িদতীয়তঃ) িকয়াম। েকননা আলাহ তা’আলা বেলেছন- েতামরা একাগ িচেত আলাহর সমুেখ দণায়মান হও)

(তৃতীয়তঃ) িকরাআত। েকননা আলাহ তা’আলা বেলেছন- কুরআেনর েয অংশ সহেজ সমব হয় েতামরা পেড়া,
রকু ও সাজদা করা, েকননা আলাহ তা’আলা বেলেছন- েতামরা রকু কেরা এবং সাজদা কেরা।

সালােতর পের তাশাহদ পিরমাণ ৈবঠক। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) ইবন মাস’উদ (রা.) েক তাশাহদ িশকাদান
কােল বেলেছন- তুিম যখন এ বলেল বা এ করেল তখন েতামার সালাত সমাপ হল।

এখােন সালােতর সমূণরতােরক িতিন বসার কােজর সােথ যুক কেরেছন (তাশাহহদ) পাঠ করক বা না করক।

ইমাম কুদূরী বেলন, এছাড়া আর যা িকছু, তা সুনত।

ইমাম কুদরূ ী এখােন সুনত শবিট বযবহার কেরেছন।অথচ তােত িবিভন ওয়ািজব িবষয় রেয়েছ। েযমন, ফািতহা
পাঠ, তার সােথ সূরা েযাগ করা, েয কাজ শরীআত কতৃক
র একািধকবার িনধরািরত হেয়েছ, েসগেলার মােঝ তারতীব
রকা করা। পথম ৈবঠক, েশষ ৈবঠেক তাশাহহদ পাঠ, সালােতর কুনূত, দই ঈেদর তাকবীরসমূহ এবং েয সকল
সালােত উচসের িকরাত পাঠ করা েস সকল সালােত উচসের িকরাত পাঠ এবং েয সকল সালােত অনুচসের
িকরাত পাঠ করা হয়, েস সকল সালােত অনুচসের িকরাত পাঠ। এজনযই এগেলার েকান একিট তরক করেল

62
তার উপর দ’িট সাজদাসহ ওয়ািজব হয়। এ-িবশদ মত। কুদূরীেত একগেলােক সুনাত বলার কারণ এই েয,
এগেলার ওয়ািজবত সুনাহ দারা সালাত হেয়েছ।

যখন সালাত শর করেব তখন তাকবীর বলেব। ইেতাপুেবর আমােদর পিঠত আয়ােতর কারেণ। তাছাড়া রাসূলুলাহ
(সা.) বেলেছন- তাকবীর হেলা সালােতর তাহরীম। আমােদর মেত তাকবীের তাহরীমা হেলা সালােতর শতর।
ইমাম শািফঈ (র.) িভনমত েপাষণ কেরন (তঁার মেত এটা রকন)। (আমােদর মেত শতর হওয়ার কারেণই) েয
ফরেযর তাহরীমা বঁাধেব, েস ঐ তাহরীমা দারা নফল সালাত আদায় করেত পারেব।

িতিন বেলন, অনযানয রকেনর জনয েয সব শতর রেয়েছ, তাহারীমার জনযও েসসব শতর রেয়েছ। আর এিট রকন
হওয়ার আলামত।

আমােদর যুিক এই- েস তার পিতপালেকর নােম িনেলা অতঃপর সালাত আদায় করল)।

এই আয়ােত আলাহ তা’আলা তাকবীেরর উপর সালাতেক কেরেছন। আর এর দাবী হেলা উভেয়র ৈবপরীতয। আর
একারেণই অনযানয রকেনর পুনঃ েপৌিনকতার মেতা এইটা পুনঃ েপৌিনক হয় না।

(রকনসমূেহর) যাবতীয় শতর এখােন িবেবচনা করার কারণ এই েয, িকয়াম রকনিট তার সংলগ।

তাকবীেরর সােথ উভয় হাত উেতালন করেব। এিট সুনত। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) এটা িনয়িমত কেরেছন। এই
শবিট এিদেক ইংিগত কের েয, তাকবীর ও হসদেয়র উেতালন একেত হওয়া শতর। ইমাম আবূ ইউসূফ (র.)
েথেক এ মতামত বিণরত হেয়েছ এবং ইমাম তাহাবী (রা.) এ আমল কেরেছন বেল বিণরত হেয়েছ।

তেব িবশদতম মত এই েয, পথেম উভয় হাত উঠােব। তারপর তাকবীর বলেব। েকননা তার একাজ গায়রলাহ
েথেক বড়েতর অসীকৃিত জাপক। আর অসীকৃিত সীকৃিতর উপর অগবতরী হেয় থােক।

উভয় হাত এতটা উপের উঠােব, যােত বৃদাংগিল দ’েটা উভয় কােনর লিতকার বরাবর হয়।

ইমাম শািফঈ (র.) এর মেত হাত উভয় কঁাধ পযরন উঠােব। কুনূেতর তাকবীর, ঈেদর তাকবীর ও জানাযার
তাকবীর সমেকরও একই মতপাথরকয।

ইমাম শািফঈ (র.) এর দলীল হেলা আবূ হমায়াদ সাঈদী (রা.) বিণরত হাদীছ। িতিন বেলন, রাসূলুলাহ (সা.)
যখন তাকবীর বলেতন, তখন উভয় হাত কাধ পযরন তুলেতন।

আমােদর দলীল হেলা, ওয়াইল ইবন হাজার, বারা ও আনাস (রা.) বিণরত হাদীছ। তারা বেলন, নবী (সা.) যখন
তাকবীর বলেতন, তখন উভয় হাত তঁার কান পযরন উঠােতন।

তাছাড়া হাত উঠােনার উপকািরতা হেলা বিধরেদরেক অবিহত করণ। আর তা ঐ ভােবই সমব, েযভােব আমরা
বেলিছ।

63
আর ইমাম শািফঈ (র.) বিণরত হাদীছেক অপারগতার অবসার উপর আেরাপ করা হেব। সীেলাক তার উভয় হাত
কাধ পযরন উঠােব। এ-ই িবশদ মত। েকননা এটা তার সতর রকার জনয অিধক উপেযাগী।

যিদ তাকবীেরর পিরবেতর আলাহ আকবার িকংবা আলাহর অনযানয নাম (ও গণ) উচারণ কের তাহেল ইমাম আবূ
হানীফা ও মুহামদ (র.)এর মেত তা যেথষ হেব। আর ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) বেলন, যিদ েস তাকবীেরর শদ
উচারেণ সকম হয়, তাহেল আলাহ আকবার ছাড়া অনয িকছু জাইয হেব না।

ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, পথম দ’িট ছাড়া অনয িকছু জাইয হেব না।

আর ইমাম মািলক (র.) বেলন, পথমিট ছাড়া অনয িকছু জাূূ হ েব না। েকননা (নবী সা. এর আমল
্ ইয
রেপ) এিটই বিণরত হেয়েছ। আর এেকেত শধু বিণরত হাদীছ েথেক জান লাভ করাই আসল।

ইমাম শািফ(র.) (নীিতগতভােব ইমাম মািলেকর যুিক সীকার কের) বেলন, লাম আিলফ যুক করা পশংসার েকেত
অিধক অথরবহ। সুতরাং এিট তার সলবতরী।

ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) বেলন, আলাহর গণাবলীর েকেত উভয় ‘মােপর’ শব সমাথরক। তেব তাকবীেরর শদ
উচারেণ অকমতার িবষয়িট বযিতকম। েকননা তখন েতা েস মমর পকােশই শধু সকম।

ইমাম আবূ হানীফা ও ইমাম মুহামদ (র.) এর যুিক এই েয, তাকবীেরর আিভধািনক অথর হেলা মযরাদা পকাশ।
আর তা পকািশত হেয়েছ।

যিদ ফাসরীেত সালাত শর কের। িকংবা ফারসী ভাষায় সালােতর িকরাত পাঠ কের িকংবা যবাহ করার সময় ফারসী
ভাষায় িবসিমলাহ পেড় অথচ েস শদ আরবী বলেত পাের তাহেল ইমাম আবূ হানীফা (র.)এর মেত তা যেথষ
হেব। আর ইমাম আবূ ইউসূফ ও ইমাম মুহামদ (র.) বেলন, পশ যবাহ ছাড়া অনয েকান েকেত তা যেথষ হেব
না। তেব যিদ শদ আরবী বলেত অকম হয়, তাহেল যেথষ হেব।

সালােতর উেদাধন (তথা তাকবীর) পসংেগ আরবী ভাষায় হেল ইমাম মুহামদ (র.) ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর
সংেগ একমত। পকানের ফারসী ভাষার হেল ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর সংেগ একমত। েকননা আরবী
ভাষার এমন িকছু ৈবিশষয আেছ, যা অনয ভাষার েনই।

আর িকরাত সমেকর ইমাম আবূ ইউসূফ ও মুহামদ (র.) এর বকেবযর দলীল এই েয, কুরআন আরবী শবসমিষর
নাম, েযমন কুরআেনর আয়ােত তা বলা হেয়েছ। তেব আপারগতার সময় শধু ভাব ও মমরেকই যেথষ মেন করা
হেব। েযমন (রকু সাজদা আদােয় অপারগতার সময়) ইশারােক যেথষ মেন করা হয়। (তেব যবােহর সময়)
িবসিমলািহর িবষয়িট বযিতকম। েকননা আলাহর িযিকর েয েকান ভাষায় হেত পাের।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) দলীল হেলা আলাহ তা’আলার িনেমাক বাণী- িনঃসেনেহ এ কুরআন পূববর তরীেদর
িকতাবসমূেহ িবদযমান িছেলা আর েসখােন তা এ ভাষায় অবশযই িছল না। একারেণই অপারগতার সময় অনয
ভাষায় জাইয রেয়েছ। কমাগত অনুসৃত িনয়েমর িবরদাচরেণর কারেণ েস গনাহগার হেব। এটাই িবশদ মত।
েকননা ভাষার িভনতার কারেণ মমর িভন হয় না।

64
আর মতপাথরকযিট হেলা গহণেযাগযতার েকেত। সালাত ফািসদ না হওয়ার বযাপাের েকান িদমত েনই। বিণরত
আেছ েয, মূল মাসআলায় ইমাম সােহব উক ইমামদেয়র বকেবযর পিত পতযাবতরন কেরেছন। আর তা-ই
িনভররেযাগয। খুতবা ও তাশাহহদ সমেকরও অনুরপ মতপাথরকয রেয়েছ। আর আযােনর বযাপাের সানীয় পচলন
িবেবচয হেব।

যিদ বেল সালাত আরম কের, তাহেল তা জাইয হেব না। েকননা এেত তার সােথরর ‘িমশণ’ রেয়েছ। সুতরাং তা
খািলস তাযীম থােকিন। আর যিদ শধু বেল আরম কের তাহেল কােরা কােরা মেত জাইয হেব। েকননা এর অথর
হেলা তেব অনয এক মেত তা জাইয হেব না। েকননা এর অথর হেলা- েহ আলাহ আমােদর কলযাণ করন)
সুতরাং এটা পাথরনা হেলা।

ইমাম কুদরূ ী (র.) বেলন, েস তার নািভর নীেচ বাম হােতর উপর ডান হাত সাপন করেব। েকননা রাসূলুলাহ
(সা.) বেলেছন- নািভর নীেচ বাম হােতর উপর ডান হাত সাপন সুনােতর অনভূরক।

এ হাদীছ হাত েছেড় রাখার বযাপাের ইমাম মািলক (র.) এর িবপেক দলীল।

তাছাড়া হাত নািভর নীেচ রাখা ‘তাযীম পকােশর অিধকতর িনকটবতরী এবং তা-ই হেলা উেদশয।

আর ইমাম আবূ হানীফা (র.) ও ইমাম আবূ ইউসূেফর মেত ‘হাত বঁাধা’ হেচ িকয়ােমর সুনাত। সুতরাং ছানা
পড়ার সময় তা েছেড় রাখেব না। মূল নীিত এই েয, েয িকয়ােমর মেধয েকান িযিকর সুনত রেয়েছ, তােত হাত
েবঁেধ রাখা হেব, অনযথায় নয়। এ-ই িবশদ মত। সুতরাং কুনূেতর অবসায় এবং জানাযার সালােত হাত েবঁেধ
রাখেব, পকানের রকুর পর দঁাড়ােনা অবসায় এবং ঈেদর তাকবীরসমূেহর মধযবতরী সমেয় হাত েছেড় রাখেব।

ইমাম আবূ ইউসূফ েথেক বিণরত আেছ েয, এর সােথ ইিন ওয়াযযাহাতু ওয়াযিহয়াহ েথেক েশষ পযরন দ’আিট
েযাগ করেব। েকননা, হযরত ‘আলী (রা.) েথেক বিণরত আেছ েয, নবী (সা.) তা বলেতন।

ইমাম আবূ হানীফা ও ইমাম মুহামদ (র.) এর দলীল হেলা, আনাস (রা.) েথেক বিণরত আেছ েয, নবী কিরম
(সা.) যখন সালাত আরম করেতন, তখন তাকবীর বলেতন এবং সুবাহানাকা আলাহমা ওয়ািবহামিদকা েথেক েশষ
পযরন পড়েতন। এর অিতিরক িকছু পাঠ করেতন না। ইমাম আবূ ইউসূফ বিণরত হাদীছিট তাহাজুেদর েকেত
পেযাজয।

মশহর হাদীছগেলােত বাকযিট েনই। সুতরাং ফরয সালােত তা বলেব না। তাকবীেরর পূেবর ইিন ওয়াযযাহাতু
ওয়াযিহয়া বলেব না, যােত িনয়যত তাকবীেরর সােথ যুক থােক। এ-ই িবশদ মত।

আর িবতািড়ত শয়তান েথেক আলাহর আশয় পাথরনা করেব। েকননা আলাহ তা’আলা বেলেছন- যখন তুিম
কুরআন পড়েব তখন িবতািড়ত শয়তান েথেক আলাহর আশয় পাথরনা কেরা।

এর অথর হেলা, যখন কুরআন পােঠর ইচা করেব। বলাই হেলা উতম, যােত কুরআেনর শেবর সােথ িমল হয়।
আউওযুিবলাহ শবিটও এর কাছাকািছ।

65
যা েহাক, ইমাম আবূ হানীফা ও মুহামদ (র.) এর মেত- তাজ হেচ িকরােতর সােথ সংযুক, ছানার সােথ নয়।
আমােদর েপশকৃত আয়াত এর দলীল। তাই মসবূক বলেব, িকন মুকািদ বলেব না। এবং ঈেদর সালােতর
তাকবীরসমূেহর পের বলেব। আবূ ইউসূফ (র.) িভনমত েপাষণ কেরন এবং িবসিমলািহর রাহমািনর রাহীম
পড়েব। মশহর হাদীছগেলােত এরপই বিণরত হেয়েছ।

(আউযুিবলাহ ও িবসিমলাহ) দ’েটাই অনুচসের পড়েব। েকননা ইবন মাস’উদ (রা.) বেলেছন- চারিট বাকয
ইমাম নীরেব পড়েব। তেনেধয িতিন আউযুিবলাহ িবসিমলাহ ও আমীন উেলখ কেরেছন।

ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, উৈচসের পড়ার সময় িবসিমলাহও উচসের পড়েব। েকননা বিণরত আেছ েয, নবী
(সা.) তার সালােত িবসিমলাহ উৈচসের পেড়েছন।

এর জবােব আমরা বিল েয, তা িশকাদােনর েকেত িছেলা। েকননা, আনাস (রা.) অবিহত কেরেছন েয, নবী
(সা.) িবসিমলাহ উৈচসের পড়েতন না।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) েথেক একিট বণরনা এরপ আেছ েয, তাজ এর নযায় িবসিমলাহ পেতযক রাকাআেতর
শরেত বলেব না (বরং শধু সালােতর শরেত বলেব)। তেব তার েথেক আেরকিট বণরনা আেছ েয, সতকরতামূলক
পেতযক রাকাআেত িবসিমলাহ পড়েব। ইমাম আবূ ইউসূফ ও মুহামদ (র.) এর মতও তাই।

সূরা ও ফািতহার মােঝ িবসিমলাহ পাঠ করেব না। ইমাম মুহামদ (র.) এর মেত নীরব িকরাত িবিশষ সালােত তা
পড়েব।

তারপর সূরাতুল ফািতহা পড়েব এবং অনয একিট সূরা িকংবা েয েকান সূরা েথেক ইচা িতনিট আয়াত।

েমাটকথা, আমােদর মেত ফািতহা পাঠ রকন িহসােব িনধরািরত নয়। তদপ তার সােথ সূরা িমলােনাও। ফািতহা
সমেকর ইমাম শািফঈ (র.) িভনমত েপাষণ কেরেছন। এবং উভয়িট সমেকর ইমাম মািলক (র.) এর িভন মত
রেয়েছ।

ইমাম মািলক (র.) এর দলীল হেলা রাসূলুলাহ (সা.) এর বাণী- ফািতহা এবং তার সােথ সংযুক একিট সূরা ছাড়া
সালাত হয় না।

ইমাম শািফঈ (র.) এর দলীল হেলা রাসূলুলাহ (সা.) এর বাণী- সুরাতুল ফািতহা ছাড়া সালাত হয় না।

আমােদর দলীল হেলা আলাহ তা’আলার বাণী – কুরআেনর েয অংশ সহেজ সমব হয়, েতামরা পেড়া। আর ‘
খাবরল ওয়ািহদ’ হাদীছ দারা িকতাবুলাহর সােথ অিতিরক িবষয় েযাগ করা ৈবধ নয়। তেব তার উপর আমল
ওয়ািজব। তাই আমরা সূরাতুল ফািতহা ও অনয সূরা িমলােনােক ওয়ািজব বিল।

ইমাম যখন ওয়ালাদদওয়ািলন বলেব তখন আিমন বলেব। এবং মুকািদও তা বলেব। েকননা রাসূলুলাহ (সা.)
হাদীেছর েশেষ বেলেছন- েকননা ইমাম তা বেলন।

66
ইমাম কুদূরী (র.) বেলন, মুকািদয়া তা অনুৈচসের বলেব। েকননা আমােদর পূবর বিণরত আবদলাহ ইবন মাস’উেদর
হাদীেছ এরপ আেছ।

তাছাড়া এটা দ’আ িবেশষ। সুতরাং েগাপন করার উপরই তার িভিত হেব।

শবিটেত দীঘর আিলফ ও হস আিলফ দেটা উচারণই রেয়েছ। শেব (মীেমর) উপর তাশদীদ পেয়াগ মারাতক
ভুল।

ইমাম কুদূরী (র.) বেলন, তারপর তাকবীর বলেব ও রকু করেব।

গেন রেয়েছ, নত হওয়ার সংেগ তাকবীর বলেব। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) নামােয পেতযক উঠা-নামার সময়
তাকবীর বলেতন।

তাকবীরেক খােটাভােব উচারণ করেব। েকননা তাকবীেরর পথমাংেশ লমা করা দীেনর দৃিষেত ভুল। েকননা তা
পশেবাধক হেয় যােব। পকানের েশষাংেশ লমা করা ভাষাগত িদক েথেক ভুল।

উভয় হাত দই হাটুেত সাপন করেব এবং আংগলগেলার মােঝ ফঁাক রাখেব। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) আনাস
(রা.) েক বেলেছন- যখন তুিম রকু করেব তখন েতামার দ’হাত হাটুেত রাখেব। এবং েতামার আংগলগেলার
মােঝ ফাক করেব।

এ অবসা ছাড়া অনয কখেনা আংগল ফাক রাখা মুসাহাব নয়, েযন শক কের ধরা হয়। তদপ সাজদার অবসা
ছাড়া অনয কখেনা আংগলগেলা িমিলেয় রাখা মুসাহাব নয়। এ ছাড়া অনযানয েকেত সাভািবক অবসায় েছেড়
িদেব।

আর িপঠেক সমতল ভােব রাখেব। েকননা নবী (সা.) যখন রকু করেতন তখন তার িপঠ সমতলভােব রাখেতন।
এবং িনজ মাথা উপেরর িদেক উঠােব না এবং ঝুকােবও না। েকননা নবী (সা.) যখন রকু করেতন তখন িতিন
মাথা উপেরর িদেক উঠােতন না এবং ঝুিকেয়ও রাখেতন না।

আর িতনবার সুবাহানা রািবয়াল আিযম বলেব। আর এটা হেলা তাসবীেহর সবরিনম পিরমাণ। েকননা রাসূলুলাহ
(সা.) বেলেছন- েতামােদর েকউ যখন রকু কের তখন েস েযন তার রকুেত িতনবার সুবাহানা রািবয়াল আিযম
বেল। আর এটা হেলা তার সবরিনম পিরমাণ।

অথরাত বহবচন পূণর করার সবরিনম পিরমাণ।

তারপর মাথা তুলেব এবং সািমআলাহ হিলমান হামীদা বলেব আর মুকািদ রাবানা লাকাল হামদ বলেব। আবূ
হানীফা (র.) এর মেত ইমাম তা বলেবন। ইমাম আবূ ইউসূফ ও মুহামদ (র.) বেলন, ইমাম তা মেন মেন
বলেবন। েকননা আবূ হরায়রা (রা.) বণরনা কেরেছন েয, নবী (সা.) উভয় িযিকরেকও একত করেতন।

তাছাড়া ইমাম অনযেক (তা বলেত ) উদুদ করেছন। সুতরাং িতিন িনেজেক তা বলেত পােরন না।

67
ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর দলীল হেলা রাসূলুলাহ (সা.) এর বাণী-

ইমাম যখন বেলন সািমআলাহ......... বেলন তখন েতামরা রাবানা........ বেলা। এ হেলা বনন, যা শরীিকর
পিরপনী। এজনযই েতা আমােদর মেত মুকিদ সািমআলাহ....... বলেব না। অবশয ইমাম শািফঈ (র.) িভনমত
েপাষণ কেরন।

তাছাড়া ইমােমর তাহমীদ মুকািদর তাহমীেদর পের হেয় যােব, যা ইমামত পদবীর পিরপনী।

আর আবূ হরায়রা (রা.) বিণরত হাদীছ মুনাফািরেদর েকেত পেযাজয। িবশদ মেত মুনাফািরদ উভয়িটেক একত
করেব। যিদও শধু সািমআলাহ......বলা এবং অপর িরওয়ায়ােত রাবানা.......... বলার কথাও বিণরত হেয়েছ।

আর ইমাম মুকািদেক তাহমীেরর পিত উদুদ করার মাধযেম পেরাকভােব তা পালন কেরেছন।

ইমাম কুদূরী বেলন- অতঃপর যখন েসাজা হেয় দঁাড়ােব তখন তাকবীর বলেব এবং সাজদায় যােব।

তাকবীর ও সাজদার কারণ তা যা আমরা বণরনা কের এেসিছ। তেব েসাজা হেয় দাড়ােনা অবশয ফরয নয়। তদপ
দই সাজদার মােঝ বসা এবং রকু ও সাজদায় সুিসর হওয়াও ফরয নয়। এিট ইমাম আবূ হানীফা ও ইমাম
মুহামদ (র.) এর মত।

ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) বেলন, এগেলা সবই ফরয। ইমাম শািফঈ (র.) এরও এইমত। েকননা দততার সােথ
সালাত আদায়কারী জৈনক েবদঈন সাহাবীেক রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- দাড়াও এবং পুনঃ সালাত আদায় কর।
েকননা তুিম সালাত আদায় করিন। ইমাম আবূ হানীফা ও মুহামদ (র.) এর দলীল এই েয, এর আিভধািনক
অথর মাথা ঝুকােনা এবং এর আিভধািনক অথর মাথা পূণর অবনত করা। সুতরাং রকু ও সাজদার সবরিনম পিরমােণর
সােথ রকুেনর সমকর হেব। তদপ (রকু েথেক সাজদায় বা সাজদা েথেক সাজদায়) গমেনর েকেতও সবরিনম
পিরমাণ িবেবচয হেব। েকননা তা উেদশয নয়।

আর বিণরত হাদীেছর েশষাংেশ েবদঈন সাহাবীর আমলেক সালাত আখযািয়ত করা হেয়েছ। েকননা রাসূলুলাহ
(সা.) বেলেছন তা েথেক েয পিরমাণ তুিম কম করেল, মূলতঃ তুিম েতামার সালাত েথেক েসই পিরমাণ কিত
করেল।

ইমাম আবূ হানীফা ও ইমাম মুহামদ (র.) এর মেত, তারপর ‘কাওমাহ’ ও জালছা’ সুনাত। তদপ ইমাম (আবূ
আবদলাহ) জুরজানী (র.) এর তাখরীজ (মাসআলা িবেশষণ) মুতািবক সুিসরতা অবলমন করাও সুনাত। আর
ইমাম কারখী (র.) এর তাখরীজ মুতািবক তা ওয়ািজব। সুতরাং তার মেত সুিসরতা বজরন করেল সাজদা সাহ
ওয়ািজব হেব। আর উভয় হাত মািটেত রাখেব। েকননা ওয়াইল ইবন হজুর (রা.) রাসূলুলাহ (সা.) এর
সালােতর সরপ েদখােত িগেয় সাজদা কেরেছন এবং উভয় হােতর তালুর উপর ভর িদেয়েছন এবং িনতম উচু কের
েরেখেছন।

আর মুখমণল দই হােতর তালুর মধযবতরী সােন করেব। এবং উভয় হাত উভয় কান বরাবর রাখেব। েকননা, বিণরত
আেছ েয, নবী (সা.) এরপ কেরেছন।

68
ইমাম কুদূরী বেলন- আর িনেজর নাক ও কপােলর উপর সাজদা করেব। েকননা নবী (সা.) িনয়িমত এরপ
কেরেছন।

তেব যিদ দ’িটর একিটর মেধয সীমাবদ রােখ তাহেল তা ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মেত জাইয। ইমাম
মুহামদ ও ইমাম আবূ ইউসূফ বেলন, ওযর ছাড়া শধু নােকর উপর সীমাবদ করা জাইয হেব না।

আর এটা হেচ ইমাম আবূ হানীফা (র.) েথেক পাপ আেরক িরওয়ায়াত। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন-
আমােক ‘সপ পতযেঙর উপর সাজদা করার িনেদরশ েদওয়া হেয়েছ। তনেধয কপালেকও িতিন গণয কেরেছন।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর দলীল এই েয, ভূিমেত মুখমণেলর অংশ িবেশষ সাপন দারাই সাজদা সমন হয়।
আর তাই আিদষ িবষয়। তেব সবরসমিতকেম গণেদশ ও িচবুক এর েথেক বিহভূরত।

আর আেলাচয হাদীেছর পিসদ বণরনায় মুখমণল শবিট রেয়েছ।

উভয় হাত এরং উভয় হাটু মািটেত সাপন করা আমােদর িনকট সুনাত । েকননা এ দ’েটা ছাড়াও সাজদা সমন
হয়।

আর দই পা মািটেত রাখা সমেকর ইমাম কুদূরী (র.) বেলেছন েয, সাজদায় তা ফরয।

আর যিদ পাগড়ীর ‘পঁযাচ’ এর উপর বা বাড়িত কাপেড়র উপর সাজদা কের তেব তা জাইয হেব। েকননা নবী
(সা.) তার পাগড়ীর পযােচর উপর সাজদা করেতন। আেরা বিণরত আেছ েয, নবী (সা.) এক কাপেড় সালাত
আদায় কেরেছন এবং বাড়িত অংশ দারা ভুিমর গরম ও ঠাণা েথেক িনেজেক রকা কেরন।

এবং িনেজর উভয় বাহ েখালা রাখেব। েকননা নবী (সা.) বেলেছন- তুিম েতামার উভয় বাহ েখালা রাখেব। েকান
েকান বণরনায় যার অথর পসািরত করা। আর পথমিট েথেক িনষন, যার অথর পকাশ করা।

এবং তার েপট উভয় উর েথেক পৃথক রাখেব। েকননা নবী (সা.) সাজদা করার সময় এতটা পৃথক রাখেতন েয,
বকরীর েছাট বাচা ইচা করেল তার নীেচ িদেয় অিতকম করেত পারেতা। বলা হেয়েছ েয, কাতাের সালাত
আদােয়র সময় বাহ েবশী পৃথক করেব না, যােত পাশরবতরী মুসলী কষ না পায়।

আর
া পােয়র আাংগলগেলা
াি ক বলামুখী কের রাখেব । েকননা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- মু’িমন যখন সাজদা
কের তখন তার পিতিট অংগ সাজদা কের। সুতরাং েস েযন তার অংগগেলার যতদূর সমব িকবলামুখী কের রােখ।

আর্ সাজদার মেধয িতনবার সুবাহানাকা


র্ ্ ািবয়াল আলা বলেব। আর তা হল তার সবরিনম পিরমাণ। েকননা
রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- আর েতামােদর েকউ যখন সাজদা কের তখন েস েযন তার সাজদার িতনবার
সুবাহানাকা রািবয়াল আলা বেল। আর এিট হল তার সবরিনম পিরমাণ।

অথরাত পূণর বহবচেনর সবরিনম পিরমাণ। রকু ও সাজদার েকেত েবেজাড় সংখযায় েশষ করা সহ িতনবােরর অিধক
বলা মুসতাহাব। েকননা রাসূলূলাহ (সা.) েবেজাড় সংখযায় েশষ করেতন।

69
আর যিদ েকউ ইমাম হয় তাহেল সংখযা এত বৃিদ করেব না যা মুসিলগেণর কািনর কারণ হয় এবং অবেশেষ
(জামাআেতর পিত) তা িবরিক সৃিষ কের।

রকু ও সাজদায় তাসবীহ পাঠ সুনাত। েকননা আয়ােত উভয়িট তাসবীহ বযিতেরেকই উেলখ করা হেয়েছ। সুতরাং
আয়ােতর উপর বৃিদ করা যােব না।

আর সীেলাক নীচু হেয় সাজদা করেব এবং তার েপট উরদেয়র সােথ িমিলেয় রাখেব। েকননা এিট তার জনয
সতেরর অিধক উপেযাগী।

ইমাম কুদরূ ী (র.) বেলন, অতঃপর েস তার মাথা উঠােব এবং তাকবীর বলেব। এর দলীল ইেতাপূেবর আমােদর
বিণরত হাদীছ যখন সুিসর হেয় বসেব তখন তাকবীর বলেব ও সাজদায় যােব। েকননা েবদঈন (েক নামায
িশকাদান) সমিকরত হাদীেছ রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- তারপর তুিম েতামার মাথা তুলেব এমনিক েসাজা হেয়
বসেব।

যিদ েসাজা হেয় না বেস তাকবীর বেল আর এক সাজদায় চেল যায়, তাহেল ইমাম আবূ হানীফা ও মুহামদ (র.)
এর মেত তার জনয তা যেথষ হেব। পূেবরই আমরা এ িবষেয় আেলাচনা কেরিছ।

মাথা েতালার পিরমাণ সমেকর মাশােয়খগণ িবিভন মত পকাশ কেরেছন। তেব িবশদতম মত এই েয, যিদ েস
সাজদার অিধক িনকটবতরী েথেক যায়, তাহেল জাইয হেব না। েকননা, তােক (পূবরবতরী) সাজদায় রেয় েগেছ বেল
গণয করা হেব। তােত িদতীয় সাজদা হেয় যােব।

ইমাম কুদরূ ী (র.) বেলন, যখন সাজদায় িগেয় সুিসর হেব এরপর তাকবীর বলেব। এর দলীল আমরা বেল
এেসিছ।

আর উভয় পােয়র অগভােগর উপর ভর কের েসাজা হেয় দাড়ােব, বসেব না এবং এর দলীল আমরা বেল এেসিছ।

ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, সামানয সময় বসার পর যমীেনর উপর ভর িদেয় দাড়ােব। েকননা, নবী (সা.) এরপ
কেরেছন।

আমােদর দলীল হল আবূ হরায়রা (রা.) বিণরত হাদীছ। নবী (সা.) সালােত তার উভয় পােয়র সমখ ভােগর উপর
ভর কের দাড়ােতন।

ইমাম শািফঈ (র.) বিণরত হাদীছিট বাধরেকযর অবসার সােথ সমৃক। তাছাড়া এিট িবশাম ৈবঠক। আর সালাত
েতা িবশাম লােভর জনয পবিতরত হয়িন।

পথম রাকাআেত যা কেরেছ, িদতীয় রাকাআেত তাই করেব। েকননা িদতীয় রাকাআত হেচ রকানসমূেহর
পুনরাবৃিত।

তেব ছানা পড়েব না এবং আউযুিবলাহ পড়েব। েকননা উভয়িট একবারই পাঠ করা শরীআেত পমািণত।

70
পথম তাকবীর ছাড়া আর কখেনা দই হাত উঠােব না। রকুেত যাওয়া এবং রকু েথেক উঠার েকেত ইমাম
শািফঈ(র.) িভনমত েপাষণ কেরন। আমােদর দলীল এই েয, নবী (সা.) বেলেছন- সাতিট সান ছাড়া আর
েকাথাও হাত েতালা হেব না।তাকবীের তাহরীমা, কুনূেতর তাকবীর ও ঈেদর তাকবীরসমূহ।

বাকী চারিট সান হজ পসংেগ উেলখ কেরেছন।

হাত েতালা সমেকর েয হাদীছ বণরনা করা হয়, তা ইসলােমর পথম যুেগর উপর ধতরবয। এরপ ইবন যুবায়র (রা.)
েথেক বিণরত আেছ।

িদতীয় রাকাআেতর িদতীয় সাজদা েথেক যখন মাথা তুলেব, তখন বাম পা িবিছেয় তার উপর বসেব এবং ডান পা
সমূণর দাড় করােয় রাখেব এবং আংগলগেলা িকবলামুখী কের রাখেব।

সালােত রাসূলুলাহ (সা.) এর বসার এরপ িববরণই আইশা (রা.) িদেয়েছন।

আর উভয় হাত উরদেয়র উপর রাখেব ও আংগলগেলা িবিছেয় রাখেব এবং তাশাহদ পড়েব।

ওয়াইল (রা.) এর হাদীেছ এরপ বিণরত হেয়েছ। তাছাড়া এেত হােতর আংগলগেলা িকবলামূখী হয়।

আর যিদ সালাত আদায়কারী মিহলা হয়, তেব েস বাম িনতেমর উপর বসেব এবং ডান িদক িদেয় উভয় পা েবর
কের েদেব। েকননা এটা তার সতেরর জনয অিধক উপেযাগী। আর তাশাহদ হেলা এই-

যাবতীয় েমৌিখক ইবাদাত আলাহর জনয। েহ নবী আমােদর উপর সালাম—েশষ পযরন। (অথরাত আলাহর রহমত
ও বরকত েহাক। আমােদর উপর এবং আলাহর েনক বানােদর উপর সালাম েহাক। আিম সাকয িদিচ েয,
আলাহ ছাড়া েকান ইলাহ েনই এবং আেরা সাকয িদিচ েয, মুহামদ (সা.) তার বানা ও তার রাসূল।)

এটা আবদলাহ ইবন মাসউদ (রা.) বিণরত তাশাহদ। িতিন বেলন, রাসূলুলাহ (সা.) আমার হাত ধের আমােক
তাশাহদ িশকা িদেলন; েযমন িতিন আমােক কুরআেনর েকান সূরা িশকা িদেতন। িতিন বলেলন- (বেলা,
আতািহয়াতু িললািহ----------ইলা আেখিরিহ)। ইবন মাসউদ (রা.) এর তাশাহদ গহণ করা উতম ইবন
‘আবাস (রা.) বিণরত তাশাহদ েথেক। তার তাশাহদ হেচ-

েকননা, ইবন মাসউেদর হাদীেছ আেদশবাচক িকয়া রেয়েছ, যার নূনযতম চািহদা হেলা মুসাহাব হওয়া। তাছাড়া
যুক রেয়েছ, যা সামিগকতা বুঝায়। আর মেধয ওয়াও আিলফ ওয়াও অিতিরক রেয়েছ, যা বকেবযর নবায়ন
বুঝায়। েযমন কসেমর েকেত হেয় থােক। তাছাড়া িশকাদােনর েকেত এেত অিধক েজার েদওয়া হেয়েছ।

পথম ৈবঠেক এর উপর িকছু অিতিরক করেব না। েকননা ইবন মাসউদ (রা.) বেলেছন, রাসূলুলাহ (সা.)
আমােক সালােতর মােঝর এবং সালােতর েশেষর তাশাহদ িশকা িদেয়েছন। যখন সালােতর মধযবতরী তাশাহদ
হেতা, তখন িতিন তাশাহদ েশষ কের দািড়েয় েযেতন। আর যখন সালােতর েশষিদেকর তাশাহদ হেতা তখন
(এরপর) িনেজর জনয তা ইচা তা দ’আ করেতন।

71
েশষ দই রাকাআত শধু সূরাতুল ফািতহা পড়েব। েকননা, আবূ কাতাদা (রা.) বিণরত হাদীেছ আেছ েয, নবী
(সা.) েশষ রাকাআেত েকবল সূরাতুল ফািতহা পেড়েছন।

এ বণরনার উেদশয হেলা ফািতহা পাঠ উতম। এ-ই িবশদ মত। েকননা পথম দই রাকাআেতই িকরাত ফরয, যার
িববরণ ইনশালাহ পের আসেব।

আর েশষ ৈবঠেক ঐ অবসােতই বসেব, েয অবসায় পথম ৈবঠেক বেসিছেলা। েকননা ওয়াইল (রা.) ও ‘আইশা
(রা.) বিণরত হাদীেছ এরপই আেছ।

তাছাড়া এরপ বসা শরীেরর জনয কষদায়ক। সুতরাং তা উভয় পা ডান িদক িদেয় েবর কের িনতেমর উপর বসা,
যা ইমাম মািলক (রা.) গহণ কেরেছন, তার তুলনায় উতম হেব।

আর রাসূলুলাহ (সা.) িনতেমর উপর বেসেছন বেল বিণরত হাদীছেক ইমাম তাহাবী (র.) দবরল বেলেছন, অথবা তা
বাধযেকযর অবসার উপর আেরাপ করা হেব।

আর তাশাহদ পড়েব। আমােদর িনকট তা ওয়ািজব।

আর নবী (সা.) এর উপর দরদ পড়েব। আমােদর িনকট তা ফরয নয়।

উভয় েকেতই শািফঈ (র.) িভনমত েপাষণ কেরন। (আমােদর দলীল) েকননা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন-

যখন তুিম এটা বলেব বা করেব তখন েতামার সালাত পূণর হেয় েগেলা। যিদ তুিম উেঠ পড়েত চাও তাহেল উেঠ
পেড়া আর যিদ আেরা বসেত চাও তাহেল বেসা।

আর সালােতর বাইের রাসূলুলাহ (সা.) এর উপর পাঠ ওয়ািজব। ইমাম কারখী (র.) এর মেত শধু একবার আর
ইমাম তাহাবী (র.) এর মেত যখনই নবী (সা.) এর আেলাচনা হয়। সুতরাং আমােদর উপর অিপরত দািয়ত
পািলত হেয় যায়, এর মাধযেম। আর তাশাহেদর েকেত শবিট েয বিণরত হেয়েছ, (তার উতর এই েয) তার অথর
হেলা িনধরািরত সময়।

ইমাম কুদূরী (র.) বেলন, এবং কুরআেনর শবাবলী ও হাদীেছ বিণরত দ’আসমূেহর সােথ সাদৃশযপূণর দ’আ করেব।

পমাণ, ইেতাপূেবর আমােদর বিণরত ইবন মাসউদ (রা.) এর হাদীছ।নবী (সা.) তােক বেলেছন, এরপর তুিম
েতামার কােছ উতম ও পসননীয় দ’আ িনবরাচন কের নাও।

আর েয সকল পাথরনা মানুেষর কােছ করা অসমব নয়, েসগেলাই মানুেষর কালােমর সােথ সাদৃশযপূণর, েযমন এ
কথা বলা, েহ আলাহ! আমােক অমুক নারী িবেয় কিরেয় িদন। পকানের যা মানূেষর কােছ চাওয়া সমব নয়, তা
মানুেষর কালােমর সােথ সাদৃশযপূণর নয়। েযমন এ কথা বলা, (েহ আলাহ আমােক মাফ করন) আর বলাটা পথম
েশণীভূক। েকননা মানুেষর েকেতও এর বযবহার রেয়েছ। বলা হয় (শাসক বািহনীেক েবতন বা েরশন িদেলন)।

72
এরপর আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুলাহ বেল িনেজর ডান িদেক সালাম িফরােব। এবং বাম িদেক
অনুরপভােব সালাম িফরােব। েকননা ইবন মাসউদ (রা.) বণরনা কেরেছন েয, নবী (সা.) তার ডান িদেক এমন
ভােব সালাম িফরােতন েয, তার ডান গণেদেশর শভতা েদখা েযেতা এবং তার বাম িদেক এমন ভােব সালাম
িফরােতন েয, তার গণেদেশর শভতা েদখা েযেতা।

পথম সালাম দারা তার ডান িদেকর নারী-পুরষ ও েফেরশতােদর িনয়যত করেব। তদপ িদতীয় সালােম। েকননা
আমল িনয়যেতর উপর িনভররশীল। বতরমান যুেগ সী েলাকেদর িনয়যত করেব না। এবং তােদরও িনয়যত করেব না,
যারা তার শরীক নয়। এটাই িবশদ মত। েকননা সেমাধন উপিসতেদর পাপয।

(সালােমর সময়) মুকািদর জনয তার ইমােমর িনয়যত করা জররী। সুতরাং ডােন বা বােম থাকেল তােদর সােথই
তার িনয়যত কের িনেব।

আর যিদ তার বরাবের থােকন, তাহেল ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত ডান িদেকর অগািধকােরর িভিতেত
পথম সালােমর সময় তার িনয়যত করেব। ইমাম মুহামদ (র.) এর মেত- আর এটা আবূ হানীফা (র.) হেত পাপ
একিট মত- উভয় সালােম তার িনয়যত করেব। েকননা িতিন উভয় িদেকর অংশীদার।

আর একা একা সালাত আদায়কারী শধু েফেরশতােদর িনয়যত করেব, অনয কােরা িনয়যত করেব না। েকননা, তার
সােথ তারা বযতীত অনয েকউ েনই। আর ইমাম উভয় সালােম উক (মুকািদ ও েফেরশতােদর) িনয়যত করেব।

এ-ই িবশদ মত। েফেরশতােদর েকেত িনিদরষ েকান সংখযার িনয়যত করেব না। েকননা তােদর সংখযা সমেকর
িবিভন হাদীছ বিণরত আেছ। সুতরাং তা আিময়ােয় িকরােমর পিত ঈমান আনয়েনর সদৃশ।

আমােদর মেত ‘সালাম’ শব উচারণ করা ওয়ািজব, ফরয নয়। এ সমেকর ইমাম শািফঈ (র.) িভনমত েপাষণ
কেরন। িতিন রাসূললু াহ (সা.) এর িনেমাক বাণী দারা পমাণ েপশ কেরন-

সালাত শর করেব তাকবীর দারা আর তা েথেক েবর হেব সালাম দারা।

আমােদর দলীল হেলা বিণরত ইবন মাসউদ (রা.) এর হাদীছ (যােত েশষ ৈবঠেকর পর বেস থাকার িকংবা উেঠ
পড়ার ইখিতয়ার পদান করা হেয়েছ) আর এই ইখিতয়ার পদান ফরয বা ওয়ািজব হওয়ার পিরপনী। তেব আমরা
সতকরতা অবলমেন ইমাম শািফঈ (র.) বিণরত হাদীছ দারা ওয়ািজব হওয়া সাবযস কেরিছ। আর এ পযােয়র হাদীছ
দারা ফরয হওয়া পমািণত হয় না। আর আলাহই অিধক জােনন।

পিরেচদ-িকরাত
ইমাম হেল ফজের এবং মাগিরেব ও ঈশার পথম দই রাকাআেত উৈচসের িকরাত পড়েব এবং েশষ দই রাকাআেত
অনুৈচসের পড়েব।্ এটাই পরসরায় চেল এেসেছ। আর যিদ মুনফািরদ
হ্ ্ য় তা হেল েস ইচাধীন। চাইেল
েস উৈচসের পাঠ করেব এবং িনজেক েশানােব। েকননা িনেজর বযাপাের েস িনেজর ইমাম। আর চাইেল চুেপ

73
চুেপ পাঠ করেব। েকননা, তার িপছেন এমন েকউ েনই, যােক েস েশানােব। তেব উৈচসের পাঠ করাই উতম।
যােত জামা’আেতর অনুরপ আদায় হয়।

যুহর ও আসের ইমাম িকরাত চুেপ চুেপ পড়েব। এমন িক আরাফােত হেলও। েকননা, রাসূলুলাহ (সা.)
বেলেছন- িদবেসর সালাত িনবরাক। অথরাত তােত শত িকরাত েনই।

আরাফা সমেকর ইমাম মািলক (র.) এর িভনমত রেয়েছ। আর আমােদর বিণরত হাদীছিট তার িবপেক দলীল।

আর জুমুআ ও দই ঈেদ উৈচসের পাঠ করেব। েকননা উৈচসের পােঠর বণরনা মশহূর ভােব চেল এেসেছ। িদবেস
নফল সালাত চুেপ চুেপ পাঠ করেব। আর ফরয সালােতর উপর িকয়াস কের রােতর সালােত মুনাফািরেদর
ইখিতয়ার রেয়েছ। েকননা, নফল সালাত হেলা ফরেযর সমূরক। সুতরাং (িকরাআেতর েবলায়) নফল ফরেযর
অনুরপ হেব।

েয বযিকর ঈশার সালাত ফউত হেয় যায় এবং সূেযরাদেয়র পর তা পেড়, েস যিদ উক সালােত ইমামিত কের
তাহেল উচসের িকরাত পড়েব।

এর সকােল জামা’আেতর সােথ ফজেরর সালাত কাযা করার সময় রাসূলুলাহ (সা.) েযমন কেরিছেলন।

আর যিদ েস একা সালাত পেড়, তাহেল অবশযই নীরেব িকরাত পড়েব। (উভয় রকম পড়ার) ইখিতয়ার থাকেব
না। এটাই িবশদ মত। েকননা উৈচসের িকরাত সমৃক রেয়েছ জামা’আেতর সােথ অবশযমাবীরেপ, িকংবা
সমেয়র সােথ েসচামূলকভােব মুনাফািরেদর েকেত। অথচ এখােন দ’েটার েকানটাই পাওয়া যায় িন।

েয বযিক ঈশার পথম দই রাকা’আেত সূরা পাঠ করল িকন সূরাতুল ফািতহা পাঠ কেরিন, েস েশষ দই রাকাআেত
তা েদাহরােব না। পকানের যিদ সূরাতুল ফািতহা পেড় থােক িকন তার সােথ অনয সূরা েযাগ না কের থােক,
তাহেল েশষ দই রাকাআেত ফািতহা ও সূরা দেটাই পড়েব এবং উৈচসের পড়েব।

এটা ইমাম আবূ হানীফা ও মুহামদ (র.)এর মত। তেব ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) বেলন, দেটার মেধয েকানটাই
কাযা করেব না। েকননা ওয়ািজব যখন িনজ সময় েথেক ফউত হেয় যায়, তখন পরবতরীেত িবনা দলীেল েসটােক
কাযা করা যায় না।

উেলিখত ইমামদেয়র পেক দলীল – যা উভয় অবসার পাথরেকযর সােথ সমৃক েয, সূরাতুল ফািতহােক শরীআেত
এমন অবসায় িনিদরষ করা হেয়েছ েয, তার পের সূরা সংযুক হেব। সুতরাং যিদ ফািতহােক েশষ দই রাকাআেত
কাযা করা হয় তাহেল তরতীেবর িদক েথেক সূরার পর সূরাতুল ফািতহা এেস যােব। অথরাত এটা িনধরািরত
অবসােনর িবপরীত। আর (পথম দই রাকাআেত) সূরা েছেড় েদয়ার িবষয়িট িভন। েকননা তা শরীআত
িনধরািরতরেপ কাযা করা সমব।

উেলখয েয, এখানকার পােঠ শব বযবহার করা হেয়েছ, যােত (কাযা করা) ওয়ািজব হওয়া বুঝায়। আর মূল গেনর
উেলিখত শেব মুসাহাব হওয়া বুঝায়। েকননা সূরার কাযা যিদও ফািতহার পের হেচ তবু এ সূরা িনজ ফািতহার
সােথ সংযুক হেচ না। সুতরাং িনধরািরত অবসান সবরাংেশ বজায় রাখা সমব হেচ না।

74
আর উভয়িটেত উৈচসের পাঠ করেব।

এটাই িবশদ মত। েকননা একই রাকাআেত সরব ও নীরব পাঠ একত করা মানায় না। আর নফল তথা ফািতহার
মেধয পিরবতরন আনা উতম।

অনুৈচসের পাঠ হল েযন িনেজ েশানেত পায়। আর উৈচসেরর পাঠ হল অপের েশানেত পায়। এ হল ফকীহ
আবূ জা’ফর িহনওয়ানীর মত। েকননা, আওয়াজ বযতীত শধু িজহবা সণচালনেক িকরাত বলা হয় না।

ইমাম কারখী (র.) এর মেত উৈচসেরর সবরিনম পিরমাণ হেলা িনেজেক েশানােনা আর অনুৈচসেরর পিরমাণ হেলা
হরেফর িবশদ উচারণ। েকননা, িকরাত বা পাঠ মুেখর কাজ, কােনর কাজ নয়। কুদূরী গেনর শেব এর পিত
ইংিগত রেয়েছ।

তালাক পদান, আযাদ করা, বযিতকম েযাগ করা ইতযািদ শব উচারণমূলক যাবতীয় মাসআলার মেধয মতপাথরেকযর
িভিত হল উক নীিতর পাথরেকযর উপর।

সালােত েয পিরমাণ িকরাত যেথষ হয়, তার সবরিনম পিরমাণ হেলা ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মেত এক আয়াত
আর ইমাম আবূ ইউসূফ ও মুহামদ (র.) এর মেত েছাট িতন আয়াত অথবা দীঘর এক আয়াত। েকননা, এর
েচেয় কম পিরমাণ হেল তােক কারী বলা হয় না। সুতরাং তা এক আয়ােতর কম পাঠ করার সমতূলয।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর দলীল হেলা, আলাহ তা’আলার বাণী- কুরআেনর যতটুকু পিরমাণ সহজ হয়, তা
েতামরা পেড়া। এখােন (এক আয়ােত বা তার অিধেকর মােঝ) েকান পাথরকয করা হয়িন। তেব এক আয়ােতর
কম পিরমাণ (সবরসমিতকেমই কুরআন গণয হওয়ার হকুেমর) বিহভূত
র । আর পূণর আয়াত আয়ােতর অংশিবেশেষর
সমাথরক নয়।

আর সফেরর সূরা ফািতহার সােথ অনয েয েকান সূরা ইচা হয় পড়েব। েকননা বিণরত আেছ েয, নবী (সা.) তার
সফের ফজেরর সালােত ফালাক ও নাস সূরাদয় পাঠ কেরিছেলন। তাছাড়া সালােতর অেধরক রিহত করার েকেত
সফেরর পভাব রেয়েছ। সুতরাং িকরাত হাস করেণর বযাপাের তার পভাব থাকা সাভািবক।এ হকুম তখন, যখন
সফের তাড়াহড়া থােক। পকানের যিদ (মুসািফর) িসিত ও শািনর পিরেবশ থােক, তাহেল ফজেরর সালােত সূরা
বুরজ ও ইনশাকা পিরমাণ সূরা পাঠ করেব। েকননা, এভােব তাখফীক সহকাের সুনােতর উপরও আমল সমব হেয়
যােব।

মুকীম অবসায় ফজেরর উভয় রাকাআেত সূরাতূল ফািতহা ছাড়া চিলশ বা পণচাশ আয়াত পড়েব। চিলশ েথেক ষাট
এবং ষাট েথেক একশ’ আয়াত পাঠ করার কথাও বিণরত রেয়েছ। আর এ সব সংখযার সমথরেন হাদীছ এেসেছ।
বণরনাগেলার মােঝ সামঞসয িবধান এভােব হেত পাের েয, (িকরাত শবেণ) আগহীেদর েকেতরর একশ’ আয়াত এবং
অলসেদর েকেত চিলশ আয়াত এবং মধযমেদর েকেত পণচাশ েথেক ষাট আয়াত পাঠ করেব।

কােরা কােরা মেত রাত েছাট বড় হওয়া এবং কমরবযসতা কম-েবশী হওয়ার অবসা িবেবচনা করা হেব।

75
ইমাম কুদূরী বেলন, যুহেরর নামােযও অনুরপ পিরমাণ পাঠ করেব। েকননা সমেয়র পশসতার িদক িদেয় উভয়
সালাত সমান। মবসূত গেন বলা হেয়েছ- ‘িকংবা তার েচেয় কম’। েকননা তা কমরবযসতার সময়। সুতরাং
অনীহা এড়ােনার পিরেপিকেত ফজর েথেক কমােনা হেব।

আসর ও ‘ঈশা একই রকম। দ’েটােতই আওসােত মুফাসসাল পাঠ করেব। আর মাগিরেব তার েচেয় কম অথরাত
তােত ‘িকসাের মুফাসসাল’ পাঠ করেব।

এ িবষেয় মূল দলীল হেলা আবূ মূসা আশ’আরী (রা.) এর নােম েপিরত উমর ইবন খাতাব (রা.) এর এই মেমর
িলিখত পত েয, ফজের ও যুহের ‘িতওয়ােল মুফাসসাল’ পেড়া।

তাছাড়া মাগিরেবর িভিতই হেলা দততার উপর। সুতরাং হালকা িকরাতই তার জনয অিধকতর উপেযাগী। আর
আসর ও ‘ঈশায় মুসাহাব হেলা িবলেম পড়া। আর িকরাত দীঘর করেল সালাত দ’িট মুসাহাব ওয়াক অিতকম
করার আশংকা রেয়েছ। সুতরাং এ দই সালােত আওসােত মুফাসসাল িনধরারণ করা হয়।

ফজের পথম রাকাআতেক িদতীয় রাকাআেতর তুলনায় দীঘর করেব, যােত েলাকেদর জামা’আত ধরার বযাপাের
সহায়ক হয়।

ইমাম কুদূরী বেলন, যুহেরর উভয় রাকাআত সমান।

তা ইমাম আবূ হানীফা ও আবূ ইউসূফ (র.) এর মত। আর ইমাম মুহামদ (র.) বেলন, সব সালােতই পথম
রাকাআতেক অেপকাকৃত দীঘর করা আমার কােছ পসননীয়। েকননা, বিণরত আেছ েয, নবী (সা.) সব সালােতই
পথম রাকাআতেক অনয রাকাআেতর তুলনায় দীঘর করেতন। পথেমাক ইমামদেয়র দলীল এই েয, উভয়
রাকাআতই িকরােতর সমান হকদার। সুতরাং পিরমােণর েকেতও উভয় রাকাআত সমান হেত হেব। তেব ফজেরর
সালাত এর িবপরীত। েকননা, তা ঘুম ও গাফলােতর সময়। আর উদৃত হাদীছিট সানা, আউযুিবলাহ ও
িবসিমলাহ পড়ার েপিকেত দীঘর হওয়ার সােথ সমৃক।

আর কম, েবশীর েকেত িতন আয়ােতর কম ধতরবয নয়। েকননা অনায়ােস এতটুকু কম-েবশী েথেক েবঁেচ থাকা
সমবপর নয়।

আর েকান সালােতর সিহত এমন েকান সূরা িনিদরষ েনই েয, এিট ছাড়া সালাত জাইয হেব না। েকননা, আমরা
পূেবর েয আয়াত েপশ কেরিছ, তা িনঃশতর।

বরং েকান সালােতর জনয কুরআেনর েকান অংশেক িনধরারণ কের েনওয়া মাকরহ। েকননা, তােত অবিশষ
কুরআনেক বজরন করা হয় এবং িবেশষ সূরার ফযীলেতর ধারণা জেন।

মুকাদী ইমােমর িপছেন িকরাত পাঠ করেব না। সূরাতুল ফািতহার বযাপাের ইমাম শািফই (র.) এর িভনমত
রেয়েছ। তার দলীল এই েয, িকরাত হেলা সালােতর অনযনয রকেনর মত একিট রকন। সুতরাং তা পালেন
ইমাম ও মুকাদী উভেয় শরীক থাকেবন।

76
আমােদর দলীল হেলা রাসূলুলাহ (সা.) এর বাণী- েয বযিকর ইমাম রেয়েছ, েসেকেত ইমােমর িকরাত তার িকরাত
রেপ গণয। এবং এর উপরই সাহাবীেদর ইজমা পিতিষত হেয়েছ।

আর িকরাত হেলা উভেয়র মােঝ শরীকানামূলক রকন। তেব মুকাদীর অংশ হেলা নীরব থাকা ও মেনােযাগসহ
শবণ। রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- (ইমাম) যখন কুরআন পাঠ কেরন তখন েতামরা খামুশ থােকা।

তেব ইমাম মুহামদ (র.) েথেক বিণরত আেছ েয, সতকরতা অবলমন িহসােব পাঠ করাই উতম। িকন ইমাম আবূ
হানীফা ও আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত তা মাকরহ। েকননা এ সমেকর হিশয়াির রেয়েছ।

আর মেনােযাগ সহকাের শনেব এবং নীরেব থাকেব। যিদও ইমাম আশা ও ভেয়র আয়াত পাঠ কেরন। েকননা,
নীরেব শবণ ও নীরবতা আয়াত দারা ফরয সাবযস হেয়েছ। আর িনেজ পাঠ করা, িকংবা জানাত পাথরনা করা এবং
জাহানাম েথেক পানাহ চাওয়া এ সকল এেত বাধা সৃিষ কের।

খুতবার হকুমও অনুরপ। েতমিন হকুম নবী (সা.) এর উপর দরদ পাঠ করার সময়ও। েকননা, মেনােযাগ
সহকাের খুতবা শবণ করা ফরয। তেব যিদ খতীব এ আয়াত পেড়ন- তখন েশাতা মেন মেন দরদ পড়েব।

অবশয িমমর েথেক দূেরর েলাকেদর সমেকর আিলমগেণর মেধয মতেভদ রেয়েছ। তেব নীরব থাকার মেধয
ইহিতয়াত রেয়েছ, যােত (কমপেক) খামুশ থাকার ফরয পািলত হয়। সিঠক িবষয় আলাহই উতম জােনন।

পঞম অনুেচদ
ইমামত
জামা’আত সুনােত মুআকাদা। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- জামা’আত িহদায়ােতর পিরচায়ক সুনত,
মুনািফক ছাড়া েকউ তা েথেক িপিছেয় থােক না।

ইমামিতর জনয সবরািধক েযাগয বযিক হেলন িযিন সালােতর মাসাইল সমেকর অিধকতর জানী। ইমাম আবূ ইউসূফ
(র.) েথেক বিণরত, িযিন িকরাত সেবরাতম। েকননা সালােত িকরাত অপিরহাযর। আর ইলেমর পেয়াজন হয় েকান
ঘটনা েদখা িদেল।

এর উতের আমরা বিল, একিট রকন আদােয় আমরা িকরােতর মুখােপকী আর সকল রকন আদােয় আমরা
ইলেমর মুখােপকী।

ইলেমর (েকেত উপিসত) সকেল সমান হেল িযিন িকরােত সেবরাতম। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- আলাহর
িকতাব পােঠ সেবরাতম বযিক কাওেমর ইমাম হেব। যিদ এেত সকেল বরাবর হয় তাহেল সুনত সমেকর সবরািধক
জানী বযিক (ইমাম হেব)।

উেলখয েয, েস যুেগ িকতাবুলাহ পােঠ উতম বযিকই সবরািধক জানীও হেতন। েকননা, তঁারা আহকাম ও
মাসােয়লসহ কুরআন িশকা করেতন। তাই হাদীেছ িকতাবুলাহ পােঠ সেবরাতম বযিকেক অগািধকার েদওয়া

77
হেয়েছ। িকন আমােদর যুেগ অবসা েসরপ নয়, তাই আমরা (দীনী ইলেম) সবরািধক জানী বযিকেক অগািধকার
িদেয়িছ।

এ েকেত সকেল সমান হেল িযিন অিধকতর বেয়ােজযষ। েকননা নবী (সা.) আবূ মুলায়কার পুতদয়েক
বেলিছেলন- েতামােদর দ’জেনর মেধয েয বেয়ােজযষ েস-ই ইমামিত কের। তাছাড়া বেয়ােজযষেক আেগ বাড়ােল
জামা’আেতর সমাগম বিধরত হেব।

দাসেক (ইমামিতর জনয) আেগ বাড়ােনা মাকরহ। েকননা িশকালােভর জনয (সাধারণতঃ) েস অবসর পায় না।
এবং েবদঈন (ও গাময) েক। েকননা, মূখরতাই তােদর মােঝ পবল এবং ফািসকেক। েকননা, েস দীনী িবষেয়
যতবান নয়। এবং অনেক েকননা, েস পূণররেপ নাপািক েথেক েবেচ থাকেত পাের না।

আর জারজ সনানেক। েকননা, তার িপতা (ও অিভভাবক)েনই, েয তার িশকা-দীকার বযবসা করেব। সুতরাং
অজতাই তার উপর পভািবত হয়।

তাছাড়া এেদর আেগ বাড়ােনার কারেণ জনগেণর মেধয ঘৃণা সৃিষ হয়। সুতরাং তা মাকরহ। তেব যিদ তারা আেগ
েবেড় যায় তাহেল সালাত দরস হেব। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- েতামরা সালাত আদায় কর েয েকান
েনককার ও বদকােরর িপছেন।

ইমাম মুকাদীেদর িনেয় সালাত আদায় করেত দীঘর করেব না। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন-

েয বযিক েকান জামা’আেতর ইমামিত কের, েস েযন তােদর দবরলতম বযিকর অবসা অনুযায়ী সালাত আদায়
কের। েকননা, তােদর মেধয েরাগী, বৃদ ও পেয়াজনগস বযিক থাকেত পাের।

সী েলাকেদর এককভােব জামা’আত করা মাকরহ। েকননা, তা একিট িনিষদ কােজ িলপ হওয়া েথেক মুক
নয়। আর েসটা হেলা কাতােরর মােঝ ইমােমর দঁাড়ােনা। সুতরাং মাকরহ হেব, েযমন উলঙেদর জামা’আেতর
হকুম।

তেব যিদ তারা তা কের তাহেল ইমাম তােদর মােঝ দাড়ােব। েকননা, ‘আইশা (রা.) অনুরপ কেরেছন।আর তার
এই জামাআত অনুষান ইসলােমর পাথিমক অবসার সােথ সমিকরত।

তাছাড়া এজনয েয, আেগ েবেড় দাড়ােনােত অিতিরক পকাশ ঘেট।

েয বযিক এক মুকতাদী িনেয় সালাত আদায় করেব, েস তােক িনেজর ডানপােশ দঁাড় করােব। েকননা, ইবন
‘আবাস (রা.) বিণরত হাদীেছ আেছ েয, রাসূলুলাহ (সা.) তােকঁ মুকাদী কের সালাত আদায় কেরেছন এবং তােক
িনেজর ডান পােশ দাড় কিরেয়েছন।

আর েস ইমােমর িপছেন দাড়ােব না।

ইমাম মুহামদ (র.) েথেক বিণরত আেছ েয, মুূূ


্ কাদী
ত ার পােয়র আংগল ইমােমর েগাড়ািল বরাবর রাখেব।
তেব পথম মতই যািহের িরওয়ায়ােতর।

78
অবশয যিদ ইমােমর িপছেন বা বােম দািড়েয় সালাত আদায় কের তাহেল জাইয হেব।

তেব সুনােতর িবেরািধতার কারেণ েস গনাহগার হেব।

আর যিদ দই বযিকর ইমামিত কেরন, তাহেল িতিন তােদর আেগ দাড়ােবন।

আর ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) েথেক বিণরত েয, উভেয়র মধযখােন দাড়ােব। আর আবদলাহ ইবন মাসঊদ (রা.)
এরপ কেরেছন বেল বিণরত আেছ।

আমােদর দলীল এই েয, রাসূলুলাহ (সা.) আনাস (রা.) ও তার ইয়াতীম ভাইেক িনেয় সালাত আদােয়র সময়
উভেয়র আেগ দািড়েয়িছেলন।

সুতরাং এ হাদীেছর দারা উতম পমািণত হয়, আর সাহাবীর আমল দারা এরপ দাড়ােনা মুবাহ পমািণত হয়।

পুরষেদর জনয েকান নারী বা নাবােলেগর িপছেন ইকিতদা করা জাইয নয়। সী েলােকর িপছেন জাইয না হওয়ার
কারণ এই েয, নবী (সা.) বেলেছন- আলাহ েযমন তােদর িপছেন েরেখেছন, েতমিন েতামরাও তােদর িপছেন
রাখ।

সুতরাং তােদর (ইমামিতর জনয) আেগ বাড়ােনা জাইয নয়। আর নাবােলেগর িপছেন জাইয না হওয়ার কারণ এই
েয, েস নফল আদায়কারী। সুতরাং তার িপছেন ফরয আদায়কারীর ইকিতদা জাইয হেব না। তেব তারাবীহ ও
‘িনয়িমত’ সুনাত এর েকেত বালখ এর মাশােয়খগণ জাইয েরেখেছন আর আমােদর মাশােয়খগণ তা অনুেমাদন
কেরনিন।

আবার কােরা কােরা তাহকীক অনুযায়ী সাধারণ নফেলর েকেত ইমাম আবূ ইউসূফ ও ইমাম মুহামদ (সা.) এর
মেধয মতপাথরকয রেয়েছ।

তেব গহণেযাগয মত এই েয, েকান সালােতই তােদর (ইমামিত) জাইয নয়। েকননা, নাবােলেগর নফল বােলেগর
নফেলর েচেয় িনমমােনর। েকননা, ইজমায়ী মতানুসাের সালাত ভংগ করার কারেণ নাবােলেগর উপর কাযা
ধতরবয। আর দবরেলর উপর পবেলর িভিত হেত পাের না। ‘ধারণা-িভিতক’ সালাত এর বযিতকম। েকননা, (ভঙ
হেল কাযা করেত হেব িকনা) এেত মতেভদ রেয়েছ। সুতরাং উদূত ধারণা (মুকতাদীর েবলায়) অিসতহীন বেল
িবেবিচত। অবশয নাবােলেগর িপছেন নাবােলেগর ইকিতদার হকুম িভন (অথরাত জাইয) েকননা, উভেয়র সালাত
সমমােনর।

পথেম পুরেষ কাতার করেব। তারপর নাবােলগ ও তারপর সী েলােকরা। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন-
েতামােদর পাপ-বয়স এবং জানবানরা েযন আমার কাছাকািছ থােক। আর েযেহতু নারী-পুরষ এক সমােন
দাড়ােনা সালাত ভংগকারী; সুতরাং তােদর পশাদবিতরণী রাখা হেব।

যিদ সীেলাক পুরেষর পােশর দাড়ায় আর উভেয় একই সালােত শরীক হয়, তাহেল পুরেষর সালাত ফািসদ হেয়
যােব, যিদ ইমাম সী েলােকর ইমামিতর িনয়যত কের থােকন।

79
আর সাধারণ িকয়ােসর চািহদা হল সালাত ফািসদ না হওয়া। এবং এ-ই হল ইমাম শািফঈ (র.) এর মত।
সীেলাকিটর সালােতর উপর িকয়াস অনুযায়ী; েযেহতু তার সালাত ফািসদ হয় না।

আর সূক িকয়ােসর কারণ হেলা আমােদর বিণরত হাদীছ, মশহূর েশণীভূক।

আর েসই হাদীেছ পুরষেকই সেমাধন করা হেয়েছ, সীেলাকেক নয়। সুতরাং পুরষই হেচ সানগত ফরয
বজরনকারী। সুতরাং তার সালাতই ফািসদ হেব, সী েলাকিটর সালাত নয়। েযমন মুকাদী (এর সালাত ফািসদ
হয়) ইমােমর আেগ দাড়ােল।

আর যিদ ইমাম সীেলােকর ইমামিতর িনয়যত না কের থােকন, তাহেল পুরষিটর সালােতর কিত হেব না;
সীেলাকিটর সালাত দরস হেব না।

েকননা আমােদর মেত ইমােমর িনয়যত ছাড়া েস সালােত শািমল হওয়া সাবযস হেব না। ইমাম যুফার (র.)
িভনমত েপাষণ কেরন।

তুিম িক লকয করছ না েয, সােনর ধারাবািহকতা রকা করা ইমােমর কতরবয। সুতরাং তার দািয়ত গহেণর উপর
িবষয়িট িনভরর করেব। েযমন ইকিতদার েকেত (মুকতািদর জনয ইমােমর িনয়যত করা জররী)।

তেব ইমােমর িনয়যত তখনই শতর হেব, যখন েস েকান পুরেষর পােশর ইকিতদা কের। পকানের যিদ তার পােশ
েকান পুরষ না থােক, তেব েস েকেত দ’িট মত রেয়েছ। উক দ’িট মেতর একিটর েকেত পাথরেকযর কারণ এই
েয, পথম সুরেত েতা সালাত ফািসদ হওয়া অিনবাযর। আর িদতীয় সুরেত সমাবনা যুক।

সালাত নষকারী ‘এক সমােন দাড়ােনা’ এর জনয শতর হেলা (উভেয়র) সালাত অিভন হওয়া এবং (রকু-সাজদা
িবিশষ) সাধারণ সালাত হওয়া। আর সীেলাকিট কােমােতজনােযাগয হওয়া এবং উভেয়র মােঝ েকান আড়াল না
থাকা। েকননা, িকয়াস ও যুিকর িবপরীেত শরীআেতর বাণী দারা সালাত ফাসাদকািরণী পমািণত হেয়েছ। সুতরাং
বাণী সংিশষ সকল উপিসত থাকেত হেব।

সী েলাকেদর জামা’আেত হািযর হওয়া মাকরহ। অথরাত তােদর মেধয যারা যুবতী (তােদর জনয এ হকুম) েকননা
তােত ফতনার আশংকা রেয়েছ।

বৃদােদর জনয ফরয, মাগিরব ও’ ঈশার জামা’আেতর উেদশয েবর হওয়ােত অসুিবধা েনই।

এ হল ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মত।

ইমাম আবূ ইউসূফ ও ইমাম মুহামদ (র.) বেলন, সকল সালােতই তারা েবর হেত পাের। েকননা, আকষরণ না
থাকায় িফতনার আশংকা েনই। তাই মাকরহ হেব না, েযমন ঈেদর জামাআেত।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর দলীল হেলা; পবৃিতর (দষেমর) উদুদ কের থাকা। সুতরাং িফতনা ঘটেত পাের।
তেব যুহর, আসর ও জুমআু র সময় ফািসকেদর উপদব থােক। আর ফজর ও ‘ঈশার সময় (সাধারণতঃ) তারা

80
ঘুিমেয় থােক এবং মাগিরেব পানাহাের মশগল থােক। আর (ঈেদর) মাঠ পশস হওয়ার কারেণ পুরষেদর েথেক
পাশ েকেট থাকা তােদর পেক সমব। তাই মাকরহ হয় না।

ইমাম কুদূরী (র.) বেলন, পিবত বযিক ‘মুসাহাযা’ এর েশণীভুক বযিকর িপছেন সালাত আদায় করেব না। েসরপ
পিবত সীেলাকও মুসাহাযা এর িপছেন সালাত আদায় করেব না। েকননা সুস বযিকর (তাহারােতর) অবসা মা’যূর
বযিকর েচেয় উনততর। আর েকান িকছু তার েচেয় উনত িকছুর দািয়ত বহন করেত পাের না। আর ইমাম
হেচন দািয়ত বহনকারী। অথরাত মুকািদর সালাত তার সালােতর আওতাভূক।

কুরআন পােঠ সকম বযিক উমী েলােকর িপছেন এবং বসধারী বযিক উলংগ বযিকর িপছেন সালাত আদায় করেব
না। েকননা, তােদর দ’জেনর অবসা উনততর।

আর জাইয রেয়েছ তায়ামুমকারীর জনয উযূকারীেদর ইমামতী করা। এ হল ইমাম আবূ হানীফা ও ইমাম আবূ
ইউসূফ (র.) এর মত। আর ইমাম মুহামদ (র.) বেলন, জাইয হেব না। েকননা, তায়ামুম জররী অবসায়
তাহারাত। আর পািন হল তাহারােতর মূল উপাদান।

ইমাম আবূ হানীফা ও আবূ ইউসূফ (র.) এর দলীল এই েয, এটা (সামিয়ক তাহারাত নয় বরং) সাধারণ
তাহারাত। সুতরাং এ কারেণই তা পেয়াজেনর সােথ সীিমত থােক না।

(েমাজায়) মাসহকারী পা েধৌতকারীর ইমামিত করেত পাের। েকননা, েমাজা পােয়র পাতায় ‘হাদাছ’ এর
অনুপেবেশ বাধা েদয়। আর েমাজায় েয হাদাছ যুক হয়, েসটােক মাসহ দূর কের েদয়। মুসাহাযার িবষয়িট এর
বযিতকম। েকননা বাসেব হাদাছ িবদযমান থাকা অবসায় শরীআত তা িবদূিরত হেয় েগেছ বেল গণয কের।

দািড়েয় সালাত আদায়কারী বেস সালাত আদায়কারীর িপছেন (ইকিতদা কের) সালাত আদায় করেত পাের।

ইমাম মুহামদ (র.) বেলন, তা জাইয হেব না। িকয়ােসর দাবী এ-ই। েকননা, দািড়েয় সালাত আদায়কারীর
অবসা উনততর।

আমরা হাদীেছর কারেণ িকয়াস বজরন কেরিছ। েকননা, বিণরত আেছ েয, নবী (সা.) তার েশষ সালাত আদায়
কেরেছন আর েলাকজন তার িপছেন দািড়েয় িছেলন।

ইশারায় সালাত আদায়কারী অনুরপ বযিকর িপছেন সালাত আদায় করেত পাের। েকননা, উভেয়র অবসা সমান।
তেব যিদ মুকতাদী বেস এবং ইমাম শেয় ইশার কের তেব তার িপছেন জাইয হেব না। েকননা, বসা শরীআেত
সীকৃত। সুতরাং এর দারা তা উনত হওয়া পমািণত হয়।

রকু-সাজদাকারী বযিক ইশারাকারী বযিকর িপছেন সালাত আদায় করেব না। েকননা, মুকতাদীর অবসা উনততর।
এ সমেকর ইমাম যুফার (র.) িভনমত েপাষণ কেরন।

81
ফরয আদায়কারী নফল আদায়কারী িভন ফরয আদায়কারী বযিকর িপছেন সালাত আদায় করেব না। েকননা,
ইকিতদা অথর িভিত করা, আর এখােন ইমােমর েকেত ‘ফরয গণিট েনই। সুতরাং েয গণ েনই, তার উপর িভিত
সািপত হেব না।

ইমাম কুদরূ ী বেলন এক ফরয আদায়কারী িভন ফরয আদায়কারী বযিকর িপছেন সালাত আদায় করেব না।
েকননা, ইকিতদা হেলা (একই তাহরীমায়) শািমল হওয়া এবং সামঞসয রকা করা। সুতরাং (সালােত) অিভনতা
অপিরহাযর।

ইমাম শািফঈ (র.) এর মেত উপেরাক সকল েকেত ইকিতদা সহীহ। েকননা, তার মেত ইকিতদা হল সমিনত
রেপ আদায় করা। আর আমােদর মেত দািয়েতর অনভুরিকর অথর িবেবচয।

নফল আদায়কারী ফরয আদায়কারীর িপছেন সালাত আদায় করেত পাের। েকননা, নফল আদায়কারীর জনয শধু
মূল সালাত থাকাই হল পেয়াজন। আর ইমােমর েকেত মূল সালাত িবদযমান রেয়েছ। সুতরাং এর উপর িভিত
পিতিষত হেব।

েয বযিক েকান ইমােমর িপছেন ইকিতদা করেলা তারপর জানেত পারেলা েয, তার ইমাম হাদাছগস; তখন তােক
সালাত েদাহরােত হেব। েকননা, রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন-

েয বযিক েকান জামাআেতর ইমামিত করেলা, তারপর পকাশ েপল েয, েস হাদাসগস অথবা জুনুবী, তখন েস
িনেজও সালাত েদাহরােব এবং মুকতািদরাও েদাহরােব।

এ িবষেয় ইমাম শািফঈ (র.) িভনমত েপাষণ কেরন। পূবর বিণরত যুিকর িভিতেত। আর আমরা অনভূরিকর মমর
িবেবচনা কির। আর তা জাইয হওয়া ও ফািসদ হওয়া উভয় েকেতই পেয়াজয হেব।

েকান উমী বযিক যখন কুরআন পােঠ সকম একদল েলাক এবং উমী একদল েলােকর ইমামিত কের, তখন ইমাম
আবূ হানীফা (র.)এর মেত সকেলর ফািসদ হেয় যােব।

ইমাম আবূ ইউসূফ ও ইমাম মুহামদ (র.) বেলন, ইমােমর সালাত এবং যারা কুরআন পােঠ সকম নয়, তােদর
সালাত পূণরাংগ হেয়েছ। েকননা, ইমাম িনেজ মা’যূর এবং িতিন একদল মা’যূর েলােকর ইমামিত কেরেছন।
সুতরাং এিট ঐ অবসার সদৃশ, যখন েকান উলংগ বযিক একদল উলংগ ও একদল বসধারীর ইমামিত কেরন।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর দলীল এই েয, ইমাম িকরােতর উপর সকমতা সেতও িকরােতর ফরয তরক
কেরেছ। সুতরাং তার সালাত ফািসদ হেব। সকমতার কারণ এই েয, েস যিদ কারীর িপছেন ইকিতদা করেতা
তাহেল কারীর িকরাত তার িকরাত হেতা। আর ঐ মাসআলািট এবং এর অনুরপ মাসআলার হকুম িভন। েকননা,
ইমােমর েকেত যা িবদযমান, তা মুকতাদীর েকেত িবদযমান রেপ গণয হেব না।

যিদ উমী ও কারী একা একা সালাত আদায় কের, তাহেল তা জাইয হেব।

এই িবশদমত। েকননা,তােদর উভয় েথেক জামা’আেতর পিত আগহ পকাশ পায়িন।

82
ইমাম যিদ পথম দই রাকাআেত িকরাত পাঠ কের, অতঃপর েশষ দই রাকাআেত েকান উমীেক (নািয়ব িহসােব)
আেগ বািড়েয় েদয়, তাহেল সকেলর সালাত ফািসদ হেয় যােব।

ইমাম যুফার (র.) বেলন, সালাত ফািসদ হেব না। েকননা, িকরােতর ফরয আদায় হেয় েগেছ।

আমােদর দলীল এই েয, পিতিট রাকাআতই সালাত। সুতরাং তা িকরাত েথেক খািল হেত পাের না। বাসেব েহাক
িকংবা গণয করা িহসােব েহাক। আর উমীর েকেত েযাগযতা না থাকার কারেণ িকরাতেক িবদযমান গণয করার
অবকাশ েনই। উক দলীেলর িভিতেত অনুরপ মতপাথরকয রেয়েছ। তাশাহেদর সময় তােক আেগ বাড়ােলও।
সিঠক িবষয় আলাহই অিধক জােনন।

ষষ অনুেচদ
সালােতর মেধয হাদাছ হওয়া
সালােতর মেধয েয বযিকর হাদাছ ঘেট যায়, েস িফের যােব। যিদ েস ইমাম হয় তাহেল (িপছেন দাড়ােনা)
একজনেক সলবতরী করেব এবং উযূ কের ‘িবনা’ করেব।

িকয়ােসর দাবী এই েয, নতুনভােব সালাত শর করেব। এটাই হল ইমাম শািফঈ (র.) এর মত। েকননা হাদাছ
সালােতর িবপরীত। আর িকবলা েথেক িফের যাওয়া এবং হাটা-চলা করা সালাতেক ফািসদ কের েদয়। সুতরাং তা
ইচাকৃতভােব হাদাছ ঘটােনার সদৃশ।

আমােদর দলীল হেলা রাসূলুলাহ (সা.) এর বাণী-

সালােত েয বযিকর বিম হয় িকংবা নাক েথেক রককরণ হয় িকংবা মযী (তরল পদাথর) েবর হয়, েস েযন িফের
যায় এবং উযূ কের আর িনেজর (পূব)র সালােতর উপর ‘িবনা’ কের, যতকণ না েস কথা বেল।

রাসূলুলাহ (সা.) আেরা বেলেছন-

েতামােদর েকউ যখন সালাত শর কের, তারপর বিম বিম হয় িকংবা নাক েথেক রককরণ হয়, তখন েস েযন তার
মুেখ হাত রােখ এবং এমন কাউেক (ইমামিতর জনয) আেগ বািড়েয় েদয়, েয িকছু সালােতর মাসবূক হয়িন।

আর সাধারণ ওযর রেপ তাই গণয, যা অিনচায় ঘেট যায়। যা ইচাকৃত ঘেট, তা তার মেধয গণয নয়। সুতরাং
এেক তার সােথ যুক করা যায় না। তেব নতুন কের পেড় েনয়াই উতম।

যােত মতপাথরেকযর িদধা েথেক বাচা যায়। কােরা কােরা মেত একাকী নতুন ভােব পড়েব। আর ইমাম ও মুকতাদী
্ জামা’আেতর ফযীলত সংরকণ করার জনয ‘িবনা’্ ্ করেব। আর মুনফািরদ ইচা করেল িনেজর (উযূর)
হেল

83
সােনই সালাত পুরা কের িনেব। আবার ইচা করেল সালােতর সােন িফের আসেব। আর মুকতাদী অবশয িনেজর
সােন িফের আসেব। তেব যিদ তার ইমাম (সালাত েথেক) ফােরগ হেয় যায় িকংবা যিদ উভেয়র মােঝ েকান
আড়াল না থােক (তাহেল িফের আসার পেয়াজন েনই)।

েয বযিকর মেন হেলা েয, তার হাদাছ হেয়েছ, এবং েস মসিজদ েথেক েবর হেয় পড়ল; পের বুঝেত পারেলা েয,
তার হাদাছ হয়িন, েস নতুন ভােব সালাত আদায় করেব। আর যিদ মসিজদ েথেক েবর না হেয় থােক, তাহেল
অবিশষ সালাত পেড় িনেব।

অবশয উভয় অবসােতই িকয়ােসর দাবী হেলা নতুন কের আদায় করা। এটাই হল ইমাম মুহামদ (র.) েথেক
বিণরত। েকননা, িবনা ওযের সালাত েথেক িফের যাওয়া হেয়েছ।

সূক িকয়ােসর কারণ এই েয, েস সংেশাধেনর উেদেশয িফের িগেয়েছ। েদখুন না, যিদ তার ধারণা বাসব হেতা
তাহেল েতা অবশযই েস িনেজর সালােতর উপর ‘িবনা’ করেতা। সুতরাং সংেশাধেনর ইচােক বাসব সংেশাধেনর
সােথ যুক করা হেব যতকণ না েবর হওয়ার কারেণ সােনর িভনতা েদখা েদয়।

আর যিদ (ইমাম হওয়ার কারেণ) েস কাউেক সলবতরী কের থােক তাহেল সালাত ফািসদ হেয় যােব। েকননা
এখােন িবনা ওযের আমেল কাছীর হেয়েছ। আর এিট েস মাসআলার িবপরীত, যিদ েস ধারণা কের েয, েস উযূ
ছাড়া সালাত শর কেরেছ এবং িফের যায় তারপর বুঝেত পাের েয, স উযূ অবসায় আেছ, তাহেল (মসিজদ
েথেক) েবর না হেলও তার সালাত ফািসদ হেয় যােব। েকননা, এই িফের আসাটা হেলা সালাত পিরতযােগর
িভিতেত। েদখুন না; যিদ তার ধারণা বাসব হেতা তাহেল েতা অবশযই তার নতুন কের সালাত শর করেত
হেতা। এ-ই মূল কথা।

আর েখালামােঠ কাতারগেলার সানটুকু হেলা মসিজেদর হকুমভূক। যিদ সমুেখর িদেক যায় তাহেল সুতরাহ (বা
লািঠ) হেলা সীমানা। আর যিদ সুতরাহ না থােক তাহেল (সীমানা হেলা) তার িপছেনর কাতারসমূেহর পিরমাণ।
আর মুনফািরদ হেল চারিদেক তার সাজদার জায়গা পিরমাণ।

আর (সালােতর মেধয) যিদ পাগল হেয় যায়, িকংবা ঘুম আসার পর ইহিতলাম হেয় যায়, িকংবা অজান হেয় যায়,
তাহেল নতুন কের সালাত শর করেব। েকননা, এরপ ঘটনা ঘেট যাওয়া িবরল। সুতরাং েয সকল ঘটনা সমেকর
‘নসজ’ রেয়েছ, এগেলা তার অনভূরক হেব না। েসরপ যিদ অটহািস কের। েকননা এটা ‘কথা’ বলার পযরােয়র।
আর কথা বলা সালাত ভঙকারী।

যিদ ইমাম িকরােত আটেক যাওয়ার কারেণ অনযেক আেগ বািড়েয় েদয়, তাহেল ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মেত
তােদর সালাত দরস হেয় যােব। আর ইমাম আবূ ইউসূফ, ইমাম মুহামদ (র.) বেলন, তােদর সালাত দরস হেব
না। েকননা, এ ধরেণর ঘটনা িবরল। সুতরাং তা (সালাতরত অবসায়) জানাবােতর সদৃশ হেলা।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর দলীল হেলা সলবতরী করা হয় অকমতার কারেণ। আর তা এখােন অিধক পেযাজয।
আর িকরােতর অকমতা িবরল নয়। সুতরাং জানাবােতর সােথ যুক হেব না।

84
আর যিদ সালাত জাইয হওয়া পিরমাণ িকরাত পেড় থােক, তাহেল সবর সমিতকেম সলবতরী বানান জাইয নয়।
েকননা, এেকেত সলবতরী করার পেয়াজন েনই।

যিদ তাশাহেদর পের েস হাদাছগস হয়, তাহেল উযূ করেব এবং সালাম িফরােব। েকননা সালাম িফরােনা
ওয়ািজব। সুতরাং তা আদায় করার জনয উযূ করা জররী।

আর যিদ এ অবসায় ইচাকৃতভােব ‘হাদাছ’ ঘটায় িকংবা কথা বেল িকংবা এমন েকান কাজ কের, যা সালােতর
িবপরীত, তাহেল তার সালাত পূণর হেয় যােব। েকননা, সালাত ভঙকারী িবদযমান হওয়ার কারেণ ‘িবনা’ সমব
নয়। িকন সালাত েদাহরােনা তার উপর জররী নয়। েকননা েকান রকন তার িযমায় বািক েনই।

তায়ামুমকারী যিদ সালােতর মেধয পািন েদখেত পায়, তাহেল তার সালাত বািতল হেয় যােব। আেগ এর আেলাচনা
হেয়েছ।

যিদ তাশাহদ পিরমাণ বসার পের পািন েদখেত পায়, িকংবা েস েমাজার উপর মাসহকারী থােক, িকন মাসহ করার
েময়াদ েশষ হেয় িগেয় থােক িকংবা আমেল কালীল (অিতসামানয কাজ) দারা েমাজা েজাড়া খুেল েফেল িকংবা
উমী িছেলা িকন সূরা িশেখ েফেল উলংগ িছেলা, কাপড় েপেয় যায়, িকংবা ইশারােযােগ সালাত আদায়কারী
িছেলা, িকন রকু সাজদা করেত সকম হেয় যায়, িকংবা এই সালােতর পূববর তরী েকান কাযা সালাত তার সরণ হয়
িকংবা িকরাত পােঠ সকম ইমাম হাদাসগস হেয় েকান উমীেক সলবতরী কেরন, িকংবা ফজের সূেযরাদয় হেয় যায়,
িকংবা জুমুআর সালােত থাকা অবসায় আসেরর ওয়াক হেয় যায় িকংবা েস জখেমর পিটর উপর মাসহকারী িছেলা,
জখম ভাল হওয়ার কারেণ পিট খুেল পেড় যায় িকংবা েস মা’যূর িছেলা, িকন তার ওযর দূর হেয় যায়, েযমন
মুসাহাবা নারী ও তার সমেশণীভুক অনযানযরা – এই সকল অবসায় সালাত বািতল হেয় যােব।

এ হল আবূ হানীফা (র.) এর মত। আর ইমাম আবূ ইউসূফ ও ইমাম মুহামদ (র.) বেলন, তার সালাত পূণর
হেয় েগেছ। কােরা কােরা মেত এ িবষেয় আসল কথা এই েয, আবূ হানীফা (র.) এর মেত মুসলীর িনজস েকান
‘কমর’ দারা সালাত েথেক েবর হেয় আসা ফরয, িকন ইমাম আবূ ইউসূফ ও ইমাম মুহামদ (র.) এর মেত তা
ফরয নয়। সুতরাং ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মেত এই অবসায় (অথরাত তাশাহেদর পের) এ সকল ‘আপদ’
েদখা েদওয়া সালােতর মেধয েদখা েদওয়ারই সমতুলয। আর ইমাম আবূ ইউসূফ ও ইমাম মুহামদ (র.) এর মেত
সালােমর পের েদখা েদওয়ার সমতুলয।

উক ইমামদেয়র দলীল হেলা ইেতাপূেবর বিণরত ইবন মাস’উদ (রা) এর হাদীছ।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর দলীল এই েয, বতরমান সালাত েথেক েবর হওয়া ছাড়া অনয সালাত আদায় করা
তার পেক সমব নয়। আর েয কাজ ছাড়া েকান ফরয কােজ উপনীত হওয়া সমব নয়, েস কাজিটও ফরয।

আর (হাদীেছ বিণরত) কাদাত শবিটর অথর হেলা সমূণর কাছাকািছ এেসেছ।

85
আর সলবতরী করা (সকীয়ভােব) সালাত ভংগকারী নয়। এজনযই িকরাত পােঠ সকম বযিক (েক সলবতরী করা)
এর েকেত জাইয হয়। বরং এখােন ফাসাদ এেসেছ একিট শরীআতী হকুেমর অিনবাযর পেয়াজেন। আর তা হেলা
(উমী বযিকিটর) ইমামিত করার অেযাগযতা।

েয বযিক ইমােমর এক রাকাআত হওয়ার পর ইকিতদা করেলা, তারপর ইমাম হাদাছগস হেয় তােক আেগ বািড়েয়
িদেলন, তার পেক (ইমােমর সলবতরী হওয়ার) অবকাশ আেছ। েকননা, তাহরীমােত (উভেয়র) অংশীদািরত
রেয়েছ। তেব ইমােমর জনয উতম হেলা পথম েথেক অংশ গহণকারী েকান বযিকেক আেগ বাড়ােনা। েকননা, েস
ইমােমর সালাতেক সমন করার বযপাের (মাসবুেকর তুলনায়) অিধকতর সকম। আর মাসবূেকর উিচত সালাম
িফরােনা বযাপাের িনেজর অপারগতার কথা িবেবচনা কের অগসর না হওয়া।

মাসবূক যিদ (ইমােমর সলবতরী হওয়ার উেদেশয) অগসর হয়, তাহেল ইমাম েযখােন এেস েশষ কেরেছন, েসখান
েথেক েস শর করেব। েকননা, এখন েস ইমােমর সলবতরী।

যখন েস সালাম পযরন উপনীত হেব তখন ইমােমর সােথ পথম েথেক অংশগহণকারী েকান বযিকেক আেগ বািড়েয়
িদেব। েস মুকাদীেদর িনেয় সালাম িফরােব। িকন এই মাসবূক যিদ ইমােমর সালাত সমন করার পর অটহাসয
কের বা ইচাকৃতভােব হাদাছ ঘটায় বা কথা বেল বা মসিজদ েথেক েবর হেয় আেস, তাহেল তার সালাত ফািসদ
হেব আর মুকাদীেদর সালাত পূণর হেব। েকননা তার েকেত সালাত ফাসাদকারী িবষয়িট সালােতর মেধয পাওয়া
িগেয়েছ। িকন মুকাদীেদর েকেত সকল রকন সমন হওয়ার পর পাওয়া িগেয়েছ।

আর পথম যিদ (অনযানযেদর সােথ িদতীয় ইমােমর িপছেন) সালাত েথেক ফােরগ হেয় থােক, তাহেল তার সালাত
ফািসদ হেব না। আর ফােরগ না হেয় থাকেল ফািসদ হেয় যােব। এটাই িবশদতম মত।

আর যিদ পথম ইমােমর হাদাছ না ঘেট এবং তাশাহদ পিরমাণ বেসন তারপর অটহাসয কেরন িকংবা ইচাকৃতভােব
হাদাছ ঘটান, তাহেল ঐ েলােকর সালাত ফািসদ হেয় যােব, েয সালােতর পথম িদক পায়িন।

এটা ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মত। ইমাম আবূ ইউসূফ ও ইমাম মুহামদ (র.) বেলন, ফািসদ হেব না।
পকানের ইমাম যিদ কথা বেলন। িকংবা মসিজদ েথেক েবর হেয় যান তাহেল সকেলর মেতই সালাত ফািসদ হেব
না।

ইমাম আবূ ইউসূফ ও ইমাম মুহামদ (র.) এর দলীল এই েয, জাইয হওয়া ও ফািসদ হওয়া উভয় েকেতই
মুকািদর সালােতর িভিত হেলা ইমােমর সালােতর উপর। েযেহতু এখােন (সকেলর মেতই) ইমােমর সালাত ফািসদ
হয়িন, েসেহতু মুকাদীর সালাতও ফািসদ হেব না। িবষয়িট সালাম বলা ও কথা বলার মেতা হেলা।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর দলীল এই েয, অটহাসয ইমােমর সালােতর ঐ অংশেক ফািসদ কের েদয় েয অংশ
অটহােসযর সােথ যুক। সুতরাং মুকাদীর সালােতরও ততটুকু ফািসদ হেয় যােব। তেব ইমােমর েতা আর ‘িবনা’
করার পেয়াজন েনই। আর মাসবূেকর িবনা করার পেয়াজন রেয়েছ। আর ফািসেদর উপর িবনা করাও ফািসদ।
সালােমর িবষয়িট এর বযিতকম। েকননা, সালাম েতা সালাত সমাপকারী। আর কথা সালােমর সমমােনর। তেব
ইমােমর উযূ ভঙ হেয় যােব, েযেহতু অটহাসয সালােত থাকা অবসায় হেয়েছ।

86
েয বযিকর রকুেত িকংবা সাজদায় হাদাছ হেয় যায়, েস উযূ কের ‘ িবনা’ করেব এবং েয েয রকুেন হাদাছ
হেয়েছ, তা গহণীয় হেব না। েকননা রকুন পূণর হয় তা েথেক পসােনর মাধযেম। আর হাদাছ অবসায় পসান,
সাবযস হয় না। সুতরাং (উক রকনিট) েদাহরােনা জররী।

আর যিদ িতিন ইমাম হেয় থােকন আর অনযেক আেগ বািড়েয় থােকন, তেব যােক আেগ বাড়ােনা হেয়েছ, েস রকু
দীঘরািয়ত করেব। েকননা, দীঘরািয়ত করার দারা পূণর করা তার পেক সমব।

যিদ রকুেত বা সাজদায় মেন পেড় েয তার িযমায় একিট সাজদা রেয় েগেছ। তখন েস রকু েথেকই সাজদায়
েনেম েগেলা িকংবা সাজদা েথেক মাথা তুেল ঐ সাজদািট কের িনেলা তেব রকু বা সাজদােত েদাহরােব।

এটা হেলা উতম হওয়ার বণরনা। যােত রকনগেলা যথাসমব তারতীব মুতািবক হয়। আর যিদ না েদাহরােনা না হয়
তবু চলেব। েকননা সালােতর রকুনগেলা সােথ তারতীব রকা করা শতর নয়।

তা ছাড়া তাহারােতর অবসায় (অনয রকেন) গমন শতর। আর তা েতা পাওয়া েগেছ।

ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) েথেক বিণরত েয, তার জনয রকু েদাহরােনা জররী। েকননা তার মেত ‘কাওমা’ হেলা
ফরয।

েয বযিক মাত একজন মুকাদীর ইমামিত করেছ, এমতাবসায় তার হাদাছ ঘটােনা আর েস মসিজদ েথেক েবর হেয়
েগেলা, তখন মুকাদী ইমাম হেয় যােব, তােক সলবতরী করার িনয়যত করন িকংবা না করন। েকননা, এেত
সালাত রকার উপায় হয়।

আর পথমজন িদতীয় জেনর মুকাদী হেয় সালাত সমূণর করেব। পকৃতই তােক সলবতরী করেল েযমন করেতা।

যিদ তার িপছেন বালক বা সী েলাক ছাড়া অনয েকউ না থােক, তেব কােরা কােরা মেত তার সালাত ফািসদ হেয়
যােব। েকননা, যার ইমামিত জাইয েনই, েস সলবতরী হেয়েছ। অনয মেত তার সালাত ফািসদ হেব না। েকননা
ইচাকৃতভােব ‘সলবতরীকরণ’ পাওয়া যায়িন এবং তার ইমামিত করার েযাগযতা েনই।

সপম অনুেচদ
যা সালাতেক ভংগ কের এবং যা সালাতেক মাকরহ কের
েয বযিক ইচা কের বা ভুেল সালােতর মেধয কথা বেল, তার সালাত বািতল হেয় যােব। িবচুযিত বা ভুলবশতঃ
কথা বলার েকেত ইমাম শািফঈ (র.) িভনমত েপাষণ কেরন। তার দলীল হেলা েসই পিসদ হাদীছিট।

আমােদর দলীল এই েয, রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন,

87
আমােদর এ সালাত েকান মানুেষর কথাবাতরার উপেযাগী নয়। সালাতেতা তাসবীহ, তাহলীল ও কুরআন পাঠ ছাড়া
অনয িকছু নয়।

ইমাম শািফঈ (র.) বিণরত হাদীছিট গনাহ রিহত হওয়ার উপর পেযাজয। ভুেল সালাম করার িবষয়িট বযিতকম।
েকননা, এটা ‘িযিকর’ এর মেধয গণয। সুতরাং ভুেলর অবসায় এেক িযিকর ধরা হেব এবং েসচায় বলেল কথা
ধরা
্ হেব। েকননা এেত সেমাধেনর কাপ সবরনামর্ ্ েয়েছ।

যিদ সালােতর মেধয কাতরায় িকংবা উহ-আহ শব কের বা শব কের কােদ, এগেলা যিদ জানাত-জাহানােমর
সরেণর কারেণ হেয় থােক তেব সালাত নষ হেব না। েকননা, এেত অিধক ‘খুশখুয’ু পমািণত হয়।

আর যিদ বযাথা বা েকান িবপেদর কারেণ হয়, তেব সালাত ভংগ হেয় যােব। েকননা তােত অিসরতা ও আেকপ
পকাশ পায়। সুতরাং তা মানুেষর কথার অনভূরক হেয় যােব।

আবূ ইউসূফ (র.) েথেক বিণরত আেছ েয, আহ শবিট উভয় অবসায় সালাত নষ করেব না। আর ‘আওয়াহ’
শবিট নষ করেব।

েকউ েকউ বেলেছন, আবূ ইউসূফ (র.) এর মূল বকবয এই েয, উচািরত শব যিদ দই হরফ িবিশষ হয় আর
উভয় হরফ িকংবা একিট যিদ (আরবী বযকরণ মেত) অিতিরক হরফ সমিষর অনভূরক হয় তাহেল সালাত ফািসদ
হেব না। আর উভয়িট যিদ মূল হরফ সমিষর অনভূরক হয় তেব ফািসদ হেয় যােব। আর অিতিরক হরফ সমিষর
অনভূরক ফকীহগণ বােকয একত কেরেছন। এ বকবয সবল নয়। েকননা পচিলত অেথর মানুেষর কথা বেণরাচারণ
ও অথর বুঝােনার অনুগামী। আর তা এমন ধিনর েকেতও সাবযস হেত পাের, যার সব ক’িট বণর ‘অিতিরক’
বণরসমিষর অনভূরক।

যিদ িবনা ওযের গলা খাকাির েদয়, অথরাত অনেনযাপায় অবসায় হয়িন, আর তার ফেল বণরসমূহ সৃিষ হয়, তাহেল
ইমাম আবূ হানীফা ও মুহামদ (র.) এর মেত সালাত ফািসদ হওয়াই যুিকযুক। আর যিদ ওযেরর কারেণ হয়
তেব তা মা’ফ। েযমন হািচঁ ও েঢকুর; যখন এেত হরফ পকািশত হয়।

েকউ হািচ িদেলা আর অনযজন সালােতর মেধযই তােক ইয়ার হামুকালাহ বেল েফলেলা তেব তার সালাত ফািসদ
হেয় যােব। েকননা, এিট বযবহত হয় মানুেষর পরসর সেমাধেনর েকেত। সুতরাং কােজর কথার মেধয গণয
হেব। পকানের হািচদাতা অথবা েশাতা যিদ আল হামদিললাহ বেল তেব সালাত ফািসদ হেব বেলই ফকীহেদর
মত। েকননা, এটা জবাব িহসােব পচিলত নয়।

আর যিদ িকরাত পাঠকারী বযিক আটকা পেড় েলাকমা চায় আর অনয বযিক সালােত েথেকই তােক েলাকমা িদেয়
তেব তার সালাত ফািসদ হেয় যােব।

এর মূল অথর হল মুসিল িনেজ ইমাম ছাড়া অনয কাউেক বেল েদয়। েকননা, এরপ করা িশকাদান ও িশকা
গহেণর অনভূরক। তা মানুেষর কথার মেধয গণয হেব। তেব মাবসূত িকতােব একািধকবার করার শতর আেরাপ করা

88
হেয়েছ। েকননা এটা সালােতর আমলসমূেহর অনভূরক নয়। কােজই অল মা’ফ হেব। িকন ‘জােমউস সাগীর’
িকতােব এ শতর আেরাপ করা হয়িন। েকননা, সয়ং মানুেষর কথা অল হেলওূূ
্ রত া সালাত ভঙকারী।

আর যিদ িনেজর ইমােমর িকরাত বেল েদয় তেব তা ‘কথা’ রেপ গণয হেব না, সূক িকয়ােসর দৃিষেত। েকননা
মুকাদী িনেজর সালাত সংেশাধন করেত বাধয। সুতরাং এরপ বেল েদয়া পকৃতপেক তার সালােতর আমল িহসােব
গণয হেব। অবশয ইমােমর িকরাত বেল েদওয়ারই িনয়যত করেব। িনেজ পাঠ করার িনয়যত করেব না। এটাই
িবশদ মত। েকননা, তােক বেল েদওয়ার অনুমিত েদওয়া হেয়েছ, িকরাত পােঠর অনুমিত েদওয়া হয়িন।

আর যিদ ইমাম অনয আয়ােতর িদেক পতযাবতরন কের, তেব েলাকমাদাতার সালাত ফািসদ হেয় যােব। এবং
ইমােমর সালাতও ফািসদ হেয় যােব, যিদ েস তার েলাকমা গহণ কের। েকননা, এখােন িবনা পেয়াজেন পাঠদান
ও পাঠ গহণ সংঘিটত হেলা। আর মুকাদীর উিচত নয় বেল েদওয়ার বযাপাের জলিদ করা। আবার ইমােমরও
উিচত নয় মুকাদীেদর বেল েদওয়ার জনয বাধয করা। বরং তার কতরবয রকুর সময় হেয় েগেল রকুেত চেল যােবন
িকংবা অনয আয়ােতর িদেক পতযাবতরন করেবন।

যিদ সালােতর মেধয কােরা উতের লা ইলাহা ইললালাহ বেল, তেব ইমাম আবূ হানীফা ও মুহামদ (র.) এর মেত
তা সালাত ফািসদকারী কালাম বেল গণয হেব। িকন আবূ ইউসূফ (র.) বেলন, এটা সালাত ফািসদকারী হেব
না।

এই মতিভনতা তখনই, যখন এই বাকয দারা উতর েদয়ার িনয়যত করেব।

ইমাম আবূ ইউসূেফর দলীল এই েয, এ বাকযিট আলাহর পশংসা অেথরই গিঠত। সুতরাং তার িনয়যেতর কারেণ তা
পিরবিতরত হেব না। ইমাম আবূ হানীফা ও ইমাম মুহামদ (র.) এর দলীল এই েয, বাকযিট উতেরর েকেত পেয়াগ
হেয়েছ। আর উতর হওয়ার উপেযািগতা বাকযিটর মেধয আেছ। সুতরাং এেক উতর রেপই গহণ করা হেব।
েযমন, হািচর উতর (ইয়ারহামুকালাহ)। আর ইনা িললািহর িবষয়িটও িবশদ মেত িবেরাধপূণর।

যিদ েস এ দারা একথা জানােনার ইচা কের থােক েয, েস সালাত রেয়েছ তাহেল সবরসমিতকেমই তার সালাত
ফািসদ হেব না।

েকননা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- েতামােদর েকউ যিদ সালােত েকান ঘটনার সমুখীন হয়, তেব েস েযন তাসবীহ
পেড়।

েয বযিক যুহেরর এক রাকাআত আদায় করল, তারপর আসর বা সাধারণ নফল শর কের িদেলা, তাহেল তার যুহর
ভংগ হেয় েগেলা। েকননা অনয সালাত শর করা সহীহ হেয়েছ। সুতরাং েস (বতরমান সালােত) যুহর েথেক েবর
হেয় যােব।

যিদ যুহেরর এক রাকাআত আদােয়র পর আবার যুহরই শর কের, তাহেল েসটা যুহরই হেব এবং ঐ রাকাআতই
যেথষ হেব। েকননা, েয সালােত েস িবদযমান আেছ, হবহ েসটােকই শর করার িনয়যত কেরেছ। সুতরাং তার
িনয়যত বািতল হেব এবং িনয়যতকৃত সালাত বহাল থাকেব।

89
ইমাম যিদ কুরআন শরীফ েদেখ পাঠ কের তেব ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মেত তার সালাত ফািসদ হেয়
যােব। আর ইমাম আবূ ইউসূফ ও ইমাম মুহামদ (র.) এর মেত সালাত পূণর হেয় েগেছ। েকননা এখােন এক
ইবাদেতর সেঙ অনয ইবাদত যুক হেয়েছ মাত।

তেব তা মাকরহ হেব। েকননা এটা িকতাবীেদর সােথ সাদৃশযপূণর কাজ।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর দলীল এই েয, কুরআন শরীফ বহন করা েদখা এবং পাতা উলােনা, এগেলা আমেল
কাছীর (বা েবশী মাতার কাজ)।

তাছাড়া এটা হেচ কুরআন শরীফ েথেক পাঠ গহণ। সুতরাং অনয কােরা কাছ েথেক পাঠ গহেণর মেতা এটাও
সালাত ফািসদকারী হেব।

িদতীয় দলীেলর আেলােক হােত বহনকৃত ও েকান সােন রিকত কুরআেনর মােঝ েকান পাথরকয েনই। িকন পথম
দলীেলর আেলােক উভেয়র মােঝ পাথরকয হেব।

যিদ েকান েলখার িদেক দৃিষ েদয় আর িবষয়বস (মুেখ না পেড়) বুেঝ েফেল, তেব িবশদ বণরনা মেত
সবরসমিতকেমই তার সালাত ফািসদ হেব না।

পকানের যিদ কসম কের থােক েয, অমুেকর িচিঠ পড়েব না, তাহেল ইমাম মুহামদ (র.) এর মেত শধু বুঝার
দারাই কসম ভংগ হেয় যােব। েকননা েসখােন (উচারণ পড়াটা নয় বরং) বুঝাই হেলা উেদশয। আর সালাত
ফািসদ হয় আমেল কাছীর দারা। আর তা এখােন পাওয়া যায়িন।

আর যিদ মুসলীর সামেন িদেয় েকান সীেলাক অিতকম কের,তেব সালাত ভংগ হেব না। েকননা হযূর (সা.)
বেলেছন- েকান িকছুর অিতকম সালাত ভংগ কের না। তেব অিতকমকারী গনাহগার হেব। েকননা রাসলুলাহ
(সা.) বেলেছন-

যিদ মুসলীর সামেন িদেয় অিতকমকারী জানেতা েয, তার কত গনাহ হেব, তাহেল েস চিলশ (িদন বা মাস বা
বছর) পযরন দািড়েয় থাকেতা।

কিথত মেত যিদ েস মুসলীর সাজদার সান িদেয় অিতকম কের এবং উভেয়র মােঝ েকান আড়ােল না থােক, তদপ
েদাকােন (বা অনয েকান উচু সােন) যিদ সালাত আদায় কের এবং অিতকমকারীর অংগসমূহ তার অংেগর
েসাজাসুিজ হয় তেব গনাহগার হেব।

আর েয বযিক মরভুিমেত (বা েখালা সােন) সালাত আদায় কের তার জনয উিচত িনেজর সামেন একিট সুতরাহ
গহণ করা। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- েতামােদর েকউ যখন মরভুিমেত সালাত আদায় কের, তখন েস
েযন িনেজর সামেন সুতরাহ গহণ কের।

90
‘সুতরাহ’ এর পিরমাণ হেলা একগজ বা তার েবশী। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- েতামােদর েকউ যখন
মরভূিমেত সালাত আদায় কের তখন েস িক িনেজর সামেন হাউদার িপছেনর কােঠর মেতা িকছু একটা ধারণ
করেত পাের না?

বলা হেয়েছ েয, তা আংগেলর মত েমাটা হওয়া দরকার। েকননা এর চাইেত সর হেল দূর েথেক দৃিষেগাচর হেব
না। ফেল উেদশযও হািসল হেব না।

‘সুতরাহ’ এর কাছাকািঠ দাড়ােব। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- েয বযিক ‘সুতরাহ’ এর সামেন সালাত
আদায় কের, েস েযন ‘সুতরাহ’র িনকটবতরী দাড়ায়।

‘সুতরাহ’ ডান ভ বা বাম ভ বরাবর সাপন করেব। হাদীেছ এরপই বিণরত হেয়েছ।

যিদ অিতকমেণর আশংকা না থােক এবং রাসা সামেন েরেখ না দাড়ায়, তেব সুতরাহ বাদ েদওয়ার েকান অসুিবধা
েনই।

ইমােমর সুতরাহ জামা’আেতর সুতরাহ বেল গণয হেব। েকননা, রাসূলূূূূ


ুল্ ্ াহূ (সা.) মকার ‘সমতল
ভুিমেত’ লািঠ সামেন েরেখ সালাত আদায় কেরেছ; িকন জামা’আেতর সামেন েকান সুতরাহ িছল না।

(সুতরাহ) মািটেত েগেড় রাখাই গহণীয়, েফেল রাখা বা মািটেত দাগ টানা নয়। েকননা তা দারা উেদশয হািসল
হয় না।

যিদ সামেন সুতরাহ না থােক অথবা তার ও ‘সুতরাহ’র মাঝখান িদেয় অিতকম করেত চায়, তেব অিতকমকারীেক
বাধা িদেব। েকননা, রাসূলুলাূূ
হ্ ্ (সা.) বেলেছন- যতটা পােরা বাধা দাও।

আর ইশারার মাধযেম বাধা িদেব। উমু সালামা (রা.) এর দই ‘সনান’ সমেকর রাসূলুলাহ (সা.) এমনই
কেরেছন।

িকংবা তাসবীহ পেড় েরাধ করেব। পথম হেলা ঐ হাদীছ, যা ইেতাপূেবর আমরা বণরনা কেরিছ।

(ইশারা ও তাসবীহ) উভয়িট একত করা মাকরহ হেব। েকননা (উেদশয হািসেলর জনয) একিটই যেথষ।

পিরেচদঃ সালােতর মাকরহ


মুসলী িনেজর কাপড় িনেয় বা শরীর (এর েকান অংগ) িনেয় (সালাতরত অবসায়) েখলা করা মাকরহ। েকননা,
রাসুলুলাহ (সা.) বেলেছন- আলাহ েতামােদর জনয িতনিট িজিনস মাকরহ কেরেছন, তনেধয িতিন সালাতরত
অবসায় কীড়া করার কথা উেলখ কেরেছন।

91
সালােতর বাইেরও কীড়া হারাম। সুতরাং সালােতর িভতের (তা হারাম হওয়া সমেকর) েতামার ধারণা িক? আর
পাথর কণা-সরােব না। েকননা, এও এক ধরেণর কীড়া; অবশয যিদ সাজদা েদওয়া সমব না হয় তেব একবার
মাত সমান কের িনেব। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- েহ আবূ যার! েকবল একবার (পিরষার করেত পােরা)
অনযথায় েছেড় দাও।

তাছাড়া েযেহতু তােত তার সালােতর সংেশাধন রেয়েছ।

আর আংগল মটকােব না। েকননা, রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- সালাতরত অবসায় তুিম েতামার আংগল মটিকেয়া
না।

আর েকামের হাত রাখেব না। েকননা, রাসূলুলাহ (সা.) সালােতর মেধয েকামের হাত রাখা িনেষধ কেরেছন।
এেত সুনতসমত অবসা তরক করা হয়।

আর অনযিদেক দৃিষপাত করেব না। েকননা, রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- মুসলী যিদ জানত েয, কার সংেগ
কেথাপকথন করেছ, তাহেল েস অনযিদেক দৃিষপাত করেতা না।

যিদ মুসিল ঘাড় বাকা না কের েচােখর েকাণ িদেয় ডােন, বােম তাকায়, তেব তা মাকরহ হেব না। েকননা,
রাসূলুলাহ (সা.) সালােত েথেক েচােখর েকাণ িদেয় তার সাহাবীেদর িদেক তাকােতন। আর হাটু তুেল বসেব না
এবং (সাজদার সময়) ডানা ভুিমেত িবিছেয় রাখেব না। েকননা আবূ যার (রা.) বেলেছন-

আমার হাবীব আমােক িতনিট কাজ িনেষধ কেরেছন। েমারেগর মত েঠাকর েদওয়া, কুকুেরর মত বসা এবং
শৃগােলর মত ডানা িবিছেয় েদওয়া।

আবূ যার (রা.) বিণরত এর অথর উভয় িনতম মািটেত েরেখ উভয় হাটু খাড়া কের রাখা। এ-ই িবশদ বযাখযা।

আর মুেখ সালােমর জবাব িদেব না। েকননা তা কথা বলা; এবং হােতও না। েকননা, এ-ও পেরাকভােব
সালাম। এমন িক েকউ যিদ সালােমর িনয়যেত মুছাফাহা কের, তেব তার সালাত ফািসদ হেয় যােব।

েকান ওযর ছাড়া আসন কের বসেব না। েকননা, তােত বসার সুনত তরক হয়।

আর চুল ঝুিট করেব না। ঝুিট করা মােন চুলগেলা মাথার উপের একত কের সুতা িদেয় িকংবা রাবার িদেয় বাধা,
যােত চুল িসর থােক। েকননা,রাসূলুলাহ (সা.) চুল ঝুিট করা অবসায় সালাত আদায় করেত িনেষধ কেরেছন।

আর কাপড় গটােব না। েকননা, এটা এক ধরেনর অহংকার।

আর কাপড় ঝুিলেয় েদেব না। েকননা, রাসূলুলাহ (সা.) কাপড় ঝুিলেয় রাখেত িনেষধ কেরেছন। সাদল অথর
মাথায় ও কােধ কাপড় েরেখ পানগেলা দ’িদেক ঝুিলেয় েদওয়া।

আর পানাহার করেব না। েকননা এটা সালাতভূক কাজ নয়।

92
যিদ ইচাকৃতভােব বা ভুেল পানাহার কের তেব তার সালাত ফািসদ হেয় যােব । েকননা এটা আমেল কাছীর (বা
অিতমাতার কাজ) আর সালােতর অবসা হেলা সরণ কিরেয় েদওয়ার অবসা।

ইমােমর দাড়ােনার সান মসিজেদ আর সাজদার সান েমহরােব হওয়ােত অসুিবধা েনই। তেব েমহরােব দাড়ােনা
মাকরহ। েকননা, এটা ইমােমর জনয আলাদা সান িনধরারেণর িদক েথেক আহেল িকতােবর আচরণ সদৃশ। তেব
(পদদয় মসিজেদ থােক অবসায়) েমহরােব সাজদা েদওয়ার িবষয়িট আলাদা।

ইমােমর একা উচু সােন দাড়ােনা মাকরহ। কারণ হেলা, যা আমরা বেল এেসিছ।

তদপ জািহরী বণরনা মুতািবক (িবপরীত অবসািটও) মাকরহ হেব। েকননা, এেত ইমােমর পিত অবজা করা
হয়।

বসা, আলাপরত েকান মানুেষর িপঠ সামেন েরেখ সালাত আদােয় েকান অসুিবধা েনই। েকননা, ইবন উমর (রা.)
েকান েকান সফের (আপন আযাদকৃত দাস) ‘নািফ’েক সুতরাহ বািনেয় সালাত আদায় করেতন।

সামেন ঝুলন কুরআন শরীফ বা ঝুলন তেলায়ার েরেখ সালাত আদােয় েকান অসুিবধা েনই। েকননা, এ দ’েটা
ইবাদতেযাগয বস নয়। আর েস িহসােবই মাকরহ হওয়া সাবযস হয়।

ছিব সমিলত িবছানায় সালাত আদােয় অসুিবধা েনই। েকননা, এেত ছিবেক তুচই করা হয়।

আর ছিবগেলার উপর সাজদা করেব না। েকননা, এটা ছিব পূজার সদৃশ। মাবসূত িকতােব (মাকরহ হওয়ার
িবষয়িট) িনঃশতর করা হেয়েছ। েকননা, অনযানয িবছানার মুকািবলায় মুছলােক সমােনর দৃিষেত েদখা হয়।

মাথার উপের ছােদ িকংবা সামেন িকংবা বরাবের ছিব থাকা িকংবা ঝুলন ছিব রাখা মাকরহ। েকননা (হযরত)
িজবরাঈল কিথত হাদীেছ রেয়েছ- েয ঘের কুকরু বা ছিব থােক, েস ঘের আমরা পেবশ কির না। ছিব যিদ এেতা
েছাট হয়, মানুেষর েচােখ পেড় না তেব মাকরহ হেব না। েকননা খুব েছাট ছিব পূজয নয়।

আর মূিতর যিদ কিতরত মসক হয়। অথরাত যিদ মাথা েফেল েদওয়া হয় তেব তা মূিতর নয়। েকননা, মসকহীন
অবসায় মূিতরপুজা করা হয় না। সুতরাং তা পদীপ বা েমামবািত সামেন েরেখ সালাত আদায় করার মত হেলা।
েযমন, উলামােয় িকরাম বেলেছন।

যিদ মািটেত পেড় থাকা বািলশ িকংবা িবিছেয় রাখা িবছানায় ছিব থােক তেব তা মাকরহ হেব না। েকননা এ
অবসায় েতা তা পােয় মাড়ােনা হয়। পকানের বািলশ খাড়া কের রাখা অবসায় িকংবা ঝুলন পদরায় ছিব থাকেল
িভন হকুম হেব। েকননা, এেত ছিবর সমান পকাশ পায়। কিঠততম মাকরহ হেলা ছিব মুসলীর সামেন থাকা,
অতঃপর মাথার উপের থাকা এরপর ডান িদেক থাকা, এরপর বাম িদেক থাকা অতঃপর িপছন থাকা । আর যিদ
ছিবযুক কাপড় পিরধান কের তেব মাকরহ হেব।

93
েকননা, েস মূিতর বহনকারীর সদৃশ হেব। তেব এ অবসার সালাত শদ হেয় যােব। েকননা, সালােতর যাবতীয় শতর
পাওয়া িগেয়েছ। তেব মাকরহমুক অবসায় তা েদাহরােত হেব। মাকরহসহ আদায়কৃত সমস সালােতর একই
হকুম।

তেব অপাণীর ছিব মাকরহ হেব না। েকননা েসগেলার পূজা করা হয় না।

সালােতর মেধয সাপ ও িবচু হতযা করায় েকান অসুিবধা েনই। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- েতামরা দই
‘কােলা’ (সাপ ও িবচু) েমের েফলেব, এমন িক েতামরা যিদ সালােতর মেধযও থাক।

তাছাড়া এদারা সালােত িবঘকারী দূর করা হয়। সুতরাং তা সমুখ িদেয় অিতকমকারীেক েরাধ করার সমতুলয।

সবরকম সােপরই সমান হকুম। এটাই সহীহ মত। েকননা বিণরত হাদীছিট িনঃশতর।

আর সালােতর মেধয যােত আয়াত ও তসবীহ সংখযা তদপ সূরা গণনা করাও মাকরহ হেব। েকননা তা সালােতর
কাযরভুক নয়।

ইমাম আবূ ইউসূফ ও মুহামদ (র.) েথেক বিণরত আেছ েয, িকরােতর সুনত পিরমাণ রকা করার জনয এবং
হাদীেছ েয সংখযা বিণরত আেছ, তা রকা করার জনয গণনা করা মাকরহ হেব না।

(উতের) আমরা বিল, সালাত শর করার আেগই েতা তা গণনা কের িনেত পাের যােত পের গণনা করার পেয়াজন
না হয়। আলাহই উতম জােনন।

পিরেচদঃ পায়খানায় িকবলামুখী বসা


পায়খানায় লজাসান িকবলামুখী কের বসা মাকরহ। েকননা, নবী কিরম (সা.) তা িনেষধ কেরেছন। এক বণরনা
মেত িকবলার িদেক িপছন িদেয় বসা মাকরহ। েকননা তােত সমান তরক করা হয়। অনয বণরনা মেত তা
মাকরহ হয় না। েকননা, েয বযিক (িকবলার িদেক) িপছন িদেয় বেসেছ, তার লজাসান েকবলার িদেক নয়।

আর েয নাজাসাত তার েথেক েবর হয়, তা ভূিমর িদেক পেড়। আর েয িকবলামূখী হেয় বেস, তার লজাসান
েকবলামুখী হেয় থােক। আর তা েথেক যা িনগরত হয়, তা েস মুখী হেয় মািটেত পেড়।

মসিজেদর উপের সী সহবাস করা, েপশাব করা এবং িনজরেন িমিলত হওয়া মাকরহ। েকননা মসিজেদর ছাদ
মসিজেদর হকুমভূক। এইজনয মসিজেদ ছাদ েথেক ছােদর নীেচ দাড়ােনা ইমােমর িপছেন ইকিতদা করা ৈবধ।
এবং ছােদ আেরাহেণর কারেণ ই’িতকাফ বািতল হয় িন। এবং জানাবােতর অবসায় েসখােন অবসান করা জাইয
নয়।

94
ঐ ঘেরর উপের েপশাব করায় েকান অসুিবধা েনই, যার নীেচ মসিজদ রেয়েছ।

মসিজদ দারা বাড়ীর ঐ অংশেক েবাঝােনা হেয়েছ, যা সালােতর জনয িনধরারণ করা হেয়েছ। েকননা তা মসিজেদর
হকুেমর আওতায় পেড়িন। যিদও আমােদরেক বাড়ীেত সালােতর জনয িনধরািরত সান রাখার আহবান জানােনা
হেয়েছ।

আর মসিজেদর চুনকাম করা, শালকাঠ দারা এবং সেণরর পািন দারা কারকাযর করােত েকান অসুিবধা েনই।

‘অসুিবধা েনই’ দারা েবাঝােনা হেয়েছ েয, একােজ েকান সাওয়াব হেব না। তেব গনাহও হেব না। েকান েকান
মেত অবশয এিট সাওয়ােবর কাজ। তেব এিট িনজস তহিবল েথেক খরচ করার েকেত। পকানের মুতাওয়ালী
ওয়াকেফর মাল হেত ঐ সমস কাজই শধু করেত পােরন, যা িনমরাণ সংিশষ; কারকাযর সংিশষ নয়। যিদ িকছু
কেরন তেব বযয়কৃত অেথরর দায় তােকই বহন করেত হেব। আলাহই উতম জােনন।

অষম অনুেচদ
সালাতুল িবতর
ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মেত সালাতুল িবতর হেলা ওয়ািজব। পকানের ইমাম আবূ ইউসূফ ও ইমাম মুহামদ
(র.) বেলন, এিট সুনত। েকননা,তােত সুনেতর আলামতসমূহ সুপকািশত রেয়েছ। কারণ, িবতর
অসীকারকারীেক কািফর আখযািয়ত করা যায় না। এবং এর জনয আলাদা আযান েদওয়া হয় না।

আবূ হানীফা (র.) এর দলীল হেলা হাদীেছ-

আলাহ তা’আলা েতামােদর একিট সালাত বৃিদ কেরেছন। েসটা হেলা িবতর। সুতরাং তা েতামরা ঈশা ও ফজর
উভেয়র মধযবতরী সমেয় আদায় কর।

এখােন ‘আমর’ বা আেদশবাচক শব এেসেছ। আর তা দারা ওয়ািজব হওয়া পমাণ কের। এজনযই
সবরসমিতকেম তা কাযা করা ওয়ািজব।

তেব িবতর অসীকারকারীেক কািফর আখযািয়ত না করার কারণ এই েয, তার ওয়ািজব হওয়া হাদীছ দারা
পমািণত। আবূ হানীফা (র.) েথেক িবতর সুনত হওয়ার েয বণরনা রেয়েছ, তার অথর এই েয, তা সুনাহ দারা
পমািণত। আর েযেহতু তা ‘ঈশার সময় আদায় করা হয়, েসেহতু ‘ঈশার আযান ও ইকামাতেকই যেথষ মেন করা
হেয়েছ।

95
ইমাম কুদরূ ী (র.) বেলন। িবতর হেলা িতন রাকাআত, যার মােঝ সালাম দারা বযবধান করা হেব না। েকননা,
‘আইশা (রা.) বণরনা কেরন েয, নবী (সা.) িতন রাকাআেতর িবতর আদায় করেতন। তদপির হাসান বসরী (র.)
িবতেরর িতন রাকাআেতর বযাপাের মুসিলমেদর ইজমা বণরনা কেরেছন।

এেত ইমাম শািফঈ (র.) ও এক মত। অনযমেত িবতর দই সালােম আদায় করার কথা রেয়েছ। ইমাম মািলক
(র.) এর এই মত। আমােদর বিণরত হাদীছ তােদর িবপেক পমাণ।

আর তৃতীয় রাকাআেত ‘রকু এর পূেবর কুনূত পড়েব।

ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, রকুর পের পড়েব। েকননা, বিণরত হেয়েছ েয রাসূলুলাহ (সা.) িবতেরর েশেষ কুনূত
পেড়েছন। আর তা রকুর পেরই হেব।

আমােদর দলীল হেলা বিণরত হাদীছ েয, নবী কিরম (সা.) রকুর পূেবর কুনূত পেড়েছন। আর যা অেধরেকর েবশী,
তােক েশষাংশ বলা যায়।

সারা বছরই কুনূত পড়া হেব। রমযােনর েশষাধর ছাড়া অনয সমেয়র বযাপাের শািফঈ (র.) এর িভনমত রেয়েছ।
েকননা, হাসান ইবন আলী (রা.) েক কুনূেতর দ’আ িশকা েদয়ার সময় রাসূলুলাহ (সা.) সাধারণতঃ বেলেছন-
এটা েতামার িবতর-এর মেধয পেড়া।

িবতেরর পেতযক রাকাআেত সূরাতুল ফািতহা ও অনয একিট সূরা পড়েব। েকননা আলাহ তা’আলা ইরশাদ
কেরেছন- কুরআেনর েয অংশ েতামােদর জনয সহজ হয় পেড়া।

আর যখন কুনূত পড়ার ইচা করেব তখন তাকবীর বলেব। েকননা, অবসার পিরবতরন হেয়েছ।

আর উভয় হাত উঠােব এবং কুনূত পড়েব। েকননা, রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন, েকবল সাতিট েকত বযতীত হাত
উঠােনা হেব না। তনেধয কুনূেতর কথাও িতিন বেলেছন। এছাড়া অনয েকান সালােত কুনূত পড়েব না।

ফজেরর েকেত ইমাম শািফঈ (র.) এর িভনমত রেয়েছ। েকননা ইবন মাস’ঊদ (রা.) েথেক বিণরত আেছ েয,
রাসূলূূূূ
ুল্ ্ াহূূ (সা.) ফজেরর সালােত কুনূত পেড়েছন। পের তা েছেড় িদেয়েছন।

ইমাম যিদ ফজেরর সালােত কুনূত পেড়ন তেব আবূ হানীফা ও মুহামদ (র.) এর মেত তার মুকতাদীরা নীরব
থাকেব। আর আবূ ইউসূফ (র.) বেলন, মুকতাদী ইমােমর অনুসরণ করেব (অথরাত কুনুত পড়েব)। েকননা, েস
তার ইমােমর অনুগত। আর ফজের কুনূত পড়ার িবষয় ইজিতহাদ িনভরর।

ইমাম আবূ হানীফা ও ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর যুিক এই েয, ফজেরর কুনূত রিহত হেয় েগেছ। আর যা
রিহত হেয় েগেছ, তা অনুসরণেযাগয নয়।

তেব কিথত আেছ েয, েস দািড়েয় থাকেব। েযন েয িবষেয় ইমােমর অনুসরণ আবশযক, েস িবষেয় যথাসমব
ইমােমর অনুসরণ বজায় থােক।

96
অনয মেত মতিভনতা সাবযস করার জনয বসা অবসায় থাকেব। েকননা নীরবতা অবলমনকারী আহবানকারীর সােথ
শরীক বেলই গণয হেয় থােক। তেব পথম মতিট অিধক যুিকযুক।

এই মাসআলািট শািফঈ মাযহাব অনুসারীেদর িপছেন ইকিতদার ৈবধতা এবং িবতের কুনূত পড়ার েকেত অনুসরেণর
ৈবধতা পমাণ কের।

মুকতাদী যিদ ইমােমর পক েথেক এমন িকছু েদখেত পায়, যােত েস ইমােমর সালাত ফািসদ মেন কের; েযমন,
রক েযাকণ করােনা, ইতযািদ তাহেল তার িপছেন ইকিতদা করা জাইয নয়।

কুনূেতর েকেত পছননীয় হেলা নীরেব পড়া, েকননা এটা দ’আ।

নবম অনুেচদ
নফল সালাত
ফজেরর পূেবর দ-রাকাআত, যুহেরর পূেবর চার রাকাআত এবং তারপের দ’রাকাআত এবং আসেরর পূেবর চার
রাকাআত, তেব ইচা করেল দই রাকাআত এবং মাগিরেবর পের দই রাকাআত এবং ‘ঈশার পূেবর চার রাকাআত
এবং ঈশার পের চার রাকাআত, তেব ইচা করেল দই রাকাআত সুনাত।

এ সমেকর মূল সূত হেলা রাসূলুলাহ (সা.) এর হাদীছ-

েয বযিক িদেন ও রােত বার রাকাআত (সুনাত সালাত) িনষার সােথ আদায় করেব আলাহ পাক তার জনয জানােত
একিট ঘর ৈতির করেবন।

এরপর রাসূলুলাহ (সা.) ঐ ভােবই তাফসীর কেরেছন, েযভােব (মাবসূত) িকতােব বিণরত হেয়েছ। তেব আসেরর
পূবরবতরী চার রাকাআেতর কথা হাদীেছ েনই। এ কারেণ (মুহামদ ইবনূল হাসান (র.) আল-আসল িকতােব এটােক
(সুনেতর পিরবেতর) ‘উতম’ বেল আখযািয়ত কেরেছন। এবং (চার রাকাআত) পড়া না পড়ায় ইখিতয়ার
িদেয়েছন। েকননা এ সমেকর হাদীছ িবিভন রকেমর রেয়েছ। তেব চার রাকাআতই উতম। ঈশার পূবরবতরী চার
রাকাআেতর কথা উেলখ করা হয় িন। এজনযই িনয়িমিত না থাকার কারেণ এটােক মুসতাহাব ধরা হেয়েছ। তদপ
আেলাচয হাদীেছ ‘ ঈশার পের দই রাকাআেতর কথা বলা হেয়েছ। পকানের অনয হাদীেছ চার রাকাআেতর কথা
বলা হেয়েছ। এ জনযই ইমাম কুদরূ ী ‘ইচা করেল’ বেলেছন। তেব চার রাকাআতই উতম। িবেশষতঃ আবূ
হানীফা (র.) এর সুপিরিচত মত অনুসাের। (েকননা তার মেত রােত এক সালােম চার রাকাআত আদায় উতম)।

আর যুহেরর পূেবরর চার রাকাআত আমােদর মেত এক সালােম আদায় উতম। েযমন (আবূ দাঊদ বিণরত হাদীেছ)
রাসূলুলাহ (সা.) (আবূ আইয়ুব আনসারী (রা.) েক বেলেছন। এ িবষেয় শািফঈ (র.) এর িদমত রেয়েছ।

97
ইমাম কুদূরী বেলন, িদেনর ইচা করেল এক সালােম দই রাকাআত আদায় করেব আর ইচা করেল চার রাকাআত
আদায় করেব। এর েবশী আদায় করা মাকরহ হেব। আর রােতর নফল সমেকর ইমাম আবূ হানীফা (র.)
বেলেছন, এক সালােম আট রাকাআত পযরন আদায় করা জাইয। িকন এর েবশী মাকরহ। পকানের ইমাম আবূ
ইউসূফ ও ইমাম মুহামদ (র.) বেলেছন- রােত এক সালােম দই রাকাআেতর েবশী আদায় করেব না।

জােমউস সগীর িকতােব রােতর নফেলর েকেত আট রাকাআেতর উেলখ েনই। ছয় রাকাূূ
্ আেতর
ক থা আেছ।
মাকরহ হওয়ার দলীল এই েয, নবী কিরম (সা.) এর েবশী আদায় কেরনিন। যিদ মাকরহ না হেতা তাহেল
ৈবধতার িবষয়িট িশকাদােনর জনয অবশযই িতিন েবশী আদায় করেতন।

আবূ ইউসূফ ও মুহামদ (র.) এর মেত রােত দই রাকাআত কের পড়া আর িদেন চার রাকাআত কের আদায় করা
উতম। পকানের ইমাম শািফঈ (র.) এর মেত উভয় েকেতই দই রাকাআত কের আদায় করা উতম। আর
ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মেত উভয় েকেতই চার রাকাআত কের আদায় করা উতম।

শািফঈ (র.) এর দলীল হেলা রাসূলুলাহ (সা.) এর হাদীছ- রাত ও িদেনর সালাত দই রাকাআত কের।

ইমাম আবূ ইউসূফ ও ইমাম মুহামদ (র.) তারাবীেহর উপর িকয়াস কেরন। আর ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর
পমাণ এই েয, নবী (সা.) ‘ঈশার পর চার রাকাআত পড়েতন। ‘আঈশা (রা.) এ হাদীছ বণরনা কেরেছন। (আবূ
দাঊদ) তাছাড়া চাশেতর সময় িনয়িমত চার রাকাআত পড়েতন।

তাছাড়া এেত তাহরীমা দীঘরতর হয়। সুতরাং তা অিধক কষকর হেব এবং অিধক ফযীলতপূণর হেব। এ কারেণই
েকউ যিদ এক সালােত চার রাকাআত নামায পড়ার মানত কের থােক তেব দই সালােম নামায পড়া দারা মানত
েথেক মুক হেব না। পকানের িবপরীত েকেত দািয়ত মুক হেয় যােব।

(তারাবীহ –এর উপর সাধারণ নফলেক িকয়াস করা িঠক নয়) েকননা তারাবীহ জামাআেতর সােথ আদায় করা
হয়। সুতরাং তােত সহজ হওয়ার িবষয়িট িবেবচনা করা হেয়েছ।

আর ইমাম শািফঈ (র.) বিণরত হাদীেছর অথর হেলা েজাড় রাকাআত আদায় করেতন েবেজাড় রাকাআত আদায়
করেতন না। আলাহই উতম জােনন।

পিরেচদঃ িকরাত সংকান


ফরয সালােতর দই রাকাআেত িকরাআত ওয়ািজব
ইমাম শািফঈ (র.) সকল রাকাআেত ওয়ািজব বেলন। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- িকরাত ছাড়া সালাত
শদ নয়। আর পিতিট রাকাআতঈ সালাত। ইমাম মািলক (র.) িতন রাকাআেত িকরাত ফরয বেলন। সহজ
করার িনিমত অিধকাংশেক সমেগর তুলয মেন কেরন।

98
আমােদর দলীল হেলা আলাহ তা’আলা বেলেছন- কুরআেনর যতটুকু সহজ হয় পাঠ কর। আর েকান কােজর আেগ
পুনরাবৃিতর দাবী রােখ না। তেব িদতীয় রাকাআেত আমরা িকরাত ওয়ািজব কেরিছ পথম রাকাআেতর সােথ তুলনা
কের। েকননা উভয় রাকাআত সকল িদক েথেক সদৃশ। পকানের িদতীয় দই রাকাআেতর পাথরকয রেয়েছ পথম
দই রাকাআত েথেক। সফর বাইর হওয়ার এবং িকরােতর গেণ (উৈচসের নীরব পড়ার বযাপাের) এবং িকরােতর
পিরমােণর বযাপাের।িদতীয় দই রাকাআত পথম দই রাকাআেতর সােথ িমিলত হেব না।

আর শািফঈ (র.) বিণরত হাদীেছ সালাত শবিট সুসষ রেপ উেলিখত হেয়েছ। সুতরাং তা পূণর সালােতর উপর
পেযাজয হেব। আর তা সাধারণ বযবহাের দই রাকাআতই হয়। েযমন েকউ েকান সালাত আদায় করেবন বেল
শপথ করল (এেত দই রাকাআত পড়েলই শপথ ভঙ হেব)। পকানের যিদ শপথ কের েয, েস ‘সালাত’ আদায়
করেব না (এেত এক রাকাআত পড়েলও েস শপথভঙকারী হেব)।

েশষ দই রাকাআেত েস তার ইচার উপর নযস। অথরাত ইচা করেল েস নীরব থাকেব। ইচা করেল িকরাত
পড়েব। আবার ইচা করেল তাসবীহ পাঠ করেব। আবূ হানীফা (র.) েথেক এরপই বিণরত হেয়েছ। আলী (রা.)
ইবন মাসঊদ ও ‘আইশা (রা.) েথেক এ-ই বিণরত হেয়েছ। তেব িকরাত পড়াই উতম। েকননা নবী কিরম (সা.)
(পায় সবরদাই এরপ কেরেছন) একারেণই জািহরী িরওয়ায়াত মেত তা তরক করার কারেণ সাজদা সাহ ওয়ািজব
হয় না।

নকেলর সকল রাকাআেত এবং িবতেরর সকল রাকাআেত িকরাত ওয়ািজব।

নফেল ওয়ািজব হওয়ার কারণ এই েয, নফেলর পিত দই রাকাআত আলাদা সালাত িবিশষ। এবং তৃতীয়
রাকাআেতর জনয দাড়ােনা নতুন তাহরীমা বাধার সমতুলয। একারেণই আমােদর ইমামেদর পিসদ মেত পথম
তাহরীমা দারা দই রাকাআতই শধু ওয়ািজব হয়। তাই ফকীহগণ বেলেছন েয, তৃতীয় রাকাআেত (পথম
রাকাআেতর নযায়) ছানা পড়েব। অথরাত সুবহানাকা আলাহমা পড়েব। আর িবতের ওয়ািজব করা হেয়েছ
সতকরতার দৃিষেকাূূ
্ ্ূ
েণ।

ইমাম কুদরী (র.) বেলন, েয বযিক নফল শর কের তা েভেঙ েফেল, তেব তা কাযা করেব। আর ইমাম শািফঈ
(র.) বেলন, তার উপর কাযা ওয়ািজব নয়। েকননা, েস তা েসচায় আরম কেরেছ। আর েস েসচায় িকছু
কের, তার উপর বাধযবাধকতা আেরািপত হয় না। আমােদর দলীল এই েয, আদায়কৃত অংশটুকু ইবাদেত গণয
হেয়েছ। সুতরাং তা পূনর করা অিনবাযর। েযেহতু আমলেক নষ হওয়া েথেক রকা করা জররী।

যিদ চার রাকাআত সালাত শূর কের এবং পথম দই রাকাূূ ্ আেত
ি ক রাত পেড় ও ৈবঠক কের, এরপর েশষ দই
রাকাআত নষ কের েফেল তেব দই রাকাআত কাযা করেব। েকননা, পথম দ’রাকাআত পূণর হেয় েগেছ। আর
তৃতীয় রাকাআেতর জনয দাড়ােনা নতুনভােব তাহরীমা করার সমতুলয। সুতরাং তা েস ওয়ািজব কের িনেয়েছ।

এ হকুম তখনকার জনয, যখন েশষ দই রাকাআত শর করার পর নষ কের। আর যিদ িদতীয় দ’রাকাআত শর
করার আেগই নষ কের েফেল তেব েশষ দ’রাকাআত কাযা করেব না।

99
ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) েথেক বিণরত আেছ েয, সালাত শর করােক মানেতর উপর িকয়াস কের চার রাকাআত
কাযা করেব।

ইমাম আবূ হানীফা ও মুহামদ (র.) এর দলীল এই েয, আরম অবশয পালনীয় কের ঐ অংশেক, যা আরম করা
হেয়েছ এবং েয অংশ ছাড়া ঐ কমর শূদ হয় না। আর পথম দই রাকাআেতর শদতা িদতীয় অংেশর সােথ সমৃক
নয়। িদতীয় রাকাআেতর িবষয়িট এর িবপরীত। যুহেরর সুনত সমেকরও একই মতিভনতা। েকননা, মূলতঃ এটা
নফল েকান েকান মেত সতকরতা িহসােব চার রাকাআতই কাযা করেব। েকননা তা সমূণর একই সালাত িহসােব
গণয।

আর যিদ েকউ চার রাকাআত (নফল সালাত) আদায় করেলন আর তােত েকান িকরাত পড়ল না, তেব েস দই
রাকাআতই েদাহরােব। এটা ইমাম আবূ হানীফা ও মুহামদ (র.)এর মত। ইমাম আবূ ইউসূফ (র.)এর মেত চার
রাকাআত কাযা করেব।

এ মাসআলা আট পকােরর। মাসাআলার মূল কথা এই েয, মুহামদ (র.) এর মেত পথম দই রাকাআেত িকংবা
দই রাকাআেতর েয েকান একিটেত িকরাআত তরক করা তাহরীমােক বািতল কের েদয়। েকননা তাহরীমা বাধা
হয় কমর সমাদেনর জনয।

ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত পথম দই রাকাআেত িকরােত তরক করা তাহরীমােক বািতল কের না, বরং
সালাত আদায় হওূূ ্ রয়ােক
ফ ািসদ কের। েকননা িকরাত হেলা সালােতর অিতিরক রকন। েদখূন না িকরাত
ছাড়াও সালােতর অিসত হেয় যায়। েযমন (েবাবা মানুেষর) তেব িকরােত ছাড়া সালাত আদায় িবশদ নয়। আ
আদায় ফািসদ হওয়া রকন তরক করার েচেয় গরতর নয়। সুতরাং তাহরীমা বািতল হেব না। ইমাম আবূ হানীফা
(র.) এর মেত পথম দই রাকাআেত িকরাত তরক করা তাহরীমােক বািতল কের েদয় িকন দই রাকাআেতর শধু
এক রাকাআেত তরক করা বািতল কের না। েকননা পিত দই রাকাআত সতন নামায। আর এক রাকাআেত
িকরাত তরফ করার কারেণ নামায নষ হওয়া িবতিকরত িবষয়। তাই সতকরতা অবলমেন আমরা কাযা ওয়ািজব
হওয়ার েকেত নামায নষ হওয়ার রায় িদেয়িছ। আর িদতীয় রাকাআতদয় আবশযক হওয়ার েকেত তাহরীমা
অবযাহত থাকার রায় িদেয়িছ।

এই মূলনীিত সাবযস হওয়ার পর আমােদর বকবয হেলা; েকান রাকাআেতই যিক িকরাত না পেড় থােক তাহেল
ইমাম আবূ হানীফা ও মুহামদ (র.) এর মেত দই রাকাআত কাযা করেব। েকননা পথম রাকাআতদেয় িকরাত
তরক করার কারেণ তােদর মেত তাহরীমা বািতল হেয় েগেছ। সুতরাং িদতীয় রাকাআতদয় শর করা শূদ হয়িন।
পকানের ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত তাহরীমা অবযাহত আেছ। সুতরাং িদতীয় রাকাআতদয় শর করা শূদ
হেয়েছ। অতঃপর েযেহতু িকরাত তরফ করার কারেণ পুরা নামায ফািসদ হেয় েগেছ, েসেহতু তার মেত চার
রাকাআতই কাযা করেত হেব।

যিদ শূধু পথম দই রাকাআেত িকরাত পেড় থােক তাহেল সবরসমিতকেম েশষ দই রাকাআত কাযা করেব। েকননা
তাহরীমা বািতল হয়িন। সুতরাং িদতীয় রাকাআতদয় শর করা শূদ হেয়েছ। অতঃপর িকরাত তরক করার কারেণ
তা ফািসদ হওয়া পথম রাকাআদেয়র ফািসদ হওয়ােক সাবযস কের না।

100
যিদ শধু েশষ দই রাকাআেত িকরাত পেড় থােক তাহেল সবরসমিতকেম পথম দই রাকাআত কাযা করা ওয়ািজব
হেব। েকননা ইমাম আবূ হানীফা ও মুহামদ (র.) এর মেত িদতীয় অংশ করা শদ হয়িন।

পকানের ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত শর েযেহতু শূদ হেয়েছ, েতমিন তা আদায়ও হেয়েছ।

যিদ পথম দই রাকাআত এবং িদতীয় রাকাআতদেয়র এক রাকাআেত িকরাত পেড় থােক তাহেল সবরসমিতকেম
েশষ দই রাকাআত তােক কাযা করেত হেব। আর যিদ েশষ দই রাকাআেত এবং রাকাআতদেয়র এক রাকাআেত
িকরাত পেড় তাহেল সবরসমিতকেম পথম দই রাকাআত কাযা করেত হেব। আর যিদ উভয় অংেশর এক
রাকাআত কাযা করেব। আবূ হানীফা (র.)এর মতও তাই। েকননা তাহরীমা অবযাহত রেয়েছ। মুহামদ (র.)
এর মেত পথম দই রাকাআত কাযা করেত হেব। েকননা (পথম রাকাআতদেয়র এক রাকাআেত িকরাত তরফ
করার কারেণ) তার মেত তাহরীমা রিহত হেয় অসীকার কেরেছন। (ইমাম মুহামদ (র.) েক সেমাধন কের) িতিন
বেলেছন, আিম েতামােক আবূ হানীফা (র.) এর পক হেত এ বণরনা শূিনেয়িছ েয, তােক দই রাকাআত কাযা
করেত হেব। িকন ইমাম মুহামদ (র.) ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর পক হেত তার এ বণরনা পতযাহার কেরন
িন।

যিদ শধু পথম রাকাআতদেয়র এক রাকাআেত িকরাত পেড় তাহেল বড় ইমামদেয়র মেত চার রাকাূূ
্ আত
ক াযা
করেব। আর মুহামদ (র.) এর মেত দই রাকাআত কাযা করেব। আর িদতীয় এক রাকাআেত িকরাত পেড়
তাহেল আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত চার রাকাআত কাযা পড়েব। আর ইমাম আবূ হানীফা ও মুহামদ (র.)এর
মেত দই রাকাআত কাযা করেব।

ইমাম মুহামদ (র.) বেলন, রাসূলুলাহ (সা.) এর হাদীছ েকান সালােতর পর অনুরপ সালাত পড়েব না।

এর অথর হেলা, দই রাকাূূ‌


্‌ আত
ি ক রাতসহ পড়া এবং দই রাকাআত িকরাত ছাড়া পড়া। সুতরাং এ হাদীছ
দারা নফেলর সকল রাকাআেত িকরাত ফরয হওয়া বয়ান করা উেদশয।

দাড়ােনার সামরথয থাকা সেতও বেস নফল পড়েত পাের। েকননা রাসুলুলাহ (সা.) বেলেছন-

বসা অবসায় নামােযর সাওয়াব দাড়ােনা অবসার নামােযর অেধরক।

তাছাড়া নামায হেলা েশষ ইবাদত, যা সবরসমেয় আদায়েযাগয। অথচ মােঝমেধয দাড়ােনা তার জনয কষকর হেত
পাের। তাই িকয়াম তরক করা তার জনয জাইয হেব যােত নামায পড়া েথেক (শূধূ এই কারেণ) িবরত না হয়।

বসার ধরন সমেকর আিলমগণ মতিভনতা েপাষণ কেরন। তেব পসননীয় (ও ফাতওয়া রেপ গৃহীত) মত এই েয,
তাশাহেদ েযভােব বসা হয় েসভােব বসেব। েকননা এটা নামােয বসার সুনত তরীকা রেপ পিরিচত।

যিদ দাড়ােনা অবসায় সালাত শূর কের তারপর ওযর ছাড়া বেস পেড় তেব ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মেত
জাইয হেব।

101
এটা হেলা সূক িকয়াস। আর ইমাম আবূ ইউসূফ ও মুহামদ (র.) এর মেত জাইয হেব না। এটা হেলা সাধারণ
িকয়াস। েকননা আরম করা মানেতর সােথ তুলনীয়।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর যুিক এই েয, অবিশষ নামােয েতা েস িকয়াম গহণ কেরিন। আর নামােযর যতটুকু
অংশ েস আদায় কেরেছ িকয়াম ছাড়াই তার িবশদতা রেয়েছ। নযর বা মানেতর িবষয়িট এর িবপরীত। েকননা
সষ ভাষায় এই বাধযবাধকতা গহণ কেরেছ। এমন িক যিদ িকয়ােমর িবষয়িট সষ না বেল থােক তেব েকান
েকান মাশােয়েখর মেত তার জনয িকয়াস জররী হেব না।

েয বযিক শহেরর বাইের রেয়েছ েস তার সাওয়ািরর জনর ইশারা কের নফল পড়েত পাের, সওয়াির েয িদেকই
অিভমুখী েহাক। েকননা বিণরত আেছ েয, ইবন উমর (রা.) বেলেছন, রাসূলূূূূুল্ ্ াহূূ (সা.) েক
আিম খায়বার অিভমুখী গাধার িপেঠ ইশারা কের নামায পড়েত েদেখিছ (মুসিলম)।

তাছাড়া নফল িবেশষ েকান ওয়ােকর সােথ সমৃক নয়, এমতাবসায় যিদ আমরা সওয়াির হেত নামা এবং
িকবলামুখী হওয়া তার জনয বাধযতামুলক কের েদই তেব হয় েস নফল েছেড় েদেব অথবা কােফলা েথেক িপছেন
পেড় যােব। পকানের ফরয নামাযগেলা িনধরািরত সমেয়র সােথ সমৃক। িনয়িমত সুনত নামাযগেলা নফেলর
অনভূরক। তেব ইমাম আবূ হানীফা (র.) হেত বিণরত এক িরওয়ায়াত মেত ফজেরর সুূূ্ নােতর
জ নয সওয়াির
হেত নামেত হেব। েকননা এটা অনযানয সুনেতর তুলনায় অিধক গরতপূণর।

শহের বাইের হওয়ার শতর দারা পিতয়মান হয় েয িনয়িমত সফর হওয়া শতর নেহ । তদপ শহেরর িভতের এরপ
আদায় করা জাইয হেব না। আর ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) হেত বিণরত এক মেত শহেরও জাইয আেছ। জািহরী
িরওয়ায়ােতর কারণ এই েয, হাদীছ শহেরর বাইের সমেকরই রেয়েছ। আর সওয়ািরর পেয়াজনীয়তা শহেরর
বাইেরই েবশী।

যিদ নফল নামায সওয়ার অবসায় শূর কের এরপর সওয়াির েথেক েনেম যায় তাহেল ‘িবনা’ করেব । আর যিদ
নামা অবসায় এক রাকাআত পেড় তারপর আেরাহণ কের তেব নতুন ভােব শূর করেব। েকননা নামেত সকম
হওয়ার কারেণ আেরাহীর তাহরীমা সংগিঠত হেয়েছ, রকু-সাজদার ৈবধতা সহকাের। সুতরাং যখন েস েনেম রকু-
সাজদা করেব তখন তা জাইয হেব। পকানের অবতরণকারীর তাহরীমা রকু সাজদা ওয়ািজবকারী রেপ সংগিঠত
হেয়েছ। সুতরাং যা তার উপর বাধযতামূলক হেয় িগেয়েছ, তা েস িবনা ওযের তরক করেত পাের না।

ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) হেত একিট বণরনা আেছ েয, সওয়াির হেত নামেলও নতুন কের শর করেব। তদপ
মুহামদ (র.) হেত বিণরত আেছ েয, এক রাকাআত পড়ার পর অবতরণ করেল নতুন কের শূর করেব। তেব
উপেরাক জািহরী িরওয়ায়াতই হেলা অিধকতর িবশদ।

পিরেচদঃ িকয়ােম রমাযান

102
মুসতাহাব এই েয, মানূষ রমাযান মােস ‘ঈশার পের একত হেব এবং ইমাম সােহব তােদরেক িনেয় পাচ তারাবীহা
(অথরাত চার চার রাকাআতী সালাত) পড়েবন। পিতিট তারাবীহা (চার রাকাআত) দই সালােম হেব। এবং পিতিট
তারবীহার পের এক তারাবীহা পিরমাণ সময় বসেব। এরপর ইমাম সােহব তােদরেক িনেয় িবতর পড়েবন।

(ইমাম কুদরূ ী) মুসতাহাব শবিট উেলখ কেরেছন। িকন অিধকতর িবশদ মত এই েয, তা সুনত। হাসান ইবন
িযয়াদ ইমাম আবূ হানীফা (র.) হেত তাই বণরনা কেরেছন। েকননা উমর (রা.), উছমান (রা.) ও ‘আলী (রা.)
এই িতন} খূলাফােয় বািশদীন তা িনয়িমত আদায় কেরেছন। আর নবী (সা.) িনেজ িনয়িমত আদায় বজরন করার
কারণ বণরনা কেরেছন। আর তা হেলা আমােদর উপর ফরয হেয় যাওয়ার আশংকা।

তারাবীেত জামা’আেত করা সুনাত। তেব তা সুনত (মুয়াকাদা) িকফায়া। সুতরাং েকান মসিজেদর মুসলীরা যিদ
তারাবীর জামাআিত কােয়ম করা হেত িবরত থােক তেব সকেলই গনাহগার হেব। পকানের যিদ একাংশ তা কােয়ম
কের তেব অনযরা শধু জামাআেতর ফযীলত তরককারী হেব। েকননা িকছু সংখযক সাহাবী (রা.) হেত তারাবীর
জামাআেত হািযর না হওয়া বিণরত আেছ।

দই তারাবীহার মেধয এক তারাবীহা পিরমাণ সময় বসা মুসতাহাব। তদপ পণচম তারাবীহা ও িবতেরর মােঝও (ঐ
পিরমাণ বসা মুসতাহাব)। েকননা হারমায়েনর অিধবাসীেদর মেধয এরপ চেল আসেছ। আবার েকউ েকউ পাচ
সালােমর পর িবশাম েনয়া উতম বেলেছন। িকন তা িঠক নয়।

ইমাম কুদরূ ী (র.) এর বকবয ‘ এরপর িতিন তােদরেক িনেয় িবতর পড়েবন’ এিদেক ইংিগত কের েয, তারাবীর
সময় হেলা ‘ঈশার নামােযর পর িবতেরর আেগ। সাধারণ মাশােয়খগণ এ মতই েপাষণ কেরন। এটা িবতেরর
পূেবরও হেত পাের, পেরও হেত পাের, েকননা তারাবীহ হেলা নফল িবেশষ, যা ‘ঈশার পের আদায় করার জনয
সুনত িহসােব পবিতরত হেয়েছ।

ইমাম কুদরূ ী (র.) িকরােতর পিরমাণ উেলখ কেরন িন। তেব অিধকাংশ মাশােয়েখর মেত সুনত হেলা তারাবীর
সালােত একবার কুরআন খতম করা। সুতরাং মুসলীেদর অলসতার কারেণ তা বাদ েদওয়া যােব না। পকানের
তাশাহেদর পের দ’আগেলা বাদ েদয়া েযেত পাের। েকননা এগেলা সুনত নয়।

রমাযান মাস ছাড়া অনয েকান সময় জামা’আেতর সােথ িবতর পড়েব না। এ িবষেয় মুসিলম উমাহর ইজমা
রেয়েছ। আলাহই উতম জােনন।

দশম অনুেচদ
জামা’আত পাওয়া
103
েয বযিক যুহেরর এক রাকাআত পড়ার পর ইকামাত হেলা েস আেরক রাকাআত পেড় েনেব। আদায়কৃত অংশেক
বািতল হেয় যাওয়া েথেক রকা করার জনয।

এরপর েলাকেদর সােথ (জামাআেত) শািমল হেব। জামাআেতর ফযীলত হািসল করার জনয।

যিদ পথম রাকাআেতর সাজদা না িদেয় থােক তেব সালাত েছেড় িদেয় ইমােমর সােথ শূর করেব । এটাই িবশদ
মত। েকননা েস েছেড় েদয়ার সান রেয়েছ। আর আমল ভংগ করার উেদশয হেচ পূণরাংগ রেপ আদায় করা।
নফেলর েকেত িবষয়িট িভনরপ। েকননা তা ভংগ করা পূণরাংগ রেপ আদায় করার জনয নয়।

যিদ যুহর বা জুমআ


ু পূববর তরী সুনত নামােয রত থােক আর এমন সময় ইকামত বা খুতবা শূর হয়, তাহেল
(জামাআেতর ফযীলত হািছল করার জনয) দই রাকাআেতর মাথায় নামায েশষ কের েদেব। এটা ইমাম আবূ
ইউসূফ (র.) হেত বিণরত। েকান েকান চার রাকাআত পূণর করেব।

আর যিদ যুহেরর িতন রাকাআত পেড় থােক তাহেল তা পূণর করেব। েকননা অিধকাংেশর পিত সকেলর হকুম
আেরািপত হয়। সুতরাং তা ভংগ করার অবকাশ রােখ না। পকানের যিদ েস তৃতীয় রাকাআেত রত থােক এবং
এখনও এর সােথ সাজদা িমিলত কের েনই, তেব এেকেত তা ভংগ কের েফলেব। েকননা েস ভংগ করার
অবসােন আেছ।

এমতাবসায় তার অিধকার রেয়েছ। ইচা করেল েস িফের এেস বসেব এবং সালাম িফরােব আর ইচা করেল
দাড়ােনা অবসায় ইমােমর সালােত শরীক হওয়ার িনয়যেত তাকবীর বলেব। আর যখন যুহেরর নামায পূণর কের
েফলেব তখন জামাআেত শািমল হেয় যােব।

আর জামাআেতর সােথ যা পড়েব তা নফল হেব। েকননা নামােযর ওয়াক ফরেযর পুনরাবৃিত হয় না।

যিদ ফজেরর এক রাকাআত পড়ার পর ইকামাত হয় তেব তা ভংগ কের জামাূূ ্ আেত
শ ািমল হেয় যােব।
েকননা যিদ তার সােথ আেরক রাকাআত যুক কের, তেব তার জামাআত ফউত হেয় যােব। েতমিন যিদ িদতীয়
রাকাআেতর জনয দািড়েয় যায় তেব তার সােথ সাজদা িমলােনার পূবর পযরন এই হকুম হেব। আর (ফজেরর) নামায
পূণর করার পর ইমােমর নামােয মাগিরেবর পরও একই হকুম, েকননা িতন রাকাআত নফল পড়া মাকরহ। জািহের
িবওয়ায়াত অনুযায়ী চার রাকাআেত রপানিরত করেল ইমােমর িবেরািধতা হয়।

‘আযান হেয় েগেছ’ এমন সময় মসিজেদ েয বযিক পেবশ করল, তার জনয সালাত না পেড় েসখান েথেক েবর
হেয় যাওয়া মাকরহ। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন-

আযান হেয় যাওয়ার পর মসিজদ েথেক ঐ বযিক ছাড়া েকউ েবর হয় না, েয মুনািফক িকংবা ঐ বযিক, েয িফের
আসার ইচা িনেয় মসিজদ েথেক েবর হল।

ইমাম কুদূরী বেলন, তেব যিদ তার উপর েকান জামা’আেতর বযবসাপনার দািয়ত থােক। েকননা এটা বাহযতঃ
বজরন হেলও পকৃত পেক তা পূণরাংগতা দােনর শািমল।

104
আর যুহর ও ‘ঈশার েকেত যিদ েকউ নামায পেড় েফেল থােক তেব (আযােনর পরও মসিজদ েথেক) েবর
হওয়ােত েদাষ েনই। েকননা আলাহর আহবানকারীর িবেরািধতার কারেণ।

আর আসর, মাগিরব ও ফজেরর সময় মুআযিযম ইকামাত শূর কের িদেলও েবর হেয় যােব। েকননা এ সকল
সালােতর পের নফল মাকরহ।

েয বযিক ফজেরর নামােয এমন সময় েপৌছল েয, ইমাম সালাত শর কেরেছন, িকন েস ফজেরর দ’রাকাআত
সুনত পেড়িন। এমতাবসায় যিদ তার আশংকা হয় েয এক রাকাআত ফউত হেয় যােব এবং এক রাকাআত পােব,
তাহেল মসিজেদর দরজার সামেন ফজেরর দ’রাকাআত সুনত পেড় েনেব, তারপর ইমােমর সােথ শরীক হেব।
েকননা এভােব তার জনয সুনত ও জামা’আেতর উভয় ফযীলত হািসল করা সমব।

যিদ িদতীয় রাকাআতও ফউত হওয়ার আশংকা থােক, তাহেল ইমােমর সােথ শরীক হেয় যােব। েকননা
জামাআেতর সাওয়াব অিতেবশী এবং জামা’আত তরেকর বযাপাের কেঠার সতকরবাণী রেয়েছ।

যুহেরর সুনেতর হকুম হল িভন। অথরাত উভয় অবসায়ই তা েছেড় িদেব। েকননা ওয়ােকর িভতের ফরেযর পের
তা আদায় করা সমব। এটাই িবশূদ মত। অবশয আবূ ইউসূফ ও মুহামদ (র.) এরা মােঝ মতপাথরকয শূধূ এই
েয, উক চার রাকাআেত সুনতেক দই রাকাআেতর আেগ পড়েব, না পের পড়েব। িকন ফজেরর সুনেতর েবলায় এ
সুেযাগ েনই। ইনশালাহ পরবতরীেত তা আেলাচনা করা হেব।

মসিজেদর দরজার সামেন আদায় করার শতরােরাপ দারা েবাঝা যায় েয, ইমাম নামাযরত থাকা অবসায় মসিজেদর
িভতের (সুনত আদায় করা) মাকরহ।

সাধারণ সুনত ও নফলসমূহ ঘের আদায় করাই উতম। এটাই নবী (সা.) হেত বিণরত হেয়েছ।

যিদ ফজেরর দই রাকাআত ফউত হেয় যায়, তেব সূেযরাদেয়র পূেবর তা কাযা করেব না। েকননা তা েকবল নফল
হেয় যায়। আর ফজেরর পর নফল পড়া মাকরহ।

ইমাম আবূ হানীফা ও আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত সূযর উপের উেঠ যাওয়ার পেরও তা আদায় করেবনা। িকন
ইমাম মুহামদ (র.) বেলন, আমার কােছ পসননীয় হেলা সূযর েহেল পড়া পযরন তা কাযা কের িনেব । েকননা
রাসূলুলাহ (সা.) েশষ রােত যাতা িবরিতর’ ঘটনায় পরবতরী সকােল সূযর উপের উঠার পের ফজেরর দ’রাকাআত
সুনত কাযা কেরেছন।

ইমাম আবূ হানীফা ও আবূ ইউসূফ ইমামদেয়র দলীল এই েয, সুনেতর েকেত কাযা না করাই হেলা আসল
হকুম। েকননা কাযার িবষয়িট ওয়ািজব এর সােথ সমৃক। আর হাদীেছর ঘটনায় এ দ’রাকাআত কাযা করার
কথা এেসেছ ফরেযর অনুসরেণ। সুতরাং অনয েকেত হকুম মূলনীিত িহসােব বহাল থাকেব। ফরয জামা’আেতর
সােথ আদায় করা েহাক িকংবা একা, সুনতেক ফরেযর অনুসরেণ কাযা করা হেব সূযর ঢেল পড়া পযরন। আর সূযর
ঢেল যাওয়ার পর কাযা করা সমেকর মাশােয়খগেণর মেধয মতেভদ রেয়েছ। ফজর ছাড়া অনয সকল সুনত

105
ওয়ােকর পের এককভােব করা হেব না। আর ফরেযর অনুসরেণ কাযা করা হেব িকনা, েস সমেকর মাশােয়খগেণর
মতেভদ রেয়েছ।

েয বযিক যুহেরর সালােতা এক রাকাআেত েপল িতন রাকাআত পায়িন, েস যুহেরর সালাত জামা’আেতর সােথ
আদায় কেরিন। িকন ইমাম মুহামদ (র.) এর মেত জামা’আেতর ফযীলত েস লাভ করেব। েকননা েকান িকছুর
েশষাংশ েয পায়, েস েযন ঐ বসিট েপেয় েগেছ। সুতরাং েস জামা’আেতর সাওয়াব অজরনকারী হেব। তেব
পকৃতপেক েস জামা’আেতর সােথ সালাত আদায় কেরিন। িকন ইমাম মুহামদ (র.) এর মেত জামা’আেতর
ফযীলত েস লাভ করেব। েকননা েকান িকছুর েশষাংশ েয পায়, েস েযন ঐ বসিট েপেয় েগেছ। সুতরাং েস
জামা’আেতর সাওয়াব অজরনকারী হেব। পকৃতপেক েস জামা’আেতর সােথ আদায় কেরিন। একারেণই যিদ েকউ
কসম খায় েয, েস কখেনা

জামা’আত ধরেব না, তেব েশষ রাকাআেত জামা’আেত শরীক হওয়া দারা েস কসমভংগকারী হেব। িকন যুহেরর
সালাত জামা’আেতর সােথ পড়েব না, এই কসম করেল েস কসমভংগকারী হেব না।

েয বযিক জামা’আেত হেয় েগেছ এমন সময় মসিজেদ উপিসত হেলা, েস ফরয আদায় করার পূেবর ওয়ােকর
িভতের যতকণ ইচা নফল পড়েত পাের।

ইমাম কুদূরীর এ বকবয হল ঐ েকেত, যখন সমেয়র মেধয অবকাশ থােক। পকানের সময় সংকীণর হেয় পড়েল
নফল ও সুনাত পড়া েছেড় িদেব।

আর েকউ েকউ বেলেছন (নফল েছেড় েদয়ার) এ হকুম হেলা যুহর ও ফজেরর সুনত ছাড়া অনয েকেত। েকননা
এ দ’িট সুনেতর অিতিরক মযরাদা রেয়েছ। সুনত সমেকর রাসূললু াহ (সা.) বেলেছন- ‘অশদল’ েতামােক তাড়া
করেলও েতামরা তা পেড়া। অপর সুনতিট সমেকর িতিন বেলেছন- যুহেরর পূববর তরী চার রাকাআত েয েছেড় েদেব,
েস আমার শাফাআত লাভ করেব না।

আর েকউ েকউ বেলেছন এটা সকল সুনেতর েকেত পেযাজয। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) জামা’আেতর সােথ ফরয
আদায় করার সময় িনধরািরত সুনতগেলা িনয়িমত আদায় কেরেছন। আের ‘িনয়িমত’ ছাড়া সুনত হওয়া সাবযস হয়
না। তেব সবরাবসােতই তা তরক না করাই উতম। েকননা সুনতগেলা হেচ ফরযসমূেহর সমূরক। তেব ওয়াক
ফউত হওয়ার আশংকা থাকেল েছেড় েদেব।

েকউ যিদ এেস ইমামেক রকুেত পায় তেব তাকবীর বেল দািড়েয় থাকা অবসায় ইমাম মাথা তুেল েফলেলন, তাহেল
েস ঐ রাকাআত েপেয়েছ বেল গণয হেব না।

এ িবষেয় ইমাম যুফার (র.) এর মত িভন রেয়েছ। িতিন বেলন ইমামেক েস এমন অবসায় েপেয়েছ, যা িকয়ােমর
হকুমভূক।

আমােদর দলীল এই েয, নামােযর কাযরসমূহ (ইমােমর সােথ) অংশ গহণ করা হেলা শতর। আর তা এখােন পাওয়া
যায়িন, িকয়ােমর অবসায়ও না এবং রকুর অবসায়ও না।

106
মুকাদী যিদ ইমােমর আেগ রকুেত চেল যায় আর ইমাম তােক রকুেত িগেয় পান, তেব সালাত জাইয হেয় যােব।

ইমাম যুফার (র.) বেলন, এটা তার জনয জাইয হেব না। েকননা ইমােমর আেগ যা েস কেরেছ, তা গহণেযাগয
নয়। সুতরাং এর উপর যা িবনা করা হেয়েছ, তাও শদ হেব না।

আমােদর দলীল এই েয, শতর হেলা েকান এক অংেশ (ইমােমর সােথ) শরীক হেয় যাওয়া। েযমন পথমাংেশ
(শরীক হেল তা গণয হয়)। আলাহ‌ই উতম জােনন।

একাদশ অনুেচদ
কাযা সালাত
কােরা যিদ েকান নামায কাযা হেয় যায়, তেব যখনই সরণ হেব তখন তা পেড় েনেব এবং ওয়ািকয়া নামােযর
উপর তােক অগবতরী করেব।

এ িবষেয় মূলনীিত এই েয, ওয়ািকয়া ফরয় নামায ও কাযা নামাযসমূেহর মােঝ তারবীত বা কেম রকা করা
আমােদর ওয়ািজব। আর ইমাম শািফঈ (র.) এর মেত তা মুসতাহাব। েকননা পিতিট ফরয নামায িনজস ভােব
সাবযস। সুতরাং অনয ফরেযর জনয তা শতর হেত পাের না।

আমােদর দলীল হেলা রাসূলুলাহ (সা.) এর বাণী-

েয বযিক নামােযর সময় ঘুিমেয় যায় অথবা নামােযর কথা ভুেল যায় আর তা ইমােমর সােথ নামােয শরীক হওয়ার
পরই শধু মেন পেড়, েস েযন নামায আরম কেরেছ তা পেড় েনয়। এরপর েয নামােযর কথা মেন পেড়েছ, তা
পেড় েনেব এরপর ইমােমর সােথ েয নামায আদায় কেরেছ, তা পুনরায় পেড় েনেব।

যিদ ওয়াক েশষ হেয় যাওয়ার আশংকা হয়, তেব ওয়ািকয়া নামায আেগ পেড় েনেব এরপর কাযা নামায আদায়
করেব। েকননা সময় সংকীণরতার কারেণ, েতমিন ভুেল যাওয়ার কারেণ এবং কাযা নামায েবশী হওয়ার কারেণ
তারতীব রিহত হেয় যায়, যােত ওয়ািকয়া নামায ফউত হেয় যাওয়ার উপকম না হেয় পেড়।

যিদ কাযা নামাযেক আেগ পেড় েনয় তেব তা দরস হেব। েকননা তা আেগ পড়েত িনেষধ করা হেয়েছ অেনযর
কারেণ। (কাযা নামােযর িনজস েকান কারেণ নয়) পকানের যিদ সমেয়র মেধয পশসতা থােক এবং ওয়ািকয়া
নামাযেক অগবতরী কের তেব তা জাইয হেব না। েকননা হাদীছ দারা উক নামােযর জনয েয ওয়াক সাবযস
হেয়েছ, তার পূেবর েস তা আদায় কেরেছ।

107
যিদ কেয়ক ওয়াক নামায ফউত হয় তেব মুলতঃ নামায েয তারতীেব ওয়ািজব িছল, কাযা নামাযও েস তারতীেব
আদায় করেব। েকননা খনেকর যুেদ নবী (সা.) এর চার ওয়াক নামায কাযা হেয়িছেলা, তখন িতিন েসগেলা
তারতীেবর সােথ কাযা কেরিছেলন। তারপর বেলিছেলন- আমােক েযভােব সালাত পড়েত েদেখেছা, েসভােব
েতামারও সালাত পেড়া।

তেব যিদ কাযা সালাত হয় ছয় ওয়ােকর েবশী হেয় যায়। েকননা কাযা সালাত েবশী পিরমােণ হেয় েগেছ; সুতরাং
কাযা সালাতগেলার মােঝও তারতীব রিহত হেয় যােব, েযমন কাযা সালাত ও ওয়ািকয়া সালােতর মােঝ রিহত হেয়
যায়।

আিধেকযর পিরমাণ হেলা কাযা নামায ছয় ওয়াক হেয় যাওয়া। অথরাত ষষ নামােযর ওয়াক পার হেয় যাওয়া।
জােমউস সাগীব িকতােবর িনেমাক ইবারেতর অথর এটাই।

যিদ একিদন একরােতর অিধক নামায কাযা হেয় যায়, তাহেল েয ওয়ােকর নামায পথেম কাযা কের তা জাইয
হেব। েকননা একিদন একরােতর অিধক হেল নামােযর সংখযা ছয় হেয় যােব।

ইমাম মুহামদ (র.) হেত বিণরত েয, িতিন ষষ ওয়াক দািখল হওয়ার িবষয় িবেবচনা কেরেছন। তেব পথেমাক
মতিটই িবশদ। েকননা পুনঃ আেরািপত হওয়ার সীমায় উপনীত হওয়া দারা আিধকয সাবযস হয়। আর তা
পথেমাক সুরেত রেয়েছ।

যিদ পূেবরর ও সামিতক কাযা সালাত একত হেয় যায়, তেব েকান েকান মেত সামিতক কাযা সালাত সরণ থাকা
সেতও ওয়ািকয়া সালাত আদায় করা জাইয হেব। েকননা কাযা সালাত অিধক হেয় েগেছ।

েকান েকান মেত জাইয হেব না এবং িবগত কাযা নামাযগেলােক ‘েযন তা েনই’ ধের েনয়া হেব যােত ভিবষযেত
েস এ ধরেনর অলসতা েথেক সতকর হয়।

যিদ িকছু কাযা সালাত আদায় কের েফেল এবং অল পিরমাণ অবিশষ থােক, তেব েকান েকান ইমােমর মেত
‘তারতীব’ পুনঃ আেরািপত হেব।

এই মতই অিধক পবল। েকননা ইমাম মুহামদ (র) হেত বিণরত আেছ েয, যিদ েকউ একিদন ও এক রােতর
নামায তরক কের আর পরবতরী িদন পিত ওয়ািকয়া সালােতর সােথ এক ওয়ােকর কাযা সালাত আদায় করেত
থােক, তেব কাযা সালাতগেলা সবরাবসায় জাইয হেব। পকানের ওয়ািকয়া সালাত যিদ (কাযা সালােতর) আেগ
আদায় কের, তেব তা ফািসদ হেয় যােব। েকননা, কাযা নামাযগেলা অল এর গিণেত এেস েগেছ। আর যিদ
ওয়ািকয়ােক (কাযা নামােযর) পের আদায় কের, তেব একই হকুম হেব। িকন পরবতরী ‘ঈশার নামােযর হকুম িভন
(অথরাত আদায় হেয় যােব)। েকননা তার ধারণা মেত েতা ‘ঈশার সালাত আদায় করার সময় তার িযমায় েকান
কাযা সালাত েনই।

যুহর আদায় কেরিন, একথা সরণ থাকা অবসায় েকউ যিদ আসেরর সালাত পেড়, তেব তা ফািসদ হেব। িকন
এেকবাের েশষ ওয়াক সরণ থাকা অবসায় পেড় থাকেল ফািসদ হেব না। এটা তারতীব সংকান মাসআলা।

108
অবশয ইমাম আবূ হানীফা ও আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত (উক আসেরর নামােযর) ফরযগণ নষ হেয় েগেলও মূল
নামায বািতল হেব না)। বরং নফল রেপ গণয হেব।

আর ইমাম মুহামদ (র.) এর মেত মূল নামাযও বািতল হেয় যােব। েকননা ‘ফরিযয়ােতর’ জনযই তাহরীমা বাধা
হেয়িছল। সুতরাং ফরিযয়াত যখন বািতল হেয় েগল, তখন মূল তাহরীমাও বািতল হেয় যােব।

ইমাম আবূ হানীফা ও আবূ ইউসূফ (র.) এর দলীল এই েয, তাহরীমা বাধা হেয়েছ মূলতঃ সালােতর জনয
ফারিযয়ােতর গণ সহকাের, সুতরাং ফরিযয়ােতর গণ িবনষ হওয়ার কারেণ মূল সালাত িবনষ হওয়া জররী নয়।

তেব আসর ফািসদ হেব সিগতাবসায়, অতএব যিদ যুহেরর কাযা আদায় না কের ধারাবািহক ছয় ওয়াক নামায পেড়
েফেল তেব সব ক’িট ওয়ােকর নামাযই জাইয রপানিরত হেয় যােব।

এটা ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মত। ইমাম আবূ ইউসূফ ও মুহামদ (র.) এর মেত চূড়ান ভােবই তা ফািসদ
হেয় যােব। েকান অবসােতই তা পুনঃৈবধতা পােব না। এ িবষেয় যথাসােন আেলািচত হেয়েছ।

‘িবতর পেড়িন’ একথা সরেণ থাকা অবসায় েকউ যিদ ফজেরর নামায আদায় কের, তেব তা ফািসদ হেয় যােব।

এটা আবূ হানীফা (র.) এর মত। ইমাম আবূ ইউসূফ ও মুহামদ (র.) িভনমত েপাষণ কেরন।

এ মতিভনতার িভিত এই েয, ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মেত িবতর হল ওয়ািজব। পকানের সােহবাইেনর
মেত তা সুনত। আর সুনত ও ফরয নামাযসমূেহর মােঝ তারতীব জররী নয়।

িবতেরর বযাপাের এই মতপাথরেকযর িভিতেতই (এ মাসআলা রেয়েছ)। েকউ যিদ ‘ঈশার নামায পড়ার পর পুনরায়
উযূ কের সুনত ও িবতর আদায় কেরন।

অতঃপর পকাশ েপল েয, ‘ঈশার সালাত েস িবনা উযূেত পেড়েছ, তেব আবূ হানীফা (র.) এর মেত শূধু ‘ঈশা ও
সুনত পুনঃআদায় করেব, িবতর নয়। েকননা তার মেত িবতর সতন ফরয আর সােহবাইেনর মেত িবতরও পুনঃ
আদায় করেত হেব। েকননা তা ‘ঈশা’ এর অনুবতরী। আলাহই উতম জােনন।

দাদশ অনুেচদ
সাজদােয় সাহও
(নামােয) কম বা েবশী করার কারেণ (েশষ ৈবঠেক) সালােমর পর দ’িট সাজদােয় সাহও করেব। অতঃপর
তাশাহদ পাঠ করেব এবং সালাম িফরােব।

109
ইমাম শািফঈ (র.) এর মেত সালােমর আেগ সাজদা করেব। েকননা বিণরত আেছ েয, নবী (সা.) এর আেগই
সাজদা সাহও কেরেছন।

আমােদর দলীল এই েয, নবী (সা.) এর এ উিক-

পিতিট সাহও (বা ভুল) এর জনয সালােমর পর দ’িট িসজদা (আবূ দাউদ)।

আেরা বিণরত আেছ েয, নবী (সা.) এর পর দিট সাজদা সাহও কেরেছন (মুসিলম ও অনযানয)।

এখােন তার আমল সংকান বণরনা দ’িট পরসর িবপরীত রেয়েছ। সুতরাং পমাণ রেপ তার বাণী গহণ করা অকুণন
েথেক যােব।

আর একারেণও েয, সাজদােয় সাহও এক সালােত বারংবার হয় না। সুতরাং তােক সালাম েথেক িবলিমত করেত
হেব, যােত সালােমর বযাপাের ভুল হেল সাজদােয় সাহও দারা তা পূরণ হেত পাের।

(ইমাম শািফঈ (র.) ও আমােদর মােঝ) এই মতিভনতা েকবল েকানিট উতম এ বযাপাের (ৈবধতার পেশ নয়)।

(সাজাদােয় সাহও এর) উেলিখত সালামেক (নামােযর) পিরচািলত সালােমর সদৃশ িহসােব দই সালাম সহ সাজাদা
করেব। এটাই িবশূদ মত।

নবী (সা.) এর উপর দরদ এবং দ’আ ‘সাজদােয় সাহও’ পরবতরী ৈবঠেক পড়েব। এটাই িবশদ মত। েকননা
নামােযর েশষাংশই হল দ’আর পকৃত সান।

ইমাম কুদূরী (র.) বেলন, সালােতর মেধয যিদ এমন েকান কাজ অিতিরক কের েফেল, যা সালাত জাতীয় িকন
সালাতভূক নয়, তেব েস েকেত সাজদােয় সাহও আবশযক হেব।

আবশযক দারা পমািণত হয় েয, সাজদােয় সাহও ওয়ািজব, এটাই িবশূদ মত। েকননা সাজদােয় সাহও ওয়ািজব
হয় ইবাদেত সৃষ েকান তিট পূরণ করার জনয। সুতরাং েসটা ওয়ািজব হেব। েযমন হেজর েকেত দম েদওয়া
ওয়ািজব। যখন এটা ওয়ািজব সাবযস হল, তখন ভুেল েকান ওয়ািজব তরক করা িকংবা িবলিমত করা িকংবা েকান
রকন িবলিমত করার কারেণই শূধু সাজদােয় সাহও ওয়ািজব। সাজদােয় সাহও ওয়ািজব হওয়ার কারণ এই েয,
তা েকান রকন িবলিমত হওয়া বা েকান ওয়ািজব তরক হওয়া েথেক মুক নয়।

ইমাম কুদূরী (র.) বেলন, যিদ েকান ‘মাসনুন’ আমল তরক কের তেব সাজদা সাহও ওয়ািজব হেব।

সমবতঃ ‘মাসনূন’ দারা ওয়ািজব আমল বুঝােনা হেয়েছ। তেব ‘মাসনূন’ বলার কারণ এই েয, তা ওয়ািজব হওয়া
‘সুনাহ’ বা হাদীছ দারা পমািণত।

ইমাম কুদূরী বেলন, অথবা যিদ সূরাতুল ফািতহা পড়া তরফ কের। েকননা তা ওয়ািজব।

110
অথবা কূনুত, তাশাহ‌হদ বা দই ঈেদর তাকবীরসমূহ যিদ তরক কের। েকননা এই গেলা ওয়ািজব। এই জনয েয,
রাসূলুলাহ (সা.) একবারও তরক না কের এগেলা অবযাহত ভােব পালন কেরেছন। আর এটা ওয়ািজব হওয়ার
আলামত।

তাছাড়া এ সমস আমলেক পুরা নামােযর সােথ সমন করা হয়। আর এ সমন পমাণ কের েয, এগেলা নামােযর
সােথ িবিশষ আর িবিশষতা সাবযস হয় ওয়ািজব হওয়ার মাধযেম।

তাশাহ‌হদ শেবর উেলখ দারা পথম ও িদতীয় ৈবঠেক উেদশয হেত পাের। আবার উভয় ৈবঠেক তাশাহ‌হদ পাঠও
উেদশয হেত পাের। েকননা এ সবই ওয়ািজব এবং তােত সাজদােয় সাহ‌ও আবশযক। এটাই িবশূদ মত।

আর চুেপচুেপ িকরােতর েকেত ইমােমর যিদ উৈচসের িকরাত পেড়ন, অথবা উৈচসের িকরােতর েকেত যিদ
চুেপচুেপ পেড়ন, তেব এ অবসায় সাজদােয় সাহ‌ও ওয়ািজব হেব।

উৈচসেরর িকরােতর সােন উৈচসের িকরাত পড়া এবং চুেপচুেপ িকরাত সােন চুেপ চুেপ পড়া ওয়ািজবসমূেহর
অনভূরক।

পিরমাণ সমেকর িবিভন বণরনা রেয়েছ। িবশূদতম মত এই েয, েয পিরমাণ িকরাত দারা সালাত শূদ হয়, উভয়
েকেত েস পিরমাণই িবেবচয। েকননা সামানয পিরমাণ উৈচসের বা চুেপচুেপ পাঠ েথেক েবঁেচ থাকা সমব নয়।
িকন অিধক পিরমাণ েথেক েবঁেচ থাকা সমব। েসটা হল এক আয়াত আর সােহবাইেনর মেত িতন আয়াত। এটা
হল ইমােমর েকেত। একা নামায আদায়কারীর েকেত নয়। েকননা উৈচসের িকরাত পাঠ ও চুেপচুেপ িকরাত
পাঠ জামাআেত নামােযর ৈবিশষয।

ইমাম কুদূরী বেলন, ইমােমর ভূল মুকাদীর উপর সাজদা ওয়ািজব কের। েকননা যার উপর নামােযর িনভরর
(ইমাম) তার উপর সাজদা ওয়ািজব হওয়ার কারণ সাবযস হেয় েগেছ। এ জনযই মুকাদীর উপর মুকীম হওয়ার
হকুম সাবযস হেয় যায় ইমােমের িনয়যেতর কারেণ।

আর ইমাম যিদ সাজদা না কের তেব মুকািদও সাজদা করেব না। েকননা এমতাবসায় েস ইমােমর
িবরদাচারণকারী হেয় যােব। অথচ েস ইমােমর অনুসারী িহসােব আদায় করার দািয়ত গহণ কেরেছ।

আর মুকাদী যিদ ভূল কের তেব ইমাম ও েসই মুকাদীর উপরই সাজদা ওয়ািজব হেব না। েকননা যিদ েস একা
সাজদা কের তেব ইমােমর িবরদাচারণকারী হেব। পকানের ইমাম যিদ মুকাদীর অনুসরণ কের তেব, েয
অনুসরণীয়, েস অনুসরণকারীেত পিরণত হেয় যােব।

েয বযিক পথম ৈবঠেক ভুেল যায়, পের বসার অিধকতর িনকটবতরী থাকা অবসায় তা সরণ হয়, তেব েস িফের বেস
যােব এবং তাশাহ‌হদ পড়েব। েকননা যা েকান িনকটবতরী, তা ঐ িজিনেসরই অনভূরক বেল গণয হয়।

কােরা কােরা মেত এমতাবসায় িবলমজিনত কারেণ সাজদােয় সাহ‌ও করেব। িকন িবশূদতম মত এই েয, সাজদা
করেব না, েযমন নাূূ
্ ূ ূূূূূূদ ঁ া ড়ােলসাজদাকরেতহয়না

111
পকানের যিদ দঁাড়ােনা অবসার অিধকতর িনকটবতরী হয়, তেব (ৈবঠেকর িদেক) িফের আসেব না। েকননা
পকৃতপেক েস দাড়ােনা বযিকর মতই। আর েস সাজদােয় সাহ‌ও করেব। েকননা েস ওয়ািজব তরক কেরেছ।

আর যিদ েশষ ৈবঠক ভূেল যায়, এমন িক পণচম রাকাআেত দািড়েয়ঁ যায়, তেব সাজদা করার পূবর পযরন ৈবঠেক
িফের আসেব। েকননা এই িফের আসার মেধয তার নামােযর সংেশাধন রেয়েছ। আর তার জনয এটা সমব।
েকননা এক রাকাআেতর কম যা, তা পিরহারেযাগয।

ইমাম কুদূরী (র.) বেলন, পণচম রাকাআত বািতল কের েদেব। েকননা েস এমন িবষেয়র িদেক িফের এেসেছ, যার
সান উক রাকাআেতর পূেবর। সুতরাং তা আপনা েথেকই বািতল হেয় যােব।

আর সাজদা সাহ‌ও করেব। েকননা েস ওয়ািজব িবলিমত কেরেছ।

আর যিদ পণচম রাকাআেতর এক সাজদাও আদায় কের েফেল তেব আমােদর মেত তার ফরয বািতল হেয় যােব।

শািফঈ (র.) িভনমত েপাষণ কেরন।

আমােদর দলীল এই েয, ফরয নামােযর রকনসমূহ পূণর করার পূেবরই েস তার নফল নামােযর আরম েপাক কের
েফেলেছ। আর এটার অবশযমাবী দাবী হল ফরয েথেক েবর হেয় আসা।

এর কারণ এই েয, এক সাজদাসহ রাকাআত আদায়েক পকৃত অেথরই নামায গণয হয়। তাই নামায পড়েব না
এমন কসেমর েবলায় এক সাজদা এক রাকাআত আদায় করেল কসম ভংগ হেয় যােব।

আর তার এই নামায নফেল পিরণত হেয় যােব।

এটা ইমাম আবূ হানীফা (র.) ও আবূ ইউসূফ (র.) এর মত। ইমাম মুহামদ (র.) িভনমত েপাষণ কেরন।
কাযা নামায অধযােয় এটা আেলািচত হেয়েছ।

সুতরাং উক রাকাআেতর সােথ ষষ রাকাআত যুক করেব। যিদ েকান রাকাআত যুক না কের তেব তার উপর
(সাজদা সাহ‌ও বা কাযা) িকছুই ওয়ািজব হেব না। েকননা এটা ধারণা বশীভূত।

আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত মািটেত কপাল রাখা মাত তার ফরয বািতল হেয় যােব । েকননা এটাই পূণর সাজদা।
আর ইমাম মুহামদ (র.) এর মেত মাথা উঠােনার পর তা বািতল হেব। েকননা েকান িকছুর পূণরতা লাভ কের
তার েশষাংেশর মাধযেম। আর তা হল মাথা উঠােনা। অতএব হাদাছ অবসায় মাথা উঠােনা িবশূদ হয় না, মত
িভনতার ফলাফল পকাশ পােব, সাজদার মােঝ হাদাছ েদখা েদেব। মুহামদ (র.) এর মেত ‘িবনা’ করেব আর
ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত িবনা করেত পারেব না।

আর যিদ চতুথর রাকাআেত ৈবঠেকর পর সালাম না কের দািড়েয়ঁ যায়, তেব পণচম রাকাআেতর সাজদা না করা পযরন
ৈবঠেক িফের আসেব এবং সালাম িফরােব। েকননা দঁাড়ােনা অবসায় সালাম করা িবিধসমত নয়। আর ৈবঠেক
িফের এেস িবিধসমতভােব সালাম েফরােনা তার পেক সমব। েকননা এক রাকাআেতর কম যা তা বজরনীয়।

112
আর যিদ পণচম রাকাআেতর সাজদা করার পর তার সরণ হয় (এবং বুঝেত পাের েয, েস পণচম রাকাআত
অিতিরক েযাগ কেরেছ,তেব তার সােথ আেরক রাকাআত েযাগ করেব। আর তার ফরয পূণর হেয় যােব। েকননা
শূধু সালাম করা বাকী িছল, আর তা ওয়ািজব।

অনয রাকাআত েযাগ করার কারণ হল, যােত দই রাকাআত িমেল নফল হেয় যায়। েকননা এক রাকাআত নফল
িহসােব যেথষ নয়। নবী (সা.) িবিচন এক রাকাআত সালাত আদায় করেত িনেষধ কেরেছন। তেব এ
দ’রাকাূূ য হু র পরবতরী সুনত দ’রাকাআেতর সলবতরী হেব না। এ-ই ্ িবশূ্দ
্ আত ম ্ ত । েকননা (নবী সা.)
েথেক নতুন তাহরীমা দারা এর উপর িনয়িমত আমল রেয়েছ।

আর ভুেলর জনয সাজদা করেব।

এটা সূক িকয়ােসর দাবী। েকননা সুনত তরীকার িবপরীেত (ফরয হেত) েবর হওয়ার কারেণ ফরেয তিট এেস
েগেছ। আর সুনত তরীকার িবপরীত (নফল সালােত) পেবেশর কারেণ নফল সালােতও তিট এেসেছ। আর যিদ
এই নফল সালাত েছেড় েদয় তেব তার উপর কাযা আবশযক হেব না। েকননা এ রাকাআতটা ধারণা বশীভূত।

এ রাকাদেয়র েকউ যিদ তার সােথ ইকিতদা কের তেব ইমাম মুহামদ (র.) এর মেত েস ছয় রাকাআত পড়েব।
কারণ এ তাহরীমা দারা ছয় রাকাআত আদায় করা হেয়েছ। আর ইমাম আবূ হানীফা (র.) ও ইমাম আবূ ইউসূফ
(র.) এর মেত দ’রাকাআত আদায় করেব। েকননা ফরয হেত তার েবর হেয় আসা পূণর হেয় েগেছ। আর মুকাদী
যিদ এ সালাত ফািসদ কের েফেল, তেব ইমাম মুহামদ (র.) এর মেত ইমােমর উপর িকয়াস কের তার উপর
কাযা ওয়ািজব হেব না।

তা সেতও যিদ

আর ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত (মুকাদীেক) দ’রাকাআত কাযা করেত হেব। েকননা কাযা রিহত হওয়ার
কারণ ইমােমর সােথ িবেশষভােব সমৃক।

জােমউস-সগীর িকতােব ইমাম মুহামদ (র.) বেলন, েয বযিক দ’রাকাআত নফল পড়ল আর তােত েকান ভূল
করল এবং সাজদােয় সাহ‌ও করল, অতঃপর (একই তাহরীমার মাধযেম) আরও দ’রাকাআত পড়ার ইচা করল েস
(পূববর তরী রাকাআতদেয়র উপর) ‘িবনা’ করেত পারেব না। েকননা তখন সালােতর মধযবতরী সােন হওয়ার কারেণ
সাজদােয় সাহ‌ও বািতল হেয় যােব। পকানের মুসািফর যিদ সাজদােয় সাহ‌ও করার পর মুকীম হওয়ার িনয়যত কের
তেব েস (পূববর তরী রাকাআতদেয়র উপর পরবতরী রাকাআেতর) ‘িবনা’ করেত পারেব। েকননা মুসািফর যিদ ‘িবনা’
না কের তেব তার সমূণর সালাত বািতল হেয় যােব।

তা সেতও যিদ েস (পরবতরী দ’রাকাআত নফল) আদায় কের তেব তাহরীমা বািক থাকার কারেণ তা সহীহ হেব।
িকন সাজদােয় সাহ‌ও বািতল হেয় যােব। এ-ই িবশূদ মত। (সুতরাং েশেষ পুনঃসাজদা সাহ‌ও কের িনেব)।

113
েকউ (সালােতর মােঝ) সালাম েফরাল, অথচ তার িযমায় সাজদােয় সাহ‌ও রেয় েগেছ; এমন সময় সালােমর পর
েকান েলাক (ইকিতদার মাধযেম) তার সালােত দািখল হল, তেব ইমাম যিদ সাজদায় যায় তাহেল মুকাদী সালােত
শািমল গণয হেব। অনযথায় সালােত শািমল গণয হেব না।

এটা ইমাম আবূ হানীফা ও আবূ ইউসূফ (র.) এর মত। ইমাম মুহামদ (র.) বেলন, ইমাম সাজদা করন বা না
করন, মুকাদী সালােত দািখল গণয হেব। েকননা তঁার মেত যার িযমায় সাজদােয় সাহ‌ও রেয়েছ, তার সালাম
মূলতঃ তােক সালােত েথেক েবর কের না। কারণ এ সাজদা ওয়ািজব হেয়েছ কিত পূরেণর জনয। সুতরাং
সালােতর ইহরােম থাকা তার জনয অপিরহাযর।

ইমাম আবূ হানীফা ও আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত সালাম তােক সিগতাবসায় সালাত েথেক েবর কের। েকননা
বসতঃ সালাম হল সালাত েথেক বিহষারকারী। িকন সাজদা আদােয় পেয়াজেন এখােন তা কাযরকর হেচ না।
সুতরাং সাজদা ছাড়া এই ‘সিগত হওয়া’ পকাশ পােব না। আর সাজদােয় িফের না আসার েপিকেত পেয়াজেনর
কাযরকািরতা েনই।

এ মতপাথরেকযর ফলাফল আেলাচয মাসআলায় েযমন পকাশ পােচ েতমিন পকাশ পােব এ অবসায় উচহাসয দারা
উযূ ভংগ হওয়ার েকেত এবং মুকীম হওয়ার িনয়যিত দারা ফরয পিরবতরন হওয়ার েকেত।

েয বযিক সালাত েশষ করার িনয়যেত সালাম করল অথচ তার িযমায় সাজদােয় ‘সাহ‌ও রেয় েগেছ, তার কতরবয হল
সাজদােয় সাহ‌ও করা। েকননা এ সালাম সালাত সমাপকারী নয়। আর তার িনয়যেতর লকয হেচ শরীআত
অনুেমািদত িবষেয়র পিরবতরন। সুতরাং এ িনয়যত বািতল।

েয বযিক সালাত রত অবসায় সেনহগস হেয় পেড়। ফেল িতন রাকাআত পেড়েছ না চার রাকাআত, তা বলেত
পাের না, আর এই পথম েস এ অবসার সমুখীন হেয়েছ েস পুনরায় সালাত আদায় করেব। েকননা রাসূলূলাহ
(সা.) বেলেছন-

েতামােদর েকউ যিদ তার সালােত সিনহান হেয় পড় েয, কত রাকাআত পেড়েছ? তাহেল েস েযন পুনরায় সালাত
আদায় কের।

আর যিদ এ অবসা তার বহবার হেয় থােক, তাহেল েস িনেজর পবল ধারণার উপর িনভরর করেব। েকননা,
রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন-

েয বযিক তার সালােত সিনহান হেয় পেড়, েস েযন িচনার মাধযেম েকািন‌ট সিঠক তা সাবযস কের।

আর যিদ তার েকান ধারণা না থােক তেব িনিশত (সংখযার) উপর িনভরর করেব। েকননা, রাসূলুলাহ (সা.)
বেলেছন-

েয বযিক আপন সালােত সিনহান হেয় পেড় ফেল েস বলেত পাের না েয, িতন রাকাআত পেড়েছ, না চার
রাকাআত েস ‘কম’ এর উপর িনভরর করেব।

114
আর সালাম দারা (সেনহগস সালাত েশষ কের) নতুন সালাত শর করা উতম। েকননা সালামই সালাত
সমাপকারী রেপ পিরিচত। কথাবাতরা দারা নয়। সালাত কতরন করার ‘িনছক িনয়যত’ বািতল গণয হেব। আর কম
সংখযার উপর িনভরর করার সুরেত সালাত েশষ রাকাআত িহসােব ধারণা হয়, এমন পেতযক সান বসেব, েযন েস
ফরয ৈবঠেক তরককারী না হয়। আলাহ‌-ই উতম জােনন।

তেয়াদশ অনুেচদ
অসুস বযিকর সালাত
অসুস বযিক যখন দঁাড়ােত অকম হয় তখন েস বেস রকু-সাজদা করেব। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) ইমরান ইবন
হাসীণ (রা.) েক বেলেছন

তুিম দািড়েয় সালাত আদায় কর। যিদ তা না পার তেব বেস (পড়)। যিদ তা না পায় তেব পােশর শয়ন কের
ইংিগেতর মাধযেম।

তাছাড়া কুদরূ ী (র.) বেলন, যিদ রকু-সাজদা করেত না পাের তাহেল ইশারায় তা আদায় করেব। অথরাত বসা
অবসায় (ইশারায় রকু-সাজদা করেব) েকননা এতটুকু করার সামথরয তার রেয়েছ। তেব সাজদার ইশারােক রকুর
ইশারার তুলনায় অিধক অবনিমত করেব। েকননা ইশারা হল রকু-সাজদার সলবতরীতা রকু-সাজদার হকুম গহণ
করেব।

কপােলর কােছ েকান িকছু উঁচু কের তার উপর সাজদা করেব না। সাজদা করার জনয িকছু তার কপােলর সামেন
উঁচু কের ধরা হেব না। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন-

যিদ তুিম ভূিমেত সাজদা করেত পার তেব সাজদা কর। অনযথায় মাথা িদেয় ইশারা কর।

আর যিদ িকছু তুেল ধরা হয় এবং েসই সােথ আপন মাথাও িকিণচত অবনত কের, তেব ইশারা পাওয়া যাওয়ার
কারেণ তা যেথষ হেব। আর যিদ উক উেতািলত বসেক কপােলর উপর শধু সাপন কের তেব ইশারা না হওয়ার
কারেণ তা যেথষ হেব না।

আর যিদ বসেত না পাের তেব িপেঠর উপর িচত হেয় েশােব এবং দ’পা েকবলামুখী করেব । এবং ইশারায় রকু-
সাজদা করেব। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- অসুস বযিক দািড়েয়ঁ সালাত আদায় করেব। যিদ তা না পাের
তাহেল বেস (আদায় করেব)। যিদ তা না পাের তাহেল িচত হেয় ইশারায় আদায় করেব। যিদ তাও না পাের
তাহেল আলাহ তা’আলাই তার ওযর কবূল করার অিধক হকদার।

যিদ পােশর শয়ন কের আর তার েচহারা েকবলামুখী থােক তেব তা জাইয হেব। পমাণ হল ইেতাপূেবর আমােদর
বিণরত (ইমরান ইব‌ন হাসীেনর) হাদীছ। িকন আমােদর মেত পথম সুরতিট উতম। ইমাম শািফঈ (র.) িভনমত
েপাষণ কেরন।
115
েকননা িচত হেয় শয়নকারী বযিকরা ইশারা কা’বা শরীেফর অিভমুখী হয়। পকানের পাশর শয়নকারী বযিকর ইশারা
তার পদদয় অিভমুখী হয়। অবশয তা দারা সালাত আদায় হেয় যােব।

যিদ মাথা িদেয় ইশারা করেত সকম না হয় তেব তার সালাত িবলিমত হেব । িকন েচাখ দারা, অনর দারা বা
েচােখর দারা ইশারা করা যােব না।

ইমাম যুফার (এবং আহমদ, শািফঈ ও মািলক (র.) এর িভনমত রেয়েছ। আমােদর পমাণ হেলা ইেতাপূেবর
আমােদর বিণরত হাদীছ। তাছাড়া যুিক এই েয, িনজস মত দারা সলবতরী িনধরারণ করা সমব নয়। আর মাথা িদেয়
ইশারা এর উপর িকয়াস করা সংগত নয়। েকননা মাথা দারা সালােতর রকন আদায় করা হয় অথচ েচাখ বা
অপর দ’িট দারা তা করা হয় না।

যিদ সালাত িবলিমত করা হেব-ইমাম কুদূরীর এ বকেবয ইংিগত রেয়েছ েয, সালােতর ফরয তার েথেক রিহত হেব
না। যিদও অকমতা একিদন এক রােতর েবশী হয় আর েস সজােন থােক। এ-ই িবশদ মত। েকননা েস
শরীআেতর সেমাধন উপলিদ করেত পাের। অজান েলােকর িবষয়িট এর িবপরীত।

যিদ দঁাড়ােত সকম হয় িকন রকু-সাজদা করেত সকম না হয়, তাহেল িকয়াম করা জররী নয়, বরং বেস ইশারায়
(রকু-সাজদা কের) সালাত আদায় করেব। েকননা, িকয়াম রকন হেয়েছ সাজদায় যাওয়ার মাধযম িহসােব।
কারণ, িকয়াম েথেক সাজদায় যাওয়ার মেধয চূড়ান তাযীম পকাশ পায়, সুতরাং িকয়ােমর পের সাজদা না হেল তা
রকন রেপ গণয হেব না। সুতরাং অসুস বযিকেক ইখিতয়ার েদওয়া হেব। তেব উতম হল বসা অবসায় ইশারা
করা। েকননা তা সাজদার সােথ অিধকতর সাদৃশযপূণর।

সুস বযিক দািড়েয়ঁ আংিশক সালাত আদায় করার পর যিদ অসুসতা েদখা েদয় তাহেল বেস রকু-সাজদা কের
সালাত পূণর করেব। আর সকম না হেল ইশারা দারা আদায় করেব। আর (বসেত) সকম না হেল িচত হেয়
েশােয় আদায় করেব। েকননা, িনমসরেক উচসেরর উপর ‘িবনা’ কেরেছ। সুতরাং এটা ইকিতদার মত।

েকান বযিক অসুসতাবশতঃ বেস রকু-সাজদা কের সালাত শূর করল। এরপর (সা্ লােতর
ম্ ্ ােঝই ) সুস হেয় েগল,
তাহেল ইমাম আবূ হানীফা ও আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত েস তার পূববর তরী সালােতর উপরই িবনা কের দািড়েয়
আদায় করেব। আর মুহামদ (র.) এর মেত নতুন কের সালাত শর করেব।

এ মতপাথরেকযর িভিত হল তােদর ইকিতদা সংকান মতপাথরকয। পূেবর এর িববরণ (ইমামাত অনুেচদ) বিণরত
হেয়েছ।

আর যিদ আংিশক সালাত ইশারা দারা আদায় করার পর রকু-সাজদা করেত সকম হয়, তাহেল সকেলর মেতই
নতুন কের সালাত শর করেত হেব। েকননা, ইশারা দারা আদায়কারীর িপছেন রকু-সাজদাকারীর ইকিতদা করা
জাইয নয়। সুতরাং ‘িবনা’ ও জাইয হেব না।

েয বযিক দাড়ােনা অবসায় নফল সালাত শর কের পরবতরীেত কান হেয় পেড়, েস লািঠেত বা েদয়ােল েহলান িদেয়
দাড়ােত পের িকংবা বেসও আদায় করেত পাের। েকননা, এটা ওযর। িবনা ওযের েহলান েদওয়া অবশযা

116
মাকরহ। কারণ তা আদেবর েখলাফ। েকউ েকউ বেলন ইমাম আবূ হানীফা (র.)এর িনকট তা মাকরহ।
েকননা তার মেত িবনা ওযের বসা জাইয আেছ। সুতরাং েহলান েদয়া মাকরহ হেত পাের না। ইমাম আবূ
হানীফা ও ইমাম মুহামদ (র.) এর মেত েযেহতু (িবনা ওযের) বসা ে্ ্ ন ই, েসেহতু েহলান েদয়াও মাকরহ
্ জাইয
হেব।

যিদ (দািড়েয় সালাত শর করার পর) িবনা ওযের বেস পেড়, তাহেল সবরসমিতকেমই তা মাকরহ হেব। তেব আবূ
হানীফা (র.) এর মেত সালাত দরস হেব। িকন সােহবাইেনর মেত দরস হেব না। নফল অনুেচদ এ আেলাচনা
িবগত হেয়েছ।

েকান বযিক ‘জলযােন’ ‘িবনা ওযের’ বেস সালাত পড়েল ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মেত তা জাইয হেব।
তেব দািড়েয় আদায় করা উতম। আর সােহবাইন বেলন েয, ওযর ছাড়া তা জাূূ ্ ইয
হ েব না। েকননা সামথরয
তার আেছ। সুতরাং তা পিরতযাগ করা যােব না।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর যুিক এই েয, েসখােন মাথা ঘুরােনার সমাবনাই পবল সুতরাং েসটা বাসবতূলয। তেব
দািড়েয় পড়া হল উতম। েকননা তা মতপাথরেকযর সংশয় মুক। আর যতটা সমব মতপাথরকয েথেক দূের থাকাই
উতম। েকননা তা অনেরর জনয অিধক পশািনকর। এ মতপাথরকয েনাংগরহীন েনৌকার েকেত। পকানের বাধা
েনৌকা নদীর তীেরর (ভূিমর) মতই। এটাই িবশদ মত।

েয বযিক পাচ ওয়াক সালাত িকংবা তার কম সময় েবহশ িছল, েস কাযা আদায় করেব। আর যিদ পাচ ওয়ােকর
েবশী েবহশ থােক, তাহেল কাযা আদায় করেব না। এটা সূক িকয়ােসর িসদান, সাধারণ িকয়াস অনুযায়ী অজনতা
যিদ একপূণর সালােতর ওয়াক সায়ী হয়, তাহেল কাযা ওয়ািজব হেব না। েকননা অকমতা সাবযস হেয়েছ।
সুতরাং তা পাগল হওয়ার সমতুলয।

সূক িকয়ােসর বযাখযা এই েয, সময় দীঘর হেল কাযা সালােতর সংখযা েবেড় যায় ফেল আদায় করা কষকর হেয়
পেড়। পকানের সময় সংিকপ হেল কাযা সালােতর সংখযা কম হয়; ফেল তােত েকান কষ হেব না। আর েবশীর
পিরমাণ হল কাযা সালাত একিদন ও একরাত দািড়েয় যাওয়া। েকননা তখন তা পুনরাবৃিতর গিণেত পেবশ কের
যায়। আর পাগল হওয়ার হকুম অজান হওয়ার মত। আবূ সুলায়মান (র.) এরপই উেলখ কেরেছন।

ঘুেমর িবষয়িট িভন। েকননা ঘূম এত দীঘর হওয়া িবরল। সুতরাং েসটা সংিকপ ঘুেমর পযরায়ভূক বেলই গণয
হেব।

ইমাম মুহামদ (র.) এর মেত েবশীর পিরমাণ িহসাব করা হেব সালােতর ওয়াক িহসােব। েকননা েসটা দারাই
পুনরাবৃিত সাবযস হয়। আর ইমাম আবূ মািলক ও ইমাম মুহামদ (র.) এর মেত সময় িহসােব। ‘আলী (রা.) ূ
ইবন উমর (রা.) েথেক এটাই বিণরত হেয়েছ। িনভূরল সমেকর আলাহ‌ই উতম জােনন।

117
চতুদরশ অনুেচদ
িতলাওয়ােতর সাজদা
ইমাম কুদরূ ী (র.) বেলন, কুরআন শরীেফ েমাূূ ্ টে চৌ দিট সাজদােয় িতলাওয়াত রেয়েছ। (১) সূরাতুল
‘আরােফর েশেষ, (২) সূরাতুল রা’দ, (৩) সূরাতুন-নাহল, (৪) সূরা বনী ইসরাইল, (৫) সূরা মারয়াম, (৬)
সূরাতুল হাজ-এর পথমিট, (৭) সূরাতুল ফুরকান, (৮) সূরা আন‌-নামল, (৯) আিলফ-লাম-মীম তানযীল, (১০)
সূরা সা’দ, (১১) সূরা হামীম সাজদা, (১২) সূরাতুন-নাজম, (১৩) সূরা ইযাস-সামাউন শাকাত ও (১৪) সূরা
ইকরা। মাসহােব উছমােন এভােবই িলিখত হেয়েছ এবং এ-ই িনভররেযাগয। সূরাতুল হাজ-এর সাজদার িদতীয়
আয়াতিট আমােদর মেত সালােতর সাজদা সংকান। আর হামীম আস-সাজদা এর সাজদাসল হল আয়াতিট। এটা
উমর (রা.) এর মত। এবং সতকরতা অবলমেন এই গহণীয়।

এ সকল সােন পাঠকারী ও েশাতা উভেয়র উপর সাজদা ওয়ািজব। কুরআন শবেণর ইচা থাকুক িকংবা ইচা না
থাকুক। েকননা রাসূলুলাহ‌(সা.) বেলেছন- সাজদার আয়াত েয শবণ কেরেছ এবং েয িতলাওয়াত কেরেছ উভেয়র
উপর সাজদা ওয়ািজব।

ইমাম যখন সাজদার আয়াত িতলাওয়াত কেরন তখন িতিন সাজদা করেবন এবং মুকাদীও তার সেঙ সাজদা
করেব। েকননা েস ইমােমর অনুসরণ িনজ কতরবযরেপ গহণ কেরেছ।

মুকাদী িতলাওয়াত করেল ইমাম ও মুকাদী েকউ সাজদা করেব না। সালােতর মেধযও না, সালােতর পেরও না।
এটা আবূ হানীফা ও আবূ ইূূূূূূ
্ উসূ ফ (র.) এর মত। মুহামদ (র.) বেলেছন, সালাত েশষ করার পর
সকেলই সাজদা করেব। েকননা সাজদা ওয়ািজব হওয়ার কারণ সাবযস হেয়েছ এবং েকান পিতবনকতাও েনই।

118
সালােতর অবসা অবশয এর িবপরীত। েকননা সালােতর িভতের সাজদা করা ইমামিতর অথবা িতলাওয়ােতর
অবসার ৈবপরীেতযর িদেক িনেয় যায়। শায়খাইেনর যুিক এই েয, মুকাদীর

্ ্ পর ইমােমর কমরকাণ আেরািপত
হওয়ার কারেণ েস িকরাত পড়া েথেক বাধাপাপ। বাধাপাপ বযিকর কেমরর উপর েকান হকুম আেরািপত হয় না।

জুনুবী ও হায়যগস নারীর অবসা এর িবপরীত। েকননা তােদর িকরাত পড়েত িনেষধ করা হেয়েছ। তেব হায়যগস
নারীর উপর িতলাওয়ােতর কারেণ সাজদা ওয়ািজব হেব না। তদপ শবেণর কারেণও ওয়ািজব হেব না। েকননা
তার সালাত আদােয়র েযাগযতাই নাই। জুনুবী বযিকর িবষয়িট এর িবপরীত।

যিদ উক সালাত বিহভূরত েকান বযিক উক আয়াত শবণ কের তেব েস সাজদা করেব । এ-ই িবশদ মত। েকননা
(শরীআত কতৃরক) পিতবনকতা মুকাদীর েকেত সাবযস িছল। সুতরাং তােদর অিতকম কের অনযেদর উপর তা
আেরািপত হেব না।

যিদ সালােতর িভতের েথেক তারা এমন েলােকর িতলাওয়াত শবণ কের, েয সালােত তােদর সােথ (শরীক) েনই,
তাহেল তারা সালােত ঐ িতলাওয়ােতর সাজদা করেব না। েকননা, এিট সালাতভূক সাজদােয় িতলাওয়াত নয়।
কারণ তােদর এই সাজদার আয়াত শবণ সালােতর েকান আমল নয়। তেব সালােতর পের এর জনয তারা সাজদা
করেব। েকননা, সাজদার কারণ পাওয়া েগেছ।

যিদ তারা সালােতর মােঝই সাজদা কের, তেব তা যেথষ হেব না। েকননা, িনিষদ হওয়ার কারেণ তা িনমমােনর
সাজদা। সুতরাং তা দারা পূণরমােনর সাজদা আদায় হেত পাের না।

গনকার বেলন, পুনরায় তারা এ সাজদা করেব। েকননা সাজদার কারণ পাওয়া েগেছ। তেব সালাত েদাহরােত
হেব না। েকননা, েকবলমাূূ্ ত
স াজদা সালােতর তাহরীমার পিরপনী নয়।

‘নাওয়ািদর’ এর বণরনা মেত সালাত ফািসদ হেয় যােব। েকননা সালােত তারা এমন ‘কাজ’ বৃিদ কেরেছ যা
সালােতর অনভূরক নয়। েকউ েকউ বেলেছন েয, এটা মুহামদ (র.) এর মত।

ইমাম যিদ সাজদার আয়াত িতলাওয়াত কেরন আর তা এমন েকান বযিক শনেত পায়, েয সালােত ইমােমর সােথ
শরীক নয়। এরপর ইমাম সাজদা করার পর েস ইমােমর সােথ সালােত শরীক হল, তাহেল ঐ সাজদা করা তার
জনয জররী নয়। েকননা ঐ রাকাআেত শরীক হওয়ার দারা ঐ সাজদােতও েস শরীক বেল গণয হেয়েছ।

আর যিদ ঐ সাজদা করার আেগই েস ইমােমর সেঙ শরীক হেয় যায়, তাহেল ইমােমর সেঙ েসও ঐ সাজদা
করেব। েকননা, ঐ আয়াতিট যিদ েস শবণ নাও করেতা, তবু ইমােমর সেঙ তােক সাজদা করেত হত। সুতরাং এ
েকেত সাজদা করা অিধকতর সংগত হেব।

আর যিদ ইমােমর সেঙ সালােত েমােটই শরীক না হয়, তাহেল েস সাজদা কের েনেব। েকননা, সাজদার কারণ
পাওয়া েগেছ।

119
েয সাজদা সালােতর মেধয ওয়ািজব হল িকন েস সালােতর মেধয আদায় করল না, তেব সালােতর বাইের আর
কাযা করেব না। েকননা, এ হল সালােতর মধযকার সাজদা। তার সালাতিভিতক অিতিরক মযরাদা রেয়েছ।
সুতরাং িনমমােনর সাজদা দারা তা আদায় হেব না।

েয বযিক সাজদার আয়াত িতলাওয়াত করল, এরপর সাজদা না কেরই সালাত শর কের উক আয়াত পুনঃপাঠ
করল এবং সাজদা করল, তার দই বােরর িতলাওয়ােতর জনয এ সাজদাই যেথষ হেব। েকননা, িদতীয় সাজদািট
সালাতভূক হওয়ার কারেণ অিধকতর শিকশালী। সুতরাং তা পথম সাজাদােক অনভূরক কের িনেব।

তেব ‘নাওয়ািদর’ এর বণরনা মেত সালাত েথেক ফািরগ হওয়ার পার আর এক সাজদা কের িনেব। েকননা, পথম
সাজদািটর অগগািমতার পাধানয রােখ। সুতরাং উভয়িট সমমােনর হেয় েগল।

আমােদর বকবয এই েয, উেদেশযর সােথ (আদায় িনেজ সংযুক হওয়ার কারেণ) এর অিতিরক মযরাদা রেয়েছ,
সুতরাং এিদক েথেক তা অগগণয হেব।

আর যিদ সাজদার আয়াত িতলাওয়ােতর পর সাজদা কের, এরপর সালােত দািখল হেয় পুনরায় উক আয়াত
িতলাওয়াত কের, তেব এর জনয আবার সাজদা করেব। েকননা িদতীয় বার আয়ােত সাজদা তার পশােত
এেসেছ। অতএব এিটেক পথমিটর সােথ যুক করার েকান যুিক েনই। েকননা, এমতাবসায় ‘কারণ’ এর উপর
কাযর অগবতরী হেয় পড়েব।

যিদ েকান বযিক একই মজিলেস একিটমাত সাজদার আয়াত পুনরাবৃিত করল তাহেল একই সাজদা তার জনয
যেথষ হেব। িকন যিদ িনজ সােন আয়াত িতলাওয়াত পূবকর সাজদা কের এরপর অনযত িগেয় (পূববর তরী সােন িফের
এেস) উক আয়াত আবার িতলাওয়াত করল, তেব িদতীয়বার সাজদা করেত হেব। আর পথম িতলাওয়ােতর জনযা
সাজদা না কের থাকেল তার উপর দ’িট সাজদাই ওয়ািজব হেব।

মূল িনয়ম এই েয, কষ লাঘেবর উেদেশয িতলাওয়ািত সাজদার িভিত হল একতীকরেণর উপর আর এ একতীকরণ
ও সািধত হেব (সাজদার) কারণ (অথরাত িতলাওয়াত) এর েকেত, হকুম বা িবধােনর েকেত নয়। ইবাদেত
বযাপাের এটাই মুনািসব। পকানের িদতীয়িট শািস িবষয়ক েকেত অিধক যুিকযুক।

আর একতীকরণ তখনই সমব, যখন মজিলস অিভন হেব। েকননা মজিলসই হল িবিকপগেলােক একতীকারী।
সুতরাং মজিলস যখন িবিভন হেব তখন হকুম বা িবধান মূল অবসায় িফের যােব। শূধু দাড়ােনা দারা মজিলস িভন
হয় না। তালােকর ইখিতয়ারপাপ নারীর িবষয়িট এ েথেক িভন। েকননা এেকেত দাড়ােনা গহণ না করার ইিঙত
বহন কের। আর তা ইখিতয়ারেক বািতল কের েদয়।

কাপেড়র সূতা তানা করার সময় আসা-যাওয়ােত ওয়ািজব পুনরাবৃত হেত থাকেব। িবশদতম মত অনুসাের গােছর
এক ডাল েথেক আেরক ডােল যাতায়ােতর েকেতও এই িবধান। েতমিন শসয মাড়াইেয়র েকেতও সতকরতার
খািতের একই িবধান হেব।

120
যিদ পাঠকারীর মজিলস অিভন েথেক েশাতার মজিলেস িভন হয় তাহেল েশাতার উপর ওয়ািজব সাজদা পুনরাবৃত
হেব। েকননা তার েকেত শবণই হল সাজদা ওয়ািজব হওয়ার কারণ।

তদপ যিদ েশাতার মজিলস অপিরবিতরত থােক আর পাঠকারীর মজিলস পিরবিতরত হয়। এরপই বলা হেয়েছ।
তেব িবশদতম মত এই েয, েশাতার উপর ওয়ািজব সাজদার হকুম পুনরায় বিতরেব না। কারণ আমরা (আেগ)
বেলিছ।

েয বযিক সাজদা করার ইচা করেব, েস উভয় হাত না তুেল তাকবীর বলেব এবং সাজদায় যােব। এরপর তাকবীর
বেল মাথা উঠােব।

সালােতর সাজদার অনুসরেণ ইব‌ন মাস’উদ (রা.) েথেক এমনই বিণরত হেয়েছ। আর তার উপর তাশাহদ বা
সালাম ওয়ািজব নয়, েকননা তােতা করা হয় হালাল হওয়ার জনয আর তার চািহদা হল পূবরবতরী তাহরীমার
উপিসিত, যা এখােন েনই।

ইমাম মুহামদ (র.) বেলন, আমার কােছ পসননীয় সাজদার আয়ােতর পূেবর এক বা দ’আয়ােত পেড় েনওয়া।
যােত ভূল ধারণা না হয় েয, আয়ােত সাজদার ফযীলত অিধক রেয়েছ।

েশাতােদর পিত লকয েরেখ ফকীহ‌গণ সাজদার আয়াত চুিপ চুিপ পড়া উতম মেন কেরেছন।

পণচদশ অনুেচদ
মুসািফেরর সালাত
েয সফর দারা শরীআেতর আহকাম পিরবিতরত হয়, তা হল িতন িদন িতন রািত পিরমাণ দূরেত যাওয়ার ইচা করা
উেটর গিত বা েহেট চলার গিত িহসােব। েকননা, রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- মুকীম পূণর একিদন একরাত মাস‌হ
করেব, আর মুসািফর করেব িতন িদন িতন রাত।

মাস‌হ‌র অবকাশ মুসািফর সমদায়েক সামিগকভােব শািমল কেরেছ। আর তার অিনবাযর পেয়াজন হেব (সফেরর)
সময়সীমা সমসারণ। ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) তা িনধরারণ কেরেছন দই িদন এবং তৃতীয় িদেনর অিধকাংশ
সময় পিরমাণ দারা। আর ইমাম শািফঈ (র.) িনধরারণ কেরেছন একিদন একরাত পিরমাণ দারা। আর উভেয়র
িবপরীেত পমাণ িহসােব আেলাচয হাদীছই যেথষ।

আর উেলিখত পথচলা দারা মধযমগিতর পথ চলা উেদশয।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) েথেক বিণরত আেছ েয, িতিন মনজীল দারা দূরত িনধরারণ কেরেছন। আর এ মত হল
পথেমাক দূরত পিরমােণর িনকটবতরী। ফরসখ মাইল দারা দূরত িনধরারণ গহণেযাগয নয়। এ-ই িবশদ মত।

121
আর েনৌপেথর চলার গিতেক পিরমাণ িহসােব গহণ করা হেব না । অথরাত সল পেথর জনয েনৌপেথর যাতােক
পিরমাপ িহসােব গণয করা হেব না। আর সমুেদ তার উপেযাগী যাতা পিরমাপ িবেবচয, েযমন পাবরতয পেথর হকুম।

ইমাম কুদূরী (র.) বেলন, চার রাকাআত িবিশষ সালােত মুসািফেরর জনয ফরয হল দই রাকাআত। এর অিধক
আদায় করেব না।

ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, মুসািফেরর (মূল) ফরয চার রাকাআত।্ তেব কসর করা ্ ্ হল রখছত ,
সাওেমর উপর িকয়াস কের।

আমােদর দলীল এই েয, িদতীয়াথর দই রাকাআত কাযা করেত হয় না এবং তা তরক করার কারেণ গণাহ হয় না।
আর এ হল নফল হওয়ার আলামত। পকানের সাওেমর িবষয়িট এর িবপরীত। েকননা তা কাযা করেত হয়।

আর যিদ চার রাকাআত পেড় েনয় এবং িদতীয় রাকাআেত তাশাহ‌হদ পিরমাণ ৈবঠক কের, তাহেল পথম দই
রাকাআত ফরয িহসােব আদায় হেয় যােব এবং েশষ দই রাকাআত নফল হেব।

ফজেরর সালােতর উপর িকয়াস কের। অবশয সালাম িবলম করার কারেণ গণাহ‌গার হেব।

আর যিদ িদতীয় রাকাআেত তাশাহ‌হদ পিরমাণ ৈবঠক না কের তাহেল সালাত বািতল হেয় যােব। েকননা, ফরেযর
রকনসমূহ পূণর হওয়ার পূেবরই নফল তার সােথ িমেল েগেছ।

মুসািফর যখন বিসর আবাদী তযাগ করেব তখন েথেকই দ’রাকাআত আদায় করেব। েকননা, বিসেত পেবেশর
সােথ মুকীম হওয়া সমৃক। সুতরাং সফেরর সমকর হেব বিস েথেক েবর হওয়ার সােথ। এ সমেকর আলী (রা.)
েথেক িনেমাক বানী বিণরত আেছ। যিদ আমরা বিসর গৃহসমূহ অিতকম কির তখনই অবশয সালাত কসর করব।

সফেরর হকুম অবযাহত থাকেব যতকণ না েকান শহের বা বিসেত পেনর িদন বা তার েবশী থাকার িনয়যত কের।
যিদ এর কম সময় থাকার িনয়যত কের তাহেল কসর করেব। কারণ সফেরর একিট িময়াদ িনধরারণ করা জররী।
েকননা সফের সভাবতঃ িবরিত ঘেট থােক। তাই আমরা সফেরর িময়াদ িনধরারণ কেরিছ (দই হায়েযর মধযবতরী)
তুহেরর িময়াদ দারা। েকননা উভয় িময়াদই িকছু আহকাম আেরাপ কের।

আর এিট ইব‌ন ‘আবাস ও ইব‌ন উমর (রা.) েথেক বিণরত হেয়েছ। আর এ ধরেণর েকেত সাহাবীর বাণী হাদীেছর
মত।

শহর বা বিসর শতর এ িদেক ইংিগত কের েয, মােঠ পানের ইকামেতর িনয়যত করা সহীহ‌ নয়। এ-ই জািহর
িরওয়ায়াত।

যিদ এমন সুদৃঢ় ইচা িনেয় েকান শহের পেবশ কের েয, আগামীকাল অথবা পরশ এখান েথেক েবর হেয় যােব
এবং েস মুকীম হওয়ার িনধরািরত েময়ােদর িনয়যত করল না; এমন িক এভােব েস কেয়ক বছর অবসান করল,
তাহেল েস কসর করেত থাকেব। েকননা, ইব‌ন ‘উমর (রা.) আজারবাইজান শহের ছয়মাস অবসান কেরেছন
এবং িতিন এ সময় কসর করেত থােকন। আরও বহ সাহাবােয় িকরাম েথেকও অনুরপ বিণরত আেছ।

122
ৈসনযবািহনী যখন শত এলাকায় পেবশ কের এবং ইকামেতর িনয়যত কের তখন তারা কসরই পড়েব। তদপ যিদ
শত েদেশর েকান শহর বা দগর অবেরাধ কের। েকননা শতভূিমেত পেবশকারীর অবসা েদাদলযমান; হয়ত
পরািজত হেয় সান তযাগ করেব, নয়ত (শতভূিমেক) পরাস কের তথায় সায়ী হেব। সুতরাং তা ইকামােতর সান
হেত পাের না।

অনুরপভােব (কসর আদায় করেব) যিদ (মুসিলম) বািহনী দারল ইসলােমর িবেদাহীেদর শহর বিহভূরত েকান
এলাকায় অবেরাধ কের িকংবা সমুেদ তােদর অবেরাধ কের। েকননা তােদর অবসা তােদর িনয়যেতর দৃঢ়তা বািতল
কের।

যুফার (র.) এর মেত উভয় অবসায় (ইকামােতর িনয়যত) গহণেযাগয হেব, যিদ মুসিলম বািহনীর শিকেত পাধানয
থােক। েকননা, েস অবসায় বাহযতঃ তারা অবসান বজায় রাখেত সকম।

ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত যিদ তারা বিস এলাকায় থােক তেব (িনয়যত) গহণেযাগয হেব; েকননা বিস
এলাকা ইকামত করার সান।

আর তঁাবুবাসীেদর সমেকর ইকামেতর িনয়যত কােরা কােরা মেত দরস নয়। তেব িবশদ মত এই েয, তারা মুকীম
িবেবিচত হেব। ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) েথেক তাই বিণরত রেয়েছ। েকননা ইকামত হেলা (মানুেষর জীবেনর)
আসল অবসা। সুতরাং এক চারণভূিমেত যাওয়ার কারেণ তা বািতল হেব নাূূূ
্ ।

আর যিদ মুসািফর যিদ ওয়ািকয়া সালােতর েকেত মুকীেমর িপছেন ইিক‌তদা কের তাহেল চার রাকাআত পুরা
করেব। েকননা তখন অনুসরেণর বাধযবাধকতায় তার ফরয চার রাকাআেত পিরবিতরত হেয় যােব। েযমন তার
িনেজর ইকামেতর িনয়যত দারা পিরবিতরত হেয় যায়। কারণ, পিরবতরনকারী িবষয় (অথরাত ইকিতদা) ‘সবব’ এর
সােথ (অথরাত ওয়ােক‌তর সােথ) যুক হেয়েছ।

যিদ মুকীম ইমােমর সেঙ কাযা সালােত শািমল হয়, তেব তা জাইয হেব না। েকননা, ফরয পিরবিতরত হয় না
ওয়াকেতর পর সবব িবলুপ হওয়ার কারেণ; েযমন ইকামেতর িনয়যত দারা পিরবিতরথ হয় না। এমতাবসায় এটা
ৈবঠক ও িকরােতর েকেত নফল আদায়কারীর িপছেন ফরয আদায়কারীর ইকিতদার মত হেয় যােব, যা দরস নয়।

মুসািফর যিদ দই রাকাআেত মুকীমেদর ইমামিত কের তেব েস (দই রাকাআত েশেষ) সালাম িফরােব আর
মুকীমগণ তােদর সালাত পূণর কের িনেব। েকননা, মুকতাদীরা দই রাকাআেতর েকেত (মুসািফর ইমােমর)
অনুসরেণ বাধযবাধকতা গহণ কেরেছ। সুতরাং অবিশষ সালােতর েকেত তারা মাসবূেকর মত একাকী হেয় পড়েব।
তেব িবশদ মেত েস িকরাত পড়েব না। েকননা তারা তাহরীমার েবলায় মুকতাদী, অনযানয কােজর েবলায় নয়।
আর ফরয (িকরাত) আদায় হেয় েগেছ। সুতরাং সতকরতা িহসােব িকরাত তরক করেব। মাসবূেকর িবষয়িট এর
িবপরীত। েকননা, েস নফল িকরাত েপেয়েছ। সুতরাং (িকরােতর) ফরয িবরিত আদায় হয়িন। সুতরাং (তার
েকেত) িকরাত পড়াই উতম।

123
সালাম িফরােনার পর (মুসািফর) ইমােমর পেক একথা বেল েদওয়া মুসতাহাব েয, েতামরা েতামােদর সালাত পূণর
কের নাও। আমরা মুসািফর কােফলা। েকননা, মুসািফর অবসায় মকাবাসীেদর ইমামিত করার সময় রাসূলুলাহ
(সা.) এরপ বেলিছেলন।

মুসািফর যখন আপন শহের পেবশ করেব তখন সালাত পূণর করেব। যিদও েসখােন েস ইকামেতর িনয়যথ না
কের। েকননা, রাসূলুলাহ (সা.) ও সাহাবােয় িকরাম সফর করেতন। অতঃপর ইকামােতর নতুন িনয়যত বযতীত
ওয়াতােনর িদেক িফের এেস মুকীম িহসােব অবসান করেতন।

যিদও কারও িনজস আবাসভূিম থােক অতঃপর েসখান েথেক সানানিরত হেয় অনয সানেক আবাসভূিম রেপ গহণ
কের, তেব অতঃপর সফর কের পথম আবাসভূিমেত পেবশ কের, তেব েস কসর পড়েব। েকননা পথমিট তার
আবাসভূিম থােক না। একথা সষ পমািণত হয় েয, িহজরেতর পর রাসূলুলাহ (সা.) িনেজেক মকায় মুসািফর
গণয কেরিছেলন।

এর কারণ এই েয, নীিত হল, সায়ী আবাসভূিম অনুরপ আবাসভূিম দারা বািতল হেয় যায়, সফর দারা হয় না।
পকানের অসায়ী অবসান সল দারা, সফর দারা এবং সায়ী আবাসভূিম দারা বািতল হেয় যায়।

মুসািফর যিদ মকায় ও মীনায় পেনর িদন থাকার িনয়যত কের তেব েস কসর পড়েব। েকননা দই সােন ইকামেতর
িনয়যত যিদ এ’ েতবার করা হয়, তাহেল িবিভন জায়গার ইকামেতর িনয়যতেকও িমিলতভােব গহণ করেত হেব।
আর তা িনিষদ। েকননা, সফর েতা িবিভন সােন অবসান েথেক মুক নয়। তেব যিদ উভেয়র মেধয একিটেত
রািতযাপন করার িনয়যত কের থাক তেব েস েস সােন পেবশ করার সােথ সােথ মুকীম হেয় যােব। েকননা,
েলােকর ইকামেতর িবষয়িট তার রািত যাপেনর সােনর সােথ সমৃক।

খলীফা িকংবা িহজােযর আমীেরর সােথ িবষয়িটেক শতরযুক করার কারণ এই েয, কমতা তােদরই রেয়েছ। হজ
মওসুেমর আমীর েতা শধু হজ সংিশষ িবষয়ই তদারক কের থােকন।

শাসক িকংবা শাসক িনধরািরত েলাক ছাড়া অনয কােরা জনয জুমুআ জামা’আত কােয়ম করা জাইয নয়। েকননা
জুমআ
ু িবশাল সমােবেশ অনুিষত হয়। আর েসখােন ইমাম হওয়া িকংবা অনযেক ইমাম করা এছাড়া অনযানয
কারেণ েকান েকান সময় ঝগড়ার সৃিষ হয়। সুতরাং জুমআ
ু র সালাত সূষভােব সমন হওয়ার জনয তা জররী।

ু র আেরকিট শতর হল সময়।্ ংসুতরাং্ ্ংতা যুহেরর সময় সহীহ হেব , তার পের দরস নয়। েকননা, রাসূলুলাহ
জুমআ
(সা.) বেলেছন- সূযর েহেল পেড় তখন তুিম েলাকেদর িনেয় জুমুূূ্ আর
স ালাত আদায় কর।

যিদ জুমআ
ু র সালােত থাকা অবসায় ওয়াক চেল যায় তেব পুনরায় যুহর শর করেব।

জুমআ
ু র উপর যুহেরর িবনা করেব না। েকননা উভয়িট িভন সালাত।

ু র সালােতর জনয আেরকিট শতর হেলা খুতবা। েকননা নবী (সা.) জীবেন কখেনা খুতবা ছাড়া জুমআ
জুমআ ু র
সালাত আদায় কেরনিন।

124
আর এই খুতবা হেব সূযর েহেল যাওয়ার পের সালােতর পূেবর। হাদীেছ এরপই বিণরত হেয়েছ।

ইমাম দ’িট খুতবা িদেবন এবং উভয় খুতবার মােঝ একিট ৈবঠেক বযবধান করেবন। এর উপরই আমল চেল
এেসেছ।

তাহরাত অবসায় দািড়েয় খূতবা িদেবন। েকননা দািড়েয় খুতবা একিট সবরকালীন আমল। অতঃপর েযেহতু খুতবা
হেলা সালােতর শতর। এত তাহারাত মুসতাহাব, েযমন আযােনর ধিন।

যিদ বেস িকংবা তাহারাত ছাড়া খুতবা পাঠ কের তেব তা জাূূ
্ ইয
হ েব । েকননা খুতবার উেদশয তার দারা
হািসল হেয় যায়।

তেব তা মাকরহ হেব।

সবরকালীন আমেলর িবরদাচারণ এবং সালাত ও খুতবার মােঝ বযবধান সৃিষর কারেণ।

যিদ শূধু আলাহ‌র িযিকেরর উপর েশষ কের েদয়, ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর্ মেত তা জাইয আ
্ ্ র
সােহবাইনেদর মেত এই পিরমাণ দীঘর িযিকর আবশযক, যােক খুতবা বলা যায়। েকননা, খুতবা হল ওয়ািজব। শূধূ
তাসবীহ এবং শধু হামেদ‌ক খুতবা বলা হয় না।

ইমাম শািফঈ (র.) পচিলত রীিতর উপর িভিত কের বেলন, দ’িট খুতবা পাঠ ছাড়া জাূূ
্ ইয
হ েব না।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর দলীল আলাহ তা’আলার বাণী- েতামরা আলাহ‌র িযিকেরর িদেক ধািবত হও। এেত
েকান িবশষণ করা হয়িন। উছমান (রা.) সমেকর বিণরত আেছ েয, িতিন শূধু আল‌হামদিললাহ বলার পর তার
কথা েথেম েগেল তখন িতিন (িমমর েথেক) েনেম েগেলন এবং সালাত আদায় করেলন।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মেত জামা’আেত সবর িনম সংখযা হল ইমাম ছাড়া িতনজন। সােহবাইেনর মেত
ইমাম ছাড়া দইজন হেত হেব।

গনকার বেলন, িবশদতম কথা এই েয, এিট ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর একার মত। তার দলীল এই েয,
দইেয়র মােঝ সমােবেশর অথর রেয়েছ।

তরফাইেনর দলীল এই েয, পকৃতপেক এিট হল িতন। েকননা, এিটই নাম ও অথর উভয় িদক েথেকই জামাআ
জামাআত আলাদা শতর। তদপ ইমামও শতর। সুতরাং ইমাম জামা’আেতর মেধয গণয হেব না।

ইমাম রকু ও সাজদা করার পূেবরই যিদ েলােকরা চেল যায়, শূধূ নারী ও িশশূরা েথেক যায়, তেব ইমাম আবূ
হানীফা (র.) এর মেত ইমাম পুনরায় যুহর শূর করেবন। সােহবাইন বেলন, ইমাম সালাত শূর করার পর তারা
যিদ তােক েছেড় চেল যায় তবু তারা চেল যায় তেব (সকেলর মেত) িতিন জুমুআই অবযাহত রাখেবন।

এেত ইমাম যুফার (র.) এর িভনমত রেয়েছ। িতিন বেলন, েযেহতু এটা শতর েসেহতু এর সািয়ত আবশযক।
েযমন ওয়ােকর িবষয়িট।

125
সােহবাইেনর দলীল এই েয, জামা’আত হল জুমুআ অনুিষত হওয়ার শতর। সুতরাং তার সািয়ত শতর হেব না।
েযমন খূতবার িবষয়িট।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর দলীল এই েয, জুমুআ অনুিষত হওয়া সাবযস হেব সালাত শূর হওয়ার মাধযেম।
আর এক রাকাআত পূণর হওয়া ছাড়া সালােতর শূর পূণরতা লাভ কের না। েকননা, এক রাকাআেতর কম পিরমাণ
সালাত নয়। সুতরাং এক রাকাআত পূণর হওয়া পযরন জামা’আেতর সািয়ত জররী। খূতবার িবষয়িট িভন। েকননা
তা সালােতর সােথ সামঞসযহীন। সুতরাং তার সািয়ত শতর হেত পাের না। নারী েতমিন েছেলেদর েথেক যাওয়া
ধতরবয নয়। েকননা তােদর দারা জুমুআ অনুিষত হয় না। সুতরাং তােদর দারা জামা’আেতর পূণরতা সািধত হেব
না।

মুসািফর, নারী, েরাগী, দাস ও অেনর উপর জুমআ


ু ওয়ািজব নয়। েকননা, জুমআ ু র উপিসিতেত মুসািফেরর
অসুিবধা হেব। েরাগী ও অন সমেকরও একই কথা। তদপ দাস তার মিনেবর িখদমেত এবং সী তার সামীর
িখদমেত বযস থােক। তাই কিত ও অসুিবধার জনয তােদর ‘মাযূর’ গণয করা হেয়েছ।

তেব যিদ তারা উপিসত হেয় েলাকেদর সােথ জুমুআর সালাত আদায় কের তাহেল ওয়ািকয়া ফরেযর পিরবেতর তা
যেথষ হেব। েকননা, তারা িনেজই তা বরদাশত কেরেছ। সুতরাং তারা ঐ মুসািফেরর মত হেয় যােব, েয সফের
িসয়াম পালন করল।

মুসািফর, দাস ও অসুস বযিকর পেক জুমআ


ু র ইমামিত করা জাইয আেছ।

যুফার (র.) বেলন, তা জাইয েনই। েকননা তােদর উপর (জুমআ


ু র) ফরিযয়াত েনই। সুতরাং তারা বালক ও সী
েলােকর সদৃশ হেলা।

আমােদর দলীল এই েয, এ হল তােদর জনয অবকাশ (পদত সুিবধা)। সুতরাং যখন তারা উপিসত হেয় থােক
তখন ফরয িহসােবই আদায় হেব। েযমন, (ইেতাপূেবর) আমরা বণরনা কের এেসিছ।

পকানের বালেকর েতা েযাগযতাই েনই। আর সী েলাক, পুরষেদর ইমাম হওয়ার েযাগয নয়।

মুসািফর, দাস ও অসুসেদর দারা জুমআু অনুিষত হেব। েকননা তারা যখন জুমআ
ু র ইমামিতরই েযাগয, তখন
তােদর মেধয মুকতািদ হওয়ার েযাগযতা আরও অিধক রেয়েছ।

জুমআ
ু র িদন েয বযিক ইমােমর জুমুআ আদােয়র আেগ আপন গৃেহ যুহেরর সালাত আদায় কের েফলল, অথচ তার
েকান ওযর েনই, তার জনয তা মাকরহ হেব। তেব তার সালাত আদায় হেয় যােব।

যুফার (র.) বেলন, তার এই সালাত আদায়ই হেব না। েকননা, তার মেত জুমআ
ু মূল ফরয আর যুহর হল তার
িবকল। আর মূেলর উপর সামথরয থাকা অবসায় িবকেলর অিভমুখী হওয়ার অবকাশ েনই।

আমােদর দলীল এই েয, সকেলর েকেতই মূল ফরয হল যুহর এই যািহের মাযহােব অিভমত। তেব জুমআ

আদােয়র মাধযেম ঐ ফরয িনরসন করার জনয েস আিদষ।

126
এ মত এ কারেণ েয, েস িনেজই যুহর আদায় করেত সকম রেয়েছ, জুমআ
ু আদায় করেত সকম নয়। েকননা,
তা এমন কিতপয় শেতরর উপর িনভররশীল, যা তার একার মাধযেম সমন হওয়া সমব নয়। আর িনজ সামেথরযর
উপরই শরীআেতর দািয়ত িনভররশীল।

ু র জামা’আেত হািযর হওয়ার ইচা হয় এবং জুমুআর জামা’আেত অিভমুখী হয় আর ইমাম


এরপর যিদ তার জুমআ
ু র সালাতরত থােকন তেব ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মেত গমেনর দারাই তার যুহর বািতল হেয় যােব।
জুমআ

আর সােহবাইেনর মেত ইমােমর সােথ সালােত দািখল হওয়া পযরন যুহর বািতল হেব না। েকননা সাঈ যুহেরর
েচেয় িনমমােনর। সুতরাং যুহর সমন হেয় যাওয়ার পর সাঈ তা বািতল করেব না। আর জুমআ
ু হল যুহেরর েচেয়
উচু পযরােয়র। সুতরাং তা যুহরেক বািতল কের েদেব।

আর এটা জুমুআ েথেক ইমােমর ফােরগ হওয়ার পর জুমআ


ু অিভমুখী হওয়ার মত হল।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর দলীল এই েয, জুমুআ অিভমুেখ সাঈ করা জুমআ ু র ৈবিশেষযর অনভূরক। সুতরাং
সতকরতার খািতের যুহর বািতল হওয়ার েকেত এটােক জুমআ ু র সলবতরী করা হেব। জুমুআ েথেক (ইমােমর)
ফােরগ হেয় যাওয়ার পরবতরী িবষয়িট এর িবপরীত। েকননা, পকৃতপেক েসটা জুমআ
ু অিভমুেখ সাঈ নয়।

ু র িদন শহের জামা’আেতর সােথ যুহর আদায় করা মা’যূর েলাকেদর জনয মাকরহ। েজলখানায় কেয়দীরও
জুমআ
এ হকুম। েকননা, তােত জুমুআর বযাপাের বযাঘাত সৃিষ করা হয়। কারণ জুমুআ হল সমস জামা’আতেক
একতকারী। আর মা’যূরেদর সােথ েকান েকান সময় অেনযরাও ইকিতদা কের েফেল। গামবাসীেদর িবষয়িট
িভন। েকননা তােদর উপর েতা জুমুআ েনই।

তেব একদল েলাক যিদ যুহর জামা’আেত পেড়ই েফেল তাহেল তােদর জনয তা যেথষ হেব। েকননা, যুহর জাইয
হওয়ার যাবতীয় শতর পাওয়া েগেছ।

েয বযিক জুমুআর িদন ইমামেক সালােতর মেধয পােব েস ইমােমর সােথ ঐ পিরমাণ সালাত পড়েব, যা েস
েপেয়েছ, অতঃপর তার উপর জুমআ ু ‘িবনা’ করেব। েকননা, রাসূূূূূূূ
লু্ ্ ল াহূূ (সা.) বেলেছন- েয
পিরমাণ সালাত েতামরা েপেয়ছ, তা পেড় নাও, আর েয পিরমাণ ফউত হেয়েছ, তা কাযা কের নাও।

যিদ ইমামেক তাশাহ‌হেদর মােঝ িকংবা সাজদােয় সাহ‌ও এর মােঝ পায়। তেব শায়খাইেনর মেত েস এর উপর
জুমআ
ু র িবনা করেব।

মুহামদ (র.) বেলন, যিদ ইমােমর সােথ িদতীয় রাকা’আেতর অিধকাংশ পায়, তেব তার উপর জুমুআার
াূ

িবনা করেব। পকানের যিদ িদতীয় রাকাআেতর কম অংশ পায় তেব তার উপর যুহর এর িবনা করেব। েকননা,
একিদক েথেক তা জুমূূ‌
ু ্‌ আ বার অনযিদেক তার েথেক কিতপয় শতর ফউত হওয়ার কারেণ তা যুহর। সুতরাং
যুহর িবেবচনায় েস চার রাকাআত পড়েব। এবং জুমুআর িবেবচনায় দই রাকাআেতর মাথায় অবশযই বসেব।
আবার নফল হওয়ার সমাবনার কারেণ েশষ দই রাকাআেত িকরাতও পড়েব।

127
শায়খাইেনর দলীল এই েয, এই অবসােতও েস জুমআু র সালাত েতা েপেয়েছ। এ কারেণই জুমআ ু র িনয়যত করা
শতর। আর জুমুআর েতা দই রাকাআত। ইমাম মুহামদ (র.) এর পক েথেক যা উেলখ করা হেয়েছ, তার েকান
কারণ েনই।্ েকননা উভয় সালাত িভন। সুতরাং একিটর তাহরীমার উপর অনযিটর িবনা্ ্করা যােব না।

ু র িদন ইমাম যখন (খুতবা দােনর উেদেশয) েবর হন তখন েলােকরা খুতবা েথেক তার ফােরগ হওয়া পযরন
জুমআ
সালাত আদায় ও কথা বলা বন রাখেব।

গনকার বেলন, এটা ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মত। সােহবাইন বেলন, ইমােমর বািহর হওয়ার পর খুতবা শূর
করার পূবর পযরন এবং িমমর েথেক নামার পর তাকবীর বলার পূবর পযরন কথা বলােত েকান অসুিবধা েনই । েকননা,
মাকরহ হওয়ার কারণ হল মেনােযােগর সােথ শবেণর ফরেয বযাঘাত সৃিষ হওয়া। অথচ এ্ই সমেয় শবেণর িকছু
েনাই। সালােতর িবষয়িট এর িবপরীত। েকননা সালাত েতা দীঘরািয়ত হয়।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর দলীল হল, রাসূলুলহ (সা.) বেলেছন- ইমাম যখন েবর হন (খুতবার উেদেশয) তখন
সালাত েনই, কথাও েনই। এেত েকান পাথরকয করা হয়িন। তাছাড়া কথাবাতরা সভাবতঃ কখেনা দীঘরািয়ত হয়।
তাই তা সালােতর সদৃশ।

মুআযিযনগণ যখন পথম আযান িদেবন, তখন েলাকেদর কতরবয হল েবচা েকনা েছেড় েদওয়া এবং জুমুআ
অিভমুখী হওয়া। েকননা আলাহ তা’আলা বেলেছন- েতামরা আলাহ‌র িযিকর অিভমুেখ ধািবত হও এবং েবচা-
েকনা েছেড় দাও।

ইমাম যখন িমমের আেরাহণ কেরন, তখন িতিন বসেবন এবং মুআযিযনগণ িমমেরর সামেন দািড়েয় আযান িদেবন।
এর পর যুগ পরমরায় আমল চেল এেসেছ।

রাসূলূলাহ (সা.) এর যামানায় এই আযানই শধু পচিলত িছল। একারেণই েকউ েকউ বেলন, সাঈ ওয়ািজব
হওয়া এবং েবচা-েকনা হারাম হওয়ার েকেত এই আযানই ধতরবয। তেব িবশূদতম মত এই েয, পথম আযান
ধতরবয, যিদ সূযর ঢেল পড়ার পের হয়। েকননা, তা দারাই জুমুআর অবিহিত অিজরত হয়।

সপদশ অনুেচদ
দই ঈেদর িবধান
যােদর উপর জুমআ
ু র সালাত ওয়ািজব, তােদর সকেলর উপর ঈেদর সালাত ওয়ািজব।

আল-জােমউস সাগীর িকতােব বলা হেয়েছ, একই িদেন দ’িট ঈদ একত হেয়েছ। পথমিট হল সুনত আর িদতীয়িট
হল ফরয। তেব দ’িটর েকান একিটেকও তরক করা যােব না।

128
গনকার বেলন, এেত সষভােব সুনত বলা হেয়েছ। পকানের পথমিট ওয়ািজব হওয়ার সুসষ উিক। আর তা
ইমাম আবূ হানীফা (র.) েথেক বিণরত িরওয়ায়াত।

পথেমাক বণরনার দলীল এই েয, রাসূলুলাহ‌ (সা.) িনয়িমত ভােব তা পালন কেরেছন।

িদতীয় বণরনার দলীল রাসূলূলাহ (সা.) এর উিক, যা এক গাময সাহাবীর এ পেশ আমার উপর এ ছাড়াও েকান
সালাত ওয়ািজব আেছ িক এর উতের বেলন, না েনই, তেব ্ যিদ নফল আদায় ্ ্ র (তেব েতামার ইচা)।

পথেমাক বণরনািট অিধক িবশদ। আর তােক সুনত বলার কারণ এই েয, তা সুনাহ বা হাদীছ দারা ওয়ািজব সাবযস
হেয়েছ।

আর মুসাহাব হল ঈদল িফতেরর িদন ঈদগায় যাওয়ার পূেবর িকছু (িমিষ) খাবার গহণ করা, েগাসল করা,
িমসওয়াক করা এবং খুশবু বযবহার করা। েকননা বিণরত আেছ েয, নবী (সা.) ঈদল িফতেরর িদন ঈদগায়
যাওয়ার পূেবর আহার করেতন এবং দই ঈেদই েগাসল করেতন।

েকননা এ হল সমােবেশর িদন। সুতরাং তােত েগাসল করাূূ


্ ূ ওখুশবুবযবহার করা সুনত হেব। েযমন
জুমআ
ু র জনয।

আর িনেজর সেবরাতম েপাশাক পিরধান করেব। েকননা, নবী (সা.) এর একিট পুিসেনর বা পশেমর জুবা িছল,
যা িতিন ঈেদ পিরধান করেতন।

আর
া সাদকাতুল িফতর আাদায়
াক রেব । যােত দিরদ বযিক সচলতা লাভ করেত পাের এবং তার অনর সালােতর
জনয একাগ হেত পাের।

অতঃপর ঈদগাহ অিভমুেখ গমন করেব। ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মেত ঈদগায় যাওয়ার পেথ উৈচসের
তাকবীর বলেব না। আর সাহবাইেনর মেত তাকবীর বলেব। তারা ঈদল আযহার উপর িকয়াস কেরন।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর দলীল এই েয, সানা ও িযিকর এর বযাপাের আসল হল েগাপনীয়তা। িকন ঈদল
আযহার েকেত শরীআত পকাশয িযিকেরর আেদশ িদেয়েছ। েকননা, তা তাকবীর িদবস। িকন ঈদল িফতর
েসরপ নয়।

ঈেদর সালােতর পূেবর ঈদগায় নফল পড়েব না। েকননা সালােতর পিত পবল আগহ থাকা সেতও নবী (সা.) তা
কেরনিন। এরপর েকউ েকউ বেলন, এই মাকরহ হওয়া ঈদগােহর জনয িনিদরষ।

আবার েকউ েকউ বেলন, সাধারণভােব ঈদগাহ ও সব সােনর জনয বযাপক। েকননা নবী (সা.) তা কেরনিন।
্ সূযর উপের উেঠ আসার মাধযেম সালাত আদায় করা জা ্ ্ ইহ য েয় যায়, তখন েথেক যাওয়াল পযরন ঈেদর
যখন
সালােতর সময় থােক। যখন সূযর ঢেল পেড় তখন ওয়াক েশষ হেয় যায়। েকননা নবী (সা.) সূযর এক বা দই
বশরা পিরমাণ উপের উঠেত ঈেদর সালাত আদায় করেতন। আর (একবার) যখন সাহাবােয় িকরাম যাওয়ােলর পর
চাদ েদখার সাকয িদেলন, তখন িতিন পরবতরী িদন ঈদগায় যাওয়ার আেদশ করেলন।

129
ইমাম েলাকেদর িনেয় দই রাকাআত সালাত আদায় করেবন। পথম রাকাআেত এক তাকবীর বলেবন তাহরীমার
জনয। তারপর িতনবার তাকবীর বলেবন। এরপর ফািতহা ও অনয একিট সূরা পড়েবন এবং তাকবীর বেল রকুেত
যােবন। এরপর িদতীয় রাকাআেত িকরাত িদেয় শর করেবন। তারপের িতনবার তাকবীর বলেবন এবং চতুথর
তাকবীর বেল রকুেত যােবন।

এ হল ইব‌ন মাস’ঊদ (রা.) এর মত এবং তা আমােদর মাযহাব। ইব‌ন ‘আবাস (রা.) বেলন, পথম রাকাআেত
তাহরীমা তাকবীর বেল তার পর পাচিট তাকবীর বলেবন এবং িদতীয় রাকাআেতও পাচবার তাকবীর বলার পর িকরাত
পড়েব। অনয এক বণরনায় আেছ েয, (িদতীয় রাকাআেত) চারবার তাকবীর বলেবন। বতরমােন ইব‌ন ‘আবাস
(রা.) এর বংশধর খলীফােদর শাসেনর যুগ হওয়ার কারেণ সাধারণ েলােকর আমল তার মেতর উপর পিতিষত।
তেব মাযহাব হল পথেমাক মত। েকননা, (অিতিরক) তাকবীর এবং হাত উঠােনা সালােতর িনধরািরত পকৃিতর
িবপরীত। সুতরাং িনমতর সংখযাই গহণ করা েশয়।

আর (ঈেদর) তাকবীরসমূহ হল দীেনর পতীক। এ জনয তা উৈচসের আদায় করা হয়। সুতরাং এর পকৃত চািহদা
হেলা িমিলতভােব পাঠ করা। পথম রাকাআেত এই তাকবীরগেলােক তাকবীের তাহরীমার সােথ যুক করা
ওয়ািজব। েযেহতু এ তাকবীর ফরয এবং পররথেম হওয়ার েপিকেত এটার শিক েবশী। আর িদতীয় রাকাআেত
রকুর তাকবীর ছাড়া অনয েকান তাকবীর েনই। সুতরাং (ঈেদর তাকবীরগেলা) তার সােথ যুক করাই ওয়ািজব।

ইমাম শািফঈ (র.) ইব‌ন ‘আবাস (রা.) এর মতামত গহণ কেরেছন। তেব িতিন বিণরত সব ক’িট তাকবীরেক
অিতিরক িহসাব গহণ কেরেছন। ফেল (তাকবীের তাহরীমা ও রকুর দই তাকবীরসহ) েমাট তাকবীর তার মেত
পেনরিট িকংবা েষালিট হেব।

ইমাম কুদূরী (র.) বেলন, দই ঈেদর তাকবীরগেলােত উভয় হাত উপের উঠােব।

এটা দারা ইমাম কুদূরী (র.) রকুর তাকবীর ছাড়া অনযানয তাকবীর বুিঝেয়েছন। েকননা রাসূলূলাহ (সা.)
বেলেছন- সাতিট সান ছাড়া অনয েকাথাও হাত েতালা হেব না। তেনেধযা ঈেদর তাকবীরসমূহ উেলখ করা
হেয়েছ। ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) েথেক বিণরত েয, হাত েতালা হেব না।আমােদর বিণরত এ হাদীছ এর িবপরীেত
দলীল।

সালােতর পর (ইমাম) দ’িট খুতবা িদেবন। এ সমেকর বহ হাদীছ বিণরত হেয়েছ।

তােত েলাকেদর সাদকাতুল িফত‌র এর আহকাম িশকা িদবস। েকননা এ খুতবা এ উেদেশযই পবিতরত হেয়েছ।

েয বযিকর ইমােমর সােথ সালাতুল ঈদ ফউত হেয় েগেছ, েস তা কাযা পড়েব না। েকননা এই পকৃিতর সালাত
এমন িকছূ শতরসােপেকই ইবাদত রেপ সীকৃত হেয়েছ, যা মুনফািরদ দারা সমন হেত পাের না।

যিদ চাদ েমঘাবৃত হেয় যায় আর েলােকরা শাওয়ােলর পর শাসক (বা তার িনযুক বযিকর) িনকট চাদ েদখার সাকয
েদয়, তাহেল ইমাম আগামী িদন ঈেদর সালাত আদায় করেবন। েকননা এ িবলম ওযেরর কারেণ। এ অনুযায়ী
হাদীছ বিণরত হেয়েছ।

130
যিদ েকান ওযরবশত আগামী িদনও সালাত আদায় সমব না হয়, তাহেল এর পের আর তা পড়েব না। েকননা
ু র নযায় এ েকূূ
জুমআ ্ েতও
ম লূ নীিত হল কাযা না করা। তেব আমরা বিণরত হাদীেছর কারেণ তা বজরন
কেরিছ। আর হাদীেছ ওযরবশত িদতীয় িদন পযরনই িবলিমত করার কথা বিণরত হেয়েছ। ঈদল আযহার িদনও
েগাসল করা এবং খুশবু বযবহার করা মুসতাহাব। এর দলীল আমরা পূেবর উেলখ কেরিছ। আর সালাত েথেক
ফােরগ না হওয়া পযরন আহার িবলিমত করেব। েকননা হাদীূূ আ েছ েয, নবী (সা.) কুরবানীর িদন
্ েছ
(ঈদগাহ েথেক) িফের আসার আেগ িকছু েখেতন না। এরপর আপন কুরবানীর েগাশত েথেক েখেতন।

আর তাকবীর বলেত বলেত ঈদগােহ যােব। েকননা নবী কিরম (সা.) পেথ তাকবীর বলেতন।

আর ঈদল িফতেরর মত দই রাকাআত সালাত আদায় করেব। (সাহাবােয় িকরাম েথেক) এরপই বিণরত হেয়েছ।

অতঃপর ইমাম দ’িট খুতবা িদেবন। েকননা নবী করীম (সা.) এরপ কেরেছন।

তােত েলাকেদর কুরবানী (আহকাম) এবং তাকবীের তাশরীক িশকা িদেবন। েকননা এ হল েসই সমেয়র
আহকাম, আর তা িশকা দােনর জনযই খুতবার িবধান পবিতরত হেয়েছ।

যিদ েকান ওযরবশতঃ ঈদল আযহার িদন সালাত আদায় করা সমব না হয়, তেব পেরর িদন এবং (েসিদন সমব না
হেল) তার পেরর িদন সালাত আদায় করেব। এরপের তা আদায় করেব না। েকননা, এ সালাত কুরবানীর সমেয়র
সােথ সমৃক। সুতরাং কুরবানীর িদনগেলার সােথ সীিমত থাকেব। তেব িবনা ওযের িবলম করেল বিণরত আমেলর
িবরদাচরেণর কারেণ গনাহ‌গার হেব।

আর আরাফা পালন নােম মানুষ যা পালন কের থােক, তার েকান (শরীআতী) িভিত েনই।

‘আরাফা পালন’ অথর আরাফা মােঠ অবসানকারীেদর সােথ সাদৃেশযর উেদেশয আরাফা িদবেস (িযলহজের নয়
তািরেখ) েকান সােনর মানুেষর সমেবত হওয়া। েকননা একিট িনিদরষ সােন অবসান করাই ইবাদত রেপ সীকৃত
হেয়েছ। সুতরাং ঐ সান ছাড়া অনযত তা ইবাদত (বেল গণয) হেব না। েযমন হেজর অনযানয আমল।

পিরেচদঃ তাকবীের তাশরীক


আরাফা িদবেসর ফজেরর সালােতর পর েথেক তাকবীের তাশরীক শর করেব এবং কুরবানী িদবেসর আসেরর
সালােতর পর তা েশষ করেব।

এ হল ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মত। সােহবাইন বেলন, আইয়ােম তাশরীেকর েশষ িদন আসেরর সালােতর
পর তা েশষ করেব।

িবষয়িট সমেকর সাহাবােয় িকরােমর মেধয মতেভদ রেয়েছ। তাই সােহবাইন আলী (রা.) এর মত গহণ কেরেছন,
িদবেসর সংখযািধেকযর উপর েপিকেত। েকননা, ইবাদেতর বযাপাের এেতই সতকরতা রেয়েছ।

131
পকানের ইমাম আবূ হানীফা (র.) িনমতর সংখযার উপর আমল করার উেদেশয আবদলাহ ইবন মাসউদ (রা.) এর
মত গহণ কেরেছন। েকননা উৈচসের তাকবীর বলার মেধয নতুনত রেয়েছ (তাই িনিশেতর উপর আমল করা
েশয়ঃ)।

আর তাকবীর হল একবার বলেবঃ

েকননা ইবরাহীম খলীলুলাহ‌ আলায়িহস সালাম েথেক এরপই বিণরত রেয়েছ।

আর এইিট ফরয সালাতসমূেহর পর ওয়ািজব। ইমাম আবূ হানীফার মেত শহের মুসাহাব জামা’আেত সালাত
আদায়কারী মুকীমেদর উপর। সুতরাং সী েলাকেদর জামা’আেতর েকেত েযখােন েকান পুরষ েনই, এবং
মুসািফরেদর জামা’আেতর েবলায় যােদর সেঙ েকান মুকীম েনই, েসখােন তা ওয়ািজব হেব না।

সােহবাইন বেলন, তা ওয়ািজব ফরয সালাত আদায়কারী পেতযেকর উপর। েকননা এ তাকবীর ফরয সালােতর
অনুগামী ।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর দলীল হল ইেতাপূেবর আমােদর বিণরত হাদীছ।

তাশরীক অথর উৈচসের তাকবীর বলা। খলীল ইব‌ন আহমদ েথেক এিট বিণরত। তাছাড়া উৈচসের তাকবীর বলা
সুনেতর িখলাফ। আর শরীআেত এর পমাণ পাওয়া যায় উপেরাক শতরসমূহ একত হওয়ার েবলায়। অবশয সী
েলােকরা পুরেষর িপছেন ইকিতদা করেল এবং মুসািফরগণ মুকীেমর িপছেন ইকিতদা করেল অনুগামী িহেসেব
তােদর উপরও (তাকবীের তাশরীক) ওয়ািজব হেব।

ইমাম (আবূ ইউসূফ) ইয়া’কূব( র.) বেলন, আরাফা িদবেস মাগিরেবর সালােত আিম ইমামিত করলাম এবং
তাকবীর বলেত ভুেল েগলাম। তখন ইমাম আবূ হানীফা (র.) তাকবীর বলেলন।

এেত পমািণত হয় েয, ইমাম তাকবীর তরক করেলও মুকাদী তা তরক করেব না। েকননা এটা সালােতর
তাহরীমার মেধয আদায় করা হয় না। সুতরাং তােত ইমাম অপিরহাযর নন। বরংূূ
ূূূূূ
ূ ইমােমরঅনুরণ
মুসাহাব মাত।

অষাদশ অনুেচদ
সালাতুল কুসূফ

132
ইমাম কুদরূ ী (র.) বেলন, যখন সূযরগহণ হেব তখন ইমাম নফেলর অনুরপ দ’রাকাআত সালাত আদায় করেবন।
পিত রাকাআেত একিট রকই হেব।

ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, (পিত রাকাআেত) দ’িট রকু হেব। তার দলীল হল ‘আইশা (রা.) বিণরত হাদীছ।

আমােদর দলীল হল ইব‌ন উমার (রা.) বিণরত হাদীছ। আর েযেহতু (ইমােমর সংেগ ) ৈনকেটযর কারেণ িবষয়িট
পুরষেদর কােছই অিধকতর পকািশত েসেহতু ইব‌ন উমর (রা.) বিণরত িরওয়ায়াতই অগািধকার পাওয়ার েযাগয।

উভয় রাকাআেত (ইমাম) িকরাত দীঘর করেবন।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মেত (ইমাম) নীরেব িকরাত পড়েবন। আর সােহবাইেনর মেত উৈচসের পড়েবন।
ইমাম মুহামদ (র.) এর েথেক ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর অনুরপ মতও বিণরত হেয়েছ।

িকরাত দীঘর করার বকবযিট উতম িহসােব গণয। সুতরাং ইচা করেল ইমাম িকরাত সংিকপ করেত পােরন।
েকননা, সুনাত হল গহেণর সময়িটেক সালাত ও দ’আ দারা পিরপূণর করা। সুতরাং একিটেক সংিকপ করেল
অনযিটেক দীঘর করেব। নীরেব এবং উৈচসের িকরাত পড়ার বযাপাের সােহবাইেনর দলীল হল ‘আইশা (রা.) বিণরত
হাদীছ েয, রাসূলুলাহ (সা.) তােত উৈচসের িকরাত পেড়েছন।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর দলীল হল ইব‌ন ‘আবাস ও সমুরাহ ইব‌ন জুনুর (রা.) এর িরওয়ায়াত। আর
অগািধকােরর পদােনর কারণ পূেবর বিণরত হেয়েছ। আর েকন হেব না? এটা েতা িদেনর সালাত, আর িদেনর
সালাত হল িনশব।

সালােতর পর সূযর গহণ মুক হওয়া পযরন দ’আ করেব। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- যখন েতামরা এ
ধরেনর ভয়াবহ েকান অবসা েদখেত পােব, তখন েতামরা দ’আর মােধযেম আলাহর অিভমুখী হেব।

আর দ’আসমূেহর েকেত িনয়ম হল তা সালােতর পের হওয়া।

েয ইমাম জুমআ
ু র সালাত পড়ান, িতিনই সালাতুল কুসুফ পড়ােবন। িতিন উপিসত না হেল েলােকরা একা একা
সালাত আদায় করেব।

(ইমামিতর জনয েক অগবতরী হেব, এই) িফতনা হেত বাচার জনয।

চন গহেণর েকেত জামা’আত েনই। েকননা রািতকােল সমেবত হওয়া কষকর। িকংবা সংকট সৃিষর আশংকা
রেয়েছ। আর পেতযেক একা একা সালাত আদায় করেব।েকননা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- যখন েতামরা এই
ধরেনর ভয়ংকর িকছু েদখেত পােব, তখন েতামরা সালােতর আশয় গহণ করেব।

সূযর গহেণর সালাত (জুম’ু আর মত ) েকান খুতবা েনই। েকননা তা হাদীেছ বিণরত হয়িন।

133
ঊনিবংশ অনুেচদ
ইসিতসকার সালাত

ইমাম আবূ হানীফা (র.) বেলন, ইসিতসকার এর জনয জামা’আতসহ সালাত আদায় করা সুনত নয়। তেব
েলােকরা যিদ একা একা সালাত পেড় েনয় তেব তা জাইয। আসেল ইসিতসকা হল দ’আ ও ইসিতগফার।

েকননা আলাহ তা’আলা ইরশাদ কেরেছন- তখন আিম বললাম, েতামরা েতামােদর রেবর িনকট কমা চাও।
িনসেনেহ িতিন কমাশীল।

তাছাড়া রাসূলুলাহ (সা.) ইসিতসকা কেরেছন. িকন তার েথেক সালাত আদায় করা বিণরত হয়ািন।

সােহবাইেনর বেলন, ইমাম দ’রাকআত সালাত আদায় করেবন। েকননা, বিণরত আেছ েয, নবী কিরম (সা.) দই
রাকাআত ইসিতসকার সালাত আদায় কেরেছন, ঈেদর সালােতর মত। ইব‌ন ‘আবাস (রা.) একথা বণরনা
কেরেছন।

আমােদর বকবয এই েয, িতিন সালাত আদায় কেরেছন, আবার কখেনা পেড়নিন। সুতরাং এিট সুনত নয়।

মাবসূত িকতােব ইমাম মুহামদ (র.) এর মেত এককভােব উেলখ করা হেয়েছ।

উভয় রাকাআেত িকরাত উৈচসের পড়েব। ঈেদর সালােতর উপর িকয়াস কের।

অতপর (ইমাম) খুতবা িদেবন। েকননা বিণরত আেছ েয, নবী (সা) খুতবা িদেয়েছন।

ইমাম মুহামদ (র.) এর মেত তা হেব ঈেদর খুতবার মত (দই খুতবা িবিশষ)। আর ইমাম আবূ ইউসূফ (র.)
এর মেত তা খুতবা একিটই।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মেত (ইসিতসকার জনয) েকান খুতবা েনই। েকননা, খুতবা হল জামা’আেতর
অনুগামী। আর তার মেত (ইসিতসকার সালােত) জামা’আত েনই।

দ’আর সময় িকবলামুখী হেব। েকননা, হাদীেছ আেছ েয, নবী কিরম (সা.) িকবলামূখী হেয়েছন এবং আপন
চাদর উলিটেয়েছন।

আর ইমাম সােহব আপন চাদর উলটােবন।

এর দলীল আমােদর বিণরত হাদীছ।

গনকার বেলন, এ হল ইমাম মুহামদ (র.) এর মত। আর ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মেত চাদর উলটােব
না। েকননা এ েতা দআ। সুতরাং অনযানয দ’আর সােথই এেক িবেবচনা করেত হেব।

আর ইমাম মুহামদ (র.)েয হাদীছ বণরনা কেরেছন, তা িছল সুলকণ গহণ িহসােব।

134
তেব মুকতাদীরা তােদর চাদর উলােব না। েকননা এমন বিণরত হয়িন েয, রাসূলুলাহ (সা.) সাহাবােয় িকরামেক তা
করার আেদশ কেরেছন।

িযমী অিধবাসীগণ ইসিতসকার সালােত হািযর হেব না। েকননা ইসিতসকার হল রহমত নািযেলর পাথরনা করার
জনয, অথচ তােদর উপর েতা গযব নািযল হওয়ার কথা।

িবংশ অনুেচদ
ভয়কালীন সালাত
যখন (শতর) ভয় তীব হয়, তখন ্ ইমাম েলাকেদর দ ্ ্ ইদ েল ভাগ করেবন। একদলেক শতর মুেখামুিখ
রাখেবন আবার িদতীয় দলেক িনেজর িপছেন দাড় করােবন।

এরপর এই দলেক িনেয় এক রাকাআত ও দই সাজদা আদায় করেবন। যখন িতিন িদতীয় সাজদা েথেক মাথা
তুলেবন, তখন এই দলিট শতর সামেন অবসান িনেত চেল যােব। এবং (শত মুেখামুিখ অবসানকারী) ঐ দলিট
চেল আসেব। আর ইমাম তােদর িনেয় এক রাকআত ও দই সাজদা আদায় করেবন এবং তাশাহ‌হদ পেড় সালাম
িফরােবন। িকন িপছেন ইকিতদাকারী দলিট সালাম েফরােব না বরং শতর সামেন (অবসান গহণ করেত) চেল
যােব। এবং পথম দলিট এেস একা একা ও িকরাত ছাড়া এক রাকাআত ও দই সাজদা আদায় করেব।

(িকরাত না পড়ার) কারণ এই েয, তারা হল ‘লািহক’ আর তাশাহহদ পেড় সালাম িফিরেয় শতর মুেখামুিখ চেল
যােব। আর অপর দলিট িফের এেস িকরাত সহ এক রাকাআত ও দই সাজদা আদায় করেব। েকননা তারা হল
মাসবূক (আর মাসবূেকর উপর িকরাত পড়া ওয়ািজব)।

এবং তারা তাশাহহদ পেড় সালাম েফরােব। এ িবষেয় মূল হল ইবন মাসউদ (রা.) বিণরত হাদীছ েয, নবী কিরম
(সা.) উপের বিণরত িনয়েম সালাতুল খাওফ বা ভয়কালীন সালাত আদায় কেরেছন।

ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) যিদও আমােদর যামানায় এর শরীআত সমত হওয়া অসীকার কেরেছন, িকন তার
িবপরীেত দলীল রেয়েছ আমােদর বিণরত হাদীছ।

ইমাম যিদ মুকীম হন তেব পথম দলিটর সংেগ দই রাকাআত এবং িদতীয় দেলর সংেগ দই রাকাআত পড়েবন।
েকননা বিণরত আেছ েয, নবী (সা.) যুহেরর সালাত উভয় দেলর সংেগ দই দই রাকাআত কের পেড়েছন।

সালােতর অবসায় তারা লড়াই করেব না। যিদ কের তেব তােদর সালাত বািতল হেয় যােব। েকননা খনক যুেদর
িদন নবী কিরম (সা.) বযসতার কারেণ চার ওয়াক সালাত আদায় কেরনিন। যিদ লড়াই করা অবসায়ও আদায়
করা জাইয হেতা, তেব িকছুেতই িতিন তা তরক করেতন না।

যিদ ভয়ভীিত আেরা তীব হয় তেব েলােকরা সওয়ার অবসায় একা একা সালাত আদায় করেব আর যিদ িকবলামুখী
হওয়া সমব না হয় তেব েযিদেক সমব েসিদেক অিভমুখী হেয় ইশারার মাধযেম রকু -সাজদা আদায় করেব। েকননা

135
আলাহ তা’আলা ইরশাদ কেরেছন- যিদ েতামরা ভীত হেয় পড় তেব হাটা অবসায় িকংবা সওয়ার অবসায় (সালাত
আদায় করেব)।

আর িকবলামূখী হওয়ার হকুম পেয়াজেনর কারেণ রিহত হেয় যােব।

ইমাম মুহামদ (র.) েথেক বিণরত আেছ েয, (েসই অবসায়ও) তারা জামা’আেতর সােথ সালাত পড়েব। িকন
এটা িবশদ মত নয়। েকননা (জামাআেতর জনয) অিভন সান িবদযমান েনই।

একিবংশ অনুেচদ
সালাতুল জানাযা
যখন েকান েলােকর মৃতুয উপিসত হয় তখন তােক ডান পােশরর উপর িকবলামূখী কের েশায়ােব।

(এটা করা হেব) তার কবেরর অবসােনর অবসা সামঞসয েরেখ। েকননা েস েতা কবেরর িনকটবতরী হেয় িগেয়েছ।
আমােদর েদেশ িচত কের েশায়ােনাই পচিলত। েকননা, এ হল রহ েবর হওয়ার জনয অিধকতর সহজ। তেব
পথম সুরত হল সুনত। এবং তােক উভয় শাহাদােতর তালকীন করেব। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন-
েতামরা েতামােদর মৃতেদর লা ইলাহা ইলালাহ এই কািলমার সাকয দােনর তালকীন কর। মৃত দারা ঐ বযিকেক
েবাঝােনা হেয়েছ, যার মৃতুয আসন।

যখন েস মারা যায় তখন তার েচায়াল েবেধ িদেব এবং েচাখ দেটা বন কের এরপ করাই উতম ।

পিরেচদ েগাসল

যখন তােক েগাসল েদয়ার ইচা করেব, তখন তােক একিট খােট েশায়ােব।

যােত পািন তার েথেক নীেচর িদেক সের যায়। আর তার সতেরর সােন এক খন বস েরেখ েদেব।

এরপ করা হেব সতেরর ওয়ািজব রকা করার জনয। তেব িবশদ মত অনুযায়ী েগাসেলর কাজ সহজ করার জনয
মূল লজাসান ঢাকাই যেথষ।

আর (েগাসলদানকারীরা) তার সমস কাপড় খুেল েফলেব, যােত তােদর পেক তােক পিরষার করা সহজসাধয হয়।
এবং তারা তােক কুিল ও নােক পািন েদয়া ছাড়া উযূ করােব। েকননা উযূ হল েগাসেলর সুনত। তেব েযেহতু তার
(মুখ ও নাক) েথেক পািন েবর করা কিঠন, েসেহতু কুিল ও নােক পািন েদয়া তরক করেব।

136
তারপর সারাশরীের পািন পবািহত করেব। জীবদশার েগাসেলর কথা অনুসরেণ। অতপর তার খািটয়ায় ধুনী েদওয়া
হেব েব-েজাড় সংখযায়। েকননা এত মৃত বযিকর পিত সমান পদিশরত হয়। েব-েজাড় করার কারণ এই েয,
রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন, আলাহ েব-েজাড়, তাই িতিন েব-েজাড় সংখযা পসন কেরন। আর যিদ বড়ই পাতা
িকংবা ‘উশনান’ দারা পািন িসদ করেব অিধকতর পিরচনতার লেকয।

যিদ তা না পাওয়া যায়, তেব শধু পািনই যেথষ। েকননা তা দারা মূল উেদশয অিজরত হয়।

আর তার মাথা ও দািড় িখতমী (এক পকার তৃণ) দারা েধৌত করেব। যােত অিধক পিরচনতা অিজরত হয়।

আর যিদ তার মাথা ও দািড় িখতমী (এক পকার তৃণ) দারা েধৌত করেব। যােত অিধক পিরচনতা অিজরত হয়।

এরপর তােক বামপােশর শয়ন করেব এবং বড়ই পাতা িসদ পািন দারা তােক েগাসল েদেব যতকণ না েদখা যায় েয,
পািন তার নীচ পযরন েপৌেছ েগেছ। অতপর তােক ডান পােশর শয়ন করােব এবং ধুইেব যতকণ না েদখা যায় েয,
পািন তার নীচ পযরন েপৌেছ েগেছ। েকননা ডান িদক েথেক শর করাই সুনত। এরপর তােক বসােব এবং িনেজর
িদেক তােক েহলান িদেয় তার েপট হালকাভােব মুছেব। যােত পের কাফন নষ হওয়া েথেক রকা পায়। যিদ তার
েপট েথেক িকছু েবর হয় তেব তা ধুেয় েফলেব। েগাসল বা উযূ েদাহরােব না। েকননা, েগাসেলর েদওয়া আমরা
েজেনিছ শরীআেতর িনেদরশ। আর তা একবার পািলত হেয় েগেছ।

এরপর একিট কাপড় দারা তার শরীের চুেষ েফলেব। যােত তার কাফন িভেজ না যায়।

এরপর মাইেয়তেক তার কাফেন রাখেব। এরপর তার মাথায় ও দািড়েত সুগিন মাখেব এবং সাজদার অংগগেলােত
কপুরর মাখেব। েকননা, সুগিন বযবহার করা সুনত, আর সাজদার অংগগেলা অিধক সমানেযাগয।

মাইেয়েতর চুল বা দাড়ী আচড়ােব না এবং তার লমা চুল কাটেব না। েকননা ‘আইশা (রা.) বেলেছন- েকন
েতামরা েতামােদর মুদার েরর মাথার চুল পিরপািট করছ? েকননা, এই সব কাজ হল েসৌনেযরর জনয। আর
মাইেয়েতর জনয এগেলার পেয়াজন েনই। পকানের জীিবত বযিকর জনয এগেলা হল পিরচনতার িবষয়। েযেহতু
এগেলার নীেচ ময়লা জেম থােক। সুতরাং তা খাতনার মত হেয় েগল।

পিরেচদ কাফন পরান


সুন ত এই েয, পুরষেক ইযার, কামীছ ও চাদর এই িতন কাপেড় কাফন িদেব। েকননা বিণরত রেয়েছ েয, নবী
(সা.) েক সাহূিলয়া’র ৈতরী িতনিট সাদা কাপেড় কাফন েদওয়া হেয়িছল।

তাছাড়া এই হল সভাবত তার জীবদশায় সাধারণ পিরেধয় েপাশাক। সুতরাং তার মৃতুযর পেরও একই রকম হেব।

137
অবশয যিদ দই কাপেড় সীিমত রাখা হয় তবুও তা জাইয আেছ। আর এ দই কাপড় হল ইযার ও চাদর। হল
নূযনতম কাফন। েকননা আবূ বকর(রা.) বেলেছন, আমার এ কাপড় দ’িট ধুেয় িদও এবং তােতই আমােক কাফন
িদও।

তাছাড়া এটা হল জীিবতেদর নূযনতম েপাশাক। ইযােরর পিরমাণ হল মাথা েথেক পা পযরন। চাদরও অনুরপ।
আর কামীছ হল গলা েথেক পা পযরন।

যখন কাফন েপচােনার ইচা করেব তখন মাইেয়েতর বাম িদক েথেক শর করেব ।এবং েসিদক েথেক তার উপর
েলপিটেয় িদেব। অতপর ডান িদক। েযমন জীিবত অবসায় করা হয়। কাফন িবছােনার সুরত এই েয, পথেম
চাদর িবছােব, তারপর তার উপর ইযার িবছােব, তারপর মাইেয়েতর কুতরা পরােনা হেব। তারপর তােক ইযােরর
উপর রাখা হেব। অতপর পথেম বাম েথেক এরপর ডান েথেক ইযার েপচােনা হেব। অতপর একই ভােব চাদর
েপচােনা হেব।

যিদ কাফন সের যাওয়ার আশংকা হয় তেব একিট বসখন দারা তা েবেধ িদেব, যােত অনাবৃত হওয়া েথেক রকা
পায়।

সীেলাকেক পাচিট কাপেড় কাফন িদেব। যথা, েকাতরা, ইযার, ওড়না, চাদর ও পিট যা দারা তার িসনা েবেধ রাখা
হেব। েকননা উমু আিতয়যাহ (রা.) বিণরত হাদীেছ রেয়েছ েয, নবী (সা.) তার কনযােক েগাসলদানকািরণী সী
েলাকেদরেক পাচিট কাপড় িদেয়িছেলন। এবং এ কারেণ েয, জীবদশায় সাধারণত এই পাচ কাপেড় েস েবর হেয়
থােক। সুতরাং মৃতুযর পেরও অনুরপ হেব।

আর এটা হল সুনত কাফেনর বয়ান। যিদ িতনিট কাপেড়র মােঝ সীমাবদ রােখ যথা ইযার চাদর ও ওড়না, তেব
জাইয হেব। এটা হল (েমেয়েদর জনয) নূযনতম কাফন।

এর েচেয় কম করা মাকরহ হেব। আর পুরষেদর েকেত এক কাপেড়র উপর সীিমত করা মাকরহ হেব- জররী
অবসা ছাড়া। েকননা মুস’আব ইব‌ন উমায়র (রা.) যখন শহীদ হেলন, তখন তােক এক বেস কাফন েদওয়া
হেয়িছল। এ হল জররী অবসার কাফন।

সীেলাকেক পথেম কুতরা পরােনা হেব। তারপর তার চুলগেলা দই ভাগ কের তার বুেক েকাতরার উপর রাখেত হেব।
তারপর তার উপের ওড়ােনা পরােনা হেব। তারপর ইযার েদয়া হেব –চাদেরর নীেচ।

ইমাম কুদরূ ী (র.) বেলন, কাফেনর কাপেড়র মােঝ মাইেয়তেক সাপেনর পূেবর েবেজাড় সংখযায় ধুনী েদওয়া হেব।
েকননা নবী করীম (সা.) তার কনযার কাফনেক েবেজাড় সংখযায় ধুপ িদেত আেদশ কেরিছেলন। আর ধুনী েদওয়া
হল সুরিভত করা। কাফন েথেক ফােরগ হেয় মাইেয়েতর উপর জানাযার সালাত পড়েব। েকননা এ হল ফরয।

পিরেচদ মাইেয়েতর উপর সালাত আদায়

138
সুলতান যিদ উপিসত থােকন তেব মাইেয়েতর উপর সালাত আদােয়র বযাপাের িতিনই সব েচেয় েবশী হকদার।
েকননা, তার উপর অনযেক, অগগামী করােত তার অবমাননা রেয়েছ।

যিদ িতিন উপিসত না থােকন তেব কাযী (অিধক হকদার) েকননা িতিনও কতৃরেতর অিধকারী।

আর যিদ িতিন উপিসত না থােকন তেব মহলার ইমামেক অগািধকার দান করা মুসাহাব। েকননা, মাইেয়ত তার
জীবদশায় তার ইমামিতেত সনষ িছল।

ইমাম কুদরী (র.) বেলন- তারপর মাইেয়েতর অিভভাবক অিধক হকদার। আর ওয়ালী বা অিভভাবকেদর কম
েসই অনুসােরই হেব, যা িনকাহ অধযােয় বিণরত হেয়েছ। সুতরাং যিদ ওয়ালী ও সুলতান ছাড়া অনয েকউ জানাযা
পিড়েয় থােক তেব ওয়ালী তা পুনরায় পড়েত পােরন, যিদ ইচা কেরন। েকননা আমরা বেল এেসিছ েয, অিধকার
বা হক হল ওয়ালীেদর।

যিদ ওয়ালী জানাযা পেড় থােকন তাহেল তার পের অনয কােরা জানাযার সালাত আদায় করা জাূূ ্ ইয
ন য় ।
েকননা ফরয েতা পথমবার পড়া দারাই আদায় হেয় েগেছ। আর নফল িহসােব জানাযা পড়া শরীআত সীকৃত
নয়। এজনযই আমরা েদখেত পাই েয, সকল সেরর েলােকরা নবী কিরম (সা.) এর রওযা শরীেফ জানাযা পড়া
েথেক িবরত রেয়েছন। অথচ েযভােব কবের রাখা হেয়েছ, েসভােবই তার পিবত েদহ এখন পযরন িবদযমান আেছ।

যিদ জানাযা না পেড়ই মাইেয়তেক দাফন করা হেয় থােক তেব তার কবেরই জানাযা পড়েব । েকননা নবী কিরম
(সা.) জৈনক আনসারী সীেলােকর কবের জানাযা পেড়িছেলন।

তেব লাশ গিলত হওয়ার পূেবরই তার জানাযা পড়েব। আর তা েবাঝার বযাপার পবল মেতর উপর িনভররশীল। এ-ই
িবশদ মত। েকননা, অবসা, সময় ও সান িবিভন রকম রেয়েছ।

জানাযার সালাত এই েয, পথেম এক তাকবীর বলেব। অতপর ‘সানা’ পড়েব। অতপর আেরক তাকবীর বেল নবী
কিরম (সা.) এর উপর দরদ পড়েব। অতপর আেরক তাকবীর বেল িনেজর জনয, মাইেয়েতর জনয এবং
মুসলমানেদর জনয দ’আ করেব। অতপর চতুথর তাকবীর বেল সালাম েফরােব। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) েশষ েয
িদেয়েছ। ইমাম যিদ পঞম তাকবীর বেলন, তেব মুকাদী তােক অনুসরণ করেব না। ইমাম যুফার (র.) িভনমত
েপাষণ কেরন।

আমােদর দলীল এই েয, পঞম তাকবীেরর হাদীছিট আমােদর পূবর বণরনার েপিকেত রিহত হেয় েগেছ। তেব এক
বণরনা মেত মুকাদী ইমােমর সালাম েফরােনার অেপকা করেব। এ মতই গহণীয়।

আর দ’আসমূহ পাঠ করার উেদশয হল মাইেয়েতর জনয ইসিতগফার করা। আর পথেম সানা এরপর দরদ পাঠ
হল দ’আর সুনত। বাচার জনয ইসিতগফার করেব না, বরং একথা বলেব- েহ আলাহ‌!তােক আমােদর জনয
অগবতরী করন এবং আমােদর জনয তােক দাওয়াত লােভর মাধযম এবং আেখরােতর সঞয় বািনেয় িদন এবং তােক
আমােদর জনয সুপািরশকারী ও সুপািরশ গহণকৃত বািনেয় িদন।

139
ইমাম যিদ এক তাকবীর বা দই তাকবীর িদেয় েসের থােকন, তেব (পের) আগত বযিক তার উপিসিতর পর
ইমােমর আেরক তাকবীর বলার পূেবর তাকবীর বলেব না।

এ হল ইমাম আবূ হানীফা (র.) ও মুহামদ (র.) এর মত। ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত উপিসিতর
সমেয়ই তাকবীর বলেব। েকননা পথম তাকবীর হল সালাত শর করার তাকবীর। আর মাসবূকেক এ তাকবীর
বলেত হয়।

উভয় ইমােমর দলীল হল (জানাযার) পিতিট তাকবীর এেকক রাকাআেতর সলবতরী। আর মাস‌বূক, সালােতর েয
অংশ ফউত হেয় যায়, তা িদেয় সালাত শর কের না। েকননা এরপ করা রিহত হেয় েগেছ।

পকানের যিদ উপিসত থাকা সেতও ইমােমর সংেগ তাকবীর না বেল থােক, তেব সকেলরই মেত েস িদতীয়
তাকবীেরর জনয অেপকা করেব না। েকননা েস মুদিরেকর সমপযরায়ভূক।

েয (ইমাম) পুরষ বা সীেলােকর উপর সালাত পড়েব েস বুক বরাবর দাড়ােব। েকননা, তা কলেবর সান এবং
তােতই ঈমােনর নূর িবদযমান থােক। সুতরাং েসই বরাবর দাড়ােনার অথর এই িদেক ইংিগত করা েয, তার ঈমােনর
কারেণ শাফাআেত দ’আেয় মাগিফরাত করা হেব।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) েথেক আেরা বণরনায় রেয়েছ েয, ইমাম পুরেষর মাথা বরাবর এবং সীেলােকর মাঝামািঝ
দাড়ােব। েকননা, আনাস (রা.) এরপ কেরেছন এবং বেলেছন েয, এটাই সুনত।

আনাস (রা.) সমিকরত হাদীেছর বযখযায় আমরা বিল েয, উক মিহলার জানাযার উপর অিতিরক আবরণ িছল
না। কােজই িতিন সীেলাকিটর জানাযা এবং েলাকেদর সােথ আড়াল হেয় দািড়েয়িছেলন।

যিদ েলােকরা সওয়ার অবসায় জানাযা পেড় তেব তা জাইয হেব-সাধারণ িকয়াস মুতািবক। েকননা, ইহা মূলত
দ’আ। িকন সূক িকয়াস মুতািবক জাইয হেব না। েকননা তাহরীমা িবদযমান থাকার কারেণ এক িদক েথেক তা
সালাত। সুতরাং সতকরতার খািতের িবনা ওযের িকয়াম তরক করা জাইয হেব না।

জানাযার সালােতর েকেত অনুমিত পদান অৈবধ নয়। েকননা অগবিতরতা হল ওয়ািজব হক। সুতরাং অনযেক
অগবতরী কের িনেজর হক বািতল করার িতিন অিধকার রােখন। েকান েকান নুসখা বা অনুিলিপেত (অনুমিত) এর
পিরবেতর শবিট রেয়েছ। এর অথর হল েলাকেদর জািনেয় েদওয়া অথরাত এেক অনযেক অবিহত করেব, যােত তারা
মাইেয়েতর হক আদায় করেত পাের।

জামা’আত হয় এমন মসিজেদর িভতের জানাযা পড়েব না। েকননা নবী কিরম (সা.) বেলেছন- েয বযিক
মসিজেদ জানাযার সালাত পড়েব তার েকান সাওয়াব েনই।

তাছাড়া, এই জনযও েয, মসিজদ েতা ৈতরী হেয়েছ ফরয সালাত আদায় করার জনয। তদপির মসিজদ নষ
হওয়ারও সমাবনা রেয়েছ। আর মাইেয়ত যিদ মসিজেদর বাইের রিকত হয় েস েকেত মাশােয়খগেণর মেধয মত
িভনতা রেয়েছ।

140
ভূিমষ হওয়ার পর েয িশশ েকেদ ওেঠ, তার নাম রাখা ও তােক েগাসল েদওয়া হেব এবং তার জানাযা পড়া হেব।
েকননা নবী (সা.) বেলেছন- নবজাতক যিদ েকেদ ওেঠ তেব তার জানাযা পড়া হেব। আর যিদ না কােদ তেব
তার উপর জানাযা পড়া হেব না। েযেহতু েকেদ ওঠা হল পােণর অিসেতর পমাণ। সুতরাং না কাদেল তার েকেত
মৃতেদর িনয়ম-কানুন কাযরকর হেব।

েয িশশ যিদ তার (অমুসিলম) মা-বাবার েকান একজেনর সংেগ বনী হয় এবং মৃতুযবরণ কের তেব তার জানাযা
পড়া হেব না। েকননা (ধেমরর িদক েথেক) েস িপতা-মাতার অনুবতরী।

তেব যিদ েস ইসলাম সীকার কের েনয় এবং তার েবাধশিক েথেক থােক েকননা সূক িকয়াস মেত তার ইসলাম
গহণ শদ। িকংবা যিদ িপতা –মাতার েকান একজন ইসলাম গহণ কের েনয়। েকননা, ধমর িহসােব েস িপতা-
মাতার উতম জেনর অনুগামী হেব।

যিদ িপতা-মাতার একজনও তার সংেগ বনী না হয় তেব জানাযা পড়া হেব। েকননা তখন তার েকেত দারল
ইসলােমর অনুবিতরতা পকাশ পােব। ফেল তােক মুসলমান বেল িসদান েদওয়া হেব, েযমন কুিড়েয় পাওয়া িশশর
েকেত।

যিদ েকান কািফর মৃতুযবরণ কের আর তার েকান মুসলমান অিভভাবক থােক তেব েস তার েগাসল িদেব, কাফন
পরােব এবং তােক দাফন করেব।

হযরত আলী (রা.) েক তার িপতা আবূ তািলব সমেকর এ িনেদরশই েদয়া হেয়িছল। তেব তােক েগাসল িদেব
নাপাক কাপড় েধায়ার মত। আর বসখেন েপচােনা হেব এবং একিট গতর েখাড়া হেব। কাফন ও কবেরর েবলায়
সুনত তরীকা অনুসরণ করা হেব না এবং যেতর সােথ কবের নামােনা হেব না। বরং তােক েছেড় েদওয়া হেব।

পিরেচদ জানাযা বহন


মাইেয়তেক খািটয়ায় রাখার পর েলােকরা চার পায়া ধের উঠােব।

হাদীেছ এমনই বিণরত হেয়েছ। তাছাড়া এেত হেব জানাযার সহযাতীেদর সংখযা বৃিদ এবং অিধকতর সমান ও
িহফাজত।

ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, সুনত এই েয, জানাযা দ’জন েলাক বহন করেব। সামেনর জন (খািটয়ার হাতল)
কােধ সাপন করেব। িদতীয় জন বুক বরাবর ধারণ করেব। েকননা হযরত সা’আদ ইব‌ন মু’আয (রা.) এর
জানাযা এভােব বহন করা হেয়িছল। এর জবােব আমােদর বকবয এই েয, তা করা হেয়িছল সা’আদ (রা.) এর
জানাযার উপর েফেরশতাগেণর িভেড়র কারেণ।

আর জানাযা িনেয় দত গিতেত চলেব। তেব েদৌেড় নয়। েকননা, রাসূলুলাহ (সা.) েক যখন এ সমেকর িজেজস
করা হেয়িছল তখন িতিন বেলিছেলন- েদৌেড়র েচেয় কম গিতেত। যখন মাইেয়েতর কবর পযরন েপৌেছ যােব তখন

141
মাইেয়তেক কাধ েথেক নামােনার পূেবর উপিসত েলাকেদর বেস পড়া মাকরহ। েকননা কখেনা সহেযািগতার
পেয়াজন হেত পাের। আর দাড়ােনা অবসায় তা অিধক সমবপর।

আর জানাযা বহেনর িনয়ম এই েয, পথেম জানাযার সামেনর অংশ েতামার ডান কােধ রাখেব। অতপর জানাযার
িপছেনর অংশ েতামার ডান কােধ রাখেব। অতপর জানাযার সামেনর অংশ েতামার বাম কােধ রাখেব এরপর
িপছেনর অংশ েতামার বাম কােধ রাখেব। এটা করা হেব ডান িদকেক অগািধকার পদােনর জনয। এ িনয়ম হল
পালাকেম বহেনর েকেত।

পিরেচদ দাফন
কবরেক লাহদ রেপ খনন করেব। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন, লাহদ হল আমােদর জনয। আর খাড়া কবর
হল অনয জািতর জনয। মাইেয়তেক েকবলার িদক েথেক (গহণ কের) দািখল করা হেব।

ইমাম শািফঈ (র.) িভনমত েপাষণ কেরন। তার মেত মাইেয়তেক পােয়র িদক েথেক িনেয় দািখল করা হেব।
েকননা, নবী কিরম (সা.) েক পােয়র িদক েথেক িনেয় দািখল করা হেয়িছল।

আমােদর দলীল এই েয, েকবলার িদক হল সমািনত। সুতরাং েসিদক েথেক পেবশ করােনাই মুসাহাব হেব। আর
নবী কিরম (সা.) েক কবের পেবশ করােনা সমিকরত বণরনাগেলা পরসর িবেরাধী।

মাইেয়তেক যখন কবের রাখা হেব তখন অবতরণকারী আলাহ‌র নােম রাসূলুলাহ (সা.) এর িমলােতর উপর রাখিছ।
বলেব । রাসূলুলাহ (সা.) হযরত আবূ দজানা (রা.) েক কবের নামােনার সময় এ দ’আ বেলিছেলন।

আর তােক েকবলামুখী করেব। রাসূলুলাহ(সা.) এরপই আেদশ কেরেছন।

আর কাফেনর িগঠ খুেল িদেব। েকননা এখন আর সের যাওয়ার ভয় েনই।

আর ‘লাহদ’ এর মুেখ কাচা ইট সমান কের বিসেয় িদেব। েকননা নবী কিরম (সা.) এর কবর শরীেফ কাচা ইট
বসােনা হেয়িছল।

লাহেদর মুেখ ইট বসােনা পযরন সীেলােকর কবর কাপড় দারা েঢেক রাখেব । তেব পুরেষর কবর কাপড় দারা ঢাকেত
হেব না। েকননা, সীেলােকর অবসার িভিত হল পদরার উপর আর পুরেষর অবসার িভিত হল উনুক থাকার উপর।

েপাড়া ইট বা কাঠ বযবহার করা মাকরহ। েকননা এগেলা হল ঘর মজবুত করার জনয। অথচ কবর হল জীণর হেয়
িনঃেশষ হওয়ার সান। তাছাড়া েপাড়া ইেট আগেনর আছর রেয়েছ। সুতরাং কুলকণ গহণ িহসােব তা মাকরহ
হেব।

আর বাশ বযবহাের অসুিবধা েনই। এর ভাষয মেত কাচা ইট ও বাশ বযবহার করা মুসাহাব। েকননা নবী (সা.)
এর কবর শরীেফ এক আিট বাশ বযবহার করা হেয়িছল।

142
অতঃপর কবের মািট েঢেল েদওয়া হেব। আর কবরেক কুেজর মত করা হেব। সমতলও করা হেব না এবং
চতুেষাণও করা হেব না। েকননা নবী করীম (সা.) কবর চতুেষাণ করেত িনষধ কেরেছন। আর যারা নবী করীম
(সা.) এর কবর শরীফ েদেখেছন, তারা বণরনা কেরেছন, তা কুজ সদৃশ।

দািবংশ অনুেচদ

শহীদ

শহীদ ঐ বযিক, যােক মুশিরকরা হতযা কেরেছ িকংবা যুেদর মােঠ (মৃত) পাওয়া েগেছ আর তার েদেহ িচহ
রেয়েছ। িকংবা মুসলমানরা তােক অনযায়ভােব হতযা কেরেছ এবং তােক হতযা করার কারেণ িদয়ােত
ওূূ্ রয়ািজব
হ য়িন। এমন বযিকেক কাফন েদওয়া হেব এবং তার উপর জানাযা পড়া হেব িকন েগাসল েদওয়া
হেব না। েকননা েস উহেদর শহীেদর েশণীভূক। আর তােদর সমকর রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- তােদরেক
তােদর জখম ও রকসহ আবৃত কর। েগাসল িদও না।

সুতরাং েয েকউ েলৌহাস দারা অনযায়ভােব িনহত হয় আর েস পিবত ও পাপবয়স এবং হতযার িবিনমেয় েকান
আিথরক কিতপূরণ হয় না, েস উহেদর শহীদেদর েশণীভূক। সুতরাং তােক তােদর সংেগ যুক করা হেব।

‘িচহ’ দারা যখম উেদশয। েকননা যখম িনহত হওয়ার পিরচায়ক। েতমিন অসাভািবক সান েথেক রক েবর
হওয়া। েযমন, েচাখ বা এরপ েকান সান েথেক।

শািফঈ (র.) জানাযার সালােতর েকেত আমােদর সােথ মতেভদ কেরেছন। িতিন বেলন, তরবািরর আঘাত গনাহ
মুেছ েফেল। সুতরাং (জানাযার নামােযর মাধযেম) দ’আ –ইসিতগফােরর পেয়াজন েনই।

আমরা এর জবােব বিল, মাইেয়েতর জানাযা পড়া হয় তার পিত সমান পদশরেনর জনয। আর শহীদ েতা সমােনর
েযাগয। তাছাড়া পাপ েথেক পিবত বযিকও দূূ’ূ
্ ূআ র ; েযমনকনয়
প েয়াজনেথেকমু নবী ও িশশ।

হারবী, যুদাবসায় কািফর িকংবা িবেদাহী িকংবা ডাকাত যােক হতযা করেব তােক েয িজিনস দারাই হতযা করক,
েগাসল েদওয়া হেব না। েকননা উহেদর শহীদােনর সকেলই তরবাির বা েলৌহাস দারা িনহত িছেলন না।

জানাবাত অবসায় েকউ যিদ শহীদ হয়, তাহেল আবূ হানীফা (র.) এর মেত তােক েগাসল েদওয়া হেব।

সােহবাইন বেলন েয, তােক েগাসল েদওয়া হেব না। েকননা, জানাবাত দারা েয েগাসল ওয়ািজব হেয়িছল, তা
মৃতুয দারা রিহত হেয় িগেয়েছ। আর মৃতুযর দরন িদতীয় েগাসলিট শাহাদােতর কারেন ওয়ািজব হয়িন।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর দলীল এই েয, শাহাদাত েগাসল েরাধকারী িহসােব সীকৃত, েলাপকারী নয়। সুতরাং
তা জানাবাতেক েলাপ করেব না। আর িবশদ সনেদ পমািণত আেছ েয, হানযালা (রা.) যখন জানাবাতগস
অবসায় শহীদ হেলন, তখন েফেরশতাগণ তােক েগাসল দান কেরিছেলন।

143
হািয়য ও িনফাসগস সীেলাক যখন পিবত হেয় (শাহাদাত বরণ কের) তখন তার সমেকর একই মতিভনতা
রেয়েছ। িবশদ বণরনা মেত হািয়য বা িনফাস েশষ হওয়ার আেগ শাহাদাত বরণ করেলও তার সমেকর একই
মতিভনতা রেয়েছ। অপাপ বয়স িশশ সমেকও অনুরপ মতেভদ।

সােহবাইেনর দলীল এই েয, িশশ েতা এই মযরাদা লােভর অিধকতর উপযুক।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর জবাব এই েয, পিবত অবসায় থাকা িহসােব উহেদর শহীদােনর েকেত তরবািরর
আঘাত েগাসেলর বযাপাের যেথষ হেয়েছ। পকানের িশশর েতা গনাহ েনই। সুতরাং েস উহেদর শহীদােনর
েশণীভূক হেব না।

শহীেদর রক েধায়া হেব না এবং তার কাপড়-েচাপড় েখালা হেব না। এর দলীল আমােদর পূবর বিণরত হাদীছ।
তেব চেমরর বা তুলভিতর পিরেধয় অস–শস ও েমাজা খুেল েনওয়া হেব। েকননা এগেলা কাফন জাতীয় নয়।

আর কাফেনর কাপড় পূণর করার উেদেশয (পেয়াজন অনুযায়ী) ইচামত বাড়ােব িকংবা কমােব। েয বযিক জীবেনর
িকছু সুেযাগ-সুিবধা লােভর পর মারা যায়, তােক েগাসল েদওয়া হেব।

অথরাত েয বযিক জীবেনর আরাম ও সুিবধা গহেণর কারেণ শাহাদােতর হকুম লােভর েকেত (িকছুটা সময় েকপন
কের) পুরেনা হেয় েগেছ। েকননা এ কারেণ জুলুেমর িচহ িকছুটা লঘু হেয় েগেছ। ফেল েস উহেদর শহীদােনর
েশণীভূক হল না।

‘সুেযাগ সুিবধা গহেণর অথর খাদয ও পানীয় গহণ করা, িনদা যাওয়া, ঔষধ (ও িচিকতসা) গহণ করা িকংবা
যুদেকত েথেক (িনরাপদ সােন) সানানিরত হওয়া। েকননা এভােব েস জীবেনর িকছু সুিবধা েভাগ করল। আর
উহেদর শহীদগণ পািনর েপয়ালা তােদর সামেন তুেল ধরা সেতও িপপাসাতর অবসায় মারা েগেছন। িকন
শাহাদােতর মযরাদা কিতগস হওয়ার আশংকায় তারা (পািনটুকু) গহণ কেরনিন।

িকন যিদ েকান আহত বযািক এ কারেণ আহত হওয়ার সান েথেক তুেল আনা হয়, যােত েঘাড়ার পােয় িপষ না
হয় (তেব তা সুেযাগ গহণ বেল গণয হেব না। েকননা েস েকান পকার আরাম লাভ কেরিন। আর যিদ েকান
িশিবের বা তাবুেত এেন রাখা হয় তেব পূবর বিণরত কারেণ েস সুিবধা গহণকারী গণয হেব।

আর যিদ এক ওয়াক সালাত অিতকান হওয়া পযরন সজােন েস েবেচ থােক তেব েস সুিবধা গহণকারী হল।
েকননা উক সালাত তার িযমায় ৠণ হেয় েগল। আর তা জীিবতেদর সােথ সমিকরত হকুেমর অনভূরক।

িহদায়া গনকার বেলন, এিট ইমাম আবূ ইউসুফ (র.) েথেক বিণরত।

যিদ আিখরাত সংকান েকান িবষেয় ওসীয়ত কের তেব ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত েসও সুিবধাগহণকারী
বেল গণয হেব।

িকন ইমাম মুহামদ (র.) এর মেত েস সুিবধা গহণকারী হেব না। েকননা ওসীয়ত করা েতা মাইেয়েতর
আহকামভূক িবষয়।

144
যােক নগের িনহত অবসায় পাওয়া যায়, তােক েগাসল েদওয়া হেব। েকননা তার েকেত ওয়ািজব হল কাসামাহ ও
িদয়যত। সুতরাং এেত কের তার জুলুেমর পিতিকয়া হালকা হেয় যায়।

তেব যিদ জানা যায় েয, তােক েলৌহার অস দারা অনযায়ভােব হতযা করা হেয়েছ। (এমতাবসায় েগাসল েদয়া হেব
না) েকননা তার েকেত ওয়ািজব হল িকয়াস, যা একিট শািস। আর হতযাকারী বাহযতঃ েকানকেমই শািস েথেক
েরহাই েপেত পাের না, দিনয়ােত িকংবা আিখরােত।

আর ইমাম আবূ ইউসূফ ও মুহামদ (র.) এর মেত েয অেস পাণ সংহার িবলিমত হয় না, তা তেলায়ােরর
হকুমভূক। ইনশালাহ (অপরাধসমূহ) অধযােয় সমেকর আেলাচনা করা হেব।

যােক হদ বা িকসাস িহসােব কতল করা হেয়েছ, তােক েগাসল েদওয়া হেব এবং তার উপর জানাযা পড়া হেব ।
েকননা েস তার উপর সাবযস হক আদায় করার জনয আপন পাণ বযয় কেরেছ। অথচ উহেদর শহীদগণ আলাহর
সনিষ অজরেনর জনয িনেজেদর জান উতসগর কেরেছন। সুতরাং তােক তােদর সংেগ যুক করা যােব না।

েস সকল িবেদাহী িকংবা ডাকাত িনহত হয়, তােদর উপর জানাযা পড়া হেব না।েকননা আলী (রা.) িবেদাহীেদর
উপর জানাযা পেড়নিন।

তেয়ািবংশ অনুেচদ
কা’বার অভযনের সালাত
কা’বার অভযনের ফরয ও নফল সালাত আদায় জাইয। উভয় িবষেয় ইমাম শািফঈ (র.) এর িভন মত রেয়েছ।
আর শূধু ফরেযর বযাপাের মািলক (র.) এর িভন মত রেয়েছ।

আমােদর দলীল রাসূলূলাহ (সা.) মকা িবজেয়র িদন কা’বা ঘেরর অভযনের সালাত আদায় কেরেছন।

আর এ কারেণ েয, অভযনরীণ সালােতর যাবতীয় শতর সমন হেয়েছ। এেত েকবলামুখী হওয়াও পািলত হেয়েছ।
েকননা সমগ কা’বা সমুেখ রাখা শতর নয়।

ইমাম যিদ কা’বার িভতের জামা’আেতর ইমামিত কেরন, আর তখন মুকাদীেদর েকউ ইমােমর িপেঠর িদেক িনেজর
িপঠ িদেয় দাড়ায় তবুও জাইয হেব। েকননা েস েকবলামুখী রেয়েছ আপন ইমামেক ভুেলর উপর রেয়েছ বেলও েস
মেন কের না। িচনা কের িকবলা িনধরারেণর িবষয়িট এর িবপরীত।

আর তােদর মােঝ েয ইমােমর িদেক িপঠ িদেয় দাড়ােব, তার নামায জাইয হেব না। েকননা েয তার ইমােমর
েচহারার িদেক িপঠ িদেয় দাড়ােব, তার নামায জাইয হেব না। েকননা েস তার ইমােমর অগবতরী হেয় েগেছ।
ইমাম যিদ মাসিজদল হারােম সালাত পড়ান আর েলােকরা কা’বার চারপােশ হালকা কের দাড়ায় এবং ইমােমর
সালােত ইকিতদা কের সালাত পেড় তা হেল তােদর মেধয েয কাবা’র িদেক ইমােমর েচেয় অিধক িনকটবতরী হয়,

145
তারও সালাত জাইয হেব, যিদ েস পােশ না দািড়েয় থােক, েয পােশ ইমাম আেছন। েকননা একই পােশর হওয়ার
েবলায়ই অগবিতরতা ও পশাদবিতরতা পকাশ পােব।

এ সমেকর ইমাম শািফঈ (র.) িভনমত েপাষণ কেরন। কারণ, আমােদর মেত কা’বা হল আসমান পযরন েখালা
সল ও শূনয সান, ভবন নয়। আর ভবন েতা সানানিরতও হেত পাের। এ জনযই েতা েকউ জাবােল আবূ কূবায়স
এর চূড়ায় উেঠ সালাত আদায় করেল তার সালাত জাইয হেব। অথচ ভবন েতা তার সমুেখ িবদযমান েনই।
অবশয কা’বার পােশ আদায় মাকরহ। েকননা এেত কা’বার পিত অসমান করা হয় এবং এ সমেকর নবী (সা.)
েথেক িনেষধাজা বিণরত আেছ।

146
অধযায়ঃ যাকাত
সাধীন জানসমন পাপবয়স মুসিলম বযািক ‘িনসাব’ পিরমাণ পূণর মািলক হল এবং তার উপর এক বছর অিতকান
হয়, তখন ঐ বযিক (সমেদর) উপর যাকাত ওয়ািজব (অথরাত ফরয) হয়।

ওয়ািজব হওয়ার দলীল হেলা আলাহ‌ তা’আলার বাণী আর েতামরা যাকাত পদান কর।

147
তাছাড়া রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- েতামরা েতামােদর মােলর যাকাত পদান কর। তদপির এ িসদােনর উপর
উমেতর ইজমা পিতিষত। ওয়ািজব শেব ফরয বুঝান হেয়েছ। েকননা (যাকাত ওয়ািজব হওয়ার েয দলীল)
তােত ‘সেনেহর’ েকান অবকাশ েনই।

সাধীন হওয়ার জনয েয় শতর তা দারা মািলকানার পূণরতা অিজরত হয়। আর ‘জান সমন’ ও পাপ বয়সতার শতর
আেরাপ করার কারণ একটু পেরই উেলখ করিছ।

মুসলমান হওয়ার শতর আেরাপ করার কারণ এই েয, যাকাত হল একিট ইবাদত। আর কািফেরর পক েথেক
ইবাদত সাবযস হেত পাের না।

িনসাব পিরমাণ মােলর মািলকানা জররী, েকননা রাসূলূলাহ (সা.) এ পিরমাণেক (যাকাত ওয়ািজব
হওূূূ ূূূ ) কারণরেপ িনধরারণ কেরেছন।
্ রয়ার

এক বছর অিতকান হওয়া জররী। েকননা এমন একটা সময়কাল অপিরহাযর যােত (মােলর) বৃিদ সমন হেত
পাের। আর শরীআত তার সীমা িনধরারণ কেরেছ ‘এক বছর ‘ দারা। েকননা রাসূলূলাহ (সা.) বেলেছন- এক
বছর অিতকান হওয়া পযরন েকান মােল যাকাত েনই। তাছাড়া এ সমেয়র অবকােশ মাল বিধরত হওয়ার সমাবনা
রেয়েছ। কারণ এেত িবিভন েমৌসুম সমূহ শািমল রেয়েছ। আর সাধারণতঃ তােত মূেলযর তারতময হেয় থােক।
সুতরাং হকুম ও িসদানিট তারই উপর আবিতরত করা হেয়েছ।

আর েকান েকান মেত যাকাত হেলা তাতকিনক ওয়ািজব। েকননা এ-ই ‘িনঃশতর’ আেদেশর চািহদা।

আর কােরা কােরা মেত এিট িবলিমত ওয়ািজব। েকননা সমগ জীবনই হল এিট আদায় করার সময়। এ কারেণই
আদােয় তিটর পর িনসাব িবিনষ হেয় েগেল তার উপর আদােয়র িযমাদারী থােক না।

অপাপ বয়স বালক ও িবকৃত মিসষ বযািকর উপর যাকাত ওয়ািজব নয়।

ইমাম শািফঈ (র.) িভনমত েপাষণ কেরন। িতিন বেলন, যাকাত হল আিথরক দায়-দািয়ত। সুতরাং এটা অনযানয
আিথরক দায়-দািয়েতর সমতুলয। েযমন সীেদর ভরণ েপাষন। আর এিট উশর ও িখরােজর অনুরপ হেয় যায় (যা
বাচা ও পাগেলর মাল েথেকও েনয়া হয়)।

আমােদর যুিক এই েয, যাকাত হল ইবাদত। সুতরাং স-ইচা ছাড়া তা আদায় হেব না, যােত ‘পরীকা’ এর
িদকিট সাবযস হেত পাের। আর ‘আকল’ না থাকার কারেণ এ দ’জেনর ‘স-ইচা’ বলেত িকছু েনই।

‘খারাজ’ এর িবপরীত। েকননা খারাজ হল ভূিম কর। জিমর আিথরক ‘দায়’ তদপ উশেরর েকেত ‘আিথরক দায়’
এর একিটই পধান। পকানের ‘ইবাদত’ এর িদকিট আনুসিঙক।

পাগল যিদ বছেরর েকান অংেশ সুসতয লাভ কের তেব েসটা েরাযার েকেত মােসর েকান অংেশ সুূূ
্ সতা
ল াভ
করার সমতুলয হেব।

148
ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত বছেরর অিধকাংশ সময় ধতরবয। আর পাগেলর েবলায় সায়ী েকান পাথরকয
েনই।

আর ইমাম আবূ হানীফা (র.) েথেক বিণরত আেছ েয, নাবালক যিদ পাগল অবসায় বােলগ হয় তেব সুসতা লােভর
সময় েথেক বছর পূণর হওয়া িবেবচনা করা হেব। েযমন নাবালেগর জনয সাবালক হওয়ার সময় েথেক।

‘মুকাতাব’ এর উপর যাকাত েনই। েকননা েস পূণরভােব মােলর মািলক নয়। কারণ তার মধযয মািলকানার
পিরপিন দাসত িবদযমান। এ কারেনই েস আপন েগালামেক আযাদ করার অিধকারী নয়।

যার উপর তার সমদেক েবষনকারী ৠণ রেয়েছ, তার উপর যাকাত েনই।

ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, যাকাত ওয়ািজব হেব। েযেহতু যাকােতর সব িবদযমান রেয়েছ। আর তা হল পূণর
িনসােবর মািলক হওয়া।

আমােদর দলীল এ্ই েয, তার মাল তার েমৌিলক পেয়াজেন দায়বদ। সুতরাং েসটােক অিসতহীন গণয করা হেব।
েযমন িপপাসা িনবৃিতর জনয রিকত পািন এবং বযবহািরক ও কতরবয সমাদেনর কাপড়।

যিদ তার সমদ ৠণ েথেক অিধক হয় তেব উদৃত অংশ িনসাব পিরমাণ হেল তার যাকাত িদেব। েকননা তা
পেয়াজন মুক। আর ৠণ দারা উেদশয এমন ৠণ, মানুেষর পক েথেক যার তাগাদাকারী রেয়েছ। সুতরাং মানত ও
কাফ‌ফারার ৠণ যাকাতেক বাধা িদেব না। আর যাকােতর ৠণ িনসাব িবদযমান থাকা অবসায় যাকাতেক বাধা
েদয়। েকননা ঐ ৠেণর কারেণ িনসাব কেম যােব। তদপ মাল নষ করার পরও একই হকুম।

উভয় েকেত যুফার (র.) এর িভনমত রেয়েছ। আর কিথত বণনা মেত িদতীয় েকেত ইমাম আবূ ইউসূফ (র.)
এর িভনমত রেয়েছ। েকননা আমােদর দলীল হল (মানুেষর পক হেত) এই মােলর তাগাদাকারী রেয়েছ। গবািদ
পশর েকেত তাগাদাকারী হেলন শাসনকতরা। পকানের বযবসা দেবযর েকেত তাগাদাকারী হেলন শাসনকতরার
নােয়ব। েকননা মািলকগণ তার পেক নােয়ব িবেবিচত হেয় থােকন।

বসবােসর ঘের, বযবহােরর কাপড় েচাপড়, ঘেরর আসবাবপেত, সওয়ািরর পশর েকেত, িখদমেতর েগালামেদর েকেত
এবং বযবহােরর অসািদর েকেত যাকাত েনই। েকননা তা েমৌিলক পেয়াজেন বযবহত । তাছাড়া তা ‘বধরন-গণ’
সমন নয়। জানেসবীেদর জানচরায় বযবহত িকতাবািদ এবং েপশাদার েলাকেদর উপকরণািদ সমেকরও একই
হকুম। এই কারেণ যা আমরা (এইমাত) বেলিছ।

যার অনয কােরা উপর েকান ৠণ রেয়েছ, িকন েস কেয়ক বছর ধের তা অসীকার কের এেসেছ, অতঃপর
ৠণসংকান পমাণ তার হােত এল, তখন েস উক মােলর িবগত বছরগেলার যাকাত পদান করেব না।

এর অথর এই েয, ৠণ গহীতা মানুেষর িনকট সীকােরািকর করার কারেণ তার পেক পমাণ সাবযস হেয় েগেছ, এটা
‘মােল িযমার’ এর মাসআলার অনভূূূূ
র্ ্ক । এ িবষেয় ইমাম যুফার ও ইমাম শািফঈ (র.) এর
িভনমত রেয়েছ।

149
হািরেয় যাওয়া মাল, পলাতক বা পথহারা েগালাম, িছিনেয় েনওয়া মাল, যার পেক েকান পমাণ েনই, সমুদ
(অথরাত অৈথ পািনেত) পেড় যাওয়া মাল, েখালা মােঠ পুেত রাখা মাল, যার সান এখন মেন েনই এবং শাসক েয
মাল বােজয়াপ কেরেছন-এ সবই ‘মােল িযমােরর’ অনভূরক।

পলাতক, পথহারা ও িছিনেয় েনওয়া েগালােমর পক েথেক সাদকাতুল িফত‌র ওয়ািজব হওয়ার িবষেয়র বযাপােরও
অনুরপ মতেভদ রেয়েছ।

ইমাম যুফার (র.) ও শািফঈ (র.) এর দলীল এই েয, (যাকাত ওয়ািজব হওয়ার) কারণ, িবদযমান। আর
হসচুযত হওয়া (যাকাত) ওয়ািজব হওয়ার েকেত পিতবনক নয়। েযমন, মুসািফেরর (বাড়ীেত রিকত) মাল।

আমােদর দলীল হল আলী (রা.) এর বাণী – মােল িযমােরর উপর যাকাত েনই। তাছাড়া (যাকাত ওয়ািজব
হওয়ার কারণ) হল বধরন-গণ সমন মাল। আর হসেকপ ও পিরচালনার সকমতা ছাড়া বধরন সমব নয়। আর
উপিসত েকেত তার সকমতা েনই। পকানের মুসািফর তার সলবতরীর মাধযেম পিরচালনা করেত সকম। (সুতরাং
এর উপর েসগেলােক িকয়াস করা িঠক নয়)।

ঘের পুেত রাখা মাল িনসােবর মেধয গণয হেব। েকননা তা হসগত করা সহজ। আর জিমেত বা বাগােন পুেত রাখা
মাল সমেকর (যিদ সান ভূেল যায়) তেব মাশােয়খগেণর মতেভদ রেয়েছ।

ৠেণর কথা সীকার কের এমন েকান েলােকর িনকট যিদ ৠণ থােক, তেব েস সচল েহাক িকংবা অসচল, ঐ
মােলর উপর যাকাত ওয়ািজব হেব। েকননা (সচেলর েকেত) সরাসির িকংবা (অসচেলর েকেত উপাজরেনর পর)
উক ৠণ উদার করা সমব।

তদপ (যাকাত ওয়ািজব হেব) যিদ ৠণ এমন অসীকারকারী বযিকর িনকট থােক যার অনকূেল পমাণ রেয়েছ িকংবা
কাযী েস িবষেয় অবগত থােকন। কারণ আমরা আেগই উেলক কেরিছ।

ৠণ যিদ এমন বযিকর িনকট থােক, যােক েদউিলয়া করা হেয়েছ আর েস ৠেণর কথা সীকার কের, তখন ইমাম
আবূ হানীফা (র.) এর মেত উক মাল িনসাব রেপ গণয হেব। েকননা, তার মেত কাযীর পক েথেক েদউিলয়া
েঘাষণা করা শদ নয়।

পকানের, ইমাম মুহামদ (র.) এর মেত যাকাত ওয়ািজব হেব না। েকননা েদউিলয়া েঘাষণা করা দারা তার মেত
েদউিলয়াত সাবযস হেয় যায়।

ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) েদউিলয়াত সাবযস হওয়ার বযাপাের মুহামদ (র.) এর সােথ একমত। পকানের গরীব
েলাকেদর পিত সুিবেবচনার লেকয যাকােতর হকুম সাবযস করার বযাপাের িতিন ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর সেঙ
একমত।

েকউ বযবসার উেদেশয দাসী খিরদ করেল, তারপর তােক িখদমেত িনেয়ািজত করার িনয়যত করেল, তাহেল ঐ দাসী
েথেক যাকাত রিহত হেয় যােব। েকননা, িনয়যত কেমরর সংেগ যুক হেয়েছ। অথরাত বযবসা বজরন করা।

150
আর যিদ পুনরায় বযবসায় িনয়যত কের তেব তােক িবিক করার পূবর পযরন তা বযবসােয়র জনয বেল িবেবিচত হেব
না। সুতরাং (িবিকর পের) তার মূেলযর উপর যাকাত ওয়ািজব হেব। েকননা, এখােন িনয়যত কেমরর সংেগ যুক
হয়িন। কারণ েস েতা (এখনও) বযবসা কেরিন। সুতরাং িনয়যত গহণেযাগয হেব না। এ কারেণই েতা মুসািফর
শধু িনয়যেতর দারাই মুকীম হেয় যায়। িকন মুকীম সফর ছাড়া শধু িনয়যত দারা মুসািফর হয় না।

যিদ েকান িজিনস খিরদ কের আর বযবসার িনয়যত কের তেব েসটা বযবসার জনযই গণয হেব । েকননা, িনয়যত
কেমরর সংেগ যুক হেয়েছ। পকানের যিদ উতরািধকার সূেত পাপ হয় এবং বযবসার িনয়যত কের, তা হেল বযবসার
জনয গণয হেব না। েকননা তার পেক েথেক েকান কমর পাওূূ্ রয়া
য ায় িন।

আর যিদ দােনর মাধযেম, ওসীয়েতর মাধযেম, িববােহর মাধযেম, ‘েখালা’ এর মাধযেম অথবা িকয়ােসর উপর সিনর
মাধযেম বসিটর মািলক হয় এবং েসটােক বযবসার জনয িনয়যত কের, তেব ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত তা
বযবসার জনয হেয় যােব। েকননা িনয়যতিট কেমরর সংেগ যুক হেয়েছ।

আর ইমাম মুহামদ (র.) এর মেত তা বযবসার মধয গণয হেব না। েকননা িনয়যতিট ‘বযবসা কেমরর’ সংেগ যুক
হয়িন। কােরা কােরা মেত মতেভদিট এর িবপরীত।

যাকাত আদায় করার সংেগ যুক িনয়যত িকংবা যাকাত পিরমাণ অথর আলাদা করার সংেগ িনয়যত ছাড়া আদায় করা
সহীহ‌ হেব না। েকননা যাকাত একিট ইবাদত। সুতরাং তার জনয িনয়যত শতর হেব। আর িনয়যেতর েকেত আসল
হল কেমরর সংেগ যুক হওয়া। তেব েযেহতু ‘যাকাত পদান’ (সাধারণত) িবিভন সমেয় হেয় থােক। তাই
সহজতার লেকয যাকােতর অথর আলাদা করার সময় িনয়যেতর উপিসিতই যেথষ। েযমন িসয়ােমর েকেত িনয়যতেক
অগবতরী করার িবষয়িট।

েয বযিক যাকােতর িনয়যত বযতীত সমস মাল দান কের েফেল, তার যাকােতর ফরয আদায় হেয় যােব।

এটা হল সূক িকয়ােসর িভিতেত। েকননা তার উপর ওয়ািজব িছল মােলর একটা অংশ দান করা। সুতরাং সমগ
মােলর মােঝই তা িনধরািরত আেছ। অতএব িনধরারণ করার পেয়াজন েনই।

যিদ আংিশক িনসাব দান কের থােক তেব দানকৃত অংেশর যাকাত রিহত হেয় যােব । এিট মুহামদ (র.) এর
মত। েকননা ওয়ািজব অংশিট সমগ মােলর মােঝ িবসৃত রেয়েছ। পকানের ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত
তা রিহত হেব না। েকননা অবিশষ মাল ওয়ািজব যাকােতর েকত হেত পারার কারেণ দানকৃত অংশ িনধরািরত
হয়িন। পথম সুরতিট এর িবপরীত। িনভুরল িবষয় আলাহ‌ই অিধক জাত।

পথম অনুেচদ
গবািদ পশর যাকাত

151
পিরেচদ উেটর যাকাত
ইমাম কুদরূ ী (র.) বেলন, পাচিট উেটর কেম যাকাত ওয়ািজব নয়। যখন মুক মােঠ িবচরণকারী উেটর সংখযা
পাচিট হয়, এবং তার উপর এক বছর অিতকান হয় তখন পযরন উেটর েকেত একিট বকির ওয়ািজব হেব। যখন
উেটর সংখযা দশ হেব তখন েচৌূূ ্ দপ যরন তােত দ’িট বকরী ওয়ািজব হেব। যখন উেটর সংখযা িবশিট হেব
তখন উিনশ পযরন তােত িতনিট বকরী ওয়ািজব হেব। যখন উেটর সংখযা িবশিট হেব তখন চিবশিট পযরন তােত
চারিট বকরী ওয়ািজব হেব। যখন উেটর সংখযা পিচেশ উপনীত হেব তখন পয়িতশ পযরন তােত একিট ‘িবনেত
মাখায’ অথরাত িদতীয় বেষর পদাপরনকারী উটনী ওয়ািজব হেব। যখন উেটর সংখযা ছয়িতশ হেব তখন পয়তািলশ
পযরন তােত একিট ‘িবনেত লাবূন’ অথরাত তৃতীয় বেষর পদাপরণকারী উটনী ওয়ািজব হেব। যখন উেটর সংখযা
ছয়চিলশ হেব তখন ষাট পযরন তােত একিট িহকা অথরাত চতুথর বেষর পদাপরণকারী উটনী ওয়ািজব হেব। যখন উেটর
সংখযা একষিটেত উপনীত হেব তখন পচাতর পযরন তােত একিট জাযা’আ অথরাত পঞম বেষর পদাপরণকারী উটনী
ওয়ািজব হেব। যখন উেটর সংখযা িছয়াতরিট হেব তখন নবই পযরন তােত দ’িট ‘িবনেত লাবূন’ ওয়ািজব হেব।
যখন উেটর সংখযা একানবইেয় উপনীত হেব তখন একশ’ িবশ পযরন তােত দ’িট ‘িহকা’ ওয়ািজব হেব।
রাসূলুলাহ (সা.) েথেক যাকাত সংকান ফরমানসমূহ এভােবই খযািত লাভ কেরেছ।

অতঃপর যখন উেটর সংখযা একশ িবেশর অিধক হেব তখন (িনসােবর) ‘িবধান’ নতুন কের শর হেব। অথরাত
পাচিট উেট দই িহকা সহ একিট বকরী ওয়ািজব হেব। এবং দশিটেত দ’িট বকরী এবং পেনরিটেত িতনিট বকরী
এবং িবশিটেত চারিট বকরী ওয়ািজব হেব। এবং পিচশ েথেক একশ পঞাশ পযরন একিট ‘িবনেত মাখায’ ওয়ািজব
হেব। একশ’ পঞােশ িগেয় িতনিট িহকা ওয়ািজব হেব। অতঃপর িনসােবর িবধােনর পুনরাবৃিত হেব। অথরাত
পাচিটেত একিট বকরী এবং দশিটেত দইিট বকরী এবং পেনরিটেত িতনিট বকরী এবং িবশিটেত চারিট বকরী আর
পাচিটেত একিট িবনেত মাখায এবং ছিতশিটেত একিট ‘িবনেত লাবূন’ এবং যখন উট একশ’ িছয়ানবইিটেত
উপনীত হেব তখন দ’শ পযরন চারিট িহকা ওয়ািজব হেব। অতঃপর একশ’ পঞােশর পরবতরী েযভােব পুনরাবৃিত
হেয়েছ, অনুরপ িবধােনর পুনরাবৃিত হেব।

এ হল আমােদর মাযহাব। আর ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, একশ’ িবেশর উপর যখন একিট অিতিরক হেব তখন
তােত িতনিট িবনেত লাবূন ওয়ািজব হেব। যখন উট একশ’ িতশিট হেব তখন তােত একিট িহকা ও দইিট িবনেত
লাবূন ওয়ািজব হেব। অতঃপর চিলশ ও পঞােশর মােঝ িহসাব আবিতরত হেত থাকেব। অথরাত চিলেশ একিট
িবনেত লাবূন এবং পিত পঞােশ একিট িহকা ওয়ািজব হেত থাকেব।

েকননা বিণরত আেছ েয, নবী (সা.) এ মেমর ফরমান জাির কেরিছেলন েয, উেটর সংখযা যখন একশ’ িবেশষ
অিধক হেব তখন পিত পঞােশ একিট িহকা এবং পিত চিলেশ একিট িবনেত লাবূন ওয়ািজব হেব।

উক ফরমােন িবনেত লাবূেনর িনমবতরী িবধান পুনঃআেরাপ করার শতর উেলখ করা হয়িন।

আমােদর দলীল এই েয, আমর ইব‌ন হাযেমর পেত রাসূলূলাহ (সা.) উপেরাক বকেবযর েশেষ কথাও িলেখেছন-
এর েচেয় কম যা হেব, তােত পিত পাচিটেত একিট বকরী ওয়ািজব হেব। সুতরাং এই অিতিরক অংশ টুকুর
উপরও আমল করেত হেব।
152
(যাকােতর েকেত) অনারব ও আরব উট একই রকম। েকননা সাধারণ শেব উভয় পকারই অনভূরক। িবশদ
িবষয় আলাহ‌ই অিধক জাত।

পিরেচদ গরর যাকাত


গরর েকেত িতেশর নীেচ েকান যাকাত েনই। সুতরাং গরর সংখযা যখন মুক মােঠ িবচরণকারী গর িতশ হেব
এবং েসগেলার উপর এক বছর অিতকান হেব, তখন তােত একিট তাবী বা তাবী’আ অথরাত িদতীয় বছের
পদাপরনকারী নর বা মাদী বাছুর ওয়ািজব হেব। এবং চিলশিটেত একিট ‘মুিসন’ বা ‘মুিসনা’ অথরাত তৃতীয় বছের
পদাপরনকারী নয় নর বা মাদী বাছুর ওয়ািজব হেব। রাসূলুলাহ (সা.) মু’আয (রা.) েক এরপই আেদশ
কেরিছেলন।

যখন গরর সংখযা চিলেশর অিধক হেব তখন ষাট পযরন অিতিরক সংখযাগেলােত েসই পিরমাণ ওয়ািজব হেব।

এিট আবূ হানীফা (রা.) এর মত। সুতরাং অিতিরক একিটেত একিট মুিসনা এর চিলশ ভােগর একভাগ এবং
দ’িটেত চিলশ ভােগর দইভাগ এবং িতনিটেত একিট মুিসনা এর চিলশ ভােগর িতন ভাগ ওয়ািজব হেব। এটা হল
(মবসূেতর িকতােবর) বণরনা।

েকননা (মধযবতরী সংখযার েকেত) যাকাত মা’ফ হওয়া িকয়ােসর িবপরীেত নাস (শরীআেতর বাণী) দারা সাবযস
হেয়েছ। আর এেকেত েকান ‘নাস’ েনই। আর হাসান ইব‌ন িযয়াদ (র.) ইমাম আবূ হানীফা (র.) েথেক বণরনা
কেরন েয, পঞােশ েপৌছা পযরন অিতিরক সংখযায় িকছুই ওয়ািজব হেব না। অতঃপর তােত একিট ‘মুিসনা’ এবং
এক মুিসনা’ এর চতুথরাংশ িকংবা এক ‘তাবী’ এর তৃতীয়াংশ ওয়ািজব হেব।

েকননা এই (গরর যাকােতর) িনসােবর িভিত হল এই েয, পিত দ’িট দশেকর মােঝ ‘ছাড়’ রেয়েছ। এবং পিতিট
দশেক ওয়ািজব আেরািপত। ইমাম আবূ ইউসূফ ও ইমাম মুহামদ (র.) এর মেত ষাট উপনীত হওয়া পযরন
অিতিরক সংখযায় েকান িকছু ওয়ািজব েনই। এটাও ইমাম আবূ হানীফা (র.) েথেক বিণরত একিট িরওয়ায়াত।

েকননা রাসূলুলাহ (সা.) মু’আয (রা.) েক বেলেছন- গরর ‘মধযবতরী’ সংখযাগেলা েথেক িকছু গহণ কেরা না।
আিলমগণ ‘মধযবতরী’ সংখযার বযাখযা কেরেছন চিলশ ও ষােটর মধযবতরী দারা।

আমােদর বকবয এই েয, এমনও বলা হেয়েছ েয, অিতিরক সংখযা দারা উেদশয হেলা গরর বাছুর সমূহ।

অতঃপর ষাটিট গরর েকেত দইিট তাবী িকংবা তাবী’আ এবং সতেরর েকেত একিপ মুিসনা ও একিট তাবী, এবং
আিশিটর েকেত দিট মুিসনা এবং নবইিটর েকেত িতনিট তাবী এবং একশিটর েকেত দ’িট তাবী ও একিট মুিসনা
ওয়ািজব হেব।

153
অনুরপভােব পিত দেশ িবধান তাবী েথেক মুিসনা েত এবং মুিসনা েথেক তাবী এ রপানিরত হেব। েকননা
রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- পিত িতশিট গরেত একিট তাবী িকংবা তাবী’আ এবং পিত চিলশিট গরেত একিট
মুিসন িকংবা ওয়ািজব হেব।

মিহষ ও গর (যাকােতর হকুেমর েকেত) সমান। েকননা শবিট উভয়েক অনভূরক কের। কারণ তা এরই েশণী
িবেশষ। তেব আমােদর েদেশ সংখযালতার কারেণ মানুেষর িচনা শব দারা েসিদেক ধািবত হয় না। এ কারেণই
েকউ যিদ কসম কের েয, গরর েগাশত খােব না তেব মিহেষর েগাশত েখেল কসম ভংগ হেব না। আলাহ‌ই
অিধক জাত।

পিরেচদ বকরীর যাকাত


মুক মােঠ খাদয সংগহকারী বকরী চিলেশর নীেচ হেল তার যাকাত েনই। যখন মােঠ িবচরণকারী সংখযা চিলশ হয়
এবং েসগেলার উপর এক বছর অিতকান হয়, তখন তােত একশ’ িবশ পযরন একিট বকরী ওয়ািজব। যখন
সংখযা একিট বাড়েব তখন দ’শ পযরন দ’িট বকরী ওয়ািজব। অতঃপর যখন সংখযা একিট বাড়েব তখন িতনশ’
পযরন তােত িতনিট বকরী ওয়ািজব। যখন সংখযা চারশ’ হেব তখন তােত চারিট বকরী ওয়ািজব। অতঃপর পিত
একশেত একিট বকরী ওয়ািজব।

রাসূলুলাহ (সা.) এর ফরমােন অতঃপর আবূ বকর (রা.) এর ফরমােন এরপ িববরণই এেসেছ। আর এর উপর
উমােতর ইজমা অনুিষত হেয়েছ। েভড়া ও ছাগল (িনসােবর েকেত) সমান। েকননা, শবিট সবগেলােক
অনভূরক কের। আর ‘নাস’ বা শরীআেতর বাণীেত শবিট এেসেছ।

বকরীর যাকােত ‘ছানী’ (পূণর এক বছেরর) গহণ করা হেব। েভড়ার েকেত ‘জাযা’ গহণ করা হেব না। তেব
ইমাম আবূ হানীফা (র.) হেত হাসান ইব‌ন িযয়াদ বিণরত িরওয়ায়াত মেত গহণ করা হেব। বকীর মেধয ‘ছানী’
বলা হয়, যার এক বছর পূণর হেয় েগেছ। আর ‘জাযা’ বলা হয় যার বয়স ছ’মােসর উপের হেয়েছ।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) েথেক বিণরত আেছ এবং সােহবাইেনরও এ মত েয, ‘জাযা’ গহণ করা হেব। েকননা
রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- আমােদর হক হল ‘জাযা’ ও ছানী’ । তা ছাড়া জাযার দারা কুরবানী আদায় হেয়
যায়। সুতরাং যাকাতও আদায় হেব।

জােহরী বণরনার পমাণ হল আলী (রা.) েথেক মাওকুফ ও মারফূ রেপ বিণরত িনেমাক হাদীছ- যাকােতর েকেত এক
বছেরর এবং তদেধররই শধু গহণ করা হেব।

তাছাড়া যাকােতর েকেত ওয়ািজব হল মাঝাির, ‘জাযা’ েতা েছাটর মেধযই গণয। এ কারেণই েতা ‘জাযা’
ছাগেলর মধয েথেক জাইয হয় না। তেব ‘জাযা’ দারা কুরবানী জাইয হওয়ার িবষয়িট ‘নাস’ দারা জানা েগেছ।

আর উপের বিণরত হাদীেছ এর েয কথা বলা হেয়েছ, েসটা দারা কুরবানী জাইয হওয়ার িবষয়িট ‘নাস’ দারা জানা
েগেছ।
154
আর উপের বিণরত হাদীেছ এর েয কথা বলা হেয়েছ, েসটা দারা উেদশয হল উেটর ‘জাযা’।

বকরীর যাকােতর েকেত নর ও মাদী উভয় পকারই গহণ করা হেব। েকননা শবিট উভয়েক অনভূরক কের। আর
রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- চিলশিট ছাগেল একিট ছাগল। আলাহ‌ই অিধক জােনন।

পিরেচদ েঘাড়ার যাকাত


েঘাড়া যিদ মুক মােঠ িবচরণকারী হয় এবং নর ও মাদী উভয় পকার িমিশত থােক তেব েঘাড়ার মািলেকর
ইখিতয়ার। িতিন ইচা করেল েঘাড়া পিত এক দীনার পদান করেবন িকংবা েঘাড়াগেলার মূলয িনধরারণ কের পিত
দ’শ িদরহাম েথেক পাচ িদরহাম পদান করেবন।

ইহা ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মত। যুফার (র.) ও এ মত েপাষণ কেরন।

সােহবাইন বেলন, েঘাড়ার েকান যাকাত েনই। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- িনজ েগালােমর েকেত এবং
িনজ অেশর েকেত মুসলমানেদর উপর েকান যাকাত েনই।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর দলীল হল রাসূলুলাহ (সা.) এর বাণী- মুকভােব িবচরণকারী পিতিট েঘাড়ায় এক
দীনার িকংবা দশ িদরহাম ওয়ািজব হেব।

সােহবাইন েয হাদীছ বণরনা কেরেছন,তার উেদশয হল মুজািহেদর বযবহত েঘাড়া।

যায়দ ইব‌ন সািবত(রা.) েথেক এ বযাখযা বিণরত হেয়েছ। এক দীনার পদান িকংবা মূলয িনধরারণ করার মােঝ ইচা
পদােনর িবষয়িট উমর(রা.) েথেক বিণরত।

আলাদা পুরষ অেশর েকেত যাকাত েনই। েকননা তার বংশ বৃিদ হয় না।

(েসরপ আলাদা সী অেশর েকেতও যাকাত েনই) এটা এক বণরনা মুতািবক। ইমাম দারা তার বংশবৃিদেত হেত
পাের। িকন পুরষ অেশর িবষয়িট এর িবপরীত।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) েথেক অনয বণরনা অনুযায়ী আলাদা পুরষ অেশর েকেতও যাকাত ওয়ািজব।

খচর ও গদরেভর েকেত েকান যাকাত েনই। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- এ দ’িট সমেকর আমার উপর
েকান িবধান নািযল হয়িন।

আর যাকােতর ‘পিরমাণ’সমূহ সাবযস হয়। [শাের’আ) এর িনকট েথেক] শবেণর মাধযেম। তেব যিদ েসগেলা
বযবসার জনয হয় (তখন যাকাত ওয়ািজব হেব)। েকননা, তখন যাকাত সমিকরত হেব মূেলযর িদক েথেক, েযমন
অনযানয বযবসায়ী সমেদর েকেত।

155
পিরেচদঃ েয সব পশর েকেত যাকাত েনই।
উট-শাবক, েগা-শাবক ও েমষ-শাবেকর েকেত যাকােত েনই।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মেত। তেব যিদ েসগেলার সংেগ বয়সও থােক (তখন েসগেলা অনুবতরী িহসােব
শাবকগেলার উপরও যাকাত ওয়ািজব হেব।) এ ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর সবরেশষ মত। এবং এ-ই ইমাম
মুহামদ (র.) এর মত।

পথেম িতিন বলেতন েয, বয়সেদর উপর যা ওয়ািজব হয়, েছাটগেলার উপরও তাই ওয়ািজব হেব। এ-ই হেলা
ইমাম যুফার ও ইমাম মািলেকর মাযহাব। এরপর এ মত পতযাহার কের িতিন বেলেছন েয, শাবকগেলার মধয
েথেক তােদরই একিট ওয়ািজব হেব। এটা ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর সবরেশষ মত।

আর ইমাম আবূ ইউসূফ ও ইমাম শািফঈ (র.) এরও এ মত।

তার পথম মতামেতর দলীল এই েয, (শরীআেতর) িনেদরশ উেলিখত নাম েছাট ও বড় উভয়েক অনভূরক কের।

িদতীয় মেতর দলীল হল উভয় পেকর পিত সুিবেবচনা িনিশত করা। েযমন শধু শীণর পশর েকেত তা েথেক একিট
ওয়ািজব হয়।

েশষ মেতর দলীল এই েয, পিরমাণসমূহ িনধরারেণর েকেত িকয়াস বযবহার হেত পাের না। সুতরাং শরীআত
পবিতরত পিরমাণ ওয়ািজব করা যখন সমব নয়, তখন সমূণর রিহত হেয় যােব। িকন েছাটগেলার সংেগ একিটও
যিদ বয়স থােক তেব িনসাব পূণর হওয়ার েকেত সবগেলােক বয়সিটর অনুবতরী ধরা হেব। িকন যাকাত আদােয়র
েকেত অনুবতরী ধরা হেব না(বরং বয়সই আদায় করেত হেব।)

আর ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত েমষ-শাবেকর েকেত চিলশিটর নীেচ এবং েগা-শাবেকর েকেত িতশিটর
নীেচ যাকাত ওয়ািজব হেব না। আর উট-শাবেকর েকেত পিচশিটর জনয ওয়ািজব হেব। অতঃপর আর িকছু
ওয়ািজব হেব না যতকণ না ঐ সংখযায় উপনীত হয়, েযখােন বয়স উেটর েকেত ওয়ািজব দইিট হয়। অতঃপর
আর িকছু ওয়ািজব হেব না যতকণ না ঐ সংখযায় উপনীত হয় েযখােন বয়স উেটর েকূূ্ ের
ও য়ািজব িতনিট
হয়।

এক বণরনা মুতািবক পিচেশর নীেচ যাকাত ওয়ািজব হেব না। িকন তার পক েথেক অনয একিট বণরনা মেত
পিচশিটেত একিট শাবেকর পঞমাংশ এবং দশিটেত দই-পঞমাংশ এবং পরবতরী পিত পােচ এই িহসােব ওয়ািজব
হেব।

তার পক েথেক আেরকিট বণরনা এই েয, পাচিট শাবেকর েকেত এক শাবেকর মূেলযর পঞমাংশ এবং একিট মধযম
বকরীর মূলয িবচার করা হেব। এবং উভেয়র মেধয িনমতর মূলযিট ওয়ািজব হেব। তদপ দশিটর েকেত দ’িট
বকরীর মূলয এবং একিট উট শাবেকর দই-পঞমাংেশর মূলয িবচার করা হেব। পরবতরী েকেত এই িহসােব চলেব।

156
ইমাম কুদরূ ী বেলন- যার উপর িবেশষ বয়েসর েকান উট ওয়ািজব হেয়েছ, িকন তা পাওয়া েগল না, তখন
যাকাত উশলকারী তা েথেক েবশী বয়েসরিট গহণ করেব এবং অিতিরক মূলয েফরত িদেব। িকংবা তার েচেয় কম
বয়েসরিট গহণ করেব এবং অিতিরক মূলযও উশল কের িনেব।

এ মাসআ িভিত এই েয, আমােদর িনকট যাকােতর েকেত মূলয গহণ জাইয রেয়েছ। িবষয়িট সামেন
ইনশা’আলাহ‌ আেলাচনা করেবা। তেব পথম সূরেত যাকাত সংগহকারীর অিধকার রেয়েছ উচতর পশ গহণ না
কের েয পশ ওয়ািজব হেয়েছ, হবহ েসটা িকংবা তার মূলয দাবী করার। েকননা এটা মূলতঃ কয়।

আর িদতীয় েকেত যাকাত সংগহকারীেক (িনমতর পশ গহেণ) বাধয করা হেব। েকননা,এখােন (কয় ও) িবকয়
েনই বরং এটা হল মূলয দারা যাকাত পদান।

আমােদর মেত যাকােতর েকেত মূলয পদান করা জাইয। কাফ‌ফারাসমূহ এবং সাদকাতুল িফতর, উশর ও নযেরর
েকেত একই হকুম।

ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, ‘নাস’ এর অনুসরণ কেল মূলয পদান জাইয নয়। েযমন হেজর হাদীছ ও কুরবাণীর
পশর েকেত।

আমােদর দলীল এই েয, যাকাত দিরদেক পদােনর আেদশ দােনর উেদশয হল তার িনকট পিতশত িরিযক
েপৌছােনা। সুতরাং এ িবষয়িট (নাস-এ বিণরত) বকরীর শতরেক বািতল কের েদয়। তাই এটা ‘িজযয়া’ এর মত।

হাদী (ও কুরবানীর ) িবষয়িট এর িবপরীত। েকননা, েসখােন রক পবািহত করাই হল ইবাদত। আর তা


যিকিনভরর নয়। (সুতরাং এ েকেত ‘নাস’ এর গিনেত আবদ থাকা অপিরহাযর)। পকানের িবেরাধপূণর েকেত
ইবাদেতর িদক হল অভাবগস বযিকর পেয়াজন িমটােনা। আর এটা হল যুিকসঙত।

কােজ িনেয়ািজত ভারবহেন িনযুক এবং সংগৃহীত খােদয পিতপািলত পশর উপর যাকাত েনই।

(এ িবষেয়) ইমাম মািলক (র.) এর িভন মত রেয়েছ। তার দলীল হল পকাশয ‘নাস’সমূহ।

আমােদর দলীল হল রাসূললু াহ (সা.) এর বাণী- ভার বহেন এবং কােজ িনযুক পশর েকেত এবং চাষাবােদ িনযুক
গরর েকেত যাকাত েনই।

তাছাড়া যাকাত ওয়ািজব হওয়ার কারণ হল বধরনশীল সমদ। আর বধরনশীলতার পমাণ হল মুক মােঠ চিরেয়
পািলত িকংবা বযবসায় খাটােনা। এখােন এর েকানিটই পাওয়া যায়িন।

তাছাড়া সংগৃহীত খােদয পিতপালেনর েকেত বযয় বিধরত হয়। ফেল পকৃতপেক সমেদর ‘বধরনশীলতা’ েলাপ
পায়। চরণ শীল অথর ঐ সকল পশ, যারা বছেরর অিধকাংশ সময় মােঠ চের খায়। সুতরাং যিদ মািলক অেধরক
বছের িকংবা তার েবশী সময় পশপালেক সংগৃহীত খাদয খাওয়ায় তা হেল েসটা (সংগৃহীত খােদয পিতপািলত) বেল
গণয হেব। েকননা অল অিধেকর অনুবতরী বেল গণয হয়।

157
যাকাত সংগহকারী উতকৃষ সমদ গহণ করেব না আর িনকৃষ সমদ গহণ করেব না, বরং মধযম মােনর গহণ
করেব। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- েলাকেদর উতকৃষ মাল েথেক গহণ কেরা না; বরং তােদর মধযম মাল
েথেক গহণ কর। আর এ জনয েয, তােত উভয় পেকর পিত সুিবেবচনা রেয়েছ।

ইমাম কুদূরী বেলন, েয বযিক িনসােবর অিধকারী হয় এবং বছেরর মােঝ একই জাতীয় মাল লাভ কের, েস উক
পূবরবতরী িনসােবর সংেগ যুক করেব এবং উহার সােথ তারও যাকাত আদায় করেব।

ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, যুক করা হেব না। েকননা, মািলকানা সেতর িদক িদক েথেক তা সয়ংসমূণর।
সুতরাং ততসমৃক িবধােনর েকেতও তা সতন হেব। অিজরত মুনাফা এবং ভূিমষ বাচার িবষয়িট এর িবপরীত,
েকননা তা মািলকানার েকেত (পুবরবতরী সমেদর) অনুবতরী। তাই মূল সমেদর মািলকানায়ই এর মািলকানা সাবযস
হয়।

আমােদর দলীল এই েয, বাচা ও মুনাফা যুক করার কারণ কম সমজািত হওয়া। েকননা, এ অবসায় পৃথকভােব
িচিহত করা কিঠন। সুতরাং পিতিট অিজরত সমেদর জনয আলাদা বষর গণনা করা কষকর হেব। অথচ সহজ
করার জনযই বষরপূিতরর শতর আেরাপ করা হেয়িছল।

গনকার বেলন , ইমাম আবূ হানীফা ও ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত যাকাত আেরািপত হয় িনসােবর উপর,
(সেরর পর) বাড়িত অংেশর উপর নয়।

আর ইমাম মুহামদ ও ইমাম যুফার (র) বেলন, িনসাব ও বাড়িত উভয় অংেশর উপর যাকাত আেরািপত হয়।
সুতরাং যিদ সেরর পর বাড়িত অংশ নষ হেয় যায় আর িনসাব অকত েথেক যায় তেব ইমাম আবূ হানীফা ও ইমাম
ইউসূফ (র.) এর মেত ওয়ািজব পুেরাপুির েথেক যােব। আর ইমাম মুহামদ ও ইমাম যুফার (র.) এর মেত েয
পিরমাণ মাল হালাক হেয়েছ, ওয়ািজবও েসই অনুপােত রিহত হেয় যােব।

ইমাম মুহামদ ও ইমাম যুফার (র.) এর দলীল এই েয, যাকাত ওয়ািজব হেয়েছ সমদ রপ িনয়ামেতর েশাকর
িহসােব। সমগ সমদই িনয়ামত।

আর শায়খাইন (র.) এর দলীল হল, রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- পাচিট সায়মা উেটর েকেত একিট বকরী ওয়ািজব
হেব। বাড়িতর উপর িকছুই ওয়ািজব নয় সংখযা দেশ উপনীত হওয়া পযরন। পিতিট িনসােবর েকেতই িতিন
অনুরপ বেলেছন। িতিন বাড়িতর উপর ওয়ািজব হেব না বেলেছন।

তাছাড়া বাড়িত অংশিট হল িনসােবর অনুবতরী। সুতরাং নষ হওয়ার িবষয়িট পথেম বাড়িতর উপর পেযাজয হেব।
েযমন মুযারাবার মােলর মুনাফার উপর পেযাজয নয়।

এ কারেণই ইমাম আবূ হানীফা (র.) বেলন, সমেদর বাড়িত অংেশর পর হালাক হওয়ার িবষয়িট েশষ িনসােবর
িদেক েফরােনা হেব। এরপর ততসংলগ িনসােবর পিত; এভােব েশষ পযরন চলেব। েকননা পথম িনসাবই হল
মূল। তারপের যা িকছু বাড়েব, তা উক িনসােবর অনুবতরী হেব।

158
আর ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত পথেম বাড়িত অংেশর িদেক েফরােনা হেব। অতঃপর সামিগকভােব সমূণর
িনসােবর িদেক েফরােনা হেব।

িবেদাহীর যিদ খারাজ ও গবািদপশর যাকাত উশল কের িনেয় থােক তেব তােদর উপর িদতীয়বার যাকাত ধাযর করা
হেব না। েকননা শাসক তােদর রকা কেরনিন। আর রাজস উশেলর অিধকার হয় রকা করার িবিনমেয়।

তেব তােদর এই ফাতওয়া েদওয়া হেব েযন তারা যাকাত িনেজই পুনঃ আদায় কের, খারাজ নয়।

তেব এটা শধু তােদর ও আলাহ‌র মােঝর িবষয়। েকননা, িবেদাহীরা েযাদা িহসােব িবেদাহীেদর উপর খারাজ বযয়
হেত পাের। আর যাকাত বযেয়র েকত হল দিরদরা। আর িবেদাহীগণ দিরদেদর মেধয যাকাত পদান করেব না।

তেব কােরা কােরা মেত যিদ তােদর পদােনর সময় তােদর উপরই সাদকা করার িনয়যত কের েনয় তাহেল তার উপর
েথেক যাকাত রিহত হেয় যােব। তদপ েয েকান যািলম হািকমেক পদত মােলর একই হকুম। েকননা তােদর
উপর (মানুেষর যত (আিথরক) হক ও দায় দািয়ত রেয়েছ, েসগেলার েপিকেত তারা পকৃতপেক দিরদ। তেব পথম
হকুম (অথরাত পুনঃআদায়) অিধক সতকরতাপূণ। র

বনী তাগিলব েগােতর িশশেদর ‘সায়মার’ উপর িকছুই ওয়ািজব নয়। তেব তােদর সীেলাকেদর উপর পুরষেদর
সমপিরমাণ ওয়ািজব হেব। েকননা (তােদর বযাপাের) এই সমেঝাতা হেয়েছ েয, মুসলমানেদর েথেক যা গহণ করা
হয়, তােদর িনকট েথেক তার িদগণ গহণ করা হেব। আর মুসলমানেদর সীেলাকেদর েথেক েতা যাকাত গহণ করা
হয়, িকন তােদর িশশেদর েথেক গহণ করা হয় না।

যাকাত ওয়ািজব হওয়ার পর যিদ মাল নষ হেয় যায় তেব যাকাত রিহত হেয় যােব।

ইমাম শািফঈ (র) বেলন, আদােয়র পর যিদ হালাক হেয় যায় তাহেল তার িযমায় যাকাত আদায় করা ওয়ািজব
হেব। েকননা যাকাত িযমার উপর ওয়ািজব। সুতরাং এটা সাদকাতুল িফতেরর মত হল।

তাছাড়া তলব করার পরও েস আদায় কেরিন। সুতরাং তা এমন হেয় েগল, েযন িনেজই মাল ধংস কেরেছ।

আমােদর দলীল এই েয, ওয়ািজব হল িনসােবর-ই একিট অংশ, সহজসাধয হওয়ার পিত িবেবচনা কের। সুতরাং
ওয়ািজেবর েকেত হওয়ার কারেণ ওয়ািজবও িবলুপ হেয় যােব। েযমন অপরাধকারী েগালাম মারা েগেল অপরােধর
কারেণ তােক সমপরণ করার দািয়ত রিহত হেয় যায়।

আর যাকােতর হকদার হল েসই দিরদ, যােক িনসােবর মািলক িনেজ িনবরাচন করেব। সুতরাং এখােন তা িনবরািচত
দিরদ েথেক তলব পাওয়া যায়িন।

যাকাত উশলকারীর তলব করার পের হালাক হেল েকান েকান মেত িযমায় ওয়ািজব হেব। আর েকান মেত িযমায়
ওয়ািজব থাকেব না, েকননা, েস িনেজ হালাক কেরিন।

আর েসচায় হালাক করার েকেত তার েথেক সীমালংঘন পাওয়া েগেছ। (সুতরাং শািস সরপ ওয়ািজেবর েকত
িবদযমান রেয়েছ বেল গণয করা হেব।)

159
আংিশক মাল হালাক হেল েসই অনুপােত যাকাত রিহত হেব। আংিশক-েক সমেয়র উপর িকয়াস কের।

যিদ িনসােবর মািলক হওয়া অবসায় বছর পূণর হওয়ার পূেবর যাকাত আদায় কের তাহেল তা জাইয হেব। েকননা,
ওয়ািজব হওয়ার কারণ তথা িনসাব িবদযমান হওয়ার পের েস যাকাত আদায় কেরেছ। সুতরাং তা জাইয হেব।
েযমন; (ভুলবশতঃ) জখম করার পরই কাফ‌ফারা িদেয় িদেল (আদায় হেয় যায়)।

এ িবষেয় ইমাম মািলক (র.) এর িভন মত রেয়েছ।

একািধক বছেরর যাকাত অিগম পদান করা জাইয আেছ। েকননা (যাকাত ওয়ািজব হওয়ার) কারণ (তথা িনসাব)
িবদযমান রেয়েছ।

যিদ তার মািলকানায় একিট িনসাব িবদযমান থােক তেব কেয়কিট িনসােবর যাকাতও পদান করেত পাের।

ইমাম যুফার (র.) িভন মত েপাষণ কেরন। আমােদর দলীল এই েয, সরব বা কারণ হওয়ার েকেত পথম িনসাবই
হল আসল। এর উপর অিতিরক হল তার অনুবতরী। আলাহ‌ই অিধক অবগত।

িদতীয় অনুেচদ
সমেদর যাকাত
পিরেচদ : রপার যাকাত
দ’শ িদরহােমর নীেচ েকান যাকাত েনই। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন, পাচ আওিকয়ার নীেচ েকান যাকাত
েনই। আর এক আওিকয়ার পিরমাণ হেলা চিলশ িদরহাম(বুখারী)।

িদরহাম যখন দ’শ হেব এবং তার উপর বষরপূিতর হেব তখন তােত পাচ িদরহাম ওয়ািজব হেব।। েকননা রাসূলুলাহ
(সা.) মু’আয (রা.) এর নােম এই মেমর পত েপরণ কেরিছেলন েয, পিত দ’শ িদরহাম হেত পাচ িদরহাম গহণ
কেরা এবং পিত িবশ িমছকাল সণর হেত অধর িমছকাল গহণ কর। (দারা কুতনী)।

গনকার বেলন, িনসােবর অিতিরেকর েকেত চিলশ িদরহাম না হওয়া পযরন িকছু ওয়ািজব হেব না। চিলেশ িগেয়
এক িদরহাম ওয়ািজব হেব। এরপর পিত চিলেশ এক িদরহাম। এিট ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মত।

সােহবাইন বেলন, দ’শর েবশী যা হেব, তার যাকােতও েসই িহসােব হেব।

এিট ইমাম শািফঈ (র.) এর মত। েকননা আলী (রা.) বিণরত হাদীেছ রেয়েছ দ’শর উপর যা অিতিরক হেব,
তার যাকাত েসই িহসােব হেব।

160
তাছাড়া যাকাত েতা ওয়ািজব হেয়েছ িনআমেতর মােলর েশাকর িহসােব। তেব পারেম িনসাব পিরমাণ হওয়ার শতর
আেরাপ করা হেয়েছ, অভাব মুক সাবযস হওয়ার জনয। আর গবািদ পশর েকেত (পারিমক) িনসােবর পেরও
িবেশষ সের েপৌছার শতর আেরাপ করা হেয়েছ খণ খণ করার অসুিবধা পিরহার করার জনয।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর দলীল হেলা হাদীেছ মু’আয (রা.) এর বিণরত িনেমাক বাকযিট-

িনসােবর ভগাংশ েথেক িকছু গহণ কেরা না (দারা-কুতনী)। তদপ আমর ইেব‌ন হাযম (রা.)বিণরত হাদীেছ রেয়েছ
চিলশ িদরহােমর নীেচ েকান যাকাত েনই। তাছাড়া অসুিবধার অবসা শরীআেত পিরহাযর। আর ভগাংেশর যাকাত
ওয়ািজব করার মেধয অসুিবধা রেয়েছ। েকননা, ভগাংেশর িহসাব কিঠন।

িদরহােমর েকেত ওজেন সাবআ গহণেযাগয।অথরাত পিত দশ িদরহােমর ওজন হেব সাত িমছকাল। উমর(রা.)
এর অথর দফতেরর িহসােব এই পিরমাণই পচিলত িছেলা এবং পরবতরীেত এিটই সায়ী রপ লাভ কের।

েকান েরৌপয্ বসেত রপার পিরমাণ যিদ েবশী হয় তেব সবটুকুই রপা িহসােবই গনয হেব । আর খাদ যিদ েবশী হয়
তেব তা পণযদবয রেপ গণয হেব। তার মূলয িনসাব পিরমাণ হওয়ার িবষয়িট িবেবিচত।

কারণ িদরহােম সামানয খাদ থােকই। েকননা তা খাদ ছাড়া জমাট বােধ না। তেব অিধক পিরমাণ খাদ েথেক
(সাধারনত) মুক থােক। তাই পিরমােণর অিধকযেক আমরা পাথরকয রেপ গণয কেরিছ। আর আিধেকযর অথর হেলা
অেধরক েথেক েবশী হওয়া। বাসেবর পিত দৃিষ েরেখ ছারফ অধযােয় এ পসংগ ইনশালাহ‌ আমরা আেলাচনা
করেবা। তেব খাদ অিধক হওয়ার েকেত (যাকাত ওয়ািজব হওয়ার বযাপাের) বযবসােয়র িনয়যত থাকা অপিরহাযর,
েযমন অনযানয বািণজয-পেণযর েকেত। তেব যিদ তা েথেক রপা পৃথক কের েনয়া হয় আর তা িনসাব পিরমাণ হয়
(তেব বযবসােয়র িনয়যত করা জররী নয়)।

েকননা, শধু রপার েকেত মূলয িকংবা বযবসােয়র িনয়যত ধতরবয নয়। আলাহ‌ই অিধক জােনন।

পিরেচদ: সেণরর যাকাত


িবশ িমছকাল সেণরর নীেচ যাকাত ওয়ািজব নয়। যখন িবশ িমছকাল হেব তখন তােত অধর িমসকাল ওয়ািজব।

পমাণ হেলা ইেতাপূেবর আমােদর বিণরত হাদীছ। িমসকােলর (দীনােরর) পিরমাণ হল এর সাতিটর ওজন দশ
িদরহােমর সমান হেব। এ-ই পচিলত।

এরপর পিত চার িমছকােল দই কীরাত ওয়ািজব হেব। েকননা দশমাংেশর এক-চতুথরাংশ (বা চিলশভােগর
একভাগ) হেলা যাকােতর ওয়ািজব পিরমাণ। আর তাহেলা আমরা যা বেলিছ(অথরাত ২ কীরাত)। কারণ, পিত
িমছকােলর ওজন িবশ কীরাত।

161
বিধরত অংশ চার িমছকােলর কম হেল যাকাত েনই।

এ হল ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মত। সােহবাইনেদর মেত েসই অনুপােত যাকাত ওয়ািজব হেব। এটা মূলত
ভগাংেশর মাসআলা।

আর শরীআেতর দৃিষেত পিত দীনার দশ িদরহােমর সমমান। সুতরাং এ েকেত চার িমছকাল চিলশ িদরহােমর
সমমান হেব।

ইমাম কুদূরী (র.) বেলন, সণর ও েরৌেপযর খন, অলংকার ও বতরন এসেব যাকাত ওয়ািজব।

ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, সীেলােকর অলংকার এবং পুরেষর রপার আংিটেত যাকাত ওয়ািজব হেব না। েকননা
তা মুবাহ িহসােব বযবহত। সুতরাং তা বযবহাযর কাপেড়র সদৃশ।

আমােদর দলীল এই েয, যাকাত ওয়ািজব হওয়ার সবাব (উপাদান) হেলা বধরন সমন সমদ। এখােন বধরেনর
পমাণ িবদযমান আর তা হেলা সৃিষগত ভােবই এগেলা বযবসােয়র জনয পসতকৃত। আর এ েকেত পমােণর
িবদযমানতাই িবেবচয। বযবহাযর বেসর িবষয়িট এর িবপরীত।

পিরেচদ পণযদেবযর যাকাত


েযেকান ধরেণর বযবসািয়ক পণযদবয েহাক তােত যাকাত ওয়ািজব হেব যিদ তার মূলয রপার িকংবা সেণরর িনসাব
পিরমােণ েপৌেছ। েকননা পণযদবয সমেকর রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন: পণযদেবযর মূলয িনধরারণ করা হেব। এবং
পিত দ’শ িদরহাম হেত পাচ িদরহাম আদায় করা হেব। কারণ এগেলা বানার পক েথেক বধরেনর জনয
পসতকৃত। সুতরাং তা শরীআেতর পক েথেক পসতকৃেতর সদৃশ।

বযবসােয়র িনয়যেতর শতর আেরাপ করা হেয়েছ যােত বানার পক েথেক পসতকরণ সাবযস হয়।

অত:পর ইমাম কুদূরী (র.) বেলন, দিরদেদর জনয অিধকতর লাভজনক যা তা দারাই পেণযর মূলয িনধরারণ করেত
হেব। এর উেদশয হেলা দিরদেদর হক এর বযাপাের সতকরতা অবলমন।

িহদায়া গনকার বেলন, এটা ইমাম আবূ হানীফা (র.) েথেক বিণরত একিট িরওয়ায়াত। িকন মাবসূেতর বণরনা মেত
ইমাম আবূ হানীফা (র.) মািলেকর ইখিতয়ােরর উপর নযস কেরেছন। েকননা বসসমূেহর মূলয িনরপেনর েকেত
উভয় (সণর ও েরৌপয) মুদাই সমান।

অিধকতর লাভজনক হওয়ার বযাখযা এই েয, ঐ মুদার দারা মূলয িনরপণ করেত হেব, যা দারা িনসাব অিজরত
হয়।

162
ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) েথেক বিণরত আেছ েয, পণযদবয যিদ মুদার দারা খিরদ করা হেয় থােক তাহেল েয
ধরেনর মুদা খিরদ করা হেয় থােক তাহেল েয ধরেণর মুদা দারা খিরদ করা হেয়েছ, তা দারাই মূলয িনরপণ করা
হেব। েকননা, মূলযমান পিরচেয়র েকেত এটাই সষতর।

পকানতের যিদ মুদা ছাড়া অনয েকান দবয দারা খিরদ কের থােক তেব েদেশ পচিলত পধান মুদা দারা মূলয
িনরপণ করা হেব।

ইমাম মুহামদ (র.) েথেক বিণরত আেছ েয, সবরাবসায় পচিলত পধান মুদা দারাই পেণযর মূলয িনধরারণ করেত হেব,
েযমন গসবকৃত ও ধংসকৃত মােলর েকেত হেয় থােক।

বছেরর উভয় পােন যিদ িনসাব পূণর থােক, তেব মধযবতরী সমেয় িনসােবর হাস যাকাতেক রিহত করেব না।
েকননা, মধযবতরী সমেয়র পূণরতার সমীকণ কিঠন। তেব শরেত িনসােবর পূণরতা আবশযকীয় হেয়েছ, যােত যাকাত
সংঘিটত হয় এবং অভাবমুক সাবযস হয়। তদপ বছেরর েশষ পােনও (িনসােবর পূণরতা জররী) হেলা যাকাত
ওয়ািজব হওয়ার হকুেমর জনয। মধযবতরী সময়িট অনুরপ নয়। েকননা, েসটা হেচ িনছক িবদযমান থাকার
অবসা।

পকানের সমস মাল হালাক হেয় েগেল যাকােতর বছর পূিতরর হকুমিট বািতল হেয় যােব । অথরাত সািবরক ভােব
িনসাব িবলুপ হওয়ার কারেণ যাকাত ওয়ািজব হেব না। িকন পথম মাসআলািট এরপ নয়। েকননা িনসােবর িকছু
অংশ এখনও িবদযমান রেয়েছ। সুতরাং যাকােতর উপাদােনর সংঘটন অবযাহত থাকেব।

ইমাম কুদূরী বেলন, িনসাব পূণর হওয়ার জনয পণযদেবযর মূলয সণর ও েরৌেপযর সংেগ যুক করা হেব। েকননা
পণযদবয ও সণর-েরৌপয সকেলর েকেতই বািণজয সমার িহসােবই যাকাত ওয়ািজব হেয় থােক। যিদও বযবসােয়র
জনয পসত করেণর িবষয়িট িভন।

সণরেক েরৌেপযর সংেগ যুক করা হেব। েকননা মুদা হওয়ার িদেক েথেক উভেয়র মােঝ সাদৃশয রেয়েছ। আর মূলয
হওয়ার িদক েথেকই তা যাকােতর সবব (পণয রেপ) গণয হেয়েছ।

তেব ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মেত এ সংযুিক েথেক মূেলযর মাধযেম, আর সােহবাইেনর মেত অংশ িহসােব।
এবং ইমাম আবূ হানীফা (র.) েথেকও এরপ এক মত বিণরত আেছ।

সুতরাং কােরা িনকট যিদ একশ’ িদরহাম এবং পাচ িমছকাল সণর থােক, যার মূলয একশ’ িদরহাম পিরমাণ হয়,
তেব ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মেত তার উপর যাকাত ওয়ািজব হেব। সােহবাইেনর মেত ওয়ািজব হেব না।

তােদর বকবয এই েয, সণর ও েরৌেপযর েকেত পিরমাণই িবেবচয, মূলয িবেবচয নয়। তাইেতা েয সণর বা েরৌপয
পােতর ওজন দ’শ িদরহােমর কম অথচ তার মূলয দ’ম িদরহােমর েবশী, তােত (সবর সমিতকেম) যাকাত ওয়ািজব
হয় না।

163
ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর যুিক এই েয, সাদৃেশযর কারেণই একটােক অনযটার সংেগ যুক করা হয়। আর তা
মূেলযর িবেবচনায়ই বাসবািয়ত হয়, বস আকৃিতর িদক েথেক নয়। সুতরাং মূেলযর দারাই িমলান হেব। আলাহই
অিধক অবগত।

তৃতীয় অনুেচদ
উশর উসূলকারীর সমুখ িদেয় অিতকমকারী
েকান বযবসায়ী যখন পণযদবযসহ উশর উসূলকারীর সমুখ িদেয় অিতকম কের আর বেল েয, মাত কেয়ক মাস
হেলা এ সমদ আিম লাভ কেরিছ, িকংবা আমার উপর ঋেণর দায় রেয়েছ, আর একথা েস শপথ কের বেল,
তাহেল তার কথা িবশাস করা হেব।

উশর উসূলকারী ঐ বযািকেক বলা হয়, শাসক যােক বযবসায়ীেদর িনকট েথেক যাকাত উসূল করার জনয রাসার
উপর িনযুক কেরন। সুতরাং তােদর মেধয যারা বষরপূিতরর কথা িকংবা ঋণ হেত মুক থাকার কথা অসীকার কের,
েস মূলত যাকাত ওয়ািজব হওয়ার িবষয়িট অসীকার করল। আর কসমসহ অসীকারকারীর কথাই গহণীয়।

তদপ যিদ েস বেল েয, আিম অনয েকান উসূলকারীর িনকট উশর আদায় কেরিছ। এিট এ েকেত, যিদ ঐ বছর
অনয েকান উশর উসূলকারী থােক। েকননা েস আমানত যথাসােন আদায় করার দাবী করেছ। পকানের যিদ এ
বছর অনয েকান উশর উসূলকারী িনযুক হেয় না থােক (তাহেল তার কথা গহণেযাগয হেব না)। েকননা,
সুিনিশত ভােবই তার িমথযাবাদতা পকাশ েপেয় েগেছ।

তদপ যিদ েস বেল েয, আিম িনেজই আদায় কের িদেয়িছ। অথরাত আিম শহেরর দিরদেদর মােঝ বনন কের
িদেয়িছ। েকননা শহের থাকা অবসায় যাকাত আদায় করার িবষয়িট তার উপরই নযস িছেলা। আর যাকাত
উসূেলর কতৃরত পথ অিতকেমর কারেণ। েকননা েস তখন তার িহফাযেত পেবশ কেরেছ।

গবািদ পশর যাকাত সমেকরও পথেমাক িতন েকেত একই হকুম। িকন চতুথর েকেত অথরাত যিদ েস বেল েয,
আিম িনেজই শহেরর দিরদেদর মােঝ বনন কেরিছ, তেব কসম কের বলেলও তার কথা গহণেযাগয হেব না।

ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, িবশাস করা হেব। েকননা েস হকদােরর িনকট হক েপৌেছ িদেয়েছ।

আমােদর দলীল এই েয, গবািদ পশর যাকাত গহণ করার অিধকার হেলা রাষ পিরচালেকর। সুতরাং তা বািতল
করার অিধকার তার েনই। অপকাশয সমেদর হকুম িভন।

আবার েকউ েকউ বেলেছন েয, পথমিটই যাকােত গণয। পকানের িদতীয় বার উসূল করা হেচ শাসন িভিতক।

আর কােরা কােরা মেত িদতীয়িটই হেলা যাকাত। এবং পথমিট নফেল রপানিরত হেব। এ-ই িবশদ মত।

164
গবািদ পশ ও বািনজয-পেণযর েয সকল েকেত তার কথা গহণ করা হেব, েস েকেত জােমউস-সগীর এর বণরনার
িলিখত সনদ েবর কের েদখােনার শতর আরাপ কেরনিন। িকন মাবসূত-এর বণরনায় এ শতর আেরাপ কেরেছন।
আর তা ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর পক হেত হাসান ইব‌ন িযয়াদ বণরনা কেরেছন। েকননা েস একিট দাবী
কেরেছ আর তার দাবীর সতযতার সপেক একিট পমাণ রেয়েছ। সুতরাং তা পদশরন করা আবশযক হেব।

পথম মেতর পেক দলীল এই েয, হসানেরর সংেগ অনয হসাকেরর সাদৃশয রেয়েছ। সুতরাং তা পমাণ রেপ
গহণেযাগয হেব না।

ইমাম মুহমদ (র.) বেলন, েয েকেত মুসলমােনর কথা সতয বেল গহণ করা হেব, েস েকেত িযিমর কথাও সতয
বেল গহণ করা হেব। েকননা মুসলমানেদর কাছ েথেক যা েনওয়া হয়, তার কাছ েথেক েনওয়া হয় তার িদগণ।
সুতরাং িদগণেক বাসবািয়ত করার েপিকেত (এ েকেতও) উপেরাক শতরাবলী িবেবচনা করা হেব।

হারবী (বযবসায়ীর) এর দাবী সতয বেল গহণ করা হেব না, িকন যিদ দাসীেদর বযাপাের বেল েয, এরা আমার উমু
ওয়ালদ। িকংবা যিদ সংেগর বালকেদর সমেকর বেল েয, এরা আমার সনান। েকননা, িহফাযেতর লেকযই তার
কাছ েথেক শল গহণ করা হয়।আর তার মািলকানাধীন সমদই শধু িহফাজেতর মুখােপকী। তেব তার অধীনস
বালেকর নসেবর সীকৃত দান তার জনয ৈবধ। সুতরাং উমু ওয়ালােদর (মাতৃেতর) সীকৃিত দানও ৈবধ হেব। েকননা
মাতৃত নসেবর উপর িনভররশীল। সুতরাং তােদর েকেত সমদগণ লুপ হেয় েগেলা। আর শল গহণ একমাত
মােলর উপরই ওয়ািজব।

ইমাম কুদরী(র.) বেলন, গহণ করেব মুসলমােনর িনকট েথেক দশমাংেশর এক-চতুথরাংশ, িযমীর িনকট েথেক
দশমাংেশর অেধরক এবং হারবীর িনকট েথেক পূণর দশমাংশ। হযরত উমর (রা.) তার শল আদায়কারীেদর পিত
এরপ িনেদরশই জারী কেরিছেলন।

হারবী যিদ পঞাশ িদরহাম সংেগ িনেয় পথ অিতকম কের তাহেল তার িনকট েথেক িকছুই গহণ করা হেব না।
িকন যিদ তারা এ্ই পিরমােণর েকেত আমােদর িনকট েথেক গহণ কের থােক। (তখন আমরাও গহণ করেবা)।
েকননা তােদর িনকট েথেক েনওয়া হয় মুলত পালা বযবসা িহসােব। মুসিলম ও িযমীর িবষয়িট এর িবপরীত।
েকননা (মুসলমােনর েকেত) উশূলকৃত অথর হেলা যাকাত িকংবা (িযমীর েকেত) যাকােতর িদগণ। সুতরাং িনসাব
পূণর হওয়া জররী। এটা জােমউস সাগীর এর মাসআলা। পকানের (মাবসূত-এর) িকতাবুয যাকাত অধযােয়
রেয়েছ েয, অল পিরমােণর েকেত তােদর িনকট েথেক গহণ করা হেব না, যিদও তারা অনুরপ পিরমাণ আমােদর
িনকট হেত গহণ কের থােক। েকননা অল পিরমাণ সবরদাই ছাড়েযাগয। তাছাড়া তা িনরাপতার মুখােপকী নয়।

ইমাম মুহামদ (র.) বেলন, েকান হারবী যিদ দ’শ িদরহাম সংেগ িনেয় পথ অিতকম কের আর তারা আমােদর
িনকট হেত িক পিরমাণ গহণ কের তা জানা না থােক তেব তার িনকট েথেক দশমাংশ গহণ করা হেব । েকননা
উমর (রা.) বেলেছন, যিদ েতামরা জানেত অকম হও তেব দশমাংশ গহণ কর।

আর যিদ জানা যায় েয, তারা আমােদর িনকট েথেক উপেরর এক-চতুথরাংশ িকংবা উশেরর অেধরক গহণ কের,
তাহেল তার িনকট হেত েসই পিরমাণই গহণ করা হেব। িকন যিদ তারা সবটুকু িনেয় েনয় তেব সবটুকু েনয়া হেব

165
না, েকননা তা গাদারী (আর গাদারী মুসিলেমর জনয েশাভনীয় নয়)। আর যিদ তারা িকছুই না েনয় তেব
(আমােদর উশর উসূলকারীও) িকছু েনেব না।

যােত আমােদর বযবসায়ীেদর িনকট েথেক শল েনয়া েথেক তারা িবরত থােক।

তাছাড়া উতম চিরত পদশরেনর বযাপাের আমরাই অিধক হকদার।

ইমাম কুদরূ ী বেলন, হারবী যিদ উসূলকারীর সমুখ িদেয় অিতকম কের এবং েস তার কাছ েথেক উশর আদায় কের
থােক, অতঃপর যিদ েস িদতীয় বার অিতকম কের তেব বষরপূিতরর পূেবর তার িনকট েথেক পুনঃউশর গহণ করা হেব
না। েকননা পিতবার অিতকেমর সময় শল গহেণর পিরণাম হেলা তার সমদ িবনাশ করা। অথচ শল গহেণর
অিধকার হল তার সমেদর িহফাজেতর কারেণ।

তাছাড়া পথম িনরাপতা দােনর কাযরকািরতা এখনও অবযাহত রেয়েছ। বষরপূিতরর পর িনরাপতার নবায়ন হেব।
েকননা তােক এক বছেরর অিধক অবসােনর অবকাশ েদওয়া হয় না। আর বষরপূিতরর পর পুনরায় শল গহণ দারা
তার সমদ িনঃেশিষত হেব না।

উশর আদায় করার পর যিদ েস দারল হারেব িফের িগেয় একই িদেন িফের আেস তাহেল পুনরায় তার িনকট হেত
উশর গহণ করা হেব। েকননা েস নতুন িনরাপতা িনেয় িফের এেসেছ। আর দারল হারেব িগেয় িফের আসায় শল
গহণ সমদ িনঃেশেষ পিরণত হয় না।

েকান িযমী যিদ শরােব িকংবা শূকর িনেয় পথ অিতকম কের তেব শরােবর উশর গহণ করা হেব িকন শূকেরর
উশর গহণ করা হেব না।

শবােরর উশর গহেণর অেথরা হেলা তার মূেলযর উশর গহণ করা।

ইমাশ শািফঈ (র.) বেলন, উভয়িটর উশর গহণ করা হেব না। েকননা (মুসলমােনর কােছ) এ দ’িটর মূলয
েনই।

ইমাম যুফার (র.) বেলন, উভয়িটরই উশর গহণ করা হেব। েকননা সমদ হওয়ার েকেত তােদর িনকট উভয়িটই
সমান।

ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) বেলন, যিদ উভয়িট এক সংেগ িনেয় অিতকম কের তাহেল উভয়িটর উশর গহণ করা
হেব। সমবতঃ িতিন শূকরেক শরােবর অনুগামী ধেরেছন। িকন যিদ উভয়িটেক আলাদা ভােব িনেয় যায় তেব
শরােবর উশর েনয়া হেব িকন শকেরর উশর েনয়া হেব না।

যািহরী িরওয়ায়াত মুতািবক এই পাথরেকযর কারণ এই েয, মূলয িনভরর বস মুল বসর হকুম রােখ। আর শূকর এই
েশণীভূক।

পকানের সমতুলয বসর েকেত মূলয মূল বসর হকুম রােখ না। আর শরাব এই েশণীভূক।

166
তাছাড়া শল গহেণর অিধকার বেতর েহফাজেতর জনয। আর মুসলমান িসরকায় রপানিরত করার উেদেশয তার
িনজস সংরকণ করেত পাের। সুতরাং অেনযর শরাবও েস সংরকণ করেত পারেব। পকানের িনজস মািলকানায়
শূকর েস সংরকণ করেত পাের না। বরং ইসলাম গহেণর সংেগ সংেগ তা েছেড় েদয়া ওয়ািজব। সুতরাং অেনযর
শূকরও েস সংরকণ করেত পারেব না।

তাগলাবী েগােতর েকান িশশ বা সীেলাক যিদ সমদ িনেয় অিতকম কের, তেব িশশর (সমেদর) উপর ঐ পিরমাণ
শল আেরাপ করা হেব, যা তােদর পুরষ েলােকর উপর আেরাপ করা হয়। এর কারণ আমরা গবািদ পশর েকেত
উেলখ কেরিছ।

েয বযিক উশর উশলকারীর সমুখ িদেয় একশ’ িদরহাম িনেয় অিতকম করেলা এবং একথা জানােলা েয, তার ঘের
আরও একশ’ িদরহাম রেয়েছ এবং েসটার বষরপূিতর হেয় েগেছ, এমতাবসায় েয একশ’ িদরহাম িনেয় যােচ, তার
যাকাত উসূল করা হেব না। েকননা িনসাব পিরমাণ কম। আর তার ঘের যা আেছ, েসটা উশর আদায়কারীর
িনরাপতাধীেন আেসিন।

যিদ েস অেনযর পদত পুিজ রেপ দ’শ িদরহাম িনেয় যায়, তেব তার িনকট েথেক উশর উসূল করা হেব না।
েকননা েস যাকাত আদায় করার অনুমিতপাপ নয়।

ইমাম কুদূরী (র.) বেলন, মুদারাবা-এর েকেতও একই হকুম। অথরাত মুদারাবা িভিতেত িনযুক বযিক যিদ উশর
উশলকারীর িনকট িদেয় অিতকম কের (তেব উক মাল েথেক উশর উসূল করা হেব না)

ইমাম আবূ হানীফা (র.) পথেম বলেতন েয, উশর উসূলকারীর মুদারাবার মাল েথেক উশর উসূল করেব। েকননা
(পুিজর উপর) মুদািরব-এর হক অিধক দৃঢ়। এ জনযই পুিজদাতা বযবসার েকান েকেত তােক বাধা িদেত পাের
না। যখন পুিজর অথর বযবসােয়র পেণয রপানিরত হেয় যায়। সুতরাং েস মািলেকর সলবতরী হেয় যােব।

পরবতরীেত িতিন কুদরূ ীেত উেলিখত মতামেতর িদেক রজু কেরেছন, আর এ-ই সােহবাইেনরও মত।

েকননা পকৃত পেক েস উক পুিজর মািলক নয়। এবং যাকাত আদােয়র বযাপাের মািলেকর নােয়ব বা সলবতরীও
নয়। িকন যিদ পুিজর সংেগ এই পিরমাণ মুনাফা েথেক থােক, যােত তার অংশ িনসাব পিরমাণ েপৌেছ, তেব তার
িনকট হেত যাকাত গহণ করা হেব। েকননা েস তা তার মািলক।

বযবসােয়র অনুমিতপাপ েকান দাস যিদ দ’শ িদরহাম িনেয় অিতকম কের এবং তার উপর ঋেণর েকান দায় না
থােক, তেব তার িনকট েথেক উশর গহণ করা হেব।

ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) বেলন, আিম জািন না ইমাম আবূ হানীফা (র.) এ িসদান েথেক রজু কেরেছন িকনা।
তেব মুদারাবা-এর েকেত তার িদতীয় বকেবযর িকয়াস েতা এই েয, তার িনকট েথেক উশর গহণ করা হেব না।
আর এ-ই সােহবাইেনর মত। েকননা,তার অধীেন েয সমদ রেয়েছ, তার মািলক তার মিনব। তার শধু বযবসা
পিরচালনার অিধকার রেয়েছ। সুতরাং েস মুদািরেবর মত হেয় েগল।

167
আর উভেয়র মেধয পাথরেকযর কারণ িহসােব বলা হয় েয, দাস িনেজর জনযই যাবতীয় কাযরকম পিরচালনা কের
থােক। এ কারেণই েকান দািয়ত মিনেবর িদেক রজু হয় না। সুতরাং েস িনেজই িনরাপতা লােভর মুখােপকী।
পকানের মুদািরব নােয়ব বা সলবতরী রেপ কাযরকম পিরচালনা কের থােক। তাই দাূূূ ্ য় -দািয়ত পুিজদাতার
িদেক রজু হয়। তাই পুিজ দাতাই হেচ িনরাপতার মুখােপকী। সুতরাং মুদারেবর েকেত ইমাম আবূ হানীফা (র.)
এর পূবর িসদান পতযাহােরর অথর অনুমিতপাপ দােসর েকেত পেযাজয হেব না।

তেব অনুমিতপাপ দােসর সংেগ তার মিনবও যিদ উপিসত থােক তাহেল মিনেবর িনকট হেত উশর গহণ করা হেব।
েকননা (আসেল) মািলকানা েতা তারই। িকন দােসর উপর যিদ তার সমদ েবষনকারী ঋেণর দায় থােক, তাহেল
উশর েনয়া হেব না। েকননা তার মািলকানা েনই িকংবা তার সমদ দায়বদ।

ইমাম মুহামদ (র.) বেলন, িবেদাহীেদর িনয়িনত এলাকার েকউ যিদ তােদর িনেয়াগকৃত এর িনকট িদেয় অিতকম
কের আর েস তার কাছ েথেক উশর গহণ কের থােক, তেব ৈবধ সরকােরর আেশর তার কাছ েথেক িদতীয় বার
যাকাত উসূল করেব।

অথরাত যখন েস ৈবধ শাসেকর িনেয়াগকৃত এর সমুখ িদেয় অিতকম করেব । েকননা, তিট তার পক েথেকই
হেয়েছ, েযেহতু েস খািরজী এর সমুখ িদেয় রাসা অিতকম কেরেছ।

চতুথর অনুেচদ
খিনজ-সমদ ও েপািথত-সমদ
খারাজী িকংবা উশরী ভূিমেত পাপ সণর, েরৌপয, সীসা, িকংবা তামা জাতীয় খিনজ দবয পাওয়া েগেল তােত খুমুস
(এক-পশমাংশ) ওয়ািজব।

এ আমােদর মাযহাব। ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, এ সকল দেবযর েকেত পাপেকর উপর েকান িকছু ওয়ািজব
নয়।

েকননা,তা মািলকানা মুক সমদ, েস সবরােগ তার অিধকার লাভ কেরেছ, েযমন িশকােরর হকুম। তেব খিনজদবয
যিদ সণর বা েরৌপয হয় তাহেল তােত যাকাত ওয়ািজব হেব। িকন এক মত অনুযায়ী িতিন এ েকেত বষরপূিতরর শতর
আেরাপ কেরনিন। েকননা এেতা সমূণর বিধরত সমদ। আর বষরপূিতরর শতরােরাপ করা হয় সমদ বিধরত হওয়ার
জনয।

আমােদর দলীল হেলা রাসূলুলাহ‌ (সা.) এর বাণীঃ ভু-গভরস সমেদর উপর এক-পশমাংশ ওয়ািজব।

হাদীেছ বযবহত শবিট ধাতু েথেক িনষন, যার অথর সািপত সমদ। সুতরাং খিনজদেবযর উপরও শবিট পযুক
হেব।

168
তাছাড়া এই কারেণও েয, খিন-অঞলিট কািফরেদর দখেল িছেলা, তা িবিজত রেপ আমােদর হােত এেসেছ।
সুতরাং েসটা গনীমেত গণয হেব। আর গনীমেতর মেধয পশমাংশ ওয়ািজব।

িশকােরর িবষয়িট এর িবপরীত। েকননা তা কখেনা কােরা দখেল িছেলা না।

অবশয তােত মুজািহেদর কবজা হেলা নীিতগত। েকননা, তােদর িনয়নণ পিতিষত হেয়েছ ভূ-পৃেষর উপর। আর
পকৃত পেক কবজা হািসল হেয়েছ খিনজ উেতালনকারীর। তাই পশমাংশ ওয়ািজব হওয়ার বযাপাের আমরা
নীিতগত অবসার িবষয়িট িবেবচনা কেরিছ আর অবিশষ চারভােগর েকেত পকৃত অবসা িবেবচনা কেরিছ। অতএব
এেত উেতালনকারী-এর মািলক হেব।

যিদ িনেজর বাড়ীর সীমানার িভতের েকান খিনজ-সমদ পায় তাহেল তােত িকছুই ওয়ািজব হেব না।

এটা ইমাম আবূ হানীফা (র.)-এর মত। সােহবাইন বেলন, তােত পশমাংশ ওয়ািজব হেব। েকননা আমরা েয
হাদীছ বণরনা কেরিছ, তা বযাপক।

ইমাম আবূ হানীফা (র.)-এর দলীল এই েয, এটা ভূিমর সংেগ যুক অংশ িবেশষ। আর ভূিমর অনযানয অংেশর
উপর েকান িকছু ধাযর েনই। সুতরাং এটার উপরও িকছু ধাযর হেব না। েকননা (হকুম ও িবধােনর েকেত) এক
অংশ সমিষর িবপরীত হয় না।

মািটেত পুেত রাখা সমেদর হকুম এর িবপরীত। েকননা তা ভুিমর সংেগ যুক ও িমিশত নয়।

ইমাম মুহামদ (র.) বেলন, যিদ িনেজর জিমেত েপেয় থােক তাহেল েস সমেকর ইমাম আবূ হানীফা (র.) েথেক
দিট বণরনা রেয়েছ।

একিট বণরনা িহসােব অথরাত জােমউস-সাগীেরর বণরনা িহসােব (বাড়ী ও সাধারণ জিমর মােঝ) পাথরেকযর কারণ এই
েয, বাড়ীর মািলকানা আিথরক দায়মুক। িকন জিমর মািলকানা তদপ নয়। এ কারেণই জিমর উপর উশর বা
খারাজ ওয়ািজব হয় িকন বাড়ীর উপর হয় না।

যিদ জিমেত অবিসত অথরাত েপািথত েকান সমদ লাভ কের তেব সকেলর মেতই তােত খুমুস ওয়ািজব হেব।

আমােদর ইেতাপূেবর বিণরত হাদীছিট হেলা এর দলীল। েকননা হাদীেছ উেলিখত শবিট েপািথত সমেদর উপরও
পেযাজয হয়। েকননা তােত বা সািয়েতর অথর িবদযমান রেয়েছ।

তেব যিদ তােত ইসলামী আমেলর ছাপ থােক, েযমন কািলমা শাহাদাত উতকীণর থাকেলা, তাহেল তা লুকতাহ
(হারােনা িজিনেসর) পযরায়ভুক হেব। আর তার িবধান যথাসােন বিনরত হেয়েছ। আর যিদ তােত জািহলী যুেগর
ছাপ থােক, েযমন তােত মুিতর ইতযািদ উতকীণর থাকেলা, তেব পূবর বিণরত কারেণ সবরাবসায় তােত খুমুস ওয়ািজব
হেব।

যিদ জািহলী যুেগর েপািথত সমদ মািলকানামুক (পিতত) ভূিমেত েপেয় থােক তাহেল এক-পঞমাংেশর অবিশষ
চার ভােগর পাপেকর হেব। কারণ, তারপক েথেক সংরকণ পূণর হেয়েছ। েকননা, েযাদােদর েতা এর উপিসিত

169
সমেকর জানা িছেলা না। সুতরাং েস-ই এটার িনরংকুশ মািলকানা লাভ করেব। অথরাত িনেজর জিমেত েহাক
িকংবা অেনযর জিমেত।

আর যিদ মািলকানাধীন ভূিমেত েপেয় থােক,তাহেল


া াই উসূফ (র.) এর মেত একই হকুম হেব।
ইমাম আাবূ
েকননা অিধকার লাভ হয় পূণর সংরকেনর মাধযেম। আর তা তার দারা সমন হেয়েছ।

আর ইমাম আবূ হানীফা ও ইমাম মুহামদ (র.) এর মেত শাসেকর পক হেত জিমিট পথেম যার নােম েদশ জেয়র
শরেত িচিহত কের েদওয়া হেয়েছ, েস-ই এর মািলক হেব। েকননা পথেম তারই কবজা এর উপর পিতিষত
হেয়েছ। আর তা হেলা িনিদরষ কবজা। সুতরাং এই কবজার কারেণ ভূ-গভরস সমেদর মািলক হেব। যিদও তার
কবজা ভূ-পৃেষর উপের সমন হেয়েছ। েযমন েকউ একিট মাছ িশকার করল আর তার েপেট একিট মুকা পাওয়া
েগেলা।

অতঃপর ঐ জিম অেনযর কােছ িবিক করার কারেণ েপািথত সমদ তার মািলকানা েথেক েবর হেয় যােব না।
েকননা তা মািটর নীেচ রিকত আমানত। খিনজ দেবযর িবষয়িট এর িবপরীত। েকননা তা যমীেনর অংশ িবেশষ।
সুতরাং তা েকতার মািলকানায় সানানিরত হেয় যােব।

পথেম যার নােম িচিহত করা হেয়িছল, যিদ তার পিরচয় না পাওয়া যায়, তাহেল ইসলামী আমেলর েয দূরতম
মািলেকর সনান পাওয়া যায়, তার হােতই এর মািলকানা েসাপদর করা হেব। ফকীহগণ এ মত-ই বযক কেরেছন।

যিদ ছাপ অসষ হেয় িগেয় থােক তাহেল যােহরী মাযহাব অনুসাের েসটােক জািহলী যুেগর বেল ধরা হেব । েকননা
তা-ই মূল অবসা।

আর েকউ েকউ বেলেছন, আমােদর যুেগ েসিট ইসলামী আমেলরই ধরা হেব। েকননা ইসলামী যুগও পবীণ হেয়
িগেয়েছ। (সুতরাং দৃশযতঃ তা ইসলামী যুেগরই েপািথত।)

েয বযিক দারল হারেব িনরাপতা িনেয় ৈবধভােব পেবশ করেলা এবং তােদর কােরা বাড়ীেত ভূ-গভরস সমদ লাভ
করেলা, েস তা তােদরেক িফিরেয় িদেব।

এটা করেব ‘িবশাস ঘাতকতা’ েথেক বাচার জনয। েকননা, বাড়ীেত যা িকছু আেছ তা বাড়ীর মািলেকর জনযই
িনধরািরত।

আর যিদ মািলকানামুক মােঠ েপেয় থােক তেব েসটা তারই। েকননা, তা কােরা বযিক মািলকানাধীন নয়। সুতরাং
তা হসগত করা িবশাস ভংগ বেল গণয হেব না। আর তােত িকছু ওয়ািজব হেব না। েকননা েস েগাপেন
হসগতকারীর নযায়, মুজািহেদর মত হসগতকারীর নযায় নয়।

িফেরাযা পাথর যা পাহােড় পাওয়া যায়, তােত খুমস ওয়ািজব নয়। েকননা রাসূলুলাহ(সা.) বেলেছন, পাথেরর
উপর খুমুস েনই।

170
পারেদর েকেত খুমুস ওয়ািজব হেব। এটা ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর পরবতরী মত। এবং ইমাম মুহামদ (র.)
এরও এই মত। এেত ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর িভনমত রেয়েছ।

মুকা ও আমেরর উপর খুমুস েনই।

এটা ইমাম আবূ হানীফা ও মুহামদ (র.)-এর মত। ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) বেলন, এ দ’িটেত এবং সমুদ
েথেক আহিরত সকল ভুষেণর উপর খুমুস ওয়ািজব। েকননা উমর (রা.) আমর হেত খুমুস গহণ কেরেছন।
সােহবাইেনর বকবয এই েয, সমুেদর তলেদেশ িবজয় পিতিষত হয়িন। সুতরাং তা েথেক লব বস সণর-েরৌপয
হেলও গনীমত রেপ গণয হেব না।

আর উমর (রা.) েথেক বিণরত িরওয়ায়ােতর েকত হেলা সমুদ-িনিকপ বস। আর েস েকেত আমােদরও এ মত।

মািটেত পুেত রাখা সামানপত পাওয়া েগেল তা ঐ বযিকরই হেব, েয েপেয়েছ। আর তােত খুমুস ধাযর হেব।
অথরাত মািলকানামুক পিতত ভূিমেত পাওয়া েগেছ। েকননা সণর-েরৌেপযর মত এটাও মােল গনীমতগস। আলাহ‌ই
অিধক অবগত।

পঞম অনুেচদ
ফসল ও ফেলর যাকাত
ইমাম আবূ হানীফা (র.) বেলেছন, অল েহাক িকংবা েবশী, ভূিম েথেক উতপাদেনর উপর উশর ওয়ািজব হেব-
পবািহত পািন দারা িসিঞত েহাক, িকংবা বৃিষর পািন দারা। িকন বাশ, জালানী কাষ ও ঘােসর উপর উশর েনই।

সােহবাইন বেলন, েয সকল ফল দীঘরিদন সংরিকত থােক েসগেলা পাচ ওয়াসাক পিরমাণ হেল তােত শধু উশর
ওয়ািজব হেব।

এক ওয়াসাক হেলা নবী করীম (সা.) এর যুেগ পচিলত সা’আ-এর পিরমােণ ষাট সা’আ। েমাটকথা, দ’েকেত
মতাৈনকয রেয়েছঃ পথমতঃ িনসােবর শতর আেরােপ, িদতীয়তঃ দীঘরসািয়েতর শতরােরােপ।

পথম িবষেয় সােহবাইেনর দলীল হল রাসূলুলাহ (সা.) এর হাদীছ- পাচ ওয়াসােকর কেমর মেধয যাকাত ওয়ািজব
নয়। তাছাড়া েযেহতু এ-ও যাকাত, সুতরাং সচলতা সাবযস হওয়ার জনয এ েকেতও ‘িনসাব’-এর শতর আেরাপ
করা হেব।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর দলীল হেলা, রাসূলুলাহ‌(সা.) এর বাণী- ভূিম যা উতপন কের, তােত উশর ওয়ািজব
হেব। এেত েকান পাথরকয করা হয়িন।

171
সােহবাইেনর বিণরত হাদীেছর বযাখযা এই েয, তােত বািণজয দেবযর যাকােতর কথা বলা হেয়েছ। েকননা, তারা
ওয়াসােকর মােপ েবচা-েকনা করেতা, আর এক ওয়াসােকর মূলয সাধারণতঃ চিলশ িদরহাম হেতা।

আর উশেরর েকেত েতা ভূিমর মািলক হওয়ারই শতর েনই। সুতরাং মািলেকর অবসা তথা সচলতার শতর
আেরােপর েতা পশই আেস না।

এ কারেণই বষরপূিতরর শতর আেরাপ করা হয় না। েকননা এ শেতরর উেদশয হেলা বৃিদর সুেযাগ। অথচ এটা েতা
সমূণরই বিধরত সমদ।

িদতীয় েকেত সােহবাইেনর দলীল হেলা রাসূলুলাহ(সা.) এর হাদীছ- সবজী জাতীয় দেবযর উপের সাদকা েনই।
এখােন সবরসমিতকেমই সাদাকা দারা যাকাত িনেষধ করা উেদশয নয়। সুতরাং উশরই উেদশয হেব।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর দলীল হেলা ইেতাপূেবর আমােদর বিণরত হাদীছ।

সােহবাইেনর বিণরত হাদীেছর বযাখযা হেলা ঐ সাদাকা, যা শল আদায়কারী গহণ কের থােক। েসেকেত, ইমাম আবূ
হানীফা (র.) ও এ হাদীেছর উপর আমল কের থােকন।

তাছাড়া েযৌিকক পমাণ এই েয, ভূিম এমন ফসলও উতপন কের, যা দীঘরসময় সংরিকত থােক না। আর উশর
ওয়ািজব হওয়ার কারণ ভূিমর ফলনশীলতা। এ কারেণই েতা এ ধরেনর ভূিমেত খারাজ ওয়ািজব হেয় থােক।

পকানের বাশ, জালানী কাষ ও ঘাস সাধারণতঃ বাগােন উতপন করা হয় না, বরং এগেলা েথেক বাগানেক পিরষার
রাখা হয়। এমন িক যিদ েকউ বাশঝাড় িকংবা জালানী বৃক িকংবা ঘােসর েকত লাগায়, তাহেল তােত উশর
ওয়ািজব হেব।

উেলিখত বাশ দারা সাধারণ বাশ উেদশয; তেব ইকু িকংবা েজায়ােরর উশর ওয়ািজব হেব। েকননা এগেলার জনয
ভূিমেক ইচাকৃতভােব বযবহার করা হয়।

েখজুর শাখা ও খেড়র হকুম এর িবপরীত। েকননা এ গেলার েকেত শসয ও ফলই হেলা উেদশয, বৃক বা খড়
উেদশয নয়।

ইমাম কুদূরী বেলন, বালিত দারা (কুয়া েথেক) এবং পািন েতালার চিকর দারা িকংবা উটনীর িপেঠ বেয় আনা পািন
দারা েয েকেত েসচ েদয়া হেয়েছ, তােত উভয় মত অনুসাের অেধরক উশর ওয়ািজব হেব। েকননা এ েকেত বযয়
অিধক হেয় থােক। পকানের বৃিষর পািন িকংবা নােলর পািন দারা েসচ েদয়া জিমেত বযয় কম হেয় থােক।

যিদ খােলর পািন ও চিকরর পািন উভয় পািন দারা েসচ েদয়া হেয় থােক, তাহেল বছেরর অিধকাংশ সমেয়র িবেবচনা
করা হেব। েযমন ‘সািময়া’ পশর েকেত।

েয সকল িজিনস ওয়াসাক দারা মাপা হয় না, েযমন জাফরান ও তুলা, এগেলা সমেকর ইমাম আবূ ইউসূফ (র.)
বেলন, যখন এ গেলার মূলয ওয়াসাক দারা পিরমাপকৃত সবরিনম মূেলযর িজিনেসর পাচ ওয়াসাক পিরমাণ হেয় যােব,
তখন তােত উশর ওয়ািজব হেব। েযমন আমােদর যুেগ েজায়ার রেয়েছ।

172
েকননা শরীআত িনধরািরত পিরমাপ এখােন পেয়াগ করা সমব নয়, সুতরাং তার মূলয িবেবচনা করা হেব। েযমন
‘সািময়া’ পশর েকেত।

ইমাম মুহামদ (র.) বেলন, উতপন দবয যখন ঐ জাতীয় বস পিরমাপ করার সেবরাচ পিরমােণর পাচগণ হেয় যােব,
তখন তােত উশর ওয়ািজব হেব। সুতরাং তুলার েকেত পিরমাণ ধরা হেব পাচ গাট, পিত গাট হেব িতনশত তদপ
জাফরােনর েকেত হেব পাচ (পায় পাচ েসর) েকননা ওয়াসাক দারা পিরমাপ িনধরারেণর কারণ এই িছেলা েয, তা
িছেলা ঐ জাতীয় দবয মােপর সেবরাচ পিরমাণ।

মধু যিদ উশরী যমীন েথেক আহরণ করা হয়, তাহেল তােত উশর ওয়ািজব হেব।

ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, উশর ওয়ািজব হেব না। েকননা তা পাণী েথেক উতপন। সুতরাং তা হল েরশেমর
সমতুলয।

আমােদর দলীল হেলা রাসূলুলাহ (সা.) এর হাদীছ- মধুেত উশর ওয়ািজব। তাছাড়া এ কাূূ ে য , েমৌমািছ
্ রেণ
িবিভন ফল ও ফুল েথেক আহরণ কের, আর েসগেলােত েযেহতু উশর আেছ, েসেহতু তা েথেক উতপন পদােথরর
উশর হেব। েরশম কীেটর িবষয়িট এর িবপরীত। েকননা েস পাতা ভকণ কের আর তােত উশর েনই।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মেত মধু অল েহাক বা েবশী, তােত উশর ওয়ািজব হেব। েকননা, িতিন এেত েকান
িনসাব ধাযর কেরন না।

ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) েথেক বিণরত আেছ েয, মধুর েকেত তার নীিত অনুযায়ী িতিন পাচ ওয়াসােকর মূলয গণয
কেরন।

তার পক েথেক এমন মতও বিনরত হেয়েছ েয, েমাশক পিরমাণ না হওয়া পযরন তােত িকছু ওয়ািজব হেব না।
েকননা বনূ শাবাবা েগাত সমিকরত হাদীেছ বিণরত আেছ েয, তারা রাসূলুলাহ (সা.) এর িনকট এই অনুপােতই
উশর আদায় করেতা।

তার পক েথেক পাচ এর কথাও বিণরত হেয়েছ। ইমাম মুহামদ (র.) েথেক পাচ ‘ফারাক’ এর িরওয়ায়াত বিণরত
হেয়েছ। পিত ফারাক হেলা ৩৬ রতল। েকননা এটা হেলা মধু মাপার সেবরাচ পিরমাণ।

তদপ ইক সমেকরও (ইমাম আবূ ইউসূফ ও মুহামদ (র.) এর মােঝ মতপাথরকয রেয়েছ)।

পাহােড় েয সকল মধু বা ফলফলািদ পাওয়া যায়, তােতও উশর ওয়ািজব।

আবূ ইউসূফ (র.) েথেক বিণরত একিট মেত তােত উশর ওয়ািজব হেব না। েকননা, তােত উশর ওয়ািজব হওয়ার
কারণ িবদযমান েনই। আর তা হেলা ফলনশীল ভূিম।

জািহরী িরওয়ায়ােতর দলীল এই েয, ফলনশীল ভূিমর যা উেদশয অথরাত ফললাভ করা, তােতা অিজরত হেয়েছ।

173
ইমাম মুহামদ (র.) বেলন, ভূিমর উতপন েয সকল ফসেল উশর ওয়ািজব হয় েসগেলার েকেত শিমকেদর
পািরশিমক এবং হাল-বলেদর খরচ িহসাব করা হেব না। েকননা নবী (সা.) বযয় ভােরর তারতেমযর কারেণ
ওয়ািজব পিরমােণ তারতেমযর হকুম িদেয়েছন। সুতরাং বযয়ভার বাদ েদয়ার েকান অথর েনই।

ইমাম কুদূরী (র.) বেলন, েকান তাগলাবী িযমীর উশরী জমীন থাকেল তার উপর িদগণ উশর ধাযর করা হেব।

সাহাবােয় িকরােমর ইজমার মাধযেম এ িসদান গৃহীত হেয়েছ।

ইমাম মুহামদ (র.) েথেক বিণরত আেছ েয, তাগলাবী িযমী মুসলমােনর িনকট হেত েকান জিম খিরদ করেল তােত
এক উশরই ওয়ািজব হেব। েকননা তার মেত মািলেকর পিরবতরেনর কারেণ জিমর আিথরক দায় পিরমােণ পিরবিতরত
হয় না।

অতঃপর েকান িযমী যিদ তাগলাবীর িনকট েথেক উক জিম খিরদ কের, তেব সকেলর মেতই জিমর আিথরক দায়
একই অবসায় থাকেব। েকননা েকান অবসায় িযমীর উপর িদগণ ধাযর করা যায়। েযমন, উশর উশলকারীর সমুখ
িদেয় অিতকম করার সময় মুসলমােনর িনকট েথেক যা েনয়া যায়, তার িনকট েথেক তার িদগণ েনয়া হয়।

তদপ একই হকুম বহাল থাকেব যিদ ঐ জিম েকান মুসলমান তার িনকট েথেক খিরদ কের িকংবা তাগলাবী
িনেজই যিদ ইসলাম গহণ কের।

এ হল ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মত, চাই হকুেমর এই িদগণতা পূবর েথেক চেল আসুক, িকংবা নতুনভােব
আেরািপত েহাক। েকননা িদগণতাই উক জিমর আিথরত দায় রেপ সাবযস হেয় েগেছ, সুতরাং উক জিম তার
িনজস আিথরক দায় সহই মুসলমােনর মািলকানা সানানিরত হেব, েযমন খারােজর েকেত।

ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) বেলন, পুনরায় এক উশেরর িদেক িফের আসেব। েকননা িদগণ করেণর কারণ দূরীভূত
হেয় েগেছ।

মাবসূত গেন বলা হেয়েছ েয, িবশূদ বণরনা অনুযায়ী এটাই মুহামদ (র.) এর অিভমত।

িহদায়া গনকার বেলন, ইমাম মুহামদ (র .) এর মত বণরনার েকেত অনুিলিপর িবিভনতা পিরলিকত হয়। তেব
িবশদতম মত এই েয, িদগণ তা বহাল রাখার েকেত িতিন ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর সংেগ একমত। তেব
পূবর েথেক চেল আসার িদগণতার েকেতই শধু তার মত পযুক হেত পাের। েকননা তার মাযহাব অনুযায়ী নতুন
ভােব আেরািপত িদগণতা সাবযস হেত পাের না। কারণ, এেত আিথরক দায় পিরবিতরত হয় না।

েকান মুসলমান যিদ তার (উশরী) যমীন েকান খৃষােনর িনকট িবিক কের,

অথরাত তাগিলবী ছাড়া অনয েকান িযমীর িনকট, আর উক খৃষান িবিকত জিমর দখল গহণ কের, তাহেল তার
উপর খারাজ ওয়ািজব হেব।

এ হল ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মত। েকননা, খারাজই কািফেরর অবসার উপযুক।

174
ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত তার উপর িদগণ উশর ওয়ািজব হেব। তেব খারােজর বযয় েকেত তা বযয় করা
হেব। এ িসদান িতিন িদেয়েছন তাগিলবীর উপর িকয়াস কের।

েকননা, আমূল পিরবতরেনর েচেয় এিটই হল সহজ বযবসা।

ইমাম মুহামদ (র.) এর মেত এিট পূবর অবসার উপর উশরী থাকেব। েকননা, এিট জিমর দায় রেপ সাবযস হেয়
েগেছ, সুতরাং তা পিরবিতরত হেব না, েযমন খারাজ পিরবিতরত হয় না।

অবশয এক বণরনা মেত গৃহীত অথর যাকাত-সাদকা খােত বযয় হেব। আর অনয বণরনা মেত খারােজর খােত বযয়
হেব। উক নাসরানীর িনকট হেত েকান মুসলমান যিদ েশাফ’আ বেল েস জিম লাভ কের িকংবা িবিক ফািসদ
হওয়ার কারেণ তা িবেকতােক েফরত েদওয়া হয়, তেব তা পূেবরর মেতা উশরী হেয় যােব।

পথম সুরেত কাূূ্ রণ


এ ই েয, িবকেয়র বযাপারিট শফার দাবীদােরর িদেক পিরবিতরত হেয় যায়। সুতরাং েস েযন
মুসলমােনর িনকট েথেকই কয় কেরেছ।

িদতীয় সুরেত কারণ এই েয, তিটর কারেণ িবকয় পতযাহার করা এবং িবিকত বস েফরত দােনর মাধযেম ধের
েনয়া হেব েযন ‘িবকয়’ সংঘিটতই হয়িন।

তাছাড়া আেরকিট কারণ এই েয, েযেহতু (তিটপূণর িবকেয়র কারেণ) িবিকত বসিট েফরত দান করা কতরবয,
েসেহতু এই কেয়র কারেণ মুসিলম িবেকতার হক তা েথেক িবিচন হয়িন।

ইমাম মুহামদ (র.) বেলন, যিদ েকান মুসলমােনর শাসক কতৃরক বরাদকৃত বাড়ী থােক আর েস েসিটেক বাগােন
পিরণত কের েফেল, তাহেল তার উপর উশর ওয়ািজব হেব।

অথরাত যিদ উশরী পািন দারা বাগান েসচ িদেয় থােক। পকানের যিদ খারাজী পািন দারা বাগােন েসচ িদেয় থােক
তাহেল তার উপর খারাজ ধাযর হেব। েকননা এ ধরেনর েকেত পািন েসেচর সােথ আিথরক দায় সমৃক।

িনজস বাস ভবেনর জনয মাজুসীর (অিগপূজেকর) উপর েকান কর েনই। েকননা উমর (রা.) বাসভবন সমূহেক
করমুক েরেখেছন।

যিদ েস তার বাড়ী বাগােন পিরণত কের, তেব তােত খারাজ ধাযর হেব।

এমন িক উশরী পািন দারা েসচ দান করেলও। েকননা উশেরর মােঝ ইবাদেতর িদক িবদযমান থাকার কারেণ তার
উপর উশর ওয়ািজব করা সমব নয়। তাই খারাজই িনধরািরত হেব। আর খারাজ এক পকার শািস, যা তার উপর
অবসার উপেযাগী।

সােহবাইেনর নীিতর উপর িকয়ােসর চািহদা হল উশরী পািনর েসেচর েকেত উশরই ওয়ািজব হেব।

তেব ইমাম মুহামদ (র.) এর মেত একিট উশর ওয়ািজব হেব। পকানের ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত
দ’িট উশর ওয়ািজব হেব। পূেবর এর কারণ বিণরত হেয়েছ।

175
উশরী পািন অথর বৃিষর পািন, কুয়া, ঝনার ও ঐ সকল নদনদীর পািন, যা কােরা িনয়নণাধীন নয়। আর খারাজী
পািন অথর েয সকল খাল আজমীয়া খনন কেরেছ জায়হূন, সাযহূন, দজলা ও ফুরােতর পািন ইমাম মুহামদ (র.)
এর মেত উশরী। েকননা এগেলা কােরা রকণােবকেণ েনই। েযমন, সমুেদর পািন।

ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত এগেলা খারাজী পািন। েকননা এর উপর েনৌকা ইতযািদ দারা পুল ৈতরী করা
হয়, যা তার উপর িনয়নেণর পমাণ।

তাগিলবী পুরেষর জিমেত যা ধাযর হয়, তাগিলবী িশশ ও সীেলােকর জিমেতও তা ধাযর হেব। অথরাত উশরী জিমেত
িদগণ উশর এবং খারাজী জিমেত একিট খারাজ। েকননা তােদর সংেগ (এই মেমর) সমেঝাতা হেয়িছল েয,
সাদাকা িদগণ করা হেব। িনছক আিথরক দায় িদগণ করা হেব না।

সুতরাং েযেহতু মুসিলম িশশ ও নারীর উপর উশর ওয়ািজব হেয় থােক, তাই তাগিলবী িশশ ও নারীর উপরও তা
িদগণ রেপ ধাযর হেব।

উশরী জিমেত পাপ আলকাতরা বা েতেলর কূেপ িকছু ধাযর করা হেব না। এটা তখনই হেব, যখন আলকাতরা ও
ৈতল কূেপর চারপাশর চােষাপেযাগী হয়। েকননা, খারােজর সমকর জিমর চােষাপেযািগতার সংেগ।

ষষ অনুেচদ
যাকাত-সাদাদা কােক েদয়া জাইয বা জাইয নয়
িহদায়া গনকার বেলন, এ সমেকর মূল হেলা আলাহ‌ তা’য়ালার বাণীঃ

সাদাকা হেলা দিরদেদর জনয, িনঃসেদর জনয সাদাকা উশেলর কােজ িনেয়ািজতেদর জনয, ঐ েলাকেদর জনয যােদর
িচত আকষরণ করা হয়। দাস মুিকর জনয, ঋণগসেদর জনয, আলাহ‌র রাসায় িনেয়ািজতেদর জেনয এবং মুসািফেরর
জনয। এটা আলাহ পক হেত ফরযকৃত । আর আলাহ সবরজানী ও মহা পজাবান(৯ জ ৬০)।

এই হল আট পকার। তার মধয েথেক ‘যােদর িচত আকষরণ করা হয়’ েস েশণীিট বাদ পেড়েছ। েকননা, আলাহ‌
তা’আলা ইসলামেক মযরাদা দান কেরেছন এবং তাদের েথেক অমুখােপকী কের িদেয়েছন। এর উপর ইজমা
অনুিষত হেয়েছ।

ফকীর ঐ বযিক, যার সামানয পিরমাণ িজিনস রেয়েছ। আর িমসকীন ঐ বযিক, যার িকছুই েনই। এ বযাখযা
ইমাম আবূ হানীফা (র.) েথেক বিণরত। েকউ েকউ এর িবপরীত বণরনা কেরেছন।

উভয়িট যুিক রেয়েছ। আবার এরা সতন দই েশনী িকংবা একই েশণী। ওসীয়ত অধযােয় ইনশালাহ‌ এ িবষেয়
আেলাচনা করেবা।

176
যাকাত উসূেলর জনয িনেয়ািজত বযিকেক শাসক তার কােজর পিরমাণ অনুসাের পািরশিমক পদান করেবন। এবং
এই পিরমাণ দান করেবন, যা তার ও তার অধীনসেদর (জীিবকার) জনয যেথষ হয়। তা অষমাংেশ সীমাবদ নয়।
ইমাম শািফঈ(র.) িভনমত েপাষণ কেরন।

কারণ েস যাকােতর হকদার হেয়েছ দািয়ত পালেনর সূেত। এ জনযই িনেয়ািজত বযিক ধনী হেলও তা গহণ করেত
পাের। তেব েযেহতু তাত যাকাত িকিঞত ছাপ রেয়েছ, েসেহতু রাসূলুলাহ(সা.) এর খানানেক ময়লার সেনহ
েথেকও পিবত রাখার জনয হােশমী পিরবােরর েকান িনেয়ািজত বযিক যাকােতর অথর েথেক পািরশিমক গহণ করেত
পারেব না।

পকানের মযরাদার েযাগয হওয়ার েকেত ধনী বযিক হােশমীর সমতুলয নয়। সুতরাং তার েকেত সামানয সেনহ
িবেবচয নয়।

দাসমুিকর অথর এই েয, মুকাতােবক দাসেতর শৃঙল েথেক মুিক লােভর জনয সাহাযয করা।

রাসূলুলাহ‌ (সা.) েথেক এ বযাখযাই বিণরত হেয়েছ।

ঋণগস হেলা ঐ বযিক, যার উপর ঋণ রেয়েছ এবং েস ঋেণর পিরমাণ েথেক েবশী িনসােবর মািলক নয়।

ইমাম শািফঈ(র.)-এর মেত হেলা ঐ বযিক, েয দ’জেনর মােঝ সমীিত পিতষা করেত িগেয় িকংবা দই েগােতর
মােঝ শততা িবদূিরত করেত িগেয় আিথরক দায় বহন করেছ।

আলাূূ ্ হ‌র র াসায় িনেয়ািজত বযিক ইমাম আবূ ইউসূেফর মেত ঐ মুজািহদ, েয সমদহীন হেয় পেড়। েকননা
িনঃশতরভােব বযবহার করেল সাধারণতঃ মুজািহদেকই বুঝায়।

ইমাম মুহামদ(র.)এর মেত, এর অথর হেজর সফের অভাবগস বযিক। েকননা, বিণরত আেছ েয, এক বযিক তার
উট আলাহর রাসায় দান করায় িনয়ত কেরিছেলন। তখন রাসূলুলাহ‌ (সা.) এর উপর তােক েকান হজ যাতীেক
আেরাহণ করােনার িনেদরশ িদেয়িছেলন।

ধণী মুজািহদেক দান করা যােব না। েকননা দিরদরাই হেলা যাকােতর হকদার।

(মুসািফর) অথর ঐ বযিক, িনেজর আবাসসেল যার অথর রেয়েছ; িকন েস অনয সােন রেয়েছ, েযখােন তার হােত
িকছুই েনই।

ইমাম কুদূরী (র.) বেলন, এই (আটিট) েশণীগেলা যাকােতর অথর বযেয়র েকত । সুতরাং মািলেকর ইখিতয়ার
আেছ যাকােতর অথর পিতিট েশণীেত পদান করার িকংবাূূ
্ ূূ ে য ে ক া নএকিটেশণীরমেধযদানকরার।

ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, পেতযক েশণীর (অনতঃ) িতনজনেক পদান না করেল যাকাত আদায় হেব না। েকননা
অবযেয়র দারা সমেনর মাধযেম অিধকার সাবযস হয়।

177
আমােদর দলীল এই েয, এই সমন িনছক এ কথা বণরনা করার জনয েয, এরা হেলা যাকাত পদােনর েকেত
হেয়েছ। সুতরাং েকেতর িবিভনতার পিত লকয করা হেব না। আর আমরা েয মত গহণ কেরিছ, তা উমর ও
ইব‌ন আবাস(রা.) েথেক বিণরত।

েকান িযমীর যাকাত পদান করা জাইয নয়। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) মু’আয (রা.) েক বেলেছনঃ যাকাত
মুসলমানেদর ধণীেদর কাছ েথেক গহণ কেরা এবং তােদর দিরদেদর মােঝ িফিরেয় দাও।

যাকাত ছাড়া অনযানয সাদাকা তােক েদয়া যােব।

যাকােতর উপর িকয়াস কের ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, (অনযানয সাদাকাও িযমীেক) েদয়া যােব না। এিট ইমাম
আবূ ইউসূফ (র.) েথেক পাপ একিট বণরনা।

আমােদর দলীল হেলা রাসূলুলাহ‌ (সা.) এর হাদীছ- সকল ধেমরর েলাকেক সাদাকা পদান কেরা।

মু’আয (রা.) এর হাদীছ না হেল যাকাত পদানও আমরা জাইয বলতাম।

যাকােতর অথর দারা মসিজদ ৈতরী করা যােব না এবং তা দারা মাইেয়েতর কাফন েদওয়া যােব না। েকননা এখােন
মািলক বানােনা অনুপিসত। অথচ এটাই যাকাত আদােয়র রকন।

যাকােতর অথর দারা েকান মাইেয়েতর ঋণ আদায় করা যােব না। েকননা অেনযর ঋণ আদায় করা ঋণী বযিকেক
মািলক বানােনা পমাণ কের না, িবেশষতঃ ঋণী মাইেয়েতর েকেত।

যাকাতের অথর দারা আযাদ করার জনয েকান দাস কয় করা যােব না।

ইমাম মািলক (র.) িভনমত েপাষণ কেরন। িতিন আলাহ‌র বাণী – েগালাম আযাদ করােনা। এর বযাখযা
কেরেছন।

আমােদর দলীল এই েয, এরপ আযাদ করার দারা (েগালাম েথেক) মািলকানা রিহত হয় (েগালামেক ) মািলক
বানােনা হয় না। (অথচ মািলক বানােনা যাকােতর রকন)।

ধনীেক যাকাত েদয়া যােব না। েকননা, রাসূলুলাহ‌ (সা.) বেলেছন- েকান ধণীর জনয সাদাকা হালাল নয়।

এ িনেদরশ বযাপক হওয়ার কারেণ এ হাদীছ মালদার মুজািহেদর বযাপাের ইমাম শািফঈ (র.)-এর িবপেক আমােদর
দলীল। তদপ আমােদর বিণরত মু’আয (রা.) এর হাদীছও (তার িবপেক দলীল)।

ইমাম কুদূরী বেলন, যাকাত আদায়কারী তার িপতা ও িপতামহেক যত উধরতনই েহাক, তদপ
্ আপন পুত

্ ্ বং
পুেতর পুতেক যত অবঃসনই েহাক, যাকাত িদেত পারেব না। েকননা, মািলকানার লাভালাভ তােদর মােঝ
ওতেপাতভােব জিড়ত পূণররেপ। সুতরাং মািলক বানােনা সাবযস হেব না।

আপন সীেকও িদেত পারেব না। েকননা সাধারণতঃ উপকার গহেণ (তােদর মােঝ) অংশীদািরত রেয়েছ।

178
ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মেত সী তার সামীেক যাকাত িদেত পারেব না, উেলিখত কারেণ।

আর সােহবাইন বেলন, তােক িদেত পারেব। েকননা রাসূলুলাহ‌(সা.) বেলেছন- েতামার জনয রেয়েছ দ’িট পিতদান
ঃ ঃসাদাকারপিতদান এবং সজেনর সহানুভূিতর পিতদান ।

ইবন মাস’উদ (রা.) এর সী ইব‌ন মাস’ঊদ (রা.) েক সাদাকা পদান সমেকর তােক িজজাসা করেল িতিন একথা
বেলিছেলন।

আমরা এর উতের বিল, আেলাচয হাদীছ নফল সাদাকার উপর পেযাজয।

ইমাম কুদূরী (র.) বেলন, আপন মুদাবার, মুকাতাব এবং উমু ওয়ালােক যাকাত িদেত পারেব না। েকননা, এ
সকল েকেত তামলীক (বা মািলক বানােনা) অনুপিসত। েযেহতু দাসদাসীর যাবতীয় উপাজরন তার মিনেবর
মুকাতােরব উপাজরেনও মিনেবর অিধকার রেয়েছ। সুতরাং পূণর রেপ তােত মািলক বানােনা হয় না।

আর এমন েগালামেকও িদেত পারেব না, যার একাংশ আযাদ করা হেয়েছ।

এটা ইমাম আবূ হানীফা (র.)-এর মত। েকননা, তার িবেবচনায় উক েগালাম মুকাতােবর পযরায়ভূক।

আর সােহবাইেনর বেলন, তােক েদওয়া যােব। েকননা, তােদর মেত সাধীন ঋণগস।

েকান ধনীর দাসেক যাকাত িদেব না। েকননা, মািলকানা তার মিনেবর জনযই সাবযস হেয় থােক।

আর েকান ধনীর নাবােলগ সনানেক িদেব না। েকননা, তােক তার িপতার সমেদর কারেণ ধণী গণয করা হয়।
তেব সাবালক দিরদ সনানেক েদওয়া যােব। েকননা, িপতার সচলতার কারেণ তােক মালদার গণয করা হয় না।
যািদও (িবেশষ কারেণ) তার ভরণ-েপাষণ তার িপতার িযমায় থােক। আর ধনী েলােকর সীর হকুম এর িবপরীত।
েকননা েস িনেজ দিরদ হেল সামীর সচলতার কারেণ তােক ধনী িবেবচনা করা হয় না। আর ভরণ েপাষেণর
পিরমাণ দারা েস মালদার গণয হেব না।

আর হািশমী বংেশর কাউেক যাকাত িদেব না। েকননা রাসূলুলাহ‌ (সা.) বেলেছন-

েহ হািশমীগণ! আলাহ তা’আলা েতামােদর জনয মানুেষর এেটা পািন এবং তােদর ময়লা হারাম কেরেছন এবং তার
িবিনমেয় েতামােদরেক পঞম ভােগর পঞমাংশ দান কেরেছন।

তেব নফল দান তােদর েদয়া যােব । েকননা এ েকেত সমদ হেলা পািনর মেতা। ফরয আদায় করার কারেণ
তা ময়লা হেয় যায়। আর নফল দান হেলা শীতলতা লাভ করার জনয পািন বযবহার করার মেতা।

ইমাম কুদরূ ী (র.) বেলন, হািশমীগণ হেলন আলী (রা.) ‘আবাস (রা.) জা’ফর (রা.) আকীল (রা.) ও হািরস
ইব‌ন আবদল মুতািলব (রা.)-এর পিরবারগণ এবং তােদর আযাদকৃত েগালামগণ। েকননা এরা সকেল হািশম
ইেব‌ন আবেদ মুনাফ এর সংেগ সমৃক। আর হািশম েগােতর পিরচয়ও তার সােথই সমৃক। তােদর আযাদকৃত
েগালামেদর েকেত কারণ এই েয, বিণরত আেছ, রাসূলুলাহ‌ (সা.) এর আযাদকৃত েগালাম (আবূ রােফ) একবার

179
তােক িজজাসা করেলন, আমার জনয িক সাদাকা হালাল হেব? িতিন বলেলন, না, তুিম েতা আমােদর
মাওলা(আযাদকৃত)।

পকানের েকান কুরায়শী যিদ েকান নাসরানী েগালামেক আযাদ কের তেব তার িনকট হেত িজয‌যা গহণ করা হেব।
এবং এ েকেত আযাদকৃত বযিকর অবসাূূ ্ য়ই
ি ব েবচনা করা হেব। েকননা এটাই িকয়াস ও যুিকর দাবী।
পকানের মিনেবর সংেগ যুক করার িবষয়িট সাবযস হেয়েছ হাদীছ দারা আর হাদীেছ িবেশষভােব সাদাকােকই উেলখ
করা হেয়েছ।

ইমাম আবূ হানীফা ও মুহামদ(র.) বেলন, যিদ েকান বযিকেক দিরদ মেন কের যাকাত িদেয় থােক এবং পের
পকাশ পায় েয, েস সচল বযিক বা হািশমী পিরবােরর েলাক বা কািফর, িকংবা অনকাের যাকাত পদান রেয়েছ,
িকন পের পকাশ েপল েয, েলাকিট তার িপতা িকংবা ভাই, তাহেল তার জনয পুনঃ যাকাত পদান জররী নয়।
ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) বেলন, তার জনয পুনঃ যাকাত পদান জররী। েকননা, সুিনিশত ভােব তার ভুল পকাশ
েপেয়েছ। অথচ এ িবষয়গেলা েজেন েনওয়া তার পেক সমব িছেলা। িবষয়িট পাত ও বেসর হকুেমর অনুরপ হেয়
েগল।

ইমাম আবূ হানীফা ও মুহামদ (র.) এর দলীল হেলা মা’আন ইব‌ন ইয়াযীদ এর হাদীছ।

েকননা, নবী কিরম (সা.) এ পসংেগ বেলেছন- েহ ইয়াযীদ, তুিম যা িনয়যত কেরেছা, তা তুিম পােব। আর েহ
মা’আন, তুিম যা িনেয়েছা তা েতামার।

ঘটনা িছেলা এই েয, মা’আন (রা.)-এর আবা ইয়াযীদ এর ওয়াকীল তার সাদাকার অথর তার পুত মা’আন েক
পদান কেরিছেলন।

তাছাড়া এ সমস িবষয় অবগত হওয়া ইজিতহাদ ও িচনা-ভাবনার মাধযেম হেয় থােক। িনিশত হওয়া সমব নয়।
সুতরাং এ েকেত িচনা-ভাবনার পর যা িসরীকৃত হয় তার উপরই িবষয়িট িনভররশীল হেব। েযমন যখন িকবলার
িদক তার জনয সেনহযুক হয়।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) েথেক বিণরত আেছ েয, মালদার ছাড়া অনযানয েকত গেলােত পদত যাকাত যেথষ হেব
না। (পুনরায় যাকাত পদান করেত হেব)।

তেব পথেমাক মতই হেলা জািহরী িরওয়ায়াত। এ িসদান তখনই হেব, যখন েস িচনা-ভাবনা কের যাকাত পদান
কের আর তার পবল ধারণা হেয় থােক েয, েলাকিট যাকােতর উপযুক পাত। পকানের যিদ তার সেনহ হেয় থােক
অথচ িচনা না কের থােক, িকংবা িচনা কের পদান কেরেছ, অথচ তার পবল ধারণা হেয় িছেলা েয, েস যাকােতর
উপযুক পাত নয়; তেব পদত যাকাত গহণেযাগয হেব না, তেব যিদ পের েস জানেত পাের েয, েস দিরদ। এটাই
িবশদ মত।

180
যিদ েকান বযিকেক যাকাত পদােনর পর জানেত পাের েয, েস তার িনেজর েগালাম িকংবা মুকাতাব িছল, তাহেল
পদত যাকাত যেথষ হেব না। েকননা এ েকেত মািলক বানােনা অনুপিসত। কারণ (তােদর মেধয) মািলকানার
েযাগযতা েনই, অথচ পুেবর আেলাচনা করা হেয়েছ েয, মািলক বানােনা হেলা যাকাত আদােয়র রকন।

েয বযিক েয েকান মােলর িনসাব পিরমােণর মািলক হেব, তােক যাকাত পদান করা জাইয নয়। েকননা
শরীআেতর পিরভাষায় মালদার হওয়া িনসাব দারাই িনধরারণ করা হেয়েছ। তেব শতর এই েয, এ িনসাব তার
েমৌিলক পেয়াজন েথেক উদৃত হেত হেব।

সমেদর বধরনশীলতার গণিট হেলা যাকাত ওয়ািজব হওয়ার শতর।

িনসােবর কম পিরমাণ মােলর অিধকারীেক যাকাত পদান করা জাইয, যিদও েস সুস ও উপাজরণেযাগয হেয় থােক।
েকননা েস দিরদ, আর দিরদরাই হেলা যাকােতর েকত।

তাছাড়া েযেহতু পকৃত পেয়াজন সমেকর অবগত হওয়া সমব নয়, েসেহতু পেয়াজেনর পমােণর উপর হকুম
আবিতরত হেব। আর পমাণ হেলা িনসাব পিরমাণ মাল না থাকা।

এক বযিকেক দ’শ িদরহাম বা তার েবশী পদান করা মাকরহ। তেব যিদ পদান কের তেব জাইয হেব।

ইমাম যুফার (র.) বেলন, জাইয হেব না। েকননা তার সচলতা যাকাত পদােনর সংেগ যুক হেয় যায়। সুতরাং
মালদার বযিকেক যাকাত েদওয়া হেয় েগল।

আমােদর যুিক এই েয, মালদার হওয়া যাকাত পদােনর ফল, সুতরাং তা যাকাত পদােনর পেরই সাবযস হেব, তেব
সচলতাটা যাকাত আদােয়র অিত িনকটবতরী হওয়ার কারেণ তা মাকরহ হেব।

েযমন েকউ নাজাসােতর পােশ দািড়েয় সালাত আদায় করল।

ইমাম মুহামদ (র.) বেলন, যাকাত পদান কের এক বযিকেক সচল কের েদওয়া আমার িনকট পসননীয়।

এর অথর হেলা সওয়াল করার পেয়াজন েথেক তােক মুক কের েদওয়া । েকননা এেকবােরই মালদার কের েদওয়া
মাকরহ।

এক শহর েথেক অনয শহের যাকাত সানানিরত করা মাকরহ। বরং পেতযক সমােজর সাদাকা তােদর (দিরদেদর)
মােঝই বনন করা হেব।

দলীল হেলা আমােদর পূবর বিণরত মু’আয (রা.) এর হাদীছ। তাছাড়া এেত পিতেবশতার হক রকা হয়।

তেব মানুষ তার িনকটাতীয়েদর কােছ যাকাত পাঠােত পাের িকংবা এমন জনেগাষীর কােছ পাঠােত পাের, যােদর
পেয়াজন তার শহেরর েলাকেদর েচেয় েবশী।

181
েকননা, এেত আতীয়তার হক রকার িকংবা অিধক পিরমাণ পেয়াজন দূর করার িবষয় রেয়েছ। তেব এেদর বযতীত
অনযেদর িনকট সানানিরত করেলও যাকাত আদায় হেয় যােব। যিদও তা মাকরহ। েকননা শরীআেতর িবধােন
যাকােতর েকত িনঃশতরভােব েয েকান দিরদ। আলাহ‌ই অিধক জােনন।

সপম অনেচদ
সাদাকাতুল িফতর
ইমাম কুদরূ ী (র.) বেলন, সাদাকাতুল িফত‌র ওয়ািজব েস সাধীন মুসলমােনর উপর, েয িনসাব পিরমাণ মােলর
মািলক হয় এবং তা তার বাসসান, বস, বযবহািরক সামগী, েঘাড়া, অস ও দাসদাসীেদর েথেক অিতিরক হয়।

ওয়ািজব হওয়ার দলীল এই েয, রাসূলুলাহ‌(সা.) তার খুতবায় বেলেছন- পেতযক সাধীন ও েছাট বা বড় দাস
বযিকর পক হেত অধর সা’আ গম িকংবা এক সা’আ যব আদায় কেরা।

ছা’আলাবা ইব‌ন দ’আয়র আল-আদাবী এ হাদীছ বণরনা কেরেছন। আর এ ধরেণর হাদীছ দারা ওয়ািজব সাবযস
হয়। অকাটয না হওয়ার কারেণ(ফরয সাবযস হয় না)।

সাধীনতার শতর আেরাপ করা হেয়েছ মািলকানা সাবযস হওয়ার জনয। আর ইসলােমর শতর আেরাপ করা হেয়েছ
েযন কাজিট ইবাদত িহসােব পিরগিণত হয়। সচলতার শতর আেরাপ করা হেয়েছ, েকননা রাসূলুলাহ‌(সা.)
বেলেছন- মালদার ছাড়া সাদাকা আেরািপত হয় না।

এ হাদীছ ইমাম শািফঈ(র.) এর িবপেক দলীল। তার বকবয হল, েয বযিক িনেজর ও পিরবােরর এক িদেনর
আহার সামগীর অিতিরক মােলর অিধকারী হেব তার উপর সাদাকােয় িফত‌র ওয়ািজব হেব।

সচলতার পিরমাণ িনধরারণ করা হেয়েছ িনসাব দারা। েকননা শরীআেত িনসাব দারাই মালদারী সাবযস হয়, যা
উপেরাক িজিনসগেলা েথেক অিতিরক থােক। েকননা েসগেলা েমৌিলক পেয়াজেন দায়বদ। আর েমৌিলক
পেয়াজেন দায়বদ িজিনসেক অিসতহীন ধের েনয়া হয়।

এ িহসােবর বধরনশীলতার শতর েনই। আর এই িনসােবর সংেগ সাদাকা গহেণর অেযাগযতা এবং কুরবানী ও
সাদকাতুল িফত‌র ওয়ািজব হওয়ার সমকর রেয়েছ।

ইমাম কুদরূ ী(র.) বেলন, ছাদাকাতুল িফত‌র েস আদায় করেব িনেজর পক েথেক। েকননা ইব‌ন উমর (রা.)
বিণরত হাদীেছ রেয়েছঃ রাসূলুলাহ‌(সা.) সী ও পুরেষর উপর সাদাকাতুল িফত‌র ফরয কেরেছন।

আর আদায় করেব িনেজ অপাপ বয়স সনানেদর পক েথেক। েকননা, সাদাকাতুল িফত‌র ওয়ািজব হওয়ার
(কারণ) হেলা েস সব বযিক, যার েস ভরণ-েপাষণ ও পিতপালন কের। েকননা সাদাকা বযিকর সংেগ সমিকরত

182
করা হয় এবং বলা হয় অথরাত বযিকর যাকাত। আর সমনই হল সবব বা কারণ হওয়ার আলামত। তেব ঈদল
িফত‌র এর িদেক সমন কের সাদাকাতুল িফত‌র বলা হয় এই িহসাব েয, তা হেলা সাদাকাতুল িফতেরর সময়।

েযেহতু বযিকই হেলা সাদাকাতুল িফতর ওয়ািজব হওয়ার কারণ, েসেহতু িদন একিট হওয়া সেতও বযিক িবিভন
হওয়ার কারেণ সাদাকাতুল িফত‌র িবিভন হেয় থােক।

তেব সাদাকা ওয়ািজব হওয়ার েকেত মূল হেলা তার িনজ সতা। েকননা, িনেজর সতার েস পিতপালন ও ভরণ-
েপাষণ কের থােক। সুতরাং তার সংেগ তারা যুক হেব যারা তার পযরায়ভূক। েযমন তার অপাপ বয়স সনানগণ।
েকননা েস-ই তােদর পিতপালন ও ভরণ-েপাষণ কের থােক।

আর আদায় করেব আপন েগালামেদর পক েথেক। েকননা (এেদর েকেতও) ভরণ-েপাষণ ও পিতপালন িবদযমান
রেয়েছ।

অবশয েগালােমর পক েথেক িফতরা তখনই ওয়ািজব হেব, যখন তারা িখদমেতর জনয হয়, এবং অপাপ বয়সেদর
পক েথেক, যখন তােদর িনজস সমদ না থােক। আর যিদ তােদর মাল থােক, তেব ইমাম আবূ হানীফা ও ইমাম
আবূ ইউসূফ(র.) এর মেত তােদর মাল েথেকই েফতরা আদায় করেব।

ইমাম মুহামদ (র.) িভনমত েপাষণ কেরন। েকননা, শরীআত এটােক আিথরক দায়-দািয়েতর পযরায়ভূক
কেরেছন। সুতরাং তা ভরন-েপাষেণর সদৃশ হেলা।

আর তার সীর পক েথেক আদায় করেত হেব না। েকননা অিভভাবক ও আিথরক দািয়ত অসমূণর। কারণ িববাহ
সমিকরত হকসমূহ ছাড়া অনয েকান িবষেয় েস তার অিভভাবকেতর অিধকারী নয়। এবং িনধরািরত িবষয় ছাড়া
অনয েকান িবষেয় েস তার আিথরক দায় বহন কের না। েযমন, ঔষধপেতর বযয়।

তদপ তার পাপ বয়স সনানেদর পক েথেক আদায় করেত হেব না, যিদও তারা তার পিরবারভুক। েকননা তােদর
েকেত ‘অিভভাবকত’ েনই।

তেব তােদর পক েথেক িকংবা তার সীর পক েথেক তােদর সমিত ছাড়া যিদ েস আদায় কের েদয়, তাহেল তােদর
পক েথেক আদায় হেয় যােব। এটা সূক িকয়ােসর দাবী। েকননা, তােদর সমিত থাকাটাই সাভািবক।

তদপ আপন মুকাতােবর পক েথেকও আদায় করেত হেব না। েকননা, অিভভাবকত িবদযমান েনই।

মুকাতাব িনেজও তার পক হেত আদায় করেব না। েকননা, েস দিরদ।

মুদাবার ও উমু ওয়ালামােদর উপর মিনেবর অিভভাবকত িবদযমান রেয়েছ। তাই েস তােদর পক হেত িফতরা
আদায় করেব।

আর তার বযবসােয়র েগালামেদর পক েথেকও আদায় করেত হেব না।

183
ইমাম শািফঈ (র.) িভনমত েপাষণ কেরন। তার মেত সাদাকাতুল িফত‌র ওয়ািজব হেয় েগালােমর উপর আর
যাকাত ওয়ািজব হয় মিনেবর উপর। সুতরাং একিট আর একিটর পিতবনক হেব না।

আমােদর মেত যাকােতর মত েগালােমর কারেণ সাদাকাতুল িফত‌রও মিনেবর উপর ওয়ািজব সাবযস হয়। যােত তার
উপর দ’িট ওয়ািজব আেরািপত হেয় যায়। (যা শরীআত িবিধ বিহভূতর )।

একিট েগালাম দ’জন মিনেবর মােঝ শরীক হেল কােরা উপর িফতরা ওয়ািজব হেব না। েকননা তােদর পেতযেকর
অিভভাবকত ও ভরন-েপাষণ অসমূণ। র

তদপ দ’জেনর মােঝ বহ েগালাম শরীকানায় থাকেল (কােরা উপরই িফত‌রা ওয়ািজব হেব না)।

এ হল ইমাম আবূ হানীফা(র.)-এর মত।

আর সােহবাইন বেলন, পেতযেকর িহস‌সায় েয ক’িট পূণর মাথা আসেব, পেতযেকর উপর েসগেলার িফতরা ওয়ািজব
হেব, ভগাংশিটর উপর নয়।

এই মতাৈনেকযর িভিত এই েয, ইমাম আবূ হানীফা (র.) েগালামেদর ভােগর পিত লকয কেরন না, আর
সােহবাইন তা ভােগর পিত লকয কেরন।

েকান েকান মেত এটা (কােরা উপর ওয়ািজব না হওয়া) সবরসমত মাযহাব। েকননা, তাকসীেনর পূেবর িহস‌সা
একত হয় না। সুতরাং দ’জেনর কােরারই েকান েগালােমর উপর মািলকানা পূণর হেলা না।

মুসলমান তার কািফর েগালােমর পক েথেক িফতরা আদায় করেব। এর দলীল হল আমােদর পূবর বিণরত িহস‌সা
একত হয় না। সুতরাং দ’জেনর কােরারই েকান েগালােমর উপর মািলকানা পূণর হেলা না।

মুসলমান তার কািফর েগালােমর পক েথেক িফতরা আদায় করেব। এর দলীল হল আমাদের পূবর বিণরত মুতলক ও
িনঃশতর হাদীছ।

তাছাড়া হযরত ইব‌ন ‘আবাস (রা.) বিণরত হাদীেছ রাসূলুলাহ(সা.) বেলেছন- পেতযক সাধীন ও দােসর পক
েথেক আদায় কর, েস দাস ইয়াহূদী থাক িকংবা নাসরানী িকংবা মাজুসী েহাক।

তাছাড়া যুিকগত পমাণ এই েয, সাদাকাতুল িফতেরর সবব সাবযস হেয় েগেছ আর মিনব িফতরা আেরােপর
েযাগয।

এেকেত ইমাম শািফঈ(র.) িভনমত েপাষণ কেরন। েকননা তার মেত িফতরা ওয়ািজব হয় েগালােমর উপর।
আর েস িফতরা ওয়ািজব হওয়া েযাগয নয়। যিদ িবষয়িট িবপরীত হয় তেব সবর সমিতকেমই িফতরা ওয়ািজব হেব
না।

গনকার বেলন, যিদ েকউ একিট েগালাম িবিক কের আর তা উভেয়র মেধয একজেনর ইখিতয়ার থােক, তেব
েগালাম অবেশেষ যার হেব, িফতরা তার উপরই ওয়ািজব হেব।

184
অথরাত যিদ ইখিতয়ার বািক থাকা অবসায় ঈদল িফতেরর িদন অিতবািহত হয়।

যুফার(র.) বেলন, যার অনুকূেল ইখিতয়ার থাকেব, তার উপরই িফতরা ওয়ািজব। েকননা, তারই অিধকারভূক
রেয়েছ।

ইমাম শািফঈ(র.) বেলন, মািলকানা যার জনয সাবযস (অথরাত েকতা) তার উপরই িফতরা ওয়ািজব। েকননা,
এটা মািলকানা সমিকরত িবষয়। েযমন ভরন-েপাষেণর বযাপার। আমােদর যুিক এই েয, (এমতাবসায়)
মািলকানা সািগত থােক। েকননা যিদ (েকতা) িফিরেয় েদয় তেব তা িবেকতার মািলকানায় িফের আসেব।
পকানের িবকয় যিদ বহাল রােখ, তেব চুিকর সময় হেতই মািলকানা সাবযস হেব। সুতরাং মািলকানার উপর েয
িজিনেসর িভিত-েসটাও সিগত থাকেব। ভরণ-েপাষেণর িবষয়িট এর িবপরীত। েকননা তার তাতকিণক পেয়াজেনর
িভিতেত আেরািপত, যা সিগত রাখা সমব নয়।

বযবসােয়র যাকাত সমেকরও অনুরপ মতেভদ রেয়েছ।

পিরেচদঃ সাদাকাতুল িফতেরর পিরমাণ ও সময়


িফতরার পিরমাণ হেলা অধর সা’আ গম, বা আটা, ছাতু বা িকশিমশ অথবা এক সা’আ েখজুর বা যব।
সােহবাইেনর মেত িকশিমশ যেবর পযরায়ভূক।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) েথেকও এ মত বিণরত আেছ। পথম মতিট িকতােবর বণরনা অনুযায়ী।

ইমাম শািফঈ(র.)-এর মেত উেলিখত সব ক’িট িজিনেসর েকেতই এক সা’আ ওয়ািজব হেব । েকননা আবূ
সাঈদ খুদরী(রা.) তার বণরনায় বেলন, রাসূলুলাহ‌(সা.) এর যামানায় আমরা এই পিরমাণ আদায় করতাম।

আমােদর দলীল হেলা সা’লাবা(রা.) বিণরত হাদীছ যা ইেতাপূেবর আমরা বণরনা কেরিছ। আর এটা একদল সাহাবা ও
মাযহাব, যােদর মােঝ খুলাফােয় রােশদীন(রা.) ও রেয়েছন।

ইমাম শািফঈ (র.) েয হাদীছ বণরনা কেরেছন, তা নফল রেপ অিতিরক দােনর সংেগ সমৃক।

িকশিমশ সমেকর সােহবাইেনর বকবয এই েয, িকশিমশ ও েখজুর উেদেশযর িদক েথেক িনকটবতরী।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) –এর দলীল এই েয, িকশিমশ ও গম গণগত িদেক েথেক িনকটবতরী। েকননা উভয়িট
সবরাংেশ ভকণ করা হয়। অথচ েখজুেরর বীিচ এবং যেবর েখাসা েফেল িদেত হয়। এখান েথেকই গম ও েখজুেরর
মােঝ সুসষ হেয় যায়।

মতেন উেলিখত আটা ও ছাতুর দারা (ইমাম মুহামদ (র.)-এর)উেদশয হেলা গেমর আটা ও ছাতু। যেবর ছাতু
যেবরই েশণীভূক হেব। তেব সতকরতার খািতের উভেয়র মেধয পিরমাণ ও মূলয িবেবচনা করা উতম। যিদও েকান

185
েকান বণরনায় ‘আটা’ কথাটা সষভােব বিণরত হেয়েছ। সাধারণ অবসায় উপর িনভরর কের িকতােব িবষয়িট বণরনা
করা হয়িন।

রিটর েকেত মূলয িবেবচয হেব। এ-ই িবশদ মত।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মেত অধর সা’আ গম পালার ওযেন িবেবচনা করা হেব। আর ইমাম মুহামদ (র.)
এর বণরনা মেত পােতর ধতরবয হেব।

গেমর েচেয় আটা দারা পিরেশাধ করাই উতম। আর িদরহাম দারা আদায় করা আটার েচেয় উতম। এ হল ইমাম
আবূ ইউসূফ(র.) েথেক বিণরত মত। ফকীহ‌ আবূ জাফর এ মতই গহণ কেরেছন। েকননা, এ দারা পেয়াজেন
অিধক ও তরায় সমন হয়।

ইমাম আবূ বকর আল আ’মাশ েথেক অবশয গমেক অগািধকার পদােনর কথা বিণরত হেয়েছ। েকননা, এটা
মতেভদ েথেক অিধক দূরবতরী। কারণ আটা ও মূলয দারা িফতরা আদায় হওয়ার বযাপাের ইমাম শািফঈ (র.) এর
িভনমত রেয়েছ।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) ও মুহামদ (র.) এর মেত এক সা’আ এর পিরমাণ হেচ আট ইরাকী ‘রতল’। আর
ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত পাচ রতল ও এক রতেলর এক-তৃতীয়াংশ।

এটা ইমাম শািফঈ(র.) এরও মত। েকননা, রাসূলুলাহ‌ (সা.) বেলেছন, আমােদর সা’আ হেলা সকল সা’আ এর
মেধয কুদতম।

আমােদর দলীল হেলা বিণরত হাদীছ েয, নবী (সা.) ‘মুদ’ পাত দারা উযূ করেতন যার পিরমাণ িছেলা দই রতল
এবং েগাসল করেতন এক সা’আ দারা, যার পিরমাণ িছেলা আট ‘রতল’। উমরা(রা.) এর সা’আও অনুরপ
িছেলা।

আর হােশমী সা’আ-এর তুলনায় এটা েছাট আর তারা সাধারণত। হািশমী সা’আ-ই বযবহার করেতন।

কুদরূ ী(র.) এর ভাষয, ঈদল িফতেরর িদন ফজর উদয় হওয়ার সােথ িফতরা ওয়ািজব হওয়া সমিকরত।

আর ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, রমযােনর েশষ িদন সূযরােসর সংেগ সমিকরত। সুতরাং েয ঈেদর রােত ইসলাম
গহণ কের িকংবা জনগহণ কের, আমােদর মেত তার উপর িফতরা ওয়ািজব হেব। িকন তার মেত ওয়ািজব হেব
না। আর ঈেদর রােত তার েয েগালাম িকংবা সনান মারা যােব, তােদর েকেত মতামত হল িবপরীত।

তার যুিক এই েয, এটার সমকর হেলা ‘িফতর’ তথা েরাযা ভংেগর সংেগ। আর এ-ই হেলা তার সময়।

আমােদর দলীল এই েয, িফতেরর সােথ সাদাকার সমকর হল িবেশষত পকােশর জনয আর িফতর (বা েরাযা রাখা
না রাখা) এর সমকর হেলা িদেনর সােথ, রােতর সােথ নয়।

186
ঈদল িফতেরর িদন ঈদগায় রওয়ানা হওয়ার পূেবর িফত‌রা আদায় করা মুসতাহাব। েকননা নবী করীম (সা.)
রওয়ানা হওয়ার পূেবরই তা আদায় করেতন।

তাছাড়া যুিকগত দলীল এই েয, সচল কের েদয়ার আেদশ পদােনর উেদশয হেলা, েযন গরীব েলাকিট বযসতায়
িলপ না হেয় পেড়।

এটা আেগভােগ আদায় করার মাধযেমই সমব।

যিদ িফতরা ঈদল িফতেরর আেগই আদায় কের েদয়, তেব জাইয হেব। েকননা সবব (রামাযান) আগমেনর পেরই
েস তা আদায় কেরেছ। সুতরাং আেগ-ভােগ যাকাত আদায় করার অনুরপ হেব।

আর সমেয়র পিরমােণ েকান তারতময েনই। এ-ই িবশদ মত।

যিদ ঈদল িফতেরর িদন আদায় না কের িবলিমত কের, তেব ওয়ািজব রিহত হেব না। বরং তা আদায় করেতই
হেব।

এটা ইবাদত হওয়ার কারণ যুিকসংগত। সুতরাং এ সাদাকার েকেত আদায় করার সময় সীমাবদ হেব না।
কুরবানীর িবষয়িট এর িবপরীত।

আলাহ‌ই অিধক জােনন।

187
188
অধযায়-িসয়াম
ইমাম কুদরূ ী (র.) বেলন, েরাযা দ’পকার। ওয়ািজব ও নফল। আবার ওয়ািজব দ’পকার। এক পকার হেলা
িনধরািরত সমেয়র সােথ সমৃক। েযমন রমযােনর েরাযা এবং িনধরািরত িদেনর মানােতর েরাযা। এই পকার েরাযা
রােত িনয়যত করা দারা জাইয হয়। আর যিদ িনয়যত না কের অথচ েভার হেয় যায়, তাহেল েভার ও যাওয়াল এর
মধযবতরী সমেয় িনয়যত করেলও যেথষ হেব।

িকন ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, তা যেথষ হেব না। েজেন রাখা কতরবয েয, রমযােনর েরাযা হেলা ফরয। েকননা
আলাহ তা’আলা বেলেছন- েতামােদর উপর েরাযা ফরয করা হেয়েছ। তাছাড়া েরাযার ফরয হওয়া সমেকর
‘ইজমা’ সংগিঠত হেয়েছ। এ জনযই রমাযােনর েরাযা অসীকারকারীেক কািফর সাবযস করা হয়।

নযেরর েরাযা ওয়ািজব। েকননা আলাহ‌ তা’আলা বেলেছন- তারা েযন তােদর মানতসমূহ পুরা কের। পথমিটর
সবব হেলা (রমযান) মােসর উপিসিত। এ কারেণই উক েরাযােক মােসর িদেক সেমাধন করা হয় এবং মােসর
পুনরাগমেন েরাযারও পুনরাগমন ঘেট। আর রমাযােনর পিতিট িদবস হেচ েসই িদবেসর েরাযা ওয়ািজব হওয়ার
সবব।

189
িদতীয় পকার েরাযা ওয়ািজব হওয়ার কারণ হেচ মানত করা। আর িনয‌ত হেচ তার জনয শতর। ইনশালাহ এ
িবষেয় সামেন িবশদ আেলাচনা করেবা।

িবেরাধপূণর িবষেয় ইমাম শািফঈ (র.) এর বকেবযর পমাণ হেলা নবী (সা.) এর বাণী- েয বযিক রােত েরাযার
িনয়যত কেরিন, তার েরাযা েনই।

তাছাড়া িনয়যত না থাকার কারেণ েরাযার পথম অংশটুকু যখন ফািসদ হেয় েগেলা তখন িদতীয় অংশটুকুও
অিনবাযরভােব ফািসদ হেয় যােব। েকননা (ফরয) েরাযা িবভিকেযাগয নয়। নফেলর িবষয়িট এর িবপরীত, কারণ
নফল েরাযা তার মেত িবভিকেযাগয।

আমােদর দলীল এই েয, জৈনক েবদঈন চাদ েদখার সাকয পদােনর পর রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- েশান, েয
বযিক পানাহার কের েফেলেছ, েস েযন অবিশষ িদন পানাহার না কের। আর েয পানাহার কেরিন, েস েযন েরাযা
রােখ।

আর ইমাম শািফঈ (র.) বিণরত হাদীছিট পূণরতা ও ফযীলত অিজরত না হওয়ার উপর পেযাজয। িকংবা এর অথর
এই েয, েস এই িনয়যত কেরিন েয, তার েরাযা রাত েথেক শর হেব।

তাছাড়া যুিকগত কারণ এই েয, এটা হেলা েরাযার জনয িনধরািরত িদন। সুতরাং পথমাংেশর পানাহার েথেক িবরত
থাকাটা িবলিমত িনয়যেতর উপর িনভররশীল হেব। যা উক েরাযার অিধকাংেশর সংেগ যুক , েযমন নফেলর েকেত
হেয় থােক।

এই কারণ এই েয, েরাযা হেচ একিট দীঘরািয়ত রকন। আর িনয়যেতর পেয়াজন হেলা েসটােক আলাহ‌র জনয
িনধরারণ করার উেদেশয। সুতরাং আিধেকযর দারা েরাযার অিসেতর িদকিট অগািধকার লাভ করেব।

নামায ও হেজর িবষয়িট এর িবপরীত। েকননা নামায ও হজ হেচ কেয়কিট রকন সমিনত। সুতরাং ইবাদত
দিট আদােয়র সংঘটেনর সমেয়র সংেগ িনয়যত যুক হওয়া জররী।

কাযা েরাযার িবষয়িট এর িবপরীত। েকননা, তা ঐ িদেনর েরাযার উপর িনভররশীল। আর ঐ েরাযািট হেলা
নফল।

যাওয়ােলর পের িনয়যত করার িবষয়িট এর িবপরীত। েকননা, েসেকেত েরাযার িনয়যতিট িদেনর অিধকাংেশর সংেগ
যুক হয়িন। ফেল েরাযা ফউত হওয়ার িদকিট অগািধকার লাভ করেব।

মুখতাসারল কুদরূ ীেত (িনয়যত গহণেযাগয হওয়ার বযাপাের) েভার ও যাওয়ােলর মধযবতরী সমেয়র কথা বলা
হেয়েছ। আর জােমউস‌ সাগীর িকতােবও অধর িদবেসর পূেবরর কথা বলা হেয়েছ। এ-ই িবশদ মত। েকননা
িদবেসর অিধকাংশ সময় িনয়যত িবদযমান থাকা জররী। আর (শরীআত মেত) িদবেসর অেধরক হেলা ফজেরর উদয়
েথেক বৃহত পূবরাহ পযরন, যাওয়ােলর সময় পযরন নয়। সুতরাং এর পূেবরই িনয়যত িবদযমান হওয়া জররী, যােত
িনয়যত িদবেসর অিধকাংশ িবদযমান থােক।

190
(িদবেসর িনয়যত গহণেযাগয হওয়ার েকেত)মুসািফর-মুকীেমর মেধয েকান পাথরকয েনই। েকননা আমােদর বিণরত
দলীেল েকান ‘পাথরকয িনেদরশ’ েনই। অবশয ইমাম যুফার িভন মত েপাষণ কেরন।

এই পকার েরাযা সাধারণ িনয়যত দারা, নফেলর িনয়যত দারা এবং অনয ওয়ািজব েরাযার িনয়যত দারা আদায় হয়।

ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, নফেলর িনয়যত করেল তা িনরথরক হেব। (ফরযও হেব না, নফলও হেব না)।

সাধারণ িনয়যত সমেকর তার দ’িট মত রেয়েছ। েকননা নফেলর িনয়যত দারা েস ফরয েরাযার উেপকাকারী
হেলা। সুতরাং তার জনয ফরয আদায় হেব না।

আমােদর দলীল এই েয, েসই িদনিটেত ফরয িনধরািরত রেয়েছ। সুতরাং মূল িনয়যত দারাই তা হািছল হেয় যােব।
েযমন ঘের একা িবদযমান বযিকেক তার জািতবাচক নােম ডাকেলও উেদশয হািছল হেয় যায়।

আর যিদ নফল িকংবা অনয ওয়ািজব েরাযার িনয়যত কের থােক, তাহেলও েস মূল েরাযা এবং অনয একিট
অিতিরক িদেকর িনয়যত করেলা। সুতরাং যখন অিতিরক িদকিট বািতল হেয় েগেলা তখন মূল িবষয় (েরাযা)
অবিশষ থাকেলা। আর তা-ই েরাযা আদােয়র জনয যেথষ।

ইমাম আবূ ইউসূফ ও ইমাম মুহামদ (র.) এর মেত মুসািফর ও মুকীম এবং সুস ও অসুস বযিকর মােঝ এ
বযাপাের েকান পাথরকয েনই। েকননা (েরাযা না রাখার) অবকাশ দােনর কারণ এই েয, ‘মাযূর’ বযিকর েযন কষ
না হয়। িকন যখন েস েসচায় কষ গহণ কের িনেলা, তখন েস ‘অ-মাযূর’ বযিকর সংেগ যুক হেয় েগেলা।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মেত অসুস ও মুসািফর বযিক যখন অনয ওয়ািজব েরাযার িনয়যেত েরাযা রােখ, তখন
েসই েরাযাই সাবযস হেব।

কারণ ‘সময়’ েক েস অিধকতর গরতপূণর িবষেয় িনেয়ািজত কেরেছ। েকননা অনয ওয়ািজেবর কাযা এই মূহেতর
তার উপর আেরািপত। পকানের রমাযােনর েরাযার বযাপাের পরবতরীেত সময় লাভ করা পযরন েস ইখিতয়ার পাপ।

নফেলর িনয়যত করার বযাপাের তার পক েথেক দিট মত বিণরত হেয়েছ।

একিট বণরনা (অথরাত ফরয িহসােব গণয হওয়ার) মেত পাথরেকযর কারণ এই েয, এখােন সময়িটেক েস অিধকতর
গরতপূণর িবষেয় িনযুক কেরিন।

িদতীয় পকার হেলা এমন েরাযা, যা (অিনধরািরত ভােব) তার িযমায় ওয়ািজব। েযমন, রমাযান মােসর েরাযা এবং
কাফ‌ফারার েরাযা। সুতরাং রােতকৃত িনয়যত ছাড়া তা দরস হেব না। েকননা, তা িনধরািরত নয়। অথচ পথম
েথেক িনধরারণ করা জররী।

সকল েরাযা যাওয়ােলর পূেবর িনয়যত করা দারা জাইয।

ইমাম মািলক (র.) িভনমত েপাষণ কেরন। িতিন আমােদর উেলিখত হাদীছিট বযাপকতা পমাণ রেপ গহণ
কেরন।

191
আমােদর পমাণ এই েয, রাসূলুলাহ (সা.) অ-েরাযাদার অবসায় েভার েবলা হওয়ার পের বেলেছন- (এখন েথেক
আিম েরাযা েরেখ িনলাম)।

তাছাড়া যুিকগত কারণ এই েয, রমাযােনর বাইের নফল েরাযা শরীআত অনুেমািদত ইবাদাত। সুতরাং িদবেসর
পথমাংেশর পানাহার সংযমিট েরাযা রেপ গৃহীত হওয়া িনয়যেতর উপর িনভরর করেব। েযমন আমরা আেগ উেলখ
কের এেসিছ। মেত েরাযা িবভাজন গহণ কের। কারণ নফেলর িভিত হেচ মেনর পফুলতার উপর। আর এমন
হেত পাের েয, যাওয়ােলর পর েস পফুলতা অনুভব করেলা। তেব তার জনয শতর এই েয, িদবেসর শর েথেকই
পানাহার েথেক িবরত থাকা।

আমােদর মেত িদবেসর শর েথেকই েস েরাযাদার গণয হেব। েকননা, এটা হেলা আত-দমেনর িবেশষ ইবাদত।
আর তা িনধরািরত সমেয় েরাযা িবরদ কাজ েথেক িবরত থাকা দারা সংঘিটত হয়। সুতরাং িদবেসর অিধকাংশ
সমেয়র সংেগ িনয়যত যুক হওয়া িবেবচয হেব।

ইমাম কুদরূ ী বেলন, মানুেষর কতরবয হেলা শা’বান মােসর ঊনিতশ তািরেখ চাদ অনুসনান করা। যিদ তারা চাদ
েদখেত পায়, তাহেল েরাযা রাখেব। আর যিদ (েমেঘর কারেণ) চাদ তােদর অেগাচের থােক তাহেল শা’বান মােসর
িতশ িদন পূণর করেব। অতঃপর েরাযা রাখেব। েকননা, রাসূলুলাহ‌(সা.) বেলেছন- েতামরা চাদ েদেখ েরাযা রােখা
এবং চাদ েদেখ ইফতার কেরা। আর যিদ চাদ েতামােদর অেগাচের থােক তাহেল শা’বান মােসর িতশ িদন পূণর
কেরা।

তাছাড়া এই কারেণ েয, পকৃত অবসা হল মাস অবযাহত থাকা। সুতরাং পমাণ ছাড়া উক মাস েথেক েবর হওয়া
যােব না। আর এখােন েকান পমাণ পাওয়া যায়িন।

(িতশ তািরেখর ) সেনহ পূণর িদনিটেত নফল ছাড়া অনয েকান েরাযা রাখেব না। েকননা রাসূলুলাহ‌ (সা.)
বেলেছন- েয িদনিট সমেকর সেনহ হয় েয, তা রমাযান িকনা, েস িদেন নফল ছাড়া অনয েকান েরাযা রাখা যােব
না।

এই মাসাআলািট কেয়ক পকার।

০১) পথমতঃ রমাযােনর িনয়যত কের েরাযা রাখা মাকরহ। পমাণ হেলা আমােদর উপর বিনরত হাদীছ।

আেরা এ কারেণ েয, এেত আহেল িকতােবর সংেগ সাদৃশয হয়। েকননা তারার তােদর েরাযার পিরমােণ বিধরত
কেরিছল।

তেব েরাযা রাখার পর যিদ েদখা যায় েয, িদনিট রমাযােনরই িদন, তাহেল তা রমাযােনর েরাযা িহসােব যেথষ
হেব। েকননা েস মাস েপেয়েছ এবং তােত েরাযা েরেখেছ। আর যিদ পকাশ পায় েয, িদনিট শা’বান মােসর
িছল, তাহেল তা নফল হেয় যােব। আর যিদ েরাযা ভংগ কের তাহেল তার কাযা করেব না। েকননা তা ধারণা
পযরােয়র অনভূরক।

192
০২) িদতীয় পকার এই েয, (রমাযান ছাড়া) অনয েকান ওয়ািজব েরাযার িনয়যত করেলা। েসটাও মাকরহ।
পমাণ ইেতাপূেবর উপের বিণরত হাদীছ। তেব মাকরহ হওয়ার েকেত এিট পথমটার তুলনায় েগৌণ।

এরপর যিদ েদখা যায় েয, িদনিট রমাযােনর িদন িছল, তাহেল রমাযােনর েরাযা িহসােব যেথষ হেয় যােব। েকননা,
েরাযার মূল িনয়যত িবদযমান রেয়েছ। পকানের যিদ পকাশ পায় েয, তা শা’বােনর িদন িছল, তাহেল কােরা কােরা
মেত তা নফল হেব। েকননা, এ েরাযা িনিষদ িছল। সুতরাং তা ছাড়া ওয়ািজব েরাযা আদায় হেব না।

েকান েকান মেত েয েরাযার িনয়যত কেরেছ, তা আদায় হেয় যােব। এটা শদতম মত। েকননা েয েরাযােক
িনেষধ করা হেয়েছ,তা হল রমাযােনর উপর রমাযােনর েরাযােক িনেষধ করা হেয়েছ, তা হল রমাযােনর উপর
রমাযােনর েরাযােক অগবতরী করা। অনয েরাযা দারা তা বাসবািয়ত হয় না। ঈেদর িদেনর িবষয়িট এর িবপরীত।
েকননা এখােন িনিষদ িবষয়িট অথরাত আলাহ‌র দাওয়াত গহণেক বজরন করা েয েকান েরাযা দারা অিনবাযর হেয়
পেড়। আর েসখােন মাকরহ হওয়া সাবযস হেয়েছ িনেষধ রেপর কারেণ।

০৩) তৃতীয় পকার এই েয, নফেলর িনয়যত কের। এিট মাকরহ নয়। পমাণ ইেতাপূেবর আমােদর বিণরত হাদীছ।
আর এই হাদীছ ইমাম শািফঈ (র.) এর িবপেক পমাণ। তার মেত (পূবর অভযাস ছাড়া) নতুনভােব ঐিদন েরাযা
রাখা মাকরহ।

রাসূলুলাহ‌ (সা.) এর িনেমাক বাণী- (েতামরা একিট বা দিট েরাযা দারা রমাযােনর অগগামী হেয়া না)। এর
উেদশয হেলা রমাযােনর েরাযা েরেখ অগবতরী হওয়া েথেক িনেষধ করা। েকননা এেত সমেয়র পূেবরই রমাযােনর
েরাযা রাখা হেয় যায়। পকানের যিদ ঐ িদবসিট এমন েকান িদবস হয়, যা েস পূবর হেতই েরাযা েরেখ আসেছ
তাহেল সকেলর ঐকমেতযই েরাযা রাখা উতম।

তদপ যিদ এমন হয় েয, (শা’বান ) মােসর (িকংবা পেতযক মােসর) েশষ িতন িদন িকংবা তেতািধক িদন েস
েরাযা েরেখ এেসেছ, তা হেল েরাযা রাখাই উতম। পকানের যিদ শধু ঐ একিদন েরাযা রাখার অভযাস হেয়
থােক, তাহেল েকান েকান মেত বাহযতঃ িনেষধ েথেক েবেচ থাকার জনয েরাযা না রাখাই উতম। আর েকান
েকান মেত ‘আলী ও ‘আইশা (রা.) –এর অনুসরেণ েরাযা রাখাই উতম। েকননা তারা ঐ িদন েরাযা রাখেতন।

আর সীকৃত মত এই েয, মুফতী (ও অনযানয িবিশষ ধমরীয় বযিকগণ) সতকরতার খািতের িনেজ তা েরাযা রাখেবন
িকন সাধারণ েলাকেদর যাওয়াল পযরন অেপকা করার পর পানাহার করার ফাতওয়া দান করেবন । (িনেজ েগাপেন
েরাযা রাখেবন) অিভেযাগ েথেক মুক থাকার জনয।

০৪) চুতথর পকার এই েয, মূল িনয়যেতর মেধয েদাদলযমান হওয়া। অথরাত এভােব িনয়যত করা েয, আগামীকাল
রমাযান হেল েরাযা রাখেব, আর শা’বান হেল েরাযা রাখেব না। এইভােব েস েরাযাদার হেব না। েকননা তার
িনয়যতেক িসর কেরিন। সুতরাং এমনই হেলা, েযন েস িনয়যত করেলা েয, আগামীকাল যিদ েস খাবার পায়
তাহেল েরাযা রাখেব না, আর খাবার না েপেল েরাযা রাখেব।

০৫) পঞম পকার এই েয, িনয়যেতর পকৃিতর েকেত িদধা েপাষণ কের। অথরাত এই িনয়যত কের েয,
আগামীকাল রমাযােনর িদন হেল রমাযােনর েরাযা রাখেব। আর শা’বােনর িদন হেল অনয ওয়ািজব েরাযা রাখেব।

193
এটা মাকরহ। েকননা েস দ’িট মাকরহ িবষেয়র মােঝ েদাদলযমান রেয়েছ। অতঃপর যিদ পকাশ পায় েয,
িদবসিট রমাযােনর িদবস, তাহেল ঐ েরাযাই যেথষ হেব। েকননা মূল িনয়যেতর েকেত েতা িদধা েনই। পকানের
যিদ পকাশ পায় েয, তারা শা’বােনর িদবস, তা হেল এ েরাযা অনয েকান ওয়ািজব েরাযা রেপ যেথষ হেব না।
েকননা িদধািনত থাকার কারেণ িদক িনধরারন হয়িন। আর মূল িনয়যত তার জনয যেথষ নয়। তেব তা এমন নফল
েরাযায় রপানিরত হেব, যা (ভঙ করেল) কাযা িযমায় আেস না। েকননা তা েস শরই কেরেছ িযমা েথেক
অবযাহিতর িনয়যেত।

আর যিদ েস এই িনয়যত কের েয, আগামীকাল রমাযান হেল তার েরাযা রমাযােনর হেব; আর শা’বােনর হেল
নফল েরাযা হেব, তাহেল তাও মাকরহ। েকননা এক িদক েথেক েস (রমাযােনর) ফরয েরাযার িনয়যত করেছ।
অতঃপর যিদ পকাশ পায় েয িদবসিট রমাযােনর িদবস, তাহেল তা রমাযােনর েরাযা িহসােব যেথষ হেব। কারণ
ইেতাপূেবর বিণরত হেয়েছ।

আর যিদ পকাশ পায় েয, তা শা’বােনর িদবস, তাহেল নফল িহসােব তা জাইয হেব। েকননা নফল মূল িনয়যেতর
দারা আদায় হেয় যায়।

যিদ তা ফািসদ কের েফেল তাহেল কাযা না হওয়াই উিচত। েকননা, তার িনয়যেতর মেধযই এক িহসােব িযমা
েথেক অবযাহিতর লকয িবদযমান।

েয বযিক একা রমাযােনর চাদ েদখেলা, েস েরাযা রাখেব। যিদও ইমাম তার সাকয গহণ না কেরন। েকননা
রাসূলুলাহ‌(সা.) বেলেছন- েতামরা চাদ েদেখ েরাযা রােখা এবং চাদ েদেখ েরাযা ইফতার কর।

আর েস েতা সষভােব চাদ েদেখেছ। যিদ েস েরাযা ভংগ কের েফেল, তাহেল তার উপর কাযা ওয়ািজব হেব,
কাফ‌ফরা ওয়ািজব হেব না।

ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, সী সহবাস দারা েরাযা ভংগ কের, তাহেল তার উপর কাফ‌ফরাও ওয়ািজব হেব।
েকননা েস রমাযান সমেকর, িনিশত িছল। আর হকুম িহসােবও (েস রমাযােনর েরাযা ভংগ কেরেছ) েকননা,
তার উপর েরাযা ওয়ািজব িছল।

আমােদর মেত কাযী শরীআত সমত দলীেলর িভিতেত তার সাকয পতযাখযান কেরেছন। দলীলিট হেলা ভুল েদখার
সমাবনা। ফেল তা সেনহ সৃিষ কেরেছ। আর এরপ কাফ‌ফরা সেনেহর দারা রিহত হেয় যায়।

ইমাম তার সাকয পতযাখান করার পূেবরই যিদ েস েরাযা ভংগ কের েফেল, তাহেল েস িবষেয় মাশােয়খগেণর
মতেভদ রেয়েছ।

(সাকয পতযাখযাত) এই েলাক যিদ িতশিদন েরাযা পূণর কের, তাহেলও েস ইমােমর সংেগ ছাড়া েরাযা বজরন করেত
পারেব না। েকননা সতকরতা িহসােবই তার উপর েরাযা ওয়ািজব হেয়িছেলা। আর পরবতরীেত সতকরতা হেলা
‘েরাযা’ বজরন িবলিমত করার মেধয।

194
তেব যিদ েরাযা ভঙ কের েফেল তাহেল তার ধারণা অনুযায়ী সাবযস পকৃত অবসার েপিকেত তার উপর কাফ‌ফরা
ওয়ািজব হেব না।

যিদ আকাশ অপিরষার থােক তাহেল চাদ েদখার বযাপাের ইমাম একজন ‘আিদল’ (সত‌ বযিক) বযিকর সাকয গহণ
করেবন, েস পুরষ েহাক িকংবা সীেলাক, সাধীন েহাক িকংবা দাস। েকননা, এটা দািয়নী িবষয়। সুতরাং তা
হাদীছ বণরনার সদৃশ হেলা। এ জনয তা ‘সাকয‘ শেবর উপর িনভররশীল নয়। নযায়-পরায়ণতার শতর আেরাপ
করার কারণ এই েয, দীনী িবষেয় কািফেরর কথা গহণেযাগয নয়।

ইমাম তাহাবীর বকবয ‘নযায়পরায়ণ েহাক িকংবা নযায়পরায়ণ না েহাক; তা এ অবসার উপর পেযাজয, যখন তার
নযায়পরায়ণতা অজানা থােক।

আর আকাশ ‘অপিরষার’- এর অথর েমঘ, ধুিলঝড় ইতযািদ থাকা। ইমাম কুদরূ ীর িনঃশতর িববরেণ ঐ বযিক
অনভূরক, েয িযনার অপবাদ েদওয়ার কারেণ শািসপািপর পর তওবা কের িনেয়েছ। এ হল জািহের িরওয়ায়াত।
েকননা এটা হেচ খবর পদান। ইমাম আবূ হানীফা (র.) েথেক বিণরত এক মেত তার কথা গহণ করা হেব না।
েকননা একিদক েথেক এিট সােকযর পযরােয়র।

ইমাম শািফঈ (র.) েথেক বিণরত দ’িট মেতর একিটেত দ’জেনর শতর আেরাপ কেরেছন। তার িবপেক আমােদর
দলীল তাই, যা উপের আমরা উেলখ কেরিছ।

তাছাড়া িবশদ হাদীেছ বিণরত হেয়েছ েয, নবী (সা.) রমাযােনর চাদ েদখার বযাপাের একজেনর সাকয গহণ
কেরেছন।

এরপর ইমাম একজেনর সাকয গহেণর িভিতেত যিদ েলােকরা েরাযা িতশিদন পূণর কের, তাহেল ইমাম আবূ হানীফা
(র.) েথেক হাসান (ইব‌ন িযয়াদ) কতৃরক বিণরত মেত সতকরতা িহসােব েরাযা তযাগ করেব না। েকননা, েরাযা
তযাগ করার ৈবধতা একজেনর সাকয দারা সাবযস হয় না।

ইমাম মুহামদ (র.) েথেক বিণরত েয, েলােকরা িসয়াম তযাগ কের েফলেব। েকননা েরাযা তযাগ করার ৈবধতা এই
িভিতেত সাবযস হেব েয, রমাযান এক বযিকর সাকয দারা সাবযস হেয়িছেলা। যিদও সতনভােব পথম অবসায় এক
বযিকর সাকয দারা িসয়াম তযাগ করার ৈবধতা পমািণত হয় না। েযমন ধাতীর সাকয ছাড়া পমািণত ‘নসব’-এর
উপর িভিত কের মীরােসর অিধকার সাবযস হেয় থােক।

আকাশ যিদ অপিরষার না থােক তাহেল সাকয গহণ করা হেব না, যতকণ না এমন একটা বড় দল তা েদখেত
পায়, যােদর সংবােদ িনিশত হওয়া যায়। েকননা, এমন অবসায় একা চাদ েদখার মেধয ভুেলর সমাবনা রেয়েছ।
সুতরাং একটা বড় দেলর েদখা পযরন েস িবষেয় অেপকা করা কতরবয হেব। আকাশ পিরষার থাকার িবষয়িট এর
িবপরীত। েকননা কখেনা কখেনা চােদর সান েথেক েমঘ েকেট যায়, ফেল কােরা পেক চাদ েদেখ েফলা সমব হেত
পাের। ‘বড় দেলর’ সংজা িহসােব েকউ েকউ মহলাবাসী বুিঝেয়েছন।

ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) েথেক পঞাশ জেনর কথা বিণরত হেয়েছ ‘কাসামাহ’ এর উপর িকয়াস কের।

195
শহরবাসী এবং শহেরর বািহর েথেক আগত েলাকেদর মােঝ েকান পাথরকয েনই।

ইমাম তাহাবী (র.) বেলন, শহেরর বািহর েথেক আগত হেল এক জেনর সাকয গহণেযাগয হেব। েকননা (তথায়
ধুয়া-ধূলা ইতযািদর ) পিতবনকতা কম। িকতাবুল ইসিতহসান’ এ এ িদেকই ইংিগত করা হেয়েছ।

যিদ েকউ শহেরর েকান উচু সান েথেক চাদ েদেখ তেব তার হকুম অনুরপ। েয বযিক একা ঈেদর চাদ েদেখেছ
েস িসয়াম ভঙ করেব না। এর কারণ সতকরতা অবলমন। আর িসয়ােমর েকেত ওয়ািজব করার মেধযই হেলা
সতকরতা।

যিদ আকাশ অপিরষার থােক তাহেল ঈেদর চাদ পমািণত হেব না কমপেক দ’জন পুরষ িকংবা একজন পুরষ ও
দ’জন সী েলােকর সাকয বযতীত। েকননা, এই চাদ েদখার সােথ বানার উপর সমিকরত। আর তা হেলা েরাযা
না রাখা। সুতরাং তার অনযানয হকসমূেহর সদৃশ হেয় েগেলা। যািহের িরওয়ায়াত অনুযায়ী ঈদল আযহা এ েকেত
ঈদল িফতেরর অনুরপ। এ-ই িবশদতম মত।

অবশয ইমাম আবূ হানীফা (র.) েথেক িভনমত বিণরত আেছ, এ জনয েয, তা রমাযােনর চাদ েদখার মেতা।

(যািহের িরওয়ায়ােতর দলীল এই েয) এর সােথ বানােদর উপকার সমিকরত রেয়েছ। আর তা হেলা কুরবানীর
েগাশত আহােরর সুেযাগ গহণ।

আর যিদ আকাশ অপিরষার না থােক তাহেল এমন এক জামা’আেতর সাকয বযতীত চাদ পমািণত হেব না, যােদর
সংবাদ দারা িনিশত জান অিজরত হয়।

েযমন ইেতাপূেবর আমরা উেলখ কেরিছ।

েরাযার সময় হেলা ফজর ছানী (সুবেহ সািদক) এর উদয় হেত সূযরাস পযরন। েকননা আলাহ‌ তা’আলা বেলেছন-

শভ েরখা ফজেরর কৃষেরখা হেত পৃথক হওয়া পযরন েতামরা পানাহার কেরা। এরপর েতামরা রাত পযরন েরাযা
পূণর কেরা(০২:১৮৭)।

আর উভয় েরখা দারা িদবেসর শভতা এবং রািতর কৃষতা উেদশয।

িসয়াম হেলা িনয়যতসহ িদবেস পানাহার ও সী সহবাস েথেক িবরত থাকা-শরীআেতর পিরভাষায়। েকননা,
আিভধািনক অেথর শধু িবরত থাকার নামই িসয়াম। কারণ, এ অেথর তার বযবহার রেয়েছ। তেব শরীআত তার
সংেগ িনয়যত যুক কেরেছ, যােত ইবাদত অভযাস হেত পৃথক হেয় যায়।

িদবেসর সংেগ িবিশষ হওয়ার কারণ হেলা আমােদর বিণরত আয়াত।

তাছাড়া যুিকগত কারণ এই েয, িদনরােতর একটানা েরাযা রাখা যখন দঃসাধয তখন িদবেসর অংশেক িনধরারণ
করাই উতম। যােত আমলিট অভযােসর িবপরীত হয়। আর ইবাদেতর িভিতই হেলা অভযােসর িবপরীত করার
উপর।

196
নারীেদর েকেত েরাযা আদােয়র ৈবধতা সাবযস হওয়ার জনয হািয়য ও িনফাস েথেক পিবত হওয়া শতর।

পথম অনুেচদ
েয কারেণ কাযা ও কাফ‌ফারা ওয়ািজব হয়
েরাযাদার যখন ভুেল পানাহার বা সহবাস কের েফেল তখন তার েরাযা ভংগ হয় না। আর িকয়ােসর দাবী হেলা
ভংগ হেয় যাওয়া। এিট ইমাম মািলক (র.) এর মত। েকননা েরাযার িবপরীত কমর পাওয়া েগেছ। সুতরাং এটা
নামােযর মেধয ভুেল কথা বলার মেতা হেয় েগেলা।

ইিস‌তসসােনর (সূক িকয়ােসর) কারণ হেলা ভুেল পানাহারকারী বযিকেক সেমাধন কের রাসূলুলাহ(সা.) এর বানী-
তুিম েতামার িসয়াম পূণর কেরা। েকননা আলাহ‌ই েতামােক আহার কিরেয়েছন এবং পান কিরেয়েছন।

পানাহােরর েকেত যখন এিট পমািণত হেলা তখন সহবােসর েকেতও তা পমািণত হেব। আর রকন িহসােব
সবগেলাই সমান। সালােতর িবষয়িট এর িবপরীত। েকননা সালােতর অবসাই সরণকারী। সুতরাং এ েকেত ভুল
পভাব িবসার করেত পাের।

ফরযা ও নফল সাওেমর মােঝ েকান পাথরকয েনই। েকননা উক হাদীেছ েকান পাথরকয করা হয়িন। আর যিদ
িবচুযিত িকংবা জবরদিসর কারেণ তা কের থােক তাহেল তার উপর কাযা ওয়ািজব।

ইমাম শািফঈ (র.) িভনমত েপাষণ কেরন। েকননা িতিন এ দ’জনেক ভুলকারী বযিকর উপর িকয়াস কেরন।
আমােদর দলীল এই েয, এ দ’িট অবসার অিসত অিধক নয়। পকানের ভুেলর ওযর অিধক পিরমােণ হেয়
থােক।

তাছাড়া িবসৃিত ঐ সতার পক েথেক ঘেট থােক, িযিন েরাযার হকদার। পকানের বল পেয়াগ অেনযর পক েথেক
হেয় থােক। সুতরাং এ দ’িট অবসার অিসত অিধক নয়। পকানের ভুেলর ওযর অিধক পিরমােণ হেয় থােক।

তাছাড়া িবসৃিত ঐ সতার পক েথেক ঘেট থােক, িযিন েরাযার হকদার। পকানের বল পেয়াগ অেনযর পক েথেক
হেয় থােক। সুতরাং এ দ’িটর হকুেম পাথরকয হেব।

েযমন, সালাত কাযা করার েকেত শৃংখিলত ও অসুস বযিকর মেধয (পাথরকয) রেয়েছ।

যিদ ঘুেমর মােঝ কােরা সপেদাষ ঘেট তাহেল তার সাওম ভংগ হেব না। েকননা রাসূলুলাহ‌(সা.) বেলেছন- িতনিট
িবষয় সওম ভংগ কের না। যথা, বিম, িশংগা লাগােনা সপেদাষ।

আর এই জনয েয, এখােন পকৃত সহবাস পাওয়া যায়িন বাহযতঃ ও মমরগতাভােব। আর সহবােসর মমরাথর হেলা
সংগম েযােগ উেতজনা সহকাের বীযরপাত।

197
তদপ (িসয়াম ভংগ হেব না) যিদ েকান সী েলােকর িদেক তাকােনার কারেণ বীযরসিলত হেয় যায়।

আর যিদ ৈতল লাগায় তাহেল সাওম ভংগ হেব না। েকননা, এেত সাওম িবেরাধী িকছু পাওয়া যায়িন।

তদপ িসংগা লাগােলও সাওম ভংগ হেব না। উক কারেণ এবং ইেতাপূেবর আমােদর বিণরত হাদীছ অনুযায়ী।

যিদ সুরমা বযবহার কের তাহেল সাওম ভংগ হেব না। েকননা চকু ও মিসেষর মােঝ েকান িছদপেথ েনই। আর
েয অশঘােমর মেতা চুইেয় েবর হয় এবং েলামকূপ িদেয় যা পেবশ কের, তা িসয়ােমর িবেরাধী নয়। েযমন যিদ
েকউ ঠানা পািন দারা েগাসল কের তেব িসয়াম ভঙ হয় না।

যিদ সীেক চুমন কের তেব িসয়াম ভংগ হেব না। অথরাত যিদ বীযরসলন না হয়। েকননা বািহযক ও আভযনরীণ
িসয়াম িবেরাধী েকান িকছুই ঘেট িন। রজু করা এবং মুছাহারােতর সমকর সাবযস হওয়ার িবষয়িট এর িবপরীত।
েকননা এখােন হকুমিট সবব বা কাযরকারেণর উপর আবিতরত। যথাসােন ইনশালাহ‌ তা আেলািচত হেব।

তদপ েকান েবগানা সী েলাকেক চুমন করেল তার উধরতন (মা, নানী ইতযািদ) অধঃসন সকল নারী (কনযা,
নাতনী ইতযািদ) উক েলােকর জনয হারাম হেয় যায় এটােক বেল। যিদ চুমন িকংবা সেশরর কারেণ বীযরসিলত হেয়
যায়, তাহেল তার িসয়ােমর কাযা ওয়ািজব হেব, কাফ‌ফারা ওয়ািজব হেব না। েকননা, এেত সহবােসর মমর
িবদযমান। আর সতকরতার খািতের বািহযক িকংবা আভযনরীণ েয েকান রেপ েরাযা িবেরাধী িবষেয়র অিসত েরাযার
কাযা ওয়ািজব করার জনয যেথষ। পকানের কাফ‌ফারা ওয়ািজব হওয়ার জনয অপরাধ পূণরভােব সংঘিটত হওয়া
পেয়াজন। েকননা তা হদসমূেহর মত সেনহ দারা রিহত হেয় যায়।

যিদ িনেজর বযাপাের আশস থােক আর চুমন করােত েকান েদাষ েনই, যিদ িনেজর উপর িনভররতা থােক। অথরাত
সহবাস িকংবা বীযরসলেন গড়ােব না। যিদ এই ভরসা না থােক তাহেল মাকরহ হেব। েকননা মূল চুমন েরাযা
ভংগকারী নয়। বরং পিরণিতর িদক েথেক হয়ত তা কখেনা বা ভংগকারী হেয় েযেত পাের। সুতরাং যিদ িনেজর
উপর ভরসা থােক তাহেল মূল চুমেনর িদকিট িবেবচনা কের তা তার জনয মুবাহ‌ হেব। পকানের যিদ িনেজর উপর
ভরসা না থােক তা হেল চুমেনর পিরণিতর িদকিট িবেবচনা কের তার জনয তা মাকরহ হেব।

নগেদেহ পরসর জড়াজিড় যািহরী িরওয়ায়াত অনুযায়ী চুমেনরই অনুরপ। তেব ইমাম মুহামদ (র.) েথেক বিণরত
আেছ েয, নগেদেহ পরসর জড়াজিড় মাকরহ। েকননা এরপ আচরণ খুব কমই অৈবধ কমর েথেক মুক হেয়
থােক।

িসয়াম সরণ থাকা অবসায় যিদ তার গলার িভতর মািছ পেবশ কের তাহেল েরাযা ভংগ হেব না।

িকয়াস অনুযায়ী তার েরাযা ফািসদ হেয় যােব। েকননা েরাযা ভংগকারী বস তার উদের েপৌেছ েগেছ যিদও তা
খাদযজাতীয় নয়, েযমন মািট ও কংকর।

সূক িকয়ােসর কারণ এই েয, এ েথেক েবেচ থাকা সমব নয়। সুতরাং তা ধুেলা ও ধুয়ার সদৃশ হেলা। বৃিষ ও
বরফ সমেকর মাশােয়খগণ মতেভদ কেরেছন। তেব িবশদতম মত এই েয, তােত িসয়াম ভংগ হেব। েকননা
তাবুেত বা ঘের আশয় িনেয় তা েথেক েবেচ থাকা সমব।

198
যিদ দােতর ফােক আটেক থাকা েগাশত ‘ভকণ’ কের তেব কম হেল েরাযা ভংগ হেব না। িকন েবশী পিরমাণ
হেল ভংগ হেব।

ইমাম যুফার (র.) বেলন, উভয় অবসােতই েরাযা ভংগ হেব। েকননা মুখ বাইেরর অংশ রেপ িবেবিচত। এ
কারেণই কুিল করার কারেণ তার েরাযা নষ হয় না।

আমােদর দলীল এই েয, অল পিরমাণ দােতর অনুগত েযমন তার থুথ।


পিরমােণর অবসা িভন। েকননা, েশষ পযরন তা দােতর ফােক িবদযমান থােক না। কম ও েবশীর মােঝ পাথরকয
িনধরারণকারী হেলা একিট বুেটর পিরমাণ। এর চাইেত কম অল িহসােব গণয।

যিদ তা েবর কের হােত েনয় অতঃপর তা ভকণ কের তাহেল েরাযা ফািসদ হওয়াই যুিকসঙত। েযমন- ইমাম
মুহামদ (র.) েথেক বিণরত েয, েকান িসয়াম পালনকারী যিদ দােতর ফােক (আটেক থাকা) িতল িগেল েফেল
তেব িসয়াম নষ হেব না। আর যিদ সরাসির তা মুেখ িনেয় খায় তাহেল তার িসয়াম ভংগ হেব। আর যিদ তা শধু
িচবায় তাহেল ইউসূফ (র.) এর মেত তার উপর কাযা ওয়ািজব হেব। েকননা তা িবকৃত খাদয। ইমাম আবূ
ইউসূফ (র.) এর দলীল এই েয, মানুেষর রিচ তা ঘৃণা কের।

যিদ অিনচাকৃত বিম এেস পেড় তাহেল তােত েরাযা ভংগ হেব না। েকননা রাসূলুলাহ‌ (সা.) বেলেছন- েয বযিক
বিম কের, তার উপর কাযা ওয়ািজব হেব না। িকন েয ইচাকৃত বিম কের, তার উপর কাযা ওয়ািজব হেব।
অিনচাকৃত বিমর েকেত মুখ ভরা বিম ও কম বিমর হকুম সমান।

যিদ বিম িভতের েফরত যায় আর তা মুখ ভরা থােক, তাহেল ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত তােত েরাযা
ফািসদ হেয় যােব। েকননা তা বাইেরর, এমনিক এত উযূ ভংগ হেয় যায়। আর তা-ই িভতের পেবশ কেরেছ।

ইমাম মুহামদ (র) এর মেত েরাযা ফািসদ হেব না। েকননা েরাযা ভংেগর বাহযরপ অথরাত গলাধঃকরণ পাওয়া
যায়িন। তদপ েরাযা ভংগ করার পকৃত মমরও পাওয়া যায়িন। েকননা তা সাধারণতঃ খাদয িহসােব বযবহত হয়
না।

যিদ উক বিম েস িনেজ পালিটেয় েনয় তাহেল সকেলর মেতই েরাযা ফািসদ হেয় যােব, েকননা বািহর হওয়ার পর
পেবশ করােনা পাওয়া েগেছ। সুতরাং েরাযা ভংেগর বাহযরপ িবদযমান হয়।

বিম যিদ মুখভরা েথেক কম হয় আর িনেজই েফরত যায় তাহেল তার েরাযা ভংগ হেব না। েকননা এটা বাইেরর
নয় এবং এর পেবেশর বযাপাের তার েকান পয়াস েনই।

যিদ েস িনেজ ইচা কের িগেল েফেল তাহেল ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত একই হকুম হেব। েকননা,
েবর হওয়া সাবযস হয়িন। আর ইমাম মুহামদ (র.) এর মেত তার েরাযা ফািসদ হেয় যােব। েকননা পেবশ
করােনার েকেত তার পয়াস রেয়েছ।

199
যিদ েরাযা সরণ থাকা অবসায় মুখ ভের বিম কের তাহেল তার উপর কাযা ওয়ািজব হেব । পমাণ হেলা আমােদর
বিণরত হাদীছ। আর এই হাদীেছর কারেণ িকয়াস বিণরত হয়। কাফ‌ফারা ওয়ািজব হেব না; েকননা (েরাযা ভংগ
হওয়ার) বাহয রপ পাওয়া যায়িন। যিদ উক বিম ভরা মুেখর কম হয় তাহেল ইমাম মুহা ্ ্ ূ
্ ূ ূূ
ম দ (র.)
এর মেত একই হকুম হেব। েকননা হাদীছিট িনঃশতর।

ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত েরাযা ফািসদ হেব না। েকননা, শরীূূ
্ আেতর
হ কুম মেত বািহর হওয়া
সাবযস হয় িন।

অতঃপর যিদ তা েফরত যায়, তাহেল তার মেত েরাযা ফািসদ হেব না। েকননা েফরত যাওয়ার পূেবর েবর হওয়া
সাবযস
্ হয়িন। যিদ েস ইচা

্ ্ ের েফরত েনয় তেব তার পক হেত বিণরত একিট মেত পূববর িণরত কারেণই ফািসদ
হেব না। িকন তার পক হেত বিণরত অনয একিট মেত ফািসদ হেব। েকননা, এটােক িতিন মুখভরা বিমর সােথ
যুক কেরেছন। কারণ, তার ইচাকৃত কেমরর (ইূূ
্ চাকৃ
ব ত মন ও গলাধঃকরণ) আিধেকযর কারেণ।

েয বযিক কংকর িকংবা েলাহা িগেল েফেল তার েরাযা ভংগ হেয় যােব । েকননা, েরাযা ভেঙর ‘বাহযরপ’ পাওয়া
েগেছ।

তেব তার উপর কাফ‌ফারা ওয়ািজব নয়। কারণ (আহােরর) পকৃত মমর পাওয়া যায়িন।

েয বযিক (েরাযার) সরণ অবসায় দ’পেথর েকান এক পেথ সংগম করেব তার উপর কাযা ওয়ািজব হেব।

কাযা ওয়ািজব েরাযার িবনষ উেদশয পুনঃঅজরেনর জনয। আর কাফ‌ফারাও ওয়ািজব হেব, অপরাধ সংঘিটত হওয়ার
কারেণ। উভয় সংগেমর েকেতই বীযরসলেনর শতর েনই, এটােক েগাসেলর উপর িকয়াস করা হেয়েছ। এর কারণ
এই েয, বীযরসলন ছাড়াই আনন পাওয়া যায়। তা দারা েতা-তৃিপ লাভ হয়।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) েথেক আেরক বণরনায় রেয়েছ েয,ঘৃিণত সােন (গহযদাের) সংগম দারা কাফ‌ফারা ওয়ািজব
হেব না। তার মেত কাফ‌ফারা হেদর সােথ িবেবচয।

আর িবশদ মত এই েয, কাফ‌ফারা ওয়ািজব হেব। েকননা শাহওয়াত পূণর হওয়ার কারেণ অপরাধ পূণরতা লাভ
কেরেছ। মৃতেদেহর সােথ িকংবা জনর সােথ সংগম করেল বীযরসলন ঘটুক িকংবা না ঘটুক, তার উপর কাফ‌ফারা
ওয়ািজব হেব না।

ইমাম শািফঈ (র.) িভনমত েপাষণ কেরন। (আমােদর দলীল) েকননা সাভািবক আকষরণীয় সােন’ বাসনা চিরতাথর
করা দারা অপরাধপূণরতা লাভ কের। িকন এখােন তা পাওয়া যায়িন।

অতঃপর আমােদর মেত সংগম দারা পুরেষর উপর েযমন কাফ‌ফারা ওয়ািজব, েতমিন সীেলােকর উপরও ওয়ািজব।

ইমাম শািফঈ (র.) এর একিট মেত সী েলােকর উপর কাফ‌ফারা ওয়ািজব হেব না। েকননা কাফ‌ফারার সমকর
হেলা সংগেমর সােথ। আর এটা হেলা পুরেষর কাজ, সী েলাকিট হেলা সংগম েকত।

200
ইমাম শািফঈ (র.) এর অনয একিট মেত সী েলােকরও উপরও ওয়িজব হেব। তেব (এ দায়) তার পক হেত
পুরস বহন করেব; পািনর বযয় ভােরর উপর িকয়াস কের।

আমােদর পমাণ হেলা রাসূলুলাহ‌ (সা.) এর বাণী- েয রমাযােন েরাযা ভংগ করেব তার উপর তাই ওয়ািজব হেব, যা
িযহারকারীর উপর ওয়ািজব হয়।

(বা েয) শবিট পুরষ ও সী উভয়েক অনভূরক কের। তাছাড়া এ জনয েয, কাফ‌ফারা ওয়ািজব হওয়ার কারণ
হেচ েরাযা নষ করা। শধু সহবাসই নয়। আর উক অপরােধ েসও পুরেষর সােথ শরীক। আর দায় বহেণর
পশই উেঠ না। েকননা এ কাফ‌ফারা হয় ইবাদত, না হেয় শািস। আর উভয়িটর মেধয অেনযর বহন চেল না।

যিদ এমন িকছু আহার কের বা পান কের, যা খাদযরেপ িকংবা ঔষধরেপ বযবহত হয় তাহেল তার উপর কাযা ও
কাফ‌ফারা দেটাই ওয়ািজব হেব।

ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, তার উপর কাফ‌ফারা ওয়ািজব নয়। েকননা, সহবােসর েকেত শরীআত িকয়ােসর
িবরেদ কাফ‌ফারা পবতরন কেরেছ। কারণ পাপ েতা তওবা দারাই েমাচন হেয় যায়। এ কারেণ (েরাযাভংেগর)
অনয বযাপারেক সহবােসর উপর িকয়াস করা যােব না।

আমােদর দলীল এই েয, কাফ‌ফারার সমকর হেলা রমাযান মােস পূণররেপ েরাযা ভংগ করার সােথ। আর আেলাচয
অবসায় তা সাবযস হয়। আর কাফ‌ফারা িহসােব েগালাম আযাদ ওয়ািজব করার দারা েবাঝা যায় েয, এই অপরাধ
তওবা দারা েমাচন হয় না।

ইমাম কুদরূ ী (র.) বেলন, কাফ‌ফারা িযহােরর কাফ‌ফারার অনুরপ। পমাণ হেলা আমােদর বিণরত হাদীছ। এবং
জৈনক েবদঈন সাহাবীর ঘটনা সমেকর হাদীছ। িতিন বেলিছেলন, ইয়া রাসূলুলাহ‌ (সা.) িনেজ হালাক হেয়িছ
এবং (সীেকও) হালাক কেরিছ। িতিন িজজাসা করেলন, িক কেরেছা? সাহাবী আরয করেলন, রমাযােনর িদবেস
ইচাকৃতভােব সী সহবাস কেরিছ। তখন রাসূলুলাহ‌ (সা.) বলেলন, একিট েগালাম আযাদ কেরা। িতিন আরয
করেলন, িনেজর এই গীবা ছাড়া আিম কােরা মািলক নই। তখন িতিন বলেলন, তাহেল লাগাতার দইমাস েরাযা
রােখা। িতিন আরয করেলন, আিম েয িবপেদ এেসিছ তােতা এ েরাযার কারেণই এেসেছ। তখন িতিন বলেলন,
তাহেল ষাটজন িমসকীনেক আহার করাও। িতিন আরয করেলন, এ সামথরযও আমার েনই। তখন রাসূলুলাহ‌
(সা.) এক ফারাক েখজুর আনার হকুম িদেলন। অনয বণরনায় আেছ, িতিন পেনর সা’আ েখজুের পূণর একিট
থেল আনার হকুম িদেলন এবং বলেলন, এগেলা িমসকীনেদর মােঝ বনন কের দাও। িতিন আরয করেলন,
আলাহ‌র কসম, মদীনার দই পানেরর মধযবতরী সােন আমার এবং আমার পিরজেনর েচেয় অভাবী েকউ েনই।
তখন রাসূলুলাহ (সা.) বলেলন, তুিম এবং েতামার পিরবার পিরজন তা খাও। তেব েতামার জনযই এটা যেথষ,
িকন েতামার পের আর কােরা জনয তা যেথষ হেব না।

এ হাদীছ ইমাম শািফঈ (র.) এর মতামেতর িবপেক দলীল েয, তার জনয এর মেধয েয েকান একিট করার
অিধকার রেয়েছ। েকননা হাদীেছর দাবী েহলা (িতনিটর মােঝ) তারতীব রকা করা।

201
তদপ ইমাম মািলক (র.) এর িবপেকও দলীল েয, েরাযা লাগাতার করেত হেব না। েকননা হাদীেছ লাগাতার
করার সষ িনেদরশ রেয়েছ।

েয বযিক সীর লজাসান ছাড়া অনযভােব সংগম কের এবং বীযরপাত ঘেট, তার উপর কাযা ওয়ািজব হেব। েকননা
এেত সংগেমর মমর িবদযমান।

আর তার উপর কাফ‌ফারা ওয়ািজব হেব না। েকননা সংগেমর বাহযরপ পাওয়া যায় িন।

রমাযান ছাড়া অনয েরাযা নষ করার েকেত কাফ‌ফারা েনই। েকননা রমাযান মােস েরাযা ভংগ করা গরতর
অপরাধ। সুতরাং অনয েরাযােক তার সােথ যুক করা যােব না।

েয বযিক ঢুশ বযবহার কের িকংবা নাক দারা ঔষধ পেবশ করায় িকংবা কােন ঔষেধর েফাটা েদয়, তার েরাযা ভংগ
হেয় যােব। েকননা রাসূলুলাহ‌ (সা.) বেলেছন- িকছু পেবশ করার কারেণ েরাযা ভংগ হয়। এই কারেণ েয, েরাযা
ভংেগর মমর পাওয়া েগেছ, আর তা হল শরীেরর উপকারী বস িভতের পেবশ করা, তেব তার উপর কাফ‌ফারা
ওয়ািজব হেব না। েকননা েরাযা ভেঙর বাহযরপ পাওয়া যায়িন।

যিদ কােন পািনর েফাটা েঢেল েদয় িকংবা িনেজ িনেজই পেবশ কের তাহেল তার েরাযা নষ হেব না। েকননা,
েরাযা ভংেগর মমর ও বাহযরপ েকানটাই পাওয়া যায়িন। িকন েতল পেবম করােনার িবষয়িট এর িবপরীত।

যিদ েপেটর িভতর পযরন িকংবা মাথার িভতর পযরন উপনীত কতসােন ঔষধ পেয়ােগর মাধযেম িচিকতসা কের আর
ঔষধ েপেট িকংবা মিসেষ েপৌেছ যায়, তাহেল েরাযা ভংগ হেয় যােব।

এটা ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মত। আর েয ঔষধ েপৌেছ, তা হেলা তরল জাতীয়।

সােহবাইন বেলন, েরাযা ভংগ হেব না। েকননা ঔষধ েপৌছার বযাপাের িনশয়তা েনই। কারণ, িছদপথ কখেনা
পসািরত হয় আবার সংকুিচত হয়। েযমন শষ ঔষেধর েকেত (েরাযা ভংগ হয় না)।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর দলীল এই েয, ঔষুেধর তরলতা কেতর তরলতার সােথ যুক হেয় িনমমুখী পবণতা
বৃিদ লাভ কের। ফেল তা িভতের েপৌেছ যােব। শষ ঔষেধর অবসায় িবষয়িট িবপরীত। েকননা, ঔষুধ কেতর
তরলতা শেষ েনয়। ফেল কেতর মুখ বন হেয় যায়।

যিদ পুরষাংেগর িছদপেথ েফাটা েফাটা কের (ঔষুধ) ঢােল তাহেল তােত েরাযা ভংগ হেব না।

এিট ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মাযহাব। ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত েরাযা ভংগ হেয় যােব। আর এ
িবষেয় ইমাম মুহামদ (র.) এর মতামত সিবেরাধী। ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) সমবতঃ মেন কেরেছন েয, েপট ও
পুরষাংেগর মােঝ সংেযাগ পথ রেয়েছ। এ জনযই পুরষাংগ িদেয় েপশাব িনগরত হয়।

পকানের ইমাম আবূ হানীফা (র.) মেন কেরেছন েয, অনেকাষ হেলা উভেয়র মােঝ আড় সরপ। আর েপশাব তা
েথেক চুইেয় পেড়। এিট অবশয িফকাহ সংকান িবষয় নয়।

202
েয বযিক মুেখ িকছু েচােখ েদেখ তার েরাযা ভংগ হেব না। েকননা েরাযা ভংেগর বাহযরপ ও মমর েকানটাই
িবদযমান েনই।

তেব তা মাকরহ হেব। েকননা এেত েরাযা ভংগ হওয়ার উপকম হয়।

সীেলােকর যিদ িবকল উপায় না পায় তাহেল এেত েকান েদাষ েনই। সনান রকার িনিমত। তুিম িক লকয করিন
েয, সনােনর জীবনাশংকা েদখা িদেল তার েরাযা ভংগ করার অনুমিত রেয়েছ। গদ িচবােল েরাযাদােরর েরাযা ভংগ
হয় না। েকননা তা তার উদের েপৌেছ না। েকান েকান মেত যিদ তা জমাট না হয় তাহেল েরাযা নষ হেয়
যােব। েকননা তখন িকছু অংশ উদের েপৌছেব। েকান েকান মেত যিদ তা কােলা জাতীয় হয় তাহেল েরাযা নষ
হেয় যােব। এমন িক জমাট হেলও েরাযা নষ হেয় যােব। েকননা তা েভংেগ েভংেগ যায়।

তেব েরাযাদােরর জনয তা বযবহার মাকরহ। েকননা, এেত েরাযা নষ হওয়ার উপকম হয়। তাছাড়া (মুখ নাড়ার
কারেণ) তার পিত েরাযা না রাখার অিভেযাগ আেরািপত হেব। তেব েরাযাদার না হেল সী েলােকর জনয তা
মাকরহ নয়। েকননা তােদর েকেত তা িমসওয়ােকর সলবতরী।

েকউ েকউ বেলন, দনেরােগর কারেণ না হেল পুরষেদর জনয তা মাকরহ। আবার েকউ বেলন, তা পসননীয়
নয়। েকননা, এেত সী েলাকেদর সংেগ সাদৃশ রেয়েছ।

সুরমা বযবহার করা এবং েমােচ েতল েদওয়ােত েকান েদাষ েনই। েকননা এটা হেলা এক ধরেণর উপকার লাভ।
আর তা েরাযার িনিষদ িবষেয়র অনভূরক নয়। তাছাড়া নবী করীম (সা.) আশরা িদবেস সুরমা বযবহার করা ও
েরাযা রাখার জনয উতসািহত কেরেছন।

যিদ েসৌনেযরর উেদেশয না হেয় িচিকতসাগত উেদেশয হয় তাহেল পুরষেদর জনয সুরমা বযবহাের েকান েদাষ েনই।
তদপ েসৌনেযরর উেদেশয না হেল েমােচ েতল েদওয়া উতম। েকননা এটা েখযােবর কাজ কের। তেব দািড়
সুনাত পিরমাণ তথা একমুঠ পিরমাণ থাকেল তা লমা করার উেদেশয এটা করেব না।

েরাযাদােরর পেক সকােল ও িবকাল েবলায় কাচা িমসওয়াক বযবহার করােত েকান েদাষ েনই। েকননা রাসূলুলাহ‌
(সা.) বেলেছন- েরাযাদােরর সেবরাতম আমল হেলা িমসওয়াক করা। এেত সমেয়র েকান পাথরকয করা হয়িন।

ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, িবেকল েবলা িমসওয়াক করা মাকরহ। েকননা তােত একিট পশংিসত িচহ দূর করা
হয়। আর তা হেলা েরাযাদােরর মুেখর গন। সুতরাং তা শহীেদর রেকর সদৃশ।

আমােদর বকবয এই েয, এটা হেলা ইবাদেতর িচহ। আর এ বযাপাের েগাপনীয়তাই হেলা অিধক উপযুক।
শহীেদর রেকর অবসা িভন। েকননা, এিট হেলা যুলেমর িচহ।

আমােদর বিণরত হাদীেছর আেলােক কাচা আদ এবং পািন দারা িভজান িমসওয়ােকর মােঝ েকান পাথরকয েনই।

203
পিরেচদঃ েরাযা ভংগ
েকউ যিদ রমাযােন অসুস থােক এবং এই আশংকা কের েয, েরাযা রাখেল তার অসুসতা েবেড় যােব, তাহেল েরাযা
রাখেব না এবং কাযা করেব।

ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, েরাযা ভাঙেব না। িতিন তায়ামুেমর মেতা এখােনও পাণ-নােশর িকংবা অংগহানীর
আশংকার কথা িবেবচনা কেরন।

আমরা বিল েরাগ-বৃিদ ও েরােগর দীঘরািয়ত হওয়া কখেনা পাণ-নােশর িদেক উপনীত কের। সুতরাং তা েথেকও
েবেচ থাকা জররী।

মুসািফেরর যিদ েরাযার কারেণ কষ না হয় তাহেল তার জনয েরাযা রাখাই উতম। তেব েরাযা না রাখাও জাইয।
েকননা সফর কষ শূনয হয় না। সুতরাং মূল সফরেকই ওযর রেপ গণয করা হেয়েছ । অসুসতার িবষয়িট এর
িবপরীত। েকননা েকান েকান অসুসতা েরাযা দারা উপশম হয়। সুতরাং েরাযার েকেত কষসাধয হওয়ার শতর
আেরাপ করা হেয়েছ।

ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, েরাযা না রাখাই উতম । েকননা রাসূলুলাহ‌ (সা.) বেলেছন- সফের েরাযা রাকা
েনিকেত গণয নয়। (বুখারী)

আমােদর দলীল এই েয, রমাযান হেলা দই সমেয়র মেধয অিধকতর উতম সময়। সুতরাং তােত আদায় করাই
উতম হেব।

আর ইমাম শািফঈ (র.) বিণরত হাদীছিট কেষর অবসার উপর পযুক হেব।

অসুূূ
্ সব যিক যিদ সুসতা লাভ কের এবং মুসািফর যিদ মুিকম হেয় যায় তারপর মারা যায়, তাহেল সুস হওয়ার
এবং মুিকম হওয়ার িদেনর পিরমাণ কাযা তার উপর ওয়ািজব হেব। েকননা েস পিরমাণ সময় েস েপেয়েছ।

কাযা ওয়ািজব হওয়ার ফল এই দাড়ায় েয, (কাযা আদায় না কের থাকেল েরাযার ফেল) িফদ‌ইয়া দােনর ওসীয়ত
করা ওয়ািজব হেব।

ইমাম তাহাবী (র.) এ িবষেয় শায়খাইন এবং মুহামদ (র.) এর মেধয মতপাথরেকযর কথা উেলখ কেরেছন। িকন
তা িঠক নয়। বরং মত পাথরকয হেলা মানেতর েকেত শায়খাইেনর মেত পাথরেকযর কারণ এই েয, নযর হল েরাযা
ওয়ািজব হওয়ার কারেণ। সুতরাং (েরাযার ) সলবতরীর েকেত ওয়ািজব হওয়ার কাযরকািরতা পকাশ পােব।
পকানের আেলাচয মাসআলায় (েরাযা ওয়ািজব হওয়ার) কারণ হেলা িনধরািরত সময় পাওয়া। সুতরাং েয পিরমাণ
সময় েস পােব, েসই পিরমাণ সমেয়র সােথই ওয়ািজব হওয়ার হকুম সীিমত হেব।

রামযােনর কাযা ইচা করেল িবিচনভােব রাখেব আবার ইচা করেল লাগাতার রাখেব। েকননা নাস শতর মুক।
তেব ওয়ািজব দত আদােয়র লকয লাগাতার রাখাই মুসাহাব।

204
আর যিদ তা িবলিমত কের এমনিক অনয রমাযান এেস পেড় তাহেল িদতীয় রমাযােনর েরাযা রাখেব। েকননা তা
িদতীয় রমাযােনরই সময়। আর পথম েরাযার কাযা তার পের করেব। েকননা রমাযান বিহভূত র সময়ই হেলা
‘কাযা’ এর সময় তেব তার উপর িফদইয়া ওয়ািজব হেব না। েকননা িবলেমর (অবকােশর) িভিতেতই কাযা
ওয়ািজব হয়। এজনযই েতা েস (কাযা আদায় না কের) নফল েরাযা রাখেত পাের।

গভরবতরী ও সনযদানকািরণী যিদ িনেজেদর িকংবা তােদর িশশর কিতর আশংকা কের তাহেল েরাযা পিরহার করেত
পাের এবং পের কাযা করেব। এ হকুেমর উেদশয হেলা অসুিবধা দূরীভূত করা।

আর তােদর উপর কাফ‌ফারা ওয়ািজব হেব না। েকননা এ েরাযা ভংগ হেলা ওজেরর কারেণ। তদপ তােদর উপর
‘িফদইয়া’ ওয়ািজব হেব না। তেব (িফদ‌ইয়ার বযাপাের) ইমাম শািফঈ (র.) িভনমত েপাষণ কেরন, যখন িশশর
বযাপাের আশংকা কের। িতিন ‘শায়েখ ফানী’ বা অিত বৃেদর উপর িকয়াস কেরন।

আমােদর দলীল এই েয, শায়েখ ফানীর েকেত িফদইয়া ওয়ািজব হেয়েছ িকয়ােসর িবপরীেত (নাই দারা) । আর
িশশর আশংকার কারেণ েরাযা ভংগ করা তার সমপযরােয়র নয়। েকননা শায়েখ ফানী তার উপর েরাযা ওয়ািজব
হওয়ার পর অপরাগ হেয়েছ। পকানের িশশর উপর েতা মূলতঃ ওয়ািজবই হয়িন (বরং তার মােয়র উপর, এবং েস
পরবতরীেত কাযা করেব।)

শায়েখ ফানী, িযিন েরাযা রাখেত সকম নন, িতিন পিতিদেনর পিরবেতর েরাযা না েরেখ একজন িমসকীনেক
খাওয়ােবন, েযমিনভােব কাফ‌ফার েকেত খাওয়ােত হয়।

এ িবষেয় দলীল হেলা আলাহ‌ তা’আলার বাণী – যারা েরাযা রাখেত সকম নয়, তােদর উপর িফদইয়া ওয়ািজব এক
িমসকীেনর আহার। েকান েকান তাফসীর মেত এর মােন হেলা অথরাত সকম না হওয়া। িফদ‌ইয়া আদায় করার
পর যিদ েরাযা রাখেত পুনঃসকম হয় তাহেল িফদ‌ইয়ার হকুম বািতল হেয় যােব। েকননা সলবিতরতার জনয শতর
হেলা অকমতা অবযাহত থাকা।

েয বযিক রমাযােনর কাযা িযমায় থাকা অবসায় মৃতুযর সমুখীন হয় আর েস ঐ িবষেয় ওসীয়ত কের তাহেল তার
ওয়ালী বা ততাবধায়ক তার পক হেত পিতিদেনর জনয একজন িমসকীেনর অধর সা’আ গাম িকংবা এক সা’আ
েখজুর বা যব দান করেব। েকননা জীবেনর েশষ মুহূেতর েস েরাযা আদায় করেত অপরাগ হেয়েগেছ। সুতরাং েস
‘শায়েখ ফানী’-এর অনুরপ হেয় যােব।

তেব আমােদর মেত ওসীয়ত কের যাওয়া আবশযক। িকন ইমাম শািফঈ (র.) িভনমত েপাষণ কেরন। যাকােতর
েকেতও এই মতিভনতা রেয়েছ। এটােক িতিন বানােদর ঋেণর উপর িকয়াস কেরন। েকননা দ’েটাই অথর
সংকান হক, যােত সলবিতরতা কাযরকর হেব।

আমােদর দলীল এই েয, এটা ইবাদত। আর তােত ইচার পেয়াগ অপিরহাযর। আর তা ওসীয়েতর মাধযেম পকাশ
পায়, উতরািধকার এর মাধযেম নয়। েকননা উতরািধকািরতা েতা বাধযতামূলক বযাপার। আর েযেহতু এই ওসীয়ত
একিট নতুন দান, সুতরাং তা সমিতর এক-তৃতীয়াংশ েথেক কাযরকরী।

205
মাশােয়খগেনর সূক িকয়াস অনুযায়ী নামায েরাযার মতই এবং পিতিট নামায এক িদেনর েরাযার সমান। এিটই
িবশদ মত।

মৃত বযিকর পক েথেক ওয়ালী িনেজ িসয়াম পালন করেব না বা সালাত আদায় করেব না। েকননা রাসূলুলাহ
(সা.) বেলেছন- েকউ কােরা পেক েথেক িসয়াম পালন করেব না এবাং েকউ কােরা পক েথেক সালাত আদায়
করেব না।

েয বযিক নফল নামায িকংবা নফল েরাযা শর করেলা অতঃপর তা নষ কের েফলেলা, েস তা কাযা করেব।

ইমাম শািফঈ (র.) িভনমত েপাষণ কেরন। তার দলীল এই েয, আদায়কৃত অংশটুকু েস েসচায় কেরেছ।
সুতরাং পরবতরী েযটুকু েস েসচায় কেরিন, তা তার উপর অিনবাযর হেত পাের না।

আমােদর দলীল এই েয, আদায়কৃত অংশটুকু একিট আমল ও ইবাদত। সুতরাং অবযাহত রাখার মাধযেম উক
আমলেক বািতল হওয়া েথেক িহফাযত করা ওয়ািজব হেব। আর যখন পূণর করা ওয়ািজব, তখন তা তরক করার
কারেণ কাযা করাও ওয়ািজব হেব।

আমােদর িনকট দ’িট বণরনার একিট বণরনা মেত িবনা ওযের িসয়াম ভংগ করা জাইয নয়। এর কারণ ইেতাপূেবর
বণরনা কেরিছ। অবশয ওযেরর কারেণ জাইয হেব। েমহমানদাির গহণ করাও একিট ওযর। েকননা
রাসূলুলাহ‌(সা.) বেলেছন- েরাযা ভংগ কর এবং তদসেল কাযা িসয়াম পালন কর।

বালক যিদ রমাযােনর িদবেস পাপবয়স হয় িকংবা কািফর যিদ ইসলাম গহণ কের তাহেল উভেয় িদেনর অবিশষ
অংশ (পানাহার েথেক) িবরত থাকেব। যােত (েরাযাদারেদর সংেগ) সাদৃেশযর মাধযেম সমেয়র হক আদায় করা
যায়।

তেব যিদ িদেনর অবিশষ অংেশ তারা পানাহার কের েফেল তাহেল তােদর উপর কাযা ওয়ািজব হেব না। েকননা ঐ
িদেন তার িসয়াম ওয়ািজব িছল না।

তার পরবতরী িদনগেলােত িসয়াম পালন করেব। েকননা িসয়ােমর (ওয়ািজব হওয়ার ) কারণ এবং (তা আদায়
করার) েযাগযতা সাবযস হেয়েছ।

আর েসই িদনিটর এবং পূববর তরী িদনগেলার কাযা করেব না। েকনা (ঐ িদনগেলােত তার পিত) িসয়ােমর িনেদরশ
িছল না। এিট সালােতর িবপরীত।

েকননা সালােতর েকেত (ওয়ািজব হওয়ার) কারণ হেলা সমেয়র আদােয়র িনকটবতরী অংশিট। আর েসই
মূহতরিটেত (উভেয়র মেধয সালাত আদায় করায়) েযাগযতা পাওয়া েগেছ। পকানের িসয়ােমর েকেত (ওয়ািজব
হওয়ার কারণ হেলা) িদেনর পথম অংশিট। আর েসই মুহেতর েযাগযতা অনুপিসত িছল।

ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত যিদ যাওয়ােলর পূেবর কুফির বা অপাপবয়সতা িবলুপ হয় তাহেল তার উপর
সাওেমর কাযা ওয়ািজব হেব। েকননা েস িনয়যেতর সময় েপেয়েছ। যােহরী িরওয়ায়ােতর কারণ এই েয, ওয়ািজব

206
হওয়ার িদক েথেক সাওম িবভাজয নয়। আর িদবেসর পথমাংেশ ওয়ািজব হওয়ার েযাগযতা িছল না। তেব
বালেকর েকেত এই অবসায় নফল িসয়ােমর িনয়যত করা জাইয রেয়েছ। িকন কািফেরর েকত েনই, েযমন
মাশােয়খগণ বেলেছন। েকননা কািফর (িদেনর পথমাংশ) িসয়াম পালেনর েযাগয িছল না। আর বালক নফেলর
েযাগয িছল।

মুসািফর যিদ (রমাযান ছাড়া অনয সমেয়) িসয়াম না রাখার িনয়যত কের অতঃপর যাওয়ােলর পূেবর শহের পেবশ
কের িসয়ােমর িনয়যত কের েনয় তাহেল (িসয়াম ৈবধ হওয়ার জনয) তা যেথষ হেব। েকননা সফর িসয়াম ওয়ািজব
হওয়ার েযাগযতার িবেরাধী নয় এবং িসয়াম শর করার ৈবধতাও িবেরাধী নয়।

আর যিদ িবষয়িট রমাযােনর িদবেস হয় তা হেল িসয়াম পালন তার জনয ওয়ািজব। েকননা িনয়যেতর সময় সীমার
মােঝই রখসেতর কারেণর অবসান ঘেটেছ।

েদখুন না যিদ েস িদবেসর পথমাংেশ মুকীম থাকেতা, অতঃপর সফের েবর হেতা তাহেল মুকীম হওয়ার িদকিটেক
অগািধকার পদােনর েপিকেত িসয়াম ভংগ করা তার জনয ৈবধ হেতা না । সুতরাং এ েকেত ৈবধ না হওয়াই
অিধকতর সংগত। তেব উভয় েকেত যিদ িসয়াম ভংগ কের েফেল তাহেল তার উপর কাফ‌ফারা ওয়ািজব হেব
না। েকননা, ৈবধতার সেনহ িবদযমান রেয়েছ।

েয বযািক রমাযােনর িদবেস েবহশ হেয় েগল, েস েসিদেনর িসয়ােমর কাযা করেব না েযিদন েবহশ হেয়েছ। েকননা
ঐ িদবসিটেত িসয়াম অথরাত (পানাহার ও সংগম েথেক) িবরিত পাওয়া েগেছ। কারণ, বাহযতঃ িনয়যত িবদযমান
থাকাটাই সাভািবক।

পরবতরী িদনগেলার কাযা করেত হেব। েকননা িনয়যত পাওয়া যায়িন।

যিদ রমাযােনর পথম রােতই েবহশ হেয় যায় তাহেল ঐ রােতর পরবতরী িদবসিট ছাড়া পূণর রমাযােনর পথম রােতই
েবহশ হেয় যায় তাহেল ঐ রােতর পরবতরী িদবসিট ছাড়া পূণর রমাযােনর কাযা করেব। এর কারণ আমরা ইেতাপূেবর
বেলিছ।

ইমাম মািলক (র.) বেলন, পরবতরী িদনগেলার েরাযাও কাযা করেব না। েকননা তার মেত ই’িতকােফর নযায়
রমাযােনর িসয়ামও একই িনয়যেত আদায় হেয় যায়।

আর আমােদর মেত পেতযক িদেনর জনয সতন িনয়যত অপিরহাযর। েকননা এগেলা িবিচন ইবাদত। কারণ পিত
দই িদেনর মােঝ এমন সময়, যা উক ইবাদেতর সময়ভূক নয়। ই’িতকােফর িবষয়িট এর িবপরীত।

েয বযিক পুেরা রমাযান মাস েবহশ অবসায় থােক েস তা কাযা করেব। েকননা, সংজাহীনতা হেলা এক ধরেনর
অসুসতা, যা শিকেক দবরল কের েদয়, িকন তা আকলেক িবলুপ কের না। সুতরাং তা সাওমেক িবলিমত করার
েকেত ওযর রেপ গণয হেব, রিহত করার েকেত নয়।

েয বযিক পুেরা রমাযান পাগল থােক, েস তার জনয কাযা করেব না।

207
ইমাম মািলক (র.) িভনমত েপাষণ কেরন। িতিন এটােক েবহশীর উপর িকয়াস কেরন।

আমােদর দলীল এই েয, পকৃতপেক রিহতকারী হেলা কেষ-সাধয হওয়া; আর েবহশী সাধারণতঃ মাস বযাপী হয়
না। সুতরাং তা কষসাধয নয়। পকানের মিসষ িবকৃিত মাসবযাপী হেত পাের। সুতরাং েস েকেত অসুিবধা
আপিতত হেব।

যিদ িবকৃত মিসষ বযিক রমাযােনর েকান অংেশ সুসতা লাভ কের তাহেল েস িবগত িদনগেলার কাযা করেব।

ইমাম যুফার ও ইমাম শািফঈ (র.) িভনমত েপাষণ কেরন। তারা উভেয় বেলন, েযাগযতা না থাকার কারেণ তার
উপর আদায় করা ওয়ািজব হয়িন। আর কাযা পবিতরত হয় আদায় ওয়ািজব হওয়ার িভিতেত। সুতরাং েস পূণর
রমাযানবযাপী িবকৃত মিসষ বযিকর মত হেব।

আমােদর দলীল এই েয, েরাযা ওয়ািজব হওয়ার কারণ অথরাত রমাযান মাস েতা িবদযমান রেয়েছ। আর েযাগযতা
দািয়ত পালেন সকমতার সােথ সমিকরত।

আর এ েকেত ওয়ািজব হওয়ার ফলাফল রেয়েছ। আর তা হেলা (শরীআেতর পক হেত) এমনভােব দায়বদ
হওয়া, যা আদায় করেত েকান অসুিবধা হেব না। মাসবযাপী িবকৃতমিসষ বযিকর িবষয়িট এর িবপরীত। েকননা
েস েকেত আদােয় অসুিবধা রেয়েছ। সুতরাং ওয়ািজব হওয়ার েকান ফলাফল েনই। পূণর আেলাচনা মতপাথরকয
িবষয়ক গনাবলীেত রেয়েছ।

পাপবয়স হওয়ার পূবর েথেকই মিসষ িবকৃিত থাকা এবং পরবতরীেত মিসষ িবকৃিত ঘটা এ দেয়র মােঝ েকান পাথরকয
েনই। েকউ েকউ বেলন, তা হল যােহরী িরওয়ায়াত অনুসাের।

আর ইমাম মুহামদ (র.) েথেক বিণরত েয, িতিন উভেয়র মেধয পাথরকয কেরেছন। েকননা যিদ েস িবকৃত মিসষ
অবসায় পাপবয়স হয় তাহেল েস অপাপ বয়েসর সংেগই যুক। তখন শরীআেতর পক েথেক তার পিত িনেদরশ
অনুপিসত। যিদ সুস অবসায় পাপবয়স হয় তারপর মিসষ িবকৃিত ঘেট, তার অবসা তার িবপরীত। আর এটা হল
পরবতরী েকান েকান মাশােয়খগেণর কােছ গহণীয়।

েয বযািক পূণর রমাযান (িবরিত পালন সেতও) েরাযা রাখার বা না রাখার েকান িনয়ত কেরিন, তার উপর পূণর
রমাযােনর কাযা ওয়ািজব হেব।

ইমাম যুফার (র.) বেলন, রমাযােনর েরাযা সুস ও মুকীম বযিকর েকেত িনয়যত ছাড়াই আদায় হেয় যােব। েকননা
সংযম পালন তার উপর অপিরহাযরকৃত িবষয়। সুতরাং েযভােবই েস তা আদায় করেব, তা তার পক েথেক আদায়
হেয় যােব। েযমন (িনয়যত ছাড়া ) েকউ পূণর িনসাব েকান ফকীরেক দান কের িছল (তেব যাকাত আদায় হেয়
যায়)।

আমােদর দলীল এই েয, বানার উপর ফরযকৃত িবষয় হেলা ইবাদত িহসােব সংযম পালন করা। আর িনয়যত ছাড়া
ইবাদত হয় না। আর পুরা িনসাব দান কের েদওয়ার েকেত সওয়ােবর িনয়যত িবদযমান রেয়েছ। যাকাত অধযােয়
এ সমেন আেলাচনা করা হেয়েছ।

208
েয বযিক েরাযার িনয়যত না কেরই েভার কেরেছ, এরপর পানাহারও কেরেছ, তার উপর কাফ‌ফারা ওয়ািজব হেব
না-ইমাম আবূ হানীফা (র.) –এর মত। আর ইমাম যুফার (র.) বেলন, তার উপর কাফ‌ফারা ওয়ািজব হেব।
েকননা তার মেত িনয়যত ছাড়া েরাযা আদায় হয়।

ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) ও মুহামদ (র.) বেলন, যাওয়ােলর পূেবর যিদ পানাহার কের তাহেল কাফ‌ফারা ওয়ািজব
হেব। েকননা েস ফরয আদােয়র সমাবনােক নষ কের িদেয়েছ। সুতরাং েস গসবকারী বযিকর িনকট েথেক
গসবকারীর নযায় হেলা।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর দলীল এই েয, কাফ‌ফারার সমকর হেলা ফািসদ করার সােথ। িকন এটা েতা িবরত
থাকা। েকননা িনয়যত ছাড়া েরাযাই েনই।

েরাযা অবসায় যিদ সী েলােকর ঋতুসাব হয় িকংবা সনান পসব কের তাহেল তার েরাযা েভংেগ যােব এবং তার
কাযা করেত হেব। সালােতর িবষয়িট এর িবপরীত। েকননা (সংখযািধেকযর কারেণ) নামায কাযা করেত হেল েস
অসুিবধার সমুখীন হেব। সালাত অধযােয় এ আেলাচনা িবগত হেয়েছ।

মুসািফর যিদ রমাযােনর িদবেসর েকান অংেশ (বািড়েত) িফের আেস িকংবা ঋতুগস সী েলাক যিদ পিবত হেয় যায়,
তাহেল িদেনর অবিশষ অংশ তারা িবরিত পালন করেব।

ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, িবরিত পালন ওয়ািজব নয়। আর এই মতপাথরকয রেয়েছ ঐ সকল বযিকর েকেতও,
যারা েরাযা ওয়ািজব হওয়ার েযাগয হেয় যায়, অথচ িদবেসর শরেত তােদর েযাগযতা িছল না। িতিন বেলন,
সাদৃেশযর অবলমন হেলা মূেলর সলবতরী। সুতরাং এিট তার উপরই ওয়ািজব হেব, যার উপর মূল েরাযা ওয়ািজব
হেয়িছল, েযমন েকউ েরাযা েভংেগ েফলল ইচাকৃতভােব বা িবভািনেত।

আমােদর দলীল এই েয, তা ওয়ািজব হেয়েছ সমেয়র হক আদােয়র জনয, সলবতরী িহসােব নয়। েকননা, এিট
হেলা মযরাদাপূণর সময়। ঋতুগস, িনফাসগস, অসুস ও মুসািফর বযিকগেণর িবষয়িট এর িবপরীত। েকননা এ
সকল ওযর িবদযমান থাকা অবসায় তােদর উপর িবরিত পালন ওয়ািজব নয়। েকননা এগেলা েরাযার েকেত েযমন
পিতবনক, েতমিন সাদৃেশযর েকেতও।

ইমাম কুদূরী (র.) বেলন, েকউ যিদ এই মেন কের সাহরী খায় েয, এখনও ফজর হয়িন। িকন পরবতরীেত জানা
েগেলা েয, আসেল তখন ফজর হেয় িগেয়িছল, িকংবা েকউ একথা মেন কের ইফতার করেলা েয, সূযর অস
িগয়ােছ, িকন পের জানা েগেলা েয, সূযর তখনও অস যায়িন, তাহেল ঐ িদেনর অবিশষ সময় েস িবরিত পালন
করেব।

উেদশয হেলা যথাসমব সমেয়র মযরাদা রকা করা িকংবা অিভেযাগ েথেক মুক থাকা।

তেব তার উপর কাযা ওয়ািজব। েকননা েরাযা আদায় করার হকুম এমন একিট হক, যা অনুরপ আমেলর মাধযেম
আদায় করা তার িযমায় রেয়েছ। েযমন অসুস বযিক ও মুসািফেরর েকেত। তেব তার উপর কাফ‌ফারা ওয়ািজব

209
নয়। েকননা, ইচা না থাকায় অপরাধ এখােন লঘু। এ পসংেগ উমর (রা.) বেলেছন, গনাহ করার মেনাবৃিত
আমােদর িছল না। আর একিদেনর েরাযা কাযা করা আমােদর পেক সহজ।

উেলিখত ফজর দারা িদতীয় ফজর (সুিবহ সািদক) উেদশয। সালাত অধযােয় আমরা তা বযাখযা কের এেসিছ।

আর সাহরী খাওয়া মুসাহাব। েকননা রাসূলুলাহ‌ (সা.) বেলেছন- েতামরা সাহরী খাও। েকননা সাহরীেত বরকত
রেয়েছ। তেব সাহরীেক িবলিমত করা মুসাহাব। েকননা রাসূলুলাহ (সা.) বেলেছন- িতনিট িবষয় রাসূলগেণর
আচরেণর অনভূরক। ইফতার তরািনত করা, িবলেম সাহরী খাওয়া এবং িমসওয়াক করা।

তেব যিদ ফজর উদয় হওয়ার বযাপাের সেনহ হয়, অথরাত ফজর উদয় হেয়েছ িক হয়িন, উভেয়র সমাবনাই
সমান।

তখন পানাহার করাই উতম, যােত হারাম েথেক বাচা যায়। িকন তার উপর তা ওয়ািজব হয়। সুতরাং যিদ
পানাহার কের তেব তার েরাযা পূণর হেয় যােব। েকননা রাত িবদযমান থাকা হেলা মূল অবসা। ইমাম আবূ হানীফা
(র.) েথেক বিণরত। যিদ েস এমন েকান সােন থােক, েযখােন ফজর েবাঝা যায় না, িকংবা পূিণরমার রাত হয়
িকংবা েমঘাচন রাত হয় িকংবা তার দৃিষশিক দবরল হয় আর এই সকল কারেণ তার সেনহ হয়, তাহেল পানাহার
করেব না। যিদ কের তাহেল েস গনাহ‌গার হেব। েকননা রাসূলুলাহ‌ (সা.) বেলেছন- যা েতামােক সেনহ েফেল
তা পিরহার কের ঐ িবষেয় গহণ কের, যা েতামােক সেনেহ েফেল না।

যিদ তার পবল ধারণা এই হয় েয, েস ফজর উদয় হওয়া অবসায় পানাহার কেরেছ, তাহেল পবল ধারণার উপর
আমল িহসােব কাযা করা তার উপর ওয়ািজব হেব। এেতই সতকরতা রেয়েছ।

তেব যািহরী িরওয়ায়াত অনুযায়ী তার উপর কাযা েনই। েকননা, েকান িনিশত িবষয় অনুরপ িনিশত িবষয় ছাড়া
িবলুপ হয় না।

যিদ পকাশ পায় েয, ফজর উিদত হেয়েছ, তাহেল তার উপর কাফ‌ফারাূূ ্ ূূূূূূ ও য়ািজবহেবনা ।
েকননা, েস মূল অবসার উপর িবষয়িটর িভিত কেরেছ। সুতরাং ইচাকৃতভােব পানাহার সাবযস হয় না।

যিদ সূযরােসর বযাপাের সেনহ হয়, তাহেল তার জনয ইফতার করা জাইয হেব না। েকননা এখােন িদন অবযাহত
থাকাই হেলা মূল অবসা।

যিদ পানাহার কের তাহেল তার উপর কাযা ওয়ািজব হেব মূল অবসা কাযরকর করার েপিকেত।

আর যিদ তার পবল ধারণা হয় েয, েস ফজেরর সূযরােসর পূেবর পানাহার কেরেছ তাহেল তার উপর কাযা ওয়ািজব
হেব। িবষেয় একই বণরনা রেয়েছ (এেত েকান িদমত েনই)। েকননা িদবস অবযাহত থাকাই মূল অবসা। যিদ এ
িবষেয় সিনহান হয় আর পের পকাশ পায় েয, সূযর অস যায়িন, তাহেল মূল অবসার অথরাত িদবস অবযাহত থাকার
িদেক লকয কের কাফ‌ফারা ওয়ািজব হওয়া উিচত।

210
েয বযিক রমাযােনর িদবেস ভুেল পানাহার কের েফলেলা এবং (অজাতবশত) ধারণা কের বসেলা েয, ভুলকেমর
পানাহার েরাযা ভংগ কের, তাই অতঃপর েস ইচাকৃতভােব পানাহার করেলা, তাহেল তার উপর কাযা ওয়ািজব
হেব, কাফ‌ফারা ওয়ািজব হেব না। েকননা তার ধারণা িকয়াস িনভরর িছল। সুতরাং এখােন সেনহ সৃিষ হেয়েছ।
যিদ এতদ‌সংকান হাদীছ তার েগাচের এেসও থােক তবুও যােহরী িরওয়ায়াত মেত একই হকুম।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) েথেক চারিট মত বিণরত আেছ েয, কাফ‌ফারা ওয়ািজব হেব। সােহবাইন েথেকও এরপ
বিণরত আেছ। েকননা এখােন অসষতা েনই, সুতরাং সেনেহরও অবকাশ েনই।

পথেমাক মেতর দলীল এই েয, িকয়ােসর িদেক লকয করেল ‘নীিতগত সংশয়’ অবশযই িবদযমান রেয়েছ। সুতরাং
অবগিতর কারেণ তা রিহত হেব না। েযমন পুেতর দাসীর সংেগ িপতার সংগেমর িবষয়।

যিদ েকউ িশংগা লাগায় আর ধারণা কের েয তােত েরাযা ভংগ হেয় যায়, এরপর ইচাকৃতভােব পানাহার কের
েফেল তাহেল, তার উপর কাযা ও কাফ‌ফারার দ’েটাই ওয়ািজব হেব। েকননা এ ধারণা শরীআতী েকান দলীেলর
উপর িনভররশীল নয়। তেব যিদ েকান িনভররেযাগয ফকীহ েরাযা ফািসদ হেয়েছ বেল ফাতওয়া দান কের থােকন।
েকননা তার জনয ফাতওয়া শরীআতী দলীল রেপ গনয।

আর যিদ তার িনকট এতদসংকান হাদীছ েপৌেছ থােক এবং তার উপর েস িনভরর কের থােক, তাহেল ইমাম
মুহামদ (র.) এর মেত একই হকুম হেব। (অথরাত কাফ‌ফারা ওয়ািজব হেব না) কারণ রাসূলুলাহ‌ (সা.) এর বাণী
মুফিতর ফাতওয়ার িনেম েযেত পাের না।

ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর িনকট েথেক এর িবপরীত মত (অথরাত‌ কাফ‌ফারা ওয়ািজব হওয়ার মত) বিণরত
হেয়েছ। েকননা সাধারণ েলােকর পেক েযেহতু হাদীছ জানা ও েবাঝা সমব নয়। েসেহতু ফকীহ‌গেণর ইকিতদা
ও অনুসরণ করাই তার অবশয কতরবয।

যিদ হাদীেছর বযাখযা েজেন থােক তাহেল সংশয় রিহত হওয়ার কারেণ কাফ‌ফারা ওয়ািজব হেয় যােব । আর
িকয়ােসর িবপরীত হওয়ার কারেণ ইমাম আওযায়ী (র.) এর মতামত সেনহ সৃিষকারী বেল গণয হেব না।

গীবত করার পর যিদ ইচাকৃতভােব পানাহার কের বেস তাহেল েয ভােবই কের থাকুক কাযা ও কাফ‌ফারা দ’েটাই
তার উপর ওয়ািজব হেব। েকননা গীবেতর কারেণ েরাযা ভংগ হওয়া িকয়ােসর িবপরীত। আর সংিশষ হাদীছ
সবরসমত ভােবই অনয (অথরাত‌ সাওয়াব না হওয়ার ) অেথর পেযাজয।

যিদ ঘুমন িকংবা িবকৃত মিসষ সী েলােকর সংেগ সংগম করা হয় আর ঐ সীেলাক েরাযাদার থােক তাহেল
সীেলাকিটর উপর কাযা ওয়ািজব হেব, কাফ‌ফারা ওয়ািজব হেব না।

ইমাম যুফার ও শািফঈ (র.) বেলন, ঐ সী েলাকদেয়র উপর কাযাও ওয়ািজব হেব না। এটা তারা বেলেছন ভুেল
পানাহারকারীর উপর িকয়াস কের। বরং এেদর ওযর আেরা পবল। েকননা এখােন তােদর েকান ইচাই পাওয়া
যায়িন।

211
আমােদর দলীল এই েয, ভুল সচরাচর হেয় থােক। আর উক ঘটনাবলী িবরল। কাফ‌ফারা ওয়ািজব না হওয়ার
কারণ হেলা (তার পক েথেক) অপরাধ না হওয়া।

পিরেচদঃ েস িসয়াম পসেঙ যা বানা িনেজর উপর ওয়ািজব কের

েকউ যিদ বেল আলাহ‌র ওয়ােস কুরবানীর িদেন আমার িযমায় িসয়াম, েস ঐ িদন সাওম পালন না কের কাযা
করেব।

অথরাত‌ আমােদর িনকট এই মানত িবশদ। ইমাম যুফার ও শািফঈ (র.) এ সমেন িভনমত েপাষণ কেরন।

তােদর বকবয এই েয, েস এমন িবষেয়র মানত কেরেছ, যা গনাহ। েকননা এই িদনগেলােত সাওম পালেনর
িবষেয় িনেষধাজা রেয়েছ। (সুতরাং তার মানত সংঘিটত হেব না।)

আমােদর দলীল এই েয, েস শরীআত পমািণত েরাযার মানত কেরেছ। আর িনেষধাজা রেয়েছ িভন কারেণ।
েসটা হেলা আলাহ‌র দাওয়ােত সাড়াদান বজরন করা। সুতরাং মানত েতা শদ হেব। তেব তার সােথ সংিশষ গনাহ‌
পিরহার করার উেদেশয িসয়াম েথেক িবরত থাকেব। এরপর তা কাযা করেব িযমার ওয়ািজব আদােয়র জনয।

আর যিদ েস িদন েরাযা েরেখ েফেল তাহেল েস দািয়ত মুক হেয় যােব। েকননা েস েযভােব িনেজর উপর
বাধযবাধকতা কেরিছেলা, েসভােবই আদায় কেরেছ।

যিদ উপেরাক বাকয দারা কসেমর িনয়যত কের থােক, তাহেল তার উপর কসেমর কাফ‌ফারা ওয়ািজব হেব। যিদ
েস েসিদন েরাযা না েরেখ থােক।

আেলাচয মাসআলািট েমাট ছয় পকার। পথমতঃ (উক বাকয দারা কসম বা নযর) েকানটারই িনয়যত করল না।
িদতীয়তঃ শধু নযেরর িনয়যত করেলা, অনয িকছু িনয়যত করেলা না। তৃতীয়তঃ নযেরর িনয়যত করেলা এবং ইয়ামীন
না হওয়ার িনয়যত করেলা, এই িতন অবসায় নযর হেব। েকননা বাকযিট শবগত িদক েথেকই ‘নযর’ িনেদরশক।
আর তা েকন হেব না। অথচ তার িনয়যত দারা নযরেক িসর কেরেছ।

যিদ েস উক বাকয দারা কসেমর িনয়যত কের থােক এবং নযর না হওয়ার িনয়যত কের থােক, তাহেল তা কসম
হেব। েকননা, উক বােকয কসেমর সমাবনা রেয়েছ। আর তা েস িনয়যত দারা িনধরািরত কের িনেয়েছ এবং
অনযিটেক পতযাখযান কের িদেয়েছ।

যিদ উভয়িটর িনয়যত কের তাহেল ইমাম আবূ হানীফা ও ইমাম মুহামদ (র.) এর মেত নযর ও কসম দেটাই
হেব।

আর ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত শধু নযর হেব।

আর যিদ কসেমর িনয়যত কের, তাহেল ইমাম আবূ হানীফা ও ইমাম মুহামদ (র.) এর মেত একই হকুম হেব।
(অথরাত‌ নযর ও ইয়ামীন দ’েটাই হেব) । িকন আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত শধু কসম হেব।

212
ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর দলীল এই েয, এ বােকযর েমৌিলক অথর হল নযর। আর কসেমর অথর হেলা
রপক। এ কারেণই পথমিট িনয়যেতর উপর িনভরর কের না। িকন িদতীয়িট িনয়যেতর উপর িনভরর কের। সুতরাং
এ বাকয একই সংেগ উভয় অথর অনভূরক করেব না।

সুতরাং িনয়যেতর দারা রপক অথর িনধরািরত হেয় যােব। আর উভয়িট িনয়যত করার েকেত মূল অথরই অগািধকার
লাভ করেব।

ইমাম আবূ হানীফা ও ইমাম মুহামদ (র.) এর দলীল এই েয, নযর ও কসম এ উভেয়র লেকযর মেধয েকান
ৈবপরীতয েনই। েকননা উভয়িটর চািহদা হল ওয়ািজব হওয়া। তেব ‘নযর’ তা দাবী কের সকীয়ভােব আর কসম
তা দাবী কের িভন কারেণ। সুতরাং উভয় দলীলেক কাযরকরী করার জনয উভয় অথরেক এখােন আমরা একত
কেরিছ, েযমন িবিনময় শেতর ‘েহবা’ এর েকেত দান ও িবিনময় এ উভয় িদক েক আমরা একত কেরিছ।

যিদ েস বেল েয, আমার িযমায় আলাহ‌র ওয়ােস এই বছেরর েরাযা। তাহেল ঈদল িফতর, ঈদল আযহা ও
তাশরীেকর িদনগেলােত েরাযা হেত িবরত থাকেব এবং পরবতরীেত েসগেলার কাযা আদায় কের িনেব । েকননা
িনিদরষ বছেরর নযেরর মেধয অথর শতর আেরাপ কের। েকননা লাগাতার হওয়া ঐ িদনগেলা েথেক মুক হেত পাের
না। তেব এই সুরেত েসই িদনগেলার েরাযা ধারাবািহক কাযা করেব, যথাসমব লাগাতােরর মমর বাসবায়েনর
উেদেশয।

আর এখােনও ইমাম যুফার ও শািফঈ (র.) এর িভনমত পযুক হেব। েকননা এই িদনগেলােত েরাযা িনিষদ
রেয়েছ। রাসূলুলাহ‌ (সা.) বেলেছন- েশােনা, এ িদনগেলােত েরাযা েরেখা না, এগেলা হেচ পানাহার ও সহবােসর
িদন।

আমরা পূেবর েরাযা ওয়ািজব হওয়ার কারণ এবং হাদীেছর বযাখযা বণরনা কের এেসিছ।

আর যিদ লাগাতার রাখার শতর না কের থােক তাহেল এই িদনগেলােত েরাযা রাখা যেথষ হেব না । েকননা েয
েরাযা েস িনেজর িযমায় লািযম করেছ, তার পিরপূণর হওয়াটাই হেলা সাভািবক। আর এ িদনগেলােত আদায়কৃত
েরাযা হেব তিটপূণর িনেষধাজা থাকার কারেণ।

পকানের যিদ বছর িনধরারণ কের থােক তাহেল এই িদনগেলােত েরাযা রাখা যেথষ হেব । েকননা েস তিটর গণসহ
িনেজর িযমায় লািযম কেরিছল । সুতরাং িনেজর উপর আেরািপত গণ অনুযায়ী আদায় হেব।

ইমাম কুদরূ ী (র.) বেলন, তেব যিদ েস এই বাকয দারা কসেমর িনয়যত কের থােক, তাহেল কসেমর কাফ‌ফারা
তার উপর ওয়ািজব হেব। এ বাকযিটর িবিভন পকার িপছেন বিণরত হেয়েছ।

েয বযিক কুরবানীর িদন েরাযা অবসায় সকাল যাপন কের অতঃপর েরাযা ভংগ কের েফেল, তার উপর (কাযা
কাফ‌ফারা) িকছুই ওয়ািজব হেব না।

213
তেব নাওয়ািদর (বা অপকািশত বণরনা) মেত ইমাম আবূ ইউসূফ ও মুহামদ (র.) হেত বিণরত আেছ েয, তার উপর
কাযা ওয়ািজব হেব। েকননা েকান আমল শর করা ঐ আমলেক লািযম কের, েযমন নযর করা আমলেক লািযম
কের। এটা মাকরহ ওয়ােক (নফল) সালাত শর করার মেতা হেলা।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মত অনুসাের-এিট যািহর িরওয়ায়াত পাথরেকযর কারণ এই েয, েরাযা শর করা মাত
েলাকিটেক েরাযাদার বলা হয়। এ কারেণই েরাযা না রাখার কসমকারী বযিক এই িদন েরাযা শর করা মাত
ভংগকারী হেয় যােব। সুতরাং েরাযা শর করা দারা েস গনােহ িলপ বেল সাবযস হেব তাই তা বািতল করা ওয়ািজব
হেব, অতএব তা রকা করা ওয়ািজব হেব না। আর এর উপরই কাযা ওয়ািজব হওয়া িনভরর কের। িকন শধু
‘নযর’-এর কারেণ গনােহ িলপ বেল সাবযস হেব না। আর নযরই হেলা েরাযােক ওয়ািজবকারী।

তদপ শধু সালাত শর করার দারা গনােহ িলপ বলা যায় না। যতকণ না এক রাকাআেত পূণর কের। একারেণই
নামায না পড়ার কসমকারী বযিক নামায শর করার কারেণ কসম ভংগকারী বেল সাবযস হেব না। সুতরাং
আদায়কৃত অংশেক রকা করা ওয়ািজব হেব। তাই কাযা করা তার িযমায় এেস যায়।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) েথেক অনয এক বণরনায় রেয়েছ েয, নামােযর েকেতও কাযা ওয়ািজব হেব না। তেব
পথেমাক মতই অিধক পবল। সিঠক িবষয় আলাহ‌ই অিধক অবগত।

িদতীয় অনুেচদ
ই’িতকাফ
ইমাম কুদূরী (র.) বেলন, ই’িতকাফ হেলা মুসাহাব। তেব শদতম মত এই েয, তা সুনেত মুআকাদা। েকননা
নবী করীম (সা.) এর েশষ দশিদন িনয়িমত ভােব তা পালন কেরেছন। আর িনয়িমত আমল সুনত পমাণ কের।

ই’িতকাফ অথর সােয়ম অবসায় মসিজেদ ই’িতকােফর িনয়যতসহ অবসান করা। অবসান করােতা ই’িতকােফর
রকন। েকননা ই’িতকাফ শবিট অবসােনর অথর পদান কের। সুতরাং অবসান দারাই ই’িতকােফর অিসত হেব।
আমােদর িনকট সাওম হেলা ইবাদেতর শতর। িতিন বেলন, সাওম একিট ইবাদত এবং তা সতন ও েমৌিলক
ইবাদত। সুতরাং তা অনয ইবাদেতর শতর হেত পাের না।

আমােদর দলীল হেলা রাসূলুলাহ‌ (সা.) এর বাণী- ই’িতকাফ হয় না সাওম বযতীত।

আর বিণরত হাদীেছর মুকািবলায় িকয়াস গহণেযাগয নয়। তেব িসয়াম ওয়ািজব ই’িতকােফ শদ হওয়ার জনয শতর।
এ সমেকর একিট মাত বণরনাই রেয়েছ(অথরাত‌ িদমত েনই)।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) েথেক হাসান (ইব‌ন িযয়াদ) েয মত বণরনা কেরেছন তােত নফল ই’িতকাফ শদ হওয়ার
জনযও িসয়াম শতর। আমােদর বিণরত হাদীেছর পকাশয অেথরর েপিকেত।

214
এই বণরনা মুতািবক ই’িতকাফ এক িদেনর কেম হেত পাের না। িকন মাবসূেতর বণরনা মেত- আর তা ইমাম
মুহামদ (র.) এর মত-নফল ই’িতকােফর সবর িনম পিরমাণ হেলা এক মুহূত। র সুতরাং তা িসয়াম ছাড়া হেত
পাের। েকননা, নফেলর িভিত হেলা সহজতার উপর। তুিম িক জান না েয, দাড়ােনার কমতা থাকা সেতও নফল
সালাত বেস আদায় করা যায়। আর যিদ নফল ই’িতকাফ শর করার পর ভংগ কের েফেল তাহেল মাবসূেতর
বণরনা মেত তা কাযা করা জররী নয়। েকননা, তার সময় িনধরািরত িছল না। সুতরাং তা ভংগ করার দারা বািতল
করা নয়।

হাসান (রা.) এর বণরনা মেত কাযা করা জাইয হেব। েকননা তা িসয়ােমর মত একিদন এর সােথ সীমাবদ।

আর জামা’আত হয় এমন মসিজদ ছাড়া ই’িতকাফ সহীূূ‌


্‌ হ‌ন য় । েকননা হযায়ফা (রা.) বেলেছন- জামা’আত
অনুিষত মসিজদ ছাড়া ই’িতকাফ হেত পাের না।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) েথেক বিণরত একিট মেত পাচ ওয়াক সালাত হয়, এমন মসিজদ ছাড়া অনয েকাথাও
ই’িতকাফ সহীহ‌ নয়। েকননা ই’িতকাফ হেলা সালােতর জনয অেপকা করার ইবাদত। সুতরাং তা এমন সােনর
সােথ সমৃক হেব, েযখােন তা আদায় করা হয়।

অবশয সী েলাক তার ঘেরর মসিজেদ (অথরাত‌ সালাত আদােয়র িনধরািরত সােন) ই’িতকাফ করেব। েকননা েসটাই
হেলা তার সালােতর সান। সুতরাং সালােতর জনয তার অেপকা েসখােনই বাসবািয়ত হয়। যিদ ঘের পূবর েথেক
তার জনয সালােতর িনধরািরত েকান সান না থােক তাহেল একিট সান িনধরারণ কের েনেব এবং েসখােন ই’িতকাফ
করেব।

পাকৃিতক পেয়াজেন এবাং জুমআ


ু র উেদশয ছাড়া মসিজদ েথেক েবর হেত পারেব না। পাকৃিতক পেয়াজেন েবর
হওয়ার ৈবধতার পমাণ হেলা ‘আইশা (রা.) েথেক বিণরত হাদীছ েয, নবী করীম (সা.) পাকৃিতক পেয়াজন ছাড়া
তার ই’িতকােফর সান েথেক েবর হেতন না।

তাছাড়া এ পেয়াজন েদখা েদওয়া অবশযমাবী ও জানা িবষয়। আর তা সারার জনয েবর হওয়া অিনবাযর, সুতরাং এ
পেয়াজেন েবর হওয়াটা ই’িতকােফর আওতা বিহভূরত। তেব তাহারাত েথেক ফােরগ হওয়ার পর বাইের িবলম
করেব না। েকননা পেয়াজেনর েপিকেত যা কাযরকরী, তা পেয়াজন পিরমােণই সীমাবদ। আর জুমুআর িবষয় এ
কারেণ েয, তা তার অনযতম গরতপূণর (দীনী) পেয়াজন। এবং এ পেয়াজন েদখা েদওয়া জানা কথা।

আর ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, জুমআু র উেদেশয েবর হওয়া ই’িতকাফেক ফািসদ কের িদেব। েকননা জােম
মসিজেদ ই’িতকাফ করা তার পেক সমব িছেলা।

আর এর উতের আমােদর বকবয এই েয, সকল মসিজেদই ই’িতকাফ করা শরীআত সমত। আর শর করা যখন
শদ হেলা তখন পেয়াজন েবর হওয়ার ৈবধতা অবশযই দান করেব।

সূযর যখন ঢেল পড়েব তখনই েবর হেব। েকননা (জুমুআর সালাত আদােয়র জনয) ঐ সমেয়র পরই সেমাধন তার
অিভমুখী হয়। যিদ তার ই’িতকােফর সান জুমআ
ু র মসিজদ েথেক দূের হয়, তাহেল এমন সমেয় েবর হেব েযন

215
জুমআু র সালাত পাওয়া সমব হয়, এবং তার পূেবর চার রাকাআত, আেরক বণরনা মেত ছয় রাকাআত-চার রাকাআত
সুনাত এবং দ’রাকাআত তািহয়যাতুল মাসিজদ আদায় করেত পাের। আর েসখােন জুমুআর পের জুমআ ু র সুনাত
সমিকরত মতেভদ অনুযায়ী চার বা ছয় রাকাআত আদায় করেব।

জুমআ
ু র সুনাত হেলা জুমুআর আনুষিঙক। সুতরাং এ গেলােক জুমুআর সংেগই যুক করা হয়। যিদ জােম
মসিজেদ এর েচেয় েবশী সময় অবসান কের তাহেল তার ই’তকাফ নষ হেব না। েকননা, এটাও ইিতকােফর
সান। তেব তা পসননীয় নয়। েকননা েস এক মসিজেদ ই’িতকাফ আদােয়র বাধযবাধকতা গহণ কেরেছ, সুতরাং
িবনা পেয়াজেন দই মসিজেদ তা আদায় করেব না।

যিদ িবনা পেয়াজেন িকছু সমেয়র জনযও মসিজদ েথেক বাইের যায় তাহেল তার ই’িতকাফ ফািসদ হেয় যােব।

এটা ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মত। েকননা ই’িতকােফর ৈবপিরতয পাওয়া েগেছ। এটাই িকয়ােসর দাবী।

সােহবাইন বেলন, অেধরক িদেনর েবশী না হেল ই’িতকাফ ফািসদ হেব না। এটাই সূক িকয়ােসর দাবী। েকননা
সামানয সময় পেয়াজেনর অনভূরক।

ইমাম কুদরূ ী (র.) বেলন, পানাহার ও ঘুম ই’িতকাফ সেলই হেব। েকননা, নবী কিরম(সা.) এর মসিজদ ছাড়া
এসেবর জনয আর েকান সান িছেলা না। তাছাড়া এই পেয়াজনগেলা েতা মসিজেদ সমাধা করা সমব। সুতরাং
েবর হওয়ার পেয়ানজন েনই।

মসিজেদ পনয উপিসত না কের কয়-িবকয় করােত েকান েদাষ েনই। েকননা এর পেয়াজন হেত পাের। েযমন
তার পেয়াজন সমন কের েদয়ার মেতা কাউেক পায় না। তেব ফকীহ‌গণ বেলেছন েয, কয়-িবকেয়র জনয পণয
উপিসত করা মাকরহ। েকননা মসিজদ বানাহর হক েথেক মুক রাখা হেয়েছ। আর পণয উপিসত করায়
মসিজদেক তােত িলপ করা হয়।

মু’তািকফ ছাড়া অনয কােরা েকেত মসিজেদ কয়-িবকয় করা মাকরহ। েকননা রাসূলুলাহ‌ (সা.) বেলেছন-
েতামরা েতামােদর মসিজদগেলােক েতামােদর বাচােদর েথেক পৃথক রাখেব এবং েতামােদর কয়-িবকয় েথেকও।

ইমাম কুদূরী (র.) বেলন, আর ই’িতকাফকারী কলযাণমূলক ছাড়া েকান কথা বলেব না। তেব তার পেক এেকবাের
চুপ থাকা মাকরহ। েকননা আমােদর শরীআেত নীরবতার েরাযা ইবাদতরেপ গণয নয়। িকন েযসব কথায় গনাহ‌
হয়, তা পিরহার কের চলেব।

আর মু’তািকেফর জনয সহাবাস হারাম। েকননা আলাহ‌ তা’আলা বেলেছন-

েতামরা মসিজেদ ই’িতকাফ করা অবসায় সী সহবাস করেব না।

অনুরপভােব সশর ও চুমনও হারাম। েকননা, তা সহবােসর আেবদন সৃিষকারী। সুতরাং তা হারাম হেব। কারণ
সহবাস হেলা ই’িতকােফর িনিষদ কাজ- েযমন ইহরাম অবসায় (এগেলা হারাম)। িসয়াম িবষয়িট এর িবপরীত।

216
েকননা িবরত থাকা িসয়ােমর রকন। িসয়ােমর িনিষদ কাজ নয়। সুতরাং আেবদন সৃিষকারী িবষয়গেলার িদেক তা
সমসািরত হেব না।

যিদ রােত িকংবা িদেন ইচাকৃতভােব িকংবা ভুেল সহবাস কের তাহেল তার ই’িতকাফ বািতল হেয় যােব। েকননা
(িদবেসর নযায়) রাতও ই’িতকােফর সময়। েরাযার িবষয়িট এর িবপরীত। (অথরাত‌ ভুেলর দারা ফািসদ হয় িকন)
ই’িতকাফকারীর অবসা সয়ং সরণ কিরেয় েদয়। সুতরাং ভুেলর কারেণ তােক মা’যুর ধরা হেব না।

যিদ ‘েযািনপথ’ ছাড়া অনযভােব সংগম কের আর বীযরসলন ঘেট িকংবা যিদ সশর বা চুমন কের, ফেল বীযরসলন
ঘেট তাহেল তার ই’িতকাফ বািতল হেয় যােব। েকননা এর মেধয সংগেমর মমর িবদযমান। এ কারেণই তা দারা
েরাযা ফািসদ হেয় যায়। যিদ বীযরসলন ন ঘেট তাহেল ই’িতকাফ ফািসদ হেব না, যিদও তা হারাম । েকননা,
তােত সংগেমর মমর িবদযমান েনই। আর েসটাই হেলা ফািসদকারী। এ কারেণই তা দারা েরাযা ফািসদ হয় না।

েয বযিক িনেজর উপর কতক িদেনর ই’িতকাফ ওয়ািজব করেলা, তার উপর েসই িদনগেলার রািতসহ ই’িতকাফ
ওয়ািজব হেব। েকননা বহবচন রেপ িদনগেলা উেলখ করেল তার পাশাপািশ রাতগেলাও এর অনভূরক হয় ।েযমন
বলা হয় েতামােক কেয়ক িদন েথেক েদিখিন। এখােন েস িদনগেলার রাতও উেদশয হেয় থােক।

আর িদনগেলা অিবরাম হেব, যিদ ও অিবরমভােব শতর আেরাপ না করা হয়। েকননা ই’িতকােফর িভিতই হেলা
অিবরমতার উপর। কারণ রাত িদন সমগ সময়টুকইু ইিতকাফ েযাগয। েরাযার িবষয়িট এর িবপরীত। েকননা
েরাযার িভিত হেলা িবিচনতার উপর। কারণ রাতগেলা েরাযার উপযুক নয়, সুতরাং যতকণ না অিবরামতার কথা
সষ বলেব, ততকণ িবিচনভােব েরাযা ওয়ািজব হেব।

িকন যিদ শধু িদবসগেলার ই’িতকােফর িনয়যত কের থােক তাহেল তার িনয়যত সহীহ‌ হেব। েকননা েস শবিটর
হাকীকত বা েমৌল অথর উেদশয কেরেছ।

েয বযিক দ’িদেনর ই’িতকাফ িনেজর উপর ওয়ািজব করেলা, তার উপর ঐ দ’িদেনর রাতসহ ই’িতকাফ ওয়ািজব
হেব।

ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) বেলন, পথম রাতিট দািখল হেব না। েকননা িদবচন েতা বহবচন েথেক িভন। আর
মধযবতরী রাতিট সংযুিকর পেয়াজেন অনভূরক হেব।

যািহরী িরওয়ায়ােতর দলীল এই েয, িদবচেনর মােঝ বহবচেনর অথর রেয়েছ। সুতরাং ইবাদেতর েকেত সতকরতার
জনয িদবচনেক বহবচেনর সংেগ যুক করা হেব। আলাহ‌ই অিধক জােনন।

217
অধযায়: হজ
218
হজ ওয়ািজব েস সকল েলােকর উপর যারা সাধীন, পাপবয়স, সুস মিসষ ও সুসেদেহর অিধকারী। যখন তারা
পােথয় ও বাহেন সকম হয়, আর তা বাসসান ও অনযানয পেয়াজনীয় িজিনস েথেক এবং িফের আসা পযরন আপন
েপাষয পিরজেনর েখারেপাষ েথেক অিতিরক হয় আর পথও িনরাপদ হয়।

গনকার এখােন ওয়ািজব শবিট বযবহার কেরেছন অথচ তা অকাটয ফরয এবং তার ফরয হওয়া িকতাবুলাহ‌ দারা
পমািণত। আর তা হেলা, আলাহ‌ পােকর িনেমাক বাণী- আলাহর সনিষর উেদেশয মানুেষর উপর বায়তুলাহর হজ
ফরয..........েশষ পযরন।

জীবেন তা একবারই শধু ফরয হয়। েকননা রাসূলুলাহ‌ (সা.) েক িজজাসা করা হেয়িছল। হজ িক পিত বছর
ফরয, না শধু একবার? তখন িতিন বলেলন, না, বরং একবার; এর অিতিরক যা করা হেব তা নফল হেব।

তাছাড়া হজ ফরয হওয়ার কারণ েতা হেলা বায়তুলাহ‌ আর তা একািধক নয়। সুতরাং বারংবার ওয়ািজব হেত
পাের না।

আর ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর মেত হজ ওয়ািজব অিবলেম। ইমাম আবূ হানীফা (র.) েথেক এক বণরনায় এ
মেতর সমথরন পাওয়া যায়।

আর ইমাম মুহামদ ও ইমাম শািফঈ (র.) এর মেত তা িবলম আদায় করা যায়। েকননা তা পূণর জীবেন অিপরত
ওয়ািজব। সুতরাং হেজর েকেত পূণর জীবন হেলা সালােতর েকেত সমেয়র মেতা।

পথেমাক মেতর দলীল এই েয, হজ িবেশষ সমেয়র সােথ িনিদরষ। আর এক বছর সমেয়র সােথ িনিদরষ। আর
এক বছর সমেয় মৃতুয ঘেট যাওয়া অসমব নয়, তাই সতকরতার জনয (সময়সীমা) সংকুিচত করা হেয়েছ। আর
এই সতকরতার েপিকেতই তাড়াতািড় আদায় করা (সবরসমিতকেম) উতম। সালােতর সমেয়র িবষয়িট িভন।
েকননা এত অল সমেয় মৃতুয ঘেট যাওয়া অসাভািবক।

সাধীনতা ও পাপবয়সতার শেতরর কারণ এই েয, রাসূলুলাহ‌ (সা.) বেলেছন-

েয েকান েগালাম যিদ দশবারও হজ কের অতঃপর সাধীন হয়, তাহেল তার উপর ইসলােমর ফরয হজ ওয়ািজব
হেব। আর েকান নাবািলগ যিদ দশবারও হজ কের অতঃপর বািলগ হয় তাহেল তার উপর ইসলােমর ফরয
ওয়ািজব হেব। তাছাড়া এই জনয েয, হজ হেলা একিট ইবাদত। আর যাবতীয় ইবাদত নাবািলগেদর েথেক
রিহত।

আর মিসেষর সুসতা শতর দািয়ত আেরােপর ৈবধতার জনয। অনুরপভােব অংগ-পতযংেগর সুসতা (এরও শতর
রেয়েছ)। েকননা তা ছাড়া অকমতা অিনবাযর। অন বযিক যিদ এমন কাউেক পায়, েয তার সফেরর দািয়তভার
গহণ করেব(অথরাত‌ চলা-েফরায় তােক সাহাযয করেব)। এবং পােথয় ও বাহেনও সমথর হয়, তবুও ইমাম আবূ
হানীফা (র.) এর মেত তার উপর হজ ওয়ািজব হেব না।

সােহবাইন িভনমত েপাষণ কেরন। সালাত অধযােয় এ িবষেয় আেলাচনা করা হেয়েছ।

219
পংগ সমেকর ইমাম আবূ হানীফা (র.) েথেক বিণরত রেয়েছ েয, তার উপর হজ ওয়ািজব হেব। েকননা, অপেরর
সাহােযয েস সকম। সুতরাং েস বাহেনর সাহােযয সকমতা অজরনকারীর সদৃশ।

ইমাম মুহামদ (র.) েথেক বিণরত আেছ েয, তার উপর হজ ওয়ািজব হেব না। েকননা, েস িনেজ হেজর
েরাকনসমূহ আদায় করেত সকম নয়। পকানের অন বযিকেক যিদ পথ বাতিলেয় েদওয়া হয় তাহেল েস িনেজই
আদায় করেত পাের। ফেল েস পথ হািরেয় েফলা বযিক সদৃশ হেলা।

পােথয় ও বাহন বযবসায় সকম হওয়া জররী। বাহন সংগেহ সকম হওয়ার অথর এই পিরমােণ অথর থাকা, যােত
হাওদার একাংশ এবং সামান পত বহেন একিট উট ভাড়া করেত সমথর হয়।

যাওয়া ও আসার সময় পযরন খরেচর বযবসায় সকম হওয়া জররী। েকননা নবী কিরম (সা.) েক িজজাসা করা
হেয়িছল ‘বায়তুলাহ‌ পযরন রাসার সকম হওয়ার অথর িক? তখন উতের িতিন বেলিছেলন- পােথয় ও বাহন।

যিদ েস ‘পালাকেম’ সওয়ারী ভাড়া করেত সকম হয়, তাহেল তার উপর হজ ওয়ািজব হেব না। েকননা দ’জন
যিদ পালাকেম সওয়ার হয় তাহেল পুরা সফের বাহন পাওয়া হল না।

এই সমূণর খরচ বাসসান ও অনযানয জররী পেয়াজন হেত উদৃত েথেক হেব ।েযমন, খািদম, ঘেরর আসবাবপত
ও কাপড়-েচাপড়। েকননা এগেলা তার েমৌিলক পেয়াজেনর অনভূরক।

(তদপ এই সমূণর খরচ) তার িফের আসা পযরন তার পিরবার-পিরজেনর ভরণ-েপাষণ েথেক উদৃত হেত হেব।
েকননা ভরণ-েপাষণ হেলা সীর পাপয অিধকার, আর শরীআেতর িনেদরশ মেতই শরীআেতর হেকর উপর বানার হক
অগগণয।

মকাবাসীেদর উপর এবং তােদর পাশরবতরীেদর উপর হজ ফরয হওয়ার জনয সওয়ারী শতর নয়। েকননা হজ আদায়
করার জনয তােদর উপর অিতিরক কেষ িলপ হেত হয় না। সুতরাং তা জুমুআর জনয পথ চলার অনুরপ হেলা।
পেথর িনরাপতা অপিরহাযর। েকননা এছাড়া সকমতা সাবযস হয় না।

েকান েকান মেত এটা হেলা হজ ওয়ািজব হওয়ার শতর। এমনিক (মৃতুযর সময়) ওসীয়ত কের যাওয়া তার উপর
ওয়ািজব নয়। এ মত ইমাম আবূ হানীফা (র.) েথেক বিণরত। কােরা কােরা মেত এটা হজ আদায় করার শতর,
ওয়ািজব হওয়ার জনয নয়। েকননা নবী কিরম (সা.) সকমতার বযাখযা কেরেছন শধু ‘পােথয় ও বাহন’ দারা।

ইমাম কুদূরী (র.) বেলন, সীেলােকর েকেত শতর এই েয, তার সংেগ তার সামী িকংবা েকান মাহরাম থাকেত হেব,
যােক সংেগ িনেয় েস হজ কের আসেব। যিদ তার ও মকা শরীেফর মােঝ িতন িদেনর দূরত থােক তাহেল সামী বা
মাহরাম ছাড়া হজ করেত যাওয়া তার জাইয নয়।

শািফঈ (র.) বেলন, যিদ কােফলার সােথ রওয়ানা হয় আর তার সংেগ িনভররেযাগয কিতপয় সীেলাক থােক, তাহেল
তার জনয হজ করা জাইয হেব। েকননা সফর থাকার কারেণ িনরাপতা পােব।

220
আমােদর দলীল এই েয, নবী কিরম (সা.) বেলেছন- েকান সীেলাক েযন মাহরাম ছাড়া হেজ না যায়। আর এ
জনয েয, মাহরাম ছাড়া তার বযাপাের িফতনার আশংকা রেয়েছ। আর অনযানয সীেলাক তার সংেগ যুক হওয়ার
দারা িফতনার আশংকা আেরা বৃিদ পােব। এ কারেণই সংেগ অনয সীেলাক থাকা সেতও পর নারীর সংেগ একােন
িমিলত হওয়া হারাম। পকানের তার ও মকার মধযবতরী দরত িতন িদেনর কম হওয়ার িবষয়িট এর িবপরীত,
েকননা সফেরর কম দূরেত মাহরাম ছাড়া েবর হওয়া তার জনয জাইয রেয়েছ।

যিদ েস মাহরাম েপেয় যায় তাহেল সামীর তােক বাধা েদয়ার অিধকার থাকেব না।

ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, তার বাধা েদয়ার অিধকার থাকেব। েকননা, সফের েবর হওয়ােত তার হক নষ হয়।

আমােদর দলীল এই েয, ফরযসমূ


্ েহর েকেত
স্ ্ ামীর অিধকার পকাশ পােব না। আর হজ ফরযসমূেহর অনভূরক।
এমনিট নফল হেজর েকেত তার বাধা পদােনর অিধকার রেয়েছ।

মাহরাম যিদ ফািসদ হয় েসেকেত ফকীহ‌গণ বেলেছন েয, তার উপর হজ ফরয হেব না। েকননা সফর সংগী
হওয়ার উেদশয তার দারা হািছল হেব না।

েয েকান মাহরােমর সংেগ েবর হওয়া তার জনয জাইয হেব। িকন মাজূসী হেল জাইয হেব না। েকননা, েস েতা
তার সংেগ িববােহর ৈবধতার কথা িবশাস কের। বাচা িকংবা িবকৃত মিসষ মাহরাম গহণেযাগয নয়। েকননা
তােদর পক েথেক িহফাজত হািসল হেব না।

েয বািলকা েযৌনােবদেনর সীমায় উপনীত হেয় েগেছ, েস পাপ বয়সার সমতুলয। কােজই মাহরাম ছাড়া তােক
িনেয় সফর করা জাইয েনই। মাহরােমর বযয়ভার সী েলাকিটেকই বহন করেত হেব। েকননা েস তার মাধযেমই
হজ আদােয় সকম হেচ।

মাহরােমর সংেগ িক হজ ওয়ািজব হওয়ার শতর, না হজ আদায় করা ওয়ািজব হওয়ার শতর, এ িবষেয় ফকীহ‌গেণর
মেধয মতেভদ রেয়েছ- েযমন পেথর িনরাপতার েকেত তােদর মতেভদ রেয়েছ।

ইহরাম বাধার পর নাবালক যিদ ‘সাবালক’ হয় িকংবা দাস সাধীনতা লাভ কের, তার পর হেজর িকয়াকমর সমন
কের, তাহেল তা তােদর ফরয হেজর জনয যেথষ হেব না। েকননা তােদর ইহরাম েতা নফল আদােয়র জনয
সংঘিটত হেয়েছ। সুতরাং তা ফরয আদােয়র ইহরােম পিরবিতরত হেব না।

যিদ নাবালক (বােলগ হওয়ার পর) ওকুেফ আরাফার পূেবর ইহরােমর নবায়ণ কের ফরয হেজর িনয়যত কের েনয়,
তাহেল জাইয হেব। িকন দাস এরপ করেল জাইয হেব না। েকননা েযাগযতা না থাকার কারেণ বালেকর ইহরাম
অবশযপালনীয় নয়, পকানের দােসর ইহরাম অবশয পালনীয়। সুতরাং অনয ইহরাম শর করার মাধযেম বতরমান
ইহরাম হেত েবর হেয় আসা তার পেক সমব নয়। আলাহ‌ উতম জােনন।

পিরেচদ- ইহরােমর সানসমূহ


221
ইহরাম অবসা ছাড়া েয সকল সান অিতকম করা কােরা জনয জাইয েনই েসগেলা েমাট পাচিট। মদীনাবাসীেদর
জনয হেলা ‘যুল হলায়ফা’ এবং ইরাকবাসীেদর জনয হেলা ‘যাতু ইরক’ এবং িসিরয়াবাসীেদর জনয হেলা জুহফা
এবং নাজদবাসীেদর জনয হেলা ‘কারন’ এবং ইয়ামানবাসীেদর জনয হেলা ইয়ালামলাম।

এভােবই রাসূলুলাূূূূ‌
্ হ‌ (সা.) এই সকল এলাকার েলাকেদর জনয এই সকল সানেক ‘মীকাত’
রেপ িনধরারণ কেরেছন।

এই িনধরারেণর ফলাফল হেলা ইহরাম বাধার কাজিট এ সকল সান েথেক িপছােনা িনিষদ। েকননা এসকল সান
হেত অগবতরী করা েতা সকেলর মেতই জাইয।

বিহরাগত েলােকরা যখন মকায় পেবেশর উেদেশয ঐ সকল মীকাত পযরন উপনীত হয়, তখন আমােদর মেত ইহরাম
েবেধ েনয়া তার জনয জররী। হজ বা উমরার উেদশয থাকুক িকংবা অনয উেদশয থাকুক। েকননা রাসূলুলাহ‌
(সা.) বেলেছন- ইহরাম অবসা ছাড়া েকউ েযন মীকাত অিতকম না কের।

তাছাড়া এই জনয েয, ইহরাম ওয়ািজব হওয়ার উেদশয হেলা এই পিবত অঞেলর পিত সমান পদশরন। সুতরাং এ
িবষেয় হজকারী, উমরাকারী ও অনযানযরা সমান হেব।

যারা মীকােতর অভযনের বসবাসকারী, তােদর জনয িনজস পেয়াজেন ইহরাম ছাড়া মকায় পেবশ করা ৈবধ। েকননা
তােক েতা সচরাচর মকায় পেবশ করেতই হয়। আর পিতবার ইহরাম বাধযতামূলক করােত সুসষ অসুিবধা
রেয়েছ। সুতরাং তারা মকাবাসীেদর মতই হেব। আর মকাবাসীেদর জনয পেয়াজেন ইহরাম ছাড়া মকা হেত েবর
হওয়া এবং মকায় পেবশ করার অনুমিত রেয়েছ।

আর হজ বা উমরা আমােদর িনয়যত করার িবষয়িট িভন। েকননা, তা িবেশষ সমেয় হেয় থােক সুতরাং এেত
েকান অসুিবধা েনই।

যিদ এ সকল মীকােত েপৌছার আেগই ইহরাম েবেধ েনয়, তাহেল তা জাইয। েকননা আলাহ‌ তা’আলা বেলেছন-
েতামরা আলাহ‌র উেদশয হজ ও উমরা পূণর কর। আর পূণরতা হেলা এ দ’িট ইহরাম বাধা সীয় পিরবােরর গৃহ
েথেক। ‘আলী ইব‌ন মাস’ঊদ (রা.) এ রপই বেলেছন। সুতরাং ইহরাম মীকােতর আেগ বাধাই উতম। েকননা
হেজর পূণরতা এ ধারায়ই বযাখযা করা হেয়েছ; আর এেত কষও অিধক এবং ভিকর পকাশও অিধক।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) েথেক বিণরত আেছ েয, আেগ েথেক ইহরাম বাধা তখনই উতম হেব, যখন েকান অনযায়
কােজ িলপ না হওয়ার বযাপাের িনেজর উপর িনয়নণ থােক।

েয বযিক মীকােতর িভতের বাস কের, তার জনয মীকাত হেলা ‘িহলু’ (অথরাত‌ হারােমর বাইেরর এলাকা) । অথরাত‌
হারাম ও মীকােতর মধযবতরী অঞল। েকননা আপন পিরবােরর িনকট হেত ইহরাম েবেধ যাওয়া তার জনয জাইয
রেয়েছ। আর মীকােতর পর েথেক হারাম পযরন অঞলিট অিভন সান রেপ িবেবিচত।

েয বযিক মকায় বাস কের, তার মীকাত হেলা হেজর েকেত হরম এবং উমরার েকেত ‘িহলু’। েকননা নবী করীম
(সা.) তার সাহাবােয় িকরামেক হেজর জনয মকার অভযানর েথেক ইহরাম বাধার িনেদরশ িদেয়েছন। পকানের

222
‘আইশা (রা.) এর ভাই আবদর রহমান (রা.) েক তানঈম েথেক তােক উমরা করােনার িনেদরশ িদেয়িছেলন।
আর তানঈম ‘িহলু’ এ অবিসত।

তাছাড়া এই জনয েয, হজ আদায় করা হয় আরাফােত। আর তা ‘িহলু’ এর মেধয রেয়েছ। সুতরাং ইহরাম
হরম েথেক হওয়া উিচত, যােত এক ধরেনর সফর হেয় যায়। পকানের উমরা আদায় করা হয় হরেমর অভযনের।
সুতরাং উক কারেণ িহলু েথেক ইহরাম হওয়া উিচত। তেব হাদীেছ তানঈম এর কথা উেলিখত হওয়ার কারেণ
তানঈম েথেক ইহরাম করাই উতম আলাহ‌-ই অিধক অবগত।

পথম অনুূূূূ
্ ্ ূ
েচদ
ইহরাম
যখন ইহরাম বাধেত, মনস করেব তখন েগাসল িকংবা উযূ কের িনেব। তেব েগাসল করাই উতম। েকননা বিণরত
আেছ, নবী কিরম (সা.) তার ইহরােমর জনয েগাসল কেরিছেলন। তেব এ েগাসল হেলা পিরচনতার
জনয(পিবততা অজরেনর জনয নয়)। তাই ঋতুগস সীেলাকেকও েগাসল করেত বলা হেব। যিদও তােত তার
েগাসেলর ফরয আদায় হেব না। সুতরাং উযূ েগাসেলর সলবতরী হেব, েযমন জুমুআর েকেত হেয় থােক। তেব
েগাসলই উতম। েকনন, েগাসেলর মােঝ পিরচনতার িবষয়িট পূণরতর। তাছাড়া নবী করীম (সা.) এর সময়
তহবন ও চাদর পিরধান কেরেছন। তাছাড়া এই জনয েয, েসলাই করা কাপড় পরা েথেক তােক িনেষধ করা
হেয়েছ। অথচ সতর ঢাকা এবং গরম ও শীত িনবারণ জররী, আর তা আমােদর িনধরািরত কাপেড়ই সমব। তেব
নতুন কাপড়ই উতম। েকননা তা পিবততার অিধক িনকটবতরী।

ইমাম কুদূরী (র.) বেলন, তার কােছ আতর থাকেল তা বযবহার করেব।

ইমাম মুহামদ (র.) েথেক বিণরত আেছ েয, এমন আতর বযবহার করা মাকরহ হেব, যার অিসত ইহরােমর পরও
অবিশষ েথেক যায়। মািলক ও শািফঈ (র.) এর ও এ মত। েকননা েস ইহরােমর পর আতর েথেক উপকৃত
হেচ।

পিসদ মতামেত দলীল হেলা ‘ আইশা (রা.) এর হাদীছ। িতিন বেলন, আিম রাসূলুলাহ‌ (সা.) েক ইহরােমর পূেবর
ইহরােমর জনয সুগিন লািগেয় িদতাম।

223
তাছাড়া এই জনয েয, িনিষদ িবষয় হেলা ইহরােমর পের খুশবু বযবহার করা। আর যা অবিশষ েথেক যায়, তা
তার সংেগ সংযুিকর কারেণ েযন তার আনুষিঙক। কাপেড়র িবষয়িট এর িবপরীত। েকননা তা তার েথেক
িবিচন।

ইমাম কুদরূ ী (র.) বেলন, দ’রাকাআত সালাত আদায় করেব। েকননা জািবর (রা.) বণরনা কেরেছন েয, নবী
করীম (সা.) তার ইহরােমর সময় ‘যুলহলায়ফায়’ দ’রাকাআত সালাত আদায় কেরেছন।

ইমাম কুদূরী (র.) বেলন, আর দ’আ পড়েব- েহ আলাহ‌, আিম হেজর িনয়যত করিছ; সুতরাং আপিন আমরা জনয
তা সহজ কের িদন এবং আমার পক েথেক তা কবূল রকন। েকননা, হজ িবিভন সমেয় িবিভন সােন আদায়
করা হয়। সুতরাং সাধারণতঃ তা কষমুক হয় না, তাই সহজ তা পাথরনা করেব।

আর ফরয সালাত আদােয়র েবলায় এ ধরেনর দ’বার কথা বলা হয়িন। েকননা সালােতর সময় সংিকপ এবং
সাধারণতঃ তা আদায় করা সহজ।

ইমাম কুদূরী (র.) বেলন, অতঃপর সালােতর পের তালিবয়া পাঠ করেব। েকননা বিণরত আেছ েয, নবী (সা.)
সালােতর পের তালিবয়া পেড়িছেলন। তেব বাহন তােক িনেয় েসাজা দািড়েয় যাওয়ার পের তালিবয়া পেড় তাহেলও
জাইয হেব। িকন আমােদর বিণরত হাদীছিটর কারেণ পথমিটই উতম। যিদ েস শধু হজ আদায়কারী হয় তাহেল
তালিবয়া দারা শধু হেজর িনয়যত করেব। েকননা এটা ইবাদত। আর আমল িনয়যেতর উপরই িনভররশীল।

আর তালিবয়া হল এ বাকয বলা- আিম হািযর, েহ আলাহ‌, আিম হািযর। আিম হািযর, আপনার েকান শরীক
েনই। আিম হািযর, সমস পশংসা আপনারই জনয এবং িনয়ামত ও রাজত আপনারই এবং আপনার েকান শরীক
েনই।

এর হামযািট েজর যুক, জবরযুক নয়, যােত বকবযিট সতন হয়, পূবরসমিকরত না হয়। েকননা জবরযুক হেল
(বযকরেনর দৃিষেত) তা পূববর তরী (বােকযর িবেশষণ হেব।

এই তালিবয়া হেলা হযরত ইবরাহীম (আ.) এর আহবােনর সাড়াদান, েযমন সংিশষ ঘটনায় সুিবিদত।

উেলিখত শবগেলার েকান িকছুই বাদ েদওয়া উিচত নয়। েকননা বণরনাকারী সবরসমিতকেমই তা বিণরত হেয়েছ।
সুতরাং তা েথেক িকছুই বাদ েদয়া যােব না। তেব যিদ িকছু বৃিদ কের তাহেল তা জাইয হেব। আর এেত িভন
মত রেয়েছ ইমাম শািফঈ (র.) এর এবং তার িনকট েথেক রাবীর বণরনা অনুযায়ী।

িতিন এেক আযান ও তাশাহেদর উপর িকয়াস কেরন, এিদক েথেক েয, তা িবিধবদ িযিকর।

আমােদর দলীল এই েয, ইব‌ন মাস’ঊদ, ইব‌ন উমর ও আবূ হরায়রা (রা.) পমুখ িবিশষ সাহাবাগণ হাদীেছ বিণরত
শেবর সংেগ অিতিরক েযাগ কেরেছন।

তাছাড়া এই জনয েয, তালিবয়ার উেদশয হেলা পশংসা ও বেনগীর পকাশ। সুতরাং তার সংেগ অিতিরক েযাগ
করা িনিষদ হেব না।

224
ইমাম কুদরূ ী (র.) বেলন, যখন তালিবয়া পড়েব, তখন ইহরাম বাধা হেয় যােব। অথরাত‌ যিদ িনয়যত কের থােক।
েকননা ইবাদত িনয়যত ছাড়া আদায় হয় না। িকন গনকার তা উেলখ কেরনিন। েকননা এ দ’আর মেধয
িনয়যেতর িদেক ইংিগত রেয়েছ।

যতকণ তালিবয়া না বলেব ততকণ শধু িনয়যত দারা েস ইহরাম আরমকারী রেপ িবেবিচত হেব না।

ইমাম শািফঈ (র.) িভন মত েপাষণ কেরন।

(আমােদর দলীল) েকননা এ হেলা একিট আমল আদায় করার সংকল। সুতরাং েকান িযিকর জররী হেব, েযমন
সালােতর তাহরীমার েকেত। তেব জনুিবয়া ছাড়া এমন িযিকর যা দারা তাযীম উেদশয হয়, ইহরাম শরকারী গণয
হেব। েসটা ফারসীেত েহাক িকংবা আরবীেত। আমােদর ইমামেদর পক েথেক এটাই হেলা পিসদ িরওয়ায়াত।

সােহবাইেনর নীিত অনুযায়ী হজ ও নামােযর মােঝ পাথরেকযর কারণ এই েয, হেজর মেধয সালােতর তুলনায়
অিধক অবকাশ রেয়েছ। এ কারেণই হেজর েকেত গায়র িযিকরেক িযিকেরর সলবতরী করা হয়। েযমন উটেক হার
পিরেয় েদয়া। সুতরাং অনয িযিকরেক তালিবয়ার সলবতরী এবং আরবী ছাড়া অনয ভাষােক (আরবীর) সলবতরী করা
েযেত পাের।

সহবাস, পাপাচার ও ঝগড়া-িববাদ ইতযািদ েয সকল িবষয় আলাহ‌ িনেষধ কেরেছন, তা পিরহার কের চলেব। এ
িবষেয় আলাহ‌ তা’আলার িনেমাক বানীই হেলা মুলঃ হেজ সহবাস, পাপাচার ও ঝগড়া-িববাদ েনই। এখােন না-
বাচক শেব িনেষধ েবাঝােনা হেয়েছ। আয়ােত বিণরত অথর সহবাস িকংবা অশীল কথা। িকংবা নারীেদর উপিসিতেত
েযৌন িবষয়ক আেলাচনা। আয়ােত বিণরত অথর নাফরমািন।

ইহরােমর অবসায় এগেলা কেঠারতর হারাম। িববাদ অথর সংগীেদর সােথ িববােদ িলপ হওয়া। েকউ েকউ
বেলেছন, ঝগড়া না করার অথর হেলা হেজর সময় অগপশাত‌ করা িনেয় মুশিরকেদর সংেগ িববাদ না করা।

েকান িশকার হতযা করেব না। েকননা আলাহ‌ তা’আলা বেলেছন, মুহিরম অবসায় েতামরা িশকার হতযা কেরা
না।

িশকােরর পিত ইংিগত করেব না এবং িশকার সমেকর অবিহত করেব না । েকননা, আবূ কাতাদা (রা.) বিণরত
হাদীেছ আেছ েয, িতিন হালাল অবসায় একিট বণয-গাধা িশকার কেরিছেলন। আর তার সংগীরা মুহিরম অবসায়
িছেলন। তখন নবী করীম (সা.) তার সাথীেদর িজজাসা কেরিছেলন েয, েতামরা িক ইংিগত কেরিছেল? েতামরা
িক বাতিলেয় িদেয়িছেল? েতামরা িক সাহাযয কেরিছেল? তারা সকেল বলেলন, না। তখন িতিন বলেলন, তাহেল
েতামরা েযেত পােরা।

তাছাড়া এই জনয েয, এগেলার দারা িশকােরর িনরাপতা িবনষ করা হয়। েকননা, িশকার তার বনযতা ও চকুর
আড়ােল থাকার কারেণ িনরাপড় িছেলা।

ইমাম কুদূরী (র.) বেলন, জামা, পাজামা, পাগড়ী ও েমাজা পরেব না। তেব যিদ জুতা না পায় তাহেল েথেক
নীেচর িদেক েমাজা েকেট িনেব। েকননা, বিণরত আেছ েয, নবী কিরম (সা.) মুহিরমেক এ সকল িজিনস পিরধান

225
করেত িনেষধ কেরেছন এবং েশেষ বেলেছন- এবং েমাজা পরেব না। তেব যিদ জুতা না পাওয়া যায় তাহেল েমাজা
দ’েটােক েথেক নীেচর িদেক েকেট েফলেব।

এখােন এর অথর হেলা পােয়র পাতার মধযসেলর েজাড় (গিন), েযখােন িফতা বাধা হয়। ইমাম মুহামদ (র.)
েথেক িহশাম তা বণরনা কেরেছন।

েচহারা এবং মাথা ঢাকেব না।

ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, পুরেষর জনয েচহারা ঢাকা জাইয আেছ। েকননা রাসূলুলাহ‌ (সা.) বেলেছন- পুরেষর
ইহরাম হেলা তার মাথায় এবং সীেলােকর ইহরাম হেলা তার েচহারায়।

আমােদর দলীল এই েয, নবী (সা.) এর বাণী- তার েচহারা এবং মাথা (কাফেনর কাপেড়) ঢাকেব না। েকননা
িকয়ামেতর িদন তােক তালিবয়া বলা অবসায় উিতত করা হেব। এ কথা িতিন বেলেছন ঐ মুহিরম সমেকর, েয
মারা িগেয়িছেলা।

তাছাড়া এই জনয েয, সীেলােকর েচহারা ঢাকা হয় না। অথচ তা খুেল রাখােত িফতনার আশংকা রেয়েছ।
সুতরাং পুরেষর েচহারা েতা খুেল রাখা অিধক সংগত।

ইমাম শািফঈ(র.) বেলন, আর সুগিন বযবহার করেব না। েকননা নবী (সা.) বেলেছন- তদপ েতল বযবহার
করেব না। আমােদর বিণরত এ হাদীেছর েপিকেত।

আর মাথা মুড়ােব না এবং শরীেরর পশমও না। েকননা আলাহ‌ তা’আলা বেলেছন- েতামরা েতামােদর মাথা মুড়ােব
না।

আর দািড় ছাটেব না। েকননা এটা মুড়ােনার সমাথরক। তাছাড়া এেত ধুিলমিলনতা এবং ময়লা দূর করা হয়।

ইমাম কুদরূ ী (র.) বেলন, জাফরান ও উসেফার রিজত কাপড় পিরধান করেব না। েকননা নবী (সা.) বেলেছন-
মুহিরম এমন েকান কাপড় পিরধান করেব না, যােক জাফরান বা কুসুম দারা রিঞত করা হেয়েছ।

তেব যিদ তা এমনভােব েধায়া হয় েয, আর সুগন েবেরায় না। (তাহেল পরা যােব)। েকননা, িনেষধ করা হয়
সুগেনর কারেণ রংেয়র কারেণ, নয়।

ইমাম শািফঈ (র.) বেলন, কুসুম রিঞত কাপড় পিরধােন েকান অসুিবধা েনই। েকননা এটা শধু রং, তােত েকান
সুগন েনই। আমােদর দলীল এই েয, তােত সুঘাণ রেয়েছ।

ইমাম কুদূরী (র.) বেলন, েগাসল করা এবং হামামখানায় পেবশ করােত অসুিবধা েনই।

ইমাম মািলক(র.) বেলন, শািময়ানা বা এ ধরেনর িকছুর ছায়া গহণ করা মাকরহ হেব। েকননা এটা মাথার
ঢাকার সদৃশ।

আমােদর দলীল এই েয, উছমান (রা.) এর জনয ইহরােমর অবসায় শািময়ানা ঢাংগােনা হেতা।

226
তাছাড়া এই জেনয েয, এটা শরীরেক সশর কের না। সুতরাং তা গৃেহর সদৃশ হেলা।

যিদ কা’বা শরীেফর িগলােফর িভতের ঢুেক যায় আর তা তােক েঢেক েফেল তেব যিদ তার মাথা বা েচহারায়
কাপড় না লােগ তাহেল েকান েদাষ েনই। েকননা, এটা হেলা ছায়া গহেণরই মত।

েকামের টাকার থেল বাধায় েকান েদাষ েনই।

ইমাম মািলক(র.) বেলন, যিদ তােত অনয কােরা খরেচর টাকা থােক তাহেল মাকরহ হেব। েকননা এর েকান
পেয়াজন েনই।

আমােদর দলীল এই েয, এটা েসলাইকৃত কাপড় পরার সমাথরক নয়। সুতরাং এ েকেত উভয় অবসাই সমান
হেব।

মাথা ও দািড় ‘িখতিম দারা ধুেব না। েকননা এটা এক ধরেনর সুগিন। তাছাড়া এটা মাথার উকুন ধংস কের।

ইমাম কুদূরী (র.) বেলন, সকল সালােতর পের এবং যখনই েকান উচু সােন আেরাহণ করেব িকংবা উপতযকায়
অবতরণ করেব িকংবা সওয়ারেদর েদখা পােব তখনই েবশী েবশী তালিবয়া পড়েব এবং েশষ রােতর িদেকও।
েকননা রাসূলুলাহ‌ (সা.) এর সাহাবাগণ এ সকল অবসায় তালিবয়া পড়েতন।

ইহরােমর তালিবয়া হেলা সালােমর তাকবীেরর অনুরপ। সুতরাং এক অবসা েথেক অনয অবসায় পিরবতরেনর সময়
তা বলেব।

উৈচসের তালিবয়া পড়েব। েকননা, রাসূলুলাহ‌(সা.) বেলেছন- েশষ হজ হেলা ‘আজ ও ছাজ’। আেজর অথর
উচসের তালিবয়া পড়া আর ‘ছাজ’ হল রক পবািহত করা (কুরবানী করা)।

ইমাম কুদরূ ী (র.) বেলন, যখন মকায় পেবশ করেব তখন পথেম মাসিজদল হারােম যােব। েকননা, বিণরত আেছ
েয, নবী (সা.) যখন মকায় পেবশ কেরিছেলন তখন পথেম মাসিজদল হারােম িগেয়িছেলন।

তাছাড়া আসল উেদশয েতা হেলা বায়তুলাহ‌ িযয়ারত করা। আর তা হেলা মাসিজদল হারােমর মেধয। আর
মাসিজদল হারােম রােত বা িদেন পেবশ করােত েকান েদাষ েনই। েকননা তা হেলা একিট শহের পেবশ। সুতরাং
রাত বা িদবস েকান একিটর িবেশষত েনই।

যখন বায়তুলাহ‌ দৃিষেগাচর হয়,তখন আলাহ আকবার ও লা-ইলাহা ইলালাহ পড়েব। আবদলাহ‌ ইব‌ন উমর (রা.)
বায়তুলাহর সাকাত লাভ কােল িবসিমলািহ ওয়ালাহ আকবার বলেতন।

মাবছূত গেন ইমাম মুহামাদ (র.) হেজর সানগেলার জনয েকান দ’আ িনধরারণ কেরন িন। েকননা, দ’আর
িনধরারেণ হদেয়র িবগিলত ভাব দূরীভুত কের েদয়। তেব েকউ যিদ হাদীেছ বিণরত দ’আ বরকত লােভর উেদেশয
পাঠ কের তেব তা উতম।

227
ইমাম কুদরূ ী (র.) বেলন, অতঃপর হাজের আসওয়াদ েথেক(তাওয়াফ) শর করেব। অথরাত‌ হাজের আসওয়ােদর
মুেখামুিখ হেয় আলাহ আকবার ও লাইলাহা ইলালাহ বলেব। েকননা বিণরত আেছ েয, নবী (সা.) মাসিজদল
হারােম পেবশ কের হাজের আসওয়াদ েথেক আমল (তাওয়াফ) শর কেরিছেলন, অথরাত‌ হাজের আসওয়ােদর
মুেখামুিখ হেয় আলাহ আকবার ও লাইলাহা ইলালাহ পেড়িছেলন।

ইমাম কুদূরী(র.) বেলন, উভয় হাত উপের েতালেব। েকননা নবী (সা.) বেলেছন, সাত সান বযতীত হস
উেতালন করেব না। েসগেলার মেধয হাজের আসওয়াদ সশর করার কথা উেলখ কেরেছন।

েকান মুসলমানেক কষ না িদেয় যিদ সমব হয় তাহেল হাজের আসওয়াদ (চুমন) করেব। েকননা বিণরত আেছ েয,
নবী (সা.) আপন পিবত ওষদয় সাপন কের হাজের আসওয়াদ চুমন কেরিছেলন। এবং উমর(রা.) েক
বেলিছেলন, তুিম শিকশালী মানুষ, দবরলেক কষ িদেব। সুতরাং তুিম হাজের আসওয়ােদর সামেন মানুেষর পিত
চাপ সৃিষ কেরা না। তেব কখেনা ফাক েপেয় েগেল তখন তা সশর কের িনও। অনযথায় তার মুেখামুিখ হেয়
আলাহ আকবার ও লাইলাহা ইলালাহ পেড় িনও।

তাছাড়া এই জনয েয, হাজের আসওয়াদ সশর করা হেলা সুনত আর মুসলমানেক কষ েদওয়া েথেক িবরত থাকা
ওয়ািজব।

ইমাম কুদরূ ী(র.) বেলন, যিদ হােতর েকান িজিনস দারা হাজের আসওয়াদ সশর করা সমব হয়, েযমন েখজুেরর
ডাল ইতযািদ দারা, অতঃপর েসটােক চুমন কের তাহেল তাই কের িনেব। েকননা বিণরত আেছ েয, নবী(সা.)
সওয়ািরেত আেরাহণ করা অবসায় বায়তুলাহ তাওয়াফ কেরিছেলন এবং হােতর লািঠ দারা রকন সমুহ সশর
কেরিছেলন।

যিদ তার িকছুই করা সমব না হয়, তাহেল শধু হাজাের আসওয়ােদর মুেখামুিখ দাড়ােব এবং আলাহ আকবার ও
লা-ইলাহা ইলালাহ বলেব আর আলাহ‌র পশংসা করেব এবং নবী(সা.) এর উপর দরদ পাঠ করেব।

ইমাম কদরী(র.) বেলন, অতঃপর বায়তুলাহর দরজা সংলগ িদকিট িনেজর ডান িদেক রাখেব এবং চাদরেক করেব।
অতঃপর বায়তুলাহর সাত চকর তাওয়াফ করেব। েকননা বিণরত আেছ েয, নবী কিরম(সা.) হাজের আসওয়াদ
সশর কেরেছন এবং দরজার সংলগ িদকিট ডান িদেক েরেখেছন অতঃপর সাতবার বায়তুলাহ‌র তাওয়াফ কেরেছন।

অথর চাদরেক ডান বগেলর নীেচ িদেয় িনেয় বাম কােধর উপর েফলেব। এ হল সুনত। রাসূলুলাহ(সা.) েথেক এ
আমল বিণরত হেয়েছ।

ইমাম কুদূরী(র.) বেলন, হাতীেমর বাইের িদেয় তাওয়াফ করেব। হাতীম হেলা বায়তুলার ঐ সানিট, েয়খােন
মীযােব রহমত রেয়েছ। (হাতীম অথর ভাংগা অংশ) এ অংশটােক হাতীম বলা হয় এই জনয েয, েসটােক বায়তুলাহ‌
েথেক েভংেগ আলাদা কের রাখা হেয়েছ।

আবার এ অংশটােক িহজরও বলা হয়। েকননা এ অংশটােক বায়তুলাহ‌র অনভূরক হেত িবিচন রাখা হেয়েছ।

228
বসতঃ তা বায়তুলাহ‌র অংশ। েকননা ‘আইশা(রা.) বিণরত হাদীেছ রাসূলুলাহ‌(সা.) বেলেছন- (হাতীম বায়তুলাহ‌র
অংশ িবেশষ)। এজনয হাতীেমর বাইের িদেয় তাওয়াফ করেব। এমন িক যিদ েকউ হাতীম ও বায়তুলাহ‌র মধযবতরী
ফােক পেবশ কের তাওয়াফ কের, তাহেল জাইয হেব না।

অবশয যিদ েকউ শধু হাতীমেক িকবলা বািনেয় সালাত আদায় কের, তাহেল তার সালাত শদ হেব না। েকননা
সালােত কা’বা অিভমুখী হওয়া েয ফরয, তা কুরআেনর বাণী দারা সাবযস হেয়েছ।

সুতরাং সতকরতার েপিকেত যা শধু খবের ওয়ািহদ দারা সাবযস, তােত ফরয আদায় হেব না। আর তাওয়ােফর
েকেত সতকরতা হেলা হাতীেমর বাইের িদেয় তাওয়াফ করা। ইমাম কুদূরী(র.) বেলন, পথম িতন চকের রমল
করেব।

রমল অথর হাটার সময় কাধ ঝািক িদেয় চলা, যুদমুখী দই সারীর মাঝখােন দমকারী পিতদনীর মত। আর তা
করেব চাদর ডান বগেলর নীেচ িদেয় বাম কােধর উপর েফেল। রমেলর কারণ িছেলা মুশিরকেদর সামেন বীরত
পকাশ করা। েকননা মুশিরকরা বলাবিল কেরিছেলা, ইয়াসিরেবর জয় তােদর কািহল কের েফেলেছ।

অতঃপর কারণ দূরীভূত হওয়ার পরও নবী(সা.) এর যামানায় এবং পরবতরীেতও (রমেলর) িবধান বহাল থােক।

ইমাম কুদূরী(র.) বেলন, অবিশষ চকরগেলােত িনজ সাভািবক অবসায় চলেব। রাসূলুলাহ‌(সা.) এর হেজর িববরণ
বণরনাকারী সবাই এ িবষেয় একমত। আর রমল অবযাহত থাকেব হাজের আসওয়াদ েথেক হাজের আসওয়ােদ
পযরন। রাসূলুলাহ‌(সা.) এর রমল সমেকর এরপই বিণরত।

রমেলর সময় যিদ েস মানুেষর ভীেড়র চােপ পেড় তাহেল দািড়েয় যােব। আবার যখন ফাক পােব তখন রমল
করেব। েকননা রমেলর সলবতরী িকছু েনই। তাই েস েথেম থাকেব েযন সুনত মুতািবক তা আদায় করেত পাের।
হাজের আসওয়াদ সশর করার িবষয়িট এর িবপরীত। েকননা মুেখামুিখ হওয়াই তার সলবতরী।

ইমাম কুদরূ ী(র.) বেলন, যখনই হাজের আসওয়ােদর পাশ িদেয় যােব, সমব হেল তা সশর করেব। েকননা
তাওয়ােফর চকরগেলা সালােতর রাকাআেতর মেতা। সুতরাং পেতযক রাকাআত েযমন তাকবীর িদেয় শর করা হয়,
েতমিন পিতিট চকর হাজের আসওয়াদ সশর কের শর করেব।

যিদ সশর করা সমব না হয়, তাহেল তার িদেক মুখ কের আলাহ আকবার এবং লা-ইলাহা ইলালাহ‌ বলেব। েযমন
আমরা
্ ্ ্ পূ েবর উেলখ কেরিছ।

আর রকেন ইয়ামানী সশর করেব। যািহের িরওয়ায়ােতর মেত তা মুসাহাব। ইমাম মুহামদ(র.) েথেক একিট
বণরনায় এিট সুনত।

এ দ’িট ছাড়া অনয েকান েরাকন সশর করেব না।্ েকননা্ ্নবী(সা.) এ দ’িট েরাকন সশর করেতন। অনযেকান
রকন সশর করেতন না।

আর তাওয়াফ েশষ করেব চুমেনর মাধযেম অথরাত‌ হাজের আসওয়ােদর চুমন কের।

229
ইমাম কুদরূ ী(র.) বেলন, অতঃপর মাকােম (ইবরাহীেম) এেস েসখােন দ’রাকাআত সালাত আদায় করেব। িকংবা
ওয়ািজব েয েকান সােন সহেজ সমব হয়। আমােদর মেত এ সালাত ওয়ািজব।

ইমাম শািফঈ(র.) বেলন, তা সুনত। েকননা, ওয়ািজব হওয়ার েকান দলীল েনই।

আমােদর দলীল হেলা রাসূলুলাহ‌(সা.) এর বাণী- তাওয়াফকারী েযন পিত সাত চকেরর পর দ’রাকাআত সালাত
আদায় কের। আর িনেদরশ ওয়ািজব পমাণ কের।

অতঃপর হাজের আসওয়ােদর িনকট এেস আবার তা চুমন করেব। েকননা বিণরত আেছ, নবী(সা.) দ’রাকাআত
পড়ার পর হাজের আসওয়ােদর িনকট িফের এেসিছেলন। মূলনীিত এই েয, েয তাওয়ােফর পর সাঈ রেয়েছ, েস
েকেত হাজের আসওয়ােদর িনকট িফের আসেব। েকননা, তাওয়াফ েযমন হাজের আসওয়াদ চুমন দারা শর করা
হয়, েতমিন সাঈ-ও তা দারা শর করেব। এর িবপরীত েয তাওয়াফ, যার পর সাঈ েনই।

ইমাম কুদরূ ী (র.) বেলন, এ তাওয়ােফর নাম তাওয়ােফ কুদূম। এটােক তাওয়াফুতািহয়যািতও বেল। এটা সুনাত,
ওয়ািজব নয়।

ইমাম মািলক(র.) বেলন, তা ওয়ািজব। েকননা রাসূলুলাহ‌(সা.) বেলেছন- েয বযিক বায়তুলাহ‌ শরীেফ উপিসত
হেব, েস েযন তাওয়ােফর মাধযেম বায়তুলােহ‌ক তািহয়যা েপশ (সমান পদশরন) কের।

আমােদর দলীল এই েয, আলাহ‌ তা’আলা তাওয়ােফর আেদশ কেরেছন। আর িনঃশতর আেদেশ পুনরাবৃিত দাবী
কের না। এিদেক ‘ইজমা’ এর মাধযেম আেদেশর েকত রেপ তাওয়ােফ িযয়ারত িনধরািরত হেয় েগেছ।

আর ইমাম মািলক(র.) েয হাদীছ বণরনা কেরেছন, তােত তাওয়ােফর তাওয়ােফ তািহয়যা বলা হেয়েছ। তার তা
মুসাহাব হওয়া পমাণ কের।

মকাবাসীেদর জনয তাওয়ােফ কুদূম েনই। েকননা তােদর েকেত েতা আগমন অিবদযমান।

ইমাম কুদূরী(র.) বেলন, অতঃপর সাফা পাহােড়র িদেক গমন করেব এবং তােত আেরাহণ করেব। বায়তুলাহ‌র
িদেক মুখ করেব এবং আলাহ আকবার বলেব, লা-ইলাহা ইলালাহ‌ বলেব, নবী করীম(সা.) এর উপর দরদ পড়েব
এবং উভয় হাত উপের েতােল আপন পেয়াজেনর জনয আলাহ‌র িনকট দ’আ করেব। েকননা বিণরত আেছ েয, নবী
করীম(সা.) সাফা পাহােড় আেরাহণ করেলন, এমনিক যখন বায়তুলাহ‌ শরীফ তার দৃিষেগাচর হয়, তখন বায়তুলাহ‌
মুখী হেয় দািড়েয় িতিন আলাহ‌র দরবাের দ’আ করেলন।

তাছাড়া এই জনয েয, ছানা ও দরদেক দ’আর উপর অগবতরী করা হয় যােত কবুিলয়ােতর িনকটবতরী হয়, েযমন
অনযানয দ’আর েকেত।

আর হাত েতালা হেলা দ’আর সুনাত।

পাহােড় এতটুকু উপের আেরাহণ করেব, যােত বায়তুলাহ‌ তার দৃিষেগাচর হয়। েকননা বায়তুলাহর িদেক মুখ করাই
আেরাহেণর উেদশয। আর েয েকান দরজা িদেয় ইচা সাফা পাহােড়র িদেক েযেত পাের। নবী করীম(সা.) বােব

230
বনী মাখযূম তথা বােব সাফা িদেয় শধু এজনয েবর হেয়িছেলন েয, েসটা সাফার িদেক যাওয়ার িনকটতম দরজা
িছেলা, এজনয নয় েয, তা সুনাত।

ইমাম কুদূরী(র.) বেলন, অতঃপর মারওয়ার উেদেশয অবতরণ করেব এবং ধীর-িসরভােব েহেট যােব। যখন বায়তুল
ওয়ািদ পযরন েপৌছেব, তখন সবুজ িনশানদেয়র মােঝ সাধারণভােব েদৌড়ােব। অতঃপর মারওয়া পযরন ধীর-িসরভােব
েহেট যােব ও তােত আেরাহণ করেব, এবং সাফায় যা কেরেছ, এখােনও তা করেব। েকননা বিণরত আেছ েয, নবী
করীম(সা.) সাফা েথেক অবতরণ কের মারওয়ার উেদেশয েহেট যান এবং বাতনুল ওয়ািদেত েদৌেড়েছন। বাতনুল
ওয়ািদ েথেক েবর হেয় েহেট চেলন এবং মারওয়ায় আেরাহণ কেরন। এখােন েয উভেয়র মােঝ সাত চকর
তাওয়াফ কেরন। এ হেলা এক চকর।

এভােব সাত চকর িদেব। সাফা চকর িদেব। সাফা েথেক শর করেব এবং মারওয়ায় িগেয় েশষ করেব। আর
পিত চকেরর সময় বাতনুল ওয়ািদেত েদৌড়েব। দলীল হল আমােদর পূবর বিণরত হাদীছ।

আর সাফা েথেক শর করার কারণ, এ সমেকর নবী(সা.) এর এ বাণী- আলাহ‌ তা’আলা পথেম েযিট (অথরাত‌
সাফা) িদেয় শর কেরেছন, েতামরাও তা েথেক শর কর।

আর সাফা ও মারওয়ার মধযবতরী সাঈ হেলা ওয়ািজব।

এিট রকন নয়। তেব ইমাম শািফঈ(র.) বেলন, এিট রকন। েকননা নবী করীম(সা.) বেলেছন- আলাহ‌
তা’আলা েতামােদর উপর সাঈ িনধরারণ করেছন। সুতরাং েতামরা সাঈ কেরা।

আমােদর দলীল আলাহ‌ তা[‘আলার বাণী- ঐ দিটর ওয়ািজব উভয়িটেক ‘নিফ’ কের। তেব আমরা রকেনর
পিরবেতর ওয়ািজব হওয়ার িদেক পতযাবতরন কেরিছ। আর এ জনয েয, আকাটয দলীল ছাড়া রকন সাবযস হয় না।
আর এখােন তা পাওয়া যায়িন।

আর ইমাম শািফঈ(র.) বিণরত হাদীেছ শব মুসাহাব অেথর বযবহত হেয়েছ। েযমন আলাহ‌ তা’আলা মৃতুযর সময়
ওসীয়ত করা পসংেগ বেলেছন- েতামােদর কােরা যখন মৃতুয উপিসত হয় আর েস িকছু সমদ েরেখ যায় তাহেল
তার উপর ওসীয়ত করার িবধান িনধরারণ করা হেয়েছ(অথচ ওসীয়ত ওয়ািজব নয়)।

অতঃপর মকা শরীেফ ইহরাম অবসায় অবসান করেব। েকননা েস হেজর ইহরা েবেধেছ। সুতরাং হেজর িকয়াকমর
আদায় করার পূেবর েস ইহরাম মুক হেত পারেব না।

যখনই তার ইচা হেব েস বায়তুলাহ‌র তাওয়াফ করেব। েকননা তাওয়াফ হেলা সালাত সদৃশ। রাসূলুলাহ‌(সা.)
বেলেছন- (বায়তুলাহ‌ তাওয়াফ হেলা সালাত) আর সালাত হেলা িনধরািরত ইবাদেতর মেধয উতম। সুতরাং
তাওয়াফও অনুরপ। তেব এই সমেয়র মেধয এ সকল তাওয়ােফর পের সাঈ করেব না। েকননা সাঈ একবারই
শধু ওয়ািজব হয়। আর নফল সাঈ শরীআত অনুেমািদত নয়। আর পিত সাত চকেরর জনয দই রাকাআত সালাত
আদায় করেব। এ দ’রাকাআত হেলা তাওয়ােফর সালাত। েযমন ইেতাপূেবর আমরা বণরনা কের এেসিছ।

231
ইমাম কুদরূ ী(র.) বেলন, ইয়াওমুতারিবয়ার (৮ই িযলহােজর) পূেবরর িদন ইমাম একিট খুতবা বা ভাষণ দান
করেবন, যােত মানুষেক িমনায় যাওয়া আরাফায় সালাত আদায় করা, উকুফ করা এবং আরাফা েথেক িফের আসার
িনয়ামাবলী িশকা িদেবন।

েমাট কথা হেজ িতনিট খুতবা রেয়েছ। পথমিট যা আমরা উেলখ কেরিছ। িদতীয়িট হেলা আরাফার িদবেস
আরাফােত আর তৃতীয়িট হেলা এগার তািরেখ িমনায়। অতএব পিত দই খুতবার মােঝ এক িদেনর বযবধান
রেয়েছ।

ইমাম যুফার(র.) বেলন, লাগাতার িতনিদন খুতবা পদান করা হেব। তনেধয পথমিট হেলা ইয়াওমুতারিবয়া (৮ই
িযলহাজ)। েকননা এই িদনগেলা হজ েমৌসুেমর িদন এবং হাজীেদর একত হওয়ার সময়।

আমােদর দলীল এই েয, খুতবাগেলার উেদশয হেলা িশকাদান। অথচ ইয়াওমুতারিবয়া ও ইয়াওমুন নহর হেলা
বযসতার িদন। সুতরাং আমরা যা বেলিছ েসটাই হেব অিধকতর উপকারী এবং অনের অিধক িকয়াশীল।

আট তািরেখ মকায় ফজেরর সালাত আদায় কের িমনার উেদেশয েবর হেব এবং আরাফা-িদবেসর ফজেরর সালাত
আদায় করা পযরন েসখােন অবসান করেব। েকননা বিণরত আেছ েয, নবী করীম(সা.) আট তািরেখ মকায় ফজেরর
সালাত আদায় কেরন আর সূেযরাদেয়র পর িমনার উেদেশয যান এবং েসখােন যুহর, আসর, মাগিরব, ঈশা ও ফজর
আদায় কেরন। অতঃপর আরাফার উেদশয রওয়ানা হন।

যিদ হাজী আরাফার রাত মকায় যাপন কের আর েসখােনই ফজর পেড় অতঃপর আরাফার উেদেশয রওয়ানা হয়
এবং িমনা িদেয় অিতকম কের, তাহেল যেথষ হেব। েকননা এই িদেন িমনায় হেজর েকান িকয়াকমর েনই। তেব
রাসূলুলাহ(সা.) এর সুনত অনুসরণ না করার কারেণ েস মন কাজ করল।

ইমাম কুদূরী(র.) বেলন, অতঃপর আরাফা অিভমুেখ রওয়ানা হেব এবং েসখােন অবসান করেব। এর দলীল হেলা
আমােদর পূবর বিনরত হাদীছ।

এ হেলা উতমতার িববরণ। তেব েকউ যিদ মীনা েথেক সূেযরাদেয়র পূেবরই চেল যায় তাহেল তা জাইয। েকননা
এই সােনর সংেগ তার পালনীয় আর েকান হকুম েনই।

ইমাম মুহামদ (র.) মাব‌সূত িকতােব বেলেছন, আরাফা মােঠ েলাকেদর সােথ অবসান করেব। েকননা, আলাদা
অবসােন অহংকার পকাশ পায়। অথচ অবসা হেলা িবনয় পকােশর। আর সমােবেশর মােঝ দ’আ কবুেলর আশা
অিধক। েকান েকান মেত েলাকেদর সােথ বসার উেদশয চলাচেলর পেথ অবতরণ না করা, যােত চলাচলকারীেদর
অসুিবধা না হয়।

ইমাম কুদূরী(র.) বেলন, সূযর যখনই েহেল পড়েব তখন ইমাম েলাকেদর িনেয় যুহর ও আসর পড়েবন । িতিন
পথেম খুতবা পাঠ করেবন। আর খুতবায় েলাকেদর আরাফা ও মুযদািলফায় অবসান, কংকর িনেকপ, কুরবাণী,
মাথা মুড়ােনা এবং তাওয়ােফ িযয়ারত করার িনয়মাবলী িশকা দান করেবন। দ’িট খুতবা িদেবন। উভয় খুতবার
মেধয একিট ৈবঠেকর দারা পাথরকয করেবন। রাসূলুলাহ‌(সা.) এরপ কথা কেরেছন।

232
আর ইমাম মািলক(র.) বেলন, সালােতর পর খুতবা পদান করেবন। েকননা, এটা ওয়ায ও উপেদেশর খুতবা।
সুতরাং তা ঈেদর খুতবার সদৃশ।

আমােদর দলীল হল রাসূললু াহ‌(সা.) এর েয আমল আমরা বণরনা কেরিছ।

তা ছাড়া এই জনয েয, এ খুতবার উেদশয হেলা হেজর কাযরাবলী িশকা েদওয়া। আর এ দই সালাত একেত
আদায় করা উক আমলসমূেহর অনভূরক।

যািহরী মাযহাব অনুযায়ী ইমাম যখন িমমের আেরাহণ কেরন এবং উপেবশন কেরন তখন মুআিয‌যনগণ আযান
িদেবন। েযমন জুমআু র জনয েদওয়া হয়।

ইমাম আবূ ইউসূফ(র.) েথেক বিণরত আেছ েয, ইমাম েবর হওয়ার পূেবর আযান েদওয়া হেব। তার পক েথেক
বিনরত আেরকিট মেত খুতবার পের আযান িদেব। আ িবশদ হেলা আমরা যা উেলখ কেরিছ। েকননা নবী
করীম(সা.) যখন েবর হেলন এবং িনজ উটনীর উপর আেরাহণ করেলন তখন মুআিয‌যনগণ তার সামেন আযান
িদেয়িছেলন।

ইমাম খুতবা েথেক ফািরগ হওয়ার পর মুআিয‌যন ইকামত বলেবন। েকননা এই হেলা সালাত শর করার সময়।
সুতরাং তা জুমআ
ু র সদৃশ।

ইমাম কুদরূ ী(র.) বেলন, আর ইমাম েলাকেদর িনেয় যুহেরর ওয়াকেতর মেধয এক আযান ও দই ইকামাতসহ যুহর
ও আসেরর সালাত আদায় করেবন।

হাদীছ বণরনাকািরগণ ঐকমতয অনুযায়ী দই সালাত একত করা সমিকরত বহ হাদীছ বিণরত রেয়েছ।

জািবর(রা.) েথেক বিণরত হাদীেছ আেছ েয, নবী করীম(সা.) উক দই সালাত এক আযান ও দই ইকামাত দারা
আদায় কেরেছন।

আবার বণরনা িদেয়েছন েয, পথেম যুহেরর জনয আযান িদেব এবং যুহেরর জনয ইকামাত বলেব, অতঃপর আসেরর
জনয ইকামাত বলেব। েকননা আসেরর সালাত েক তার িনিদরষ সমেয়র পূেবর আদায় করা হেচ। সুতরাং মানুেষর
অবগিতর জনয আলাদা ইকামাত বলেব।

উভয় সালােতর মােঝ েকান নফল পড়েব না। ঊকুেফর উেদশয অজরন করার জনয। এ কারেণই আসরেক তার
িনধরািরত সময় েথেক এিগেয় আনা হেয়েছ।

যিদ েকউ নফল আদায় কের, তাহেল েস মাকরহ কাজ করল এবং যািহরী িরওয়ায়াত অনুযায়ী আসেরর সালােতর
জনয িদতীয় আযান িদেত হেব।

ইমাম মুহামদ(র.) েথেক অবশয িভনমত বিণরত হেয়েছ।্ েকননা নফল বা্ ্ অনয েকান আমেল
িনেয়ািজত হওয়া পথম আযােনর সংযুিক নষ কের েদয়। সুতরাং আসেরর জনয পুনরায় আযান িদেত হেব।

233
যিদ খুতবা ছাড়া সালাত আদায় কের তাহেল সালাত আদায় হেয় যােব। েকননা এ খুতবা ফরয নয়।

ইমাম কুদূরী(র.) বেলন, েয বযিক িনেজর অবসান েথেক একা যুহর পড়েব, েস আসেরর সালাত আসেরর
ওয়াকেতই আদায় করেব।

এিট হেলা আবূ হানীফা(র.) এর মত। আর সােহবাইন বেলন, মুনফািরদও উভয় সালাত একেত আদায় করেবন।
েকননা উকুফেক পলিমত করার পেয়াজেন একত করার ৈবধতা এেসেছ। আর মুনফািরেদরও েস পেয়াজন
রেয়েছ।

ইমাম আবূ হানীফা(র.) এর দলীল এই েয, কুরআেনর বাণী দারা সালােতর ওয়ােকর িহফাজত করা ফরয।
সুতরাং েয বযাপাের শরীআেতর িবধান এেসেছ, এ ছাড়া অনয েকেত এ ফরয তরক করা জাইয হেব না। আর তা
হেলা ইমাম ও জামা’আেতর সংেগ উভয় সালাতেক একত করা।

আসরেক অগবতরী করার কারণ হেলা জামা’আত সংরকণ করা। েকননা সকেল যার যার উকুেফর সােন িবিচন
হেয় যাওয়ার পর আসেরর জনয পুনরায় একত হওয়া কিঠন হেব। সােহবাইন একত করার েয কারণ উেলখ
কেরেছন, তা নয়। েকননা (নামায ও উকুেফর মােঝ েতা) িবেরাধ েনই। ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মেত
উভয় সালােতর জনযই ইমােমর উপিসিতর শতর রেয়েছ।

ইমাম যুফার (র.) বেলন, শধু আসেরর জনয এ শতর। েকননা আসরেকই তার িনধরািরত সময় েথেক পিরবতরন করা
হেয়েছ। হেজর ইহরাম সমেকরও একই মত িভনতা রেয়েছ।

তেব এক বণরনা মেত হেজর ইহরাম যাওয়ােলর পূেবর হওয়া জররী। যােত(উভয় সালাত) একত করার ওয়াক‌ত
আসার পূেবর ইহরাম িবদযমান থােক। অনয বণরনা মেত সালােতর উপর অগবতরী করাই যেথষ। েকননা সালাত
হেলা উেদশয।

ইমাম কুদরূ ী(র.) বেলন, অতঃপর ইমাম উকুেফর সােনর অিভমুখী হেবন এবং জাবােলর িনকেট অবসান করেবন।
আর েলােকরাও সালাত েথেক ফািরগ হওয়ার পরই ইমােমর সংেগ অবসান করেব। েকননা নবী করীম(সা.)
সালাত েথেক ফািরগ হওয়ার পর উকুেফর সােনর অিভমুেখ গমন কেরেছন। উক পাহাড়েক ‘জাবােল রাহমাত’
বেল। আর উকুেফর এ সান হল উকুেফর পধান সান।

ইমাম কুদূরী (র.) বেলন, বাতেন উরানাহ ছাড়া সমগ আরাফাত হেলা উকুেফর সান। েকননা রাসূলুলাহ‌(সা.)
বেলেছন- সমগ আরাফা উকুেফর সান। তেব বাতেন উরানাহ েথেক দূের থাকেব। তদপ সমগ মুহাসসার েথেক
দূের থাকেব।

ইমাম কুদূরী(র.) বেলন, ইমােমর কতরবয হেলা আরাফার সওয়ািরর উপর অবসান করা। েকননা নবী(সা.) তার
উসী উপর অবসান কেরিছেলন।

তেব পােয়র উপর দািড়েয় অবসান করেলও জাইয হেব। িকন আমােদর বিণরত হাদীছিটর কারেণ পথম সুরতিট
উতম।

234
েকবলামুখী হেয় অবসান করা উিচত। েকননা, নবী করীম (সা.) এর ্ ্ কুফ কেরিছেলন এবং িতিন বেলেছন-
্ পই

উতম উকুফ হেলা যা িকবলা মুখী হেয় করা হয়।

আর িতিন দ’আ করেবন এবং মানুষেক হেজর আহকাম িশকা িদেবন। েকননা বিণরত আেছ েয, নবী করীম(সা.)
আরাফা িদবেস হস পসািরত কের দ’আ করেতন েযন এক িমসকীন আহার পাথরনা করেছন।

আর ইচা অনুযায়ী দ’আ করেবন।

যিদও িকছু িকছু দ’আ হাদীেছ বিণরত হেয়েছ। এবং েসগেলার িবশদ িববরণ আিম িকতােব আলাহ‌ পদত
তাওফীক বেল বণরনা কেরিছ।

ইমাম কুদূরী(র.) বেলন, মানুেষর কতরবয হেলা ইমােমর কাছাকািছ অবসান করা।্ েকননা িতিন েতা দ’্ ্আ
করেবন এবং িশকা দান করেবন। ফেল েলােকরা তা শনেত ও অনুধাবন করেত সকম হেব।

আর এ-ও তােদর উিচত েয, ইমােমর িপছেন অবসান গহণ করেব। যােত তারা েকবলামূখী হেত পাের। এটা
হেলা উতমতার িববরণ। েকননা আেগই আমরা উেলখ কেরিছ েয, সমগ আরাফা হেলা উকূেফর সান। ইমাম
কুদরূ ী(র.) বেলন-

আরাফায় অবসােনর পূেবর েগাসল করা এবং খুব মেনােযাগ সহকাের দ’আ করা মুসাহাব।

েগাসল করা সুনাত। ওয়ািজব নয়। সুতরাং যিদ শধু উযূই কের তাহেলও জাইয হেব, েযমন জুমুআ, দই ঈদ, ূ
ইহরােমর সময়। আর খুব মেনােযাগ িদেয় দ’আ করা এ কারেণ েয, রাসূলুলাহ‌(সা.) এই অবসান েকেত আপন
উমেতর জনয অিত মেনােযাগ িদেয় দ’আ কেরিছেলন। তখন খুন-খারাবী ও যুলুেমর অপরাধ ছাড়া অনয সকল
িবষেয় তার দআ কবুল করা হেয়েছ।

আর উকুেফর সােন মুহূেতরর পর মুহের ত তালিবয়া পড়েত থাকেব।

ইমাম মািলক(র.) বেলন, আরাফায় উকুেফর সােথ সােথই তালিবয়া পাঠ বন কের িদেব। েকননা েমৌিখক
সাড়াদােনর সময় হেলা রকনসমূেহর বযস হওয়ার পূবর পযরন। আর আমােদর দলীল হেলা এই মেমর বিণরত হাদীছ
েয, নবী করীম(সা.) জামরাতুল আকাবায় উপিসত হওয়া পযরন লাগাতার তালিবয়া পেড়েছন।

তাছাড়া হেজর তালিবয়া হেলা সালােতর তাকবীেরর নযায়। সুতরাং ইহরােমর েশষ ভাগ পযরন তা বলেব।

ইমাম কুদূরী(র.) বেলন- সূযর অস যাওয়ার পর ইমাম এবং তার সংেগ অনযানয েলােকর ধীর-িসর যাতা কের
মুযদািলফায় আগমন করেব। েকননা নবী করীম(সা.) সূযরােসর পর রওয়ানা হেয়িছেলন। তাছাড়া এেত
মুশিরকেদর পিত িবেরািধতা পকাশ করা হয়। আর নবী করীম(সা.) পেথ তার সওয়ািরেত ধীর-িসরভােব চলেতন।

আর যিদ িভেড়র আশংকায় ইমােমর পূেবর েস যাতা কের িকন আরাফার সীমানা অিতকম না কের তাহেল তার জনয
যেথষ হেব। েকননা েস েতা আরাফা তযাগ কেরিন। তেব উতম এই জনয েয, িনেজর সােনই েস অবসান করেব,
যিদ েস যথাসমেয়র পূেবর যাতা শরকারী না হয়।

235
আর যিদ সূযর অস যাওয়ার এবং ইমােমর যাতা করার পর িভেড়র আশংকায় েস িকছুকণ অেপকা কের তাহেল
েকান েদাষ েনই। েকননা বিণরত আেছ েয, হযরত ‘আইশা (রা.) ইমােমর যাতা করার পর পানীয় েচেয় পাঠােলন
এবং ইফতার করেলন এরপর রওয়ানা হেলন।

ইমাম কুদরূ ী(র.) বেলন- মুযদািলফায় আসার পর মুসাহাব হেলা ঐ পাহােড়র কাছাকািছ অবসান গহণ করা, যার
উপর অিগ পজিলত করা হেতা। ঐ পাহােড়র নাম কুযাহ। েকননা নবী করীম(সা.) এই পাহােড়র িনকট অবসান
কেরিছেলন। তদপ উমর(রা.) ূ (অবসান কেরিছেলন)। চলাচেলর পেথ অবসান করা পিরহার করেব, যােত
চলাচলকারীেদর কষ না হয়। সুতরাং পেথর ডােন িকংবা বােম অবসান করেব।

আরাফায় অবসান পসংেগ েয কথা আমরা বেলিছ, েসই একই কারেণ (মুযদািলফায়ও) ইমােমর কাছাকািছ অবসান
করেব।

ইমাম কুদূরী বেলন- ইমাম এক আযান ও এক ইকামেত েলাকেদর িনেয় মাগিরব ও ‘ঈশার সালাত আদায়
করেবন।

ইমাম যুফার (র.) এক আযান ও দই ইকামেতর কথা বেলেছন, আরাফায় দই সালাত একত করা উপর িকয়াস
কের।

আমােদর দলীল হেলা জািবর(রা.) এর বণরনা েয, নবী করীম (সা.) এক আযান ও এক ইকামােত উভয় সালাত
একেত আদায় কেরিছেলন।

তাছাড়া এই জনয েয, ‘ঈশার সালাত তার িনজ ওয়ােক‌ত আদায় করা হেচ। সুতরাং অবিহত করার জনয আলাদা
ইকামেতর পেয়াজন েনই। আরাফায় আসেরর সালাত এর িবপরীত। েকননা েসটােক তার িনজ ওয়াক েথেক
অগবতরী করা হেয়েছ। সুতরাং অিতিরক েঘাষণার জনয আলাদা ইকামেতর বযবসা করা হেয়েছ।

আর উভয় সালােতর মােঝ নফল পড়েব না। েকননা তা উভয় সালােতর একততায় তিট সৃিষ করেব।

আর যিদ নফল পেড় িকংবা অনয েকান কােজ বযস হয় তাহেল বযবধান সৃিষ হওয়ার কারেণ পুনরায় ইকামেত
িদেব। আযানও পুনরায় েদওয়া উিচত িছল, েযমন পথম একতীভূত সালােতর েবলায় (অথরাত‌ আরাফায়) তেব
আমরা শধু ইকামাত পুনরায় েদওয়ােক যেথষ মেন কেরিছ, এই জনয েয, নবী করীম(সা.) েথেক বিণরত আেছ-
মুযদািলফায় মাগিরেবর সালাত পেড়েছন এরপর রােতর খাবার েখেয়েছন এরপর ঈশার সালােতর জনয (শধু)
আলাদা ইকামাত িদেয়েছন।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মেত এই একতীকরেণর জনয জামাআেতর শতর েনই। েকননা মাগিরবেক তার িনজ
ওয়াকত েথেক িবলিমত করা হেয়েছ। আরাফায় একতীকরেণর িবষয়িট এর িবপরীত। েকননা তথায় আদায়েক
তার িনজ ওয়াক‌ত েথেক অগবতরী করা হেয়েছ।

েয বযিক পেথ মাগিরেবর সালাত আদায় করেব, েস সালাত তার জনয যেথষ হেব না।

236
এিট ইমাম আবূ হানীফা (র.) ও ইমাম মুহামদ (র.) এর মত। ফজর উিদত হওয়ার পূবর পযরন তােক তা পুনরায়
আদায় করেত হেব।

আর ইমাম আবূ ইউসূফ(র.) বেলন, এ সালাতই তার জনয যেথষ হেব। তেব েস মন কাজ করল। একই
মতিভনতা রেয়েছ যিদ মাগিরেবর সালাত আরাফায় পেড় থােক।

ইমাম আবূ ইউসূফ(র.) এর দলীল এই েয, েস েতা উক সালাত তার ওয়াকেতই আদায় কেরেছ। সুতরাং পুনরায়
তা আদায় করা ওয়ািজব হেব না। েযমন ফজর উিদত হওয়ার পের আদায় করেল। তেব েযেহতু িবলম করা সুনত
িছল, েসেহতু তা তরক করার কারেণ গনাহগার হেব।

ইমাম আবূ হানীফা ও মুহামদ(র.) এর দলীল হেলা নবী (সা.) েথেক বিণরত হাদীছ। িতিন উসাম (রা.) েক
মুযদািলফার পেথ বেলেছন- (সালাত েতামার সমুেখ) এর অথর সালােতর ওয়াক‌ত। এ কথা এিদেকই ইংিগত
পদান কের েয, িবলম করা ওয়ািজব। আর ওয়ািজব হওয়ার কারণ এই েয, যােত মুযদািলফায় দই সালাত একত
করা সমব হয়। সুতরাং যতকণ না ফজর উিদত হয়, ততকণ পুনরায় আদায় করা তার উপর ওয়ািজব হেব, যােত
েস উভয় সালােতর মােঝ একতকারী হেত পাের। পকানের ফজর উিদত হয় পুনরায় আদায় করা তার উপর
ওয়ািজব হেব যােত েস উভয় সালােতর মােঝ একতকারী হেত পাের। পকানের ফজর উিদত হেয় েগেল েতা
একত করা সমব নয়। েসেহতু পুনরায় আদায় করার হকুম রিহত হেয় যায়।

ইমাম কুদরূ ী(র.) বেলন, যখন ফজর উিদত হেব তখন ইমাম অনকােরই েলাকেদর িনেয় ফজেরর সালাত আদায়
করেব। েকননা ইব‌ন মাসঊদ(রা.) েথেক বিণরত আেছ েয, নবী করীম(সা.) েস িদন ফজর অনকাের
পেড়িছলন।

তাছাড়া এই জনয েয, অনকাের ফজর পড়ার মােঝ উকুেফর (মুযদািলফায় অবসােনর) পেয়াজন পূণর হয়।
(েকননা ফজেরর পরই হেলা মুযদািলফায় অবসােনর সময়)। সুতরাং তা জাইয হেব। েযমন আরাফায় আসার
অগবতরী করা হয়।

অতঃপর ইমাম উকুফ করেবন এবং েলােকরা তার সংেগ উকুফ করেব । তারপর িতিন দ’আ করেবন। েকননা নবী
(সা.) এই সােন উকুফ কের দ’আ কেরিছেলন। েকননা ইব‌ন ‘আবাস(রা.) এর হাদীেছ বিণরত আেছ েয,
এখােন উমেতর জনয তার দ’আ কবূল করা হয়। এমনিক হতযা করা এবং যুলুম করার অপরােধর বযাপােরও।

আমােদর মেত এ উকুফ হেলা ওয়ািজব, রকন নয়। তাই েকান ওযর ছাড়া তা তরক করেল কম ওয়ািজব হেব।
ইমাম শািফঈ(র.) এেক রকুন বেলন, েকননা আলাহ‌ তা’আলা ইরশাদ কেরেছন- মাশআরল হারােমর িনকট
আলাহ‌র সরণ কর); এই ধরেনর আেদশ দারা রকন সাবযস হয়।

আমােদর দলীল এই েয, নবী(সা.) েথেক বিণরত আেছ েয, িতিন তার পিরবােরর দবরল েলাকেদর আেগভােগ
রােতই পািঠেয় িদেয়িছেলন। যিদ তা রকন হেতা তাহেল িতিন তা করেতন না।

237
আর ইমাম শািফঈ(র.) েয আয়াত েপশ কেরেছন, তােত ‘িযিকর’ শবিট রেয়েছ। আর ‘ইজমা’ পিতিষত রেয়েছ
েয, িযিকর রকন নয়।

আমরা ওয়ািজব হওয়ার িবষয়িট েজেনিছ রাসূলুলাহ‌ (সা.) এর িনেমাক বাণী েথেক- আমােদর সংেগ এই অবসান
েকেত অবসান করল এবং েস ইেতাপূেবর আরাফা েথেক উকুফ কের এেসেছ, তার হজ পূণর হেয় েগল।

রাসূলুলাহ‌(সা.) হেজর পূণরতােক এই উকুেফর সােথ সমৃক কেরেছন। এবার তা ওয়ািজেবর আলামত হওয়ার
েযাগয। তেব যিদ ওযর , েযমন দবরলতা বা অসুসতা অথবা সী েলাক ভীেড়র কারেণ তােক তরক কের থােক,
তাহেল তার উপর িকছু ওয়ািজব হেব না। দলীল আমােদর পূবর বিণরত হাদীছ।

ইমাম কুদূরী(র.) বেলন, ওয়ািদ মুহাস‌সার ছাড়া সমগ মুযদািলফাই উকুেফর সান।

দলীল হেলা ইেতাপূেবর আমােদর বিণরত হাদীছ। ইমাম কুদরূ ী(র.) বেলন, যখন সূযর উিদত হেব, তখন ইমাম ও
অনযানয েলােকরা রওয়ানা হেয় িমনায় আগমন করেব।

নগণয বানা (অথরাত‌ গনকার সয়ং) বেল- আলাহ তােক রকা করন- মুখতা ছারল কুদরীর িবিভন নুসখায় এরপই
রেয়েছ। িকন এটা ভুল। সিঠক এই েয, যখন ‘ইসফার’ অথরাত ফসরা হেয় যােব, তখনই ইমাম ও অনযানয
েলােকরা রওয়ানা িদেব। েকননা নবী করীম(সা.) সূেযরাদেয়র পূেবর রওয়ানা িদেয়িছেলন।

ইমাম কুদরী (র.) বেলন, অতঃপর জামরাতুল আকাবা েথেক শর করেব। অথরাত‌ বাতনুল ওয়ািদর িদক েথেক
উক জামরাহ‌র পিত আংগেলর মাথায় েরেখ ছুেড় মারার মত েছাট েছাট সাতিট কংকর িনেকপ করেব। েকননা
নবী করীম (সা.) যখন িমনার আগমন করেলন, তখন জামরায় কংকর িনেকপ করা পযরন েকাথাও নােমনিন।
এবং িতিন বেলেছন- েতামরা আংগেলর মাথায় েরেখ ছুেড় মারার মত েছাট েছাট কংকর নাও, যােত েতামােদর
এেক অপরেক আঘাত না েদয়।

যিদ এর চাইেত বড় কংকর িনেকপ কের তা হেলও জাইয হেব । েকননা রামীর (িনেকেপর) উেদশয েতা হািসল
হেয় যায়। তেব বড় পাথর েমােটও িনেকপ করেব না, যােত অনয েকউ তা দারা কষ না পায়।

যিদ আকাবার উপের িদক েথেক িনেকপ কের তাহেলও যেথষ হেব। েকননা তার চািরপাশরই সংিশষ আমল আদায়
করার সান। আমােদর বিণরত হাদীেছর আেলােক বাতনুল ওয়ািদ েথেক হওয়াই উতম।

পিতিট কংকর িনেকেপর সােথ তাকবীর বলেব। ইব‌ন মাস’ঊদ(রা.) ও ইব‌ন উমর (রা.) এরপ বণরনা কেরেছন।

যিদ তাকবীেরর সেল তাসবীহ পেড় তবুও যেথষ হেব। েকননা, এেত িযিকর হািসল হেয় যায়। আর িযিকরই হেলা
কংকর িনেকেপর আদব।

আর এ সােন িবলম করেব না। েকননা নবী করীম(সা.) এখােন িবলম কেরন িন।

পথম কংকর িনেকেপর সােথ সােথ তালিবয়া বন কের েদেব।

238
আমােদর দলীল, ইেতাপূেবর উেলিখত ইব‌ন মাস’ঊদ(রা.) বিণরত হাদীেছ একথা রেয়েছ।

আর জািবর (রা.) বণরনা কেরেছন েয, নবী করীম(সা.) জামরাতুল আকাবায় পথম কংকরিট িনেকেপর সময়
তালিবয়া বন কের িদেয়িছেলন।

কংকর িনেকেপর িনয়ম এই েয, ডান হােতর বৃদাংগিলর পৃেষ কংকর সাপন করেব এবং শাহাদাত আংগিলর
সাহােযয িনেকপ করেব। িনেকেপর দূরেতর পিরমাণ এই েয, িনেকেপর সান এবং কংকর পড়ার সােনর মােঝ পাচ
হাত দূরত হেব। হাসান(র.) ইমাম আবূ হানীফা (র.) েথেক এরপ বণরনা কেরেছন। েকননা এর কম পিরমােণ
িনেকপ হেব না, (বরং) েফেল েদয়া হেব।

আর যিদ ইচাকৃতভােব েফেল েদয়, তাহেলও যেথষ হেব। েকননা এটা পােয়র িদেক িনেকপ করা হেলা। তেব
সুনােতর িবরদাচরেণর কারেণ েস গনাহ‌গার হেব।

আর যিদ জামরার উপর কংকর েরেখ েদয়, তেব যেথষ হেব না। েকননা তা-েতা রামী হেলা না।

যিদ কংকর িনেকপ কের আর তা জামরাহ‌র িনকট িগেয় পেড়, তাহেলও জাইয হেব। েকননা এই পিরমাণ েথেক
েবেচ থাকা সমবপর নয়।

যিদ জামরাহ‌ েথেক দূের িগেয় পেড়, তাহেল তা যেথষ হেব না। েকননা কংকর িনেকপ িনিদরষসান ছাড়া ইবাদত
রপ গণয নয়।

যিদ সাতিট কংকর একেত িনেকপ কের, তাহেল তা একবার গণয হেব। েকননা শরীআেতর সষ িনেদরশ হেলা
কাজিট পৃথক ভােব করা।

কংকর েয েকান সান েথেক ইচা সংগহ করেব। তেব জামরাহ‌র িনকট েথেক নয়। েকননা, তা মাকরহ হেব।
কারণ জামরাহর িনকেট পিতত কংকরগেলা হল পতযাখযাত। হাদীেছ এরপই এেসেছ। সুতরাং এগেলা কুলকণ
রেপ িবেবিচত । তা সেতও যিদ তা কের তেব যেথষ হেব। রামীর কমর িবদযমান থাকার কারেণ।

মৃিতকার েয েকান আংশ িবেশেষর দারা রামী জাইয।

ইমাম শািফঈ (র.) িভনমত েপাষণ কেরন। (তার মেত কংকর ছাড়া অনয িকছু দারা জাইয হেব না) েকননা
রামী িকয়াই হেলা উেদশয। আর তা মািটর দারাও হািছল হয়, েযমন পাথর দারা হািছল হয়।

আর েসানা বা রপার টুকরা দারা রামীর হকুম এর িবপরীত। েকননা এেক িছটােনা বলা হয়, রামী নয়।

ইমাম কুদূরী(র.) বেলন,তারপর আগহ থাকেল কুরবানী করেব। তারপর মাথা মুড়ােব িকংবা ছাটােব। েকননা
রাসূলুলাহ‌(সা.) েথেক বিণরত আেছ েয, িতিন বেলেছন- আমােদর আজেকর িদেন পথম কাজ হেলা রামী করা,
তারপর কুরবানী করা তারপর মাথা মুড়ােনা।

239
তাছাড়া মাথা মুড়ােনা হেলা হালাল হওয়ার (অথরাত‌ ইহরামমুক হওয়ার) অনযতম উপায়। তদপ যাব‌হ করাও
একিট উপায়। তাইেতা অবরদ বযিক ‘যাবহ‌’ এর মাধযেম হালাল হেয় যায়। সুতরাং কংকর মারােক উভেয়র
উপর অগবতরী করা হেব। আর মাথা মুড়ােনা হেলা ইহরােমর িনিষদ কাযরসমূেহর অনভূরক। সুতরাং কুরবানীেক
তার উপর অগবতরী করা হেব।

কুরবানীেক তার আগেহর সােথ সমৃক করার কারণ এই েয, হেজ ইফরাদকারী েয, কুরবানী কের, তা হল নফল;
আর আমােদর আেলাচনা হেচ ইফরাদকারী সমেকর।

আর মাথা মুড়ােনা উতম। েকননা রাসূলুলাহ‌ (সা.) িতন বার বেলেছন- (আলাহ‌ হলককারীেদর পিত রহম করন)
হাদীছিটেত অিধক বার হলককারীেদর পিত রহেমর দ’আ করা হেয়েছ।

তাছাড়া হলক হেলা ময়লা পিরষার করার েকেত অিধকতর কাযরকর। আর তা-ই হেলা উেদশয। পকানের চুল
ছাটার মেধয িকছুটা তিট রেয়েছ। সুতরাং তা (ছাটার তুলনায় মুড়ােনা) উযূর তুলনায় েগাসেলর সদৃশ হেলা।
হলেকর েকেত মাথার চার ভােগর এক ভাগই যেথষ হেব।

‘মাথা মাস‌হ’ এর উপর িকয়াস কের একথা বলা হয়। তেব পুেরা মাথা মুড়ােনাই উতম
রাসূলূূূূ
ুল্ ্ াহূূ (সা.) এর অনুসরেণ।

চুল ছাটার িনয়ম হেলা চুেলর অগভাগ েথেক এক আংগল পিরমাণ েছেট েফলা। এরপর তার জনয সী সহবাস
ছাড়া আর সব িকছু হালাল হেয় েগেছ।

ইমাম মািলক (র.) বেলন, তেব ‘খুশবু’ ও ছাড়া। েকননা তা সহবােসর পিত আকষরণকারী।

আমােদর দলীল হেলা এ পসংেগ রাসূলুলাহ‌ (সা.) এর বাণী- সী সহবাস ছাড়া আর সব িকছু তার জনয হালাল
হেয় েগেছ। আর হাদীছ িকয়ােসর উপর অগগণয।

আমােদর মেত লজাসান ছাড়া অনযভােব সহবাস করা তার জনয হালাল নয়।

ইমাম শািফঈ (র.) িভনমত েপাষণ কেরন। আমােদর দলীল হল, এটাও েতা সী দারা শাহওয়াত পুরা করার
অনভূরক। সুতরাং পূণর হালাল হওয়া পযরন তা িবলিমত করা হেব।

আমােদর মেত হালাল হওয়ার জনয কংকর িনেকপ েকান উপায় নয়। ইমাম শািফঈ(র.) িভন মত েপাষণ
কেরন। িতিন বেলন, হলেকর নযায় এটাও কুরবানীর িদেনর সােথ সমৃক। সুতরাং ইহরামমুক করার েকেত এটা
হলেকর সমপযরােয়র।

আমােদর দলীল এই েয, েযটা ইহরাম মুককারী হেব, েসটা িনিদরষ সমেয়র পূেবর অপরাধ বেল িবেবিচত হয়। েযমন
মাথা মুড়ােনার িবষয়িট। অথচ রামী েতা অপরাধ রেপ িবেবিচত নয়। তাওয়ােফর িবষয়িট এর িবপরীত। েকননা
পূবরবতরী হলফ দারা হালা হেয় েগেছ, তাওয়াফ দারা নয়।

240
ইমাম কুদরী(র.) বেলন, অতঃপর েসই িদন িকংবা তার পেরর িদন িকংবা তার পরবতরী িদন মকায় গমন করেব;
এবং সাত চকর বায়তুলাহ শরীেফর তাওয়ােফ িযয়ারত করেব। েকননা বিণরত আেছ েয, নবী করীম(সা.) যখন
মাথা মুড়ােলন, তখন মকা অিভমুেখ রওয়ানা হেলন এবং বায়তুলাহর তাওয়াফ করেলন। অতঃপর িমনায় িফের
এেস েসখােন যুহেরর সালাত আদায় করেলন। আর তাওয়াফ িযয়ারেতর সময় হেলা কুরবানীর িদনগেলা। (দশ,
এগার ও বার তািরখ)।

েকননা আলাহ তা’আলা তাওয়াফেক ‘যবাহ‌’ এর উপর সংযুক কেরেছন। িতিন ইরশাদ কেরেছন- (অননর
েতামরা তা েথেক আহার কর)। অতঃপর িতিন ইরশাদ কেরেছন- (আর তারা েযন তাওয়াফ কের)। সুতরাং
উভয়িটর সময় একই হেব।

আর তাওয়ােফর পথম সময় হেলা ইয়াওমুন-‌ নহেরর ফজর উিদত হওয়ার সময় েথেক। েকননা এর পূেবর রােতর েয
সময় রেয়েছ, তা হেলা আরাফায় অবসােনর সময়। আর তাওয়াফ হেলা তার পরবতরী পযরােয়।

আর এ িদনগেলার মােঝ (তাওয়ােফর জনয) সেবাতম হেলা পথম িদন, েযমন কুরবানীর েবলায়। এবং হাদীছ
শরীেফ রেয়েছ তেনেধয সেবরাতম হেলা পথম িদনিট।)

যিদ তাওয়াফুল কুদেমর পর সাফা ও মারওয়ার মােঝ সাঈ কের থােক, তাহেল এই তাওয়ােফ রামাল করেব না।
এবং তার উপর সাঈও েনই। আর যিদ পূেবর সাঈ না কের থােক তাহেল এই তাওয়াফ রামাল করেব এবং তারপের
সাঈ করেব। েকননা হেজর মেধয সাঈ শধু একবার বযতীত শরীআত পমিণত নয়। আর রামাল শধু ঐ তাওয়াফ
একবার পমািণত, যার পের সাঈ রেয়েছ।

আর এই তাওয়ােফর পরও দই রাকাআত সালাত আদায় করেব। েকননা আমােদর পূবর বিণরত হাদীছ অনুযায়ী
পিতিট তাওয়ােফর সমািপ হেব দই রাকাআত সালােতর দারা। তাওয়াফ ফরয েহাক বা নফল।

ইমাম কুদূরী(র.) বেলন, আর এ তাওয়াফই হেজর ফরয তাওয়াফ এবং তা হেজর রকন। েকননা এ তাওয়াফই
হেলা িনেদরিশতত আলাহ‌ তা’আলার এ বাণীেত- (তারা েযন পাচীন ঘেরর তাওয়াফ কের) । আর এেক এবং ও
বলা হয়।

আর তাওয়ােফ িযয়ারাতেক এই িদনগেলা েথেক িবলিমত করা মাকরহ। েকননা আমরা বেল এেসিছ েয, এই
তাওয়াফ এই িদনগেলার সমেয়র সােথ সীিমত। যিদ এই িদনগেলা েথেক িবলিমত কের, তাহেল ইমাম আবূ
হানীফা(র.) এর মেত তার উপর দম ওয়ািজব হেব। িজনায়াত (হেজর তিট িবষয়ক) অধযােয় ইনশালাহ‌ আমরা
তা আেলাচনা করেবা।

ইমাম কুদূরী(র.) বেলন, অতঃপর িমনায় িফের এেস েসখােনই অবসান করেব। েকননা আমরা বণরনা কের এেসিছ
েয, নবী করীম(সা.) িমনায় িফের এেসিছেলন। তাছাড়া এই জনয েয, তার িযমায় রামী রেয় েগেছ, আর রামীর
সান হেলা িমনা।

241
কুরবানীর িতনিদেনর িদতীয় িদেন যখন সূযর েহেল পড়েব, তখন িতনিট জামারায় রামী করেব। মসিজেদ খায়েফর
িনকটবতরী জামরাহ েথেক শর করেব। েস জামরায় সাতিট কংকর িনেকপ করেব। পিতিট কংকেরর সােথ তাকবীর
বলেব। এবং েসখােন একটু থামেব। এবং েসখােনও একটু থামেব। অতঃপর জামরাতুল আকাবায় রামী করেব।
একইভােব রামী করেব। িকন েসখােন থামেব না।

রাসূলুলাহ‌(সা.) এর হেজর আমলসমূহ িবশদভােব বণরনা করার সময় জািবর (রা.) এভােবই বণরনা কেরেছন।

উভয় জামরাহ‌র িনকট ঐ সােন দাড়ােব, েযখােন েলােকরা দাড়ায় এবং আলাহ‌ তা’আলার হাম‌দ-সানা করেব।
তাহলীল তাকবীর বলেব, এবং নবী করীম (সা.) এর উপর দরদ পড়েব। আর িনেজর যাবতীয় পেয়াজেনর জনয
দ’আ করেব। (দ’আয় উভয় হাত কাধ পযরন উঠােব) েকননা রাসূলুলাহ‌ (সা.) বেলেছন- সাতিট সান বযতীত
েযন হাত েতালা না হয়। তেনেধয দই জামরাহ‌র িনকেটর কথাও উেলখ করা হেয়েছ। আর হাত েতালার মােন
দ’আর জনয হাত েতালা।

এই অবসান েকতসমূেহ ইমােমর কতরবয হেলা দ’আর সময় সকল মু’িমেনর জনয ইিসগফার করা। েকননা নবী
কিরম (সা.) বেলেছন-

েহ আলাহ‌, হাজীেক কমা করন এবং হাজী যার জনয কমা পাথরনা কের, তােক কমা করন।

মূলনীিত এই েয, েয রামীর পের আেরকিট রামী রেয়েছ, েস রামীর পের থামেব। েকননা এটা হেলা ইবাদেতর
মধযবতরী সময়। সুতরাং এসময় দ’আ করাই সমীচীন আর েয রামীর পের আর েকান রামী েনই, তার পের থামেব
না, েকননা ইবাদত েশষ হেয় েগেছ। এ জনযই ইয়াওমুন-‌ নহেরও জামরাতুল আকাবার পের থামেব না।

ইমাম কুদরী(র.) বেলন, এর পরবতরী িদন সূযর েহেল পড়ার পর একই ভােব িতনিট রামী করেব । অতঃপর যিদ
মীনা েথেক জলদী চেল েযেত চায়, তাহেল মকা অিভমুেখ যাতা করেব। আর যিদ িমনায় েথেক জলদী চেল েযেত
চায়, তাহেল মকা অিভমুেখ যাতা করেব। আর যিদ িমনায় অবসান করেত চায়, তাহেল চুতথর িদন সূযর েহেল
পড়ার পর িতনিট রামী করেব। েকননা আলাহ‌ তা’আলা ইরশাদ কেরেছন- েয বযিক দ’িদেনর মাথায় জলদী চেল
েযেত চায়, তার েকান গনাহ েনই। আবার েয িবলম করেত চায়, তারও েকান গনাহ েনই। এ িবধান ঐ বযিকর
জনয, েয তাকওয়া অবলমন কের।

তেব উতম হেলা িমনায় অবসান করা। েকননা বিণরত আেছ েয, নবী করীম(সা.) চতুথর িদনও অেপকা কেরেছন,
িতনিট জামরাহ‌র রামী করা পযরন।

চতুথর িদেনর ফজর উিদত হওয়ার আগ পযরন তার জনয যাতা করার অবকাশ রেয়েছ। িকন ফজর উিদত হওয়ার
পর যাতা করার অবকাশ েনই। েকননা রামী করার ওয়াকত এেস যাওয়ার কারেণ। তেব এ িবষেয় ইমাম
শািফঈ(র.) িভনমত েপাষণ কেরন।

যিদ এই িদেন (অথরাত‌ চতুথর িদেন) ফজর উিদত হওয়ার পর যাওয়ােলর পূেবর রামী কের েফেল তাহেল ইমাম আবূ
হানীফা (র.)- এর মেত তা জাইয হেব। এ হেলা সূক িকয়ােসর কথা।

242
অনযানয িদেনর উপর িকয়াস কের সােহবাইন বেলন, তা জাইয হেব না। েকননা অনযানয িদেনর সােথ পাথরকয
িছেলা শধু (মকা অিভমুেখ) যাতার িনয়েমর সংেগ যুক হেব।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মাযহাব ইব‌ন ‘আবাস (রা.) েথেকও বিণরত হেয়েছ।

তাছাড়া এই জনয েয, রামী না করার েকেতই যখন িশিথলতার িকয়া পকাশ পাওয়া আেরা সাভািবক। পথম ও
িদতীয় িদেনর িবষয়িট এর িবপরীত। েকননা পিসদ বণরনা মেত ঐ দ’িট িদেন যাওয়ােলর পের ছাড়া রামী জাইয
নয়। েকননা িদন দ’িটেত রামী তযাগ করা ৈবধ নয়। সুতরাং তা বিণরত মূল অবসার উপর বহাল থাকেব।

কুরবানীর িদন রামীর পথম ওয়াক হেলা ফজর উিদত হওয়ার সময় েথেক।

ইমাম শািফঈ(র.) বেলন, রামীর পথম ওয়াক হেলা মধযরােতর পর েথেক। েকননা বিণরত আেছ েয, নবী
কিরম(সা.) রাখালেদর রােত রামী করার অনুমিত িদেয়িছেলন।

আমােদর দলীল হেলা নবী করীম(সা.) এর বাণী- েতামরা েভাের উপনীত হওয়া ছাড়া জামরাতুল আকাবার রামী
করেব না। অনয িরওয়ায়াত রেয়েছ সূযর উিদত হওয়ার পূেবর রামী করেব না।

সুতরাং পথম বণরনা দারা মূল ওয়াক সাবযস হেব, আর িদতীয় বণরনা দারা উতম হওয়া সাবযস হেব।

ইমাম শািফঈ(র) েয হাদীছ বণরনা কেরেছন, তার বযাখযা হেলা িদতীয় ও তৃতীয় রাত। তাছাড়া এই জনয েয,
ইয়াওমুন-নহেরর রাত হেলা মুযদািলফায় অবসােনর রাত। আর রামী েতা উকুেফর পরবতরী পযরােয়। সুতরাং
অিনবাযরভােবই রামীর ওয়াক উকুেফর পেরই হেব।

আর ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মেত (রামীর) এই সময় সূযরাস পলিমত হেব। েকননা
রাসূলূূূূূূ
ু ্ ল াহ‌ূূ‌ (সা.) বেলেছন- িনশয়! এই িদেন আমােদর পথম আমল হেলা রামী।

এখােন পূণর িদবসেকই রামীর সাবযস করা হেয়েছ। আর িদবস েশষ হয় সূযরােসর মাধযেম।

ইমাম আবূ ইউসূফ(র.) েথেক বিণরত আেছ েয, যাওয়ােলর সময় পযরন তা পলিমত হেব। আমােদর বিণরত
হাদীছিট হেলা তার িবপেক পমাণ।

যিদ রাত পযরন িবলম কের তেব রােতই রামী করেব। এজনয তার উপর েকান দম েনই।

পমাণ হেলা (ইেতাপূেবর বিণরত) রাখালেদর অনুমিত সংকান হাদীছ।

যিদ আগামী িদন পযরন িবলম কের তাহেল আগামী িদেনই রামী করেব। েকননা তা েমৌিলকভােব রামীর সময় ।

তেব তার উপর দম ওয়ািজব হেব। ইমাম আবূ হানীফা(র.) এর মেত রামীেক তার িনধরািরত সময় েথেক িবলিমত
করার কারেণ। আর এ-ই হেলা তার মাযহাব।

243
ইমাম কুদূরী(র.) বেলন, যিদ সওয়ার অবসায় রামী কের, তাহেল যেথষ হেব। েকননা, কংকর িনেকেপর আমল
েতা হািছল হেয়েছ।

আর েয রামীর পর আেরকিট রামী রেয়েছ, েসেকেত উতম হেলা পােয় েহেট রামী করা। আর েয রামীর পের রামী
েনই, েসেকেত সওয়ার অবসায় রামী করেত পাের। েকননা, পথেমাক েকেত রামীর পের অবসান ও দ’আ
রেয়েছ, েযমন আমরা পূেবর উেলখ কের এেসিছ। সুতরাং পােয় েহেট রামী করেব, যােত তা িবনয় পকােশর
অিধকতর িনকটবতরী হয়।

উতমতার িবষয়িট ইমাম আবূ ইউসূফ(র.) েথেক বিণরত হেয়েছ। কংকর িনেকেপর রাতগেলা িমনায় অবসান না
করা মাকরহ। েকননা, নবী(সা.) িমনােতই রািত যাপন কেরেছন। আর উমর(রা.) িমনােত না থাকার কারেণ
শািস িদেতন।

যিদ েসচায় (িবনা ওযরের) অনযত রািত যাপন কের, তাহেল আমােদর মেত তার উপর েকান দন আসেব না।

ইমাম শািফঈ(র.) িভনমত েপাষণ কেরন।

আমােদর যুিক এই েয, েকননা রাতগেলা িমনায় অবসান সাবযস হেয়েছ, যােত িদনগেলােত রামী করা সহজ হয়।
সুতরাং এই অবসান হেজর অনভূরক আমল নয়। সুতরাং তা তরক কিতপূরণ ওয়ািজব করেব না।

আর এটা মাকরহ েয, েকউ তার সামা-পাত আেগভােগ মকায় পািঠেয় েদয় এবং মীনায় অবসান কের রামী করা
পযরন। েকননা বিণরত আেছ েয, উমর(রা.) এরপ করেত িনেষধ করেতন এবং এজনয শািস িদেতন।

আর এ জনয েয, তার মন েস িদেক আকৃষ হেয় থাকেব। যখন মকার িদেক যাতা করেব, তখন মুহাছ‌ছাব অথরাত
আবতাহ নামক সােন অবতরণ করেব।

এটা একটা জায়গার নাম, েযখােন রাসূলুলাহ‌(সা.)অবতরণ কেরিছেলন। আর তার অবতরণ িছেলা ইচাকৃত।
এ-ই িবশদ মত। তাই এখােন অবসান করা সুনাত হেব। েযমন বিণরত আেছ েয, নবী করীম(সা.) সাহাবােয়
িকরামেক বেলিছেলন, আগামীকাল আমরা খায়েফ বনী কানানা-েত অবতরণ করেবা, েযখােন মুশিরকরা তােদর
িশরেকর উপর থাকার পরসর শপথ িনেয়িছল।

িতিন একথা বেল বনূ হািশমেক বজরেনর বযাপাের তােদর চরম ততপরতার পিত ইংিগত কেরিছেলন। সুতরাং আমরা
জানলাম েয, িতিন তার পিত আলাহ‌র িবেশষ অনুগহ মুশিরকেদর েদখােনার ইচা কেরিছেলন। সুতরাং তাওয়ােফর
রামােলর নযায় এিটও সুনাত হেব।

ইমাম কুদূরী(র.) বেলন, অতঃপর মকায় পেবশ করেব এবং বায়তুলাহ‌ সাত চকর তাওয়াফ করেব, তােত রামাল
করেব না।

244
এটা হেলা পতযাবতরেনর তাওয়াফ এটােক িবদায়ী তাওয়াফও বলা হয়। এবং বায়তুলাহ‌র সংেগ েশষ সাকােতর
তাওয়াফও বলা হয়। েকননা এই তাওয়ােফর মাধযেম েস বায়তুলােক িবদায় জানােচ এবং বায়তুলাহ েথেক
পতযাবতরন করেছ। তাওয়ােফর মাধযেম েস বায়তুলােহ‌ক িবদায় জানােচ এবং বায়ুতুলাহ‌ েথেক পতযাবতরন করেছ।

আমােদর মেত এিট ওয়ািজব।

ইমাম শািফঈ(র.) িভনমত েপাষণ কেরন।

আমােদর দলীল হল, রাসূলুলাহ(সা.) এ বাণী- েয বযিক বায়তুলাহ‌র হজ করেব, বায়তুলাহ‌র সংেগ তার েশষ
সাকাত েযন হয় তাওয়ােফর মাধযেম। ঋতুগস নারীেদর িতিন (এই তাওয়াফ না করার) রখসত িদেয়েছন।

তেব মকাবাসীেদর উপর এ তাওয়াফ ওয়ািজব নয়। েকননা, তারা েতা পতযাবতরন করেছন না এবং িবদায়ও
জানােচন না।

এই তাওয়ােফ রামাল েনই। েকননা আমরা বণরনা কের এেসিছ েয, রামাল শধু একবারই অনুেমািদত হেয়েছ।

এরপর অবশয তাওয়ােফর দই রাকাআত সালাত আদায় করেব। এর কারণ পূেবর আমরা বণরনা কেরিছ।

অতঃপর যমযেমর িনকট এেস যমযেমর পািন পান করেব। েকননা বিণরত আেছ েয, নবী করীম(সা.) িনজ হােত
বালিত কের পািন তুেলেছন এবং পান কেরেছন। অতঃপর বালিতর অবিশষ পািন কুয়ায় েফেল িদেয়েছন।

াূ
আর মুসাহাব হেলা বায়তুলাহর দরজায় আসেব এবং েচৌকােঠ চুমন করেব। এরপের আসেব মুলতাযােম আারা
তাহেলা দরজা। আসওয়ােদর মধযবতরী সান েস সােন বুক ও েচহারা লাগােব এবং িকছু সময় বায়তুলাহর িগলাফ
জিড়েয় ধরেব। অতঃপর তার বািড়র িদেক িফরেব।

এভােবই বিণরত হেয়েছ, নবী করীম(সা.) মুলতািযেমর সংেগ এরপ কেরেছন।

আমােদর মাশােয়খগণ বেলেছন, এ-ও উিচত েয, বায়তুলাহ‌র িদেক মুখ কের িপছেনর িদেক েহেট িফরেব।
বায়তুলাহর িবেচেদ কননরত েশাকািভভূত অবসায়। এভােব বায়তুলাহ‌ শরীফ েথেক েবর হেয় আসেব। এই
হেলা হেজর পূণর িববরণ।

পিরেচদ- উকুেফর সােথ সংিশষ


মুহিরম যিদ মকায় পেবশ না কেরই আরাফা অিভমুেখ গমন কের এবং আমােদর পূবর বিণরত িনয়ম অনুসাের েসখােন
উকুফ কের তাহেল তার, িযমা েথেক তাওয়াফুল কুদম রিহত হেয় যােব। েকননা তাওয়াফুল কুদমূ হেজর শরেত
এমনভােব শরীআেতর িবধান সাবযস হেয়েছ েয, তার উপর হেজর যাবতীয় িকয়াকমর পরসরায় আবিতরত হেয়
থােক। সুতরাং ঐ রপ ছাড়া অনয েকান রেপ তা আদায় করা সুনত হেব না।

245
আর এটা তরক করার কারেণ তার উপর িকছুই ওয়ািজব হেব না। েকননা এটা সুনাত। আর সুনাত তরক করার
কারেণ েকান কিতপূরণ ওয়ািজব হয় না।

েয বযিক নয় তািরেখর সূযর েহেল পড়া েথেক দশ তািরেখর ফজর উিদত হওয়া পযরন মধযবতরী েয েকান সমেয়
আরাফায় উকুফ করেত পাের, েস হজ েপেয় েগেলা।

সুতরাং আমােদর মেত উকুেফর পথম ওয়াক হেলা যাওয়ােলর পর। েকননা বিণরত আেছ েয,নবী করীম(সা.)
যাওয়ােলর পর উকুফ কেরেছন, আর এ হেলা পথম ওয়ােকর পর।

আর নবী(সা.) বেলেছন- েয বযিক অনতঃ রােত আরাফার অবসান লাভ করেত পাের েস হজ েপেয় েগেলা, আর
েয রােতও আরাফার অবসান লাভ করেত না, পাের তার হজ ফওত হেয় েগেলা। এ হেলা উকুেফর েশষ সমেয়র
িববরণ।

ইমাম মািলক(র.) যিদও বলেতন েয, উকুেফর পথম ওয়াক হেলা ফজর উিদত হওয়ার িকংবা সূযর উিদত হওয়ার
পর েথেক, িকন আমােদর এইমাত বিণরত হাদীছ তার িবপেক দলীল।

যিদ যাওয়ােলর পর উকুফ কের েসই মুহেতর রওয়ানা িদেয় েদয়, তাহেল আমােদর মেত যেথষ হেব। েকননা
রাসূলূূূূূূ
ু ্ ল াহ‌ূূ‌ (সা.) িবষয়িটেক অবযয় েযােগ উেলখ কেরেছন। িতিন ইরশাদ কেরেছন- হজ হেলা
আরাফার অবসান। সুতরাং েয বযিক রােতর বা িদেনর িকছু সময় আরাফায় অবসান করেলা, তার হজ পূণর হেয়
েগেলা। অবযয়িট হেলা ইচা পদানমূলক অবযয়।

ইমাম মািলক(র.) বেলন, িদেনর সিহত রােতর িকছু অংেশ উকুফ না করেল যেথষ হেব না। িকন আমােদর বিণরত
হাদীছ তার িবপেক দলীল।

েয বযিক ঘুমন অবসায় িকংবা েবহশ অবসায় িকংবা েস আরাফা না েজেন অিতকম কের, তেব তার উকুফ জাইয
হেয় যােব। েকননা যা হেজর রকুন আথরাত‌ উকুফ, তা েতা পাওয়া েগেছ। অজানাবসা িকংবা ঘুেমর অবসার
কারেণ েতা েসটা বযাহত হয় না; েযমন সাওেমর রকেনর েবলায় সালােতর িবষয়িট এর িবপরীত। েকননা অজান
অবসায় সালাত অবযাহত থাকেত পাের না।

আর অজান অবসায় আরাফা অিতকম করার সময় উকুেফর িনয়যত অনুপিসত, িকন িনয়যত েতা হেজর পিতিট
রকেনর জনয শতর নয়।

েকউ যিদ অজান হেয় যায় আর তার সাথীরা তার পক হেত ইহরাম েবেধ েদয় তাহেল েকউ তা জাইয হেব ।

এ হল আবূ হানীফা(র.) এর মাযহাব। সােহবাইেনর মেত তা জাইয হেব না।

যিদ েকান মানুষেক বেল রােখ েয, েস অজান হেয় েগেল িকংবা ঘুিমেয় েগেল েস েযন তার পক েথেক ইহরাম
েবেধ েদয় আর আিদষ বযিক তার পক েথেক ইহরাম েবেধ েনয়, তাহেল তা শদ হেব। এর উপর ফকীেহ‌দর

246
ইজমা রেয়েছ। সুতরাং যিদ েস সংজা িফের পায় িকংবা জাগত হয় এবং হেজর িকয়াকমর সমন কের, তাহেল
জাইয হেয় যােব।

সােহবাইেনর দলীল এই েয, (পথেমাক সুরেত) েস িনেজও ইহরাম বােধিন আবার কাউেক ইহরাম েবেধ েদয়ার
আেদশও কেরিন। েকননা েস েতা সষতঃ অনুমিত পদান কেরিন। আর লকণগত অনুমিত িনভরর কের িবষয়িট
তার জানা থাকার উপর। তাছাড়া লকণগত অনুমিতর ৈবধতা েতা অেনক ফকীহ‌ এরই জানা েনই। সুতরাং
সাধারণ মানুষ তা জানেব িকভােব। অনযেক এ িবষেয় সষ আেদশ দােনর অবসা এর িবপরীত।

ইমাম আবূ হানীফা(র.) এর দলীল এই েয, যখন েস তােদর সফর সংগী হওয়ার বযাপাের বনেন আবদ হেয়েছ
তখন েস ঐ সকল িবষেয় তােদর পেতযেকর িনকট সাহােযযর আশাক েপাষণ কেরেছ, যা েস িনেজ সমাদন করত
সকম নয়। আর এই সফেরর উেদশযমূলক িবষয় হেলা ইহরাম। সুতরাং লকণগতভােব ইহরাম েবেধ েদয়ার
অনুমিত সাবযস হেব। আর পররমােণর পিরেপিকেত জাত রেয়েছ বেল সাবযস হেব। আর হকুম েতা পমােণর উপরই
িনভররশীল।

ইমাম কুদূরী(র.) বেলন- এই সকল িবষেয় সী েলােকর হকুম পুরেষর অনুরপ। েকননা পুরষেদর মতই তারাও
সেমাধেনর অনভূরক।

তেব েস তার মাথা খুেল রাখেব না। েকননা েসটা তার সতেরর অনভূরক।

আর তার েচহার েখালা রাখেব। েকননা রাসূলুলাহ(সা.) বেলেছন, সী েলােকর ইহরাম হেলা তার েচহারার মেধয।

যিদ মুেখর উপর েকান িকছু ঝুিলেয় েদয় এবং তা েচহারা েথেক পৃথক রােখ তাহেল জাইয হেব।

‘আইশা(রা.) েথেক এরপ বিণরত হেয়েছ। তাছাড়া এটা হেলা হাওদার ছায়া গহেণর মত।

আর েস উৈচসের তালিবয়া পড়েব না। েকননা তােত িফতনার আশংকা রেয়েছ।

েস রামাল করেব না এবং সাঈ করার সময় উভয় িচেহর মধযবতরী সােন েদৌড়ােব না। েকননা তা সতর েঢেক
রাখার েকেত বযাঘাত সৃিষ কের।

আর েস মাথা মুড়ােব না, বরং চুল ছাটেব। েকননা বিণরত আেছ েয, নবী করীম(সা.) সী েলাকেদরেক হক করা
েথেক িনেষধ কেরেছন। এবং তােদর ছাটার আেদশ দান কেরেছন।

তাছাড়া দলীল এই েয, তােদর েকেত মাথা মুড়ােনা মুসলার (িবকৃিত সাধেনর) হকুম রােখ, পুরেষর েকেত দািড়
চাছা েযমন।

আর েস ইচামত েসলাই করা কাপড় পিরধান করেব। েকননা েসলাই িবহীন কাপড় পিরধােন ছতর খুেল যাওয়ার
আশংকা রেয়েছ।

247
ফকীহ‌গণ বেলেছন, িভড় থাকেল তারা হাজের আসওয়াদ সশর করেত যােব না। েকননা পুরেদর সংসেশর েযেত
তােদর িনেষধ করা হেয়েছ। তেব যিদ ফাকা জায়গা েপেয় যায় তাহেল সশর করেত পাের।

জােম ‘সাগীর পেণতা বেলন, েয বযিক নফল কুরবানী, িকংবা মানেতর িকংবা েকান িশকােরর কিত পূরেণর অথবা
অনয েয েকান উেদেশযর উটনীেক কালাদা(কুরবানীর পশর িচহ) পরাল এবং তা িনেয় হেজর উেদেশয রওয়ানা
হেয় েগেলা তার ইহরাম হেয় েগেছ বেল গণয হেব।

েকননা রাসূলূলাহ‌(সা.) বেলেছন- েয বযিক উটনীেক কালাদা পরাল, েস ইহরাম েবেধ িনল। তাছাড়া এই জনয
েয, (হযরত ইবরাহীম(আ.) এর আহবােন) সাড়া দান পকাশ করার েকেত কুরবানীর পশ সংেগ িনেয় যাওয়া
তালিবয়া পােঠর সমতুলয। েকননা এ কাজ েস বযিকই কের, েয হজ বা উমরার ইচা কের। আর সাড়াদােনর
পকাশ কখেনা কমর দারাও হয়, েযমন কথা দারা হয়। সুতরাং এমন কােজর সংেগ িনয়যেতর দারা েস মুহিরম হেয়
যােব, েয কাজ ইহরােমর ৈবিশষযভূক।

কালাদা পরােনার সুরত এই েয, উটনীর েছড়া জুতা, েডােলর রিশ িকংবা গােছর ছাল ঝুিলেয় েদওয়া।

যিদ পশেক কালাদা পিরেয় েলাক মারফত পািঠেয় েদয়, িনেজ সংেগ না েনয় তাহেল েস মুহিরম হেব না। েকননা
‘আইশা(রা.) েথেক বিণরত আেছ েয, িতিন বেলন, আিম রাসূলুলাহ(সা.) এর হাদী(হারাম অিভমুখী যাবাহ করার
পশ) এর কালাদা পািকেয় িদেয়িছলাম। আর িতিন েলাক মারফত তা পািঠেয় েদন এবং হালাল অবসায় পিরবােরর
মেধয অবসান কেরেছন।

েলাক মারফত েপরেণর পর যিদ রওয়ানা হয় তাহেল উক পশর সংেগ িমিলত না হওয়া পযরন েস মুহিরম হেব না।
েকননা রওয়ানা হওয়ার সময় তার সংেগ যিদ েকান হাদী না থােক, যা েস হািকেয় িনেয় যােব, তাহেল েতা তার
পক হেত িনয়যত ছাড়া আর িকছু পাওয়া েগেলা না। আর শধু িনয়যেত মুহিরম হয় না।

যিদ পিথমেধয েস েপিরত পশ েপেয় যায় এবং তা হািকেয় িনেয় যায় িকংবা শধু েপেয় েগেলা, তাহেল েযেহতু তার
িনয়যত এমন একিট আমেলর সংেগ যুক হেয়েছ, যা ইহরােমর ৈবিশষযভূক, েসেহতু েস মুহিরম হেয় যােব। েযমন
শর েথেক হািকেয় িনেল হয়।

ইমাম মুহামদ(র.) বেলন, হেজ তামাতু-এর উটনী এর অিতকম। েকননা েস েকেত রওয়ানা েদওয়া মাত েস
মুহিরম হেয় যােব। অথরাত যিদ ইহরােমর িনয়যত কের থাক। এটা হেলা সূক িকয়াস। সাধারণ িকয়াস তাই, যা
ইেতাপূেবর আমরা উেলখ কেরিছ।

সূক িকয়ােসর কারণ এই েয, তামাতু-এর হাদী শরীআেতর পক েথেক িনধরািরত রেপ শর েথেকই হেজর
আমলসমূেহর অনভূরক একিট আমল রেপ িনধরািরত। েকননা এটা মকার সােথ িবিশষ। এবং (হজ ও উমরা
এই) দই ইবাদত একেত আদােয়র েশাকর িহসােব তা ওয়ািজব হেয়েছ।

248
আর অনযানয হাদী েতা (েকত িবেশেষ) অপরাধ জিনত কারেণও ওয়ািজব হেত পাের। যিদও তা মকা পযরন না
েপৌেছ। এ কারেণই তামাতু-এর হাদীর েকেত হাজীর রওয়ানা হওয়ােকই যেথষ মেন করা হেয়েছ। পকানের
অনযানয হাদীর েকেত পকৃত আমেলর উপর (অথরাত‌ যুক হেয় হািকেয় িনেয় যাওয়ার উপর) িনভররশীল থাকেব।

যিদ উটনীেক চট পিরেয় েদয় িকংবা কুেজ আচড় েকেট েদয়া কের, িকংবা বকরীর গলায় কালাদা ঝুিলেয় েদয়,
তাহেল মুহিরম হেব না। েকননা চট পরােনা গরম বা শীত বা মািছ েথেক রকার জেনযও হেত পাের। সুতরাং তা
হেজর ৈবিশষয হেলা না।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মেত করা মাকরহ। সুতরাং তা হেজর আমেলর মেধয গণয নয়।

সােহবাইেনর মেত যিদও তা উতম তেব তা কখেনা িচিকতসার জনযও হেয় থােক। আর কালাদা ঝুলােনার িবষয়িট
এর িবপরীত। েকননা তা হাদীর সােথই িবিশষ।

আর বকরীর গলায় কালাদা ঝুলােনা পচিলত নয়। এবং তা সুনতও নয়।

ইমাম মুহামদ(র.) বেলন, (হজ পসংেগ েযখােন ‘বুদন’ এর কথা এেসেছ েসখােন) বুদন অথর উট এবং গর।

ইমাম শািফঈ(র.) বেলন শধু উট। েকননা রাসূলুলাহ‌(সা.) জুমআ ু র সালাত পসংেগ বেলেছন- েয তাড়াতািড়
হািযর হয়, েস েযন ‘বাদানাহ’ (উটনী) কুরবানী করেলা, আর েয তার পের হািযর হেলা, েস েযন গাভী কুরবানী
করেলা।

আমােদর দলীল এই েয, ‘বদনা’ শবিট ‘বাদানাহ’ েথেক উদূত যার অথর সূলেদহী। আর এই অেথরর িদক েথেক
উটনী ও গাভী দেটাই সমতুলয। এজনযই েতা উভেয়র পিতিট সাতজেনর জনয যেথষ হয়।

আর হাদীেছর িবশদ বণরনায় বকরী েপরণকারীর নযায় রেয়েছ। সিঠক িবষয় আলাহ অিধক অবগত।

িদতীয় অনুেচদ
িকরান
হেজ িকরান হেলা হেজ তামাতু ও হেজ ইফরাদ েথেক উতম।

ইমাম শািফঈ(র.) বেলন, তামাতু িকরান েথেক উতম। েকননা কুরআেন তামাতু এর উেলখ রেয়েছ, িকন
িকরােনর েকান উেলখ েনই।

ইমাম শািফঈ(র.) এর দলীল হেলা রাসূলুলাহ‌(সা.) এর বাণী – িকরান হেলা শরীআত পদত একিট রখসত বা
অবকাশ।

249
আর এ জনয েয পৃথক পৃথক হজ ও উমরা আদােয়র মেধয অিধক তালিবয়া, দীঘর সফর এবং অিধক হলক (মাথা
মুড়ােনা) রেয়েছ।

আমােদর দলীল হেলা রাসূলুলাহ(সা.) এর বাণী- েহ মুহামেদর অনুসািরগণ! েতামরা এক সােথ হজ ও উমরার
ইহরাম বাধ।

তাছাড়া এই জনয েয, তােত দ’িট ইবাদত একিত করা হয়। সুতরাং এটা যুগপত ই’িতকাফ ও েরাযার সাদাকা
এবং তাহাজুদসহ আলাহর রাসায় পহরাদােনর সদৃশ হেলা। আর তালিবয়ার েতা িনধরািরত েকান সংখযা েনই।

আর সফর উেদশয মূলক ইবাদত নয়। আর হলক েতা হেলা ইবাদত হেত েবর হওয়ার পিকয়া। সুতরাং ইমাম
শািফঈ(র.) েয িতনিট িবষয় উেলখ কেরেছন, তা দারা হেজ ইফরাদ অগগণয হেব না।

ইমাম শািফঈ(র.) েয হাদীছ বণরনা কেরেছন, তার উেদশয হেলা জােহিলয়াত যুেগর অিধবাসীেদর এ মনবয নাকচ
করা েয, হেজর মাসকগেলােত উমরা করা িনকৃষতম পাপ।

(মািলক (র.) েয হাদীছ বণরনা কেরেছন, কুরআেন িকরােনর উেলখ রেয়েছ। েকননা আলাহ‌ তা’য়ালার বাণী-
(েতামরা আলাহ‌র জনয হজ ও উমরা পূণর কেরা) এর অথর হেলা আপন পিরবার-পিরজেনর িনকট েথেক উভেয়র
জনয ইহরাম বাধা, েযমন ইেতাপূেবর আমরা উেলখ কেরিছ।

তাছাড়া এেত আেগ েথেক ইহরাম বাধা হয়। এবং হজ ও উমরা উভেয়র ইহরাম মীকাত েথেক শর কের উভয়
ইবাদত েথেক ফািরগ হওয়া পযরন অবযাহত থােক। অথচ হেজ তামাতু এরপ নয়। সুতরাং িকরান তামাতু েথেক
উতম হেব।

আর েকউ েকউ বেলেছন, আমােদর মেধয ও ইমাম শািফঈ(র.) এর মেধয মত পাথরেকযর িভিত এই েয, আমােদর
মেত িকরান হজকারীেক দ’িট তাওয়াফ এবং দ’িট সাঈ করেত হয়। আর ইমাম শািফঈ(র.) এর মেত একিট
তাওয়াফ ও একিট সাঈ করেত হয়।

ইমাম কুদরূ ী(র.) বেলন, িকরােনর িববরণ এই েয, মীকাত েথেক এক সেঙ হজ ও উমরার ইহরাম বাধেব এবং
(ইহরােমর দই রাকাআেত) সালােতর পর বলেব- েহ আলাহ! আিম এবং আমার পক েথেক এ দ’িট গহণ
করন। েকননা িকরান অথরই হেলা হজ ও উমরােক একত করা। েযমন বলা হয়- (িজিনসিট ঐ িজিনসিটর
সংেগ যুক করলাম) যখন দ’িজিনসেক একত করা হয়। একইভােব িকরান হেয় যােব।

যিদ উমরার তাওয়ােফর চার চকর েশষ হওয়ার পূেবর হজেক উমরার মােঝ দািখল কের েদয় । েযেহতু উভয়
ইবাদতেক একত করা বাসবািয়ত হেয়েছ। েকননা তাওয়ােফর অিধকাংশ চকর এখেনা িবদযমান রেয়েছ।

আর যখন উভয়িট আদায় করার পিতজা িনেলা তখন উভয়িটেক সহজ কের েদওয়ার জনয (আলাহর িনকট)
পাথরনা করেব। এবং আদােয়র েকেত উমরােক হেজর উপর অগবতরী করেব।

250
তদপ (তালিবয়ার েকেত) এক সােথ বলেব- েকননা েসেতা উমরার কাজ আেগ করেব, সুতরাং তালিবয়ােতও
উমরার কথা আেগ উেলখ করেব।

অবশয যিদ দ’আ ও তালিবয়ায় উমরার কথা পের উেলখ কের, তাহেল েকান কিত েনই। েকননা অবযয়িট িনছক
যুক করার অেথর বযবহত (অগ পশাত অেথর নয়)

যিদ শধু অনের িনয়যত কের এবং তালিবয়ােত হজ ও উমরার কথা উেলখ না কের, তাহেলও যেথষ হেব।
সালােতর উপর িকয়াস কের।

মকায় পেবশ করার পর পথম কাজ িহসােব বায়তুলাহর সাত চকর তাওয়াফ করেব। এবং সােতর পথম িতনিটেত
রামাল করেব। তারপর সাফা ও মারওয়ার মােঝ সাঈ করেব। এগেলা হেলা উমরার কাযরসমূহ।

অতঃপর হেজর আমল শর করেব। অথরাত সাত চকর তাওয়াফুল কুদূম করেব। তারপর সাঈ করেব। েযমন
হেজ ইফরাদকারীেদর েকেত আমরা বয়ান কের এেসিছ।

আর উমরার কাযরসমূহেক অগবতরী করেব। েকননা আলাহ‌ তা’আলা ইরাশাদ কেরেছন- আর িকরােন েতা (কাযরতঃ)
তামাতু এরই মমর রেয়েছ।

হজ আর উমরার মাঝখােন মাথা মুড়ােব না। েকননা হেজর ইহরােমর পিত এিট অপরাধ। আর েস কুরবানীর
িদন মাথা মুড়ােব। েযমন ইফরাদকারী মাথা মুড়াূূূূ
্ য়।

আমােদর মেত েস হালেকর (মাথা মুড়ােনার) মাধযেম হালাল হেব, যাবাহ করার মাধযেম নয়। েযমন হেজ
ইফরাদকারী (হলেকর মাধযেম) হালাল হয়। এ হেলা আমােদর মাযহাব।

ইমাম শািফঈ(র.) বেলন, িকরানকারী একিট তাওয়াফ ও একিট সাঈ করেব। েকননা রাসূলুলাহ(সা.) বেলেছন,
িকয়ামত পযরন উমরা হেজর মােঝ পিবষ হেয় েগেছ।

তাছাড়া হেজ িকরােনর িভিতই হেলা পরসর পিবষতার উপর। এ কারেণই েতা তােত এক তালিবয়া ও এক
সফর এবং এক হলক যেথষ হেয় থােক। সুতরাং রকনসমূহ(তথা তাওয়াফ সাঈ) এর বযাপােরও এরপ হেব।
আমােদর পমাণ এই েয, সুবাই ইব‌ন মা’বাদ যখন দ’িট তাওয়াফ ও দ’িট সাঈ কেরিছেলন, তখন উমর(রা.)
তােক বেলিছেলন, তুিম েতামার নবীর সুনােতর িদেক পথপাপ হেয়েছা।

তাছাড়া কারণ এই েয, িকরান অথরই হেলা একিট ইবাদতেক অনয একিট ইবাদেতর সংেগ যুক করা। আর েসটা
পিতিট ইবােদতর আমল আলাদাভােব পূণরেপ আদায় করার মাধযেমই বাসবািয়ত হেব।

আর এ জনয েয, িনিদরষ ইবাদেতর মেধয পিবষতা পেয়াগ হয় না।

আর সফর েতা হেলা ইবাদত পযরন েপৌছার মাধযেম এবং তালিবয়া হেলা ইহরাম বাধার জনয, আর মাথা মুড়ােনা
হেলা ইহরাম েথেক হালাল হওয়ার জনয। সুতরাং এ সকল কাজ েতা উেদশযমূলক নয়। পকানের রকনসমূহ

251
হেলা উিদষ। তুিম িক লকয করছ না েয, নফল সালােতর দই দই রাকাআত একেত আদায় করেল পরসর
পিবষ হয় না, অথচ এক তাহরীমা দারাই তা আদায় করা যায়।

ইমাম শািফঈ(র.) এর বিণরত িরওয়ায়ােতর অথর হেলা উমরার ওয়াক হেজর ওয়ােকর অনভূরক হেয়েছ।

ইমাম মুহামদ(র.) বেলন, যিদ িকরানকারী উমরা ও হেজর জনয পথেমই দই তাওয়াফ কের েনয় এবং এরপর
দই সাঈ কের, তাহেল তার জনয যেথষ। েকননা তার উপর যা কতরবয িছেলা, তা েস আদায় কেরেছ। তেব
উমরার সাঈ িবলিমত করায় এবং তাওয়ােফ কুদমূ েক উমরার সাঈ’র উপর অগবতরী করায় েস মন কাজ করল।
তেব তার উপর িকছুই ওয়ািজব হেব না।

সােহবাইেনর মেত এ হকুম সষ। েকননা তােদর মেত উমরা ও হেজর েকান কাজ অগবতরী বা িবলিমত করার
কারেণ দম ওয়ািজব হয় না।

আর ইমাম আবূ হানফা(র.) এর মেত তাওয়ােফ কুদূম হেলা সুনাত। আর তা তরেকর দারা কম ওয়ািজব হয়
না। সুতরাং সুনাতেক অগবতরী করার দারা দম ওয়ািজব না হওয়া আেরা সাভািবক। আর অনয আমেল বযস
হওয়ার কারেণ সাঈেক িবলিমত করার দারা দম ওয়ািজব হয় না। সুতরাং তাওয়াফ সমাদেনর সাঈ িবলিমত
ূূ
হওয়াার
ক ারেণ দম ওয়ািজব হেব না।

ইমাম কুদূরী(র.) বেলন, কুরবানীর িদন যখন জামরায় কঙর িনেকপ কের েফলেব তখন এক বকরী িকংবা এক
গর িকংবা এক উট িকংবা বাদানার (উেটর ) এক-সপমাংশ কুরবানী িদেব। এ হেলা িকরােনর দম। েকননা
িকরােন তামাতু-এর মমর রেয়েছ। আর তামাতু এর েকেত হাদী ওয়ািজব হওয়া কুরআেনর ভােষয পমািণত। আর
হাদী উট দারা িকংবা গর দারা িকংবা বকরী দারা হেয় থােক। হাদী অধযােয় এ পসংেগ আেলাচনা করেবা
ইনশালাহ‌।

ইমাম কুদূরী(র.) বাদানাহ‌ দারা এখােন উট উেদেশয কেরেছন। যিদও বাদানাহ শবিট উট ও গর উভয়েক
অনভূরক কের। েযমন ইেতাপূেবর আমরা উেলখ কের এেসিছ। উেটর সাতভােগর একভাগ েযমন জাইয েতমিন
গরর সাতভােগর একভাগও জাইয।

যিদ যাবাহ করার মেতা িকছু তার না থােক, তাহেল হেজর িদনগেলােত িতন িদন েরাযা রাখেব, যার েশষ িদন হেব
আরাফার িদন। আর সাতিদন েরাযা রাখেব আপন পিরবার-পিরজেনর িনকট িফের আসার পর। েকননা, আলাহ‌
তা’আলা ইরশাদ কেরেছন-

েয বযিক যাবাহ করার মেতা িকছু না পায় েস হেজর সময় িতন িদন েরাযা রাখেব আর সাতিট েরাযা রাখেব যখন
েতামরা িফের আসেব। এ-ই হেলা পূণর দশিট।

‘নাস’ যিদও তামাতু সমেকর নািযল হেয়েছ, িকন িকরানও তার সমতুলয। েকননা (এখােনও) েস দ’িট ইবাদত
আদােয়র দারা উপকৃত হেচ। আর আয়ােতর ‘হজ’ শবিট দারা হেজর সময় উেদশয। আর তা আলাহই েবশী
জােনন। েকননা হজ িনজসভােব েরাযার কাল হেত পাের না। তেব সেবরাতম হেলা ইয়াওমুতারিবয়ার একিদন পূবর

252
েথেক অথরাত‌ সাত তািরখ েথেক এবং ইয়ামুতারিবয়ােত (আট তািরেখ) এবং ইয়াওেম আরাফায় (নয় তািরেখ) এই
িতন িদেন েরাযা রাখা। েকননা েরাযা হেলা হাদীর সলবতরী। সুতরাং মূল িজিনস তথা হাদী সংগেহ সকম হওয়ার
পতযাশা েশষ সময় পযরন েরাযােক িবলিমত করাই মুসাহাব হেব।

যিদ হজ েথেক ফািরগ হওয়ার পর মকায় থাকা অবসায় সাতিট েরাযা েরেখ েনয়। তাহেল তাও জাইয হেব। এর
অথর হেলা আইয়ােম তাশরীক অিতকান হওয়ার পর। েকননা এ িদনগেলােত েরাযা রাখা িনিষদ।

ইমাম শািফঈ (র. বেলন, তা জাইয হেব না। েকননা তা পতযাবতরেনর সােথ সমৃক। তেব যিদ মকায় েথেক
যাওয়ার িনয়যত কের , তাহেল পতযাবতরন সমাবনা রিহত হওয়ার কারেণ মকােত েরাযা রাখা যেথষ হেব।

আমােদর দলীল এই েয, (আয়ােত উেলিখত) এর অথর হেলা যখন েতামরা হজ েথেক পতযাবতরন কেরা অথরাত‌
হজ সমন কের েফল। েকননা সমন হওয়া পিরবার-পিরজেনর িনকট পতযাবতরেনর কারণ। কারণ সাবযস
হওয়ার পরই েরাযা আদায় করা হেচ। সুতরাং তা জাইয হেব।

যিদ তার েরাযা ফউত হেয় যায় আর ইয়াওমুন নহর এেস পেড় তাহেল দম ছাড়া আর িকছু যেথষ হেব না।

ইমাম শািফঈ(র.) বেলন, এ তাশরীেকর িদনগেলার পের েরাযা েরেখ যােব। েকননা এগেলা িনধরািরত সমেয়র
িসয়াম। সুতরাং রমাযােনর সাওেমর নযায় এগেলা কাযা করা হেব। ই

ইমাম মািলক(র.) বেলন, আইয়ােম তাশরীেকই িসয়াম পালন করেব। েকননা আলাহ‌ তা’আলা বেলেছন- েয
বযিক িকছু না পায় তার জনয িবধান হেলা হেজর সময় িতন িদেনর িসয়াম পালন। আর এই িদনগেলা হেজর
সময়।

আমােদর দলীল হেলা এই িদনগেলােত িসয়াম পালেনর িনেষধ সংকান পিসদ হাদীছ রেয়েছ । সুতরাং ‘নাস’ এই
হাদীছ দারা শরতযুক হেব। অথবা এ জনয েয (িনিষদ িদেন আদায় করেল) তা তিটমুক হেয় যােব। সুতরাং তা
দারা এ েরাযা আদায় হেব না, যা পূণর আকাের ওয়ািজব হেয়েছ।

িকন এর পের আর কাযা করেব না। েকননা েরাযা হেলা (হাদী যবাহ করার) সলবতরী আর সলবতরী শধু শরীআত
কৃতরক িনধরারণ করা হয়। আর ‘নাস’ েসটােক হেজর সমেয়র সােথ সমৃক কেরেছ। আর ‘দম’ জাইয হওয়া
হল েমৌিলক িবধান অনুসাের।

উমর(রা.) েথেক বিণরত আেছ েয, এ ধরেণর েকেত িতিন বকরী যবাহ করার আেদশ কেরেছন।

যিদ হাদী সংগহ করেত সকম না হয় তাহেল হালাল হেয় যােব আর তার উপর দ’িট দম ওয়ািজব হেব । একিট
েতা হেলা দই ইবাদত একত করার সুিবধা েভােগর দম আর িদতীয়িট হেলা হাদী যবাহ করার পূেবর হালাল হওয়ার
দম।

253
িকরান হজকারী যিদ মকা পেবশ না কের আরাফাত অিভমুেখ চেল যায়, তাহেল েস উকুেফর মাধযেম উমরা
তরককারী হেয় েগেলা। েকননা এখন তার পেক উমরা আদায় করা সমব নয়। কারণ তাহেল েস উমরার
কাযরগেলাক হেজর কাযরগেলার উপর িভিতকারী হেব। অথচ েসটা শরীআত সমত নয়।

তেব শধু আরাফা অিভমুেখ যাতা করা দারাই েস উমরা তরককারী হেয় যােব না।

ইমাম আবূ হানীফা(র.) এর মাযহােবর এ-ই িবশদ মত। তার মেত এই বযিকর মােঝ এবং জুমআ ু র িদন যুহর
আদায় করার পর জুমুআর জনয যাতাকারী বযিকর মােঝ পাথরেকযর কারণ এই েয, জুমুআর েকেত যুহর আদায়
করার পরও জুমআু আদােয়র উেদেশয যাতা করার কুরআনী আেদশ তার উপর আেরািপত হয় । পকানের িকরান ও
তামাতু এর েকেত উমরা আদােয়র পূেবর যাতা করা িনিষদ। সুতরাং উভয় অবসার মােঝ পাথরকয রেয়েছ।

ইমাম কুদূরী(র.) বেলন, আর তার িযমা েথেক িকরােনর দম রিহত হেয় যােব। েকননা যখন উমরা বিজরত হেলা
তখন দই ইবাদত আদােয়র সুিবধা েস লাভ কেরিন।

তেব উমরা শর কের তা তরক করার কারেণ তার উপর দম ওয়ািজব। এবং উমরা কাযা করেত হেব। েকননা
উমরা শর করা িবশদ িছেলা। সুতরাং েস অবরদ বযিকর সদৃশ হেলা। আলাহই অিধক অবগত।

তৃতীয় অনুেচদ
হেজ তামাতু
হেজ তামাতু হেজ ইফরাদ েথেক উতম।
ইমাম আবূ হানীফা(র.) েথেক একিট বণরনা রেয়েছ েয, হেজ ইফরাদ উতম। েকননা তামাতুকারীর সফর েতা হয়
তার উমরার জনয। আর হেজ ইফরাদকারীেদর সফর হয় হেজর জনয।

যােহির িরওয়ায়ােতর দলীল এই েয, তামাতু এর মেধয দই ইবাদত একত করার ৈবিশষয রেয়েছ। সুতরাং তা
িকরােনর সদৃশ। তদপির তােত অিতিরক একিট আমল রেয়েছ। আর তা হেলা রক পবািহত করা। আর তার
সফর মূলতঃ হেজর জনযই হেচ, যিদও মাঝখােন উমরা আদায় করা হেচ। েকননা, এই উমরা েতা হেজর
অনুবতরী। েযমন জুমআু এবং জুমআ
ু অিভমুেখ যাতার মাঝখােন সুনাত সালাত আদায় করা হয়।

তামাতুকারী দই পকার। পথমতঃ েয কুরবানীর পশ সংেগ হািকেয় েনয়, িদতীয়তঃ েয কুরবানীর পশ েনয় না।
আর তামাতুর অথর হেলা একই সফের দ’িট ইবাদত এমনভােব আদায় করার সুিবধা গহণ করা েয, এ উভয়
ইবাদেতর মধযবতরী সমেয় পুেরাপুিরভােব পিরবােরর মেধয িদেয় অবসান না করা।

এ িবষেয় েবশ িকছু মত পাথরকয রেয়েছ। যা আমরা পূবরবতরীেত ইনসালাহ‌ বণরনা করেবা।

254
তামাতু-এর িনয়েম এই েয, হেজর মাসগেলােত মীকাত েথেক কাজ শর করেব। অথরাত পথেম উমরার ইহরাম
করেব, এবং মকায় পেবশ করেব, এবং উমরার জনয তাওয়াফ ও সাঈ করেব এবং মাথা-মুড়ােব িকংবা চুল ছাটেব।
তখন েস তার উমরা েথেক হালাল হেয় যােব। এই হেলা উমরার িববরণ।

তদপ যিদ েকউ আলািহদাভােব উমরা করেত চায় তাহেল আমােদর উেলিখত িনয়মগেলা পালন করেব।

রাসূলুলাহ(সা.) উমরাতুল কাযা আদায় করার সময় এরপই কেরেছন। ইমাম মািলক (র.) বেলন, তার উপর
মাথা মুড়ােনা েনই। উমরা অথর শধু তাওয়ােফ সাঈ। তার িবপেক আমােদর দলীল হেলা আমােদর উেলিখত
হাদীছ।

আর আলাহ‌ তা’আলার বাণী- (এমন অবসায় েয, েতামরা েতামােদর মসক মুননকারী হেব) উমরাতুল কাযা
পসংেগই নািযল হেয়েছ।

তাছাড়া েযেহতু উমরােত তালিবয়ার মাধযেম ইহরাম েবেধেছ েসেহতু হলেকর মাধযেম হালাল হওয়া সাবযস হেব।
েযমন হেজ রেয়েছ।

তাওয়াফ শর করার সংেগ সংেগ তালিবয়া বন কের েদেব। ইমাম মািলক(র.) বেলন, বায়তুলাহ‌র পিত নযর পড়া
মাত তালিবয়া বন কের িদেব। েকননা উমরা অথর বায়তুলাহ‌র িযয়ারত। এবং তা দারাই উমরা সমূণর হয়।

আমােদর দলীল এই েয, নবী (সা.) উমরাতুল কাযা আদায় করার সময় যখন হাজের আসওয়াদ চুমন কেরিছেলন
তখন তালিবয়া বন কেরিছেলন।

তাছাড়া কারণ এই েয, আসল উেদশয হেলা তাওয়াফ। সুতরাং তাওয়াফ শর হওয়ার সংেগ সংেগ তালিবয়া বন
কের িদেব। এ কারেণই হজ আদায়কারী রামী শর করার সংেগ সংেগ তালিবয়া বন কের েদয়।

ইমাম কুদূরী(র.) বেলন, এরপর েস মকায় হালাল অবসায় অবসান করেব। েকননা েস েতা উমরা েথেক হালাল
হেয় েগেছ। অতঃপর েযিদন ইয়াওমুতারিবয়া(আট তািরখ) হেব েসিদন মাসিজদল হারাম েথেক ইহরাম বাধেব।

আসল শতর হেলা হরম শরীফ েথেক ইহরাম বাধা। মসিজদ েথেক জররী নয়। তেব উতম। এর কারণ এই েয,
েস মকাবাসীেদর অনভূরক হেয় েগেছ। আর আমরা এর পূেবর বণরনা কের এেসিছ েয, মকার অিধবাসীেদর মীকাত
হেলা হরম শরীফ।

অতঃপর হেজ ইফরাদকারী যা যা কের, েসও তা করেব। েকননা েস েতা এখন হজ আদায় করেছ। তেব
তাওয়াফ িযয়ারেতর সময় েস রামাল করেব। এরপর সাঈ করেব। েকননা হেজর েকেত এটা তার পথম
তাওয়াফ। হেজ ইফরাদ-কারীর িবষয়িট এর িবপরীত। েকননা একবার েস সাঈ কের েফেলেছ।

এই তামাতুকারী যিদ হেজরর ইহরাম বাধার পর মীনার উেদেশয যাতা করার পূেবরই তাওয়াফ ও সাঈ কের থােক,
তাহেল তাওয়ােফ িযয়ারেতর মােঝ রামাল করেব না। এবং তার পের সাঈ করেব না। েকননা তা েস একবার
করেছ। তেব আমােদর উদৃত আয়ােতর েপিকেত তার উপর তামাতু এর দম ওয়ািজব হেব।

255
যিদ েকান হাদী না পায় তাহেল েস হেজর সময় িতন িদন পালন করেব এবং পতযাবতরেনর পর সাতিদন িসয়াম
পালন করেব। িকরান পসংেগ েযভােব আমরা বণরনা কেরিছ, েসভােব।

যিদ শাওয়াল িতনিট সাওম পালন কের, এরপর উমরা আদায় কের তেব ঐ সাওম এই িতন সাওেমর জনয যেথষ
হেব না। েকননা এই েরাযা ওয়ািজব হওয়ার কারণ হেলা তামাতু। আর এটা েস দেমর সলবতরী। আর এই
অবসায় েতা েস তামাতুকারী নয়। সুতরাং সবব বা কারণ সাবযস হওয়ার পূেবর িসয়াম পালন করা তার জনয ৈবধ
হেব না।

আর যিদ িসয়ামগেলা উমরায় ইহরাম বাধার পর তাওয়াফ করার পূেবর আদায় কের তেব জাইয হেব। এ হল
আমােদর মাযহাব।

ইমাম শািফঈ(র.) িভনমত েপাষণ কেরন। তার দলীল হেলা আলাহ‌ তা’আলার বানী- হেজর সময় িতন িসয়াম
পালন করেব। (অথরাত‌ হেজর ইহরােমর পর)।

আমােদর দলীল এই েয, েস েরাযায় সবব বা কারণ সাবযস হওয়ার পর তা আদায় কেরেছ।

আর আয়ােত উেলিখত হজ দারা উেদশয হেলা হেজর সময়(তা হেজর ইহরামের পূেবর েহাক বা পের) েযমন
ইেতাপূেবর আমরা বয়ান কের এেসিছ।

তেব সাওমেক েশষ সময় পযরন িবলিমত করা উতম। আর েশষ সময় হেলা আরাফার িদবস। আমরা িকরান
পসংেগ এর কারণ বণরনা কের এেসিছ।

আর তামাতুকারী যিদ িনেজর সােথ ‘হাদী’ িনেত চায় তাহেল (উমরায়) ইহরাম বাধেব এবং হাদী সােথ িনেয়
যােব। এটা উতম। েকননা নবী করীম(সা.) হাদীসমূহ িনেজর সােথ িনেয় িগেয়িছেলন। তাছাড়া এেত (েনক
কােজর পিত) পসিত ও তরািনত করার আগহ পকাশ পায়।

হাদী যিদ উট বা গর হয় তাহেল চামড়ার টুকরা িকংবা েছড়া জুতা তার গলায় ঝুিলেয় িদেব । এর দলীল হেলা
ইেতাপূেবর আমােদর বিণরত হযরত ‘আইশা(রা.) এর হাদীছ। কালাদা ঝুিলেয় েদওয়া চট বা কাপড় দারা আবৃত
করা েথেক উতম। েকননা কালাদা পরােনার কথা িকতাবুলায় উেলিখত রেয়েছ।

তাছাড়া কালাদা পরােনা হয় েঘাষণার জনয আর চট বা কাপড় দারা আবৃত করা হয় সাজ-সজার জনয।

আেগ তালিবয়া পড়েব তারপর কালাদা ঝুলােব। েকননা পূেবর বিণরত হেয়েছ েয, হাদীেক কালাদা পরােনা এবং তা
সংেগ কের রওয়ানা েদয়ার মাধযেম ইহরাম শর হেয় যায়। আর তালিবয়ার মাধযেম ইহরাম বাধা হেলা উতম।

হাদীেক িপছন েথেক হািকেয় িনেয় যােব। এটা হাদীেছ সামেন েথেক েটেন িনেয় যাওয়া েথেক উতম। েকনন
রাসূলুলাহ‌(সা.) িযল হলায়ফােত ইহরাম েবেধ িছেলন, আর তার হাদীগেলােক তার সামেন হািকেয় িনেয় যাওয়া
হিচল।

তাছাড়া এেত অিধক েঘাষণা ও পচার হয়। তেব যিদ পশ অবাধয হয়,তাহেল সামেন েথেকই েটেন েনেব।

256
ইমাম কুদরূ ী(র.) বেলন, ইমাম আবূ ইউসূফ ও মুহামদ(র) এর মেত করেব। িকন ইমাম আবূ হানীফা(র.) এর
মেত করেব না। করা মাকরহ। আিভধািনক অেথর জখম কের রক পবািহত করা।

আর তার িববরণ এই েয, উটনীর কুজ িচের িদেব। অথরাত বশরাদারা কুেজর ডান িদেক নীেচর অংেশ জখম কের
েদেব। তেব িরওয়ায়াত িহসােব বাম িদেক জখম করার িবষয়িট অিধক িবশদ। েকননা নবী(সা.) বাম িদেক জখম
কেরিছেলন ইচাকৃতভােব, এবং ডান িদেক জখম কেরিছেলন ঘটনাকেম। আর অবিহত করার জনয উটনীর কুেজ
রক েমেখ েদেব।

ইমাম আবূ হানীফা(র.) এর মেত এরপ করা মাকরহ। সােহবাইেনর মেত এরপ করা ভাল।

আর ইমাম শািফঈ(র.) এর মেত এরপ করা সুনাত। েকননা তা নবী (সা.) এবং খুলাফােয় রািশদীন েথেক
এরপ বিণরত রেয়েছ।

েয ুিক এই েয , কালাদা ঝুলােনার উেদেশয েতা হেলা এই েয, পািন েখেত নামেল িকংবা ঘাস েখেত
সােহবাইেনর

েগেল েযন তােক উতযক না করা হয়। িকংবা পথ হািরেয় েফলেল েযন িফিরেয় েদয়া হয়। আর এটা দারা অিধক
অিজরত হয়, েযেহূূ
ু ত
ি চ হিট সায়ী থােক। এ িদক েথেক এটা সুনাত হওয়ার কথা, িকন িবকৃত ঘটার িদকিট
তার পিরপনী। তাই আমরা বেলিছ েয, এটা ভােলা।

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর দলীল এই েয, এ হল িবকৃিত সরপ। আর তা িনিষদ।

আর যিদ (িবকৃিত সাধন ও সুনাত হওয়ার মােঝ) িবেরাধ েদখা েদয় তাহেল িনেষধাজাই অগািধকার পায়।

আর নবী(সা.) কেরিছেলন, হাদীর িহফাজেতর জনয। েকননা মুশিরকরা এটা ছাড়া হাদীেক উতযক করা হেত
িবরত হেতা না।

েকান েকান মেত ইমাম আবূ হানীফা (র.) সমকালীন েলােকেদর েক মাকরহ বলেতন। েকননা তারা েবশী মাতায়
জখম কের েফলেতা; এমনভােব েয, জখম ছিড়েয় পড়ার আশংকা হেতা।

আর েকান েকান মেত কালাদা ঝুলােনার উপর েক অগািধকার পদান করােক িতিন মাকরহ মেন করেতন।

ইমাম কুদূরী(র.) বেলন, যখন মকায় পেবশ করেব তখন তাওয়াফ ও সাঈ করেব। এটা হেলা উমরার জনয েযমন
আমরা ঐ তামাতুকারী সমেকর বণরনা কেরিছ, েয হাদী সংেগ েনয় না।

তেব েস হালাল হেব না ।বরং তালিবয়া িদবেস (আট তািরেখ) হেজর ইহরাম েবেধ িনেব। েকননা
রাসূলুলাহ(সা.) বেলেছন-

আিম আমার িবষয় যা পের অনুধাবন কেরিছ, তা যিদ আেগ অনুধাবন করতাম তাহেল হাদী সংেগ আনতাম না।
আর এটােক উমরা গণয কের তা েথেক হালাল হেয় েযতাম। এই হাদীছ দারা হাদী সংেগ আনা অবসায় হালাল
হওয়া িনিষদ হেয় যায়।

257
আর তালিবয়া িদবেস হেজর ইহরাম বাধেব, েযভােব মকাবাসীেদর ইহরাম বােধ, যা আমরা বণরনা কের এেসিছ।

যিদ উক সমেয়র আেগ ইহরাম বােধ তাহেল তা জাইয হেব। বরং তামাতুকারী হেজর ইহরাম যত তাড়াতািড়
করেব ততই তা উতম। েকননাূূ
্ ূূূ এ ে ত ে সক া েজরিদেকঅগগািমতাওঅিতিরককষরেয়েছ

আর এই উতমতা েযমন ঐ বযিকর জনয, েয হাদী সংেগ এেনেছ, েতমিন ঐ বযিকর জনয েয হাদী সংেগ
আেনিন। আর তার উপর একিট দম ওয়ািজব। তা হেলা তামাতু এর দম, েযমন ইেতাপূেবর আমরা বণরনা কের
এেসিছ।

ইয়াওমুন-নহের (দশ তািরেখ) যখন হলক করেব তখন উভয় ইহরাম েথেক েস হালাল হেয় যােব। েকননা েযমন
সালােতর েকেত সালাম েতমিন হেজর েকেত হলক হল হালালকারী। সুতরাং হলক দারা উভয় ইহরাম েথেক
হালাল হেয় যােব।

মকাবাসীেদর জনয তামাতু ও িকরান েনই। তােদর জনয শধু হেজ ইফরাদ রেয়েছ। ইমাম শািফঈ(র.) িভনমত
েপাষণ কেরন। তার িবপেক পমাণ হেলা আলাহ‌ তা’আলার বাণী- আর তা (তামাতু) ঐ বযিকর জনয, যার
পিরবার-পিরজন মাসিজদল হারােমের বািসনা নয়।

তাছাড়া তামাতু ও িকরান শরীআেত অনুেমািদত হেয়েছ, দই সফেরর এেকিটেক রিহত কের সুিবধা গহণ করার
জনয। আর তা বিহরাগতেদর জনযই পযুক।

আর েয বযিক মীকােতর অভযনের বসবাসকারী, তার হকুম মকাবাসীেদর মত। ফেল তার েকেতররও হেজ তামাতু
ও হেজ িকরান হেব না।

পকানের মকী যিদ কুফায় িগেয় (অথরাত মীকােতর বাইের) হেজ িকরান কের তাহেল তা শদ হেব। েকননা তার
উমরা ও হজ দেটাই মীকােতর সংেগ সমৃক। সুতরাং েস বিহরাগেতর নযায় হেব।

আর তামাতুকারী যিদ উমরা েথেক ফািরগ হেয় িনেজ বািড়েত িফের যায়, অথচ েস হাদী সংেগ েনয়িন, তখন তার
তামাতু বািতল হেয় যােব। েকননা েস দই ইবাদেতর মােঝ তার পিরবােরর কােছ ৈবধভােব িফের েগেছ, আর দারা
তামাতু বািতল হেয় যায়। কেয়কজন তািবঈ েথেক তা বিণরত হেয়েছ।

আর যিদ হাদী সংেগ এেন থােক তাহেল পিরবােরর কােছ আসা তার জনয ৈবধ নয়। এবং তার তামাতু বািতল হেব
না।

এটা ইমাম আবূ হানীফা (র.) ও আবূ ইউসূফ (র.) এর মত।

ইমাম মুহামদ (র.) বেলন, তামাতু বািতল হেয় যােব। েকননা েস দই সফের উমরা ও হজ আদায় কেরেছ।

শায়খাইেনর দলীল এই েয, পতযাবতরন তার পেক ওয়ািজব, যতকণ েস তামাতু এর িনয়যত বজায় রােখ। েকননা
হাদী সংেগ আনা তার হালাল হওয়ার পেথ পিতবনক। সুতরাং তার বািড়েত িফের আসা ৈবধ হেব না। পকানের

258
মকী যিদ কুফায় িগেয় উমরার ইহরাম কের এবং হাদী সংেগ আেন, তাহেল েস তামাতুকারী হেব না। েকননা
পতযাবতরন তার উপর ওয়ািজব নয়। সুতরাং তার পিরবার উপিসত হওয়া ৈবধ গণয হেব।

েয বযিক হেজর মাসগেলার পূেবর উমরার ইহরাম েবেধ েনয় এবং উক উমরার জনয চার চকেরর কম তাওয়াফ
কের, এরপর হেজর মাস শর হেল উমরার তাওয়াফ পূণর কের এবং হেজর ইহরাম েবেধ েনয়, েস তামাতুকারী
রেপ গণয হেব। েকননা আমােদর মেত ইহরাম হেলা উমরার শতর। সুতরাং এটােক হেজর মাসগেলার উপর
অগবতরী করা যায়। শধু উমরার আমলগেলা হেজর মােস আদায় করাটা হেলা িবেবচয।

আর তাওয়ােফর অিধকাংশটুকুই হেজর মােসর মেধয পাওয়া েগেছ। আর অিধকাংেশর উপর সমেগর হকুম আেরাপ
করা হেয় থােক।

যিদ হেজর মাস শর হওয়ার পূেবর তাওয়াফ চার চকর িকংবা তার েবশী কের েফেল অতঃপর েসই বছরই হজ
আদায় কের, তাহেল েস তামাতুকারী হেব না। েকননা হেজর মােসর পূেবরই েস অিধকাংশটুকু আদায় কের
েফেলেছ।

এ হকুম এজনয েয, (তাওয়ােফর অিধকাংশটুকু আদায় করার মাধযেম) উমরাকারী এমন অবসায় েপৌেছ েগেছ েয,
সী সহবােসর কারেণও তার উমরা বািতল হেব না। (বরং শধু দম ওয়ািজব হেব)। সুতরাং েস ঐ বযিকর নযায়
হেয় েগেলা েয, হেজর মােসর পূেবর উমরা েথেক হালাল হেয় েগেলা।

ইমাম মািলক(র.) হেজর মােস পূণর হওয়ার িবষয় িবেবচনা কেরন। তার িবপেক দলীল হেলা যা আমরা ইেতাপূেবর
উেলখ কেরিছ।

আর এজনয েয, সুেযাগ লাভ সাবযস হয় কমরসূেহর আদােয়র মাধযেম। সুতরাং হেজর মােস এক সফের দই
ইবাদেতর কমরসমূহ আদায় করার সুেযাগ লাভকারীই তামাতুকারী হেব।

ইমাম কুদরী(র.) বেলন, হেজর মাসগেলা হেলা শাওয়াল, িযলকাদ ও িযলহােজর দশিদন।

আব‌দলাহ‌ ইেব‌ন মাস’ঊদ, আব‌দলাহ‌ ইেব‌ন উমর ও আব‌দলাহ‌ ইেব‌ন ‘আবাস (রা.) এবং আব‌দলাহ‌ ইেব‌ন
যুবায়র(রা.) পমুখ েথেক এরপই বিণরত হেয়েছ।

তাছাড়া এই জনয েয, িযলহেজর দশ তািরখ অিতকান হেল হজ ফউত হেয় যায়। অথচ সময় বািক অবসায়
ফউত হওয়া সাবযস হয় না।

আর এটা একথা পমাণ কের েয, আলাহ‌ তা’আলার বাণী- (হেজর সময় হেলা িনধরািরত কেয়ক মাস) দারা উেদশয
হেলা দই মাস এবং তৃতীয় মােসর অংশ িবেশষ। সমগ তৃতীয় মাস নয়।

যিদ হেজর ইহরামেক হেজর মাসগেলার উপর অগবতরী কের তাহেল তার ইহরাম জাইয হেয় যােব এবং হেজর
ইহরাম িহসােব তা গৃহীত হেব। ইমাম শািফঈ(র.) িভনমত েপাষণ কেরন। তার মেত তা উমরার ইহরাম হেব।

259
েকননা তার মেত ইহরাম হেলা রকন আর আমােদর মেত শতর। সুতরাং সমেয়র উপর অগবতরী করার ৈবধতার
েকেত তা তাহারােতর সদৃশ হেব।

তা ছাড়া এ জনয েয, ইহরাম অথর িকছু িবষয় (িনেজর উপর) হারাম করা। আর িকছু িবষয় িনেজর উপর
ওয়ািজব করা আর তা সকল সমেয় হেত পাের। সুতরাং অগবতরী মীকাত েথেক ইহরাম বাধার অগবতরী হেলা।

ইমাম মুহামদ(র.) বেলেছন, কুফার অিধবাসী (অথরাত বিহরাগত) যিদ হেজর মাসগেলােত উমরার ইহরাম েবেধ
আেস এবং তা েথেক ফািরগ হেয় হলক কের বা চুল ছােট অতঃপর মকা িকংবা বসরা শহের অবসান গহণ কের
এবং েস বছেরই েস হজ কের, তাহেল েস তামাতুকারী হেব।

পথম সুরেত কারণ এই েয, েস হেজর মাসগেলার মেধয একই সফের দ’িট ইবাদেতর সুেযাগ লাভ কেরেছ।
িদতীয় সুরত সমেকর েকউ েকউ বেলেছন েয, এটা সবরসমত িসদান। আবার কােরা কােরা মেত এটা শধু ইমাম
আবূ হানীফা(র.) এর মত। সােহবাইেনর মেত েস তামাতুকারী হেব না। েকননা তামাতুকারী হেলা েসই বযিক,
যার উমরার ইহরাম হেব মীকাত েথেক। এবং হেজর ইহরাম হেব মকা েথেক অথচ তার উভয়িটর ইবাদেতর দ’িট
ইহরামই হেচ মীকাত েথেক।

ইমাম আবূ হানীফা(র.) এর দলীল এই েয, যতকণ না েস িনেজর বািড়েত পতযাবতরন করেব, ততকণ পথম
সফরই অবযাহত থাকেব। সুতরাং তার উভয় ইবাদতই পথম সফের সংঘিটত। ফেল তামাতু এর দম ওয়ািজব
হেব।

আর যিদ উমরার ইহরাম েবেধ আগমন কের তা নষ কের েফেল, তারপর তা েথেক ফািরগ হেয় চুল েছেট েনয়
পের বসরায় বসবাস শর কের অতঃপর হেজর আেগ উমরা কের এবং েসই বছেরই হজ আদায় কের, তাহেল েস
তামাতুকারী হেব না। এিট ইমাম আবূ হানীফা(র.) এর মত।

সােহবাইন বেলন, েস তামাতুকারী হেব। েকননা েস (বসরা েথেক যাতার মাধযেম) নতুন সফর করল। আর এই
সফের েস দ’িট ইবাদেতর সুেযাগ লাভ কেরেছ।

ইমাম আবূ হানীফা(র.) এর দলীল এই েয, িনজ বািড়েত পতযাবতরন না করা পযরন েস তার পূবর সফর িনরত
রেয়েছ।

আর যিদ েস আপন পিরবােরর িনকট িফের যায় এবং হেজর মােস উমরা কের এবং েসই মােসই হজ কের,
তাহেল সকেলরই মেত েস তামাতুকারী হেব। েকননা এিট হেলা নতুন সফর। েযেহতু (বািড়েত যাওয়ার কারেণ)
পথম সফর সমাপ হেয় েগেছ। আর নতুন সফের দ’িট সহীহ‌ ইবাদত েস সমন কেরেছ।

েস যিদ বসরায় গমন না কের মকােতই অবসান কের এবং হেজর মােস উমরা কের আর েস বছরই হজ কের,
তাহেল সকেলর মেতই েস তামাতুকারী হেব না। েকননা তার উমরার ইহরাম হেয়েছ মকা েথেক। এবং ফািসদ
উমরা দারা তা পথম সফর সমাপ হেয় েগেছ। আর মকাবাসীেদর জনয তামাতু েনই।

260
েয বযিক হেজর মােস উমরা কের এবং েস বছর হজও কের, েস দ’েটার েয েকানিট ফািসদ করেল েসিটর
কমরসমূহ পূণর করেব। েকননা যাবতীয় আমল সমন করা ছাড়া েতা ইহরােমর দায় েথেক েস মুক হেত পাের না।

তেব তামাতু এর দম রিহত হেয় যােব। েকননা এক সফেরর দ’িট সহীহ‌ ইবাদত আদায় করার সুেযাগ েস লাভ
কেরিন।

েকান সী েলাক যিদ তামাতু কের, এরপর বকরী কুরবানী েদয়, তাহেল তামাতু এর দেমর বযাপাের তা যেথষ হেব
না ।েকননা যা ওয়ািজব নয়, তা েস আদায় কেরেছ। পুরেষর েকেতও এ হকুম রেয়েছ।

ইহরােমর সময় যিদ সী েলাক ঋতুগস হেয় পেড়, তাহেল েগাসল কের ইহরাম েবেধ িনেব এবং একজন হাজীর
নযায় যাবতীয় কাজ কের যােব। তেব পিবত হওয়ার আেগ বায়তুলাহর তাওয়াফ করেব না।

এর দলীল ‘আইশা(রা.) এর হাদীছ, িযিন সািরফ নামক সােন ঋতুগস হেয় পেড়িছেলন। তাছাড়া এজনয েয,
তাওয়ােফর সান হল মসিজদ আর উকুেফর সান হল েখালা মাঠ। আর এ েগাসল হল ইহরােমর জনয, সালােতর
জনয নয়। সুতরাং েগাসেলর উেদশয সফল হেব।

যিদ উকুেফর পের এবং তাওয়াফ িযয়ারেতর পের ঋতুগস হেয় পেড় তাহেল মকা েথেক পতযাবতরন করেত পাের।
িবদায়ী তাওয়াফ না করার কারেণ তার উপর েকান িকছু ওয়ািজব হেব না। েকননা নবী (সা.) ঋতুগস নারীেদর
িবদায়ী হজ তরক করার অনুমিত দান কেরেছন।

েয বযিক মকােক বাসসান রেপ গহণ কের েনয়, তার উপর িবদায়ী তাওয়াফ েনই। েকননা িবদায়ী তাওয়াফ ঐ
বযিকর উপর ওয়ািজব, েয মকা েথেক পতযাবতরন কের। তেব ইমাম আবূ হানীফা(র.) েথেক একিট বণরনা আেছ
েয, কুরবানীর তৃতীয় িদন এেস যাওয়ার পর যিদ বাসসান রেপ গহণ করার িনয়যত কের,তা হেল িবদায়ী তাওয়াফ
রিহত হেব না।

েকউ েকউ ইমাম মুহামদ(র.) েথেকও এিট বণরনা কেরেছন। েকননা িবদায়ী তাওয়ােফর ওয়াক হেয় যাওয়ার
কারেণ তা তার উপর ওয়ািজব হেয় েগেছ। সুতরাং এরপর ইকামেতর িনয়যত করার কারেণ তা রিহত হেব না।
সিঠক িবষয় আলাহ‌ই অিধক জােনন।

চতুথর অনুেচদ
অপরাধ ও তিট
মুহিরম যিদ খুশবু বযবহার কের তাহেল তার উপর কাফ‌ফারা ওয়ািজব হেব। যিদ পূণর একিট অংগ িকংবা তার
অিধক সােন খুশবু বযবহার কের, তাহেল তার উপর দম ওয়ািজব হেব।

261
আর পূণর অংগ হল েযমন মাথা,েগাছা, উর িকংবা এ ধরেনর েকান অংগ। েকননা অপরাধ পূণর গণয হয় সুেযােগর
গহেনর পূণরতার মাধযেম। আর তা হয় পূণর এক অংেগর মেধয বযবহাের। অতএব এর উপরই পূণর পায়িশত (দম)
ওয়ািজব হেব।

যিদ এক অংগ েথেকও কম পিরমােণ খুশবু বযবহার কের তাহেল তার উপর সাদকা ওয়ািজব হেব। তিট কম
হওয়ার কারেণ।

ইমাম মুহামদ(র) বেলন, অংেগর পিরমাণ অনুপােত দম ওয়ােজব হেব: অংশেক সমেগর তুলনা কের।

মুন‌তাকা গেন রেয়েছ েয, একিট অংেগর চতুথরাংশ খুশবু বযবহার করেল তার উপর পূণর দম ওয়ািজব হেব, মাথার
চতুথরাংশ হলক করার উপর িকয়াস কের। আমরা পরবতরীেত উভেয়র মােঝ পাথরকয বণরনা করেবা, ইনশালাহ‌।

দ’িট েকেত ছাড়া সকল েকেত ওয়ািজব দম বকরী দারা আদায় হেয় যােব। আমরা েকত দ’িটর উেলখ করব,
হাদী অধযােয় , ইনশালাহ‌।

ইহরােমর েকেত েয েকান অিনধরািরত সাদাকা হল অধর সা’আ গম। তেব উকূন বা িটিড জাতীয় িকছু হতযা
করেল যা ওয়ািজব হয়(তা অধর সা’আ নয়)।

ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) েথেক এরপই বিণরত হেয়েছ।

ইমাম মুহামদ(র.) বেলন, যিদ েকউ েমেহিদ দারা মাথার চুল রিঞত কের তাহেল তার উপর দম ওয়ািজব হেব।
েকননা এটা খুশবু। রাসূলুলাহ‌(সা.) বেলেছন- েমেহিদ হেলা খুশবু।

আর যিদ তােত মাথা পিলপ হেয় যায় তাহেল তার উপর দ’িট দম ওয়ািজব হেব । একিট হেলা খুশবু বযবহার
করার দম, অনযিট হেলা মাথা আবৃত করার দম।

আর যিদ ওয়াসামাহ দারা চুল রিঞত কের, তাহেল তার উপর েকান দম ওয়ািজব হেব না। েকননা তা সুগিন
নয়। তেব ইমাম আবূ ইউসূফ(র.) েথেক বিণরত আেছ েয, যিদ মাথা বযাথায় িচিকতসার জনয ওয়াসামহর েখযাব
লাগায়, তাহেল তার উপর দন (দম) ওয়ািজব এ িবেবচনায় েয, তা মাথা আবৃত কের েফেল। এ-ই িবশদ মত।

মাবসূত িকতােব এ পসংেগ মাথা ও দািড়র কথা একেত উেলখ করা হেয়েছ। আর জােমউস সাগীর িকতােব শধু
মাথার কথা বলা হেয়েছ। এ েথেক পমািণত হয় েয, উভেয়র পেতযকিটর উপর িভন দম ওয়ািজব হেব।

যিদ েকউ যয়তুন েতল বযবহার কের, তাহেল তার উপর দম ওয়ািজব হেব। এ হল ইমাম আবূ হানীফা(র.) এর
মত। সােহবাইন বেলন, তার উপর সাদাকা ওয়ািজব হেব।

আর ইমাম শািফঈ(র.) বেলন, যিদ চুেলর মেধয বযবহার কের, তাহেল তার উপর দম ওয়ািজব হেব। েকননা তা
উষখুষতা দূর কের। আর যিদ চুল ছাড়া অনযত বযবহার কের তাহেল তার উপর েকান িকছু ওয়ািজব হেব না।
েকননা এ েকেত তা অনুপিসত।

262
সােহবাইেনর দলীল এই েয, এিট েভাগয দেবযর অনভূরক। তেব তােত িকছুটা উপকার লাভ রেয়েছ। েযমন কীট
ধংস করা ও খুষতা দূর করা। সুতরাং তা লঘু তিটর মেধয গণয। (সুতরাং দেমর পিরবেতর সাদাকা ওয়ািজব
হেব)।

ইমাম আবূ হানীফা(র.) এর দলীল এই েয, যয়তুন ৈতল হেলা খুশবুর মূল। আর তােতও িকছু না িকছু সুঘাণ
থােক। তাছাড়া কীট ধংস কের, চুল নরম কের, ময়লা ও ঊষ-খুষতা দূর কের। সুতরাং এই সব িমেল
অপরােধর পূণরতা সািধত হয়, কােজই দম ওয়ািজব হেব। আর েভাগযদবযা হওয়া খুশবু হওয়ার িবপরীত নয়।
েযমন জাফরান।

আর এই মতিভনতা হেলা অিবিমশ যয়তুেনর েতল এবং অিবিমশ িতেলর েতল সমেকর। আর এর মেধয খুশবু
িমিশত হেল তা বযবহাের সবরসমত ভােবই তার উপর দম ওয়ািজব হেব। েযমন, বনসিত, ইয়াসমীন ও অনযানয
সুগিন জাতীয় েতল। েকননা এিট খুশবু। এই হকুম তখন হেব, যখন খুশবু িহসােব তা বযবহার করা হেব।

আর যিদ তা দারা জখম িকংবা পােয়র কাটার িচিকতসা করা হয়, তাহেল তার উপর েকান কাফ‌ফারা ওয়ািজব হেব
না। েকননা এগেলা সয়ং সুগিন নয়, বরং সুগিনর মূল। িকংবা এক েপিকেত সুগিন। সুতরাং সুগিন িহসােব
বযবহার করা শতর হেব। পকানের িমশক ও এই জাতীয় িজিনস দারা িচিকতসা গহেণর িবষয়িট এর িবপরীত।
(এখােন সবরাবসায় দম ওয়ািজব হেব।)

যিদ পূণর একিদন েসলাই করা কাপড় পিরধান কের িকংবা মাথা েঢেক রােখ তাহেল তার উপর দম ওয়ািজব হেব।
িকন যিদ এর েচেয় কম সময় হয় তাহেল তার উপর সাদাকা ওয়ািজব হেব।

ইমাম আবূ ইউসূফ(র.) েথেক বিণরত আেছ েয, যিদ অধরিদেনর েবশী সময় পিরধান কের তাহেল তার উপর দম
ওয়ািজব হেব। এিট িছল ইমাম আবূ হানীফা(র.) এর পথম িদেকর মত।

ইমাম শািফঈ(র.) বেলন েয, শধু পিরধান করেলই দম ওয়ািজব হেব। েকননা বস শরীেরর সংেগ জিড়ত হওয়া
মাতই উপকািরতা পূণর হেয় যায়।

আমােদর দলীল এই েয, বস পিরধােনর উেদশয হেলা (ঠানা বা গরম দূর করার) উপকার লাভ। সুতরাং একটা
িনিদরষ সময় বা িময়াদ িবেবচনা করেত হেব, যােত তা পূণরমাতায় হািসল হয়। এবং তােত দম ওয়ািজব হয়।
সুতরাং েসই িময়াদ একিদন দারা ধাযর করা হেয়েছ। েকননা সাধারণতঃ একিদেনর জনয বস পিরধান করা হয়,
এরপর খুেল েদওয়া হয়। পকানের একিদেনর কেম অপরাধ লঘু হেয় যায়। তাই সাদাকা ওয়ািজব হেব।

তেব ইমাম আবূ ইউসূফ(র.) অিধকাংশ সময়েক সলবতরী িবেবচনা কেরেছন।

যিদ জামা চাদর রেপ বযবহার কের িকংবা বগল তলায় িদেয় অপর কােধর উপর েফেল রােখ িকংবা পায়জামােক
তহবনরেপ বযবহার কের, তাহেল েকান েদাষ েনই। েকননা েস তা েসলাই করা কাপড় রেপ পিরধান কের িন।
তদপ যিদ দই কাধ আবার িভতের ঢুিকেয় েদয় এবং উভয় হাত আিসেন পেবশ না করায়।

ইমাম যুফার(র.) িভনমত েপাষণ কেরন।

263
আমােদর দলীল এই েয, েস এটােক আবা রেপ বযবহার কেরিন। এ কারেণই এিট রকা করেত কষ সীকার করত
হয়।

আর মাথা ঢাকার বযাপােরও সমেয়র পিরমাণ তাই হেব, যা আমরা বণরনা কেরিছ। এ িবষেয় েকান িদমত েনই েয,
যিদ সমূণর মাথা পূণর একিদন েঢেক রােখ তাহেল তার উপর দম ওয়ািজব হেব। েকননা, এটা িনিষদ। আর যিদ
মাথার অংশ িবেশষ েঢেক রােখ, তাহেল ইমাম আবূ হানীফা(র.) েথেক বিণরত আেছ েয, িতিন এক-চতুথরাংশেক
অপরাধ গণয কেরেছন, মাথা মুড়ােনা ও সতেরর উপর িকয়াস কের। েকননা আংিশক আবিরত করা এমন উপকার
েভাগ যা উিদষ হেয় থােক। েকান েকান মানুষ এরপ করায়ই অভযসও হয়।

ইমাম আবূ ইউসূফ(র.) েথেক বিণরত আেছ েয, িতিন আিধেকর পকৃত অথর লকয কের মাথার অিধকাংশও িবেবচনা
কেরন।

যিদ মাথার চতুথার ংশ িকংবা দািড়র চতুথার ংশ বা তার েবশী হলক কের তাহেল তার উপর দম ওয়ািজব হেব ।আর
যিদ চতুথরাংেশর কম হয় তাহেল তার উপর সাদাকা ওয়ািজব হেব।

ইমাম মািলক(র.) বেলন, সবটুকু হলক না করেল দম ওয়ািজব হেব না।

ইমাম শািফঈ(র.) বেলন, সামানয পিরমাণ হলক করেলও দম ওয়ািজব হেব। িতিন এেক হারাম শরীেফর ঘাস-
বৃেকর উপর িকয়াস কেরেছন।

আমােদর দলীল এই েয, মাথার চতুথরাংশ হলক করা পূণর উপকার লােভর শািমল। েকননা এিট পচিলত রেয়েছ।
সুতরাং এেত পূণর অপরাধ গণয হেব। িকন চতুথরাংেশর কম হেল অপরাধ লঘু হেব। অংেগর চতুথরাংেশ খুশবু মাখার
বযাপারিট এর িবপরীত। েকননা (সচরাচর) তা উেদশয হয় না। তদপ ইরােক ও আর ব েদেশও দািড়র অংশ
িবেশষ হলক করার পচলন রেয়েছ।

যিদ সমূণর ঘাড় হলক কের তাহেল তার উপর দম ওয়ািজব হেব। েকননা এিট আলাদা অংগ, যা
উেদশযমূলকভােব হলক করা হয়।

যিদ উভয় বগল িকংবা একিট বগল হলক করা হয় তাহেল তার উপর দম ওয়ািজব হেব। েকননা ময়লা দূর করা
এবং সিস লােভর জনয উভেয়র পেতযকিটই হলেকর উেদশয হেয় যােব। সুতরাং(দম ওয়ািজব হওয়ার েকেত)
নািভর নীেচর চুেলার হকুেমর অনুরপ হেব।

ইমাম মুহামদ(র.) এখােন (অথরাত জােম সাগীেরর বণরনায়) বগলদেয়র েকেত মুড়ােনার কথা বেলেছন। িকন
মাবসূেতর বণরনায় উপড়ােনার কথা রেয়েছ আর েসিটই হেলা সুনাত।

ইমাম আবূ ইউসূফ ও মুহামদ(র.) বেলন, যিদ পূণর একিট অংগ হলক কের তাহল তার উপর দম ওয়ািজব
হেব। তার েচেয় কম হেল খাদয সামগী সাদাকা করেব।

264
ইমাম মুহামদ(র.) পূণর অংগ দারা বুক, পােয়র েগাছা ইতযািদ বুিঝেয়েছন। েকননা এ সকল অংেগ
উেদশযমূলকভােবই েলামনাশক বযবহার করা হয়। সুতরাং পূণর অংগ হলক করেল অপরাধ পূণর হেব আর আংিশক
হলক করেল অপরাধ লঘু হেব।

যিদ েমাচ ছােট তাহেল একজন নযায়পরায়ণ মানুেষর িবচার অনুসাের খাদযশসয সাদাকা করা ওয়ািজব ।অথরাত‌
িতিন িবেবচনা কের েদখেবন েয, দািড়র চতুথার ংেশর তুলনায় ছাটা েমাচ কী পিরমাণ হেচ; েসই অনুপােত
খাদযশসয ওয়ািজব হেব। এমনিক যিদ ছাটা েমাট চতুথরাংেশর এক-চতুথরাংশও হয় তাহেল একিট বকরীর
চতুথরাংেশর মূলয ওয়ািজব হেব। ছাটা শবিট পমাণ কের েয, েমােচর েকেত এটাই সুনাত। হলক সুনাত নয়।
বসতঃ উপেরর েঠােটর সীমা বরাবর ছাটা সুনাত।

ইমাম কুদরূ ী(র.) বেলন, যিদ েকউ িশংগা লাগাবার সান হলক কের, তাহেল ইমাম আবূ হানীফা(র.) এর মেত
তার উপর দম ওয়ািজব হেব। সােহবাইন বেলন, তার উপর সাদাকা ওয়ািজব। েকননা, হলক েতা করা হয় িশংগা
লাগােনার উেদেশয। আর তা ইহরােমর িনিষদ কাজ নয়। সুতরাং িশংগা লাগােনার সহায়েকরও একই হকুম
হেব। তেব েযেহতু এেত িকছুটা ময়লা দূর করা হয়, তাই সাদাকা ওয়ািজব হেব।

ইমাম আবূ হানীফা(র.) এর দলীল এই েয, এ সােনর হলকও উদীষ। েকননা তা ছাড়া মূল উেদেশয উপনীত
হওয়া সমব নয়। অতএব একিট পূণর অংগ েথেক ময়লা দূর করার িবষয় সংঘিটত হেয়েছ। তাই দম ওয়ািজব
হেব।

যিদ েকান মুহিরেমর মাথা েস তার আেদেশ িকংবা িবনা আেদেশ মুিড়েয় েদয় তেব তার উপর সাদাকা ওয়ািজব
হেব। আর যার মাথা মুড়ােনা হেলা তার উপর দম ওয়ািজব হেব।

ইমাম শািফঈ(র.) বেলন, যিদ তার আেদশ ছাড়া হেয় থােক, েযমন ঘুমন অবসায়, তাহেল দম ওয়ািজব হেব না।
েকননা ইমাম শািফঈ(র.) এর মূলনীিত হেলা বল পেয়াগ, ঐ বযিকেক, যার উপর বল পেয়াগ করা হেয়েছ, উক
কােজর দায়-দািয়েতর পাকড়াও েথেক মুক রােখ। আর ঘুম (অিনচার িবেবচনায়) বল পেয়ােগর চাইেতও
অিধক।

আমােদর মেত ঘুম এবং বল পেয়াগ গনাহ‌ রিহত কের, িকন ফলাফল রিহত কের না। তাছাড়া দম ওয়ািজব
হওয়ার কারণ েতা সংঘিটত হেয়েছ। আর তা হেলা আরাম ও েসৌনযর লাভ। সুতরাং তার উপর দম ওয়ািজবই
হেব িনধরািরত।

অসহায় বযিকর অবসা এর িবপরীত। এেকেত েস ইচাধীন। েকননা এেকেত িবপদ আসমানী। আর বল
পেয়ােগর েকেত েতা এেসছ বানার পক েথেক।

আর যার মাথা মুড়ােনা হেয়েছ, েস মুননকারীর িনকট েথেক কিতপূরণ িনেত পারেব না। েকননা দম েতা ওয়ািজব
হেয়েছ, েস েয আরাম লাভ কেরেছ, এ কারেণ। সুতরাং েস ঐ বযিকর নযায়, েয সংগম জিনত ‘অথরদন’ এর
েকেত েধাকার সমুখীন হয়। তদপ মুননকারী যিদ হালাল অবসায় থােক তবু েয মুহিরেমর মাথা মুড়ােনা হেয়েছ,

265
তার েকেত িবধান িভন হেব না। পকানের আমােদর বিণরত মাস’আলায় উভয় অবসায় মুননকারী উপর সাদাকা
ওয়ািজব হেব।

ইমাম শািফঈ(র.) বেলন, তার উপর িকছু ওয়ািজব হেব না। এরপ মতিভনতা রেয়েছ যখন মুহিরম েকান হালাল
বযিকর মাথা মুিড়েয় থােক।

ইমাম শািফঈ(র.) বেলন, তার উপর িকছু ওয়ািজব হেব না। এরপ মত িভনতা রেয়েছ যখন মুহিরম েকান
হালাল বযািকর মাথা মুিড়েয় থােক।

ইমাম শািফঈ(র.) এর দলীল এই েয, অেণযর চুল মুড়ােনা দারা উপকার লাভ সাবযস হয় না। আর েসটাই হেলা
দম ওয়ািজেবর কারণ।

আমেদর দলীল এই েয, মানুেষর শরীের যা িকছু বৃিদপাপ হয়,তা দূর করা ইহরােমর িনিষদ িবষয়সমূেহর
অনভূরক। েকননা ঐ বৃিদপাপ অংশগেলা িনরাপতা লােভর অিধকারী। েযমন হারাম শরীেফর উিদেদর েকেত।
সুতরাং তার ও অেনযর চুেলর বযাপাের হকুেমর েকান পাথরকয হেব না। তেব িনেজর চুেলর বযাপাের অপরাধ হয়
পূণরমাতায়।

যিদ েকান হালাল বযিকর েমাচ েছেট েদয় িকংবা তার নখ েকেট েদয় তাহেল েয পিরমাণ ইচা খাদযশসয দান
কের েদেব। কারণ ইেতাপূেবর আমরা বণরনা কেরিছ। আর এটাও এক ধরেনর উপকার লাভ েথেক মুক নয়।
েকননা অেনযর ময়লা অবসা েথেকও মানুষ কষ পায়, যিদও তা িনেজর শরীেরর ময়লা দারা কষ পাওয়ার তুলনায়
কম। সুতরাং তােক খাদযশসয সাদাকা করেত হেব।

যিদ তার দ’হাত ও দ’পােয়র নখ কােট তাহেল তার উপর দম ওয়ািজব হেব । েকননা এটা িনিষদ িবষয়সমূেহর
অনভূরক। এেত ময়লা দূর করা এবং শরীের বৃিদপাপ িজিনস দূর করা হেচ। সুতরাং যিদ সবগেলা নখ কােট
তাহেল পূণর উপকার লাভ সাবযস হয়। কােজই ‘দম’ ওয়ািজব হেব।

যিদ একই মজিলেশ হয় তাহেল একিট দেমর অিতিরক হেব না। েকননা অপরাধিট একই ধরেনর। যিদ কেয়কিট
মজিলেস হেয় থােক তাহেল ইমাম মুহাূূূূূূ
্ ম দ (র.)এর মেত একই হকুম। েকননা এ অপরাধগেলার
িভিত হেলা একীভূত করার উপর। সুতরাং তা সাওম ভেঙর কাফ‌ফারার সদৃশ হেলা। তেব যিদ কাফ‌ফারা
মাঝখােন আদায় কের েদয়। (তখন পরবতরীিটর জনয আলাদা কাফ‌ফার িদেত হেব) েকননা কাফ‌ফারা আদােয়
পথম অপরােধর িনরসন হয়।

ইমাম আবূ হানীফা ও আবূ ইউসূফ(র.) এর মেত যিদ পেতযক মজিলেস একিট হাত বা একিট পােয়র নখ েকেট
থােক তাহেল চারিট দম ওয়ািজব হেব। েকননা এেকেত ইবাদেতর অথর পবল। সুতরাং একীভূত করার িবষয়িট
অিভন মজিলেসর সােথ শতরযুক। েযমন সাজদার আয়ােতর েকেত হেয় থােক।

যিদ এক হাত বা এক পােয়র নখ েকেট থােক তাহেল একিট দম ওয়ািজব হেব।

এ হকুেমর িভিত হেলা চতুথার ংশেক সমেগর সলবতরী করার উপর। েযমন মাথা মুড়ােনার েকেত হেয় থােক।

266
যিদ পাচ আংগেলর কম নখ েকেট থােক তাহেল তার উপর সাদাকা ওয়ািজব হেব। অথরাত‌ পিতিট নেখর পিরবেতর
একিট কের সাদাকা ওয়ািজব হেব।

ইমাম যুফার(র.) বেলন, িতনিটর নখ েকেট থাকেলও একিট দম ওয়ািজব হেব। এটা ইমাম আবূ হানীফা(র.) এর
পথম িদেকর মত। েকননা হােতর পাচিট আংগেলর জনয একিট দম ওয়ািজব হয়। আর িতনিট পাচিটর
অিধকাংশ।

আর িকতােব েয হকুম উেলখ করা হেয়েছ, তার কারণ এই েয, এক হােতর পাচিট আংগেলর নখ কতরন, যার
উপর দম ওয়ািজব হয়-এর সবরিনম পিরমাণ। আর েসটােক আমরা সমগ নেখর সলবতরী কেরিছ। সুতরাং এক
হােতর অিধকাংশেক আবার তার সমেগর সলবতরী করা যােব না। েকননা তাহেল এ ধারা অিনঃেশিষত ভােব চলেত
থাকেব।

যিদ দই হাত-পােয়র িবিভন আংগেলর পাচিট নখ কােট তাহেল তার উপর সাদাকা ওয়ািজব হেব। এটা ইমাম আবূ
হানীফা(র.) ও আবূ ইউসূফ(র.) এর মত।

ইমাম মুহামদ(র.) বেলন, দম ওয়ািজব হেব এক হােতর পাচিট নখ কাটেল আর মাথার িবিভন সান েথেক এক
চতুথরাংশ পিরমাণ চুল মুড়ােল েযমন একিট দম ওয়ািজব হয়।

ইমাম আবূ হানীফা(র.) ও আবূ ইউসূেফর (র.) দলীল এই েয, অপরােধর পূণরতা সাবযস হয় আরাম ও েসৌনযর
লােভর মাধযেম। অথচ এভােব কাটা দারা অসিস ও অেসৌনযর সৃিষ হয়। মাথার িবিভন সান েথেক হলক করার
িবষয়িট এর িবপরীত, েকননা এিট পচিলত, েযমন পূেবর বলা হেয়েছ। আর অপরাধ যখন লঘু হয় তখন তােত
সাদাকা ওয়ািজব হেব। সুতরাং পিতিট নেখর পিরবেতর একজন িমসকীনেক আহার করােব।

একই হকুম হেব যিদ িবিকপভােব পাচিট নেখর েবশী েকেট থােক। তেব যিদ সব কিট সাদাকা একিট দেমর
পিরমাণ হেয় যায়, তখন যতটুকু ইচা সামানয কম কের িদেব।

ইমাম কুদরূ ী(র.) বেলন, যিদ মুহিরেমর নখ েভংেগ ঝুেল যায়, আর েস তা েকেট েফেল েদয় তাহেল তার উপর
দন আসেব না। েকননা েভংেগ যাূূ ্ ওয়ার
প র আর তার বৃিদ পায় না। সুতরাং তা হারােমর শষ বৃেকর সদৃশ
হেলা।

যিদ েকান ওযেরর কারেণ খুশবু বযবহার কের িকংবা েসলাই করা বস পিরধান কের থােক িকংবা মাথা মুড়ায়,
তাহেল তার ইখিতয়ার রেয়েছ। ইচা করেল েস একিট বকরী যবাহ করেব িকংবা ইচা করেল ছয়জন িমসকীনেক
িতন সা’আ গম দান করেব। িকংবা ইচা করেল িতনিদন েরাযা রাখেব।

েকননা আলাহ তায়ালা ইরশাদ কেরেছন- তাহেল িফদাঈয়া িদেত হেব েরাযা দারা িকংবা সাদাকা দারা িকংবা যবাহ
দারা । অবযয়িট ইচা পদােনর জনয বযবহত। আর রাসূলুলাহ(সা.) আয়াতিটর বযাখযা এরপই কেরেছন, েযভােব
আমরা উেলখ কেরিছ। আয়াতিট মা’যূর সমেকর নািযল হেয়েছ।

267
সাওম েয েকান সােনই আদায় করা েযেত পাের। েকননা সাওম হেলা সবরসােনর ইবাদত। আমােদর মেত
সাদাকারও এেকই কারেণ একই হকুম। িকন যবাহ করার িবষয়িট সকেলর মেতই হরেমর সােথ িবিশষ। েকননা
রক পবািহত করােক িনিদরষ সমেয় িকংবা িনিদরষ সােনই শধু ইবাদেতর রেপ গনয করা হেয়েছ। আর এই দম
েকান সমেয়র সােথ িবিশষ নয়। সুতরাং সােনর সােথ িবিশষ হওয়া অবধািরত হেয় েগেলা।

যিদ খাদয সাদাকা করার ইচা থােক তাহেল ইমাম আবূ ইউসূফ(র.) এর মেত দপুর ও রােত দ’েবলা খাইেয় েদয়া
যেথষ হেব। িতিন এটােক কসেমর কাফ‌ফারার উপর িকয়াস কেরন।

ইমাম মুহামদ(র.) এর মেত তা জাইয হেব না। েকননা সাদাকা শবিট মািলকানার ইংিগত বহন কের। আর
আয়ােত েসটাই উেলিখত হেয়েছ।

পিরেচদ: ইহরাম অবসায় সী সেমাগ


যিদ আপন সীর গপাংেশর পিত কাম দৃিষেত তাকায় এবং বীযরসিলত হেয় যায় তাহেল তার উপর েকান িকছু
ওয়ািজব হেব না। েকননা হারাম হেলা সহবাস করা আর তা এখােন পাওয়া যায়িন। সুতরাং এটা কাম িচনার
কারেণ বীযরসিলত হওয়ার অনুরপ হেলা।

যিদ কামভােব চুমন বা সশর কের তাহেল তার উপর দম ওয়ািজব হেব।

জােমউস সাগীর িকতােব বলা হেয়েছ, যিদ কামভােব সশর কের এবং বীযরসিলত হয়(তেব দম ওূূূ ূূূূূ
্ রয়ািজব
হেব)। আর মাবসূত িকতােব রেয়েছ, বীযরসিলত হওয়া না হওয়ার েকান পাথরকয েনই। আর অনুরপ হকুম
লজাসােনর বাইের সংগম করার েকেতও। একই হকুম (অথরাত‌ সলন হওয়া না হওয়া উভয় অবসােতই দম
ওয়ািজব হেব। )

ইমাম শািফঈ(র.) বেলন, এই সকল অবসায় বীযরসলন হেল তার ইহরাম ফািসদ হেয় যােব। িতিন এটােক
সাওেমর উপর িকয়াস কেরেছন।

আমােদর দলীল এই েয, হজ নষ হওয়ার সমরক হেলা সংগেমর সংেগ। এ কারেণই অনযাণয িনিষদ কােজর
েকানিটর কারেণই হজ নষ হয় না। আর এগেলা েতা উিদষ সংগম নয়। সুতরাং যা মূল সংগেমর সংেগ সমৃক
তা এগেলার সংেগ যুক হেব না। তেব এগেলােত সী েথেক আনন লাভ ও সংগেমর অথর িবদযমান আর তা হেজর
িনিষদ িবষয়; এ জনয দম ওয়ািজব হেব। সাওেমর িবষয়িট এর িবপরীত। েকননা সাওেম িনিষদ িবষয় হেলা
শাহওয়াত পূণর করা। আর লজাসান ছাড়া অনযত সংগেম বীযরসলন ছাড়া তা পূণর হয় না।

যিদ েকউ আরাফায় অবসােনর পূেবর ‘দই পেথর’ েকান একিটেত সংগম কের তাহেল তার হজ ফািসদ হেয় যােব
এবং একিট বকরী যবাহ করা তার উপর ওয়ািজব আর েস ঐ বযিকর মেতাই হেজর িকয়াকমর কের যােব, যার হজ
নষ হয়িন।

268
এ িবষেয় মূল দলীল বিণরত হাদীছ েয, নবী করীম(সা.) েক ঐ েলাক সমেকর িজজাসা করা হেলা, েয তার সীর
সংেগ উভেয় হেজর ইহরােম থাকা অবসায় সহবাস কেরেছ। িতিন বলেলন, উভেয় একিট দম িদেব এবং িনেজেদর
হেজর িকয়াকমর চািলেয় যােব। আর আগামী বছর তােদর উপর হজ করা ওয়ািজব। সাহাবােয় িকরােমর এক
জামা’আেতর েথেকও এরপই বিণরত হেয়েছ।

ইমাম শািফঈ(র.) বেলন, একিট উট ওয়ািজব হেব ঐ বযিকর উপর িকয়াস কের েয, আরাফায় উকুেফর পের যিদ
েস সহবাস কের বাদানাহ ওয়ািজব হেব। তার িবপেক দলীল হেলা আমােদর বিণরত হাদীেছর িনঃশতরতা।

তা ছাড়া এ কারেণ েয, হেজর কাযা যখন ওয়ািজব হেয়েছ- আর তা কলযাণ পুনঃঅজরেনর জনযই ওয়ািজব হেয়
থােক- তখন অপরােধর িদকিট লঘু হেয় েগল। সুতরাং বকরী যবাহ‌ করাই যেথষ হেব। উকুেফর পেরর অবসা এর
িবপরীত। েকননা, তখন হেজর কাযা করা ওয়ািজব হয় না।

ইমাম কুদূরী(র.) উভয় পেথর সংগমেক অিভন ধেরেছন।

আর আবূ হানীফা(র.) েথেক একিট বণরনায় রেয়েছ েয, সমুখ পথ ছাড়া হেল সংগেমর অপূণরতার কারেণ ফািসদ
হেয় যােব। সুতরাং তার পক েথেক এ িবষেয় দ’িট বণরনা হেলা।

আমােদর মেত তােদর নষকৃত হজ কাযা করার সময় সীেক দূের রাখা তার জনয জররী নয়।

ইমাম মািলক(র.) িভনমত েপাষণ কের বেলন, তারা যখন েথেক েবর হেব তখন েথেক আলাদা হেয় যােব। ইমাম
যুফার(র.) বেলন, যখন উভেয় ইহরাম বাধেব (তখন েথেক িবিচন হেব।)

ইমাম শািফঈ(র.) বেলন, যখন ঐ সােন উপনীত হেব, েযখােন সহবাস কেরিছল (তখন িবিচন হেব)।

তার ্ ্ ই েয, (েসই সােন েপৌছায়) সামী-সী িবগত হেজর সহবােসর কথা সরণ করেত এবং সহবােস িলপ
্ দলীলএ
হেয় েযেত পাের। সুতরাং উভেয় িবিচন থাকেব।

আমােদর দলীল এই েয, উভেয়র মােঝ সংেযাগকারী গণ তথা ‘িববাহ’ তােদর মােঝ িবদযমান রেয়েছ। সুতরাং
ইহরােমর পূেবর তােদর িবিচন থাকার েকান অথর েনই। েকননা তখন েতা সহবাস করা জাইয রেয়েছ। ইহরােমর
পেরও একই কথা। েকননা তারা আেলাচনা করেব েয, কিণক আনেনর মাশল িহসােব িক কিঠন কষ আর
েভাগািন তােদর হেচ। ফেল সভাবঃতই তােদর লজা ও অনুতাপ বৃিদ পােব এবং তা পিরহার কের চলেব।
সুতরাং িবিচন হওয়ার েকান পেয়াজন েনই।

েয বযিক উকুেফ আরাফার পের সহবাস করেব তার হজ ফািসদ হেব না, তেব তার উপর উট কুরবানী ওয়ািজব
হেব।

ইমাম শািফঈ(র.) িভনমত েপাষণ কের বেলন, যিদ রামীর পূেবর সহবাস কের তাহেলও তার হজ নষ হেয় যােব।

269
আমােদর দলীল হল রাসূললু াহ‌(সা.) এর বাণী- বযিক আরাফায় উকুফ করল, তার হজ সমূণর হেয় েগল। তেব
উট ওয়ািজব ইব‌ন ‘আবাস (রা.) এর ফাতওয়ার কারেণ। িকংবা এই কারেণ েয, সহবাস হেলা উপকার লােভর
সেবরাচ পযরায়। সুতরাং তার ওয়ািজবও হেব গরতর।

যিদ হলেকর পের সহবাস কের তাহেল তার উপর একিট বকরী ওয়ািজব হেব। েকননা সী সহবােসর েকেত তার
ইহরাম বহাল রেয়েছ; েসলাই করা কাপড় পিরধান করা এবং এই জাতীয় অনযানয বযাপাের বহাল েনই। সুতরাং
অপরাধ অেপকাকৃত লঘু হেয় েগেলা। ফেল বকরীই যেথষ।

েয বযিক উমরার চার চকর তাওয়াফ সমন করার পূেবর সহবাস করেব, তার উমরা ফািসদ হেয় যােব। এমতাবসায়
েস উমরার িকয়াকমর চািলেয় যােব এবং তা কাযা করেব আর তার উপর একিট বকরী ওয়ািজব। আর যিদ চার বা
তার েবশী চকর তাওয়াফ করার পর সহবাস কের, তাহেল তার উপর একিট বকরী ওয়ািজব হেব। িকন তার উমরা
ফািসদ হেব না।

ইমাম শািফঈ(র.) বেলন, উভয় অবসােতই ফািসদ হেয় যােব এবং হেজর উপর িকয়াস কের তার উপর একিট উট
ওয়ািজব হেব। েকননা তার মেত হেজর নযায় উমরাও ফরয। আমােদর দলীল এই েয, উমরা হেলা সুনাত।
সুতরাং এর মযরাদা হেজর েচেয় িনমতর। সুতরাং উভেয়র পাথরকয পকাশ করার জনয উমরার েকেত বকরী
ওয়ািজব হেব এবং হেজর েকেত উট ওয়ািজব হেব।

েয বযিক ইহরােমর কথা ভুেল িগেয় সহবাস কের, তার হকুম ঐ বযিকর মতই েয, ইচাকৃতভােব সহবাস করল।

ইমাম শািফঈ(র.) বেলন, ভুেল িগেয় সহবাস করা হজেক নষ কের না। একই রকম মতিভনতা রেয়েছ ঘুমন ও
বল পেয়াগকৃত সীেলােকর সংেগ সহবােসর েকেত।

িতিন বেলন, এ সকল উপসেগরর কারেণ িনেষধাজা িবলুপ হেয় যায়, সুতরাং তার এ কমরিট ‘অপরাধ’ বেল গণয
নয়।

আমােদর দলীল এই েয, হজ নষ হওয়ার কারণ ইহরাম অবসায় িবেশষ উপকার েভাগ করা। আর তা এ সকল
উপসেগরর কারেণ িবলুপ হয় না।

আর হজ সাওেমর সমপযরােয়র নয়। েকননা ইহরােমর অবসাই হেলা সরণ পদানকারী, েযমন সালােতর অবসা।
পকানের িসয়ােমর িবষয়িট এর িবপরীত। আলাহ‌ই অিধক অবগত।

পিরেচদ: তাহারাত বযতীত তাওয়াফ সংিশষ িবষয়।


েয বযিক হাদাছ অবসায় তাওয়ােফ কুদমূ কের, তার উপর সাদাকা ওয়ািজব।

270
ইমাম শািফঈ(র.) বেলন, উক তাওয়াফ গহণেযাগয হেব না। েকননা রাসূলুলাহ‌(সা.) বেলেছন- তাওয়াফ হেলা
নামায, িকন (পাথরকয এই েয,) আলাহ‌ তা’আলা তােত কথা বলা ৈবধ কেরেছন। সুতরাং তাহারাত তাওয়ােফর
শতর হেব।

আমােদর দলীল এই েয, আলাহ‌ তা’আলার বাণী- েতামরা পাচীন ঘেরর তাওয়াফ কেরা। এখােন তাহারােতর শতর
আেরাপ করা হয়িন। সুতরাং তা ফরয হেব না। তেব েকউ েকউ তাহারাতেক সুনাত বেলেছন। আর িবশদতম
মত এই েয, তা ওয়ািজব। েকননা তা তরক করেল কিতপূরণ ওয়ািজব হয়।

তাছাড়া এই কারেণ েয, ওয়ািহতদ পযরােয়র হাদীছ আমল ওয়ািজব কের। সুতরাং এ দারা ওয়ািজব হওয়া পমািণত
হেব।

সুতরাং যখন তাওয়ােফ কুদূম শর করেব, তখন সুনাত হওয়া সেতও শর করার কারেণ তা ওয়ািজব হেয় যােব
এবং তাহারােত তরক করার কারেণ তােত তিট আসেব। সুতরাং সাদাকা দারা তা পূরণ করেত হেব । (দেমর
পিরবেতর সাদাকা ধাযর করার কারণ হেলা) আলাহর পক েথেক যা ওয়ািজবকৃত অথরাত‌ তাওয়ােফ িযয়ারত, তার
েচেয় এর মযরাদার িনমতা পকাশ করা। অনুরপ হকুম েয েকান নফল তাওয়ােফর েবলায়ও।

যিদ হাদাছ অবসায় তাওয়ােফ িযয়ারত কের তাহেল তার উপর একিট বকরী ওয়ািজব হেব । েকননা েস রকেনর
মেধয তিট সৃিষ কেরেছ; সুতরাং তা পথমিটর েচেয় গরতর হেব। সুতরাং দম দারা এর কিতপূরণ করেত হেব।

আর যিদ েস জুনুবী অবসায় তাওয়াফ কের, তেব তার উপর উট ওয়ািজব হেব। ইব‌ন আবাস(রা.) েথেক এরপই
বিণরত হেয়েছ। তাছাড়া এ কারেণ েয, জানাবাত হেলা হাদােছর েচেয় গরতর। সুতরাং পাথরকয পকাশ করার জনয
উট দারা কিতপূরন ওয়ািজব হেব।

অনুরপ হকুম যখন তাওয়ােফর অিধকাংশ চকর জানাবােতর অবসায় িকংবা হাদােছর অবসায় কের। েকননা েকান
িকছুর অিধকাংশটুকু তার সমূেণরর হকুম দারা ধারণ কের।

তেব যতকণ মকায় থােক ততকণ তাওয়াফ পুনরায় কের েনওয়াই উতম। তখন তার উপর দম ওয়ািজব নয়।
েকান েকান অনুিলিপেত রেয়েছ েয, পুনরায় তাওয়াফ করা তার উপর ওয়ািজব।

তেব িবশদতম মত এই েয, হাদােছর েকেত মুসাহাব পযরােয় তােক পুনরায় তাওয়াফ করার িনেদরশ েদয়া হেব।
আর জানাবােতর েকেত ওয়ািজব পযরােয় আেদশ করা হেব। েকননা জানাবােতর কারেণ তিট গরতর এবং
হাদােছর কারেণ তিট লঘু।

যােহাক যিদ পূেবর হাদাছ অবসায় তাওয়াফ করার পর পুনরায় তাওয়াফ কের তাহেল তার উপর যবাহ‌ করা ওয়ািজব
হেব না। যিদও েস কুরবানীর পর পুনঃতাওয়াফ কের থােক। েকননা পুনরায় সমন করার তিটর সেনহ ছাড়া
আর িকছুই িবদযমান থােক না।

আর যিদ জানাবােতর অবসায় তাওয়াফ করার পর কুরবানীর িদনগেলােত পুনরায় তাওয়াফ কের েফেল, তাহেল তার
উপর িকছুই ওয়ািজব হেব না। েকননা িনধরািরত সমেয়র িভতেরই েস পুনঃতাওয়াফ কেরেছ। যিদ কুরবানীর

271
িদনগেলার পর েস পুনঃতাওয়াফ কের তাহেল ইমাম আবূ হানীফা(র.) এর পিসদ মত অনুযায়ী িবলেমর কারেণ
তার উপর দম ওয়ািজব হেব।

আর যিদ েকউ জানাবােতর অবসায় তাওয়াফ করার পর বািড়েত িফের যায়, তাহেল তার িফের আসা আবশযক।
েকননা তিট অেনক েবশী। সুতরাং এর কিত পূরেণর জনয তােক িফের আসার আেদশ করা হেব। আর নতুন
ইহরাম েবেধ িফরেব।

আর যিদ িফের না িগেয় উট পািঠেয় েদয়, তাহেল তার জনয তা যেথষ হেব। েকননা আমরা বণরনা কের এেসিছ
েয, এটা উক তাওয়ােফর জনয কিতপূরণকারী। তেব িফের এেস তাওয়াফ করাই উতম।

যিদ হাদােছর অবসায় তাওয়ােফর পর বাড়ীেত িফের এেস আবার িগেয় পুনঃতাওয়াফ কের িনেল জাইয হেয় যােব।
আর যিদ দম (দম িহসােব) বকরী েপরণ কের তাহেল তা উতম। েকননা তিটর িদকিট লঘু। আর বকরী েপরেণ
ফকীরেদর উপকার রেয়েছ।

যিদ তাওয়ােফ িযয়ারত েমােটই না কের বািড়েত িফের এেস থােক তাহেল তােক ঐ ইহরাম িনেয়ই (মকায়) িফের
েযেত হেব। েকননা পূবর ইহরাম েথেক হালাল হওয়া পাওয়া যায়িন। সুতরাং তাওয়াফ করা পযরন সী সহবাস
েথেক মুহিরম অবসায়ই েথেক যােব।

েয বযিক হাদাছ অবসায় (িবদায়ী তাওয়াফ) করল, তার উপর সাদাকা ওয়ািজব হেব। েকননা এ তাওয়াফ
ওয়ািজব হেলও তার সান তাওয়ােফ িযয়ারেতর িনেম। সুতরাং উভেয়র মেধয পাথরকয থাকা জররী।

ইমাম আবূ হানীফা(র.) েথেক আেরক মেত রেয়েছ েয, এক বিণরত বকরী ওয়ািজব হেব। তেব পথেমাক মতিট
অিধক িবশদ। যিদ িবদায়ী তাওয়াফ জানাবােতর অবসায় কের থােক তাহেল বকরী ওয়ািজব হেব। েকননা এিট
গরতর তিট। তার িবদায়ী তাওয়াফ তাওয়ােফ িযয়ারেতর চাইেত িনমতর। তাই বকরীই যেথষ হেব।

েয বযিক তাওয়ােফ িযয়ারেতর িতন চকর বা এর চাইেত কম চকর েছেড় েদয় তার উপর বকরী ওয়ািজব ।
েকননা কম পিরমাণ তরক করার তিট সামানয। সুতরাং তা হাদােছর কারেণ সৃষ তিটর সদৃশ হেব। সুতরাং তার
উপর বকরী ওয়ািজব।

যিদ বািড়েত িফের আেস তাহেল আবার না িগেয় বকরী েপরণ করা যেথষ হেব। আমরা পূেবর এর বণরনা কেরিছ।

আর েয বযিক তাওয়ােফর চার চকর তরক করেলা; েস েথেক যােব। যতকণ না পুনরায় তাওয়াফ করেব।
েকননা অিধকাংশ পিরমাণই বিজরত হেয়েছ। কােজই েস েযন তাওয়াফ কেরই িন।

েয বযিক িবদায়ী তাওয়াফ তরক করেলা িকংবা তার চার চকর তরক করেলা, তার উপর একিট বকরী ওয়ািজব
হেব। েকননা েস ওয়ািজব তরক কেরেছ িকংবা ওয়ািজেবর অিধকাংশ তরক কেরেছ। আর যতকণ েস মকায়
থাকেব, ততকণ েস পুনরায় তাওয়াফ করার জনয আিদষ। যােত ওয়ািজব তার সময় মত আদায় হেয় যােব।

272
েয বযিক িবদায়ী তাওয়ােফর িতন চকর তরক করেলা, তার উপর সাদাকা ওয়ািজব হেব। েয বযিক হাতীেমর
িভতের িদেয় ওয়ািজব তাওয়াফ আদায় করেলা, েস যিদ মকায় অবসানরত থােক, তাহেল পুনরায় তাওয়াফ কের
েনেব। েকননা আেগই আমরা উেলখ কের এেসিছ েয, হাতীেমর বািহর িদেয় তাওয়াফ করা ওয়ািজব।

হাতীেমর িভতর িদেয় তাওয়াফ করার অথর হেলা কা’বা শরীেফর পাশর িদেয় তাওয়াফ করার সময় কা’বা শরীফ ও
হাতীেমর মধযবতরী উভয় কিরেডাের িদেয় পেবশ কের। এরপ করেল েস তার তাওয়ােফ তিট সৃিষ করেলা। সুতরাং
েস যতকণ মকায় থাকেব ততকণ সমূণর তাওয়াফ পুনরায় কের েনেব, যােত তার তাওয়াফ শরীআত সমতভােব
আদায় হেয় যায়।

যিদ শধু হাতীেমর অংশিটেত পুনঃতাওয়াফ কের তাহেলও যেথষ হেব। েকননা েস বিজরত অংশিট আদায় কের
েফেলেছ। এর সুরত এই েয, হাতীেমর বাইের ডান েথেক আরম কের হাতীেমর েশষ মাথায় যােব। অতঃপর
কিরেডার িদেয় হাতীেমর িভতের পেবশ কের, অনয িদক িদেয় েবর হেয় যােব। এভােব সাতবার করেব।

যিদ পুনঃতাওয়াফ তনা কের বািড়েত িফের আেস, তাহেল তার উপর দম ওয়ািজব হেব। েকননা পায় চতুথরাংশ
আমল তরক করার কারেণ তার তাওয়াফ তিটপূণর রেয় েগেছ। সুতারাং সাদাকা তার জনয যেথষ হেব না।

েয বযিক উযু ছাড়া তাওয়ােফ িযয়ারত করেলা এবং আইয়ােম তাশরীেকর েশষ িদেক তাহারােতর অবসা, িবদায়ী
তাওয়াফ কের, তার উূূ ্ পর
এ কিট দম ওয়ািজব। আর যিদ জুনুবী অবসায় তাওয়ােফ িযয়ারত কের থােক,
তাহেল তার উপর দ’িট দম ওয়ািজব।

এটা হেলা ইমাম আবূ হানীফা(র.) এর মত। সােহবাইন বেলন, তার উপর একিট দম ওয়ািজব হেব।

উভয় অবসার মােঝ পাথরেকযর কারণ এই েয, পথম সুরেত তার িবদায়ী তাওয়াফ তাওয়ােফ িযয়ারেত রপানিরত
হয়িন। েকননা িবদায়ী তাওয়াফ হেলা ওয়ািজব। আর হাদােছর কারেণ তাওয়াফ িযয়ারত পুনরায় করা ওয়ািজব
নয়, বরং তা মুসাহাব। সুতরাং িবদায়ী তাওয়ােফ িযয়ারেতর রপানিরত করা হেব না।

পকানের িদতীয় সুরেত িবদায়ী তাওয়াফেক তাওয়ােফ িযয়ারেত রপানিরত করা হেব। েকননা এ অবসায়
তাওয়ােফ িযয়ারত েদাহরােনা ওয়ািজব। সুতরাং েস িবদায়ী তাওয়াফ তরক করল এবং তাওয়ােফ িযয়ারতেক
কুরবানীর িদকগেলা েথেক িবলম করল। এমতাবসায় িবদায়ী তাওয়াফ তরক করার কারেণ সবরসমিতকেম দম
ওয়ািজব হেব। আর তাওয়ােফ িযয়ারত িবলম করার কারেণ দম ওয়ািজব হওয়ার সমেকর মত পাথরকয রেয়েছ।
তেব যতিদন মকায় অবসান করেব, ততিদন পুনরায় তার উপর িবদায়ী তাওয়াফ করার হকুম রেয়েছ। িকন বািড়েত
পতযাবতরেনর পর েস হকুম আর থাকেব না। েযমন আমরা বয়ান কের এেসিছ।

েয বযিক উযূ ছাড়া উমরার তাওয়াফ ও সাঈ করেলা এবং ইহারামমুক হেয় েগেলা েস মকায় অবসান কােল
উভয়িট পুনরায় আদায় কের িনেব। আর তার উপর েকান িকছু ওয়ািজব হেব না।

273
তাওয়াফ পুনরায় করার কারণ এই েয, হাদােছর কারেন তােত তিট এেসেছ। আর সাঈ পুনরায় করার কারণ এই
েয, তা তাওয়ােফর অনুগত। যখন উভয়িট পুনরায় আদায় করেব, তখন তিট রিহত হওয়ার কারেণ তার উপর
েকান িকছুই ওয়ািজব হেব না।

আর যিদ পুনরায় িফের আসার আেদশ েদওয়া হেব না। েকননা তার হালাল হওয়া সংঘিটত হেয় েছ উমরার রকন
আদােয়র পের। আর েয তিট হেয়েছ, তা সামানয।

আর সাঈর েকেতও তার উপর িকছু ওয়ািজব হেব না। েকননা েস একিট গহণেযাগয তাওয়ােফর পর সাঈ
কেরেছ।

তদপ (েকান দন আসেব না) যিদ তাওয়াফ পুনরায় কের, িকন সাঈ পুনরায় না কের। এটাই িবশদ মত।

েয বযিক সাফা ও মারওয়ার মােঝ সাঈ তরক কের, তার উপর দম ওয়ািজব হেব আর তার হজ পূণর হেয় যােব।
েকননা আমােদর মেত সাঈ হেলা ওয়ািজব আমলসমূেহর অনভূরক। সুতরাং এটা তরক করার কারেণ দম ওয়ািজব
হেব, িকন হজ ফািসদ হেব না।

েয বযিক (হেজর) ইমােমর পূেবর (সূযর অস যাওয়ার আেগ) আরাফাত েথেক িফের আেস, তার উপর দম ওয়ািজব
হেব ।

ইমাম শািফঈ(র.) বেলন, তার উপর িকছুই ওয়ািজব হেব না। েকননা রকন হেলা আরাফার মূল অবসান।
সুতরাং অবসান দীঘরািয়ত না করার কারেণ তার উপর েকান িকছু ওয়ািজব হেব না।

আমােদর দলীল এই েয, সূযরাস পযরন অবসান অবযাহত রাখা ওয়ািজব । েকননা রাসূলুলাহ‌(সা.) বেলেছন-
েতামরা সূযরােসর পর রওয়ানা হেব। সুতরাং তা তরক করার কারেণ দম ওয়ািজব হেব। আর েকউ যিদ রােত
উকুফ কের, তার অবসা এর িবপরীত। েকননা উকুফ অবযাহত রাখা ঐ বযািকর জনয ওয়ািজব, েয বযিক িদেন
অবসান কের, রােত নয়।

যিদ সূযরেসর পর আরাফায় িফের আেস, তাহেল তার উপর েথেক দম রিহত হেব না। এ হেলা জািহের িরওয়াত
অনুযায়ী। েকননা যা ছুেট েগেছ, তার পুনঃপািপ হেব না। আর যিদ সূযরােসর পূেবর িফের আেস, তেব এেত মত
িভনতা রেয়েছ।

েয বযিক মুযদািলফায় অবসান তরক করেব, তার উপর দম ওয়ািজব হেব। েকননা এ হল ওয়ািজব আমলসমূেহর
অনভূরক।

েয বযিক সবকিট িদেনর কংকর িনেকপ তরক করেলা, তার উপর দম ওয়ািজব হেব। েকননা ওয়ািজব তরক করা
সংঘিটত হেয়েছ। তেব একিট দমই তার জনয যেথষ হেব। েকননা পিত িদেনর কংকর িনেকপ একই েশণীভূক ,
েযমন চুল মুনেণর বযাপাের। সমস শরীেরর চুল মুনেনর কারেণ একই দম ওয়ািজব হয়।

274
কংকর িনেকপ তরক করা সাবযস হেব েশষ িদন (েতর তািরেখ) সূযরাস দারা। েকননা শধু ঐ িদনগেলােতই কংকর
িনেকপ ইবাদত িহসােব গৃহীত। সুতরাং উক িদনগেলা যতকণ অবিশষ রেয়েছ, ততকণ রামী পুনরায় করা সমব।
সুতরাং েস ধারাবািহকভােব কংকর পুনঃিনেকপ কের িনেব।

তেব িবলেমর কারেণ দম ওয়ািজব হেব। ইমাম আবূ হানীফা(র.) এর মেত। সােহবাইন িভনমত েপাষণ কেরন।

যিদ একিদেনর রামী তরক কের, তাহেল তার উপর দম ওয়ািজব হেব। েকননা এটা একটা হেজর সমান।

আর েয বযিক (এক িদেনর) িতনিট জামরার েকান একিট রামী তরক কের,তেব তার উপর সাদাকা ওয়ািজব হেব।
েকননা, পিত িদেনর সবক’িট িমেল হেলা হেজর একিট পূণর আমল। সুতরাং যা েছেড় িদেয়েছ,তাহেলা এক
আমল েথেক কম। তেব যিদ অেধরেকর েবশী েছেড় েদয় তেব তার উপর দম ওয়ািজব হেব। েযেহতু অিধকাংশ
েছেড় েদওয়া হেয়েছ।

আর যিদ কুরবানীর িদেনর (দশ তািরেখর) জামরাতুল আকাবার রামী েছেড় েদয় তাহেল তার উপর দম ওয়ািজব
হেব। েকননা রামীর েকেত েস এই িদেনর পূণর আমল তরক কেরেছ। একই হকুম হেব যিদ েস উক রামীর
অিধকাংশ েছেড় েদয়।

যিদ একিট দ’িট বা িতনিট কংকর তরক কের, তাহেল পিতিট কংকেরর জনয অধর সা’আ গম সাদাকা করেব।
তেব যিদ তা একিট দেমর পিরমােণ েপৌেছ যায়, তাহেল িনজ িবেবচনায় িকছু কম কের েদেব। েকননা েছেড়
েদওয়া অংশ হেলা কম। সুতরাং তার জনয সাদাকা যেথষ হেব।

েয বযিক মাথা মুড়ােনা িবলিমত করেলা, এমন িক কুরবানীর িদনগেলা অিতকান হেয় েগেলা তার উপর দম
ওয়ািজব হেব। এ হল ইমাম আবূ হানীফা(র.) এর মত। একই হকুম হেব যিদ তাওয়াফ িযয়ারত িবলিমত
কের।

সােহবাইন বেলন, উভয় েকেতই তার উপর িকছু ওয়ািজব হেব না। এরপ মতিভনতা রেয়েছ রামী িবলিমত করার
েকেত এবং একিট আমলেক আেরকিট আমেলর উপর অগবতরী করার বযাপাের। েযমন, রামীর পূেবর হলক করা,
হেজ িকরানকারীর রামীর পূেবর কুরবানী করা এবং যবাহ‌ করার পূেবর হলক করার েকেতও।

সােহবাইেনর দলীল এই েয, যা ফউত হেয়েছ (সবরসমিতকেম) তা কাযা করার মাধযেম তার কিতপূরণ হেয়
েগেছ। আর ‘কাযা’ এর সােথ অনয েকান দন ওয়ািজব হয় না। আর ইমাম আবূ হানীফা(র.) এর দলীল হেলা
হযরত ইব‌ন মাস’ঊদ (রা.) এর হাদীছ। িতিন বেলেছন, েয বযিক হেজর েকান একিট আমেলর উপর অনয
েকান আমলেক অগবতরী করেব তার উপর দম ওয়ািজব হেব।

তাছাড়া এ কারেণ েয, েয আমল সােনর সােথ িনিদরষ, েযমন ইহরাম, তা উক সান েথেক িবিলমত করেল দম
ওয়ািজব হয়। েতমিন সমেয়র সােথ িনধরািরত েয আমেল, তা উক সময় েথেক িবলিমত করেল অনুরপ হকুম
হেব।

275
যিদ কুরবানীর িদনগেলােত হারােমর বাইের হলক কের, তাহেল তার উপর দম ওয়ািজব হেব। আর েয বযিক উমরা
হারাম েথেক েবর হেয় েগেলা, অতঃপর চুল ছাটেলা, তার উপর দম ওয়ািজব হেব।

এটা ইমাম আবূ হানীফা(র.) ও ইমাম মুহামদ(র.) এর মত। ইমাম আবূ ইউসূফ(র.) বেলন, তার উপর িকছুই
ওয়ািজব হেব না।

গনকার বেলন, ইমাম মুহামদ(র.) জােমউস সাগীর িকতােব উমরাকারীর েকেত আবূ ইূূূূ
উসূ
্ ্ ফ (র.) এর
মেত উেলখ কেরেছন আর হজকারীর পসেঙ উেলখ কেরনিন।

েকান েকান মেত (দম ওয়ািজব হওয়ার িবষয়িট) সবরসমত। েকননা হেজর েকেত িমনায় হলক করার সুনাত
ধারাবািহকভােব চেল আসেছ। আর মীনা হল হারােমর অনভূরক।

তেব িবশদতম মত এই েয, এেত মতপাথরকয রেয়েছ। আবূ ইউসূফ(র.) এর দলীল এই েয, হলক করার হকুম
হারােমর সােথ খাস নয়। েকননা নবী (সা.) ও তার সাহাবােয় িকরাম হদায়িবয়ােত বাধাপাপ হন এবং হারােমর
বাইেরই হলক কেরন।

সােহবাইেনর দলীল এই েয, হলকেক যখন (ইহরাম েথেক) হালালকারী রেপ সাবযস করা হেয়েছ, তখন তা
সালােতর েশেষ সালােমর নযায় হেয় েগেলা। েকননা সালাম (সালাত েথেক) হালালকারী হওয়া সেতও সালােতর
ওয়ািজবসমূহের অনভূরক। সুতরাং ইহরাম যখন হেজর আমল রেপ সাবযস হেলা, তখন যবাহ‌র মত তা হারােমর
সােথই িবিশষ হেব । ইমাম আবূ ইউসূফ(র.) এর দলীেলর জবাব এই েয, হদায়িবয়ার িকছু অংশ েতা হারােম
অবিসত। সুতরাং হয়ত তারা হারাম ভুক অংেশ হলক কেরেছন।

েমাট কথা, ইমাম আবূ হানীফা(র.) এর মেত ‘হলক’ হেলা ‘কাল’ (কুরবানীর িদন-সমূহ) ও সান (হারাম) এর
সােথ সীমাবদ। িকন ইমাম আবূ ইউসূফ(র.) এর মেত তা েকানিটর সােথই সীমাবদ নয়। আর ইমাম
মুহামদ(র.) এর মেত সােনর সােথ সীমাবদ, িকন কােলর সােথ নয়। আর ইমাম যুফার(র.) এর মেত কােলর
সােথ সীমাবদ, সােনর সােথ নয়। (সান বা কােলর সােথ) সীমাবদতা সমেকর এই মতিবেরাধ দম দারা কিতপূরণ
ওয়ািজব হওয়ার েকেত। পকানের হালাল হওয়ার েকেত সবরসমিতকেমই তা সান বা কাল েকানিটর সােথই
িবিশষ নয়।

উমরার েকেত চুল ছাটা বা চাছা সবরসমিতকেম েকান সমেয়র সােথ আবদ নয়। েকননা মূল উমরাই েতা েকান
সমেয়র সােথ আবদ নয়। সােনর িবষয়িট এর িবপরীত। েকননা উমরার পুেরা আমলই িনধরািরত সােনর সােথ
সীমাবদ।

ইমাম মুহামদ(র.) বেলন, যিদ চুল না েছেট চেল যায়, অতঃপর িফের আেস এবং ছােট তাহেল সকেলর মেতই
তার উপর েকান িকছুই ওয়ািজব হেব না। অথরাত উমরাকারী যিদ হরেমর বাইের চেল যায় অতঃপর িফের আেস।
েকননা েস েতা চাছা বা ছাটার কাজিট যথাসােনই কেরেছ। সুতরাং তার উপর কিতপূরণ আেরািপত হেব না।
হেজ িকরানকারী যিদ যবাহ করার পূেবর হলক কের, তাহেল তার উপর দ’িট দম ওয়ািজব হেব। এটা ইমাম আবূ

276
হানীফা(র.) এর মত। একিট দম হেলা অসমেয় হলক করার কারেণ। েকননা হলেকর যথা সময় হেলা ‘যবাহ’
এর পের। আেরকিট দম হেলা যবােহ‌ক হলক েথেক িবলিমত করার কারেণ।

সােহবাইেনর মেত তার উপর একিট দম ওয়ািজব হেব। আর তা পথমিট িবলেমর কারেণ িকছুই ওয়ািজব হেব না।
এর কারণ ইেতাপূেবর আমরা বেল এেসিছ।

পিরেচদ: িশকার
েজেন রাখা উিচত েয, সেলর িশকার মুহিরেমর জনয হারাম। আর পািনর িশকার তার জনয হালাল। েকননা
আলাহ‌ তায়ালা ইরশাদ কেরেছন- েতামােদর জনয সমুেদর িশকার হালাল করা হেয়েছ। সেলর িশকার বলেত ঐ
সমস পাণীেক েবাঝােনা হেয়েছ, যার জন ও বাস পািনেত।

আর িশকার অথর আতরকাকারী এবং জনগতভােব বনয পাণী। তেনেধয পাচিট দষ পাণীেক রাসূলুলাহ‌(সা.)
বযিতকম সাবযস কেরেছন। েসগেলা হেলা দংশনকারী কুকরু , েনকেড়, িচল, কাক ও সাপ-িবচু। েকননা এগেলা
িনেজ েথেকই পথেম আকমণ কের।

আর কাক দারা ঐ কাক উেদশয, যা মরা খায়। ইমাম আবূ ইউসূফ(র.) েথেক একথাই বিণরত রেয়েছ।

ইমাম কুদরী(র.) বেলন, মুহিরম যিদ েকান িশকার হতযা কের িকংবা েয হতযা করেব তােক বাতিলেয় েদয়, তেব
তার উপর দন ওয়ািজব হেব।

হতযা করার েকেত দন ওয়ািজব হওয়ার কারণ হেলা আলাহ‌ তা’আলার বাণী- ইহরাম অবসায় েতামরা িশকার
হতযা কর না। আর েতামােদর মধয েথেক েয ইচাকৃতভােব িশকার হতযা করল, তার উপর দন ওয়ািজব।

এখােন দন ওয়ািজব হওয়ার কথা সষভােব বলা রেয়েছ। িশকার েদিখেয় েদওয়ার েকেত ইমাম শািফঈ(র.) এর
িভনমত রেয়েছ। িতিন বেলন, (আয়াত দারা পমািণত েয,) দেনর সমকর হেলা হতযার সােথ। আর িশকার
বাতেল েদওয়া হতযা করা নয়। সুতরাং এটা হালাল বযিক হালাল বযািকেক িশকার েদিখেয় েদয়ার সদৃশ হেলা।

আমােদর দলীল হেলা (ইহরাম অধযােয়র শরেত) বিণরত আবূ কাতাদা(রা.) এর হাদীছ।

আর ‘আতা বেলন, এ িবষেয় েলাকেদর ইজমা রেয়েছ েয, িশকার েয েদিখেয় েদেব,তার উপর দন ওয়ািজব হেব।

তাছাড়া এই জনয েয, িশকার েদিখেয় েদওয়া ইহরােমর িনিষদ কাজসমূেহর অনভূরক। কারণ, তােত িশকােরর
িনরাপতা নষ করা হয়। েকননা েস তার বনযতা ও আতেগাপনতা দারা িনরাপদ িছেলা। সুতরাং েদিখেয় েদওয়া
হতযা করার মতই হেলা।

277
আেরকিট কারণ এই েয, মুহিরম তার ইহরােমর মাধযেম িশকােরর সােথ জিড়ত হওয়া েথেক িবরত থাকা িনেজর
উপর অিনবাযর কের িনেয়েছ। সুতরাং অিনবাযরকৃত দািয়ত বজরন করার কারেণ কিতপূরণ িদেব ঐ বযিকর নযায়, যার
িনকট িকছু আমানত রাখা হেয় থােক।

হালাল বযিকর িবষয়িট এর িবপরীত। েকননা তার পক েথেক েতা েকান দািয়ত বদতা েনই। তদপির ইমাম আবূ
ইউসূফ(র.) ও ইমাম যুফার (র.) েথেক বিণরত রেয়েছ েয, হালাল বযিকর উপরও দন ওয়ািজব হেব।

বাতিলেয় েদয়ার কারেণ দন ওয়ািজব হওয়ার শতর এই েয, যােক েদিখেয় েদওয়া হেলা, েস িশকােরর অবসান
সমেকর জাত িছল না আর েদিখেয় েদয়ার বযাপাের তােক েস িবশাস কেরেছ।। সুতরাং যিদ েস তােক অিবশাস
কের এবং অনযেক িবশাস কের তেব যােক অিবশাস করা হেলা, তার উপর েকান কিতপূরণ ওয়ািজব হেব না।

আর েয েদিখেয় িদেচ, ঐ হালাল বযিক যিদ হারােমরও হয় তবুও তার উপর িকছু ওয়ািজব হেব নাূূ
্ ।
আমরা এর কারণ উপের বেলিছ।

দন ওয়ািজব হওয়ার েকেত ইচাকৃতভােব েদিখেয় েদওয়া আর ভুেল েদিখেয় েদওয়া সমান । েকননা এটা এমন
কিতপূরণ, যার িভিত হেলা পাণনাশ করা। সুতরাং এটা মাল নষ করার কিতপূরণ সদৃশ হেলা।

আর পথমবার অনযায়কারী এবং িদতীয়বার অনযায়কারীর হকুম অিভন। েকননা ওয়ািজব হওয়ার কারণ অিভন।

ইমাম আবূ হানীফা ও ইমাম আবূ ইউসূফ(র.) এর মেত দন এই েয, েয সােন িশকার হতযা করা হেয়েছ, েস
সােন িকংবা (জঙল এলাকা হেল) তার িনকটতম সােন িশকারকৃত পাণীর মূলয িনধরারণ করা হেব। দ’জন
নযায়পরায়ণ বযিক মূলয িনধরারণ করেবন। অতঃপর জাযা আদায় করার বযাপাের িশকারীর ইচার উপর নযাস। যিদ
উক পাণীর মূলয একিট হাদী কয় করার সমপিরমাণ হেয় যায় তাহেল ইচা করেল উক মূলয দারা একিট হাদী কয়
কের যবাহ‌ করেব। িকংবা ইচা করেল উক মূলয দারা খাদয সামগযী খিরদ কের পেতযক িমসকীনেক অধর সা’আ
গম িকংবা এেক সা’আ েখজুর বা যব সাদাকা করেব। িকংবা চাইেল িসয়াম পালন করেব। েযমন সামেন আমরা
বণরনা করেবা।

ইমাম মুহামদ(র.) ও শািফঈ(র.) বেলন, েয সকল িশকার কৃত জনর সমতুলয ‘গঠেনর’ জন রেয়েছ, েসেকেত
সমতুলয জন জাযা রেপ ওয়ািজব হেব। সুতরাং হিরেণর েকেত বকরী, হােয়নার েকেত বকরী, খরেগােশর েকেত
এক বছর বয়স েমষশাবক, বনয ইদর এর েকেত চারমাস বয়স েমষশাবক ওয়ািজব হেব। েকননা আলাহ তায়ালা
ইরশাদ কেরেছন- েয পাণী হতযা করা হেয়েছ, তার সমতুলয পাণী জাযারেপ ওয়ািজব হেব।

আর িশকােরর সমতূলয পাণী েসটাই হেব, েযটা দৃশযতঃ হতযাকৃত পাণীর সদৃশ। েকননা মূলযেক েতা বলা যায়
না। আর সাহাবােয় িকরাম আকৃিতগত িদক েথেক সমতুলয সাবযস কেরেছন।

আর উটপািখ, হিরণ, বনযগাধা ও খরেগােশর সদৃশ পাণী েসগেলাই, যা আমরা বণরনা কেরিছ। আর
রাসূলুলাহ(সা.) বেলেছন, হােয়না একিট িশকার এবং তার েকেত বকরী ওয়ািজব হেব।

278
আর েয সকল পাণীর আকৃিতগত সদৃশ পাণী েনই, েসগেলার েকেত ইমাম মুহামদ(র.) এর মেত মূলয ওয়ািজব
হেব। েযমন চড়ুইপািখ, কবুতর ইতযািদ। আর যখন মূলয ওয়ািজব হেব, তখন ইমাম মুহামদ(র.) এর মেত
ইমাম আবূ হানীফা(র.) ও আবূ ইউসূফ(র.) এর মত অনুযায়ী হেব।

ইমাম শািফঈ(র.) কবুতেরর েকেত বকরী ওয়ািজব বেল মত পকাশ কেরন এবং উভেয়র মােঝ সদৃশ পমাণ কেরন
এিদক েথেক েয, উভেয়র পিতিট লমা চুমুেক পািন পান কের এবং পায় অিভন রকম শব কের।

ইমাম আবূ হানীফা(র.) ও আবূ ইূূূূ


উসূ
্ ্ ফ (র.) এর দলীল এই েয, িনঃশতর সমতুলযতা দারা সমতুলযই গহণ
করা হেব। েকননা শরীআেত এর গহণেযাগযতা রেয়েছ, েযমন হকুল ইবােদর েকেত।

িকংবা এ কারেণ েয, সবরসমতভােব গণগত সমতুলযতার অথর উেদশয। িকংবা এ কারেণ েয, গণগত সমতুলযতার
মেধয বযাপকতা রেয়েছ। আর িবপরীত েকেত িবিশষতা রেয়েছ।

আর আলাহ‌ অিধক অবগত ‘নাস’ এর উেদশয সমবতঃ এই েয, জাযা হেলা েয বনযপাণী হতযা করা হেয়েছ, তার
মূলয।

আর শবিট বণয ও গৃহপািলত উভয় অেথরই বযবহত হয়। এরপ বেলেছন, আবূ উবায়দ ও আছমারী। আর েয
হাদীছ বণরনা করা হেয়েছ, তার উেদশয মূলয িনরপণ করা, িনিদরষ পাণী সাবযস করা নয়।

ইমাম আবূ হানীফা ও আবূ ইউসূফ(র.) এর মেত হাদী িকংবা খাদয সামগী িকংবা িসয়ামেক ভাষা িহসােব সাবযস
করার ইখিতয়ার হেলা হতযাকারীর।

ইমাম মুহামদ ও শািফঈ(র.) বেলন, এ িবষেয় ইখিতয়ার হেলা নযায়পরায়ণ িবচারকদেয়র। যিদ তারা হাদী এর
ফায়সালা কেরন, তাহেল আকৃিতগত সমতূলয পাণী ওয়ািজব হেব, েযমন আমরা উেলখ কেরিছ। আর যিদ তারা
খাদয সামগী বা িসয়ােমর ফায়সালা কেরন, তাহেল ইমাম আবূ হানীফা ও আবূ ইউসূফ(র.) েযমন বেলেছন
(অথরাত িশকােরর মূলয িনধরারণ কের তা দারা খাদয সামগী খিরদ কের সাদাকা করা হেব।)

ইমাম আবূ হানীফা(র.) ও ইমাম ইউসূফ(র.) এর দলীল এই েয, ইখিতয়ার পদােনর িবষয়িট শরীআেত
অনুেমািদত হেয়েছ দায়গস বযিকর পিত আহসানীর জনয। সুতরাং িশকােরর হােতই ইখিতয়ার থাকা উিচত, েযমন
কাসেমর কাফ‌ফারার ইখিতয়ােরর বযাপাের।

ইমাম মুহামদ ও শািফঈ(র.) এর দলীল হেলা আলাহ‌ তা’আলার বাণী-

েতামােদর মধয হেত দ’জন নযায়পরায়ণ বযািক তা ফায়সালা করেব অথরাত‌ হাদী যা কা’বা পযরন উপনীত হেব
িকংবা িমসকীনেদর খাদয রেপ কাফ‌ফারা িকংবা েসই পিরমাণ েরাযা, যােত েস তার কৃতকেমরর শািস েভাগ কের।

শবিটেক রেপ উেলখ করা হেয়েছ। েকননা তা আয়ােতর এর বযাখযা রেপ এবং িবচারেকর বা িবচার িকয়ার
(িকয়াগত কমরকারক) রেপ এেসেছ। অতঃপর অবযয় দারা খাদয সাদাকা এবং িসয়াম পালেনর িবষয় দ’দিটেক
উেলখ করা হেয়েছ। সুতরাং ইখিতয়ােরর িবষয়িট িবচারকদেয়র হােতই থাকেব।

279
আমরা বিল শবিটেক করা হেয়েছ এর উপর। এর উপর নয়। পমাণ এই েয, শবিট হেয়েছ। তদপ শবিট
হেয়েছ। সুতরাং এ দিটেত িবচারকদেয়র পশর মূলয িনধরারেণর জনয। অতঃপর ইখিতয়ার থাকেব ঐ বযিকর হােত,
যার উপর জাযা ওয়ািজব হেয়েছ।

ঐ সােনই িবচারকদয় মূলয িনধরারণ করেবন, েযখােন মুহিরম িশকার হতযা কেরেছ। েকননা সােনর িবিভনতার
কারেণ মূলয পাথরকয হয় থােক।

যিদ সানিট মর পানর হয় েযখােন িশকার েবচােকনা হয় না, তাহেল তার িনকটতম এমন সান িবেবচনায় আনা
হেব, েযখােন পশ েবচােকনা হয়।

মাশােয়খগণ বেলেছন, মূলয িনধরারণ এর েকেত একজন যেথষ তেব দ’জন হওয়া উতম। েকননা তা অিধক
সতকরতাপণর এবং ভুল হওয়া েথেক অিধক িনরাপদ। েযমন হকুল ইবােদর েকেত ।

আর েকউ েকউ বেলেছন, উপেরাক আয়ােতর েপিকেত এখােন দ’জেনর হওয়া আবশযক রেপ িবেবচনা করা
হেব।

‘হাদী’ মকা ছাড়া অনয েকাথাও যবাহ করা যােব না। েকননা আলাহ‌ তাূূ’ূ
্ ূূ আলাবেলেছন - হাদী যা
কা’বায় উপনীত হেব।

তেব িমসকীনেদরেক খাদয পদান মকা ছাড়া অনযত জাইয হেব। ইমাম শািফঈ(র.) িভনমত েপাষণ কেরন। িতিন
এটােকও হাদী এর উপর িকয়াস কেরন। উভেয়র মােঝ এ বযাপাের সমনয় হেলা হারােমর অিধবাসীেদর জনয
সচলতা িবধান।

আমরা বিল, হাদী যবাহ করা এমন একিট িবেশষ ইবাদত, যা বুিদগাহয নয়। সুতরং তা সান ও কােলর সােথ
িবিশষ হেব। আর ছাদাকা হেলা সবর সমেয় ও সবরসােন বুিদগাহয একিট ইবাদত।

আর সাওম মকায় পালন করা জাইয হেব। েকননা তা সবরসােনই ইবাদত রেপ অনুেমািদত।

যিদ কুফায় (অথরাত‌ মকা ছাড়া অনযত) যবাহ কের তাহেল তা খাদয সামগী পদােনর িবকল িহসােব জাইয হেব।
অথরাত যিদ এ পিরমাণ েগাশ‌ত (পিত িমসকীনেক) সাদাকা কের আর তা ওয়ািজব খাদয সামগীর মূেলযর
সমপিরমাণ হয়। েকননা ‘যবাহ’ করা খাদযসামগী সাদাকা করার সলবতরী হয় না।

যিদ িশকারী হাদী যবাহ‌ করা গহণ কের েনয়, তাহেল কুরবানী রেপ যা যেথষ তা হাদী রেপ যবাহ‌ করেব। েকননা
িনঃশতরভােব হাদী শবিট কুরবানীর পশেকই েবাঝায়।

ইমাম মুহামদ ও শািফঈ(র.) বেলন, এ েকেত েছাট পশর জাইয হেব। েকননা, সাহাবােয় িকরাম (খরেগােশর
েকেত) এক বছরী েমষশাবক এবং (বনয ইদেরর েকেত) চার মাস বয়েসর েমষশাবক ওয়ািজব কেরেছন।

ইমাম আবূ হানীফা ও আবূ ইউসূফ(র.) এর মেত খাদয সামগী পদান িহসােব েছাট পশ জাইয হেব, যিদ তা
সাদাকা কের। (যবাহ‌ িহসােব নয়)।

280
যিদ খাদযসামগী সাদাকা করােক গহণ কের েনয় তাহেল আমােদর মেত খাদয সামগীর মাধযেম হতযাকৃত পশিটর
মূলয িনধরারণ করা হেব। েকননা, হতযাকৃত পশূরই কিতপূরণ ওয়ািজব, সুতরাং তার মূলযই িবেবচনা করা হেব।

যখন মূলয ছাড়া খাদয সামগী খিরদ করেব, তখন পেতযক িমসকীনেক ‘অধর সা’আ গম িকংবা এক সা’আ েখজুর
বা যব সাদাকা করেব। েকান িমসকীনেক অধর সা’আ এর কম খাদয সামগী পদান করা জাইয হেব না। েকননা
কুরআন শরীেফ উেলিখত দারা শরীআেতর িনধরািরত পিরমাণই উেদশয হেব।

আর যিদ িসয়াম পালনই গহণ কের তাহেল হতযাকৃত পশর মূলয িনধরারণ করেব খাদযসামগীর মাধযেম। অতঃপর
পেতযক অধর সা’আ গম িকংবা এক সা’আ েখজুর বা যেবর পিরবেতর একিদন েরাযা রাখেব। েকননা, িসয়াম দারা
হতযাকৃত পশর মূলয িনধরারণ করা সমব নয়। কারণ, সাওেমর েকান অথরমলূ য েনই। তাই আমরা খাদয সামগীর
দারাই তার মূলয িনধরারণ করলাম।

আর এইভােব (অধর সা’আ দারা েরাযার) মূলয িনধরারণ করা শরীআেত পচিলত, েযমন, িসয়ােমর িফদইয়ার
েকেত।

যিদ অধর সা’আ এর কম খাদয সামগী েবেচ যায়, তাহেল েস ইচাধীন। চাইেল েস অবিশষ খাদয (গম) সাদাকা
কের েদেব িকংবা চাইেল তার পিরবেতর একিদেনর সাওম পালন করেব। েকননা এক িদেনর কম সমেয়র সাওম েতা
শরীআতসমত নয়।

একই হকুম হেব যিদ খাদয সামগী একজন িমসকীেনর খাদয পিরমাণ েথেক কম হয় তাহেল ওয়ািজব পিরমাণই
দান করেব, অথবা পূণর একিদন েরাযা রাখেব।

উপের আমরা এর কারণ বেলিছ। যিদ েকান িশকারেক আহত কের িকংবা তার পশম উপেড় েফেল িকংবা তার
েকান অংগ কতরন কের,তাহেল একারেণ তার েয পিরমাণ কিত হেয়েছ, েস পিরমাণ কিতপূরণ িদেত হেব।
অংশিবেশষেক সমেগর উপর িকয়াস কের এ হকুম আেরাপ করা হেয়েছ। েযমন, হকুল ইবােদর েকেত হয়।

যিদ েকান পাখীর পালক উপেড় েফেল িকংবা েকান িশকােরর হাত পা েকেট েফেল, যার ফেল েস আতরকার
অবসা েথেক বিঞত হেয় যায়, তাহেল তার পূণর মূলয তার উপর ওয়ািজব হেব। েকননা েস আতরকার উপায় নষ
কের েদওয়ার মাধযেম েস িশকােরর িনরাপতা িবনষ কের িদেয়েছ। সুতরাং েস তার পূণর মূলয কিতপূরণ িদেব।

েয বযিক উটপাখীর িডম েভংেগ েফলেলা তােক তার মূলয দান করেত হেব। আলী ও ইবন আবাস(রা.) েথেক
এরপ বিণরত হেয়েছ।

তাছাড়া এই কারেণ েয, এ হেলা িশকার উটপাখীর মূল এবং তােত িশকাের (তথা উটপাখীেত) রপানিরত হওয়ার
েযাগযতা রেয়েছ। সুতরাং যিদ তা নষ না হেয় থােক তাহেল সতকরতা িহসােব েসিটেক িশকােরর সলবতরী ধরা
হেব।

যিদ িডম েথেক মূতছানা েবর হয় তাহেল তােক উক ছানার মূলয দান করেত হেব। এটা হেলা সূক িকয়ােসর দানী
সাধারণ িকয়ােসর দাবী হেলা শধু িডেমর কিতপূরণ েদওয়া। েকননা ছানািটর পাণ অজাত।

281
সূক িকয়ােসর কারণ এই েয, (কুদরেতর পক হেত) িডমেক পসতই করা হেয়েছ তা েথেক জীিবত ছানা েবর হেয়
আসার জনয। আর সমেয়র পূেবর েভংেগ েফলাই হেচ (দৃশযতঃ) তার মৃতুযর কারণ। সুতরাং সতকরতা িহসােব
মৃতুেক িডম ভাংগার সােথই সমৃক করা হেব।

(বািহক কারেনর সােথ সমৃক করার) এই নীিতর িভিতেতই (বলা হয় েয) যিদ েকউ হিরেণর েপেট আঘাত কের,
ফেল হিরণ মৃত বাচা পসব কের এবং িনেজও মারা যায়, তাহেল তার উপর উভেয়র মূলয ওয়ািজব হেব।

কাক, িচল, (শকুন) েনকেড়, সাপ, িবচু, ইদর ও দংশনকারী কুকরু হতযা করার কারেণ েকান জাযা আসেব না।
েকননা রাসূলুলাহ‌(সা.) বেলেছন, পাচিট পাণী হেলা দষ পকৃিতর। এগেলােক িহল(হরেমর বাইের) হরম সবরত
হতযা করা হেব।্ এগেলাহ্ ্ েলা িচল, সাপ, িবচু, ইদর ও মূলয ওয়ািজব হেব।

কাক, িচল, (শকুন) েনকেড়, সাপ, িবচু ইদর ও দংশনকারী কুকরু হতযা করার কারেণ েকান জাযা আসেব না।
েকননা রাসূলুলাহ‌(সা.) বেলেছন, পাচিট পাণী হেলা দষ পকৃিতর। এগেলােক িহল(হরেমর বাইের) হরম সবরত
হতযা করা হয়। এগেলা হেলা িচল, সাপ, িবচু, ইদর ও দংশনকারী কুকরু ।

অনয হাদীেছ রাসূলুলাহ‌(সা.) বেলেছন, মুহিরম (তার ইহরােমর অবসায়) ইদর,কাক, িচল, িবচু ও ইদর এবং
দংশনকারী কুকরু হতযা করেত পারেব।

েকান েকান বণরনায় েনকেড়র কথাও উেলিখত হেয়েছ। কােরা কােরা মেত দংশনকারী কুকরু দারা েনকেড়
উেদশয। িকংবা বলা েযেত পাের েয, েনকেড় দংশনকারী কুকুেরর সমপযরায়ভূক।

হাদীেছ উেলিখত কাক দারা ঐ কাক উেদশয, েয মুদার র খায় আবার শসয দানাও খায়। েকননা এই কাক পারেমই
কষ েদয়। পকানের নামক (ছাতার জাতীয়) পািখ এর অনভূরক নয়। এটােক কাক বলা হয় না। এবং তা
পারেম কষ েদয় না।

ইমাম আবূ হানীফা(র.) েথেক বিণরত আেছ েয, দংশণকারী কুকুর এবং সাধারণ কুকুর তদপ গৃহপািলত কুকরু
এবং বণয কুকুর সবই অিভন। েকননা কুকুর েশণীটাই মূলতঃ উেদশয। তদপ গৃহবাসকারী ইদর ও বনয ইদর
অিভন। গই সাপ ও কাঠিবড়ালী বযিতকমী পাচিট পাণীর অনভূরক নয়। েকননা এগেলা িনেজ পারেম কষ েদয়
না।

মশা, িপপড়া, েবালতা ও আঠািল হতযা করেল দন আসেব না। েকননা, এগেলা িশকার এর অনভূরক নয় এবং
এগেলা শরীর েথেক সৃষ নয়। তাছাড়া এগেলা সভাবত ভােবই কষদানকারী।

িপপড়া দারা কােলা ও লাল িপপড়া উেদশয, েয গেলা কামড়ায়। েয সমস িপপড়া কামড়ায় না, েসগেলােক হতযা
করা জাইয হেব না। তেব পথেমাক কারেণ (অথরাত‌ িশকারভূক না হওয়ার কারেণ) েকান ‘জাযা’ ওয়ািজব হেব
না।

েয বযিক উকুন হতযা করেব েস একমুঠ গেমর মেতা যতসাময যা ইচা সাদাকা কের েদেব। েকননা শরীেরর ময়লা
েথেক সৃষ।

282
জােমউস সাগীেরর মেত ‘িকছু খাদয দান করেব’। এটা পমাণ কের েয, একটুকরা রিটর মেতা েকান িমসকীনেক
সামানয িকছু খাদয দান করাই যেথষ হেব, যিদও তা উদর পূিতরর পিরমাণ না হয়।

েয বযিক িটিড‌ড হতযা কের েস ইচা মািফক িকছু পিরমাণ সাদাকা িদেব। েকননা িটিড‌ড হেলা সলচর িশকার।
েকননা িশকার বলা হয় ঐ পাণীেক, যােক েকৌশল ছাড়া ধরা যায় না। আর িশকারী ইচাকৃতভােব তােক ধরেত
চায়।

একিট েখজুরও একিট িটিড‌ড েথেক উতম। েকননা উমর(রা.) বেলেছন, একিট েখজুর একিট িটিড‌ড েথেক
উতম।

কচপ ধের হতযা করেল েকান দন আসেব না। েকননা তা কীটপতংগভূক। সুতরাং গািদ েপাকা ও কাকলাস
সমতূলয। আর এগেলােক িবনা েকৌশেল ধরা যায়, এবং ইচাকৃতভােব এগেলা েকউ ধের না। সুতরাং এগেলা
িশকার নয়।

েয বযিক হরেমর িশকার ধের েদাহন করেলা, তার উপর দেধর মূলয ওয়ািজব হেব। েকননা দধ িশকােরর অংশ।
সুতরাং তা পূণর িশকােরর সমতুলয।

েয বযিক এমন িশকার হতযা করেলা, যার েগাশত খাওয়া হয় না, েযমন(িসংহ বাঘ ও েনকেড় জাতীয়) িহংসপাণী
এবং অনুরপ অনযানয পাণী (েযমন বাজ, শকুন ইতযািদ িহংসপাণী) তাহেল তার উপর ‘জাযা’ ওয়ািজব হেব,
এগেলা বযতীত, েযগেলােক শরীআত বযিতকমী সাবযস কেরেছ। আর এগেলা (ইেতাপূেবর) আমরা গণনা (বণরনা)
কেরিছ।

আর ইমাম শািফঈ(র.) বেলন, জাযা ওয়ািজব হেব না। েকননা এগেলা সভাবগত ভােব কষদায়ক। সুতরাং
এগেলা বযিতকমধমরী দষপাণী সমূেহর অনভূরক হেব। তদপ আিভধািনক িদক েথেক শবিট যাবতীয় িহংসপাণীেক
অনভূরক কের।

আমােদর দলীল এই েয, িহংসপাণী তার বনয সভােবর কারেণ িশকার রেপ গণয। তাছাড়া এগেলােক চামড়া
সংগেহর উেদশয িকংবা এগেলা দারা অনয িশকার ধরার উেদেশয িকংবা এগেলার জালাতন েরাধ করার উেদশয
ইচাকৃতভােব ধরা হয়।

(হাদীেছ উেলিখত) দষ পাণীসমূেহর উপর িকয়াস করা সমব নয়। েকননা তােত হাদীেছ বিণরত সংখযা অকাযরকার
করা হয়। আর পচিলত বযবহাের শবিট িহংসপাণী সমূেহর উপর পযুক হয় না। আর পচিলত বযবহারই অিধক
কাযরকর।। আর তার মূলয একিট বকরীর মূলযেক অিতকম করেব না।

ইমাম যুফার (র.) বেলন, ভকণেযাগয পাণীর িকয়াস কের এখােনও মূলয েয পিরমাণই েপৌছাক, তাই ওয়ািজব
হেব।

আমােদর দলীল হেলা রাসূলুলাহ(সা.) এর বাণী হােয়নাও িশকারভুক এবং এেত এক বকরী ওয়ািজব।

283
তাছাড়া এ কারেণ েয, েযগেলার মূলয িবেবচনা করা হয় মূলতঃ চামড়া েথেক উপকৃত হওয়ার সমাবযতার কারেণ;
এ কারেণ নয় েয, তা হামলা কের এবং কষ েদয়। এিদক েথেক বাহযতঃ তার মূলয বকরীর মূেলযর অিধক হেব
না।

েকান িহংসপাণী যিদ মুহিরেমর উপর হামলা কের আর েস তােক হতযা কের েফেল তাহেল তার উপর েকান িকছু
ওয়ািজব নয়।

ইমাম যুফার (র.) হামলাকারী উেটর উপর িকয়াস কের বেলন, ওয়ািজব হেব।

আমােদর দলীল হেলা, উমরা (রা.) েথেক বিণরত হাদীছ েয, িতিন একিট িহংসপাণী হতযা কের একিট েমষ হাদী
রেপ যবাহ কেরিছেলন এবং বেলিছেলন, আমরা আেগ েবেড় তােক হতযা কেরিছ।

আর এ কারেণ েয, মুহিরমেক িশকােরর িপছেন লাগােত িনেষধ করা হেয়েছ। িকন তার অতযাচার েরাধ করেত
িনেষধ করা হয়িন। একারণই েতা েযগেলার পক েথেক অতযাচািরত হওয়ার সমাবনা রেয়েছ, েসগেলােক েরাধ
করার অনুমিত েদয়া হেয়েছ, েযমন দষ পকৃিতর পাণী সমূেহর েবলায়। সুতরাং েয পাণীর অতযাচার বাসব রপ
লাভ কেরেছ, তােক েরাধ করার েবলায় অনুমিত হওয়া আেরা যুিকযুক। আর শরীআেতর পক হেত অনুমিত থাকা
অবসায় শরীআেতর অিধকার িহসােব শাখা ওয়ািজব হেব না।

হামলাকারী উেটর িবষয়িট এর িবপরীত। েকননা অিধকার যার, অথরাত(উেটর) মািলেকর পক েথেক অনুমিত
েনই।

আর মুহিরম যিদ (কুধাতর অবসায়) বাধয হেয় েকান িশকার হতযা কের, তাহেল তার উপর জাযা ওয়ািজব হেব।
েকননা এেকেত সষ বাণী দারা অনুমিতর িবষয়িট কাফ‌ফারার সােথ আবদ, েযমন ইেতাপূেবর আমরা িতলাওয়াত
কের এেসিছ।

মুহিরেমর গৃহপািলেত বকরী, শর, উট, মুরগী ও হাস জাইয করায় েকান েদাষ েনই। েকননা বনযতার ৈবিশষয না
থাকােত এই পাণীগেলােক িশকার ভুক নয়। আর হাস দারা ঐ হাস উেদশয, যা বাড়ীেত িকংবা জলাশেয় থােক।
েকননা জনগতভােবই তা পিতপািলত।

যিদ েকউ েরাম কবুতর হতযা কের তাহেল তার উপর জাযা ওয়ািজব হেব।

ইমাম মািলক (র.) িভনমত েপাষণ কেরন। তার দলীল এই েয, তা পািলত, মানুেষর সংগ লােভ আশস এবং
আপন ডানা দারা আতরকা সমথর নয়। েকননা েস ধীরগিতিসমন।

আমরা বিল, কবুতর সৃিষগত ভােবই বনয সভােবর এবং উডয়ন দারা আতরকায় সমথর, যিদও তা ধীরগিত
সমন। আর মানুেষর সংগ লােভ অভযস হওয়াটা অসায়ী। সুতরাং তা িবেবচয নয়।

284
তদপ গৃহপািলত হিরণ হতযা করেল(দন ওয়ািজব হেব) েকননা মূলতঃ তা িশকার। সুতরাং সংগ লােভর সামিয়ক
অভযসতা তার িশকার গণ রিহত করেব না। েযমন উট যিদ পািলেয় িগেয় বনয হেয় পেড়, তােত মুহািরেমর জনয
হারাম হওয়ার েকেত িশকারভূক হেব না।

মুহিরম যিদ েকান িশকার যবাহ কের, তাহেল তার যবাহকৃত পশ মুদার র িহসােব িবেবিচত হেব এবং তা খাওয়া
হালাল হেব না।

ইমাম শািফঈ(র.) বেলন, মুহিরম যিদ অনয কােরা জনয যবাহ কের তাহেল তা হালাল হেব। েকননা েস েতা
হেলা অপর বযিকিটর পক েথেক কাযরসমাদনকারী। সুতরাং তার কমর উক বযিকিটর সংেগই সমৃক হেব।

আমােদর দলীল এই েয, যবাহ হেলা শরীআতসমত একিট কমর। আর এিট (মুহিরেমর জনয) হারাম কমর।
সুতরাং যেবহ রেপ িবেবিচত হেব না, েযন মাজূসীর যবাহকৃত জন।

এিট এজনয েয িবধান রেপ শরীআতসমত যবাহেকই েগাশ‌ত ও রেকর মােঝ পাথরকযকারী সলবতরী গণয করা
হেয়েছ। সুতরাং শরীআতসমত যেবহ না হেল পাথরকযকারীরও থাকেব না।

যবাহকারী মুহিরম যিদ উক পশর েকান িকছু ভকণ কের,তাহেল ভিকত অংেশর মূলয তার উপর ওয়ািজব হেব।

এিট ইমাম আবূ হানীফা(র.) এর মত। সােহবাইন বেলন, যা েখেয়েছ, তার জাযা িদেত হেব না। অনয েকান
মুহিরম যিদ তা েথেক খায়, তাহেল সকেলর মেতই তার উপর িকছু ওয়ািজব হেব না।

সােহবাইন দলীল এই েয, এটা েতা মুদরার। সুতরাং তা খাওয়ার কারেণ তাওবা করা ছাড়া অনয িকছু তার উপর
আবশযক হেব না। অনয েকান মুহিরম েখেল তা হকুম হয় এিটর েস হকুম হেব।

ইমাম আবূ হানীফা(র.) এর দলীল এই েয, আমরা একথা উেলখ কের এেসিছ েয, মুহিরেমর যবাহ‌কৃত পশ হারাম
হওয়ার কারণ হেলা তা মুদার র হওয়া। এবং এ কারেণ যবাহ‌ করাটা তার ইহরােমর িনিষদ িবষেয়র অনভূরক।
েকননা তার ইহরােমর িশকারেক যবাহ‌ এর পাত হওয়া েথেক এবং যবাহ‌কারীেদর যবাহ‌র েযাগযতা েথেক েবর কের
িদেয়েছ। সুতরাং ভকণ হারাম হওয়ার িবষয়িট এ সকল মাধযম িবদযমান থাকার কারেণ তার ইহরােমর সংেগ যুক
হেব ।অনয মুহিরেমর েবলায় এর হকুম িবপরীত। মুহিরেমর িবষয়িট এর িবপরীত। মুহিরেমর িবষয়িট এর
িবপরীত। েকননা তার ভকণ করাটা তার ইহরােমর িনিষদ িবষেয়র অনভূরক নয়।

েকান হালাল বযিক েয িশকার করা হেয় থােক তাহেল েসেকেত ইমাম মািলক(র.) এর িভনমত রেয়েছ। তার
দলীল এই েয, রাসূলুলাহ‌(সা.) বেলেছন- মুহিরম েকান িশকােরর েগাশত েখেল আপিত েনই, যিদ েস িনেজ
িশকার না কের থােক, িকংবা তার জনয িশকার করা না হেয় থােক।

আমােদর দলীল এই েয, সাহাবােয় িকরাম মুহিরেমর বযাপাের িশকাের েগাশেতর িবধান সমেকর আেলাচনা
কেরিছেলন। তখন রাসূলুলাহ(সা.) বেলেছন, তােক েকান অসুিবধা েনই। আর ইমাম মািলক(র.) েয হাদীছ
বণরনা কেরেছন,তােত বযবহত অবযয়িট মািলকানা জাপক। সুতরাং (তার জনয িশকার করার) অথর হেব জীবন

285
িশকারিট তােক দান করা (যবাহ‌ কের) েগাশত দান করা নয়। িকংবা অথর এই েয, তার আেদেশ িশকার করা
হেয়েছ।

ইমাম কুদরী(র.) িশকার না েদিখেয় েদয়ার শতর আেরাপ কেরেছন। এেত সুসষ হেয় েগেলা েয,
(আামােদর
া াম াযহােব ) িশকার েদিখেয় েদয়া হারাম। িকন মাশােয়খগণ বেলন েয, এ িবষয় দ’িট বণরনা রেয়েছ।
হারাম হওয়ার দলীল হেলা আবূ কাতাদা(রা.) এর হাদীছ। আর তা আমরা ইেতাপূেবর উেলখ কেরিছ।

েকান হালাল বযিক যিদ হরম শরীফ এলাকার িশকার যবাহ‌ কের, তা হেল তার মূলয ওয়ািজব হেব, যা েস
দিরদেদর মােঝ সাদাকা কের েদেব। েকননা িশকার হরম এলাকার হওয়ার কারেণ িনরাপতার অিধকারী। এক দীঘর
হাদীেছ রাসূলুলাহ(সা.) বেলেছন- (হরেমর িশকারেক তাড়া করা যােব না)।

আর েরাযা রাখা তার জনয যেথষ হেব না। েকননা এটা হেলা অথরদন, কাফ‌ফারার নয়। সুতরাং মােলর কিতপূরণ
সদৃশ হেলা।

এ পাথরেকযর কারণ এই েয, কিতপূরণ ওয়ািজব হেয়েছ পােতর মােঝ (অথরাত িশকােরর মােঝ) িবদযমান একিট গণ
নষ করার কারেণ। আর তা হেলা িনরাপতার অিধকার। পকানের কাফ‌ফারার রেপ মুহিরেমর উপর েরাযা ওয়ািজব
হেয়েছ, তা হেলা তার কেমরর শািস। েকননা হরমাত(বা হারাম হওয়া) সাবযস হেয়েছ, তার মােঝ িবদযমান একিট
গেণর কারেণ। েসটা হেলা তার ইহরাম। আর েরাযা কেমরর সাজা হওয়ার েযাগযতা রােখ িকন েকান বসর
কিতপূরণ হওয়ার েযাগযতা রােখ না।

আর ইমাম যুফার(র.) বেলন েয,েরাযা রাখা তার জনয যেথষ হেব, -মুহিরেমর উপর যা ওয়ািজব হেয়েছ, তার
উপর িকয়াস কের। উভয় অবসার মােঝ পাথরকয আমরা উেলখ কের এেসিছ।

এ েকেত হাদী যেথষ হেব িকনা, এ সমেকর দ’িট বণরনা রেয়েছ।

েয বযিক হরম অঞল েকান িশকার সংেগ কের পেবশ করেলা, তার কতরবয হেব হরম অ্ঞেল তা েছেড় েদওয়া,
যিদ তা তার হােত থােক।

এ সমেকর ইমাম শািফঈ(র.) এর িভনমত রেয়েছ। িতিন বেলন, বানার পেয়াজেনর েপিকেত বানার
মািলকানাধীন িজিনেস শরীআেতর হক পকাশ পায় না।

আমােদর দলীল এই েয, যখন েসটা হরম এলাকায় এেস েগেছ তখন হরেমর সমান রকােথর ‘পাকড়াও’ পিরহার
করা তার অবশয কতরবয হেব। িকংবা (বলা যায় েয,) তা হরেমর িশকার হেয় েগেছ; সুতরাং বিণরত হাদীছ এর
কারেণ িনরাপতার অিধকারী হেয় েগেছ।

যিদ েস তা িবিক কের থােক তাহেল িশকার িবদযমান থাকা অবসায় িবকয় পতযাহার করেত হেব । কারণ িবিক
জাইয হয়িন। েকননা এেত িশকােরর পিত হসেকপ করার িদক রেয়েছ, আর তা িনিষদ।

286
আর যিদ িশকার অপাপ হেয় যায়, তাহেল তার উপর জাযা ওয়ািজব হেব। েকননা িশকার েয িনরাপতার অিধকারী
হেয়িছেলা, তা হরণ করার মাধযেম তার উপর হসেকপ করা হেয়েছ।

আর এরপই হকুম, যিদ মুহিরম অনয মুহিরেমর িনকট িকংবা হালাল বযিকর িনকট িশকার িবিক কের। এর কারণ
তা-ই, যা আমরা বেল এেসিছ।

আর েয বযিক এমন অবসায় ইহরাম েবেধেছ েয, তার বাড়ীেত িকংবা তার সংেগর খাচায় েকান িশকার আটক
রেয়েছ, তার জনয উক িশকার েছেড় েদয়া জররী নয়।

ইমাম শািফঈ(র.) বেলন, তা েছেড় েদয়া তার উপর ওয়ািজব। েকননা িশকারেক িনেজর মািলকানায় আটেক
রাখার মাধযেম িশকােরর পিত হসেকপ করেছ। সুতরাং এটা হেয় েগল, েযমন িশকার তার হােত রেয়েছ।

আমােদর দলীল এই েয, সাহাবােয় িকরাম এমন অবসায় ইহরাম বাধেতন েয, তােদর বাড়ীঘের িশকার ও গৃহপািলত
পশসমূেহ আটক থাকেতা। আর তােদর েথেক েসগেলা েছেড় েদয়ার েকান ঘটনা বিণরত েনই। আর এই েছেড় না
েদয়াই বযাপক রীিত িহসােব চেল এেসেছ। আর তা শরীআেতর একিট দলীলরেপ িবেবিচত।

তাছাড়া এ কারেণ েয, কতরবয হেলা িশকােরর পিত হসেকপ না করা। অথচ তার পক েথেক েতা েকান রপ
হসেকপ করা হেচ না। েকননা, িশকার েতা তার িহফাজেত েনই বরং বাড়ীর এবং খাচার িহফাজেত রেয়েছ।
শধু কথা এই েয, তার মািলকানায় রেয়েছ। িকন যিদ েস েখালা পানের েছেড় েদয় তবু েতা েসটা তার
মািলকানারই েথেক যায়, সুতরাং মািলকানায় থাকার িবষয়িট িবেবচয নয়।

কােরা কােরা মেত খাচা যিদ তার হােত থােক তাহেল েছেড় েদয়া তার কতরবয হেব, তেব এমনভােব যােত তা নষ
না হয়।

ইমাম কুদরী(র.) বেলন,েকান হালাল বযিক যিদ িশকার ধের, অতঃপর ইহরাম বােধ আর অনয েকউ তার হােত
েথেক িশকারিট েছেড় েদয়, তাহেল তােক কিতপূরণ িদেত হেব।

এটা আবূ ইমাম হানীফা (র.) এর মত। সােহবাইন বেলন, কিতপুরণ হেব না। েকননা েয েছেড় িদেয়েছ, েস
‘আমর িবল মারফ ও নািহ আিনল মুনকার’ এর পিবত দািয়ত পালন কেরেছ। আর সতকমরশীলেদর িবরেদ েকান
অিভেযাগ েনই। ইমাম আবূ হানীফা(র.) এর দলীল এই েয, েস বযিক িশকার ধরার মাধযেম এমন মািলকানা
অজরন কেরেছ, যা সংরকণীয়। সুতরাং তার ইহরােমর কারেণ উক মািলকানার সংরকণািধকার রিহত হেব না।
আর েয েছেড় িদেয়েছ, েস তা িবনষ কের িদেয়েছ। সুতরাং তােক এর কিতপুরণ িদেত হেব।

এর িবপরীত হকুম হেব যিদ ইহরাম অবসায় িশকারিট ধের থােক। েকননা েস িশকােরর মািলক হয়িন। তার উপর
ওয়ািজব হয় হসেকপ করণ পিরহার করা। আর তা এরপ হেত পাের েয, েস িনেজর িশকারেক তার আবােস
েছেড় িদেব। সুতরাং যখন অনয বযািক তার মািলকানা নষ কের িদেলা, তখন েস সীমা লংঘনকারী হেলা। এর
নযীর হেলা গান বাজনার উপকরণ েভংেগ েফলা সংকান বযাপােরর মতিবেরাধ।

287
েকান মুহিরম যিদ িশকার ধের আর েকউ তার হাত েথেক েছেড় েদয় তাহেল সবরসমিতকেমই তার উপর েকান
কিতপূরণ আসেব না। েকননা এই ধরার মাধযেম েস িশকােরর মািলক হয়িন। কারণ মুহিরেমর েকেত িশকার
মািলকানা অজরেনর বস থােক না। েকননা আলাহ‌ তা’আলা ইরশাদ কেরেছন- সেলর পাণী েতামােদর জনয হারাম
করা হেয়েছ যতকণ েতামরা মুহিরম থাকেব। সুতরাং তা হল েযমন েকউ মদ খিরদ করল।

যিদ অনয েকান মুহিরম উক মুহিরেমর হােতর িশকার হতযা কের েফেল তাহেল উভেয়র পেতযেকর উপর জাযা
ওয়ািজব হেব। েকননা েয িশকার ধেরেছ, েস িনরাপতা িবলুপ করার মাধযেম িশকােরর পিত হসেকপ কেরেছ।
আর হতযাকারী এর সািয়ত দান কেরেছ। আর কিতপূরণ পেয়াগ হওয়ার বযাপাের সািয়ত দান করা পথম অপরােধ
সমতুলয েযমন সামী-সীর িমলেনর পূেবর তালাক পদােনর সাকীগণ জামীন হয়, যখন তারা সাকী পতযাহার কের
েনয়।

আর িশকার েয ধেরেছ, েস হতযাকারীেদর িনকট েথেক কিতপূরণ উসূল কের িনেব। ইমাম যুফার(র.) বেলন,
কিতপূরণ িনেত পারেব না। েকননা িশকার পাকড়াওকারী তার কেমরর কারেণ িনেজই অপরাধী। সুতরাং েস
অেনযর িনকট কিতপূরণ দাবী করেত পাের না।

আমােদর দলীল এই েয, িশকার পাকড়াও করা কিতপূরেণর কারণরেপ সাবযস হেব, যখন তার সংেগ ‘িবনিষ’ যুক
হয়। তাই হতযাকারী হতযা করার মাধযেম পাকড়াওকারীর কমরিটেক কারণএ পিরণত কেরেছ। অতএব েস
কারেণর কারণ সমাদনকারীর সমপযরােয়র হেলা। সুতরাং কিতপূরণ িবষয়িট তার পিত পতযাবিতরত হেব।

যিদ হরেমর ঘাস বা মািলকানা িবহীন বৃক েকেট েফেল, অথরাত েয বৃক সাধারণতঃ মানুষ ফলায় না, তাহেল তার
উপর উক ঘাস বা বৃেকর মূলয পদান ওয়ািজব হেব। তেব এগেলা শিকেয় েগেল (মুলয পদান) ওয়ািজব হেব না।
েকননা উেলিখত ঘাস ও বৃেকর কতরন হারাম হওয়া সাবযস হেচ ‘হরম’ এর কারেণ।

রাসূলূলাহ‌(সা.) বেলেছন- হরেমর ঘাস উপড়ােনা যােব না এবং (কাটা ওয়ালা গাছ) ও কাটা যােব না।

উক মূেলযর েকেত েরাযার েকান ভূিমকা েনই। েকননা ঘাস কতরেনর হরমত ‘হরম’ এর মযরাদার কারেণ,
ইহরােমর কারেণ নয়। সুতরাং এ হেলা সান িহসােব কিতপুরণ, েযমন ইেতাপূেবর আমরা বণরনা কের এেসিছ।

আর তার মূলয দিরদেদর মােঝ সাদাকা করেব।

আর যখন তা আদায় করেব, তখন েস উক ঘাস বা বৃেকর মািলক হেয় যােব,েযমন হকুল ইবােদর েকেত হেয়
থােক।

অবশয কতরেনর পর তা িবিক করা মাকরহ। েকননা শরীআেতর িনিষদ উপােয় তার মািলক হেয়েছ। এখন যিদ
তােক িবিকর অবাধ সুেযাগ েদওয়া হয়, তাহেল মানুষ এ ধরেনর িবষয়িট কােজ উতসািহত হেয় পড়েব। তেব
মাকরহ হেলও এ িবকী ৈবধ হেব। িশকােরর িবষয়িট এর িবপরীত। উভেয়র মােঝ পাথরকয আমরা সামেন বণরনা
করেবা।

288
আর মানুষ সাভািবকভােব যা েরাপন কের থােক, তা িনরাপতা লােভর অিধকারী নয়। এর উপর ‘ইজমা’ পিতিষত
। আর এ জনয েয, িনিষদ হেলা ঐ সমস বৃক, যা হরম এর সােথ সমৃক। আর পূণররেপ সমৃিক সাবযস
হেব, েরাপেনর মাধযেম অেনযর িদেক সমৃিক সাবযস না করা। েযগেলা সাধারণতঃ েরাপন করা হয় না, েসগেলা
যিদ েকান মানুষ েরাপন কের তাহেল তা ও ঐ সকল উিদেদর সংেগ যুক, েযগেলা সাধারণতঃ েরাপন করা হয়।

(সাধারণতঃ েরাপন করা হয় না এমিন উিদদ) যিদ কােরা মািলকানাধীন জিমেত িনেজ িনেজই অংকুিরত হয়,
তাহেল কতরনকারীর উপর তারও মূলয পদান ওয়ািজব হেব, হরেমর সমান রকােথর শরীআেতর হক িহসােব।

আেরকিট মূলয ওয়ািজব হেব, মািলেকর কিতপূরণ িহসােব। েযমন হরম এর মািলকানাধীন িশকার হতযা করেল
হেয় থােক।

হরেমর েয বৃক শিকেয় েগেছ, তােত েকান কিতপূরণ েনই। েকননা তা বধরনশীল নয়। ‘হরম’ এর ঘােস পশ
চরােনা যােব না, আর ইযিখর নামক উিদদ বযতীত েকান িকছু কাটাও যােব না।

ইমাম আবূ ইউসূফ(র.) বেলন, ঘােস পশ চরােনােত আপিত েনই। েকননা এর পেয়াজন রেয়েছ। এবং তা েথেক
পশেদরেক িবরত রাখা দষর।

আমােদর দলীল হেলা ইেতাপূেবর আমােদর বিণরত হাদীছ। আর পশর দােত কাটা কােস িদেয় কাটার সমতুলয। আর
‘িহল’ (হরেমর বািহর এলাকা) েথেক ঘাস বহন কের অনযানয কের আনা সমব। সুতরাং হরেমর ঘােস পশ
চরােনার পেয়াজন েনই।

ইযিখর নামক ঘােসর হকুম িভন। েকননা রাসূলুলাহ(সা.) িনিষদ ঘাস েথেক এিট বিহভূরত কেরেছন। সুতরাং তা
কতরন করা এবং তােত পশ চরােনা জাইয। ‘ছতাক’ এর িভন। েকননা মূলতঃ এটা উিদদভূক নয়।

িকরান হজকারী যিদ এমন েকান অপরাধ কের বেস, েয সমেকর আমরা বেল এেসিছ েয, এেত হেজ
ইফরাদকারীর উপর একিট দম ওয়ািজব হেব, েসেকেত তার উপর দ’িট দম ওয়ািজব হেব। একিট হেলা হেজর
কারেণ দম আর একিট হেলা উমরার কারেণ দম।

ইমাম শািফঈ(র.) বেলন, একটা দম ওয়ািজব হেব। এ কারেণ েয, তার মেত িকরানকারী একিট ইহরাম দারা
মুহিরম। পকানের আমােদর মেত েস দ’িট ইহরাম দারা মুহিরম। (িকরান অ্ধযােয়) এ সমিকরত আেলাচনা
অিতকান হেয়েছ।

ইমাম কুদরী(র.) িভনমত েপাষণ কেরন।

(আমােদর দলীল এই েয,) মীকােতর সময় কতরবয িছেলা (হজ ও উমরা উভেয়র জনয) একিট ইহরাম বাধা।
আর একিট ওয়ািজব িবলিমত করার কারেণ একিট মাত ‘জাযাই’ ওয়ািজব হেত পাের।

289
দই মুহিরম যিদ একিট িশকার হতযায় শরীক হয়, তাহেল উভেয়র পেতযেকর উপর পূণর জাযা ওয়ািজব হেব।
েকননা হতযা কেমর শরীক হওয়ার মাধযেম উভেয়র পেতযেক এমন একিট অপরাধকারী হেলা, যা িশকার েদিখেয়
েদয়ার অপরােধর েচেয় গরতর, সুতরাং অপরাধ একািধক হওয়ার কারেণ ‘জাযা’ ও একািধক হেব।

পকানের দই হালাল বযিক যিদ হরেমর েকান িশকার হতযা করার কােজ শরীফ হয়, তাহেল উভেয়র উপর একিট
জাযা ওয়ািজব হেব। েকননা আেলাচয কিতপূরণিট হেলা সােনর সলবতরী, অপরােধর শািস নয়। সুতরাং (হতযার)
সান এক হওয়ার কারেণ কিতপূরণও এক হেব। েযমন েলাক ভুলকেম একজন েলাকেক হতযা করেলা। এ
অবসায় উভেয়ের উপর একিট িদয়যত ওয়ািজব হেয় থােক। িকন কাফ‌ফারা ওয়ািজব হয় উভেয়র পেতযেকর উপর
আলাদাভােব।

মুহিরম যিদ িশকার িবিক কের িকংবা খিরদ কের, তাহেল িবিক বািতল হেয় যােব। েকননা জীিবত অবসায়
মুহিরেমর িবিক করার অথর হেলা িনরাপতা নষ করার মাধযেম িশকােরর পিত হসেকপ করা। পকানের হতযা করার
পর িবিক করার অথর হেলা মুদা িবিক করা।

েয বযিক হরম অঞল েথেক হিরনী ধের িনেয় েগল আর তা কেয়কিট বাচা পসব করেলা, অতঃপর হিরণীিট তার
বাচাগেলাসহ মারা েগল, তখন সব ক’িটর মূলয তার উপর ওয়ািজব হেব। েকননা হরম েথেক েবর করার পরও
শরীআেতর দৃিষেত উক িশকার ওয়ািজব। আর এিট একিট শরীআত অনুেমািদত গণ। সুতরাং িশকােরর বাচার
মােঝও তা সমসািরত হেব।

যিদ উক িশকােরর জাযা আদায় করার পর বাচা পসব কের, তাহেল বাচার জাযা আদায করা তার উপর ওয়ািজব
হেব না। েকননা জাযা আদায় করার পর তা আর িনরাপদ থােক না। েকননা সলবতরী েপৌেছ যাওয়া(অথরাত‌ মূলয
দিরদেদর িনকট েপৌেছ যাওয়া) মূল িশকার েপৌেছ যাওয়ার সমতূলয।

সিঠক িবষয় আলাহই অিধক অবগত।

পঞম অনুেচদ
ইহরাম ছাড়া মীকাত অিতকম করা
কুফার অিধবাসী েকান েলাক যিদ বনু ‘আিমর এর উদযােন পেবশ কের এবং উমরার ইহরােম বােধ অতঃপর ‘যােত
ইরক’ এ িফের িগেয় তালিবয়া পেড়, তাহেল (ইহরাম ছাড়া) মীকাত অিতকম করার দম রিহত হেয় যােব। আর
যিদ িফের আেস িকন তালিবয়া না পেড় এবং মকায় পেবশ কের উমরার তাওয়াফ কের েফেল, তাহেল তার উপর
দম ওয়ািজব হেব। এ হল ইমাম আবূ হানীফা(র.) এর মত।

সােহবাইন বেলন, যিদ ইহরাম অবসায় (মীকােত) িফের আেস, তাহেল তালিবয়া পাঠ করক িকংবা তালিবয়া পাঠ
না করক, তার উপর েকান দম ওয়ািজব হেব না।

290
ইমাম যুফার(র.) বেলন, তালিবয়া পাঠ করক িকংবা না করক দম রিহত হেব না। েকননা িফের আসার কারেণ
মীকাত েথেক ইহরাম না করার অপরাধ রিহত হেব না। এটা (সূযরােসর পূেবর) আরাফা েথেক েবর হেয় সূযরােসর
পর আবার িফের আসার নযায় হেলা।

আমােদর দলীল এই েয, েস েতা েছেড় েদওয়া আমলিট যথাসমেয় পূরণ কের িনেয়েছ। আর যথা সময় হেলা,
হেজর িকয়াকমর শর করার পূবর পযরন। সুতরাং দম রিহত হেয় যােব।

আরাফা েথেক েবর হেয় আসার িবষয়িট এর িবপরীত। েকননা েছেড় েদওয়া আমলিট পূরণ করা হয়িন। েযমন
পূেবর (িজনায়ত অধযােয়) বলা হেয়েছ। তেব সােহবাইেনর মেত কিতপূরণ হেলা মুহিরম অবসায় িফের আসা।
েকননা এভােব েস মীকােতর হক পকাশ কেরেছ, েযমন, যিদ েস ইহরাম েবেধ নীরব অবসায় মীকাত অিতকম
কের।

ইমাম আবূ হানীফা(র.) এর মেত (কিতপূরণ হেব) ইহরাম অবসায় তালিবয়া পাঠসহ িফের আসার মাধযেম।
েকননা ইহরােমর েকেত আযীমাত হেলা আপন বািড় েথেক ইহরাম বাধা। যখন েস মীকাত পযরন ইহরামেক
িবলিমত করার মাধযেম রখছাত গহণ করেলা, তখন তার অবশয কতরবয হেব তালিবয়া পােঠর মাধযেম মীকােতর হক
আদায় করা। আর কিতপূরণ হেলা তালিবয়া পাঠ অবসায় িফের আসার মাধযেম।

মীকাত অিতকম করার পের উমরার পিরবেতর যিদ হেজর ইহরাম েবেধ থােক তাহেল উপেরািলিখত সকল েকেতই
একই রকম মতিভনতা রেয়েছ।

আর যিদ মীকােতর িদেক িফের আেস তাওয়াফ শর ও হাজের আসওয়াদ সশর করার পর, তেব সবরসমিতকেম
তার উপর েথেক দম রিহত হেব না।

যিদ ইহরাম বাধার পূেবর ঐ (মীকােত) িফের আেস, তাহেল সকেলর মেতই দম রিহত হেয় যােব। এই েয িবধান
আমরা উেলখ করলাম, তা ঐ েকেত পেযাজয, যখন েস হজ উমরার িনয়যত কের থােক।

যিদ িনজস পেয়াজেন বনু ‘আিমেরর উদযােন (অথরাত‌ মীকােতর অভযনের) পেবশ কের থােক, তাহেল (উক
এলাকায় বাসকারীর নযায় েসও) ইহরাম ছাড়া মকায় পেবশ করেত পারেব এবং তার মীকাত হেব উক উদযান।
অথরাত‌ েস এবং উক সােনর অিধবাসী সমপযরােয়র হেব। েকননা উক উদযােন (অথরাত‌ মীকােতর অভযনরস
এলাকা) এর তাযীম ওয়ািজব নয়। সুতরাং উক এলাকার উেদশয আগমেনর কারেণ তার উপর ইহরাম ওয়ািজব
হেব না। আর যখন েস উক এলাকার উেদশয আগমেনর কারেণ তার উপর ইহরাম ওয়ািজব হেব না। আর যখন
েস উক এলাকায় পেবশ কের েফলেলা, তখন উক এলাকার অিধবাসীেদর মতই হেয় েগেলা। আর েযেহতু সানীয়
বযিকর পেক পেয়াজেনর জনয ইহরাম ছাড়া মকায় পেবেশর অনুমিত রেয়েছ, েসেহতু তার জনযও অনুমিত থাকেব।

ইমাম মুহামদ(র.) এর বকবয ‘তার মীকাত হেলা উদযান’ এর অথর হেলা মীকাত ও হরেমর মধযবতরী সকল হালাল
অঞল। ইেতাপূেবর এ আেলাচনা এেস েগেছ। সুতরাং েয উক এলাকায় পেবশ করেব এবং সানীয়েদর সংেগ যুক
হেয় যােব, তার মীকাত হেব এিট।

291
এরা উভেয় যিদ হালাল অঞল েথেক ইহরাম বােধ এবং আরাফায় উকুফ কের েনয়, তাহেল তােদর উপর েকান দম
আসেব না।

‘উভয়’ দারা উক উদযান এলাকার বািসনা এবং েসখােন পেবশকারী বযিকেক বুঝান হেয়েছ। েকননা,তারা
উভেয়ই তােদর মীকাত েথেকই ইহরাম েবেধেছ।

েয বযিক ইহরাম ছাড়া মকায় পেবশ করেলা অতঃপর েসই বছেরই মীকােতর উেদেশয েবর হেলা এবং হেজর
ইহরাম বাধল, তার এই ইহরােমর (ইেতাপূেবর) িবনা ইহরােম মকায় পেবেশর (পিতকার রেপ) যেথষ হেব।

ইমাম যুফার(র.) বেলন, তা যেথষ হেব না। এই িকয়ােসর দাবী। নযর বা মানােতর কারেণ ওয়ািজব হওয়া
হেজর উপর িকয়াস কের এটা বলা হেয়েছ। সুতরাং এটা পরবতরী বছেরর হজ করার মেতা হেলা।

আমােদর দলীল এই েয, েস যথা সমেয় েছেড় েদয়া আমলিট আদায় কের িনেয়েছ । েকননা তার অবশয কতরবয
িছেলা ইহরােমর মধযেম পিবত ভূিমর পিত তাযীম পকাশ করা(আর েস তা কেরেছ) েযমন শরেতই যিদ ফজর
হেজর ইহরাম েবেধ আসেতা।

বছরােন হজ করার িবষয়িট িভন। েকননা এটা তার িযমায় অনাদায়ী রেপ রেয় েগেছ। সুতরাং উেদশযপূণরভােব
কৃত সতন ইহরাম ছাড়া তা আদায় হেব না। েযমন মানােতর কারেণ ওয়ািজব হওয়া ই’িতকােফর িবষয়িট।
েকননা উক ই’িতকাফ বতরমান বছেরর রমাযােনর েরাযার সংেগ েতা আদায় হেত পাের, িকন িদতীয় বছেরর েরাযার
সংেগ হেব না। (বরং আলাদা েরাযার মাধযেম ই’িতকাফ আদায় করেত হেব)।

েয বযিক মীকাত অিতকম করার পর উমরার ইহরাম বাধল আবার (সী সহবােসর মাধযেম) তা নষ কের িদেলা, েস
উক উমরা সমন করেব এবং পের কাযা করেব। েকননা ইহরামিট অবশয পালনীয় রেপ সংঘিটত হেয়েছ।
সুতরাং তা হজ নষ করার মেতাই হেলা।

তেব িবনা ইহরােম মীকাত অিতকম করার কারেণ তার উপর েকান দম ওয়ািজব হেব না।

ইমাম যুফার(র.) এর মতামেতর উপর িকয়ােসর আেলােক দম রিহত হেব না। এটা িবনা ইহরােম মীকাত
অিতকেমর পর হজ ফউত হওয়া বযিক সমেকর মতিভনতার সমতুলয এবং িবনা ইহরােম মীকাত অিতকম করার
পর হেজর ইহরাম েবেধ হজ নষ কের েদয়া বযিক সমেকর মতিভনতার সমতূলয।

ইমাম যুফার(র.) এই মীকাত অিতকমেক অনযানয িনিষদ কােজর সােথ তুলনা কেরন।

আমােদর দলীল এই েয, কাযা করার সময় মীকাত েথেক ইহরাম বাধার মাধযেম েস ইহরােমর হক আদায় কের
িদেয়েছ। েকননা কাযার মাধযেম েতা েস ফউত হওয়া আমলিটরই অনরপ আদায় কেরেছ। পকানের অনযানয
িনিষদ কাজেতা কাযা করার কারেণ অিসতহীন হেয় যােচ না। সুতরাং উভেয়র মােঝ পাথরকয সষ হেয় েগেলা।

292
মকী যিদ হেজর উেদেশয ‘িহল’ এর িদেক েবর হয় এবং ইহরাম বােধ আর মকায় িফের না এেস আরাফায় উকুফ
বা অবসান কের েনয়, তাহেল তার উপর একিট বকরী ওয়ািজব হেব। েকননা তার মীকাত হেলা হরম। আর েস
তা বীনা ইহরােম অিতকম কেরেছ।

যিদ েস হরেম িফের আেস তাহেল বিহরাগত সমেকর েয মতপাথরেকযর কথা আমরা উেলখ কেরিছ, এখােনও েসই
মতপাথরেকযর কথা আমরা উেলখ কেরিছ, এখােনও েসই মতপাথরকয িবদযমান থাকেব। তালিবয়া পাঠ করক িকংবা
না করক।

তামাতুকারী যিদ তার উমরা েথেক ফােরগ হওয়ার পর হরম েথেক েবর হয় এবং ইহরাম েবেধ আরাফায় অবসান
কের, তাহেল তার উপর দম ওয়ািজব হেব। েস যখন মকায় পেবশ কের উমরার যাবতীয় কাজ সমন করেলা,
তখন েস মকীর সমপযরােয়র হেয় েগেলা। আর মকীর ইহরাম হরম েথেক হেয় থােক। এর কারণ (ইেতাপূেবর
মীকাত পিরেচেদ) আমরা উেলখ কেরিছ। সুতরাং ইহরামেক হরম েথেক বাইের করার কারণ দম ওয়ািজব হেব।

যিদ েস আরাফায় উকুফ করার পূেবর হরেম িফের আেস এবং েসখান েথেক ইহরাম বােধ,ে ে তাহেল
তার উপর েকান দম ওয়ািজব হেব না। বিহরাগেতর েকেত পূেবর েয মতপাথরকয উেলখ করা হেয়েছ, তা এখােনও
িবদযমান রেয়েছ।

ষষ অনুেচদ
ইহরােমর সমকর সমেন
ইমাম আবূ হানীফা(র.) বেলন, মকী যিদ উমরার ইহরাম বােধ এবং এক চকর তাওয়াফ কের েফেল অতঃপর
হেজর ইহরাম বােধ, তাহেল েস হজ বজরন করেব এবং তা বজরন করার কারেণ তার উপর দম ওয়ািজব হেব।
আর তার উপর একিট হজ ও একিট উমরা ওয়ািজব হেব।

ইমাম আবূ ইউসূফ ও মুহাূূূূূূ


্ ম দ (র.) বেলন, উমরা বজরন করা আমােদর মেত অিধক পসননীয়। পের
উমরা কাযা কের েনেব এবং তা বজরন করার কারেন তার উপর একিট দম ওয়ািজব হেব। েকননা দ’িটর একিট
বজরন করা েতা অিনবাযর। েকননা মকীর েকেত হজ ও উমরা উভয়েক একত করা শরীআত সমত নয়।
এমতাবসায় উমরা বজরন করাই উতম। কারণ এটা মযরাদার িদক েথেক িনমতর এবং িকয়াকেমরর িদক েথেকও
অেপকাকৃত সল আর কাযা করার বযাপােরও সহজতর। েকননা তা িনধরািরত সমেয়র সােথ আবদ নয়।

একই িবধান হেব যিদ পথেম উমরার এবং পের হেজর ইহরাম বােধ িকন উমরার েকান িকয়াকমর শর না কের।
এর দলীল এই েয, যা আমরা এইমাত বেলিছ।

293
যিদ উমরার চার চকর তাওয়াফ কের েফেল অতঃপর হেজর ইহরাম বােধ, তাহেল েকান িদমত েনই েয, েস বজরন
করেব। েকননা অিধকাংেশর জনয সমেগর হকুম রেয়েছ। সুতরাং তা বজরন করা কিঠন। েযমন, েস যিদ উমরা
েথেক পূণর ফােরগ হেয় যায়।

একই হকুম হেব যিদ উমরার জনয এর েচেয় কম চকর তাওয়াফ কের থােক। এিট ইমাম আবূ হানীফা(র.) এর
মত।

ইমাম আবূ হানীফা(র.) এর দলীল এই েয, িকছু আমল আদায় করার মাধযেম উমরার ইহরাম েজারদার হেয়
েগেছ, পকানের হেজর ইহরাম েজারদার হয়িন। আর যা েজারদার নয়, তা বজরন করা সহজ। তাছাড়া এই
অবসায় উমরা বজরন করার অথর হেলা আমল নষ করা। পকানের হজ বজরন করার অথর হেলা হজ েথেক িবরত
থাকা।

অবশযই েযটাই বজরন করেব েসটা বজরন করার কারেণ তার উপর দম ওয়ািজব হেব। েকননা পরবতরী িকয়াকমর
চািলেয় যাওয়া অসমব হওয়ার কারেণ সমেয়র পূবইর েস হালাল হেয় েগেছ। সুতরাং েস অবরদ বযিকর সম-
পযরােয়র হেলা। তেব উমরা বজরন করার েকেত শধু উমরার কাযা করেত হেব। পকানের হজ বজরন করার েকেত
হজ কাযা করেত হেব এবং তদপির একিট উমরা আদায় করেত হেব। েকননা েস হজ ফউতকারীর সমপযরােয়
হেয়েছ।

যিদ েস হজ-উমরা উভয়িট পালন কের যায়, তেব তা তার জনয যেথষ হেব। েকননা উভয় আমল েযভােব েস
িনেজর জনয িনধরারণ কেরেছ, েসভােবই আদায় কেরেছ। যিদও উভয়িট এক সেঙ আদায় করা(শরীআেতর পক
েথেক) িনেষধকৃত। আর আমােদর মূলনীিত জানা রেয়েছ েয, িনেষধ কেমরর অিসত েরাধ কের না।

তেব তার উপর দম ওয়ািজব হেব। েকননা েস হজ ও উমরা একিতত কেরেছ। আর িনিষদ কাজ করার কারেণ
তার আমেলর মেধয তিট এেস েগেছ। মকীর েকেত এটা হেলা কিতপূরেণর দম। পকানের বিহরাগতেদর েকেত
এটা হেলা েশাকরানার দম।

েয বযিক হেজর ইহরাম বাধল, অতঃপর দশ তািরেখ আেরকিট হেজর ইহরাম বাধল, েস যিদ পথম হেজর হলক
কের েফেল থােক, তাহেল িদতীয় হজও তার িযমায় ওয়ািজব হেয় যােব। তেব তার উপর েকান দম আসেব না।
যিদ পথম হেজর হলক না কের থােক তাহেলও িদতীয় হজিট তার উপর ওয়ািজব হেয় যােব, (িদতীয় ইহরােমর
পর) তার উপর দম ওয়ািজব হেব-চুল ছাটুক িকংবা না ছাটুক।

এটা ইমাম আবূ হানীফা(র.) এর মত। সােহবাইন বেলন, যিদ চুল না ছােট তাহেল তার উপর েকান দম ওয়ািজব
হেব না। েকননা হেজর দই ইহরাম একত করা িকংবা উমরার দই ইহরাম একত করা িবদআত। সুতরাং যখন
হলক করেব তখন েসই ‘হলক’ যিদও পথম ইহরােমর জনয একিট আমল, িকন িদতীয় ইহরােমর জনয তা
অপরাধ। েকননা (িদতীয় ইহরােমর েপিকেত) তা অসমেয় হেয়েছ। সুতরাং সবরসমিতকেমই তার উপর দম
ওয়ািজব হেব। আর যিদ আগামী বছর হজ করার পূেবর হলক না কের, তাহেল পথম ইহরােমর েকেত হলক েক
েস যথা সময় েথেক িবলিমত করেলা। আর ইমাম আবূ হানীফা(র.) এর মেত িবলম দম ওয়ািজব কের।
সােহবাইেনর মেত তার উপর েকান দম আেস না। েযমন ইেতাপূেবর এ িবষেয় আমরা আেলাচনা কের এেসিছ। এ
294
কারেণই ইমাম আবূ হানীফা(র.) চুল ছাটা না ছাটা উভয় অবসােক অিভন সাবযস কেরেছন। পকানের সােহবাইন
(দম ওয়ািজব হওয়ার জনয) চুল ছাটার শতর আেরাপ কেরেছন।

েয বযিক চুল ছাটা ছাড়া উমরার যাবতীয় িকয়াকমর েথেক ফােরগ হেয় েগেছ অতঃপর অনয উমরার ইহরাম
েবেধেছ, তার উপর একিট দম ওয়ািজব হেব। কারণ হেলা সমেয়র পূেবর ইহরাম বাধার কারেণ। েকননা েস
উমরার দই ইহরামেক একত কেরেছ, আর তা মাকরহ। সুতরাং তার উপর দম ওয়ািজব হেব। আর এটা হেলা
কিতপূরণ ও কাফ‌ফারার দম।

েয বযিক হেজর ইহরাম বাধার পর উমরার ইহরাম বাধেলা, তার উপর দ’েটাই আদায় করা ওয়ািজব হেব। েকননা
বিহরাগতেদর জনয হজ ও উমরা উভয়েক একত করা শরীআেত ৈবধ। আর মাসাআলািট বিহরাগতেদর
সমেকরই। সুতরাং এর মাধযেম েস িকরান হজকারী হেলা। তেব সুনােতর িবপরীত করার কারেণ গনাহগার হেব।

যিদ েস উমরার আমলগেলা না কের আরাফায় উকুফ কের েফেল, তাহেল েস উমরা বজরনকারী হেলা। কারণ তার
জনয তা আদায় করা সমব নয়। েকননা তা হেজর উপর িভিতকৃত হেচ, যা শরীআেতর অনুেমািদত নয়।

তেব যিদ েস আরাফা অিভমূেখ রওয়ানা হয়, তাহেল উকুফ করার পূবর পযরন েস উমরা বজরনকারী হেব না।
ইেতাপূেবর আমরা তা উেলখ কেরিছ।

যিদ েস হেজর জনয তাওয়াফ কের, অতঃপর উমরার জনয ইহরাম বােধ এবং উভয়িটর িকয়াকমর চািলেয় যায়,
তাহেল দ’েটাই তার উপর ওয়ািজব হেব। এবং উভয়েক একত করার কারেণ তার উপর দম ওয়ািজব হেব।
েকননা, আেগই বেল আসা হেয়েছ েয, উভয়েক একত করা ৈবধ। সুতরাং উভেয়র ইহরাম বাধাও শদ হেব।

উেলিখত তাওয়াফ দারা তাওয়াফ তািহয়যা উেদশয। আর তা সুনাত। রকন নয়। এমন িক তা তরক করেল িকছু
ওয়ািজব হেব না। আর যখন েস েকান রকন আদায় কেরিন তখন িক তা তরক করেল িকছু ওয়ািজব হেব না।
আর যখন েস েকান রকন সমাদন করা সমব। এ কারেণই যিদ েস উভয়িট সমাদন করেত থােক িবশদ মেত
এিট কাফ‌ফারা সমাদন করা সমব। এ কারেণই যিদ েস উভয়িট সমাদন করেত থােক তাহেলও জাইয হেব।
তেব উভয়িট একত করার কারেণ তার উপর দম ওয়ািজব হেব। আর িবশদ মেত এিট কাফ‌ফারা ও কিতপূরেণর
দম। েকননা একিদক েথেক েস উমরার কাযরসমূহেক হেজর কাযরসমূেহর উপর িভিত কেরেছ।

তেব তার জনয উমরা েছেড় েদওয়া মুসাহাব। েকননা হেজর ইহরাম হেজর একিট আমল আদায় করার কারেণ
েজারদার হেয় েগেছ। পকানের যিদ হেজর তাওয়াফ না কের থােক তাহেল হকুম িবপরীত হেব।

আর যখন উমরা ছাড়ার কারেণ তার উপর দম ওয়ািজব হেব েয বযিক ইয়াওমুন-নহের িকংবা আইয়ােম তাশরীেক
উমরার ইহরাম বাধেল, ঐ উমরা তার জনয ওূূ্ রয়ািজব
হ েয় যােব। (ইেতাপূেবর এর) কারণ আমরা বেল
এেসিছ।

295
তেব তা বজরন করেব। অথরাত বজরন করা জররী হেব ।েকননা েস হেজর রকন আদায় কের েফেলেছ। সুতরাং
সবর িদক েথেকই েস হেজর কাযরসমূেহর উপর উমরার কাযরসমূেহর িভিতকারী হেয় যােব। তাছাড়া এই িদনগেলােত
উমরা মাকরহ। আমরা এিট বণরনা করেবা। এ কারেণই উক উমরা বজরন করা তার উপর জাইয।

যিদ েস উমরা বজরন কের তাহেল বজরন করার কারেণ একিট দম ওয়ািজব হেব এবং তদসেল একিট উমরা করা
ওয়ািজব হেব। এর কারণ আমরা আেগই বণরনা কের এেসিছ।

অবশয যিদ েস উমরার কাজ চািলেয় তাহেল তা যেথষ হেব। েকননা, উমরার হাকীকেতর বাইেরর কারেণ কারাহাত
এেসেছ। আর তা এই েয, এই িদনগেলােত হেজর িকয়াকমর সমাদেন বযস থাকেব। সুতরাং হেজর তাযীম
রকার জনয সময়টােক হেজর জনয মুক রাখা ওয়ািজব।

আর অবশয তার উপর একিট দম ওয়ািজব হেব। উভয়েক একত করার কারেণ ইহরােমর মেধয িকংবা পরবতরী
কমরসমূেহর মেধয।

মাশােয়খগণ বেলেছন েয, এিটও কাফ‌ফারার দম।

মাবসূেত যা বলা হেয়েছ, বাহযতঃ েস আেলােক েকউ েকউ বেলেছন েয, যিদ হেজর হলেকর পর ইহরাম বােধ,
তাহেল উমরা বজরন করেব না।

িকন েকউ েকউ বেলেছন েয, এই িদনগেলােত উমরা করার বযাপাের িনেষধাজা পিরহার করার জনয তা বজরন
করেব। ফকীহ‌ আবূ জাফর (র.) বেলেছন, আমােদর মাশােয়খগণ এ মতই েপাষণ কেরন।

যিদ তার হজ ফউত হেয় যায়, অতঃপর েস উমরা বা হেজর ইহরাম বােধ তাহেল েস তা বজরন করেব। েকননা
যার হজ ফউত হয় েস উমরার মাধযেম হালাল হয়। িকন তার ইহরাম উমরার ইহরােম পিরবিতরত হয় না। হজ
ফউত হওয়া অধযােয় এ আেলাচনা আসেব ইনশালাহ‌। সুতরাং েস কাযরসমূেহর েকেত দই উমরা একতকারী হেয়
যােব। তাই তার কতরবয হেলা িদতীয়িট বজরন করা-েযমন যিদ দই উমরার জনয ইহরাম বােধ।

আর যিদ হেজর ইহরাম েবেধ থােক তাহেল েস ইহরােমর িদক েথেক দই হজ একতকারী হেলা। সুতরাং
িদতীয়িট বজরন করা তার ওয়ািজব হেব। েযমন দই হেজর ইহরাম বাধেল একিট তােক বজরন করত হেব। তেব
তা শর করা ৈবধ হওয়ার কারেণ কাযা করা তার উপর ওয়ািজব হেব। আবার সমেয়র পূেবর হালাল হওয়ার কারেণ
তা বজরন করায় দম ওয়ািজব হেব।

সপম অনুেচদ
অবরদ হওয়া
296
মুহিরম যিদ শত কতৃরক অবরদ হয়, িকংবা অসুসতায় আকান হওয়ার কারেণ হেজর কাজ পিরচালনায় বাধাপাপ
হয়, তাহেল তার জনয ইহরাম খুেল হালাল হেয় যাওয়া জাইয।

ইমাম শািফঈ(র.) বেলন, শত কতৃক


র অবরদ হওয়া ছাড়া সাবযস হেব না। েকননা হাদী েপরেণর মাধযেম হালাল
হওয়ার িবধান অবরদ বযিকর জনয অনুেমাদেনর উেদশয হেলা েরহাই লাভ করা। আর হালাল হওয়ার মাধযেম
শত েথেক েরহাই পাওয়া েযেত পাের, অসুসতা েথেক নয়।

আমােদর দলীল এই, ভাষািবেদর সবরসমিতকেম সাবযস হেয়েছ েয, সংকান আয়ােত শািমল হেয়েছ অসুসতার
কারেণ অবরদ বযিক সমেকর। েকননা তারা বেলন শবিট অসুসতার এবং শবিট দশমন কতৃরক অবরদ হওয়ার
অেথর বযবহত হয়।

সমেয়র পূেবর হালাল হওয়ার উেদশয হেলা ইহরাম পলিমত হওয়ার কারেণ উদুত কষ দূর করা। আর অসুস
অবসায় ৈধেযরর সােথ ইহরাম আকেড় ধরার কষ তা েথেক েবশী।

যখন হালাল হেয় যাওয়া তার জনয জাইয হেলা, তখন তােক বলা হেব, একিট বকরী পািঠেয় দাও, যা হরেম যবাহ
করা হেব এবং যােক িদেয় পাঠােব তার িনকট েথেক একিট িনধরািরত িদেন তা যবাহ করার ওয়াদা গহণ কেরা।
এরপর তুিম হালাল হেব।

হরেম পাঠােনার কারণ এই েয, এর দম হেলা ইবাদত। আর বিণরত হেয়েছ েয, িনধরািরত সান বা সময় ছাড়া রক
পবািহত করা ইবাদত রেপ িবেবিচত নয়। সুতরাং হরম ছাড়া এটা ইবাদত হেব না এবং তা দারা হালাল হওয়া
যােব না। িনেমাক আয়ােত আলাহ‌ তা’আলা এিদেকই ইশারা কেরেছন- হাদী তার িনধরািরত সােন েপৌছা পযরন
েতামরা েতামােদর মাথা মুড়ােব না।

বসতঃ হাদী ঐ পশূেকই বলা হয়, যােক হরম-এ েপরণ করা হয়। ইমাম শািফঈ(র.) বেলন, হরেমর সােথ আবদ
হেব না। েকননা আবদ করা সহজ-সাধযতােক রিহত কের। আমােদর দলীল এই েয, মূল সহজ-সাধযতার
িবষিয়টই িবেবচনা করা হেয়েছ, চূড়ান সহজ-সাধযতার িবষয়িট নয়।

(হাদী িহসােব) বকরীই জাইয হেব। েকননা আয়ােত হাদীর কথা সষভােব বলা হেয়েছ। আর সবরিনম হাদী হেলা
বকরী। তেব কুরবানীর মেতা এখােনও গর বা উট যেথষ হেব।

আমােদর উেলিখত বকেবযর উেদশয অবশয বকরী পশূিটই পাঠােনা নয়। েকননা তা কখেনা কষকরও হেত পাের।
বরং েস মূলয পািঠেয় িদেত পাের, যােত েসখােন বকরী খিরদ কের তার পক েথেক যবাহ‌ করা হয়।

ইমাম কুদরূ ী(র.) এর বকবয ‘অতঃপর হালাল হেয় যােব’ এিদেক ইংিগত কের েয, হলক বা চুল ছাটা তার জনয
জররী নয়। এ হল ইমাম আবূ হানীফা(র.) ও মুহামদ(র.)এর মত। ইমাম আবূ ইউসূফ(র.) বেলন, তার
উিচত হেব হলক করা বা চুল ছাটা। আর যিদ তা না কের তাহেল তার উপর েকান িকছু ওয়ািজব হেব না।
েকননা রাসূলুলাহ‌(সা.) হদায়িবয়ার বছর েসখােন অবরদ থাকা অবসায় হলক কেরিছেলন এবং সাহাবােয় িকরামেক
হলেকর আেদশ িদেয়িছেলন।

297
ইমাম আবূ হানীফা(র.) ও ইমাম মুহামদ (র.) এর দলীল এই েয, হলক ইবাদত রেপ িবেবিচত হয়, যিদ তা
হেজর িকয়াকেমরর পের সমন হয়। সুতরাং তার আেগ ইবাদত রেপ গণয হেব না ।

আর নবী কিরম(সা.) ও সাহাবােয় িকরাম তা কের িছেলন, যােত িফের যাূূ


্ ওয়ার
ব যাপাের ইচার দৃঢ়তা পকাশ
পায়।

ইমাম কুদরী(র.) বেলন, অবরদ বযিক যিদ িকরানকারী হয়, তাহেল দ’িটর দম েপরণ করেব। েকননা তার দ’িট
ইহরাম েথেক হালাল হওয়া পেয়াজন।

যিদ হজ েথেক হালাল হওয়ার জনয একিট হাদী েপরণ কের আর উমরার ইহরাম বহাল রােখ, তাহেল েকান
ইহরাম েথেকই হালাল হেব না। েকননা একই সােথ উভয় ইহরাম েথেক হালাল হওয়া শরীআত অনুেমাদন
কেরেছ।

এর দম হরম ছাড়া অনয েকাথাও যবাহ করা জাইয নয়। তেব ইয়াওমুন-নহেরর পূেবর যবাহ করা জাইয রেয়েছ।

এ হল ইমাম আবূ হানীফা(র.) এর মত। সােহবাইন বেলন, হেজর অবসায় অবরদ বযিকর জনয ইয়াওমুন-নহর
ছাড়া অনয সময় যবাহ করা জাইয নয়। পকানের উমরার অবসায় অবরদ বযিক যখন ইচা যবাহ করেত পাের।

হজ অবরদ বযিকেক এ িবধান েদওয়া হেয়েছ তামাতু ও িকরােনর হাদীর-এর উপর িকয়াস কের।

সােহবাইন অবরদ বযিকর যবােহ‌ক সমবতঃ হলক এর উপর িকয়াস কেরেছন। েকননা উভেয়র পেতযকিট ইহরাম
েথেক হালালকারী।

ইমাম আবূ হানীফা(র.) বেলন, এ হেলা কাফ‌ফারার দম। এজনযই তা েথেক খাওয়া জাইয েনই। সুতরাং এটা
সােনর সােথ িবিশষ হেব, িকন েকান সমেয়র সােথ আবদ হেব না, েযমন অনযানয কাফ‌ফারার দম।

তামাতু ও িকরােনর দম এর িবপরীত।েকননা েসটা হেলা ইবাদেতর দম। (কাফ‌ফারার দম নয়)। হলেকর
িবষয়িটও িভন। েকননা েসটা যথাসমেয় হেচ। কারণ হেজর পধান কাজ উকুফ হলেকর মাধযেমই সমাপ হয়।

ইমাম কুদরী(র.) বেলন, হজ অবসায় অবরদ বযিক যিদ হালাল হেয় যায়, তাহেল তােক (পরবতরীেত) একিট
হজ ও একিট উমরা করেত হেব।

ইবন আবাস(রা.) ও ইবেন উমর(রা.) েথেক এরপই বিণরত হেয়েছ। তাছাড়া এ েহতু েয, হজ কাযা করা েতা
ওয়ািজব হেব এই কারেণ েয, তা শর করা সহীহ িছেলা। আর উমরা এই কারেণ েয, েস হেলা হজ ফউতকারী
বযিকর সমপযরােয়র।

উমরা অবসায় অবরদ বযিকর উপর পের উমরা কাযা করা ওয়ািজব হেব।

আমােদর মেত উমরার েকেতও অবেরাধ সাবযস হয়।

ইমাম মািলক (র.) বেলন, সাবযস হেব না। েকননা, উমরা েতা িনধরািরত েকান সমেয়র সােথ আবদ নয়।

298
আমােদর দলীল এই েয, নবী(সা.) ও সাহাবােয় িকরাম উমরা অবসায় হদায়িবয়ায় অবরদ হেয়িছেলন।

তাছাড়া অসুিবধা দূর করার জনযই হালাল হওয়া অনুেমাদন করা হেয়েছ। আর এটা উমরার ইহরােমও িবদযমান
রেয়েছ। আর যখন অবেরাধ সাবযস হেয়েছ, তখন তার উপর কাযা ওয়ািজব। েযেহতু েস হালাল হেয়েছ, েযমন
হেজর েকেত।

িকরানকারীর উপর একিট হজ ও দ’িট উমরা ওয়ািজব হেব। হজ ও দ’িট উমরার একিট ওয়ািজব হওয়ার কারণ
েতা আমরা পূেবরই বণরনা কেরিছ। আর িদতীয় উমরা ওয়ািজব হওয়ার কারণ এই েয, শর করা শদ হওয়ার পর
েস তা েথেক েবিরেয় এেসেছ।

িকরানকারী(অবরদ বযিক) যিদ হাদী েপরণ কের এবং সংিশষ েলাকেদর িনকট হেত পিতশিত গহণ কের েয,
একিট িনধরািরত িদেন তারা তা যবাহ করেব, এরপর বা অবেরাধ উেঠ যায়। এখন যিদ অবসা এমন হয় েয, েস
হজ ও হাদী িগেয় ধরেত পারেব না, তাহেল মকা অিভমুেখ গমন করা তার জনয জররী হেব না। বরং হাদী যবাহ
কের হালাল হওয়া পযরন অেপকা করেব। েকননা মকা অিভমুেখ যাওয়ার পধান উেদশয তথা হেজর িকয়াকমর
আদায় করার সময় ফউত হেয় েগেছ।

আর যিদ েস উমরার মাধযেম হালাল হওয়ার উেদেশয যায়, তাহেল েস তাও করেত পাের। েকননা েস েতা হজ
ফউতকারী।

আর যিদ হজ ও হাদী দ’েটাই পাওয়া সমব হয়, তাহেল যাওয়া তার জনয জররী হেব। েকননা সলবতরী দারা
উেদশয অিজরত হওয়ার পূেবর অকমতা দূর হেয় েগেছ।

যিদ (েসখােন িগেয়) েস হাদী েপেয় যায়, তাহেল েসটােক (িবিক করা, সাদাকা করা ইতযািদ) যা ইচা তা করেত
পাের। েকননা েস তার মািলক, আর েসটা এমন একটা উেদেশযর জনয িনিদরষ কের িছেলা, যা েথেক েস এখন
মুক হেয় েগেছ।

যিদ এমন হয় েয, হাদী পােব িকন হজ পােব না, তাহেল হালাল হেয় যােব। েকননা েস মূল িবষয় লােভ
অপারগ। আর যিদ হজ পাওয়া সমব হয়, হাদী পাূূ
্ ওয়া
স মব না হয়, তাহেল তার জনয হালাল হওয়া জাইয
হেব।

এ িসদান সূক িকয়ােসর িভিতেত। এই েশষ পকারিট হজ অবসায় অবরদ বযিক সমেকর সােহবাইেনর মত
অনু
্ যায়ী পেযাজয হেব না্ ্ েকননা তােদর মেত এর দম
ইয়াওমুন নহেরর সময় দারা আবদ। সুতরাং েয হজ পােব েস হাদী অবশযই পােব। অবশয ইমাম আবূ
হানীফা(র.) এর মেত এই পকারিট পেযাজয হেব। আর উমরা অবসায় অবরদ বযিকর েকেত সবরসমিতকেম
সিঠক হেব। েকননা , (উমরার েকেত) যবাহ করার িবষয়িট দশ তািরেখর সােথ আবদ নয়।

িকয়ােসর দলীল এই েয, আর এটা হেলা ইমাম যুফার(র.) এর মত, েস েতা সলবতরী তথা হাদী দারা উেদশয
লােভর পূেবর মূল তথা হজ আদায় করেত সকম।

299
সূক িকয়ােসর দলীল এই েয, যিদ আমরা মকা অিভমুেখ যাওয়ােক তার জনয আবশযকীয় বেল সাবযস কির,
তাহেল তার সমদ নষ হেব। েকননা, েস যবাহ‌ করার জনয হাদী অেগ েপরণ কেরেছ, অথচ তার উেদশয লাভ
হেচ না। আর মােলর সমানেতা জােনর সমােনর মতই।

আর তার অিধকার রেয়েছ। ইচা করেল েস েসখােন িকংবা অনযখােন অবসান করেব, যােত তার পক েথেক যবাহ‌
করা হয়। আর েস হালাল হেত পাের। আর চাইেল ইহরােমর মাধযেম েয ইবাদত আদােয়র বাধযবাধকতা েস গহণ
কেরেছ তা আদায় করার জনয মকায় েয়েত পাের। আর এটাই উতম। েকননা এটা কৃত ওয়াদা পূণর করার অিধক
িনকটবতরী।

েয বযিক আরাফায় উকূফ করার পর অবরদ হেয় পড়েলা, েস অবরদ বেল িবেবিচত হেব না। েকননা হজ ফউত
হওয়া েথেক িনরাপদ হেয় েগেছ। েয বযিক মকায় অবরদ হেয়েছ এবং তােক তাওয়াফ ও উকূফ হওয়া েথেক
িনরাপদ হেয় েগেছ। েয বযিক মকায় অবরদ হেয়েছ এবং তােক তাওয়াফ ও উকূফ েথেক বাধা পাপ হেয়েছ, েস
অবরদ বেলই অবরদ হওয়ার মতই হেলা। যিদ তাওয়াফ ও উকূফ এ দ’িটর েয েকান একিট করেত সকম হয়,
তাহেল েস অবরদ বেল গণয হেব না।

তাওয়ােফর েকেত কারণ এই েয, হজ ফউতকারী বযিক তাওয়াফ দারাই হালাল হেয় থােক। আর হালাল হওয়ার
জনয দম ওয়ািজব হয় তাওয়ােফর সলবতরী িহসােব। উকূেফর েকেত কারণ আমরা আেগ বণরনা কেরিছ(অথরাত
আরাফার উকুফ করার পর সাবযস হয় না।

তাওয়ােফর েকেত কারণ এই েয, হজ ফউতকারী বযিক তাওয়াফ দারাই হালাল হেয় থােক। আর হালাল হওয়ার
জনয দম ওয়ািজব হয় তাওয়ােফর সলবতরী িহসােব। উকূেফর েকেত কারণ আমরা আেগ বণরনা কেরিছ (আথরাত‌
আরাফায় উকুফ করার পর সাবযস হয় না।

েকউ েকউ বেলেছন, আেলাচয মাসআলায় ইমাম আবূ হানীফা ও আবূ ইউসূফ(র.) এর মােঝ মতপাথরকয রেয়েছ।
িকন আিম েয িবশদ িববরণ েতামােক অবিহত কেরিছ, তা-ই শদ।

অষম অনুেচদ
হজ ফউত হওয়া
েয বযিক হেজর ইহরাম বাধল, িকন আরাফার উকুফ ফউত হেয় েগেলা, এমনিক দশ তািরেখর ফজর উিদত হেয়
েগেলা, তাহেল তার হজ ফউত হেয় িগেয়েছ। েকননা আমরা উেলখ কেরিছ েয, উকুেফর সময় দশ তািরেখর
ফজর উিদত হওয়া পযরন পলিমত।

আর তার কতরবয্ তাওয়াফ ও সাঈ কের হালাল হেয় যােব এবং পরবতরী বছর হজ কাযা করেব । আর তার উপর
দম ওয়ািজব হেব না। েকননা রাসূলুলাহ(সা.) বেলেছন- েয বযিক রােতও আরাফার উকুফ ফউত করেলা তার

300
হজ ফউত হেয় েগেলা। সুতরাং েস েযন উমরার মাধযেম হালাল হেয় যায়। আর তার উপর পরবতরী বছর হজ
(কাযা) করা ওয়ািজব। আর উমরা েতা তাওয়াফ ও সাঈ ছাড়া আর িকছু নয়।

তাছাড়া ইহরাম িবশদরেপ সংঘিটত হওয়ার পর দই ইবাদেতর (হজ ও উমরার) েয েকান একিট আদায় করা
ছাড়া উক ইহরাম েথেক েবর হওয়ার েকান উপায় েনই। েযমন অিনধরািরত ইহরােমর েকেত। তেব এখােন
েযেহতু হজ করেত েস অকম হেয় েগেছ, েসেহতু তার জনয উমরা িনধরািরত হেয় েগেছ। আর তার উপর দম
ওয়ািজব হেব না। েকননা উমরার িকয়াকমর দারাই হালাল হওয়া সমন হেয়েছ। সুতরাং হজ ফউতকারীর েকেত
উক উমরা অবরদ বযিকর েকেত যবাহ‌ এর পযরােয় গণয। তাই উভয়িটেক একত করা হেব না।

উমরা কখেনা ফউত হয় না। পাচিট িদন ছাড়া সারা বছর তা জাইয রেয়েছ। ঐ পাচিদন উমরা করা মাকরহ।
িদনগেলা হেলা আরাফার িদন, কুরবানীর িদন এবং আইয়ােম তাশরীক। েকননা ‘আূূূ
ইশা
্ ্ (রা.) েথেক বিণরত
আেছ েয, এই পাচিদন িতিন উমরা মাকরহ বলেতন। তাছাড়া এগেলা হেলা হেজর িদন। সুতরাং েসগেলা
হেজর জনয িনধরািরত থাকেব।

ইমাম আবূ ইউসূফ(র.) েথেক বিণরত আেছ েয, আরাফার িদন যাওয়ােলর (সূযর েহেল পড়ার) পূেবর উমরা মাকরহ
হেব না। েকননা হেজর রকন (অথরাত‌ আরাফার উকুফ) আরম হয় যাওয়ােল পের, পূেবর নয়। তেব আমরা যা
উেলখ কেরিছ, তাই হেলা পকাশয মাযহাব।

অবশয মাকরহ হওয়া সেতও যিদ এই িদনগেলােত উমরা আদায় কের, তাহেল শদ হেব। এবং ঐ িদনগেলােত
েস উমরার কারেণ মুহিরম থাকেব। েকননা মাকরহ হওয়ার কারণ উমরা বিহভূরত কারেণ রেয়েছ। আর তা হেলা
হেজর িবষয়িটর পিত সমান পদশরন করা এবং হেজর সময়েক হেজর জনয খােলস কের রাখা। সুতরাং উমরা শর
করা শদ হেব।

উমরা হেলা সুনাত (মুআকাদাহ)

ইমাম শািফঈ(র.) বেলন,তা ফরয। েকননা রাসূলুলাহ‌(সা.) বেলেছন- হেজর ফরেযর মেতা উমরাও একিট
ফরয।

আমােদর পমাণ হেলা রাসূলুলাহ(সা.) এর বাণী- হজ হেলা ফরয এবং উমরা হেলা নফল।

তাছাড়া উমরা েকান সমেয়র সােথ আবদ নয়। তদপির তা উমরা বযতীত অনয (েযমন, হেজর ) িনয়যত দারাও
আদায় হয়। েযমন হজ ফউতকারীর েকেত। আর এটা হেলা নফেলর আলামত।

ইমাম শািফই(র.)েয হাদীছ বণরনা কেরেছন, তার বযাখযা এই েয, উমরা হেজর নযয় কিতপয় আমেলর মােঝ
িনধরািরত। েকননা পরসর িবপরীথ হাদীছ দারা ফরয ছািবত হয় না।

ইমাম কুদরী(র.) বেলন, উমরা হেলা তাওয়াফ ও সাঈ। তামাতু অধযােয় আমরা তা আেলাচনা কেরিছ। আলাহ‌
সিঠক িবষয় অিধক অবগত।

301
নবম অনুেচদ
অপেরর পেক হজ করা
এ িবষেয় মূলনীিত এই েয, মানুষ িনেজর আমেলর সাওয়াব অেনযর জনয িনধরারণ করেত পাের। চাই তা সালাত
েহাক, েরাযা েহাক, সাদাকা েহাক বা অনয আমল েহাক। এটা আহেল সুনাত ওয়াল জামা’আেতর অিভমত।
েকননা বিণরত আেছ েয, নবী(সা.) সাদা কােলা িমিশত রং এর দ’িট েমষ কুরবানী কেরেছন। একিট িনেজর পক
েথেক আর িদতীয়িট তার উমেতর পক েথেক- যারা আলাহর একত সীকার কের এবং িতিন েয আলাহ‌র বাতরা
েপৌিছেয়েছন তার সাকয েদয়। এখােন িতিন দ’িট বকরীর একিটেক আপন উমেতর জনয িনধরািরত কেরেছন।

আর ইবাদত কেয়ক পকার: ১) েকবলমাত আিথরক, েযমন যাকাত; ২) েকবল ৈদিহক, েযমন সালাত; ৩) উভয়িট
জিড়ত, েযমন, হজ। পথম পকার ইবাদেতর েকেত আদায় করার সামরথয থাকা ও অকমতা উভয় অবসায়
সলবতরীতা পেয়াগ হয়। েকননা সলিভিতক কাযরা দারাই উেদশ অিজরত হয়। িদতীয় পকােরর েকান অবসােতই
সলবিতরতা কাযরকর হয় না। েকননা নফেসর সাধনা যা এ ইবাদেতর উেদশয, তা সলািভিষক দারা অিজরত হয়
না।

তৃতীয় পকাের অকমতার অবসায় সলবিতরতা কাযরকর হয়। েকননা এেত িদতীয় িবষয়িট অথরাত মাল খরেচর মাধযেম
কষ লােভর িবষয়িট অিজরত হয়। িকন সকমতার অবসায় তা কাযরকর হেব না। েকননা এেত সাধনা অিজরত হয়
না।

হেজর েকেত সলবিতরতা জাইয হওয়ার জনয মৃতুযর সময় পযরন সায়ী অকমতা শতর। েকননা হজ হেলা সারা
জীবেনর ফরয। পকানের নফল হেজর েকেত সকম অবসায়ও সলবিতরতা জাইয রেয়েছ। েকননা সফেরর িবষেয়
অিধকতর েগাঞােয়শ আেছ।

হানাফী মাযহােবর পকািশত মেত যার পক েথেক হজ করা হেচ, তার পক েথেকই হজিট সংঘিটত হেব।
আেলাচয িবষেয় বিণরত হাদীছসমূহ একথারই সাকয েদয়। েযমন খাছআম েগােতর জৈনকা সী েলাক সমিকরত
হাদীছ। রাসূলুলাহ‌(সা.) তােক বেলিছেলন, তুিম েতামার িপতার পক েথেক হজ কেরা এবং উমরা কেরা।

মুহামদ(র.) েথেক একিট বণরনা অবশয আেছ েয, েয হজ করেব, তারই পেক সংঘিটত হেব। তেব আেদশদাতা
খরেচর সাওয়াব পােব। েকননা হজ হেলা একিট ৈদিহক ইবাদত। আর অকমতার েকেত অথরবযয়েক হেজর
সলবতরী করা হয়, েযমন, েরাযার েকেত িফদ‌ইয়া।

কুদরূ ীর েলখক বেলন, যােক দ’জন মানুষ আেদশ করেলা েযন েস তােদর পেতযেকর পক েথেক একিট হজ পালন
কের। আর েস তােদর উভেয়র পক েথেক হেজর ইহরাম বাধল । তেব এ হজিট হজকারীর পক েথেকই গনয
হেব। তার তােক খরেচর কিতপুরণ িদেত হেব। েকননা, আেদশদাতার পক েথেকই হজ সংঘিটত হয়। এ
কারেণই হজকারী ইসলােমর ফরয হজ েথেক মুক হেত পাের না। আর এখােন উভেয়র পেতযেক তােক আেদশ
302
কেরেছ, েযন েস হজিটেক অনয কােরা শিরকানা ছাড়া তার একার জনয আদায় কের। অথচ অগািধকার েকান
সমাবনা না থাকার কারেণ হজেক দ’জেনর েকান একজেনর পক েথেক সাবযস করা সমব নয়।

সুতরাং আিদষ বযিকর পক েথেকই তা সংঘিটত হেব। আর তার পক েথেক সংঘিটত হওয়ার পের দ’জেনর েকান
একজেনর মােঝ িনধরারণ করার সমাবনা েনই।

পকানের যিদ িনেজর আমা-আবার পক েথেক হজ কের,তেব তার হকুম িভন। েসেকেত হজিটেক েস
দ’জেনর েয েকান একজেনর িনধরারণ করেত পাের। েকননা, েস েতা িনেজর আমেলর সাওয়াব দ’জেনর
একজেনর জনয িকংবা উভেয়র জনয িনধরারণ করার মাধযেম েসচায় দানকারী হেচ, সুতরাং হজিট তার সাওয়ােবর
সব বা কারণ রেপ সমন হওয়ার পর তার ইখিতয়ার অনভূরক থাকেব। িকন আেলাচয েকেত েতা েস
আেদশদাতার আেদেশর িভিতেত আমলিট করেছ। অথচ উভেয়র আেদশেকই েস লংঘন কেরেছ। সুতরাং আমলিট
তার িনেজর পক েথেক হেব। যিদ েস তােদর পদত অথর বযয় কের থােক, তাহেল েস খরেচর কিতপুরণ করেব।
েকননা েস আেদশদাতার খরেচর টাকা িনেজর হেজ খরচ কেরেছ।

আর যিদ ইহরামেক েস অিনধরািরত েরেখ থােক, অথরাত অিনধরািরতভােব দ’জেনর একজেনর িনয়যত কের থােক
এবং এভােবই হজ কের যায়, তাহেল েস (আেদশ দাতার) কথা অমানয করেলা। অগািধকার না থাকার কারেণ।
পকানের হেজর িকয়াকমর শর করার পূেবর যিদ একজনেক িনধরারণ কের েনয় তাহেলও ইমাম আবূ হানীফা(র.)
এর িনকট একই হকুম হেব।

আর এই হেলা িকয়াস। েকননা িস িনধরারণ করার জনয আিদষ িছল। আর অিনধরািরত রাখা মােন েস আেদেশর
িবরদাচরণ করা। সুতরাং তা িনেজর পক েথেক হেব। পকানের হজ বা উমরা িনধরারণ না করার িবষয়িট িভন।
এেকেত িনেজর ইচা মেতা িনধরারণ করার ইখিতয়ার তার রেয়েছ। েকননা পথম সুরেত হেজর দািয়ত গহণকারী
অজাত। পকানের িদতীয় সুরেত ইহরােমর হকদার অজাত।

সূক িকয়ােসর যুিক েকননা েস িনধরারণ করার আিদষ িছল। আর অিণধরািরত রাখা মােন েস আেদেশর িবরদাচরণ
করা। সুতরাং তা িনেজর পক েথেক হেব। পকানের হজ বা উমরা িনধরারণ না করার িবষয়িট িভন। এেকেত
িনেজর ইচা মেতা িনধরারণ করার ইখিতয়ার তার রেয়েছ। েকননা পথম সুরেত হেজর দািয়ত গহণকারী
অজাত। পকানের িদতীয় সুরেত ইহরামেরর হকদার অজাত।

সূক িকয়ােসর যুিক এই েয, আমেলর মাধযম বা উপায় রেপ ইহরাম শরীআত অনুযায়ী পবিতরত হেয়েছ। িনজস
সতায় মাকসুদ ও উেদশয রেপ নয়। আর অসষ ইহরাম পরবতরীেত িনধরারেনর মাধযেম উপায় বা ওসীলা রেপ গণয
হেত পাের। সুতরাং শতর রেপ তা যেথষ হেব ।

পকানের সয়ং িকয়াকমরগেলাই যিদ অিনধরািরতভােব আদায় কের তাহেল িবষয়িট িভন হেব। েকননা যা আদায়
করা হেয় েগেছ, েসটােক িনধরারণ করার উপায় েনই। সুতরাং েস আেদশদাতার িবরদচারণকারী হেলা।

ইমাম মুহামদ(র.) বেলন, যিদ েকউ েকউ তােক তার পক েথেক িকরান করার আেদশ কের, তাহেল
ইহরামকারীর উপর দম ওয়ািজব হেব। েকননা এটা েতা ওয়ািজব হেয়েছ আলাহ‌ পাক দ’িট আমল একত করার

303
েয তাওফীক দান কেরেছন। তার েশাকর িহসােব। আর এই িনয়ামত েতা আিদষ বযিকর আপন সতার সংেগ
িবিশষ। েকননা পকৃত কাজ েতা তার পক েথেকই হেচ।

আেলাচয মাসআলািট ইমাম মুহামদ(র.) েথেক এ মেমর বিণরত মতামেতর িবশদতা পমাণ কের েয, হজ েতা
আসেল আিদষ বযিকর পক েথেকই সংঘিটত হয়।

তদপ যিদ েকউ তােক তার পক েথেক হজ করার আেদশ কের আর অনয একজন তােক তার পক েথেক উমরা
করার আেদশ কের, এবং উভেয় তােক িকরােনর অনুমিত পদান কের, তেব দম তারই উপর ওয়ািজব হেব। এর
কারণ যা আমরা বেল এেসিছ। বাধগস হওয়ার দম আেদশদাতার উপর ওয়ািজব হেব। এটা ইমাম আবূ
হানীফা(র.) ও মুহামদ(র.) এর মত। আর ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) বেলন, হজকারীর উপর ওয়ািজব। েকননা
এটা ইহরাম পলিমত হওয়ার কষ দূর করার জনয হালাল হওয়ার কারেণ ওয়ািজব হেয়েছ। আর এ্ই কেষর সমকর
তারই সােথ। সুতরাং দম তারই উপরই ওয়ািজব হেব।

ইমাম আবূ হানীফা(র.) ও মুহামদ(র.) এর দলীল এই েয, আেদশদাতাই তােক এক িযমাদািরেত ঢুিকেয়েছ।
সুতরাং তারই কতরবয হেব তােক মুক করা।

যিদ েকান মাইেয়েতর পক েথেক হজ কের থােক আর অবরদ হেয় পেড়, তাহেল ইমাম আবূ হানীফা(র.) ূ
মুহামদ(র.) এর মাইেয়েতর মাল েথেক দম ওয়ািজব হেব।

ইমাম আবূ ইউসূফ(র.) িভনমত েপাষণ কেরন। আবার েকউ েকউ বেলন েয, মাইেয়েতর মােলর এক-তৃতীয়াংশ
েথেক ওয়ািজব হেব। েকননা এিট দান। েযমন যাকাত ইতযািদ।

আেরা কােরা কােরা মেত, সমগ মাল েথেক দম ওয়ািজব হেব। েকননা তা আেদশদাতার জনয হক িহসােব
ওয়ািজব হেয়েছ। সুতরাং তা ঋণ পযরােয়র।

সী সহবাস জিনত দম হজকারীর উপর ওয়ািজব হেব। েকননা এিট অপরােধর দম। আর েস েসচায় অপরাধী
হেয়েছ।

এবং খরেচর কিতপূরণ পদান করেব। অথরাত যিদ উকুেফর পূেবর সহবাস কের থােক। েয কারেণ হজ ফািসদ হেয়
যায়। েকননা তােক শদ হজ আদায় করার আেদশই করা হেয়েছ। হজ ফউত হেয় যাওয়ার িবষয়িট িভন।
তখন হজকারীেক খরেচর কিতপূরণ িদেত হেব না। েকননা েস তা েসচায় ফউত কেরিন।

আর যিদ উকুেফর পর সহবাস কের, তাহেল তার হজ ফািসদ হেব না এবং খরেচর কিতপূরণও িদেত হেব না।
েকননা আেদশদাতার উেদশয হািছল হেয় েগেছ। আর আিদষ বযিকর িনেজর মাল েথেকই তার উপর দম ওয়ািজব
হেব। এর কারণ আমরা বণরনা কেরিছ। তদপ কাফ‌ফারার যাবতীয় দমও হজকারীর উপর ওয়ািজব হেব। এর
কারণও যা আমরা বেল এেসিছ।

আর যিদ েকউ ওসীয়ত কের যায় েয, তার পক েথেক েযন হজ করান হয়। পের ওয়ািরছগণ তার পক েথেক
এক বযিক দারা হেজর জনয পাঠাল। যখন েস কুফায় উপনীত হওয়ার পর েস মারা েগল িকংবা খরেচর অথর চুির

304
হেয় েগেলা অথচ ইেতামেধয েস অেধরক অথর বযয় কের েফেলেছ, তাহেল মাইেয়েতর পক েথেক তার বাড়ী েথেক
হজ করােনা হেব অবিশষ সমেদর এক-তৃতীয়াংশ েথেক।

এ হল ইমাম আবূ হানীফা(র.) এর মত। সােহবাইন বেলন, েযখােন পথম বযিক মারা েগেছ, েসখান েথেক হজ
করােত হেব। তাহেল এখােন িবেবচয িবষয় হেলা দ’িট : পিরতযাক সমিতর এক-তৃতীয়াংশ িবেবচনা করা এবং
হেজর সান িবেবচনা করা।

পথম িবষয়িট সমেকর ‘মতেন’ যা উেলখ করা হেয়েছ, তা ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মত। পকানের ইমাম
মুহামদ(র.) এর মেত েয মাল তােক েদয়া হেয়িছল তার িকছু যিদ অবিশষ থােক, তেব েসই অবিশষ মাল দারা
তার পক হেত হজ করােনা হেব। অনযথায় ওসীয়ত বািতল হেয় যােব। িতিন একথা বেলন, ওসীয়তকারীর
িনেজর িনধরারণ করার উপর িকয়াস কের। েকননা ততাবধানকারীর িনধরারণ করা তার িনেজর িনধরারণ করার
মতই।

ইমাম আবূ ইউসূফ(র.) এর মেত পথম তৃতীয়াংশ েথেক যা অবিশষ আেছ তা েথেকই তার পক হেত হজ করান
হেব। েকননা ঐ তৃতীয়াংশই হেলা ওসীয়ত কাযরকরী হওয়ার েকত।

ইমাম আবূ হানীফা(র.) এর দলীল এই েয, ততাবধায়েকর মাল বনন করা এবং মাল পৃথক করা তখনই
সহীূূ‌
্‌ হ েব , যখন েস মাল ঐভােব অপরন করেব, েযভােব ওসীয়তকারী িনধরারণ কেরেছ। েকননা মাল কবজা
করার জনয তার েকান দাবীদার েনই। আর এখােন (ওসীয়তকারীর িনধরািরত সুরেত) সমদ অপরন করা পাওয়া
যায়িন। তাই এিট হেজর খরচ আলাদা করার পূেবর মারা যাওয়ার মত হেলা। সুতরাং অবিশষ মােলর তৃতীয়াংশ
েথেক হজ করােনা হেব।

িদতীয় িবষয় সমেকর ইমাম আবূ হানীফা(র.) এর মতামেতর দলীল এই েয, আর িকয়ােসর দাবীও তাই সফেরর
েয পিরমাণ অংশ অিসত লাভ কেরিছল, তা দিনয়ার কাযরকর িবধােনর িদক েথেক বািতল হেয় েগেছ।
রাসূলুলাহ‌(সা.) বেলেছন- ইব‌ন আদম যখন মারা যায়, তখন তার আমল িনঃেশষ হেয় যায় িতনিট েকত ছাড়া।

আর ওসীয়েতর কাযরকািরতা হেলা দিনয়ার আহকােমর অনভুরক। সুতরাং ওসীয়তকারীর বাড়ী েথেকই ওসীয়ত
কারীর বাড়ী েথেকই ওসীয়ত বহাল থাকেব এবং ধের েনয়া হেব েযন সফের েবর হওয়ার অিসতই ঘেটিন।

সােহবাইেনর দলীল হল, আর সূক এই িকয়ােসর দাবী েয তার সফর বািতল হয়িন। েকননা আলাহ‌ তা’আলা
বেলেছন-

েয বযিক তার বাড়ী েথেক আলাহ ও তার রাসূেলর পেথ েবর হয় অতঃপর েস মারা যায়, তার আজর(ও সাওয়াব)
আলাহ‌র িযমায় থাকেব।

রাসূলুলাহ(সা.) বেলেছন- েয বযিক হেজর পেথ মারা যায়,তার জনয পিত বছর একিট হেজ মাবরর েলখা হেব।

যখন তার সফর বািতল হেলা না তখন েসই সান েথেকই তার ওসীয়ত িবেবচনা করা হেব। মূল মতপাথরকয হেলা
ঐ বযিক সমেকর, েয িনেজই হজ করেত রওয়ানা হেয়েছ (আর পেথ মারা েগেছ। এবং তার পক েথেক হজ

305
করােনা ওসীয়ত কেরেছ। এর উপর িভিত হেব হজ করার জনয আিদষ বযিকর িবষয়িট (েয পেথ মারা েগল)।
ইমাম কুদরী(র.) বেলন, েয বযিক িপতামাতার পক েথেক হেজর ইহরাম বাধল, তার জনয দ’জেনর েয েকান
একজেনর জনয হজিট িনধরারণ কের েনওয়াই যেথষ হেব। েকননা েয বযিক অেনযর পক েথেক তার অনুমিত
ছাড়া হজ করােনা, েস মূলতঃ িনেজর হেজর দাওয়াত তােক পদান করল। আর তা সমব হেত পাের হজ আদায়
হওয়ার পর। সুতরাং হজ আদােয়র পূেবর তার িনয়যত মূলযহীন হেলা। আর হজ আদােয়র পর তার সাওয়ার
দ’জেনর েয েকান একজেনর জনয িনধরারণ করা ৈবধ হেব।

হজ করার জনয আিদষ বযিকর িবষয়িট িভন। ইেতাপূেবর উভেয়র মােঝ পাথরকয আমরা বণরনা কের এেসিছ। সিঠক
িবষয় আলাহ‌ই অিধক অবগত।

দশম অনুেচদ
হাদী সমেকর
সবরিনম হেলা হাদী হেলা বকরী। েকননা নবী(সা.) েক হাদী সমেকর িজজাসা করা হেয়িছল। তখন িতিন
বেলিছেলন, তার সবরিনম হেলা বকরী।

ইমাম কুদরী(র.) বেলন, হাদী িতন পকার: উট, গর ও বকরী। েকননা নবী(সা.) যখন বকরীেক সবরিনম সাবযস
কেরেছন, তখন তার উচ পযরায় পিরমাণ থাকাও জররী। আর তা হেলা গর ও উট।

আর এ কারেণ েয, হাদী হল ঐ পাণী, যা হািদয়া সরপ হরম শরীেফর িদেক েপরণ করা হয়, যােত তথায় যবাহ‌র
মাধযেম তাকারব হািসল করা যায়। আর এই অেথরর িদক িদেয় িতনিটই সমান।

কুরবানীেত যা যবাহ‌ করা জাইয, তাই হাদী রেপও জাইয। েকননা এটা এমন এক ইবাদত, যার সমেকর হেলা
রক পবািহত করার সােথ েযমন কুরবানীর িবষয়। সুতরাং একই রকম পশর সংেগ উভয়িট সমৃক থাকেব।

হেজর সকল বযাপাের বকরীই যেথষ। েকবল দ’িট েকত বযতীত। (এক) েয বযিক জানাবােতর অবসায়
তাওয়াফেক িযয়ারত করেলা এবং (দই) েয বযিক উকুেফর পের সী সহবাস করেলা।

এদ’িট েকেত বাদানাহ (উট বা গর) ছাড়া জাইয হেব না। এর কারন িপছেন (িজনায়াত অধযােয়) আমরা বেল
এেসিছ।

নফল তামাতু ও িকরােমর হাদীর েগাশত খাওয়া জাইয। েকননা এটা ইবাদত রেপ যবাহকৃত পশ। সুতরাং
কুরবানীর নযায় এগেলার েগাশত খাওয়া জাইয। আর সহীূূ‌
্‌ হ াদীেছ বিণরত আেছ েয, নবী(সা.) তার হাদীর
েগাশত আহার কেরেছন এবং তার শরয়াও পান কেরেছন।

306
আর হাজীেদর জনয হাদীর েগাশত খাওয়া মুসাহাব। এর দলীল আমােদর পূবর বিণরত হাদীছ। তদপ কুরবনীেত
েযভােব বলা হেয়েছ, েসইভােব হাদীর েগাশত সাদাকা করা মুসাহাব।

অনযানয হাদীর েগাশত খাওয়া জাইয েনই। েকননা েসগেলা হেলা কাফ‌ফারার দম। আর সহীূূ‌ ্‌ হ াদীেছ
বিণরত আেছ েয, নবী(সা.) যখন হদায়িবয়ার বাধাপাপ হেয়িছেলন এবং হযরত নািজয়া আল-আসলামী(রা.) এর
হােত হাদী েপরণ কেরিছেলন, তখন তােক বেল িদেয়িছেলন, তুিম এবং েতামার সাথীরা তা েথেক িকছু খােব না।

নফল তামাত ও িকয়ােসর হাদী ইয়াওমুন নহর ছাড়া যবাহ‌ করা জাইয নয়।

েলখক বেলন, মাবসূত িকতােব রেয়েছ েয, নফল হাদী ইয়াওমুন নহেরর পূেবর যবাহ‌ করা জাইয, তেব ইয়াওমুন
নহের যবাহ‌ করা উতম।

আর এ-ই সহীহ মত। েকননা নফলরেপ যবাহ‌ করার েকেত ইবাদত হেলা এই িহসােব েয, েসগেলা হাদী। আর
তা সাবযস হেয় যায় হরেম েপৌছেনার মাধযেম।

আর তা যখন পাওয়া েগেলা তখন ইয়াওমুন নহেরর বাইেরও যবাহ‌ করা জাইয হেব। তেব কুরবনীর িদনগেলােতই
উতম। েকননা ঐ িদনগেলােত যবাহ‌ করার মাধযেম ইবাদেতর গণ অিধক পবল।

তামাতু ও িকরােনর দেমর েকেত কারণ হেলা আলাহ‌ তা’আলার বাণী- অননর েতামরা তা েথেক আহার কর।
এবং দস-দিরদেদর আহার করাও। অতঃপর তারা েযন তােদর অপিরচনতা দূর কের।

আর অপিরচনতা দূর করার িবষয়িট ইয়াওমুন নহেরর সংেগ সমৃক। তাছাড়া এটা হেলা ইবাদেতর দম। সুতরাং
তা ইয়াওমুন- নহেরর সােথ খাস হেব। েযমন, কুরবানী।

অনযানয হাদী েয েকান সময় ইচা যবাহ‌ করা জাইয।

ইমাম শািফঈ(র.) তামাতু ও িকরােনর দেমর উপর িকয়াস কের বেলন, ইয়াওমুন-নহর ছাড়া যবাহ‌ করা জাইয
নয়। েকননা তার মেত পিতিটই হেলা কিতপূরেণর দম।

আমােদর দলীল এই এই েয, এগেলা হেলা কাফ‌ফারার দম। সুতরাং ইয়াওমুন-নহেরর সােথ তা িবিশষ থাকেব
না। েকননা এগেলা যখন কিত পূরেনর জনয ওয়ািজব হেয়েছ, তখন অিবলেম তা দারা তিট দূর করার জনয
তাড়াতািড় করাই উতম হেব। তামাতু ও িকরােনর দম এর িবপরীত। েকননা, এ হেলা ইবাদেতর দম।

ইমাম কুদরী(র.) বেলন, হরম ছাড়া অনযত হাদী যবাহ‌ করা জাইয হেব না। েকননা িশকােরর কিতপুরণ সমেকর
আলাহ‌ তা’আলা বেলেছন- এমন হাদী-যা কা’বায় উপনীত হেব।

সুতরাং কাফ‌ফারা জাতীয় পিতিট দেমর েকেতও এটা মূলনীিত হেয় েগেলা। তাছাড়া (আিভধািনক ভােব) হাদী
বলাই হয় এমন পশেক, যা েকান সােন হািদয়া সরপ পাঠান হয়। আর তার সান হেলা হরম।

রাসূলুলাহ‌(সা.) বেলেছন- সমগ মীনা হেলা যবাহ‌সল এবং মকার সমগ পথ হেলা যবাহ‌র সল।

307
হাদীর েগাশত হরম এবং অনযানয সােনর িমসকীনেদর মােঝ সাদাকা করা জাইয।

ইমাম শািফঈ(র.) িভনমত েপাষণ কেরন। (আমােদর দলীল এই েয,) েকননা সাদাকা হেলা একিট েবাধগময
ইবাদত। আর েয েকান দিরদেক সাদাকা করাই ইবাদত।

ইমাম কুদরী(র.) বেলন, হাদীসমূহেক আরাফায় িফের িনেয় যাওয়া (যা িচিহত করা) জররী নয়। েকননা হাদী
শবিট িবেশষ সােন িনেচ িগেয় েসখােন যবাহ করার মাধযেম সাওয়াব অজরেনর অথর িনেদরশ কের, আরাফায় িনেয়
যাওয়া বা িচিহত করার অথর জাপন কের না। সুতরাং তা ওয়ািজব হেব না।

আর যিদ তামাতুর হাদী আরাফায় িগেয় যায়, তেব তা উতম। েকননা তা যবাহ‌ করা ‘ইয়াওমুন নহর’ এর সােথ
িনিদরষ। আর হয়ত সমবতঃ েস তা রাখার জনয কাউেক নাও েপেত পাের, তখন সংেগ কের আরাফায় িনেয় েযেত
বাধয হেব।

তাছাড়া এটা হেলা ইবাদেতর দম। সুতরাং এর িভিত হেব েঘাষণার উপর। কাফ‌ফারার দম হেলা এর িবপরীত।
েকননা এগেলা ইয়াওমুন নহেরর পূেবর যেবহ করা জাইয রেয়েছ। েযমন ইেতাপূেবর আমরা বণরনা কেরিছ। এবার
অপরাধই হেলা তা (ওয়ািজব হওয়ার) কারণ। সুতরাং তা েগাপন রাখাই সমীচীন।

ইমাম কুদরী(র.) বেলন, উেটর েকেত নহর এবং গর ও বকরীর েকেত যবাহ‌ই উতম।্ েকননা আলাহ তা’্ ্আলা
বেলেছন- েতামার পিতপালেকর উেদশয সালাত আদায় কর এবং নহর কর। এখােন নহেরর বযাখযায় উট বলা
হেয়েছ। আর আলাহ‌ তাআলা অনযত বেলেছন- আর েতামরা গর যবাহ‌ করেব।

আর আলাহ‌ তা’আলা (বকরী সমেকর) বেলেছন- আর আমরা তার পিরবেতর িফদ‌ইয়া রেপ এক মহান যিবহা দান
কেরিছ। আর ‘িযবহ’ বলা হয় ঐ পশূেক, যা যবাহ‌র জনয পসত রাখা হেয়েছ। আর সহীহ‌ হাদীেছ বিণরত আেছ
েয, নবী করীম(সা.) উটেক নহর কেরেছন এবং গর ও বকরী যবাহ‌ কেরেছন।

হাদীসমূেহর েকেত যিদ েস ইচা কের তেব উটেক দাড়ােনা অবসায় নহর করেত পাের, িকংবা তােক বিসেয় নহর
করেত পাের। েস যা-ই করেব, তাই ভাল। তেব উতম হেলা, দাড়ােনা অবসায় নহর করা। েকননা বিণরত আেছ
েয, নবী করীম(সা.) দাড়ােনা অবসায় েরেখ হাদীসমূহেক নহর কেরেছন। আর সাহাবা িকরামও সামেনর বা পা
েবেধ দাড়ােনা অবসায় নহর কেরেছন।

গর ও বকরী দাড়ােনা অবসায় যবাহ করেব না। েকননা পােশর েশায়ােনা অবসায় যবাহর সানিট অিধক সষ
থােক। ফেল যবাহ‌ করা সহজ হয়। আর এ দ’িটর েকেত যবাহ‌ই হেলা সুনাত।

ভালভােব যবাহ করেত পারেল উতম হেলা িনেজই যবাহ‌ করা। েকননা বিণরত আেছ েয, নবী(সা.) িবদায় হেজর
সময় একশ’ উট িনেয়িছেলন এবং ষােটর িকছু উপের (েতষিটিট) িনেজ নহর কেরেছন। এবং অবিশষগেলার
বযাপাের হযরত ‘আলী (রা.) েক দািয়ত পদান কেরিছেলন।

তাছাড়া এটা হেলা ইবাদত, আর ইবাদত িনেজ আঞাম েদওয়াই উতম। েকননা এেত অিধক িবনয় রেয়েছ। তেব
েকান বযিক তা ভালরেপ করেত পাের না। তাই আমরা অনযেক দািয়ত পদান অনুেমাদন কেরিছ।

308
ইমাম কুদূরী(র.) বেলন, উেটর গােয়র চট ও রিশ সাদাকা কের েদেব আর এগেলা দারা কসাইেয়র মজুির পদান
করেব না। েকননা রাসূলুলাহ‌(সা.) আলী(রা.) েক বেলেছন- তার গােয়র চট এবং রিশ সাদাকা কের দাও। আর
তার এগেলা দারা কশাইেয়র মজুির িদও না।

েয বযিক উট িনেয় যাওয়ার সময় তােত আেরাহণ করেত বাধয হেলা, েস তােত আেরাহণ করেত পাের। যিদ
তােত আেরাহণ না করার উপায় থােক, তাহেল আেরাহণ করেব না। েকননা, েস এটােক আলাহ‌র জনয
একানভােব িনধরারণ কেরেছ। যতকণ না যবাহ‌র সােন েপৌেছ যায়। তেব শধু এ অবসায় যখন েস এর উপর
সাওয়াব হেত বাধয হয়। েকননা বিণরত আেছ েয, নবী করীম(সা.) জৈনক বযিকেক উট িনেয় েযেত েদেখ
বেলিছেলন, েতামরা সবরনাশ। এেত আেরাহণ কেরা।

এর বযাখযা এই েয, েলাকিট অকম ও অভাবগস িছেলন।

যিদ তােত আেরাহণ কের আর েস কারেণ তােত খুত সৃিষ হয়, তাহেল তার েয পিরমাণ খুত সৃিষ হেয়েছ, তার
কিতপূরণ িদেত হেব। আর যিদ তার দধ থােক তাহেল তা েদাহন করেব না। েকননা দধ তা েথেকই জনায়।
সুতরাং তা িনেজর কােজ লাগােব না। বরং তার ওলােন ঠানা পািন িছিটেয় েদেব, যােত বন হেয় যায়। তেব এ
হকুম হেলা যবাহ‌র সময় িনকটবতরী হেল। পকানের যিদ যবাহ‌র সময় িবলিমত হয়, তাহেল েদাহন করেব এবং দধ
খরচ কের েফেল, তাহেল অনুরপ পিরমাণ দধ বা তার মূলয সাদাকা কের েদেব। েকননা তার িযমায় কিতপূরণ
রেয়েছ।

হাদী িনেয় যাওয়ার সময় যিদ তা পেথ হালাক হেয় যায় আর তা নফল হাদী হয় তাহেল তার উপর অনয হাদী
ওয়ািজব হেব না। েকননা ইবাদেতর সমকর হেয়িছেলা এই জন িবেশেষর সংেগ, আর তা ফউত হেয় িগেয়েছ।

যিদ েস হাদী ওয়ািজব িহসােব হেয় থােক তাহেল তার সেল অনয একিট আদায় করা ওয়ািজব। েকননা ওয়ািজব
তার িযমায় রেয় েগেছ।

যিদ তােত বড় ধরেনর েদাষ েদখা েদয়। তাহেল তার সেল অনয একিট আদায় করেত হয়। েকননা বড় ধরেনর
েদাূূ
্ ষযু
হ ক েল তা দারা ওয়ািজব আদায় হয় না। সুতরাং অনয একিট দারা আদায় করা জররী। আর
েদাষযুক পশেক যা ইচা তাই করেব। েকননা এটা এখন তার অনযানয সমেদর সংেগ যুক হেয় িগেয়েছ।

পেথ যিদ উট মুমুষর হেয় পেড়, তেব নফল হেল নহর করেব আর তার (কালাদার) জুতা তার রক দারা রিঞত কের
েদেব। আর উহা দারা তার কুেজর পােশ ছাপ েমের েদেব। েস িকংবা অনয েকান মালদার তার েগাশত খােব না।

নিজয়া আসলামী(রা.) েক রাসূলুলাহ‌(সা.) এরপ করেত আেদশ কেরিছেলন। মতেন বিণরত শবিট দারা তার
গলায় ঝুলােনা কালাদা উেদশয । এর ফেল মানুষ জানেত পারেব েয, এিট হাদী,তখন দিরদ েলােকরা তা বযবহার
করেব। আর ধনী েলােকরা করেব না। এর কারণ এই েয, এটা খাওয়ার অনুমিত যবাহ‌ করার সােন েপৌছার
শেতরর সােথ যুক। সুতরাং এর পূেবর তা হালাল না হওয়াই উিচত। তেব িহংস পাণীেদর িছেড় খাওয়ার জনয েছেড়
েদয়ার েচেয় দিরদেদর মােঝ সাদাকা কের েদয়া উতম। আর তােত এক ধরেণর ইবাদত রেয়েছ এবং ইবাদতই
হেলা উেদশয।

309
যিদ উক বাদানাহ‌ ওয়ািজব হেয় থােক তাহেল তার সেল অনয বাদানাহ‌ আদায় করেব। আর মুমুষরিটেক যা ইচা
করেত পাের। েকননা েয কােজর জনয েসটােক িনধরারণ কেরিছল, েসটা েস কােজর উপযুক থােকিন। আর এেত
তার মািলকানা রেয়েছ অনযানয সমেদর মত। নফল, তামাতু ও িকরােনর হাদীেক ‘কালাদাহ’ পরােব। েকননা
এটা ইবাদেতর দম। আর কালাদাহ (েছড়া জুতা বা চামড়ার মালা) ঝুিলেয় েদয়ােত পচার ও েঘাষণা হয়, যা
ইবাদেতর দেমর জনয উপেযাগী।

অবেরােধর ও দনসমূেহর দম এর হাদীেক কালাদাহ‌ পরােব না। েকননা অপরাধ হেলা এক কারণ। আর
অপরাধেক েগাপন রাখাই সমত। আর অবেরােধর দম হেলা কিতপূরেণর জনয। সুতরাং এটােক কিতপূরণ জাতীয়
(অথরাত‌ অপরাধ জিনত) সংেগ যুক করা হেব।

ইমাম কুদরী(র.) হাদী শবিট উেলখ কেরেছন। মুলতঃ তার উেদশয হেলা বাদানাহ‌। েকননা বকরীেক সাধারণতঃ
কালাদাহ পরােনা হয় না। আর আমােদর মেত বকরীেক কালাদাহ‌ পরােনা সুনাত নয়। বকরীর েকেত কালাদাহ
পরােনার মেধয েকান ফায়দা েনই। েযমন, পূেবর বলা হেয়েছ। আলাহ‌ই অিধক অবগত।

িবিবধ মাসআলা
যিদ এমন হয় েয, আরাফায় েলােকরা একিদন অবসান করেলা। আর একদল েলাক সাকয পদান করেলা েয,
তারা আসেল কুরবানীর িদন (দশই িযলহাজ) উকুফ কেরেছ, তাহেল তােদর এ উকুফ যেথষ হেব ।

িকয়ােসর দাবী এই েয, তা তােদর জনয যেথষ হেব না। এটােক ইয়াওমুতার িবয়া(আট তািরখ) উকুেফর উপর
িবেবচনার েপিকেত।

এর কারণ এই েয, উকূফ হেলা এমন একিট ইবাদত, যা িনধরািরত সময় ও সােনর সােথ িবিশষ। সুতরাং এ দ’িট
িবিশষতা ছাড়া ‘উকূফ’ ইবাদত হেব না।

সূক িকয়ােসর কারণ এই েয, এ সাকয েনিতবাচক িবষেয়র উপর হেয়েছ এবং এমন একিট িবষেয়র উপর হেয়েছ,
যা িবচােরর আওতাভূক েকান িবষয় নয়। সুতরাং তােদর সাকয গহণ করা হেব না।

তাছাড়া এ একিট বযাপক সমসযা, যা পিরহার করা সমব নয় এবং তার কিতপূরণ করাও সমব নয়। আর
পরবতরীেত পুনরায় হজ আদায় করার আেদশ দােন সষ জিটলতা রেয়েছ। সুতরাং সেনহজনক অবসায় েসটােকই
যেথষ বেল সাবযস করা জররী।

িকন ইয়ামুতার-িবয়া উকুফ করার িবষয়িট িভন। েকননা আরাফার িদন উকুফ কের সেনহ িনরাসেনর মাধযেম
কিতপূরণ করা সমব।

তাছাড়া িবলিমত আমল জাইয হওয়ার নযীর রেয়েছ, িকন অগবতরী আমল জাইয হওয়ার নযীর েনই।

310
ইমাম আবূ হানীফা(র.) এর অনুসািরগণ বেলেছন, শাসেকর কতরবয হেলা এ ধরেণর সাকয গহন না করা, এবং
েঘাষণা িদেয় েদয়া েয, েলাকেদর হজ সমন হেয় েগেছ। সুতরাং েতামরা সবাই িফের যাও। েকননা সাকয
গহণ করায় েকবল িফতনাই সৃিষ হয়।

তদপ যিদ তারা আরাফা িদবেসর আেগর সনযায় (অথরাত ইয়ামুতািবয়ায় একিদন আেগ) চাদ েদখার সাকয েদয়
আর ইমােমর পেক অবিশষ রােত েলাকেদরেক িনেয় িকংবা তােদর অিধকাংেশর িনেয় আরাফায় উকুফ করা সমব না
হয়, তাহেল ইমাম উক সাকয গহণ করেবন না।

ইমাম মুহামদ(র.) বেলন, েয বযিক িদতীয় িদন (অথরাত িযলহােজর এগার তািরেখ) মধযবতরী ও তৃতীয় জামারায়
কংকর িনেকপ করল, িকন পথমিট করেলা না; তাহেল পথমিট কাযা করার সময় যিদ পরবতরী দ’িটও কের েনয়
তাহেল উতম হয়। েকননা এেত মাসনূন তারতীেবর সুনেতর ধারাবািহকতা রকা করল। আর যিদ শধু পথম
জামারায় কংকর িনেকপ কের তাহেলও তা যেথষ হেব। েকননা েস যথা সমেয় েছেড় েদওয়া আমলিটর কিতপূরণ
কের িনেয়েছ। শধু তারতীব তরক কেরেছ।

ইমাম শািফঈ(র.) বেলন, তা যেথষ হেব না। যতকণ না সকল রামী পুনরায় কের। েকননা এটা তারতীেবর
সংেগই শরীআত কতৃরক পবিতরত হেয়েছ। সুতরাং এটা তাওয়ােফর পূেবর সাঈ করার মেতা হেলা। িকংবা সাফার
পিরবেতর মারওয়া েথেক সাঈ শর করার মেতা হেলা।

আমােদর দলীল এই েয, পিতিট জামারাহ‌ হেলা সয়ংসমূণর একিট ইবাদত। সুতরাং একটার উপর অনযটােক
অগবতরী করার সােথ তার ৈবধতা সমৃক হেব না। সাঈ-র িবষয়িট িভন। েকননা এটা তাওয়ােফর অনুগামী।
কারন তা তাওয়ােফর েচেয় িনমমযরাদার। তদপ মারওয়া েয সাঈ-র েশষপােন, এটা ‘নাস’ দারা সাবযস হেয়েছ।
সুতরাং এর সােথ ‘পারম’ এর সমকর হেত পাের না।

ইমাম মুহামদ(র.)বেলন, েয বযিক েহেট হজ করেব বেল িনেজর জনয িনধরারণ (মানাত) কেরেছ, েস সওয়ারীেত
আেরাহণ করেব না, েয পযরন না তাওয়াফ িযয়ারেতর েশষ কের।

মাবসূত িকতােব অবশয তােক পােয় হাটা বা সওয়াব, েয েকান একিটর ইখিতয়ার েদওয়া হেয়েছ। আর এখােন
মতেনর ভােষয ওয়ািজব হওয়ার িদেক ইংিগত রেয়েছ। এই হেলা নীিতগত হকুম।

েকননা েস পূণরবার গণসহ িনেজর উপর ইবাদত লােযম কেরেছ। সুতরাং েস গণসহ তা তার উপর লােযম হেব।
েযমন, যিদ লাগাতার েরাযা রাখার মানত কের থােক।

আর হেজর কমরসমূহ েযেহতু তাওয়ােফ িযয়ারেতর মাধযেম েশষ হয়, তাই উক তাওয়ায় করা পযরন েহেট চলেত
হেব।

আর েকউ বেলেছন, ইহরাম করার পর েথেক পােয় েহেট চলা শর করেব। আবার েকউ বেলেছন, তার ঘর েথেক
শর করেব। েকননা বাহযতঃ এটাই হেলা উেদশয।

যিদ সাওয়াব হেয় চেল, তাহেল দম িনেত হেব, েকননা েস তােত তিট সষ কের েফেলেছ।

311
মাশােয়খগণ বেলেছন, দূরত যখন অিধক হয় এবং হাটা কষকর হয়, তখন আেরাহণ করেব। আর সল িনকটবতরী
হেল এবং েস বযিক হাটায় অভযস হেল এবং তার জনয কষকর না হেল আেরাহণ না করাই উিচত।

আর েকান বযিক যিদ ইহরাম অবসায় দাসীেক িবিক কের, েয তােক ইহরােমর অনুমিত িদেয়িছেলা, তেব েকতার
জনয জাইয হেব তােক ইহরামযুক কের তার সােথ সহবাস করা।

ইমাম যুফার(র.) বেলন, েকতার জনয তা জাইয হেব না। েকননা ইহরাম এমন এক ‘আকদ’, যা তার
মািলকানার পূেবর সংঘিটত হেয়েছ। সুতরাং তা েস বািতল করেত পাের না। েযমন, েকউ যিদ িববািহতা দাসী
খিরদ কের।

আমােদর দলীল এই েয, এখােন েকতা িবেকতার সলবতরী হেয়েছ। আর িবেকতার জনয তােক ইহরামমুক কের
েনওয়া জাইয িছল। সুতরাং েকতার জনযও তা জাইয হেব। অবশয িবেকতার জনয তা মাকরহ। েকননা তােত
ওয়াদা িখলাফী রেয়েছ। আর এ কারেণ েকতার েকেত েনই।

িববােহর িবষয়িট এর িবপরীত। েকননা িবেকতার অনুমিত কেম িববাহ হেয় থাকেল তা বািতল করার অিধকার তার
িছল না। সুতরাং েকতারও েস অিধকার থাকেব না।

েকতার যখন তােক ইহরাম মুক কের েনয়ার অিধকার রেয়েছ,তখন আমােদর মেত ‘ইহরােমর েদােষর’ কারেণ
তােক েফরত েদয়ার অিধকার থাকেব না। আর ইমাম যুফার(র.) এর মেত েস েফরত িদেত পারেব।

েকান েকান নুসখায় এরপ রেয়েছ: ‘অথবা তার সােথ সহবাস করেত পারেব’।

পথম মতেনর ভােষয েবাঝা যায় েয, সহবাস ছাড়া চুল ছাটা িকংবা নখ কতরন করার মাধযেম তােক ইহরাম মুক
করেব। অতঃপর সহবাস করেব।

আর িদতীয় এ বারত দারা েবাঝা যায় েয, সহবাস দারা তার ইহরাম ভংগ করােব। েকননা সহবােসর পূেবর সশর
সাধারণতঃ হেয়ই থােক। যার দারা ইহরাম ভংগ হেয় যােব । আর উতম হেব হেজর পিত সমান পদশরনােথর
সহবাস বযতীত তােক ইহ‌রাম মুক করা। আলাহ‌ই অিধক অবগত।

।। পথম খন সমাপ।।

312

Вам также может понравиться