Академический Документы
Профессиональный Документы
Культура Документы
৫)হালাল সুস্পষ্ট, হারামও সুস্পষ্ট’’- এ দুইয়ের মাঝে কিছু বস্তু আছে অস্পষ্ট। যে ব্যক্তি
সন্দেহযুক্ত বিষয়ে পতিত হলো সে হারামের মধ্যে নিপতিত হলো।
Rasul (sm: ) er ofat er bohu bochor pore hadis sonkolito hoyese . ei somoy e bohu fitna fasad
abong manushjon nijer moto kore hadis bornona korte suru korlo. Thokhon gobesok gon kisu
sotorkotar sathe hadis classification kore sadharon manusher jonno sohoz kore gesen.
Hadiser mul boi gulo porle dekha jay gobesok gon sob somoy jachai bachai kore hadis amol
kore korten. Jei somosto hadis amol joggo noy ba jar modde miththa songspordo gotese sei
gulo bad diten. Ar tara tader vul truti gulor da mukti kore gesen sahih palon er maddome
Kintu Dukkher bisoy holo Bortoman e ama der onekei sei bitorkito hadis guloke amal kotrte
Bolsen jei gulo prothom juger Salafe Salahinder kase amol joggo silo na. A rei vabe joto fitna
bidad er jommo.
Sir ami e kisu Quran er ayat abong kisu hadis ullek korte chai . er karon ei gulo samne thakle
amader kotha gulo bujte subidha hobe.
1) মহান আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
“ফায়িন তানাযা'তু ম ফি শাইয়িন ফারুদুহু ইলাল্লাহি ওয়ার রাসূলী ইন কু নতু ম তু মিনুনা বিল্লাহী ওয়াল|
ইয়াওমিল আ'খীরী, যালিকা খাইরুওওয়া। আহসানু তা'বীলান।”
"অতঃপর কোনো ব্যাপারে তোমরা যদি একে অপরের সাথে মতবিরোধ করো তাহলে সে বিষয়টি (ফয়সালার
জন্যে) আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রসূলের দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যাও, যদি তোমরা (সত্যিকার অর্থে) আল্লাহর
ওপর এবং শেষ বিচার দিনের ওপর ঈমান এনে থাকো! (তাহলে) এই পদ্ধতিই হবে (তোমাদের বিরোধ
মিমাংসার) সর্বোৎকৃ ষ্ট উপায় এবং বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহের ব্যাখ্যার দিক থেকেও (এটি) হচ্ছে উত্তম পন্থা।
{সূরা আন্ নিসা, আয়াত ৫৯}
২)রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কোনো মানুষ মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটু কু ই যথেষ্ট যে সে যা শুনে
(সত্যতা যাচাই না করে) তাই বলতে বা প্রচার করতে থাকে’ (বুখারি)।
৩) এসেছে সত্য,চলে গেছে মিথ্যা,নিশ্চয়ই মিথ্যা,চিরদিন মিথ্যা" (১৭: ৮১)
৪) হযরত সাহল বিন সা’দ রা. হতে বর্ণিত। পেয়ারা নবী মুহাম্মদ সা বলেছেন, আমি হাউজে কাউসারের তোমাদের
অগ্রগামী হব। যে আমার নিকট দিয়ে গমন করবে সে হাউজে কাউসারের পানি পান করবে। আর যে একবার পান করবে
সে কখনো তৃ ষ্ণার্ত হবে না। আমার নিকট এমন কিছু লোকের আগমন ঘটবে, যারা আমাকে চিনবে এবং আমিও
তাদেরকে চিনবো। তারপরও আমার ও তাদের মাঝে আড়াল পয়দা করে দেয়া হবে। আমি বলব তাদেরকে আসতে দাও,
তারা তো আমার উম্মত। ফেরেশতাদের পক্ষ থেকে উত্তরে বলা হবে, আপনি জানেন না, আপনার পরে তারা কী কী
নতু ন ধারা প্রবর্ত ন করেছিল। তখন আমি বলব যারা আমার পর দ্বীনকে বিকৃ ত করেছে তারা বিদূরিত হও, বিদূরিত হও।
সহি বুখারী : ২/২৯৪)।
২৭৬২-[৪] নু‘মান ইবনু বাশীর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
৪)
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হালাল সুস্পষ্ট এবং হারামও সুস্পষ্ট। আর এ উভয়ের মধ্যে
এমন অনেক সন্দেহভাজন বিষয় বা বস্ত্ত আছে, যে ব্যাপারে অনেক মানুষই এগুলো হালাল,
কি হারাম- এ বিষয়ে অবগত নয়। এক্ষেত্রে যে ব্যক্তি সন্দেহজনক বিষয় হতে বিরত থাকবে,
তার দীন ও মান-মর্যাদা পুত-পবিত্র থাকবে। আর যে ব্যক্তি সন্দেহে পতিত থাকবে, সে সহসাই
হারামে জড়িয়ে পড়বে। বিষয়টি সেই রাখালের ন্যায়, যে রাখাল তার পশুপালকে নিষিদ্ধ
এলাকার সীমার কাছাকাছি নিয়ে চরালো, তার পাল অজান্তেই নিষিদ্ধ এলাকায় ঢু কে পড়ার
সম্ভাবনা থাকে।
[1] সহীহ : বুখারী ৫২, মুসলিম ১৫৯৯, তিরমিযী ১২০৫, আবূ দাঊদ ৩৩৩০, আহমাদ
১৮৩৭৪, দারিমী ২৫৭৩, সহীহ আত্ তারগীব ১৭৩১।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
ব্যাখ্যাঃ
ব্যাখ্যা: (ات
ٌ َ)ال َحاَل ُل بَي ٌِّن َو ْال َح َرا ُم بَي ٌِّن َوبَ ْينَهُ َما ُم ْشتَبِه
ْ ‘‘হালাল সুস্পষ্ট, হারামও সুস্পষ্ট’’- এ
দুইয়ের মাঝে কিছু বস্তু আছে অস্পষ্ট।
‘আল্লামা নববী বলেনঃ বস্তু তিন প্রকার-
(১) সুস্পষ্ট হালাল। যার হালাল হওয়া বিষয়টি গোপনীয় নয়। যেমন- রুটি, ফলমূল, তৈল,
মধু, ঘি, দুধ, হালাল প্রাণীর গোশত ও তার ডিম- এরূপ খাবার জাতীয় বস্তু। অনুরূপভাবে
কথাবার্তা বলা, চলাফেরা করা ইত্যাদি যা হালাল হওয়া সম্পর্কে কোনো সন্দেহ নেই।
(২) সুস্পষ্ট হারাম। যেমন- মাদকদ্রব্য, শুকর, মৃত পশুর গোশ্ত/গোশত, পেশাব, প্রবাহিত
রক্ত। অনুরূপ যিনা করা, মিথ্যা বলা, পরনিন্দা করা এবং বিয়ে করা হারাম নয় এমন মহিলার দিকে
তাকানো।
(৩) সন্দেহযুক্ত বস্তু। অর্থাৎ এমন বিষয় যার হালাল হওয়াটা সুস্পষ্ট নয় এবং হারাম হওয়ায় সুস্পষ্ট
নয়। এজন্য এর বিধান অনেক মানুষেই জানে না। তবে ধর্মীয় বিধান সম্পর্কে যারা বিশেষ জ্ঞান রাখে
তারা ইজতিহাদের মাধ্যমে শারী‘আতের দলীলের ভিত্তিতে বস্তুগুলোকে হালাল অথবা হারামের সাথে
সংযুক্ত করতে সক্ষম হয়। তবে ইজতিহাদ করার পরও যদি তার বিধান সুস্পষ্ট না হয় তাহলে সে বিষয়ে
সতর্ক তা অবলম্বন স্বরূপ তা পরিত্যাগ করাই আল্লাহ ভীতির দাবী এবং তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর এ বাণীর অন্তর্ভু ক্ত।
(ضه ِ ‘‘ )فَ َم ِن اتَّقَى ال ُّشبُهَاযে ব্যক্তি সন্দেহযুক্ত বিষয় পরিত্যাগ করল সে তার দীন
ِ ْت فَقَ ِد ا ْستَ ْب َرأَ ل ِد ْينِه َو ِعر
ও মর্যাদাকে রক্ষা করল।’’ অর্থাৎ শারী‘আতের তিরস্কার থেকে সে তার দীনকে রক্ষা করল এবং
মানুষের সমালোচনা থেকে স্বীয় মর্যাদাকে সংরক্ষণ করল। (শারহে মুসলিম ১১/১২ খন্ড, হাঃ
১৫৯৯)
ِ ‘‘ ) َم ْن وقَ َع فِى الشبُّهَاযে ব্যক্তি সন্দেহযুক্ত বিষয়ে পতিত হলো সে হারামের মধ্যে
(ت َوقَ َع فِى ْال َح َر ِام
নিপতিত হলো। যেহেতু সন্দেহযুক্ত বস্তু হালালও হতে পারে, আবার হারামও হতে পারে। তাই হারামে
নিপতিত হওয়া থেকে মুক্ত নয়। এটা সেই নিষিদ্ধ এলাকার সাথে তু লনীয় সরকার যে এলাকাতে প্রবেশ
নিষিদ্ধ করেছে। এখন কেউ যদি নিষিদ্ধ এলাকার সীমানার নিকট দিয়ে ঘুরাফেরা করে তাহলে যে কোনো
মুহূর্তে নিষিদ্ধ এলাকায় ঢু কে যেতে পারে, তেমনিভাবে যে ব্যক্তি সন্দেহযুক্ত বস্তু হতে দূরে না থাকে
তাহলে যে কোনো মুহূর্তে হারামে নিপতিত হতে পারে। তাই সন্দেহযুক্ত বস্তু হতে দূরে থাকা বাঞ্ছনীয়।